নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভাল না খারাপ দূর থেকে নয়, কাছে এসে মিশে বন্ধু হয়ে দেখুন৷

খলিলুর রহমান ফয়সাল

ভাল আছি ভাল থেকো, আমার ঠিকানায় চিঠি লিখো

খলিলুর রহমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্ল্যাশ মোব ও কিছু কথা ! চার ছক্কা হইহই, বল গড়াইয়া গেল কই

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

আগামী ১৬ মার্চ বাংলাদেশের মাটিতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হচ্ছে এটা পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, এমন বড় আয়োজনের অফিসিয়াল ইভেন্ট সং ‘চার ছক্কা হইহই’ গানটির সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের তিন ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফ্ল্যাশ মোব বা স্ট্রিট ড্যান্স মিউজিক ভিডিও করেছে। এর সূত্র ধরেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি ও আমার দল কাকতাড়ুয়া আইসিসির এই ‘অফিসিয়াল ইভেন্ট সং’ এর উপর ফ্ল্যাশ মোব করার পরিকল্পনা। সিলেটেরই ছেলে ফুয়াদ আল মুক্তাদির এর সঙ্গীতায়োজনে অদ্ভুৎ সুন্দর এ গানটি কমপক্ষে আমি ১০০০ বার শুনেছি । যতই শুনি ততই ভাল লাগে , মনে হয় শরীরের প্রতিটি কোষ নেচে উঠে । ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সিদ্ধান্ত সিলেটের মানুষকে চমক দেখাতে হবে। অভিনয়, সুদর্শন/সুদর্শনা এবং নৃত্য নৈপুন্যের উপর ভিত্তি করে বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছিলাম ।



প্রথমদিন আমরা বসি ক্যাম্পাসের ছোট্ট শহীদ মিনারে । একুশের চেতনা আর বুকে লাল সবুজের শক্তি। প্রতিটি চোখ যেন জয়ের জন্য জ্বল জ্বল করা রাঙ্গা পোস্টার । ক্যাম্পাসের মিনি অডিটরিয়ামে যেদিন থেকে মহড়া শুরু তখন থেকেই সাজ সাজ রব । ড্যান্স গ্রুপ কোম্পানী ঈগল আমাদের টাইটেল স্টেপ গুলো শিখিয়ে দিচ্ছিল । দিনরাত খেটেও তরুনপ্রাণে বিশ্রাম নেই । প্রতিটি স্টেপ মূহুর্তেই আয়ত্ব করে নিচ্ছে । যে আগে কখনো ড্যান্স করেনি সেও হিপ হপের দোলায় মাথা নাড়াচ্ছে । আসলে গানে এক ধরনের মাদকতা আছে । যা শুনলে মনে হচ্ছে যেন দেহের প্রতিটি কোষ দোলে উঠবে ।

আগে থেকেই বলা ছিল ভিডিওটা হবে ফ্ল্যাশ মোব । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই স্ট্রিট ড্যান্স জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে অনেকেই এর নামও শুনেননি । আর সিলেটে তো প্রথমবারের মতো হচ্ছে ফ্ল্যাশ মোব । রিহার্সেল এর এক ফাঁকে সবাই চলে গেল সিকৃবি ক্যাম্পাসের ফুচকা চত্ত্বরে । খোলা আকাশের নিচে বিকেলে একদল ছেলে মেয়ের নাচ দেখে সবাই যার পর নাই অবাক হয়েছে । হচ্ছেটা কি? উত্তর না দিয়েই সবাই স্টেপ দেয়-চার ছক্কা হই হই, বল গড়াইয়া গেল কই..



বাংলাদেশের বড় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী গ্রে এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হিমসিম খাচ্ছিলাম । তবু বড়দের সাথে কাজ করার মজাই আলাদা, শেখার আছে অনেক কিছু । নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম । সিলেটের রাস্তায় ভীড় ঠেলে নির্বিকার ভাবে হেটে যাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সনজা স্টিফেন । তড়িৎ গতিতে মাথায় এলো একজন বিদেশী যদি আমাদের সাথে ড্যান্স করেন তাহলে আমাদের ফ্ল্যাশ মোবটি বৈশ্বিক রূপ পাবে । কাকতাড়–য়ার সহকর্মী শুভকে বলতেই সে বিদেশীনির পেছনে দৌড় । বিদেশীনিতে থামিয়েই ভাঙ্গা ইংরেজীতে তাকে আমার পরিকল্পনার কথা বললাম । সেও খুব আগ্রহ বোধ করলো । রাতে তাদের ইমেইলে যোগাযোগ করলাম পরদিনই সনজা তার আরেক বান্ধবী আমেরিকান মেয়ে এলিজাবেদ থমাসকে নিয়ে হাজির । সনজা ও এলিজাবেদকে পেয়ে আমাদের পুরো ইউনিট যেন নতুন করে প্রান পেল । বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত আমরা সবাই এক সাথে স্টেপ দিই- চার ছক্কা হই হই, বল গড়াইয়া গেল কই ।



শ্যুটিং এ প্রস্তুতি চলছে । ইতোমধ্যে আমাদের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগ দিয়েছে এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মদনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে কয়েকজন ড্যান্সার। বিদেশী ড্যান্সারদের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের পাশের বস্তি থেকেও বাচ্চা এসেছে আমাদের দলে । কে কোন প্রতিষ্ঠানের, কে কোন দেশের, কে কালা কে ধলা সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো বাংলাদেশে বড় একটি আয়োজন হচ্ছে । এই ইতিহাসের অংশ হতে হবে ।



শ্রীলঙ্কায় ২০১২ সালে হয়ে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের থীম সং- ভিস্যায় ভিস্যে শুনলাম । আর আমাদের ফুয়াদের “চার ছক্কা হইহই” ও শুনলাম । এ গানটি যথেষ্ঠ সুন্দর হয়েছে । মিউজিক কম্পোজিশন ভাল থাকলেও ভিস্যায় ভিস্যেতে সলো ভয়েস (একটি কন্ঠ) থাকার কারণে অতটো ভাল লাগেনি । গানের যে অফিসিয়াল ভিডিওটা বানানো হলো তাতে আমি পার্টিড্যান্স ছাড়া কিছু দেখলাম না । এক্ষেত্রে আমাদের ”চার ছক্কা হইহই” বড় কিছু হয়েছে । গানে অনেক ইংরেজী শব্দ রয়েছে যার কারণে এটি আরো বড় আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে । গানটি গেয়েছেনও অনেকজন, যা আরো গ্রহনযোগ্যতা বাড়িযেছে । । ভিডিওতে একটি টাইটেল স্টেপ আছে যা সবাই একসাথে করবে । যার নামই দেয়া হয়েছে ”চার ছক্কা হইহই স্টেপ”......খুব সুন্দর এ স্টেপটি যেকেউ একবার দেখলে আয়ত্ব করতে পারবে । আমি মনে করি সারা বিশ্বে আমাদের ”চার ছক্কা হইহই স্টেপ” টি “গ্যাংনাম স্টেপ” বা “ওয়াকা ওয়াকা স্টেপ”কে ও ছাড়িয়ে যাবে...



আকাঙ্খিত দিনটি ছিল শনিবার । নগরীর ব্যাস্ততম সড়ক চৌহাট্টা । মানুষ আর যানবাহনের জট, ট্রাফিক সামলাতে হিমশিম । কড়া রোদকে ছাড়িয়ে শুরু হলো উদযাপন । কেউ একজন গানটি ছেড়ে দিলো- একটি মেয়ে আইসক্রিম খেয়ে আসছিলো । গান শুনে থমকে গিয়ে শুরু করলো নাচ । তার সাথে যোগ দেয় স্কুল ছাত্র, গৃহিনী, ডাক্তার, খেলোয়ার, মধ্যবয়স্ক পুরুষ, তরুন জুটি, সাংবাদিক, কর্মকর্তা, মোয়া বিক্রেতা, চা ওয়ালি, উপজাতি, কলেজ ফেরত বখাটে, বিদেশীনি, সাইক্লিস্ট, সেকেলে যুবক, আম্পায়ার সকলেই নেচে গেয়ে বিশ্বকাপ উন্মাদনায় উদযাপন করে । ব্লকবাস্টার আয়োজনে হঠাত করেই যেন থমকে দাড়ায় সিলেট নগরী । এতো গুলো চরিত্র কোথা থেকে উদয় হলে আবার কোথায় মিলিয়ে গেল তার হদিস কেউ পাচ্ছে না । ইতোমধ্যে লুকানো ক্যামেরায় সবটুকু দৃশ্য ধারন করে নিয়েছে বিডি ফিল্ম ফ্যাক্টরী । ফ্ল্যাশ মুবের এ দৃশ্য বাংলাদেশের আরো তিনটি শহরে হয়েছে । এবং ইতোমধ্যে ফ্ল্যাশ মোবগুলো ইউটিউবে আপলোডও করে ফেলেছে আইসিসি। চলছে ভোটিং, মোস্টলি ওয়াচড হবে সেরা ।





সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় একটি ছোট বিশ্ববিদ্যালয় । অনেকেই এর নামও জানে না । এরকম একটি অবস্থায় থেকে আইসিসির লোগো আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে সেটাও বড় ভাগ্যের ব্যাপার । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তো নামেই উঠে যাচ্ছে । বড় বড় সেলিব্রেটিরাও চবি, ঢাবি ও কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রচারনায় নেমেছে । জুড়ি বোর্ডেও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যেখানে দ্বিতীয় পজিশনে ছিলাম, দর্শক ভোটে আমরা এখন অনেক পিছিয়ে পড়ছি । সিকৃবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: শহীদ উল্লাহ তালুকদার একটি ফেইসবুক ফ্যান পেইজ থেকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে দেশবাসী ও প্রবাসীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন । এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ । তবে পাঠক আপনাদের ফ্ল্যাশমোব নিয়ে আরো কয়েকটা বিষয় জানাতে চাই । অনেকেই খালি মাঠে হিপ হপ সুন্দরী দেখে ভোট করছেন অনলাইনে মেয়ার দিচ্ছেন । প্রকৃতপক্ষে ফ্ল্যামমোবের শর্ত হলো: ক্রাউড বা ভীর থাকতে হবেই । যত ভীর তত গ্রহনযোগ্যতা । বিভিন্ন চরিত্রের সন্নিবেশ থাকতে হবে যারা অভিনয় নয় বরং স্বতস্ফূর্ত ভাবে নেচে গেয়ে উঠবে । আইসিসি কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাশমোবে কোন ক্রিকেট খেলা না দেখাতেও অনুরোধ করেছিল । এসব দিক বিবেচনা করলে একমাত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্ল্যাশ মোবটি সবচেয়ে বেশি যোগ্য । দুজন ভীনদেশি আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের গ্রহনযোগ্যতা আরো বাড়িয়েছে ।



আমরা রইলাম- আপনার মতামতের অপেক্ষায়...শুধু বাংলাদেশ ও ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থেকেই কাজটা করেছি । আমাদের সব পরিশ্রম উতসর্গ করলাম টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশের দুটি টীমের প্রতি । সবাই চলুন একসাথে নেচে গেয়ে উঠি- চার ছক্কা হইহই...বল গড়াইয়া গেল কই.... আমারো বলতে ইচ্ছে করে- are you ready to roar ??





ভিডিওটির লিংক : http://www.youtube.com/watch?v=z3uQ3M1hvhQ

দেখুন এবং শেয়ার করুন । ধন্যবাদ ।



খলিলুর রহমান ফয়সাল

সমন্বয়ক, কাকতাড়ুয়া, সিলেট

প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

হিমু71 বলেছেন: অন্যদের চাইতে আপনাদেরটা সুন্দর হয়েছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: আমাদের সেলিব্রেটি নাই । তাই প্রচারনা কম । কেউ যদি প্রমোট করতো । :(

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আপনাদের ড্যান্সের ভিডিও দেখলাম। শুভ কামনা রইল আপনাদের জন্য।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ । ভিডিওটা যদি প্রমোট করতেন খুব খুশি হতাম ।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

সাজ্জাদ হোসেন রাকিব বলেছেন: আপনাদেরটা ভালো হইসে অন্যদের চেয়ে।

বাট মোস্ট ভিউড মনে হয় এখনও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরটা :(

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ওদের সেলিব্রেটি আছে । বড় বিশ্ববিদ্যালয় । আমাদের ভিডিওটা প্রমোট বা প্রচারনা কম ।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

খাটাস বলেছেন: আমার আপনাদের টা খুব বেশি ভাল লাগছে। আর পোস্টে পেছনের গল্প টা ও সুন্দর করে লিখেছেন। শুভ কামনা আপনার ও কাকতাড়ুয়ার সবার জন্য। সেলিব্রেটি লাগবে না, ভাল কাজ এমনিতেই গ্রহন যোগ্যতা পাবে। সবাই তো দেখছেই :)

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা । ফ্ল্যাশ মোবের শর্ত পূরন না করেও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের চেয়ে এগিয়ে ।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

ভিটামিন সি বলেছেন: পুরাই টাস্কিত হইলাম। এখনো দেখি নাই ভিডিও। দেখে পরে ভোট দিবো।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ । ভিডিওটা যদি প্রমোট করতেন খুব খুশি হতাম ।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

বোকা ছেলে ৯৮৯ বলেছেন: আপনাদের ভিডিও টা সুন্দর হইছে। ঢাকা ভার্সিটির ভিডিও টা ৭২০p। আপনাদের ভিডিওর রেজোল্যুশন বাড়ালে ভালো হত

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: অথরিটি এটা করেছে । সব দিক থেকেই আমরা বঞ্চিত হচ্ছি । তবু মনে আমাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস ।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

দি সুফি বলেছেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরটা বেশি ভালো হইছে। আপনাদেরটাও ভালো হইছে।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মরদেহ বলেছেন: বেশিরভাগই দেখলাম। ভালোই হয়েছে। আমাদের নতুন সাংস্কৃতিক উত্তরন।

আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির নাচগুলো আসলেই সেকেলে। বিশ্বদরবারে পরিচয় করাতে লজ্জাই লাগে। ঠিক যেমন গল্প শোনা যায়, কোন কোন সন্তান নাকি তাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাহিরের মেহমানদের সামনে আসতে দেন না তারা সেকেলে বলে।

প্রেস্টিজ বলে কথা!

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ জিনিস!

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১১

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ । আমাদের ভিডিওটা প্রমোট করবেন আশা করি ।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: শুভ কামনা সিলেট !

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১২

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ । আমাদের ভিডিওটা প্রমোট করবেন আশা করি ।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫০

ভোরের সূর্য বলেছেন: কি বলবো আসলে বুঝতে পারছিনা। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের থিম সং নিয়ে এত সমালোচনার হবার পরেও কিভাবে মোব ফ্ল্যাশ এর ভিডিওগুলো তৈরি করা হল।

এটা একটা থিম সং। কিন্তু সেখানে আসল জিনিসটাই দেখানো হয় নি। একমাত্র এনাম মেডিকেল কলেজের ভিডিওটাতে ব্যাট বল দেখলাম এবং ড্রেসআপেও যদিও বাংলাদেশের সংস্কৃতি উঠে আসেনি তার পরেও অন্য ভিডিওগুলোর চেয়ে ড্রেস আপ ভাল।

ভাই কে কয়েকটা প্রশ্ন করি।

ভাই খেলাটা কি অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডে হচ্ছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে যেই ছবিগুলো দিয়েছেন সেই ড্রেসগুলো কি অহরহ আপনার আমার মা বোন খালা ফুপুরা পড়ে? আমি ড্রেস নিয়ে খারাপ কিছু বলছিনা কিংবা সমস্যাও নাই কিন্তু আমার কথা হল যেখানে বাংলাদেশে খেলা হচ্ছে সেখানে কি আমরা নরমালি যেই ড্রেসগুলো পড়ি সেই ড্রেসগুলো কি দেখানো উচিৎ ছিল না?

ভাই এটা একটা খেলার থিম সং। কিন্তু সেখানে খেলার কিছুই দেখলাম না কেন ভাই। সেটাই তো আসল তাই না?এত গুলো ভিডিওর মধ্যে ব্যাট-বল, মাঠ,কাপ,জার্সি কিছুই দেখা গেল না।

যেই নাচগুলো দেখানো হয়েছে এবং আবার গ্যাংনাম বলে ফলাও করে প্রচার করতে হচ্ছে সেটা বাদ দিয়ে কি বাংলাদেশী নাচ বা অন্তত বাংলাদেশী নাচের কিছু তুলে ধরা যেতনা? এই নাচ গুলো কি হরহামেশাই বাঙ্গালিরা নাচে?

এটাতো ইন্টারন্যাশনাল ভারশন না তাহলে সেখানে কি বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা যেত না বিশ্ববাসীর কাছে?

গত টি২০ বিশ্বকাপের থিম সং টা দেখেছেন? আর আমাদেরটা মিলিয়ে দেখুন বা আপনাদের মব ফ্ল্যাশ। শ্রীলংকা কম হলেও ওদের সংস্কৃতি তুলে ধরেছে আর আমরা?ওরা দুটি ভারশান করেছিল।একটা নিজেদের আরেকটা আন্তর্জাতিক।

এই বাংলা গানে ইংরেজি শব্দ ঢুকিয়ে আপনি বলছেন গানে অনেক ইংরেজী শব্দ রয়েছে যার কারণে এটি আরো বড় আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে খুবই মজা লাগছে আপনার কথা শুনে।টাইটস,ল্যাগিন্স,জিন্স,স্লিভলেস পড়ে আর ইংরেজী শব্দ ঢুকিয়ে আন্তর্জাতিক হওয়া যায়না।আর যদি তাই হয় তাহলে যেই দেশগুলো খেলবে সেই দেশগুলোর জার্সি এমনকি বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের জার্সি পর্যন্ত দেখানো হল না আপনাদের মোব ফ্লাশে।

খাঁটি আন্তর্জাতিক করলে পুরা গানটাই তো ইংরেজীতে করা যেত। মাঝখানে শুধু বাংলা শব্দ কেন ঢুকানো হল।

এটাই কি একটা সুযোগ ছিলনা আমাদের সংস্কৃতি কে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য?

থিম সং এর ভিডিও কি জিনিস ভাই? গ্যাংনাম নাচ নাচাটাই আর ল্যাগিন্স,জিন্স,টিশার্ট পরে নাচাটাই কি থিম সং?তাহলে থিম টা গেলো কই?

গত ফুটবল বিশ্বকাপের থিম সং দেখার অনুরোধ করছি।গান টা ইংরেজীতে হলেও পুরা ভিডিওতে ২টা জিনিস দেখানো হয়েছে। প্রথম হল শাকিরার পেছনে যে বাদ্য যন্ত্র বাজানো হচ্ছিল এবং মেয়েরা ড্রেস পরে নাচছিল(নাচটাও আফ্রিকান) তা ছিল সম্পূর্ণ আফ্রিকার সংস্কৃতি এমনকি শাকিরার পড়নেও ছিল আফ্রিকান ড্রেস এবং তারা তাদের ঐতিহ্য তুলে ধরেছিল আর সাথে সাথে যেহেতু ফুটবল বিশ্বকাপ তাই অংশগ্রহনকারি দেশের ফুটবলের ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়েছিল।

আপনাদের ভিডিওতে কি একটাও কেউ শাড়ী পরে নেচেছিল বা শাড়ী পরে কেউ ছিল? কেউ কি বাঙালী নাচের কয়েকটা মুদ্রা দেখিয়েছিল? মাঠ বা ক্রিকেট ব্যাট বল ছিল(একমাত্র এনাম মেডিকেল কলেজ ছাড়া),জার্সি পড়ে খেলোয়ার,কাপ,গ্যালারী কিছু ছিল?

বিশ্বকাপ থিম সং হলে ক্রিকেটের কোন অনুষঙ্গ ছিল না আপনাদের ভিডিও এবং মূল থিম সং এ। আর আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়ে থাকলে অন্য দেশের খেলোয়ার বা ওদের জার্সি কিছুই দেখানো হয় নি কেন?

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১০

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: যারা সমালোচক তারা সব সময়ই সমালোচক । তবু আমি আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি ।

১। আপনি মনে ফ্ল্যাশ মোব কি জিনিস তা ই জানেন না । দয়া করে গুগুলে গিয়ে Flash Mob লিখে সার্চ দিয়ে তথ্য জেনে আসুন । তারপর প্রশ্ন করুন ।

২। খেলাটা বাংলাদেশে হচ্ছে । এবং এই খেলা ও ফ্ল্যাশ মোব সারা বিশ্বের মানুষ দেখবে । আপনি কি ভাল করে ভিডিওটি দেখেছেন । অনেকগুলো চরিত্র রয়েছে এখানে । জিন্স টপস পড়া মাত্র দুই জন মেয়ে ছিল আমাদের এখানে । প্রায় ৫২ জন শিল্পীর মধ্যে জিন্স টপস পড়া মেয়েটির পাশে উড়না সহ সালোয়ার কামিজ পড়া, ফতোয়া-পাজামা পড়া মেয়েরা নাচছিল । ছেলেরা ও সবাই স্বাভাবিক পোশাকে ছিল । আপনি এর মধ্যে খারাপটি কি পেলেন বুঝলাম না । চোখ ঠিক করেন মিয়া ।

৩। সবগুলো নাচের স্টেপ খেলা নিয়ে । আপনার চোখ খারাপ না হয় আপনি খেলা বুঝেন না । চার ছক্কা হই হই যখন বাজছিল তখন শিল্পীরা আম্পায়ার যেভাবে চার ও ছয়ের সিগনাল দেয় সেভাবে দেখানো হচ্ছে । বল গড়াইয়া গেল কই বাজার সময় আমরা বাঙ্গালীরা খুব খু্শি হলে যেভাবে দু বাহু দিয়ে আন্ডা বাজাই ঠিক সেরকমটি দেখানো হয়েছে । ছোট বেলা নিষ্চই আপনি আন্ডা বাজান নি । আরো শিওর হওয়ার জন্য দয়াকরে আবার ভিডিওটি দেখুন ।

৪। বারবার থিম সং থিম সং বলে মাথা নষ্ট করে ফেলতেছেন । এটি আসলে ইভেন্ট সং । যার সঙ্গিতায়োজন গুটি কয়েক চুলকানিওয়ালারা বাদে সবাই পছন্দ করেছে ।

৫। আপনি একটার সাখে আরেকটা গুলিয়ে ফেলতেছেন । নাটক দেখতে এস যদি বলেন এখানে সিনেমা ফ্লেবার নেই কেন ? তাহলে হবে না । রবীন্দ্র সংগীত শুনতে এসে যদি বলেন এখানে ব্যান্ড ভার্সন নেই কেন- তাহলে হবে না ।

৬। ফ্ল্যাশ মোবগুলো মা চাচীর জন্য বানানো হয় নি । যারা সিরিয়াল পছন্দ করেন না তাদেরকে জি বাংলা ছেড়ে দিলে তারা যেমন বিরক্ত হবেন । তেমনি যারা ফ্ল্যাশ মোব চিনেন না বুঝেন না তাদের সামনে আমাদের ভিডিও ছেড়ে দিলে তারাও বিরক্ত হবেন না । ফ্ল্যাশ মোব বানানো হয়েছে ক্রিকেট পাগল তরুন প্রানদের জন্য । মাথায় ঘিলু থাকলে বুঝে নিন ।

তবে হ্যা সবগুলো ফ্ল্রাশ মোব ভাল হয়েছে আমি তা বলছি না । প্রকৃতপক্ষে ফ্ল্যামমোবের শর্ত হলো: ক্রাউড বা ভীর থাকতে হবেই । যত ভীর তত গ্রহনযোগ্যতা । বিভিন্ন চরিত্রের সন্নিবেশ থাকতে হবে যারা অভিনয় নয় বরং স্বতস্ফূর্ত ভাবে নেচে গেয়ে উঠবে । আইসিসি কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাশমোবে কোন ক্রিকেট খেলা না দেখাতেও অনুরোধ করেছিল । এসব দিক বিবেচনা করলে একমাত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্ল্যাশ মোবটি সবচেয়ে বেশি যোগ্য । দুজন ভীনদেশি আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের গ্রহনযোগ্যতা আরো বাড়িয়েছে । সুতরাং সমালোচনা বন্ধ করে আমাদের সাথে গেয়ে উঠোন: চার ছক্কা হই হই...

১২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: না হলে কি অনেক ক্ষতি হতো?

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১২

খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: হয়ে কি খুব ক্ষতি হয়ে গেল ??

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আদম_ বলেছেন: সো বদারসাম। বিদঘুটে একটা জিনিসের প্রার্দুভাব হলো দেশে.....একটা মেকি আনন্দের ফিলিংস পেলাম।

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১০

ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার সাথে আর তর্কে যেতে চাচ্ছিনা।

ভাই,এখানে আমরা কেউ মারামারি করতে আসিনি। আপনি আপনার লেখা দিয়েছেন আর আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি।আপনার পছন্দ হয়নি আমার কথা ভাল কথা।আপনি পাল্টা যুক্তি তুলে ধরুন কিন্তু চোখ ঠিক করেন মিয়া ,চুলকানিওয়ালারা, মাথায় ঘিলু থাকলে বুঝে নিন, এইসব বলার মানে কি বুঝলাম না। আবার আমার ব্লগে যেয়ে কমেন্ট করেছেন যে আমার নাকি কমন সেন্সের অভাব।

আমি নিজেও আবার আমার মন্তব্য পরে দেখলাম যে আপনাকে আমি গালি দিয়েছি কিনা বা ব্যক্তিগত আক্রমন করেছি কিনা।কিন্তু সেরকম কিছু খুজে পেলাম না।তাহলে কি আপনার কাছে মিনিমাম ভদ্রতা আশা করতে পারিনা।
আমি খুব দুঃখের সাথে বলছি যে প্লিজ ভদ্রতা দেখাতে শিক্ষার দরকার হয়না বা অন্য কিছুর দরকার হয়না। নিজের মন থেকেই ভদ্রতা আসে যদিও আপনার যে সেটার খুব অভাব সেটা বুঝেছি। বুঝলাম আমার সাথে এরকম করেছেন কিন্তু ভবিষ্যতে অন্য কারো সাথে করবেন না। মাথা ঠান্ডা রাখুন। অন্যকে হেয় করার মধ্যে কোন কৃতিত্ব নাই।

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩০

নহে মিথ্যা বলেছেন: মরদেহ বলেছেন: বেশিরভাগই দেখলাম। ভালোই হয়েছে। আমাদের নতুন সাংস্কৃতিক উত্তরন।

আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির নাচগুলো আসলেই সেকেলে। বিশ্বদরবারে পরিচয় করাতে লজ্জাই লাগে। ঠিক যেমন গল্প শোনা যায়, কোন কোন সন্তান নাকি তাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাহিরের মেহমানদের সামনে আসতে দেন না তারা সেকেলে বলে।

প্রেস্টিজ বলে কথা!

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: What you, we loosed that is described by Vorer Surjo. But I know you will be unable to understand. Hah. YOU ARE LOOSING TIME.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.