নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবীউল করিম

নবীউল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপ্রিল ৮,২০১৪ তে লেখেছিলাম বি জে পি কে আমার নমস্কার। অবশ্যই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে!

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

এপ্রিল ৮,২০১৪ তে লেখেছিলাম বি জে পি কে আমার নমস্কার। অবশ্যই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে! Click This Link



২য় পর্বঃ

আজকে প্রায় দেড় মাস পড়ে ফলাফল আমার অনুমান কেই সমর্থন করছে! না, এটা আমার কাছে বিস্ময়কর কিছু না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান অনেক রাখ ঢাক করে সেদিন বোলতে পেড়েছিল ২৭২ থেকে ২৮০ টা সিট পাবে বিজেপি,যদিয় মন বলছিল ৩০০!বস্তুত আমি ভুলই ছিলাম।



ভোটের এই ফলাফল আমার কাছে ভীষণ ভাবে কাম্য ছিল। আমি কিছুতেই চাচ্ছিলাম না যে বিজেপি সরকার গঠন কোরতে আর এস এস এর উপর নির্ভরশীল হউক! আমার সন্তস্ট হবার অনেক কাড়ন আছে বিজেপির একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায়, কিন্তু সেই প্রসঙ্গ ভবিষ্যতের জন্য আপাতত তুলে রাখতে চাচ্ছি?



বরাবরই আমি বলে আসছি ভারতের মুসলমান ও এই দেশের হিন্দুরা একই ভুল করে আসছে গত ৭০ বছর ধরে।ভারতের মুসলমানদের অবশ্যই কংগ্রেস থেকে সড়ে আসা উচিৎ। অবশ্য গত ৫-৭ বছর থেকে লক্ষ করছিলাম ভারতের মুসলিমরা কিছু কিছু করে নিজেদের ভুল বুঝতে পারছে! আজকে আমার ভাবতে ভালো লাগছে যে শেষ পর্যন্ত ভারতের মুসলমানরা ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেড়েছে। মুসলমানদের ভোট বিজেপির ঘড়ে বেড়েছে ৭৯%! এটা আরও আগে হোলে ভারতের মুসলমানরা এখনকার থেকে অনেক বেশী ভালো থাকতো বলে আমি বিশ্বাস করি!



ভারতের এবারকার এই ভোটের ফলাফল অবশ্যই উপমহাদেশে ব্যাপক একটা পরিবর্তন আনবে।বিজেপি যতই গলা উঁচিয়ে বলুক না কেন যে উন্নয়নের বুলির জন্যই তাঁদের এই প্রাপ্তি,বস্তুত তা না! যেটা নীরব কিন্তু বিজেপি কোনোরকম রাখঢাক না করেই সমান তালে বলে গিয়েছে, সেটাই আসল কাড়ন তাঁদের এই সুনামি বীজয়ের! সেটা হোল হিন্দুত্ব-বাদ!



এতদিন কংগ্রেস সহ সবাই এই হিন্দুত্ব-বাদ কায়েম করার জন্যই কাজ করেছে নীরবে, সেই ৪৭ এর দেশ ভাগের আগে থেকেই! জিন্নাহ বুঝেছিল বলেই পাকিস্তান চেয়েছিল, তাই তাঁকে হতে হয়েছে ইতিহাসের খলনায়ক! নেহেরুর ডিস্কভারি অব ইন্ডিয়া বই টা পড়লে পরিষ্কার বুঝা যাবার কথা কি ছিল তাঁর মনে। কিন্তু আমাদের দেশের অসংখ্য বুদ্ধি পরজীবী নেহেরু এবং বল্লভ ভাইদের বাহিরের কথাতেই নেচেছে, এখনো নাচছে! ধর্ম নিরপেক্ষ-বাদ যে শুধুই একটা রঙ চোঙা মিথ্যা সোনার বুলি এটা অসংখ্য প্রমাণ দ্বারা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। না, পৃথিবীর অন্য দেশের অন্য কেউ এই সত্যিটা প্রমাণ করার দায় ঘাড়ে তুলে নেয় নাই। প্রমাণ ঐ দেশের মানুষই করেছে সততার কাছে দায় বদ্ধ থেকে! সরোজিনী নাই-ডু, খুশবন্ত সিং, অরুদ্ধতি রায় ইত্যাদি সৎ ও সাহসী মানুষেরা।



সময় হয়েছে আমাদের দেশের হিন্দুদের নড়েচড়ে ভাববার। নিজেদের অস্থিত্তের জন্যই তাঁদেরকে ঠিক কোরতে হবে বাআল তাঁদের জন্য কতোটা নিরাপদ এবং নির্ভরতার জায়গা? আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি কংগ্রেসের মতো বাআলও এই দেশে হিন্দুদের নিয়ে শুধুই মুনাফা লুটেছে! সুযোগ সুবিধা যা দিয়েছে তা ছেলে ভুলান ছাড়া বেশী কিছু না! বাআল ক্ষমতায় থাকলে হিন্দুদের নর্তন-কুর্দন এতোটাই বেড়ে যায় যে, এই দেশের প্রতি তাঁদের যে কোনও দায় বদ্ধতা নেই, তা উলঙ্গের মতো প্রকাশ হয়ে পড়ে! প্রশাসনের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন হিন্দুরা ! এমতাবস্থায় তো দেশে হিন্দুদের অবস্থা খুব ভালো থাকার কথা? কিন্তু তাঁরা কি তাই আছে? মুষ্টিমেয় কিছু উচ্চ শ্রেণীর হিন্দু এবং সুবিধাবাদী ও বিত্তশীল হিন্দু ছাড়া আর সব হিন্দুরা তথইবচঃ! অথচ তাঁরা বুঝতে চায় না যে, তাঁদের সংখ্যা কমতে কমতে এখন ৭-৯% মাত্র!



যে অলীক স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা বাআল কে সমর্থন করে এবং দর্প নিয়ে দম্ভ ভড়ে এই দেশকেও হিন্দুত্তবাদের রাজ্য বানাতে চায়, তা তাঁদেরই অস্থিত্তকে বিলুপ্তপ্রায় করে ফেলেছে এই দেশে। সব সময়ই ৭২-৮০% মুসলমান ভরা এই দেশকে যে হিন্দুত্বের খোলসে আবদ্ধ করা যাবে না, এই সত্যটা তাঁরা আজও বুঝলোনা? ভারত মা’ ভাগ হয়ে গিয়েছে! ভিন্ন ভিন্ন উঠানের ভিন্ন ভিন্ন কর্তা, এই বাস্তবতা মেনে নেবার মতো ঔদার্য তাঁরা অর্জন কোরতে পারে নাই এখনো! তাঁরা সত্যি স্বীকার কোরতে নারাজ যে,তাঁদেরই ভুল নীতির কাড়নে আজকে তাঁদের সংখ্যা শূন্যের দিকে ধাবিত? নিম্ন শ্রেণীর,বঞ্চিত,অভাবী,নিম্ন আয়ের, সরল সোজা সাধারণ হিন্দুদের বুঝাতে,একতরফা মুসলমানদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আত্ম তুষ্টির অসুখে তাঁরা অসুস্থ! এর অর্থ এই না যে এই দেশে মুসলমানদের কোনও দোষ নেই। অবশ্যই আছে। স্বীকার করি আর না করি, আমি যদি কাপড় খুলে পোদ দেখিয়ে রাস্তায় চলি তবে ফুল চন্দন কপালে না জুটে জাত পাত, ধর্ম কোনও বাঁধার কারন হবে না আমাকে ধর্ষিত হতে! তাই বর্তমানে আমার বিবেচনার বিষয় শুধুই এই দেশের হিন্দুদের ভুল দর্শন নিয়ে।



আজকে আমার কথা অতীতের মতো অনেকের কাছে এবং সব হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত তিতা মনে হবে, কিন্তু আমি হলপ করে বোলতে পারি সামনে সেই দিন বেশী দূরে নয় যেদিন, এই দেশে খুঁজে খুঁজে হিন্দু বার কোরতে হবে আমার মতো হিন্দু পরিবেষ্টিত স্মৃতি কাতরদের একটুখানি পূজার বাদ্য-বাজনায় পুলকিত হতে! কাকী মা আর দিদিদের সপ্তাহ জুড়ে দিনভর ব্যস্ততায় তইরী নারিকেলের সন্দেশ আর সবজী দিয়ে লুচির স্বাদ নিতে!



আমি সত্যিই সেই দিনটা পরিষ্কার দেখতে পাড়ছি! প্রার্থনা করছি আমাদের দেশের হিন্দুদের সু বুদ্ধির উদয় হউক, দুর্গা মায়ের চিরন্তন মাতৃত্বের গভীরতায় এই দেশকেই “মা” মেনে নিতে শিখুক। যেমনটা ভারতের মুসলমানরা ভারতকেই তাঁদের মা মেনে নিতে শিখছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.