আমাদের ভোঁতা বিবেচনা বোধ যে ওদের কাছে অনেক বড় অস্ত্র হে বঙ্গবাসী!

২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

ক্রিকেট তো সেই তখনই কলুষিত হয়েছে যখন ক্যারি প্যাকারস রঙিন পোশাকে দিন/রাত্রির সীমিত ওভারের খেলা চালু করেছিলো নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে।এর পর তো শুধু বাণিজ্যিক ক্রিকেটের জয় যাত্রা!তবে যথেষ্ট ধীরে সেই যাত্রা চলছিলো এই যা।কিন্তু টর্নেডোর গতিতে সে বাণিজ্যকে এগিয়ে নিলো যখন ভারত(মোদী)আইপিএল এর ঘোষণা দিয়ে টি-২০ চালু করলো!রাজসিক ও ধ্রুপদী ক্রিকেটের দাফন তো তখনই হয়ে গিয়েছে।আমরা কি জানতাম না?এর পর তো শুধুই ক্রিকেটের চেহলাম চলছে। মোদী নিজেই তার শিকার!

আমরা কি ভেবে দেখেছি ভারত না হয়ে অন্য যে কোনও তিন দেশের বিরুদ্ধে খেলাটা হলে আইসিসি এই ভূমিকা নিতো কি না?না, নিতো না!আমরাই আইসিসি কে উদ্বুদ্ধ করেছি আমাদের সাথে এই রকম আচরণ করে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে নিজেদের ব্যাংক ব্যাল্যান্স বাড়িয়ে নিতে ও শখানেক বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারের রুজি রোজগার পাকা পোক্ত কোরতে!

গত মাত্র ৬ বছরের বাংলাদেশের চিত্র ঘাঁটলেই এই সুবিধা যে কেউ নিবে।এমন কি পুঁচকে আফগান বা কেনিয়াও!গত তিন দিনে যোত ঝর আমরা তুলেছি তার এক শতাংশও দেখা যায় নাই বিডিয়ার হত্যায়!গায়েবী বাহিনীর হাতে দিনের পর দিন জলজ্যান্ত মানুষের গায়েব হয়ে যাওয়া আমাদের প্রতিবাদী করে না,করেনা আতঙ্কিত,চিন্তিত!আমরা ভারতকে ভূমি,পানি,মানুষ(ফেলানির মতো প্রায় প্রতিদিন)দিয়েছি!আরও দিয়েছি মাত্র ১১ দিনের সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কাড়নে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলীল,যেখানে জায়গা দেই নাই ওসমানী বা তাজউদ্দীন কে!

আমরা কিসের জন্য প্রতীবাদ করছি?ন্যায় ও অন্যায়?কার বিরুদ্ধে?অদ্ভুত জাতী আমরা।সত্যিই অদ্ভুত!গোটা বিশ্ব কে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে আমরা প্রতিমাসে ১/২ টা সীমান্ত খুনে আমরা দুঃখিত হই না।আমরা প্রতীবাদ করিনা ভারতের অন্যায় পানি চুরির, প্রতিটা নদীতে বাঁধের!বরং আমরা ওদের পুরস্কৃত করি বিনা পয়সায় করিডোর দিয়ে,দেশের আনাচে কানাচে ওদেরকে ব্যবসা দিয়ে!আলেক্সজান্ডার এখন থাকলে কি বলতো???????????

আমাদের ভোঁতা বিবেচনা বোধ যে ওদের কাছে অনেক বড় অস্ত্র হে বঙ্গবাসী!

বিশেষ সমাদরে পবিত্রতার কাফন পড়িয়ে জাতীয় সংসদে যখন ছিনতাই করে নেওয়া আসনে বসে উদয়- অন্ত পরিশ্রম করা অর্ধভূক হাড্ডিসার মানুষের ঘামের পয়সায় অপ্রয়োজনীয়,মিথ্যা,কুৎসিত,অশ্লীল ভাষায় অহমিকার প্রদর্শন আর হাজার কোটি টকার ব্যাংক লুণ্ঠনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়,আমরা তখন ব্যক্তি পূজায় বুঁদ হয়ে নীরোর মতো বাঁশী বাজাই!

ওরা জানে আমরা আমাদের সমস্যায় কেন প্রতিবাদী হই না?ওরা বুঝে গেছে গায়েবী বাহিনীর হাতে গায়েব হয়ে যাওয়ার ভয় এবং অন্যায়,অবিচার ও লুটপাট করে ধনী হবার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাবার লোভনীয় উৎকণ্ঠায় আমরা আমাদের বিবেক হারিয়ে ফেলেছি।আর তাই ওরা আমাদেরকেই বেছে নিয়েছে।এবং কি অভাবনীয় ঐশ্বরিক ইচ্ছায় বঙ্গবাসীই হোল ওদের যা ইচ্ছা তাই করার উপহার!

এই মণিহার আমরাই তাঁদের দিয়েছি।আর তাই আমি লজ্জিত!সত্যিই লজ্জিত,শিক্ষিত(তথাকথিত)শ্রেণীর মিথ্যা জাতীয়তাবোধের মাতাল প্রেমিকদের উন্মাদীয় প্রলাপে।

০ টি +০/-০