নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাঘব বোয়ালের কবলে প্রিয় স্বদেশ

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

শিয়াদের মিছিলে হামলা, ইতালিয় নাগরিক ও জাপানি নাগরিকে হত্যা এবং ISIL এর দায় স্বিকার ব্যাপার গুলা আমার কাছে খুবই ভয়াবহ কিছু সূচনা বলে মনে হচ্ছে।
এক- আমাদের দেশের প্রায় সবাই সুন্নি। তবে বাস্তবতা হল ৯৯% ভাগই আসলে অবগত না শিয়া-সুন্নি বিভাজনের ব্যাপারে। তারা জানেই না শিয়া কি? কিভাবে তাদের সূচনা ইত্যাদি। ইতিহাসের কোথাও বাংলাদেশে শিয়া-সুন্নিদের মাঝে বিভেদ ছিল না। শিয়াদের উপর কারো ক্ষোভ নেই। শিয়াদের উপর হামলা হয়েছে এজন্য বাংলাদেশে কেউ খুশি হয়নি। তাই থিওলজিকাল কারনে শিয়াদের উপর হামলা হয়েছে এটা কোন ভাবেই সত্য হতে পারে না। যদি কাদিয়ানিদের উপর হামলা হত তবে ব্যাপারটিরর থিওলজিকাল একটি যোগসূত্র বের করা যেত। কারন তাদের সাথে এদেশের মুসলিমদের থিওলজিকাল এবং রাজনৈতিক বিরোধ খুবই পুরানো।
দুই- জাপানি নাগরিক কুনে মুসলিম হয়েছিল। নব-মুসলিমদের ISIL, আল কায়েদা, তালেবান বা এ জাতিয় গ্রুপগুলো অত্যান্ত পছন্দ করে। কিভাবে তারা নব-মুসলিমকে হত্যা করে।
তিন- ইতালিয় নাগরিক একটি ওলেন্দাজ এনজিও তে কাজ করতো। এই এনজিও-টি মূলত বিজ নিয়ে ব্যবসা করে [ওলেন্দাজরা ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিজ ব্যবসায়ি দেশ]। আমাদের দেশে প্রচুর বিদেশি আছে। ISIL এর সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান বা অ্যামেরিকার বহু মানুষ আছে। ইউরোপের অনেক লোক আছে যারা মদ বা এ জাতিয় ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদেরকে না মেরে একজনকে মারলো যে মোটামুটি ঝামেলা মুক্ত মানুষ ছিল। সকাল-বিকাল জগিং করতো। এবং এরই সুযোগ নেয় ঘাতকরা। তারা নির্জন একটি স্থানে হত্যা করে চলে যায়। অর্থাৎ তাদের মূল ব্যাপার ছিল ঝামেলা ছাড়া কাজ শেষ করা।
চার- ISIL এর সব কাজ প্রথম থেকেই আমি লক্ষ্য করছি। তাদের হামলা। বন্দিদের হত্যা। অল্প সময়ের মধ্যে নতুন মুদ্রার প্রচলন। তেল এবং জাদুঘরের জিনিস কালো বাজারে বিক্রি। অন-লাইন ম্যাগাজিন প্রকাশ। ফেইসবুক এবং টুইটার পেজ- ইত্যাদি কাজ খুবই Smartly করেছে। এসব কাজ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তারা কতটা Intellectual। বাংলাদেশের এই কাজগুলা কোন ভাবেই তাদের কাজের সাথে যায় না।
সরকার কোন ভাবেই এই ঘটনা ঘটাবে না। কারন একদম ঝামেলামুক্ত ভাবে সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই ঘটনাগুলো ঘটিয়ে সরকার বিনা কারনে চাপের মধ্যে পড়বে না। ২০ দলের একটি মিছিল করার ক্ষমতা নেই দেশে, এগুলা করার কোন প্রশ্নই আসে না। আর এ ঘটনা নিয়ে তারাও নতুন করে এক দফা ঝামেলায় পড়েছে।
প্রশ্ন থেকেই যায় কারা করলো এটা?
মনে হয় বড় বড় খেলোয়ার-রা খেলা শুরু করে দিয়েছে আমাদের দেশ নিয়ে।
এখন কাল যদি কোন মসজিদে হামলা হয় আর BBC/CNN এ নিউজ আসে শিয়াদের উপর হামলার প্রতিশোধ নিতে সুন্নি মসজিদে হামলা। অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পাকিস্তানে যা হয়। আর এটা ওপেন সিক্রেট পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি বিরোধের কল-কাঠি কারা নারে।
যদিও আমি এই সরকারের বড় সমালোচক, আমি মনে প্রানে চাই সরকার যেন এই ঘটনাগুলার সমাধান করতে পারে। এবং দল-মত নির্বিশেষে সবারই এটাই প্রার্থনা হওয়া উচিত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দাবার পন বললে কি ভুল হবে?? ভাবছি।। কে লাভবান হবে??

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

যাযাবর চিল বলেছেন: সহজ প্রশ্ন, সহজ উওর

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৬

কানিজ রিনা বলেছেন: এখানে বিদেশী ফাদারদের যোগ আছে কিনা এটা
গোয়েন্দা মহলই বলতে পারবে। যেভাবে ইরাক
ইরানে চলছে শিয়া ছুন্নির হানাহানি। সেখানে কাদের
হাত আছে সেটা ছাগলও বোঝে। খুব ভয় জানিনা
কিহয়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

যাযাবর চিল বলেছেন: আমাদের কি হবে সেটাই প্রশ্ন.।.।.।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.