নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার ১৪ বছর, খোলা চোখে দেখা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

৯/১১ এ বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের সন্ত্রাসী হামলা পৃথিবীর গতি পাল্টে দেয়। হোয়াইট হাউসের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এর ভিওিতে প্রচার করা খবর দেখে সবার মত আমিও প্রথমে ভাবতাম ওসামা বিন লাদেনই এ ঘটনার জন্য দায়ী। অনেক পরে “If america knows” নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কিছু লেখা পরে ধারনা পাল্টাতে থাকে। তার কিছু অংশ আজ লিখছি। তথ্য এত বেশি যে অনেক চেষ্টা করেও বেশি সংক্ষেপ করতে পারলাম না।

হোয়াইট হাউজ ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত এর জন্য একটি তদন্ত কমিশন করে। তদন্ত কমিটিতে খরচ করা হয় ১৪ মিলিয়ন ডলার। যেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন এর একটি ব্যাক্তিগত কেলেংকারি এর তদন্তে খরচ করা হয় ৪০ মিলিয়ন। এখানেই বোঝা যায় কতটা সদিচ্ছা ছিল তদন্তে। বুশ প্রশাসন দাবি করে এটি ছিল একটি নিরপেক্ষ কমিশন। নিরপেক্ষ কমিশন হতে কমিশন এ রিপাবলিকান এবং ডেমক্রেটদের সমান সংখ্যক সদস্য থাকার কথা। কিন্তু কমিশন ডিরেক্টর থমাস কেইন (Thomas Kean) একজন রিপাবলিকান

এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিলিপ জেলিকোও (Philip D. Zelikow) একজন রিপাবলিকান। এই ফিলিপ জেলিকো শুধু একজন রিপাবলিকান-ই না তিনি রিপাবলিকান বিদেশ মন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইস এর সাথে একটি বইও লেখেন।

এ থেকে বোঝা যায় তিনি কতটা রিপাবলিকান ছিলেন। ফিলিপ জেলিকো নিয়ন্ত্রিত কমিশন হোয়াইট হাউজের মতই একসুরে কথা বলে। তারা ১৯ জন আরব যুবকের ছবি প্রকাশ করে এবং কিছু ঘটনা বর্ণনা করে এবং ওসামা বিন লাদেনের সংগঠন আল কায়দাকে সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী করে। কিন্তু

ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স এর মতে, ফায়ার প্রুফ কোর কলামগুলো ২৭০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটেও টিকে থাকবে। সেখানে জেট ফুয়েল উৎপন্ন করতে পারে ম্যাক্সিমাম ১০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিভাবে ফায়ার প্রুফ কোর কলামগুলো এমন নমনীয় হয়ে গেল? প্রায় বিমান হামলার প্রায় ১ ঘণ্টা পর, ভবন ২ টি হুরমুর করে ভেঙ্গে গেল। যদি কলামগুলো নমনীয়ও হয় তারপরও এভাবে ভেঙে কনক্রিট এমন পাউডার এর মত হয়ে যাওয়ার কথা না।

আরও একটি ব্যাপার যা কেউ ভালভাবে জানে না। তা হল বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে এলাকায় মোট ৭ টি ভবন রয়েছে। হামলা হয় নর্থ এবং সাউথ টাওয়ারে। এই দুই ভবনের সাথে ৭ নম্বর ভবন কিভাবে ধসে পরে। এই ভবনে কোন বিমান আঘাত করেনি। কিভাবে ৪৫ তলা এই ভবন ধসে পরলো তা নিয়েও কিছুই বলা হয়নি রিপোর্ট এ।

প্রথমে বলা হয়েছিলো তারা প্লেন চুরি করেছে। কিন্তু পরে দেখা গেল তারা নিয়ম মেনে বডিং পাশ নিয়েই প্লেন নিয়ে উড়। কিভাবে আরব যুবক অ্যামেরিকান এয়ার এ চাকরি পেল ? কিভাবে কোন নিয়মে একই দিনে একই সময়ে একই অঞ্চলের ৭ জন পাইলট প্লেন এ বোর্ড পাশ পেল। এ সব নিয়েও কিছুই বলা হয়নি।

পেন্টাগন হামলার ঘটনা
পেন্টাগন অ্যামেরিকা তথা পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদতম জায়গার মধ্যে একটা। যার চার পাশপাহারা দিচ্ছে হাজার হাজার সারভাইলেন্স ক্যামেরা, কিভাবে সেখানে বিমান আঘাত করলো? কেন পেন্টাগন এন্টি-মিসাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিমান অকেজো করা হল না?
কিভাবে বোয়িং ৭৫৭ এর মত বিশাল প্লেন মাএ ৪০ ফুট উচ্চতায় আঘাত করলো ?
পেন্টাগনের হামলার ছবিতে যে অসঙ্গতি দেখা যায়, আকৃতি, ধংস, তা নিয়ে কিছুই উল্লেখ নেই।

জ্বালানি ভর্তি বিমান যদি পেন্টাগনে হামলা করে স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে অগ্নিকান্ড হওয়ার কথা কিন্তু ছবিতে পেন্টাগনে আগুনের তেমন কোন চিহ্নই নেই।
আমরা বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের হামলার অনেক ভিডিও পাই। কিন্তু পেন্টাগনে হামলার কোন ভিডিও নেই! কোথায় গেল সেই সব ভিডিও? যে সময় হামলা হয় তখন পেন্টাগনের পাশে একটি তেল পাম্পের সারভাইলেন্স ক্যামারে সচল ছিল। পেন্টাগনের করিৎকর্মা অফিসাররা সাথে গিয়ে ফুটেজ জব্দ করে এবং তেল পাম্পটি বন্ধ করে দেয়। কেন এসব?
এ ব্যাপারেও রিপোর্ট নিরব।
টুইন টাওয়ার এ কাজ করা ১০০০ এরও বেশি ইহুদি কেন সে দিন কাজ এ গেল না তা নিয়েও রিপোর্ট এ কিছু বলা হয়নি। প্রথমে বলা হয় সেদিন ছিল সাবাত দিবস। এটা ভুল। সেদিন কোন ছুটি ছিল না। কেন, কিভাবে একই দেশের ১০০০+ কর্মী অফিস যাওয়া বন্ধ করে? পরে বিভিন্ন চ্যানেলে নিউজ হয় কতজন ইহুদি মারা গেছে তা নিয়ে। কিন্তু যারা মারা গেছে তাদের কেউ বাণিজ্যকেন্দ্রে চাকরি করতো না। তারা ঘুরতে গিয়েছিল।

রিপোর্ট এ রকম আরও শতশত প্রশ্নের জবাব দেয় হয়নি। কেন এগুলো এরিয়ে যাওয়া হয়েছে??? এর উওর একটিই হতে পারে--- সেটা কি অনুমান করা শক্ত না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.