নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবীউল করিম

নবীউল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আক্রান্ত জাহাঙ্গীরনগর!শিক্ষাসফরে ছাত্র-শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার দ্রুত বিচার চাই।(চিত্রসহ) এর জবাবে

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

আমার বিশ্বাস একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে বা মেয়ের আই কিউ লেভেল একটা পাঠশালার ছেলে বা মেয়ের থেকে উঁচু হবে। এই বিশ্বাস থেকেই আমি লেখক কে এবং সবাইকে ঘোটে যাওয়া ঘটনা থেকে আমাদের দেশের সমাজ ব্যাবস্থার, নৈতিক অবস্থার,ন্যায়- অন্যায়, ভুল-সঠিক বিচার করার ও সর্বোপরি মূল্যবোধের অবক্ষয় কতোটা হয়েছে এবং কি হওয়া উচিৎ ছিল, সেটাই বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আশ্চর্যের সাথে দেখলাম লেখক আমার ম্যাসেজটা অনুধাবন কোরতে সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষম! এমন কি একজন তাঁকে আমার মন্তব্বের দর্শনগত অর্থ বোলে দেবার পরেও সে, যেই কি সেই!!



উনি চাচ্ছেন ওদেরকে শাস্তি দেবার ব্যাপারে সবাই উনাকে সহযোগিতা করুক! সবাই উনার দৃষ্টি কোন থেকে ব্যাপারটা দেখুক!সবাই সহানুভুতিসুলভ মতামত প্রকাশ করুক! অর্থাৎ, সবাই উনার বা উনাদের পক্ষে কথা বলুক! উনি যা জানেন, যা দেখেছেন, যা বুঝেছেন, যা ব্বুঝাতে চাচ্ছেন তাঁর বাহিরে আর কিছু নাই! এই মাইন্ড সেটআপ থেকে বেড় না হোলে উনাকে বুঝায় কার সাধ্যি?



উনি অস্বীকার করেন আর যাই করেন না ক্যান, পক্ষ সবসময় একের অধিক থাকে। উনি মানেন বা না মানেন, মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে এবং এটাই স্বাভাবিক। উনি যখন শালিস মানেন কিন্তু ফলটা উনার হতে হবে নীতি নিয়ে চলছেন ও ভিন্নমতের বিশ্বাস করেন না তখন উনাকে বুঝান আমার কর্ম না। প্লিজ, এটা বলবেন না যে আমি ভিন্ন মতে বিশ্বাসী! কারন বিশ্বাস যদি প্রাকটিস এ পরিনত না হয়, তবে সেটা বাগরম্বর কথা ছাড়া আর কিছুই থাকে না।



উনার কথামত ছিলা কলা চোখ বন্ধ করে খেয়ে নেবার বয়স আমি পার হয়ে এসছি।



ছাত্র একসময় আমিয় ছিলাম, হলেও থাকতাম(মহসিন)! সুতরাং উনার মন মানসিকতা বুঝার জন্য আমাকে নতুন ভাবে ছাত্র হবার প্রয়োজন নাই। আজথেকে ২০ বছর আগের ছাত্রদের প্রতি সাধারণ মানুষের মন মানসিকতা আর এখনকার মন মানসিকতা আকাশ পাতাল তফাৎ! শিক্ষকদের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য, বরং এটার আরও খারাপ অবস্থা!



এর জন্য দায়ী সাধারণ মানুষনা, দায়ী দুর্নীতিবাজ, লোভী, সুবিধাবাদী জ্ঞান পাপী, তোষামোদকারী পা চাটা কিছু শিক্ষক! আর এই শিক্ষকরা তাঁদের ক্যু- কর্মকে সফল করার জন্য ব্যাবহার করেছে কিছু অযোগ্য, গুন্ডা, বদমাশ ছাত্রকে!



আজকে অবস্থা এমন হয়েছে যে, পাশ দিয়ে কনও বিদ্যালয়/ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস গেলে ভয়ে গুটিসুটি হয়ে যেতে হয়! আর যদি সঙ্গে মেয়ে থাকে তবে তো নিজেকে পুরুষ ভাবতেও লজ্জা লাগে! এই অবস্থা এক দিনে হয় নাই............ ছোট ছোট বালু কণা বিন্দু বিন্দু জল............



আমি আমার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে বলছি, যখন মন্তব্য করেই ফেলেছিলাম তখন চেষ্টা করে দেখি আর একটু...............



১- সমাজ ব্যাবস্থাঃ আমরা এমন একটা সমাজে বাস করতাম, যে সমাজ ছিল “ প্রত্তেকে আমরা পরের তরে” আর এখন আমরা সেই সমাজকে বানিয়েছি “ প্রত্তেকে আমরা নিজের তরে”! যে কারণে আমার ঘরের কারও সরক দুর্ঘটনা না ঘটলে, আমরা ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথী হই না! আমার বোনের বিয়ে পনের জন্য ভেঙ্গে না গেলে যৌতূকের কুফল বুঝি না! আমার মেয়ের মুখ এসিডে ঝলসে না গেলে, পিতা-মাতার কর্তব্য ও শসন- অনুশাসন ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই বুঝি না!



২- নৈতিক অবস্থাঃ শিক্ষকের মর্যাদা যে শিক্ষকের পাঠদান এবং তাঁর সাধনা ও ত্যাগের উপরে নির্ভর করে, তা শিক্ষকরাই নিজে জানে না বা জানতে চায় না। নৈতিকতা তো আমি তাঁর কাছ থেকেই আশা করবো, যে শিক্ষিত,জ্ঞানী। সিল ছাড়া একটা কাগজ যে একটা ব্যাবহিত টিস্যু পেপারের থেকেও মূল্যহীন তা যদি একটা শিক্ষক না বুঝে বা বুঝতে না চায়, তাহলে দুঃখিত বোলতে বাধ্য হচ্ছি, সে শিক্ষক না



৩- মূল্যবোধঃ একজন শিক্ষক শুধু বইয়ের প্রিস্টা গুলো ছাত্রকে পরাবে তা হতে পারে না। ওটা অনেকেই পারবে। উনাদের বই বুঝানো ছারাও অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া, নীতি শিক্ষা দেওয়া। আর এটা সেই শিক্ষকই করবে বা পারবে যে নিজে নিতিবান ও সু-মূল্যবোধ সম্পন্ন এবং নিজের জীবনে এর সবকিছু চর্চা করেন। এই মানবিক মূল্য বোধগুলো একজন ত্যাগী ও মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক ছাড়া আর করো পক্ষেই দেওয়া সম্ভব না। কারন সেই তো জ্ঞানী। তাঁরই তো দায়িত্ব জ্ঞান পৌঁছান। এখানে অনেক সুক্ষ ব্যাপার আছে, যা তাঁরাই বুঝবে এবং ছাত্রকে বুঝিয়ে পরবর্তী প্রজন্ম হিসাবে তইরী করবে সমাজকে তথা দেশকে আরও উন্নতির শিখরে আলো ছড়াতে!



কিন্তু কি জানলাম? জানলাম সেই পি এইচ ডি করা বা কাছাকাছি দেশের সরবচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথাকথিত শিক্ষকরা ভুলোক্রমে( এই ভুল ক্ষমার যোগ্য না! কারন তাঁরা অভিজ্ঞ, ২৫০ জন অনভিজ্ঞ ছাত্র- ছাত্রির দায়িত্ব নিয়ে অন্য জায়গায় গিয়েছে, যেখানে সে বা তাঁরা অনেক রকমেরই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে) সিল না থাকা একটা কাগজ কে অল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিত ক’এক জন টিকিট চেকারের কাছে মূল্যবান প্রমান পত্র হিসাবে প্রমান কোরতে চেষ্টা করেছে! ঘটনার সুত্রপাত এখান থেকেই! উনারা যদি আত্ম মর্যাদা সম্পন্ন হতো তবে, প্রথমত সিল থাকার সম্ভাবনা থাকতো ৯৯.৯৯%। দ্বিতীয়ত, উনারা ঐ চেকারদের সাথে প্রথম কথার পর দ্বিতীয় কথায় না যেয়ে ছাত্রদের কাছে ভুল স্বীকার করে, বুঝিয়ে বিকল্প কনও সন্মান জনক ব্যাবস্থা করার চিন্তা করতো। এটা হতে পারতো সরাসরি ঐ এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে বা সাংসদের সাথে বা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা বা আরও উঁচু কর্ম কর্তার সাথে যোগাযোগ করে ব্যাপারটা ফয়সালা করা। আজকাল সবারই এই রকম কানেকশন থাকে! এতে কি হতো? খুব বেশী হোলে ১ ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো, এর চেয়ে বেশী কিছুই হতো না।





৪- বিচারঃ কিন্তু উনারা তা না করে ঐ অল্প শিক্ষিত,অশিক্ষিত ক’এক জন সামান্য বেতন ভুক্ত টিকিট চেকার কে এই জ্ঞান দেওয়াটাকে ঠিক মনে করেছিলো যে, সিল না থাকলেও যেহেতু উনারা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলছেন যে এই কগজটাই প্রমান পত্র হবার দাবী রাখে সেহেতু ওঁদের উচিৎ হবে তাই মেনে নিয়ে ওনাদের প্রবেশে বাঁধা না দিয়ে সন্মান প্রদর্শন করুক! চমৎকার!!! এই হচ্ছে আপনাদের বিচার!



তাই তো আমি বলেছিলাম “মহামানব দাবীদার নিজেরাইতো সাধারণের থেকেও নীচে নেমে গেছে।“! সিল ছাড়া যে কনও সরকারী আদেশ পত্রের আইন গত দাবী করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ! এটা বিশ্বাস করানোর জন্য বল প্রয়োগ করা ২য় অপরাধ! দরজায় লাথি মারা ৩য় অপরাধ! গন জমায়েত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ৪র্থ অপরাধ! এই সব গুলো অপরাধের জনক ও ধারক ঐ আপনাদের শিক্ষকরা! যাদের জন্য আপনারা নাজেহাল হয়েছেন!



আজকে হয়তো ঐ শিক্ষকরাই পিছন থেকে আপনাদের কে সংগঠিত করছে ঐ ন্যাকারজনক ঘটনার বিচার চেতে( এটা আমার ধারণা, যেটা ভুলও হতে পারে)। তাঁরা সু বুদ্ধির পরিচয় দেয় নাই, সম্ভবত এখনো দিচ্ছে না! শিক্ষক হবার মাপকাঠি যেখানে একাডেমিক যোগ্যতার থেকে ক্যু রাজনীতি, তোষামোদি আর চাপাবাজি, সেখানে এর থেকে ভালো কিছু আসা করা আর ধুতুরা ফুলের কাছে গোলাপের খোশবু আশা করা একই কথা...............



তা, আপনাদের দাবী কৃত চাওয়াটা কি? “ছাত্র-শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার দ্রুত বিচার চাই।“! আপনারাতো বিচারের রায় দিয়েই ফেলেছেন! ওরা সন্ত্রাসী! তদন্ত হোল না! বিচার হোল না! রায় হয়ে গেলো! বাঃ চমৎকার! আপনাদের এই অধিকার কে দিয়েছে? বাল? বি এন পি? দেশের ছাত্র সমাজ?

দেশবাশি? কে............?





বিচার যদি সত্যি সত্যিই সঠিক হয় তাহলে তো আপনাদের শিক্ষকরাই ফেঁসে যাবে যা মনে হচ্ছে আমার। ওরা কি দোষে দোষী? কতটুকু দোষী? আদালতে যদি ওরা বোলে যে আমারা ছিলাম ৫-৭ জন আর উনারা প্রায় ২৬০জন! উনারা জ্বাল প্রমান পত্র দিয়ে ভীতরে ঢুকতে চাচ্ছিল, আমরা বাঁধা দিয়েছি চাকরীর খাতিরে! ওনারা আমাদের আক্রমন করেছিলো আর আমরা আত্ম রক্ষা করেছি মাত্র! আশ পাশের গ্রাম বাসী আমাদের অসহায় অবস্থা দেখে আমাদের সাহায্য করেছে!



আপনারা কি বলবেন? কতটুকু যুক্তি যুক্ত প্রমান আপনাদের আছে? ঐ আহত হওয়া কয়েক জন? সেটাতো ওদের মধ্যেও থাকাটা অস্বাভাবিক না! আমরা তো ওদের কনও কথা জানতে পারছি না বা ছবিও দেখছি না! ওরা যদি বানিয়ে ফেলে দু’চার জন কে পিঠ কাটা! আহত! ডাক্তারের প্রমান পত্র! যে দেশে পিতা তাঁর কন্যা কে ধর্ষিতা সাজিয়ে আনে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য, সেখানে তো এই প্রমান যোগার করা কোন ব্যাপারই না! আর ওরা তো খারাপ, ওদের ভয়ে দু’চারজন ওদের পক্ষে সাক্ষী যোগার করা কনও ব্যাপার?



এই কারনেই বলেছিলাম ওঁরা অপরাধ করেছে সত্যি, কিন্তু ওঁদের অপরাধ ধরার দেবতুল্য গুন যে আমি অর্জন করি নাই!” অর্থাৎ আমি সাধু হোলে তবে না অন্যকে চোর বলবো।



আপনি বড় গলায় বলেছে গঠনমূলক আলোচনা চাচ্ছেন! তাই তো? তবে শুনেন............ বিচার অবশ্যই হওয়া উচিৎ। তবে প্রথমে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য আন্দোলন করেন! যদি সত্যিই সুস্ট ও সঠিক বিচার চান। আপনাদের শিক্ষকদের প্রশ্নের সম্মুখীন করেন! দেখি শিক্ষকরা সেই আন্দোলনের সাথে থাকে কি না?



বিচারের রায় কারও ইচ্ছা মাফিক হতে হবে এটা এই একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতা না। ঐ মানসিকতা হাজার বছর আগেই পার হয়ে এসছে বর্তমান মানব সভ্যতা।





পুনশ্চঃ আপনি আপনাদের সাথে ছারাও ওদের যে যে অপরাদের বিষয় তুলে ধরেছেন, তা আপনাদের সাথে সম্পর্ক যুক্ত না বিঁধায় উত্তর দিলাম না। আমার কনও কথা কাওকে আঘাত দেবার জন্য না। আমি শুধু চেষ্টা করেছি বাস্তবতা বুঝাতে, কারন সমস্যার সমাধান বাস্তবতা থেকেই পাওয়া যাবে, আবেগ থেকে নয়।



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: অনেক গুলো তিক্ত সত্য কথা বলেছেন......আসলে আমরা চিলে কান নিয়ে গেছে, সেই চিলের পেছনে দৌড়াচ্ছি

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনার কথাও বিবেচনার দাবী রাখে।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

আরশী বলেছেন: লেখকের সাথে একমত

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

বনসাই বলেছেন: আমি অত্যন্ত আনন্দিত হলাম আপনার এই লেখা পড়ে, জাবির সেই ছাত্রের লেখা গত সপ্তাহে পড়ে ভেবেছিলাম তাদের শিক্ষকদের অজ্ঞানতা নিয়ে লিখবো, সময় করতে না পারায় আর হয়ে উঠে নি। সিল বিহীন অনুমতিপত্র নিয়ে যাওয়া প্রথম অন্যায়, সাফারি পার্কের কর্মীদের সাথে বচসা করাও গুরুতর অপরাধ হয়েছে। দরজায় বেয়াদব ছাত্রের লাথি মারা চরম ধৃষ্টতা হয়েছে। বিচার করলে জাবি থেকে যাওয়া অপরাধীদের বিচার প্রথমে করা ভালো হবে।

ভাবছি বিপরীত ঘটনা হলে কেমন হতো, মানে জাবিতে যদি নিরীহ মানুষ এই ধরনের ভুল করতো সম্ভবত পৃথিবীর মায়া তাকে সেখানেই ত্যাগ করতে হতো।

খেটে খাওয়া সাধারণ অশিক্ষিত/ স্বল্পশিক্ষিত মানুষের জন্যই এখনও দেশে মানুষ পরিচয় দেয়া যায়।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: পিটায়েছে সঠিক হয়েছে।

ছাত্র শিক্ষক মিলে ওখানে গায়ের জোর দেখায়ে মার খেয়েছে।

এক ছাত্র ওদের দরজায় লাথি মেরেছিল।

আরো পিটানোর দরকার।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

হু বলেছেন: প্রথমেই আমি লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই তার অধিক চিন্তার ফসল আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য। ইতো মধ্যে অনেকেই দেখলা সেই ফসল খেয়েও ফেলেছে। আমি আপনার এই চিন্তার ফসল খাব কি না সেটা একটু ভেবে দেখি:-
প্রথমে আপনার চোখে এটা ১০০০ পাওয়ারের ম্যগনিফাইং গ্লাস লাগানো দরকার। আপনি ছবিতে যা দেখেছেন- সেগুলোকি তাদের নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না কি অন্য কিছু???? আরেক বার দেখে বলবেন।।।

আমার মনে হয় আপনার কথাই ঠিক - যত ক্ষন নিজের কান নিজের কাছে আছে ততক্ষণ অন্যের কান চিলে না বাঘে নিল সেটা নিয়ে চিন্তার কোন প্রশ্নই আসে না। প্রশ্ন তখন আসে যখন নিজের কানটা চলে যায়--- । আমার মনে হয় আপনার কান যদি ঐরকম একটা জায়গায় গিয়ে চিলে বা বাঘে বা মাছে নিয়ে গেলে আপনিও একটু সচেতন হবেন, এখন হবে না কারণ কানটা আপনার কাছেই আছে।

এরপর আপনি যে শিক্ষক দের সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন- সেটা সম্পর্কে একটু বলি - আপনি কৌশলে জানিয়ে দিয়েছেন আপনি মুহসিন হলের ছাত্র.... এটা অবশ্যএকাটা বুদ্ধি ভিত্তিক কাজ। এই ধরনের কৌশল আপকে আপনার শিক্ষকরা ভালই শিখিয়েছেন। এবার আসি মূল কথায়- আপনি যে শিক্ষক দের কটাক্ষ করছেন তারাই নিশ্চয় আপনাকে জ্ঞান দান করেছেন - আপনি নিসন্দেহে একজন জ্ঞানী আর সেই শিক্ষকরা যদি জ্ঞান দান না করতে ন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি অন্য কিছু হতেন।।

আচ্ছা একটা কথা বলুন - আপনাকে কে বলেছে যে- শিক্ষরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায় নি।!!! আমিও আপনার কথা সাথে এক মত ১ ঘন্টা না হয় সময় অপচয় হতোই- কিন্তু কে কার কথা শুনে কাউন্টারের লোকেদের সাথে ফোনে কথা বলানোর চেষ্টা করানো হয়েছে কিন্তু তার শুনে নি। নিজের কল্পনা শক্তি দিয়ে কোন কিছু অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন না।

দেখুন আমরা ও সেখানে গিয়ে ছিলাম- আমাদেরটাতেও সীল ছিল কিন্তু যখন তারা এটা দেখল - তখন কাউন্টারের ভিতর থেকে একজন বলল- এটা যদি ছিড়ে ফেলে দেই তাহলে আর কোন প্রমাণ নেই!!! এটাকে আপনি কি বলবেন জনাব নবীউল করিম।

এই বার বলি- আপনার সামনে যদি আপনার পিত্রি সমতুল্য কাউকে একটু আঘাত করি তখন নিশ্চয় আপনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। ধরুন এখানে জাবির কেউ নেই- আপনি গিয়েছিলেন ছাত্র হিসেবে আপনার শিক্ষকের সাথ- এখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটিও আপনার সাথে ঘটেছে আপনি কি লেজ গুটিয়ে চলে আসবেন। নূনতম প্রতিক্রিয়াকি ব্যক্ত করবেন না???

আর একটি কথা আপনি যে ভাবে বলেছেন তাতে মনে হয় যারা গিয়েছিল তারা সবাই মারামারি করার জন্য সেখানে গিয়েছিল??? জনাব আপনাকেই বলছি- যদি মারামারি করতে যেত তাহলে ওদের মতো এদেরও বাসে লাঠি থাকতো। এই নূনতম বুদ্ধি যার মধ্যে নেই সে আবার......।


অনেক কিছু লেখার ছিল সময়ের অভাবে লিখতে পারলাম না। লিখতে পারলে ভাল লাগত......
আর আমি এও জানি যে আপনি আমার এই কমেন্টের পরে একটি ম্যরাথন কমেন্ট দিবেন ----- আমি সেই প্রত্যাশায় রইলাম দেখতেই চাই বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন একজন মানুষ কি লিখে। আমরা না হয় একটু............ আপনার বিবেক কে

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

হু বলেছেন: বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবস্থা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা
এটা একটু পড়ে দেখুন আপনার কান চলে যাবার সম্ভবনা কতটুকো

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: একদল ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক নির্যাতনের শিকার হয়ে পোস্ট দিয়েছে, সমবেদনা দেখানো সাধারণ ভদ্রতা । কিন্তু আপনি দর্শন-বিজ্ঞান-লবন দিয়ে খুঁচানো শুরু করলেন.. পারেনও আপনারা..

হুদাই ক্যাচাল পোস্ট !

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে ভাল লাগছে।আপনি অনেক কষ্ট করে অনেক কিছু লিখেছেন আমার পোস্টের সমালোচনা করে।আলোচনা হওয়াটা খারাপ কোনো বিষয় না।মানুষের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোন থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।তবে খারাপ লাগে এটা দেখলে যখন দেখি কে দোষী সেই সিদ্ধান্তটি আগে নিয়ে তারপর কমেন্ট করা হয়।এখন তাহলে আপনার পোস্টের জবাবে আমি আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই।

১-আপনি কিভাবে জানলেন যে সীলের বিষয়টি মীমাংশা করার জন্য শান্তভাবে তাদের সাথে আলোচনা হয়নি,বা বনবিভাগের কারো সাথে কথা বলার চেষ্টা হয়নি?

২-আপনি কিভাবে জানলেন যে ছাত্ররা সেখানে নিজে থেকে গায়ের জোর দেখাতে গেছে?

৩-আপনার কেন মনে হয় যদি আপনার ছাড়পত্রে ত্রুটি থাকে এবং বিষয়টির মীমাংশা করার চেষ্টা হয়,আপনার ভাষায় 'জোর' করা হয়( যদিও এটা সত্যি নয়) তাহলে মানুষকে এভাবে এলপাথারীভাবে পিটিয়ে জখম করতে হবে?

৪-একদল ছাত্র অন্য একটা এলাকায় গিয়ে সম্পূর্ন অন্যের দ্বারা পরিচালিত সাফারী পার্কে জাল পরিচয় পত্র দেখিয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করবে যদিও তাদের সাথে ছাত্রী,শিশু এবং শিক্ষিকা রয়েছে এই কথাটা কি আপনার কাছে আরব্য রজনীর রূপকথা বলে মনে হচ্ছে না?

৫-আজ কি ছাত্র এবং শিক্ষকদের অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গেছে যে উপযুক্ত প্রমান থাকা সত্ত্বেও তাদের কথা বিশ্বাস করা যায় না কিন্ত সন্ত্রাসীদের পক্ষ খূঁজে নিয়ে কথা বলা যায়?

৬-আজ যদি আমাদের অবস্থায় অন্য কোনো জনগন থাকত তাহলে কি আপনি এই একই কথা বলতেন?

৭-আজ যদি আমাদের অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষক রা থাকত তাহলেও কি আপনি একই কথা বলতেন?

৮-ছাত্র জীবন চলে গেছে তাই হয়ত অনেক বেশি বাস্তববাদী আর হতাশ হয়ে পড়েছেন কিন্ত আপনি কি আপনার ছাত্র জীবনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার আবেগকে অস্বীকার করতে পারবেন?

আশা করি আপনি আর একটু কষ্ট করে আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো দেবেন।

১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০২

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: পোষ্টের সাথে সহমত। ছাত্র আমরাও ছিলাম............২০ বছর আগের ছাত্র-শিক্ষক আর এখন ছাত্র-শিক্ষক। ছাত্র হলুম তো মুই কি হনু রে ভাও। আইনের দৃষ্টিতেই বলছি, মামলা করেই দ্যাখেন, কয়টা পয়েন্টে হারেন। আপনাদের হলের রুমের দরজায় যদি ঐ ছেলেগুলোর মত কেউ লাথি মারত তাহলে জান নিয়া ফিরতে পারত কি?

আহা এই দ্যাশের আর কোন ইনষ্টিটিউটের কেউ সাফারি পার্কে যায়না বুঝি। তাদের সাথে প্রতিদিন মারপিঠ হয়? নাকি আপনারা আসবেন বলে 'সন্ত্রাসী' ভাড়া করা হয়েছিল।

আসল ঘটনা "যেমন কুকুর তেমন মুগুর"

১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: সন্ধ্যা প্রদীপের উত্তরে বলছি: আপনার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর এ বিষয় নিয়া করা প্রথম পোষ্টেই ছিলো, হয় আপনি পরে জয়েন করেছেন নয়তো ওখানে স্বশরীরে থাকা 'ছাত্র'দের কেউ। পরে অবশ্য পোষ্টটি এডিট করে ফেলা হয়েছে যেমন: দরজায় লাথি মারার বিষয়টি। ঐ প্রথম পোষ্টটির প্রথম কমেন্ট করেছিলাম আমি কিন্তু পরবরতীতে এডিট করায় বিষয়টিতে সন্দেহ প্রবল হয়।

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: লেখকের কাছে আর একটি প্রশ্ন
৯-আপনি লিখেছেন আপনাদের সময় ছিল "সকলের তরে সকলে আমরা ,প্রত্যকে মোরা পরের তরে" আমরা নাহয় খারাপ কিন্ত আমাদের সময়ে এসে কি আপনাদের নীতিও 'প্রত্যেকে মোরা নিজের তরে' টাইপের হয়ে গেছে?

আপনার লেখার জবাব এই লিঙ্ককে
Click This Link

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ব্লগার কামরুল ইসলাম রুবেলকে বলছি
অভিযোগ করা্র আগে ভাল করে বিষয়টি যাচাই করে নেয়া একজন দায়িত্ববান মানুষের কর্তব্য।
আমি এডিট করে ব্লগে আপডেট দিয়েছি কিন্ত লাথির বিষয়টি পরিবর্তন করি নি।আশা করি একটু কষ্ট করে ব্লগটি আর একবার দেখে আসবেন।আবার যদি সন্দেহ থাকে যে আপনার কথা শুনে আমি পুনরায় বিষয়টি এ্ড করেছি তো দয়া করে ডাবল পাওয়ারের চশমা দিয়ে লাস্ট এডিটের ডেট দেখে আসবেন।
এডিট দেখেই ধরে নিলেন যে আমি ওটাই এডিট করেছি!!!!!!!আপনাদের মত কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের জন্যেই একটা ঘটনা অন্য মোড় নেয়।আমাদের আপনার দোষী মনে হয়েছে সেটা ভাল কথা কিন্ত আপনি যাচাই না করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে পারেন না।

আপনার এই মিথ্যা অপবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি।
X( X( X( X(

১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৮

তুহিন আল মামুন বলেছেন: আপনাদের লেখা ভালই লাগছে..... একজন আরেক জনকে নিয়ে লিখছেন.. আবার লেখার মাঝে নিজের বিচার-বুদ্ধি দ্বারা শস্তিকে পেতো বা পাওয়া উচিত সেটাও নির্ধারন করে দিচ্ছেণ। আমার মনেহয় নবীউল করিম আপনাকে যদি বিচারক বানানো হতো তাহলে মনে হয় অপরাধীরা আপনার মূর্তি বানিয়ে পুজা করতো। কারণ আপনি নিঃসন্দেহে তাদের মুক্তি দিতেন অন্তত আপনার ব্লগ পড়ে তাই মনে হয়েছে।
আবার এটাও বার বার মনে হচ্ছে আপনি কি পেশায় একজন আইনজীবি???? জানার ইচ্ছে ছিল:


এই বার কামরুল ইসলাম রুবেলকে বলছি- আপনি মনে হয় লেখাটি ভাল ভাবে পড়েন নি। আপনি যে লাথির কথা উল্লেখ করেছেন সেই অংশটি এখনো আছে..... এটা মুছে ফেলা হয় নি। আপনি কেন শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলছেন। এটাতো উচিত না। আপনি নিশ্চয় একজন অশিক্ষত লোক না অথবা অন্ধও না তাহলে আপনার উচিত আবার গিয়ে লেখা পড়া।

১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৯

মন্জুরুল আলম বলেছেন: ভিন্ন এঙ্গেলে'র লেখা। ভালই, এইবার দেখি অন্যরা লিখছে...

১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

নবীউল করিম বলেছেন: প্রথমত, আমার লেখাটা যারাই পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন তাঁদের প্রত্যেককেই আমার অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ।

জাবির ঘটনাটার বিষয়ে আমি যে প্রথম ও দ্বিতীয় মন্তব্য করেছিলাম সেটার সুত্রপাত ঐ ঘোটনার লেখকের লেখা প্রথম ও দ্বিতীয় লেখার উপর নির্ভর করে। বিশেস করে প্রথম লেখাতার উপর নির্ভর করে। সেই লেখায় লেখক যা যা তথ্য জানিয়েছিল, তাই ছিল আমার কাছে থাকা তথ্য।

আমার প্রথম মন্তব্বের পর দেখলাম উনার পরবর্তী লেখাগুলয় অনেক পরিবর্ধিত, সংশোধিত ও নতুন তথ্যর আগমন ঘটেছে। এটা অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়! অনেকে এর উত্তরও দিয়েছেন। কিন্তু আমি কনও ব্যাখ্যা করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছি! উনার ভিন্ন ভিন্ন সময়, ভিন্ন ভিন্ন তথ্য নিয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে লেখছেন তা, বয়সগত পার্থক্য,জ্ঞানগত পার্থক্য,অবস্থানঙ্গত পার্থক্য,বোধগত পার্থক্য ইত্যাদি কারণে আমার বোধের অগম্য বলে আমি মনে করছি। কিন্তু আমি বিভ্রান্তও বটে! শুধু তাই না, এই বিষয়ে উনাদের পরবর্তী অনেক তথ্য মূলক লেখা পড়ে আমি যারপর নাই চিন্তিত! কারনঃ

১- উনারা এতগুলো ঠাণ্ডা, ভদ্র, লিগ্যাল পদক্ষেপ নেবার পরেও কেন ওরা এঁদেরকে পিটাল?

২- তবে কি ওরা এঁদের উপর আগে থেকেই রেগে ছিল? অর্থাৎ এই ঘোটনার কি কনও পূর্বের কালো ইতিহাস আছে?

৩- ২০-২৫ টা মানুষ কোন সাহসে ২৫০ জনের বেশী মানুষকে আক্রমন করার সাহস পায়, যদি এঁরা সত্যিই স্বাভাবিক ও ভদ্র ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে? আর যদি তাঁদের ইন্টেনশনই থাকতো এতগুলো ছেলেকে মারার (তাও আবার ছাত্র) তাহলে তো ওরা আরও খারাপ ভাবে তইরী থাকতো! এতে করে তো অনেক বেশী ছেলে-মেয়ে আহত হত এবং ঘটনা অনেক খারাপ হতো! (ভাগ্যিস এরকম কিছু হয় নাই)

৪- তাহলে কি ওরা এতোটাই খারাপ যে, এঁদের মতো শান্ত-শিষ্ট, সুবোধ ভালো মানুষগুলোকে ক্ষতি করারা জন্যই প্রস্তুত হয়ে ছিল?

৫- তবে কি বিভিন্ন বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রিরা যে শিক্ষা সফরে যায় তাঁদেরকেও এই রকম অবস্থার মধ্যে পোড়তে হয়?

৬- দেশটা কি সত্যিই একদম রসাতলে গিয়েছে নাকি আমি এবং আর অন্যান্যরা এই দেশেই বাস করি না!

৭- এখন থেকে আমাদের কি অনেক ভাবনা চিন্তা করে নিজ নিজ ঘড়ের ছেলে-মেয়েদের এই রকম সফরে যেতে দিতে রাজী হব? না কি ভালো হয় না রাজী হওয়া?

৮- তাঁরা অনেক ভাবেই চেষ্টা করেছিলো ওদের বুঝাতে(এটা এঁদের দাবী)! তাহলে নিশ্চয়ই অনেক দায়িত্ববান মানুষও এই ঘটনার সময়,আগে-পড়ে জড়িয়ে গিয়েছে বা গিয়েছিল। তাই যদি হয় তাহলে কেন কথাও এই বিষয়ে কনও লেখা লেখি বা অন্যান্য কর্মকাণ্ড চলছে না? না কি চলছে কিন্তু, আমরা জানতে পারছি না?

এই রকম আরও অনেক প্রশ্ন নিয়ে আমি এখন বিভ্রান্ত! যেমন আমার উত্তরের পর কেন উনারা এতো বিস্তারিত জানালো? কেন প্রথমেই না? তবে কি...............

আর তাই আমি কতিপয় অনভিজ্ঞ ছেলেদের সাথে ক্যু তর্কে আর নিজেকে জড়াতে চাচ্ছি না। প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরধ, উপরের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেবার কনও প্রয়োজন নাই। আমি আমার তরফ থেকে এই বিষয়টা এখানেই শেষ কোরতে চাই। যদি এঁরা সত্যিই ইনোসেন্ট হয়ে থাকে এবং সত্যি কথা বোলে থাকে তবে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তৃতীয় পক্ষ থেকে কিছু না কিছু জানতে পারবো আশা করি। নতুবা এঁরা বোলবে “কথাও কেউ নেই”।

সুতরাং, আমার ঘাট হয়েছে! আমি ক্ষান্ত দিলাম!
আপনারাই জয়ী...............


আমি কারও প্রতিপক্ষ না, এবং কেউ আমার প্রতিপক্ষ হউক সেটাও আমার কাম্য না। কারন দিনের শেষে আমারা সবাই এই দেশী, সামান্য একটু ক্ষতি মানে সবার ক্ষতি! একটু ভালো মানে সবার ভালো। আমি শুধু বুঝাতে চেয়েছি অন্যের ভুল বা দোষ ধরার আগে নিজের ভুল এবং দোষ খুঁজার চেষ্টা করা ও ভুল এবং দোষ খুঁজে পেলে প্রথমে নিজেকে সংশোধন করাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। নিজের দোষ বা ভুল অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে সাধু সাজাবার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বার হয়ে আসতে হবে। আজকে যারা ছাত্র, তাঁরা যদি সঠিক ভাবে চালিত হতে পারে এবং পরবর্তীতে নিজেকে সঠিক পথে রাখতে পারে তবে সেটা দেশের লাভ, সমাজের লাভ। হতাশ তো আমি অবশ্যই,মহসিন হোলে ছিলাম প্রকাশ করাটাকে যারা খারাপ ভাবে ব্যাখ্যা কোরতে চায়, তাঁদের ব্যাপারে আশা করাটা আমার কাছে বিলাসিতা বা ফ্যান্টাসি মনে হয়! তবুও সবার কাছে আমার দ্বিতীয় অনুরধ, অনুগ্রহ করে কেউ এঁদের সমন্দধে খারাপ ভাষায় মন্তব্য করবেন না। কারন এঁরা আমাদেরই কারও না কারও ভাই, বন, ছেলে, মেয়ে।
আবার এটাও আমার জন্য খুব আশার বিষয় যে অনেকেই আমার কথাগুলো সুন্দর মত বুঝেছেন।

সবাই ভালো থাকবেন শুভ কামনায়।

১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: হ্যাঁ দোষ আমারই, ঐ সময়ের স্ক্রীণশটটা রাখিনি।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

নবীউল করিম বলেছেন: বাদ দেন............... অনেক কিছুই অনেক বিভ্রান্তিকর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.