নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভাল না খারাপ দূর থেকে নয়, কাছে এসে মিশে বন্ধু হয়ে দেখুন৷

খলিলুর রহমান ফয়সাল

ভাল আছি ভাল থেকো, আমার ঠিকানায় চিঠি লিখো

খলিলুর রহমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গিভ হিম এ্যা লাস্ট চান্স প্লিজ !!

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫০

আমি কার জন্য পথ চেয়ে রব, আমার কি দায় পরেছে-অভিমানে গাল ফোলাতো মেয়েটি। আমার অনেক কাজ ছিল, ওগো রাগ করো না-বলে ছেলেটি মেয়েটির গাল টিপে দিতো। মেয়েটির অভিমান ভেঙ্গে গালে খুশির টোল পরতো।

ছেলেটি ক্লাস করে, জিম করে বডি বানায়, চা খায় আড্ডা দেয়। মেয়েটির খবর নেয়ার সময় পায় না। সন্ধ্যে হয়..ক্লাশ শেষে ক্লান্ত, কাল আবার পরীক্ষা, সারা রাত পড়তে হবে, মেয়েটাকে একটা হ্যালো বলেই ফোনটা রেখে দিতে হয়। এনাটমি, হিস্টোলজি, প্যাথলজি, প্যারাসাইটোলজির ভিড়ে আর কোন কথা মাথায় আসে না গভীর রাতে। লম্বা সময় ধরে কথা আর হয় না। এদিকে মেয়েটার কথা জমতে জমতে উপচে পড়ে। ছেলেটাকে বলা হয় না। কষ্টগুলো কষ্ট করে চেপে রাখে, ছেলেটাকে বুঝতে দেয়না। যারে পাখি উড়ে গিয়ে বল না, আমি নই তার হাতের খেলনা....যদি ফুলগুলো হয় অভিমানে ঝড়ে যায়..

হ্যা আজ আমি মেয়েটির জন্য ছেলেটির গল্প বলবো। আমি ভুলেও ভাবিনি ছেলেটির জন্য আমাকে কি-বোর্ড ধরতে হবে। ছেলেটি , আমার কথা, আমাদের কথা, মানুষের কথা লিখতো। আজ তাকে নিয়ে আমায় লিখতে হচ্ছে।

কাল রাতে ছেলেটির তিন বছরের প্রেম ভেঙ্গে যায়। পাগলের মতো রাস্তায় হাঁটছিল। আমি ধরলাম-"কিরে হতচ্ছাড়া, মরবি তো। তোর উপর দিয়ে ট্রাক চলে যাবে যে।" আমাকে ধরে হাও মাও করে কেঁদে উঠলো ছেলেটি-"ভাই ও আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে।" আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। মেয়েটির নম্বরে ফোন দিলাম-বন্ধ। ওর বাবার নম্বরে ফোন দিলাম। ভারিক্কি গলায় বললাম-"হ্যালো...আমি মেয়েটির শিক্ষক বলছিলাম। সে কি আছে?" ওর বাবার কাছ থেকে ফোন নিয়ে মেয়েটি বলল-"স্লামালাইকুম স্যার ! আপনি ভাল আছেন। জ্বি জ্বি..জ্বি স্যার" বাবার কাছ থেকে একটু সরে গিয়ে মেয়েটি বললো- "ভাইয়া আমি আর পারছি না। ওর অবহেলা আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। ও কে আপনি বোঝান, আই এ্যাম স্যরি" বলে সে নিজেই কেঁদে দেয়। কাউকে আমি বুঝাতে পারি না। শিশুদের মতো কেঁদে উঠে তারা। ফোনের ওপাশে মেয়েটি, আমার কাঁধে ছেলেটি।

আজ ছেলেটির পরীক্ষা ছিল। শূন্য পাবে হয়তো। মুখের দিকে তাকানো যায় না। আগে যদি জানতো, সে মন ফিরে চাইতো-এই জ্বালা যে প্রাণে সহে না। ছেলেটির ভেতর এখন এতো অপরাধবোধ কাজ করে তা আর ব্যাখা করতে পারবো না। আমি তাকে বোঝাই-"ধুর বোকা, তুই স্মার্ট পোলা আবার প্রেম করবি। একটার জায়গায় দশটা করবি। দেশে কি মেয়ের অভাব আছেরে?" এবার সে মুখ তুলে তাকায়- "সে আমার প্রথম প্রেম ভাই, আমার যে তাকেই চাই"

ক্যাম্পাসের সিনিয়ররা তার সাথে রেস্টুরেন্টে বসে না, পকেট খালি হয়ে যাবার ভয়ে। কারণ ছেলেটির মতো আর কেউ খেতে পারে না। কিন্তু আজ তাকে একটা সেন্ডুইচও গেলানো গেল না। পেরেক মারি, আঠা লাগাই। ছেলেটিকে দাঁড়া করানো যাচ্ছে না। একটু পর পর ভেঙ্গে যাচ্ছে।

আমি বুঝাই- "মেয়েটি তোকে ভালবাসলে নিশ্চই ফিরবে। যদি না ফেরে তাহলে বুঝবি সে কখনো তোকে ভালবাসতো না।" এবার চোখ লাল হয়ে যায় তার- "না ভাই সে আমাকে অনেক ভালবাসে। সব দোষ আমার, সব দোষ আমার।" নদীতে বান ডাকে। পাড় ভেঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে যায় জনপদ। মেয়েটিও নরম হয় না। এরা মায়ের জাত, নরম নরম যখন শক্ত এরা না চাইলে কেউ এদের ভাঙতে পারে না। বত্রিশটা হাড্ডি ভাঙ্গার চেয়েও তীব্র যন্ত্রনা সহ্য করে সন্তান জন্ম দেয় যারা, ছেলেদের সামান্য চোখের জল তাদের কাছে নস্যি।

আমি লেখাটি পড়ে মেয়েটি অনেকক্ষণ কাঁদবে জানি। শোন অভিমানি খুকি বলছি তোমায়,হয়তো প্রকাশ করতে পারে না, ছেলেটি কিন্তু তোমায় সত্যি সত্যি অনেক ভালবাসে। আর কোনদিন রিকুয়েস্ট করবো না, একটা কথা শোন আমার- গিভ হিম এ্যা লাস্ট চান্স প্লিজ...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

নবাব চৌধুরী বলেছেন: আপু যদি পড়ে থাকো এবারের মতো বোকা ছেলেটাকে ঠাঁই দিয়ে দাও আর পোলাডারে কইতাছি ভবিষ্যতে বুঝে শুনে কাজ করিস ভাই।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছেলেটিকে সুযোগ দেয়া উচিৎ ।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: আপু এতো অভিমান করছে কেন? ভাইয়ার অবস্তাটা কি জানে না?

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: ভালো লেগেছে! দাদা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.