নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবীউল করিম

নবীউল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধুতুরা ফুলের চাষ করে, গোলাপের খোশবু আশা করেন............

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী তাঁদের সমাবেশের আগেই সবার জানা ছিল। জানা ছিল না শুধু মিডিয়ার, ঘাতানিকের এবং গণ জাগরণ মঞ্চের সাথে সংস্লিস্থ যারা তাঁদের.........



আমরা সবাই BBC, CNN, SKY NEWS, ইত্যাদি প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু দেখি ও শুনি, আমার সবার কাছে প্রশ্ন, কেউ কি কখনও দেখেছেন যে ঐ মিডিয়াগুলোর কনও মেয়ে সাংবাদিক যখন কনও মিডিয়া কাভারেজের জন্য মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় গিয়েছেন, যেমন মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো দেশ বা আফ্রিকার সেনেগাল, লিবিয়া,মরক্কো ইত্যাদি অথবা এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, ইত্যাদি দেশে গিয়েছেন অন্তত মাথায় কাপর না ঢেকে? তাঁরা তাঁদের প্রচলিত পোশাক-আশাক পোড়ে অর্থাৎ প্যান্ট- শার্ট, গেঞ্জি পোড়ে কি কখনও সাধারণ জনতার মধ্যে থেকে সংবাদ প্রচার করেছে? আমি বাজী ধরে বলতে পারি তাঁরা তা কখনও করেন নাই! করেন নাই কাড়ন, তাঁরা সভ্য ও আধুনিক ......... তাঁরা সভ্য ও আধুনিক এই জন্য না যে তাঁরা technologically অনেক উন্নত, অথবা এই জন্য না যে তাঁরা অনেক অর্থ, বিত্ত বৈভবের মালিক......



তাঁরা সভ্য ও আধুনিক এই জন্য যে, তাঁরা “পরমত সহিষ্ণুতা” শুধু কথায় বিশ্বাসী না, তাঁদের বাস্তব জীবনে প্রতিনিয়ত সেটার চর্চা করে চলছে.........



এটা করাতে তাঁদেরকে কেউ ছোটো ভাবে না, বা মনে করার কনও কাড়ন নেই যে তাঁরা হার স্বীকার করেই মিডিয়া কাভারেজের জন্য মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় গিয়েছেন। অপরের মতকে সম্মান করে মেলামেশা করা যে আধুনিক সভ্যতার একটা বড় স্তম্ভ, সেটা তাঁরা উপলব্ধি করেছে এবং সে মতো ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনে চর্চার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছে।



যেমন তাঁরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ মুক্ত, নিরপেক্ষ, সবার জন্য সমান এবং শত ভাগ প্রভাব মুক্ত ভাবে তাঁদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত কোরতে পেরেছে।এঞ্জেলিনা জোলি থেকে শুরু করে ইয়ুরপের সব রানী এবং রাজ কুমারীরা যখন কনও মুসলিম দেশে যায় তখন তাঁরা ঐ দেশের মানুষের মন-মানসিকতা মেনেই তাঁদের পোশাক- আশাক ঠিক করে।



অসভ্য বর্বর না হলে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গুলো কনও ভাবেই হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে তাঁদের মিডিয়া কাভারেজের জন্য মেয়ে সাংবাদিক দেরকে ও ভাবে পাঠাতে পারতেন না! এটা তো জানা কথা যে উনারা ওনাদের আশে পাশে উনাদের দর্শন মতে মাথা না ঢাকা কনও মেয়েকে এলাও করবেন না! এটা বুঝার জন্য কি PhD করার প্রয়োজন? অমুসলিমরা যেখানে এই সাদা মাটা সত্যটাকে বুঝে সেই মতো চলে, তখন আমরা মুসলমান হয়ে কেন এটা বুঝি না!



আজকে যখন নাড়ি সাংবাদিকরা ওখানে তাদের অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা এবং গোঁয়ার্তুমির জন্য নিগৃহীত হলেন, তখন সেটার দায়- দায়িত্ব কি শুধুই হেফাজতে ইসলামের সভায় আসা মানুষগুলোর?



কন যুক্তিতে, কন জ্ঞানে ঐ নাড়ি সাংবাদিকরা ওখানে গেলেন ওনাদের মতের তোয়াক্কা না করে? অনেক PhD করা ও না করা তথাকথিত জ্ঞানী মানুশগুলকে এখন অনেক অশ্লীল ও কুৎসিত মন্ততব্ব কোরতে শুনছি, দেখছি বিভিন্ন মিডিয়ায়!?



এই তথাকথিত জ্ঞানী মানুশগুলর কাছে প্রশ্ন, আপনারা কি আশা করেছিলেন ঐ দাঁড়ি/ টুপি ওয়ালাদের কাছ থেকে? তাঁদের দৃষ্টিতে অর্ধ উলঙ্গ (অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টি তাই) ঐ নাড়ি সাংবাদিকদের কোলে করে আদর সোহাগ করবে? যেটা চলছে গোঁটা দেশ জুরে। শুধু ঢাকা শহর এবং এর আশে পাশে দৈনিক গড়ে ২০-২৫টা গণ ধর্ষণের ঘোটনা ঘটছে। সারা দেশের কথা না হয় নাই বা বললাম! কই কখনও তো এতো ধিক্কার এবং আন্দোলন করেন নাই এই সব ধর্ষণের বিরুদ্ধে! কখনও তো আওয়াজ তুলতে শুনলাম না, সব গেলো সব গেলো বোলে...... আজকে ভদ্র ঘরে ঘরে মায়েরা তাঁদের মেয়েদের কে নিয়ে আতঙ্কে! Private University, park, school, college, ইত্যাদি যায়গায় কনও সভ্য ও সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ চোখ তুলে চলাচল কোরতে পারে না! প্রকাশ্য রাস্তায় চোলতে ফিরতে, রিক্সায় দিনের আলোতে সভ্য শিক্ষিত তরুণ- তরুণীরা যে অশ্লীল কদর্য ভাবে তাঁদের বাঁধ ভাঙ্গা যৌন আকাঙ্ক্ষা পুড়ন করছে, তা কি আপনারা জানেন না, দেখেন না? না কি যৌন দৃশ্য দেখার মধ্যেও যে যৌন সুড়সুড়ি পাওয়া যায় সেই সুড়সুড়ি পেয়ে সব না দেখার না জানার ভাব করে নিজেকে তথাকথিত আধুনিক প্রগতিশীল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার নগ্ন ও বিকৃত চেষ্টায় স্বাভাবিক মূল্যবোধ গুলকে বিক্রি করে দিয়েছেন ......



অধিকাংশ আবাসিক হোটেল এর খদ্দের কারা? ঢাকা শহরের অধিকাংশ ক্লিনিক, ছোটো নামকাওয়াস্তে হাসপাতাল যে অবৈধ M.R, abortion এর টাকায় টিকে আছে, তা কি আপনাদের জানা নাই বলে বিশ্বাস কোরতে হবে? ঐ বে আইনি ক্লিনিক গুলোর খরিদ্দার কিন্তু কারও না কারও “মা”, “বোন”, “মেয়ে”......... যেমন প্রকাশ্য রাস্তায় রিক্সাতে, পার্কে দিনের আলোতে সভ্য শিক্ষিত তরুণ- তরুণীরা বাঁধ ভাঙ্গা যৌন আকাঙ্ক্ষা পুড়নে রোতো মেয়েগুলোও কারও না কারও “মা”, “বোন”, “মেয়ে”......... হয়তো আপনারই......... হয়তো আমারই......... যদি এখনো তা না হয় তবে, সামনেই সেই সুখে তারা গা ভাসাবে......... এব্যাপারে সন্দেহের খুব কম অবকাশ আছে।



সেদিন কতকগুলো ধর্মান্ধ মানুষ হাতের কাছে ভরা টইটুম্বর নাদুস-নুদুস মেয়ে পেয়েও, সেখান থেকে খেঁদিয়ে বিদায় করাতে আপনাদের অশ্লীল মন্তব্যর পাত্র হয়েছে! কি বিচিত্র এই দেশ ......... ধুতুরা ফুলের চাষ করে, গোলাপের খোশবু আশা করেন............

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

দিশার বলেছেন: তর মন মানসিকতা এত কুত্সিত পাকিস্তানিদের মত কেন কে জানে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

নবীউল করিম বলেছেন: Truth is stranger than friction……

কথা গুলো আপনার কাছে কুৎসিত মনে হওয়াতে ভালো লাগলো ...... আপনার চারিদিকে চোখের আড়ালে ঘোটে যাওয়া ঘোটনা গুলো এর চেয়েও অনেক বেশী কুৎসিত......

মনে রাখবেন অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না...... এখানে মনের কনও ব্যাপার নেই। আমার কাছে যা তথ্য আছে, ভয়ংকর বললেও অনেক কম বলা হবে

দুটা তথ্য ঃ আমি হেফাজতে ইসলামের দাবীর সমর্থক না আর সত্যকে অস্বীকার করার কুৎসিত মানসিকতা আমার নেই।

সভ্যরা তুই-তকারি করে না, ওটা একটা কুৎসিত চর্চা.........

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

রওনক বলেছেন: +

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

মিযান আযিয বলেছেন: + কিন্তু অনেক বানান ঠিক করা প্রয়োজন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১০

নবীউল করিম বলেছেন: আমি অভ্র ব্যাবহার করি...... যথা সাধ্য চেষ্টা করি বানান ঠিক রাখার...... কারন আমার নিজের কাছেও ভুল বানান অত্যন্ত খারাপ লাগে......... তারপরেও ভুল হবার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি......

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১২

রায়হান হোসেন রানা বলেছেন: মানলাম সভ্য, বা পর্দা করে যায় নাই
তাই বলে তার উপর আঘাত করতে হইব। কেনো তাকে এতো পাবলিকের সামনে মারা হল, কেন দৌড়াতে হল।
এগুলো কি আপনার কাছে সভ্য, বলে মনে হয়েছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

নবীউল করিম বলেছেন: আমার এই কথাটার মাঝে “ধুতুরা ফুলের চাষ করে, গোলাপের খোশবু আশা করেন” আপনার প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজে নিবেন অনুগ্রহ করে।

প্রত্যেকেরই নিজ নিজ আদর্শ বা দর্শন আছে, কারই অধিকার নেই নিজের দর্শন অন্যের ঘারে চাপিয়ে দেবার। অনুষ্ঠানটা ছিল ওনাদের, আমি যখন ওখানে যাব,তখন ওদের দর্শন মাথায় রেখেই ওখানে যাব। এখানে আবেগের কনও ব্যাপার নেই। এটাই সভ্যতা।

না ওদের ওভাবে মারতে মারতে খেঁদিয়ে দেওয়াটা মটেও সভ্যতা না, কিন্তু দোষটা আগে কে করেছে? ওঁদের মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করেন, ওঁরা অত্যন্ত রাগ এবং ক্রোধ নিয়ে ঐ সমাবেশে এসেছিলো। হতে পারে ওঁদের রাগ আর ক্রোধের কনও যুক্তি আমার-আপনার কাছে নেই, এটা তো সত্যি যে ওঁদেরকে ওঁদের কথা বোলতে সমাবেশে আসতে বাঁধা দেওয়ার জন্য কনও কমতি ছিল! ঐ সমাবেশ প্রায় একটা মবের আদর্শ ধারন করেছিলো। যদি মবের সমন্দধে জানা না থাকে তবে গুগলে সার্চ দেন।

আর একটা তথ্য আপনার জন্য......... ঐ মেয়ে সাংবাদিককে ওঁরা প্রথমে ওখান থেকে চলে যেতে বলেছিল, কিন্তু ঐ বোকা সাংবাদিক ওঁদেরকে জ্ঞান দিতে চেয়েছিল, তর্ক করেছিলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.