নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দরী প্রতিযোগিতা এবং বিলবোর্ডঃ মানুষকে পশুতে পরিণত করার প্রক্রিয়া

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

সুন্দরী খোঁজা এবং বিল বোর্ড নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে আজ লিখছি একটা আশংকা মাথায় আসার পর।
নারীবাদী এবং হিউম্যানিস্ট-রা মেয়েদের পোশাক এবং সুন্দরী খোঁজা বা বিল বোর্ড নিয়ে কথা বললে একটি চমৎকার উওর দেন তা হল নিজে ভাল হোন। অন্যকে নিজের লালশার শিকার করবেন না। Atheist দের একটি খুবই জনপ্রিয় পেজে এমন ছবি দেখেছি একজন মহিলা প্লেকার্ড নিয়ে দাড়িয়ে আছে তাতে লেখা “Tell them not to rape, don’t asked me about my dress” কথাটি সত্য।
তবে একমাএ সত্য না।
আমরা এমন একটি যুগে বাস করি যেখানে পর্ণ খুবই সহজলভ্য। মাল্টি ট্রিলিয়ন ডলার এর এই পর্ণ ইনডাসট্রি। ৮ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধ সবাই এই পর্ণ এর কঞ্জুমার। সুন্দরী প্রতিযগিতার মেয়েদের এসব বলগাহীন অদ্ভুদ সাজ, বিলবোর্ড এর রগরগে ছবি, অশ্লীল মুভি কিংবা মেয়েদের অতি পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক আমাদেরকে Provoke করে এই পর্ণ দেখতে। বেড়ে যায় পর্ণ এর ডিমান্ড। তার উপর অনেক অভিনেতী পর্ণ এবং মুভি দুটিই করেন যা পর্ণকে অন্য রকম জনপ্রিয়তা দিচ্ছে। পর্ণ দেখা শুরু করলে আস্তে আস্তে মানুষ এর প্রতি Addicted হয়ে যায়। তখন ঘন ঘন এটা না দেখলে আর ভাল লাগে না। মুড অফ থাকলে বা মন খারাপ থাকলে বা কোন কাজ না থাকলে কিংবা বোরিং মুডে। তারা পর্ণকেই বেছে নেয় সাথী হিসেবে। এটাকে তারা খুব বেশি খারাপও মনে করে না। সরল চিন্তা আমিতো খুবই পারসোনালি এটা দেখছি। কাউকে কিছু বলছি না সমস্যা কি।
সমস্যা হল এই পর্ণ ধীরে ধীরে মানুষের আত্নাকে ধংস করে দেয়। মানুষকে পরিণত করে পশুতে। এর পর তারা যখন কোন মেয়েকে বা মহিলাকে (কিংবা মেয়ে ছেলেকে দেখে) দেখে তখন তিনটি চোখ দিয়ে তাদের দেখে। ৩য় চোখ যে মেয়েকে দেখছে তার শরীরের অদৃশ্যমান অংশকে স্ক্যান করে ফেলে। তিন চোখ মিলে তারা আর কোন মানুষকে দেখে না দেখে, দেখে একটি প্রানিকে, জিনিস, মাস্টার পিছ বা মালকে। জিনিস, মাস্টার পিছ বা মাল মানে কি? মানে তার বিস্তারিত বর্ণনা। বুবসের সাইজ কত, হিপ কেমন, লিপস কেমন, চুল কেমন, স্কিন কেমন আকর্ষণীয় ইত্যাদি ইত্যাদি{ব্যাপার গুলো উল্টা দিকেও সত্য}। মানুষের প্রতি সন্মান চলে যায়। তারা ঐ মেয়টাকে আর সন্মান করে না যত টা পাওয়া উচিত ছিল এমনকি নিজের শিক্ষিকাকেও না। নিজের শিক্ষিকাও হয়ে যায় জিনিস। এভাবে মানুষের সমাজ হয়ে যাচ্ছে পশুর সমাজ। আর এগুলোর জন্য একটি প্রধান দায়ী হল সুন্দরী প্রতিযগিতা, বিলবোর্ড, অশ্লীল মুভি এবং মিউজিক ভিডিও এবং মেয়েদের অতি পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক। এ ব্যাপার গুলো আমরা যত তারাতারি বুঝতে পারবো। সম্ভবত ততই ভাল।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভালো পোস্ট, সহমত।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯

যাযাবর চিল বলেছেন: শুক্রিয়া। ।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: নারীর প্রাপ্য অধিকার চাইবে যারা ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী - তারা

নারীর স্বাধীনতা চাইবে যারা লুইচ্চা, নাস্তিক, সেক্যুলার - তারা

সুন্দরী প্রতিযোগিতা চাইবে তারা, ফ্রি পর্ণো দেখেও যাদের সাধ মেটেনা - তারা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

যাযাবর চিল বলেছেন: সহমত। । ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

যাযাবর চিল বলেছেন: সহমত। । ।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

সোহানী বলেছেন: সহমত লিখাটির প্রতি।+++++

আমি অবশ্যই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি ও এ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করি। কিন্তু নারী স্বাধীনতার নামে অর্ধ উলংগ পোস্টার বা সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে বিকিনি পড়া বা জীবন উপভোগের নামে পশ্চিমা বিশ্বের আমদানী ডিজে পার্টিতে সংক্ষিপ্ত পোসাকের প্রতিযোগিতাকে কথনই সাপোর্ট করিনা।আসলে নারী স্বাধীনতায় যে কি জিনিস তাই মনে হয় এরা বুঝে না।

আমি পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ ঘুরেছি কিন্তু কোথাও মেয়েদের অর্ধ উলংগ পোস্টার বা এড দেখিনি .......... খুব তাজ্জব হয়েছিলাম তা দেখে। আসলে মেয়েদের পর্ণ বানানোর কৈাশল শুরু ভারতীয়দের দ্বারা তারপর হাল আমলে আমরা শুরু করেছি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০

যাযাবর চিল বলেছেন: আসলে নারী স্বাধীনতায় যে কি জিনিস তাই মনে হয় এরা বুঝে না>>> ১০০ ভাগ সত্য কথা। ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.