নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবীউল করিম

নবীউল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধ্যাপক জাফর ইকবালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রী নাহিদ সাহেব

২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

অধ্যাপক জাফর ইকবালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রী নাহিদ সাহেবের প্রথম আলোতে লেখাটা সম্পূর্ণ বাগডম্বর কোথায় ভরপুর ! Click This Link

ভেবেছিলাম এই মানুষটা শুধুই তালি পাবার জন্য কথা বলে না, কাজও করে। কিন্তু সম্মানটা উনি নিজেই নষ্ট করলেন!



বি এন পির সময় ভুয়া প্রশ্ন পত্র ফাঁসের যতো ঘটনা ঘটেছে ইনার সময় উত্তর সহ আসল প্রশ্ন পত্র ফাঁসের যতো ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১০ গুন বেশী!বর্তমানে প্রকাশ্যে ইন্টারনেটে এবং কোচিং সেন্টারে প্রায় সব পরীক্ষার(বোর্ড ছারাও ভর্তি পরীক্ষা, সরকারি চাকুরীর পরীক্ষা)প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে!এইচ এস সি পরীক্ষা শুরু হবার আগেই সব বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছে( গতবারও তাই হয়েছে), এটা জানিয়ে আমিই প্রথম ব্লগে এবং প্রথম আলোতে লেখি! Click This Link , Click This Link কিন্তু কেউই এটাকে গুরুত্ব দেয় নাই তখন!



নাহিদ সাহেব ইংলিশ দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ঢাকা বিভাগে স্থগিত করে অন্যান্য সব বিভাগে নিয়েছে।অথচ সেই ইংলিশ পরীক্ষার প্রশ্ন সব বিভাগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিলো! দিনাজপুর জেলার গ্রামের একটা কলেজের শিক্ষক স্বয়ং সেই দিন আমাকে জানিয়েছে যে,পরীক্ষার্থীরা সেই ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নের উত্তর হাতে নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছে! মিডিয়া কি এই ঘটনা জানে না?নিশ্চয়ই জানে, কিন্তু জানলেও তাঁরা অনেক কিছুই প্রকাশ করে না বিভিন্ন কাড়নে!?



কতোটা বিবেকহীন হোলে,বিচার বুদ্ধিহীন হোলে ও জন্য বিচ্ছিন্ন হোলে নাহিদ সাহেবের মতো একটা তুলনামূলক ভালো মানুষও গোলক ধাঁধায় পড়ে প্রলাপ বকতে পারে এই লেখাটা তারই একটা প্রমাণ।এখন পর্যন্ত কয়টা প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সুস্ট তদন্ত করে উনি বিচারের মাধ্যমে দোষীকে সামনে এনে শাস্তি নিশ্চিত করেছে? কেন এই ঘটনা বন্ধ হবে? ততদিন বন্ধ হবে না বরং আগামীতে বাড়বে, যতদিন উনি কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।



যে উৎসবের সাথে নকল-বাজী হতো ৮০-৯০ এর দশকে,তার অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী আছে আমার মতো কোটি কোটি মানুষ।শহরের ফেল করা ছাত্ররা গ্রামের স্কুল- কলেজ থেকে অনেক টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষা দিত শুধু নকলের সুবিধা পাবার জন্য!এই অন্যায় কে বন্ধ করেছে?নাহিদ সাহেব?তথা বাআল?পরীক্ষা সেন্টারের পাঁশে প্রকাশ্যে ফটোস্ট্যাটের মেশিন বসিয় নকলের মহতসব করা হতো!এটা কে আটকিয়েছে?নাহিদ সাহেব?তথা বাআল?পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যাবার পরও বিশেষ কিছু ছেলে-মেয়েকে অতিরিক্ত সময়ের সুবিধা দেওয়া হতো!এই অন্যায় কে বন্ধ করেছে?নাহিদ সাহেব?তথা বাআল?নকলের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ!তাদের সাথে কঠিন আচরণ করে কে বিরাগভাজন হয়েছে?নাহিদ সাহেব?তথা বাআল?



বি এন পির সময়ও খারাপ ছিল সত্যি কথা, কিন্তু অবশ্যই এতোটা না।নকল বন্ধ করার সমস্ত প্রশংসা পাবার অধিকার রাখে মিলন সাহেব!কিন্তু আমরা তাঁকে ধিক্কার ছাড়া এখন পর্যন্ত কিছু দেই নাই! কেন?কি ভাবে আমরা আসা করি যে এই দেশে সৎ, ভালো কাজের মানুষ তইরী হবে?সব কিছুকেই কেন আমরা বি এন পি ও বাআল এর রাজনীতি বানীয়ে ফেলি? কেন জনগণকেও এই অন্যায়ের দায় নিতে হবে না?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২২

মাইরালা বলেছেন: জয় বাংলা। জয় মজিবর

প্রশ্নফাস বঙ্গমজিবের সোনার স্বপ্ন ছিল। জাতির জনকের নাতির কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আছে।
:-B :-B :-B :-B :-B :-B :D :D :D :D :D

২| ২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

দখিনা বাতাস বলেছেন: দেশে গনহারে নকল সবার আগে বন্দ করছিল মিলন না, জাতীয় পার্টির শেখ শহীদ। পারলে একটু এরশাদ সরকারের আমলে জাতীয় পত্রিকা গুলা পইড়েন। এরশাদ সরকারের আমলে কাজের মত কাজ যদি কেউ করে থাকে তাইলে ঐটা শেখ শহীদ

২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

নবীউল করিম বলেছেন: @দক্ষিণা বাতাস; আমার বাসা জেলা স্কুলের সামনে।প্রধান রাস্তার এপার- ওপার। এরশাদের সময়ে যে সময়ের ছাত্র ব্যেচ সবচেয়ে বেশী ক্ষতির স্বীকার, আমি সেই ব্যেচের।

প্রতি এস এস সি পরীক্ষার সময় আমার বাসার সামনে বাঁশের খুঁটীর উপর টিনের চাল দিয়ে অস্থায়ী একটা ব্যাবস্থা করে নকলবাজদেরকে সাহায্য করার জন্য অন্তত ২ টা ফটোস্ট্যাটের ব্যাবসায়ি থাকতো! প্রতি পরীক্ষার্থীর সাথে অন্তত ২ জন(বিশেষ করে শহরের বাহিরের) সঙ্গী থাকতো শেষ পর্যন্ত! তাঁদের একজন হয় শিক্ষক না হয় পিতা,ভাই,মামা ইত্যাদি!আমি নিজে সেই সঙ্গীদের একবার প্রশ্ন করেছিলাম,কেন এই অনৈতিক কাজ তাঁরা করছে একজন অভিভাবক হবার পরও?উত্তর ছিলঃ বিয়ে দেবার জন্য?কি বুঝলেন দক্ষিণা বাতাস?

আমি উত্তরটা বুঝি নাই!পরের দিন আবার তাকেই এর অর্থ জিজ্ঞেস করলে বলেছিলঃ ছেলে পরীক্ষায় পাশ করলে বা ভালো ফলাফল করলে ভালো পাত্রী পাওয়া যাবে!আর ভালো পাত্রী মানে হচ্ছে,যে পাত্রীর জন্য যতো বেশী যৌতুক সেই পাত্রী ততো ভালো!আর সহযোগী ঐ শিক্ষকেরা টাকার বিনিময়ে সাহায্য করছে!এটা আমি ১৯৮৪ সালের কথা বললাম।প্রতি বছরই চিত্রটা প্রায় একই থাকতো।পুলিশের ধাওয়া(লোক দেখান),ফটোস্ট্যাট মেশিন নিয়ে দৌড়!একটু পরেই আবার স্বস্থানে!প্রত্যেকের সহযোগী সেই উত্তর নিয়ে প্রাচীর টপকে পরীক্ষা হলের জানালায়!

কোথায় ছিল তখন এরশাদ ও শহীদ?হ্যাঁ শহীদ সাহেব চেষ্টা যতোটা না করেছিলো প্রচার পেয়েছিলো অনেক বেশী!কাড়ন মিডিয়া এরশাদকে ভয় পেতো তখন! অনেকগুলো তথ্য আপনাকে দিয়েছি, আর একটা তথ্য দেই; সেই সময় এরশাদের এক মন্ত্রীর ছেলে বি এ পরীক্ষা দিয়েছে ৩ ঘণ্টা শেষ করে আরও ১ ঘণ্টা নিয়ে!তার বাসা এবং কলেজ মুখামুখি!

৩| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

কানা দাজ্জাল বলেছেন: জয় বাংলা, (আমারে লজ্জার পরীক্ষায় A+ দিয়া দিলা?)

জয় শেখ মুজিবর, (আমার স্বপ্ন ছিল A+)

জয় হাসিনা, (আমার এতগুলা Dr. ডিগ্রী, A+ এ দেশ ভর্তি না করলে পাবলিকের হোগায় থার্ড ডিগ্রী কেমনে দিমু?)

জয় জয়, (আমার কাছে তথ্য আছে A+ is A+, আমিও A+ পেয়েছিলাম, আমার কাজের বুয়া সেও A+ পেয়েছিল,......।)

জয় শিক্ষামন্ত্রী, (আপনেরা বাড়াবাড়ি করলে আপনেগরে মেট্রিক পরীক্ষায় বসায়া দিমু)

জয় শামীম ওসমান, (এই কাজটা র‍্যাবের কারো হতে পারে, আমি আমার A+ নিয়ে এখন শঙ্কিত)

জয় হাইব্রীড, (বিএনপি A+ দেখে আজ ঈর্ষান্বিত............)

জয় ইনু, জয় মিনু, (PM এর পা ধোয়া পানি খাইলে আমিও A+ পাইতাম)

জয় মায়া, (আমার জামাতাও A+ পাইছিল, A+ পাওয়া কি তাইলে দোষের)

জয় কামরুল (আমি আগেই বলেছিলাম ওরা এই উন্নতি সহ্য করবে না। যত চক্রান্তই হোক A+ বন্ধ রাখা যাবে না)

জয় A+ (আমি আর কি কমু, বেবাক তো হেরাই কয়)

জয় পাবলিক টয়লেট (আগে এইখানে হাগু আর হিসু পাইতাম, এখন A+ ও পাই)

৪| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: দাড়োগা বাবু এমন মোচ আমার নিচেও আছে।
আপনারটা দেখাতে পারেন আমারটা দেখাতে পারি না।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

দখিনা বাতাস বলেছেন: জি আমিও এমন অনেকগুলা ঘটনা বলে দিতে পারি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে এমন নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য লাইন পড়ে যেতো। গ্রামের লোকজন বাসা বাড়িতে টাকা দিয়ে কয়দিনের এইসব মেহমান পালতো। এরশাদ আমলের ঘটনাই বলতেছে। তখন এই শেখ শহীদই এমন টাইট দিলো সব যে পরের বছর থেকে সব উধাও। মিলনের সময় আমরদের এক বন্দুই নকল সাপ্লাই দিতে কুমিল্লা গেছে। তার ছোটবেলার বন্দুর ছোট ভাই কোন ভাবেই ইংরেজীতে পাশ করেনা। পরে তারে গিয়ে পরিক্সার হলের জানালায় দিয়ে নকল দিসে। মিলনের আমলের ঘটনা, কুমিল্লা নিমসারের স্ুকল। এখন আপনি কি বুজলেন।

নকল আটকানোতে শুরু হয় পাশের হার কমার রেকর্ড, কমতে কমতে সর্ব নিম্ন পাশের হার ২৭র মত ছিলে ১৯৯০। আমরা ঐ ব্যাচের। ামরা বন্দুরা একনও বলে বেড়াই, সর্বনিমণ পাশের াহরের সময় ামরা স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.