নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভাল না খারাপ দূর থেকে নয়, কাছে এসে মিশে বন্ধু হয়ে দেখুন৷

খলিলুর রহমান ফয়সাল

ভাল আছি ভাল থেকো, আমার ঠিকানায় চিঠি লিখো

খলিলুর রহমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশপ্রেমিক তরুনরা বাংলাদেশের আলো ছায়ায় হাজার বছর বেঁচে থাকুক । বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসুক ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৭

সিলেটের কয়েকজন তরুনের কথা বলছি । তারা ডাকছে আপনাকে, হ্যা পাঠক আপনাকেই । তারা বলছে- “প্রিয় দেশবাসী, মানুষ ও মাতৃভূমির ডাকে সাড়া দিন ।



আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন সংসদীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক মাস ধরে সাধারণ মানুষের উপর চলে আসা নির্যাতন এমন এক মাত্রায় এসে পৌঁছেছে যে, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে এমন কোন ভাষা নেই যা দিয়ে এটা বর্ণনা করা যায়। বর্তমান বাংলাদেশের সকল দলের নির্লজ্জ রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্রের তথা রাষ্ট্রের মানুষের সাথে বেঈমানী এবং নিরপরাধ জনগনের উপর অত্যাচারের ফিরিস্তি নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন দেখি না।



একদিন, দুইদিন, তিনদিন করে দিনের পর দিন তারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। এই লেখা যখন লিখছি তার আগের মাত্র ১২ ঘন্টার ব্যবধানে প্রাণ হারিয়েছেন নূন্যতম তিনজন নিরপরাধ কর্মজীবি মানুষ এবং আগুনে পুড়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন আরো অনেকে। তাই আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনগন হিসেবে এর প্রতিকার করতে যত সময় নিচ্ছি তার প্রত্যেক মুহূর্তেই আমাদেরই কারো না কারো ভাগ্যে মৃত্যু লেখা হয়ে যাচ্ছে।



আর কিছু বলার নেই! বর্তমানে আমরা সাধারণ মানুষরা সবই জানি এবং সবই বুঝি। আর কত অসহায় মানুষের দগ্ধ শরীর, আর কত দগ্ধ লাশ দেখলে আমাদের বিবেক নাড়া দিবে? উত্তরটা কি আমাদের এখনও জানা নেই? তবে, আমাদের মন বলছে, “সময় এসেছে দেশের তরে, দেশের মানুষের তরে কিছু করার”।



এই পরিস্থিতিতে দেশের সব মানুষের বহু দিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে, সমগ্র দেশের মানুষকে একই প্লাটফর্মে এনে, হাতে হাত রেখে, আমরা কয়েকজন নগন্য এবং সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক- নতুন করে বাংলাদেশ সাজানোর স্বপ্নের শুরু করলাম। ”



তারা বড় একটা সাহস করেছে । তারা বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে-

(ক) ১০ দিন সময় দিয়েছে। হয় তারা রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করবে আর না হলে বাংলাদেশ ছাড়বে। (খ) ১০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে, ১৯ জানুয়ারি গণ আন্দোলনের ডাক দিবে। (গ) গণ আন্দোলনে তারা আপনাকে যদি সাথে না পায় তাহলে আপনার প্রতি ভালবাসা থেকে এবং দেশের প্রতি ভালবাসা থেকে তারা - আগামী ২২জানুয়ারি’১৪ থেকে “আমরণ অনশনের” ঘোষনা দিয়েছে।



কি ভয়ংকর ! দেশপ্রেমিক আবেগী এ তরুনদের মরতে দেয়া যাবে না ।



আপনারা সবাই জানেন, বিগত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে এক নারকীয় তান্ডব শুরু হয়েছে। আজ(০৮ জানুয়ারি ২০১৪) পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৯জন নিরপরাধ সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কেউ হারিয়েছেন আদরের সন্তানকে, কেউ বা জন্মদাতা পিতা। তাদের ছিল না কোন রাজনৈতিক পরিচয়; বর্তমান রাজনীতির নোংরা খেলায় তাদের কোন অংশগ্রহণও ছিল না; তাদের ছিলনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ। দু’মুঠো খেয়ে পরে তারা প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে শুধু বাঁচতে চেয়েছিল।



ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আজ যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে আরও শতাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছে ৭ বছরের নিষ্পাপ শিশু, তরুন শিক্ষার্থী, দরিদ্র সব্জিওয়ালা, খেটে খাওয়া রিক্সাওয়ালা, অসহায় ফল-ব্যবসায়ী, সিএনজি-বাস-ট্রাক ড্রাইভার সহ আরো অনেকে।



একজন সন্তান হিসাবে আমি চাইনা আর কোনদিন আমার বাবা দগ্ধতার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আমার কাছে মৃত্যু ভিক্ষা চাইবে।



তাদের একমাত্র অপরাধ ছিল পরিবারের সদস্যদের বাচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি স্বাধীন দেশের রাস্তায় বের হওয়া। শিশুদের অপরাধ ছিল মাঠে বা রাস্তায় খেলতে যাওয়া। তাই বলের বদলে হাতবোমা ধরিয়ে দেওয়া হয়। নিষ্পাপ শিশুদের হতে হয় সারা জীবনের জন্য পঙ্গু। অসুস্থ মানুষের অপরাধ ছিল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হওয়া। তাই সুস্থ্য নয়, লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়!



এর মধ্যে ছিলনা এই পরিস্থিতি যারা সৃষ্টি করেছেন সেই রাজনৈতিক দল সমূহের(বিএনপি’র নেতৃত্ত্বাধীন ১৮-দলীয় ঐক্যজোট, আওয়ামীলীগ নেতৃত্ত্বাধীন মহাজোট সহ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল) কোন নেতা, ছিলনা কোন দলের প্রধান।



বাংলার অসহায় মানুষের উপর এই অত্যাচার দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। বুকের ভিতর জেগে উঠা ক্ষোভ চেপে রাখা যায় না। আজ এই অবস্থায় এসে আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করতে হয়, ঐ জানোয়ার গুলো যখন আমার সন্তানকে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু করে দেয়, আমার ভাইয়ের গায়ে আগুন দেয়, আমার বোনের হাতের মেহেদীর রঙ মুছে যাওয়ার আগে তার সুন্দর সব স্বপ্নকে শেষ করে দেয়, আমার বৃদ্ধ বাবা আর বৃদ্ধা মায়ের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারে তখনো কি একবারও বুকের ভেতর ঝড় ওঠে না?



“গণতন্ত্র(!) গণতন্ত্র(!!)” করে অনেকেই মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(১), অনুচ্ছেদ ১১, ও অনুচ্ছেদ ২১ অনুযায়ী, “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন, এবং গনতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা (অর্থাৎ আপনারা) জনগনের সেবক”।



দেশপ্রেমিক তরুনরা বাংলাদেশের আলো ছায়ায় হাজার বছর বেঁচে থাকুক । বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসুক ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: " সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক- নতুন করে বাংলাদেশ সাজানোর স্বপ্নের শুরু করলাম। "

------এ রকম আজব কিছু পৃথিবীটে নেই!

"আগামী ২২জানুয়ারি’১৪ থেকে “আমরণ অনশনের” ঘোষনা দিয়েছে। "

-------- অনশন করে মরতে অনেক সময় লাগে; আগুনে লাফ দেয়ার কথা ভাবেন, এবং আজ থেকে!

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: এতো প্যাচাল কেন ভাই...!! যা বলতে চান সরাসরি বলুন। কম কথায় কাজের কথা বলুন।
বেমি লিখছেন বলে , মুল বিষয়টাই খুজে পাওয়া যায় না!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.