নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভাল না খারাপ দূর থেকে নয়, কাছে এসে মিশে বন্ধু হয়ে দেখুন৷

খলিলুর রহমান ফয়সাল

ভাল আছি ভাল থেকো, আমার ঠিকানায় চিঠি লিখো

খলিলুর রহমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যাংটু শেয়াল কাপড় পড়ো, পাঠশালা রক্ষা করো

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৭

“তমুক” গ্রামে “অমুক” নামে একটি পাঠশালা ছিল । অমুক পাঠশালায় বহু বিজ্ঞ (!) শেয়াল পন্ডিত পাঠদান করাইতেন। বিজ্ঞ এর পেছনে নিচে ফোটাওয়ালা ডান্ডা দেখিয়া পাঠকবৃন্দ নিশ্চই উঁকি ঝুকি মারিতেছেন। অতো উতলা হওয়ার কিছু নাই। শেয়ালরাতো আর মানুষ নয়, তাহাদের ডান্ডা সামনে নয় পেছনেই থাকে। শেয়ালের দল এতোদিন একতাবদ্ধই ছিল। সম্প্রতি কি এক কেলো বাঁধিয়া গেল, তাহার কারনে শেয়ালের দল বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে। শুরুর কাহিনী শুনুন। কোন এক শেয়ালের পুচ্ছ কাটিয়া গেছে। তাহাকে দেখতে অদ্ভুত লাগিতেছিল বলিয়া কতক শেয়াল নিজেদেরকে অদ্ভুত বানাইতে দলে দলে পুচ্ছ কাটিল। লেজওয়ালা এক শেয়াল বলিল- “শেয়াল জাতি পন্ডিত জাতি। লেজ কাটিলে আমরা আমাদের আইডেন্টি হারাইবো।” লেজকাটা এক শেয়াল তখন হুংকার ছাড়িলেন-“ আপনাকে দেখিতে স্মার্ট লাগিছে না বলিয়া, আপনি এইরূপ প্রপাগান্ডা চালাইতেছেন। আমি এর তেব্র নিন্দা জ্ঞাপন করিতেছি। ” বাকি লেজ কাটারাও হুংকার ছাড়িল-“আমাদের লেজ নাই, আমরা স্মার্ট।”লেজওয়ালারাও কম যায় না, তারাও আবেগঘন কন্ঠে চিৎকার করিল- “আমরা অনেক ফেইম, খেলছ তুমরা গেইম, শেইম শেইম শেইম।” শিয়ালের কাছে যে প্রানিরা বিদ্যার্জন করিত, এরকম চিৎকার চেচামেচি শুনিয়া তাহারা দৌড়াইয়া আসিল। তাহারা আসিয়াছে বিনুদন লইতে ,গুরুদের ঝগড়া ভাঙ্গাইতে নয়। ব্যাফক বিনুদন চলিতেছিল। এক মুরগী আসিয়া এক শিয়ালের কানেকানে বলিল-“মহাশয়, আপনি আমাদিগকে শান্তির বানী শুনাইতেন, এখনতো আপনারাই অশান্তি করিতেছেন।” রাগিয়া মাগিয়া সেই শেয়াল মুরগীর ঘাড় মটকাইয়া বলিল- “চুপ বেয়াদপ। আমরা ঝগড়া করিতেছি না, কলহ করিতেছি। ঝগড়া ভাল নয়, তবে কলহ ভাল।” সেই থেকে শেয়ালরা শুরু করিল - গ্রুপিং । নতুন নতুন ফর্মুলায় গ্রুপিং। লাল শেয়াল গ্রুপ, সাদা শেয়াল গ্রুপ। গ্রুপের ভেতর শাখা গ্রুপ। তমুক গ্রাম শেয়াল গ্রুপ, বহিরাগত শেয়াল গ্রুপ। শাখাগ্রুপের ভেতর উপশাখা গ্রুপ। এদিকে কতক শেয়াল স্বার্থের লোভে পড়িয়া পল্টি মারিল। প্রত্যাশিত স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় কতক আবার রি-পল্টিও মারিল। একটি নাটক শেষ হয়, আরেকটি নতুন নাটক শুরু হয়। সাধারন শেয়ালরা পড়িল মহাবিপদে। মান রাখি না কূল রাখি। আইডেন্টিও থাকা চাই, একটু স্মার্টও হওয়া লাগে। তাহারা অর্ধেক পুচ্ছ রাখিয়া বাকী অর্ধেক কাটিল। একদলকে বুঝাইল- “এই দেখুন আমার পুচ্ছ বিশাল বড় ছিল, আপনাদের জন্য কাটিয়া ছোট করিয়া ফেলেছি।” আরেকদলকে বুঝাইল- “আমারতো পুচ্ছই ছিলই না, শুধু আপনাদের জন্য টানিয়া টানিয়া নতুন পুচ্ছ বানাইয়া ফেলিলাম।” নাটকের শেষ নাই। প্রানিকূল লজ্জায় অজ্ঞান হবার উপক্রম যখন দেখিল-একে এক শেয়ালরা ন্যাংটু হতে শুরু করিল। ন্যাংটু নাহলে তো আর বুঝা যায় না কে কোন দলে, আই মিন লেজ আছে কি নাই। এক ন্যাংটু শেয়ালকে বলা হলো- “মহাশয়, আপনারতো ডান্ডা দেখা যায়, গায়ে কাপড় জড়াচ্ছেন না কেন ?” সে মুচকি হাসিয়া কহিল-“পুচ্ছ দেখাইতে আমি ন্যাংটু হইয়াছি, সিনিয়রদের নির্দেশ রহিয়াছে।” কেউ একজন বলিল-“নিজের মাথায় কি ঘিলু নাই? ” মুচকি হাসি এবার অট্টহাসিতে রূপান্তরিত করে, ন্যাংটু শেয়াল শরীরে ছোট একটা অন্ত:র্বাস জড়াইয়া বলিল-“মহাশয়, একটা কথা জানেন কি, আজকালকার সকল গ্রুপের শেয়ালদেরই জ্ঞান বিতরনে মন নাই। সিনিয়রদের কথা শুনিয়া ন্যাংটু হইলে কিছু টেকাটুকা পাওয়া যায়। পাওয়ার পাওয়া যায়” ভাল বুদ্ধি। শুনিয়াছি দল ভারি করতো বিভিন্ন গ্রুপের শেয়ালরা ছাগল, কুকুর, গাধাদেরও রং চং মাখিয়ে, লেজ লাগিয়ে, শিং কাটিয়ে হাইব্রিড শেয়াল বানিয়ে ফেলিতেছে। তমুক গ্রামে শেয়ালের বড় মান সম্মান ছিল। প্রাণি সমাজের বিবেক ছিল শেয়াল প্রজাতি। আজ তাহাদের এরুপ কলহ দেখিয়া সকলে ছি: ছি করিতে লাগিল। তাহাদের ন্যাংটু দেখিয়া নিজেরাই চোখ ঢাকিতে লাগিল। তমুক গ্রামের অমুক পাঠশালার অবস্থা নাজুক। পন্ডিত শেয়ালেরা একটু পরপর একে অন্যের দিকে কাঁদা ছুড়িয়া মারিতেছে। সেই কাদায় সবুজে ঘেরা পাঠশালা কালো হইবার উপক্রম। আর নয় কলহ, বনের প্রানিরা শান্তি চায়। ন্যাংটু শেয়াল কাপড় পড়ো, পাঠশালা রক্ষা করো। পন্ডিত শেয়ালবৃন্দ অন্যকে সম্মান করুন, আপনিও সম্মান পাবেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৯

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: ন্যাংটু শুনিয়া ন্যাড়ি কুত্তার কথা মনে পরিয়া গেল। যাই হোক তাহাদের কাপড় পরাইবে কে-তাহারা একে অন্যকে নেংটু করিতেই যে বেশী মনযোগী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.