নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবীউল করিম

নবীউল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন অনেক কিছুই আছে যা আগে কখনো বলা হয় নাই বা বলা যায় নাই। কিন্তু এখন আর চুপ থাকার কনও অর্থ হয় না। অপ্রকাশিত কথা, কিন্তু ১৮+ না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

এমন অনেক কিছুই আছে যা আগে কখনো বলা হয় নাই বা বলা যায় নাই।



তিন চার বছর আগে মারেয়া(বোদা উপজেলা, পঞ্চগড়) গিয়েছিলাম করতোয়া নদীর তীরে শাল বনে পারিবারিক পিকনিকে। সাথে আমার স্ত্রী। ঈদের পরের পর দিন ছিল যতটুকু মনে পড়ে। যেতে পথে মারেয়া বাজারে হই হট্টগোল দেখে গাড়ি থামিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলাম যে দুর্গা পূজার মণ্ডপের গেটের উপড়ে গরুর কাটা মাথা কে বা কারা ঝুলিয়ে রেখেছিলো, সেই নিয়েই হই চই! পিকনিক শেষে যখন বিকালে ফিরছি তখনো দেখি জটলা ? অবাক হয়ে খোঁজ নিয়ে শুনি আসামী ধরা পড়েছে, সেই আসামীকে দেখার জন্য এবং শাস্তির দাবিতে এই লোক সমাগম!



যেহেতু মারেয়াতে আমার দুলাভাই অনেক বছর চেয়ারম্যান ছিল, তাই উৎসাহী হয়ে দুলাভাই সহ এক ঝলক আসামীকে দেখে পুলিশের সাথে কথা বলে আসামীর পরিচয় পেলাম, আসামী পাশের পূজা কমিটির একজন সদস্য! অর্থাৎ সে একজন হিন্দু!



কি কারণে সে এই ঘটনা ঘটাল জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে, অপর পাশের পূজা কমিটির সাথে মনমালিন্য হবার কারণে সে ঐ কাণ্ডটা করেছে একজন কসাইয়ের সাগরেদকে ২০০ টাকায় হাত করে!



মজার ব্যাপার হচ্ছে পরদিন প্রথম আলোয় খবরটা আসে যথারীতি সাম্প্রদায়িকতার উত্তাপ নিয়ে! আমি প্রথম আলোতে প্রতিবাদ পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ করে নাই! ঐ খবরটা প্রথম আলোর বিক্রি বাড়িয়েছে আর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যের আন্দোলনের জন্য রসদ জুগিয়েছে! ফলাফল, মুসলমান- হিন্দুর বিভেদের রেখাটা আর একটু বাড়ল! আমি বিশ্বাস করিনা যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সত্য ঘটনা জানে না। সত্য হচ্ছে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ফায়দা নিতে কেউ ছারে না! এখানে কনও নীতি বা ধর্মীয় বোধ কাজ করে না।



যদি তাঁরা নীতি বিসর্জন দিয়ে মিথ্যাকে পুঁজি কোরতে পারে তবে আমরা কেন সত্যকে সামনে আনতে কার্পণ্য বোধ করবো?



প্রশ্ন আসবে, কিসের ফায়দা? উত্তর হতে পারে একাধিক।

১) বিভেদ তইরী করে দেশকে সমগ্র পশ্চিম বাংলার( ভারত) সাথে মিলিয়ে ফেলার! যেটা মনোরঞ্জন ধর নামের এক দেশদ্রহি বেজন্মা গত ৫০ বছর ধরেই চেষ্টা করছে!

২) দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে প্রমাণ কোরতে।

৩) দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ কোরতে।

৪) দেশকে ইসলামী জঙ্গি মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ কোরতে।



এক কথায় এই সব কিছুর পরিণতি হবে বাংলাদেশ ভারতের আস্তাকুর,আবর্জনা ফেলার জায়গা! ভারতের অর্থনীতিকে উপড়ে নেওয়ার খনি হবে এই দেশ! ওদের শিল্প কাড়খানা ওরা নতুন আধুনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে জীর্ণসংস্কার (Renovation) করবে আর ওদের পুরাতন শিল্প কাড়খানার যন্ত্রাংশ দিয়ে এই দেশে শিল্প গোরে তুলবে! পরিবেশ খারাপ হবে এই দেশের! অসুস্থ হয়ে মানুষ মরবে এই দেশের! যে শিল্প কারখানার উচ্চ পদস্থ কর্মচারীরা হবে ভারতের,অর্থাৎ ওরা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হবে এবং ওদের জনগণের কর্মসংস্থানের জায়গা হবে এই দেশ। আমার কথার প্রমাণ যদি কেউ চান, তবে কষ্ট করে দেশের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে খোঁজ নেন, দেখেন সে গুলোর উচ্চপদস্থ পদে কারা ? এই দেশের মাল্টি ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান গুলোর উচ্চপদস্থ পদে কারা ? বায়িং হাউস গুলো কারা চালাচ্ছে ? গার্মেন্টসের, টেক্সটাইল মিলের মালিক পর্যন্ত ভারতীয় আছে কি না? দেশে অনেক মেয়ে মডেল থাকার পরও প্রায় সব মাল্টি ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন হয় ভারতের মডেলদের দিয়ে! পাকিস্তানে কি এটা হয় ? শ্রীলঙ্কায় অথবা চীনে কি এটা হয় ?



মধ্য প্রাচ্যের শেখরা যেমন ওদের দেশের মেয়েদের ভোগ করে অর্থের লোভ দেখিয়ে,কাজের লোভ দেখিয়ে তেমনি এই দেশের মেয়েরা হবে ওদের ভোগের পাত্রী! না...... অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়, ক্ষমতার ডাণ্ডা হাতে নিয়ে! যে ভাবে পর্তুগীজরা ও ওলন্দাজরা ভোগ করেছিলো! যে ভাবে বিদেশী বেণিয়ারা যুগ যুগ ধরে ভোগ করেছিলো!



কেউ যদি মনে করে যে, সে হিন্দু বলে বা বৌদ্ধ বলে বেঁচে যাবে, তবে সে বকার স্বর্গে বাস করছে! কারণ ওরা আমাদের সবাইকে একদম নিম্ন বর্ণের মনে করে! মন্দিরের পুরোহিত যেমন মন্দিরের সেবা দাসীকে ভোগ কোরতে জাত পাতের বিচার করে জাত হারানোর ভয় করে না, তেমনি ভারত এই দেশের হিন্দু,ক্রিস্টান বৌদ্ধদেরও ভোগ কোরতে সামান্য চিন্তা করবে না।



প্লাবন যেমন ঈমান- বেঈমান বুঝে না, তেমনি ভারতীয় আধিপত্তবাদ হিন্দু- মুসলিম বুঝবে না!



আগে যা ছিল পর্দার আড়ালে, এখন তা প্রকাশ্য! ভারত এখন আমাদের রাজনীতি ঠিক করে দেয় প্রকাশ্যে! কে মন্ত্রী হবে, কি মন্ত্রী হবে সেটাও এখন প্রকাশ্যেই করছে!ওরা আমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ো ছাপিয়ে দেয়!



আরও অনেক কিছুই এখন প্রকাশ্যে হচ্ছে। শুধু আমরা অশিক্ষিত ও কুশিক্ষা পাওয়া এই দেশের এক শ্রেণীর মানুষের স্বভাব ঐ রকম হিজড়ার মতো, গপোনাংজ্ঞ লুকচ্ছি ! যদি কেউ দেখে ফেলে? যদি কেউ কিছু মনে করে ? যদি কেউ জেনে যায় ? যতো যাই কিছু লুকাক না কেন, সত্যিটা ন্যাংটা করে প্রকাশ হতে যা দেরি হয় মাত্র। প্রকাশ হয়ে পড়লে শুরু হয়ে যায় অশ্লীল নর্তন- কুর্দন! এখন যেটা হচ্ছে।



হিন্দু- মুসলিম এখানে গৌণ। বরং মুসলমানদের মধ্যেই সংখ্যাটা বেশী, এটাই ক্ষতির ও ভয়ের। অনেকটা মদিনার মুনাফিকদের মতো।আওয়ামীলীগ ও বি এন পি এর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আওয়ামীলীগ করলেই খারাপ হবে বা ভারত প্রেমী আর বি এন পি করলে ভালো এবং দেশ প্রেমিক, এটা সম্পূর্ণ ভুল। তবে বি এন পি অপেক্ষাকৃত বেশ ভালো এই জন্য যে তাঁরা সুযোগের অভাবে চরিত্রবান!



সময় চলে যায় নাই এখনো। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বাদ-বিবাদ, মতপার্থক্য না সরিয়ে এখনো এক হতে না পারি, তবে নিশ্চিত থাকেন সামনে আপনাদের দুই বেলা শক্ত রুটি আর ডাল সুনিশ্চিত! আরও সুনিশ্চিত, সন্ধ্যায় ঘড়ে ফিরে ঘড় আলো করে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য পড়িবারের কাওকে কষ্ট কোরতে হবে না! কারণ তাদেরও তো কিছু দিতে হবে, দুই বেলা খাবার যোগার কোরতে!



এখনই তো ওরা আমাদের বাস্টার্ড চাইল্ড বলছে! বোধ হবে কবে আমাদের.........................?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

বেলা শেষে বলেছেন: ১) বিভেদ তইরী করে দেশকে সমগ্র পশ্চিম বাংলার( ভারত) সাথে মিলিয়ে ফেলার! যেটা মনোরঞ্জন ধর নামের এক দেশদ্রহি বেজন্মা গত ৫০ বছর ধরেই চেষ্টা করছে!
২) দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে প্রমাণ কোরতে।
৩) দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ কোরতে।
৪) দেশকে ইসলামী জঙ্গি মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ কোরতে।

Salam for good understanding, write more & more, USA & EC there target also same!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নবীউল করিম বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। চেষ্টা করবো আরও লেখার। যদি আপনার কাছে কোনও সূত্র থাকে তবে জানালে বাধিত হব

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যদি তাঁরা নীতি বিসর্জন দিয়ে মিথ্যাকে পুঁজি কোরতে পারে তবে আমরা কেন সত্যকে সামনে আনতে কার্পণ্য বোধ করবো?

প্লাবন যেমন ঈমান- বেঈমান বুঝে না, তেমনি ভারতীয় আধিপত্তবাদ হিন্দু- মুসলিম বুঝবে না!

++++++++++++

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ নামটাইতো সাম্প্রদায়িক।
অথচ তারা দাবী করে তারা অসাম্প্রদায়িক!!!
এই দেশের সংখ্যা গুরু মুসলিমদের বাদ দিয়ে - তাদের অবদমিত করে রাখার প্রচেষ্টায় তাদের সকল ব্রত।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে পথ সহজ করে অর্থনৈতিক আগ্রাসনে চূড়ান্ত আঘাত করছে।
আর তাতে হাওয়া দিচ্ছে চেতনার শক্তি!!!! এই দেশের প্রকাশনা শিল্পেতো ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে-গত ৫ বছরে- ভারতের হাতে বাজার তুলে দিয়ে..
বাকী সব খাতেও একই হাল..
তারপরও তাদের গলায় চাপায় জোর কমেনা!

এই জোর যে সবশেষে জাতি সত্তাকে বিপদে ফেলছে তাকি বিপদে পড়েই বুঝতে হবে???????


এখনও সময় আছে। জাতি সত্তার প্রয়োজনেই আবেগ ঝেড়ে ঘুরে দাড়াতে হবে সবাইকে। অস্তিত্বের প্রয়োজনে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

নবীউল করিম বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ অবশ্যই সাম্প্রদায়িক না। তাঁরা যদি তাঁদের ভালো মন্দটা সততার সাথে, দেশের ইজ্জৎ ও স্বার্থ রক্ষা করে বুঝে নিতে চায়, তবে সেটা করার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁদের আছে।আমার কাছে যারা দেশের খারাপ করে বা চায়, তারাই সাম্প্রদায়িক। এদের কোনও জাত নেই, ধর্ম নেই............ এরা পিশাচ, কাপালিক সভ্যতার শত্রু। এদেরকে থুতু দেন আর অবজ্ঞা করেন।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ছাগল টাইপের ভাবনা

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

নবীউল করিম বলেছেন: আমি পরমত সহিস্নুতায় বিশ্বাসী। আপনার মত আমার পছন্দ না হলেও, যাতে আপনি আপনার মত প্রকাশ কোরতে পারেন, তার জন্য সম্ভাব্য সব কিছু কোরতে আমি রাজী। কিন্তু যদি ভদ্র ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ কোরতে না পারেন তবে মন্তব্য না করাই ভালো।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভালোর দলে বলেছেন: কিছু কিছু ব্লগার আছেন যারা যুক্তি বোঝেন না, যুক্তি দেয়া দূরে থাক; পারেন শুধু গালমন্দ করতে। এদের বর্জন করুন। এদের বুদ্ধিমত্তার স্তর অত্যন্ত নিচে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

নবীউল করিম বলেছেন: চমৎকার......... একদম ঠিক।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নিকষ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যদি তাঁরা নীতি বিসর্জন দিয়ে মিথ্যাকে পুঁজি কোরতে পারে তবে আমরা কেন সত্যকে সামনে আনতে কার্পণ্য বোধ করবো?

প্লাবন যেমন ঈমান- বেঈমান বুঝে না, তেমনি ভারতীয় আধিপত্তবাদ হিন্দু- মুসলিম বুঝবে না!

++++++++++++

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ নামটাইতো সাম্প্রদায়িক।
অথচ তারা দাবী করে তারা অসাম্প্রদায়িক!!!
এই দেশের সংখ্যা গুরু মুসলিমদের বাদ দিয়ে - তাদের অবদমিত করে রাখার প্রচেষ্টায় তাদের সকল ব্রত।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে পথ সহজ করে অর্থনৈতিক আগ্রাসনে চূড়ান্ত আঘাত করছে।
আর তাতে হাওয়া দিচ্ছে চেতনার শক্তি!!!! এই দেশের প্রকাশনা শিল্পেতো ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে-গত ৫ বছরে- ভারতের হাতে বাজার তুলে দিয়ে..
বাকী সব খাতেও একই হাল..
তারপরও তাদের গলায় চাপায় জোর কমেনা!

এই জোর যে সবশেষে জাতি সত্তাকে বিপদে ফেলছে তাকি বিপদে পড়েই বুঝতে হবে???????


এখনও সময় আছে। জাতি সত্তার প্রয়োজনেই আবেগ ঝেড়ে ঘুরে দাড়াতে হবে সবাইকে। অস্তিত্বের প্রয়োজনে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

নবীউল করিম বলেছেন: আপনার নিজস্ব মন্তব্য কাম্য, যদিয় সেটা আমার মতের বিরুদ্ধে হয়, তবুও।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৫

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ভালো লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.