নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিলেটে মুসলিম-ইসকনি হিন্দু বিরোধঃ দেশের আকাশে কালো মেঘ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮



তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব জ্ঞান শাখার আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। খ্রিস্টিয়ানিটি এবং ইহুদি ধর্মের পরে হিন্দুইজম আমার প্রিয় টপিক। হিন্দুইজমের একটি প্রধান বৈশিষ্ট হল বৈচিত্র্যতা। বাঙালি হিন্দুদের প্রধান উৎসব দুর্গা পুজা। তামিলনাড়ু গণেশ পুজা। অন্যদিকে যাবেন কালীপুজা। হিন্দুইজম বিভিন্ন দেবতা আছে যেমন ইঁদুর, হনুমান, সাপ ইত্যাদি। এবং মন্দিরগুলো এগুলোর নাম অনুসারে হয়। হিন্দুইজম নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছি। কাল ইসকন মন্দির নাম দেখে কিছুটা খটকা লেগেছে। ইসকন নামে কোন দেবতার নাম আগে শুনিনি। বসে গেলাম ঘটাঘাটিতে। খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা। ইসকন একটি সংগঠনের নাম কোন দেবতার না! ইসকনের জন্ম ম্লেচ্ছের রাজধানী নিউইয়র্কে, হিন্দুইজম অনুযায়ী যেখানে যাওয়াই নিষিদ্ধ [কালাপানি মানে আন্দামান পার হওয়া যাবে না]। International Society for Krishna Consciousness (ISKCON)। ১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টান মিশনারীতে। পেশায় ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী। সে যখন ইসকন প্রতিষ্ঠা করে তখন মেইনস্ট্রিম হিন্দুরা এর প্রতিবাদ করে। তার পাশে তখন এসে দাঁড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স প্রমুখ জিউ ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ। তখন থেকেই মেইনস্ট্রিম হিন্দুদের সাথে ইসকনের সমস্যা রয়েছে। গুগলে ইসকন ভার্সাস হিন্দুইজম লিখে সার্চ দিলাম। ৩ লক্ষ ৯ হাজার লিংক আসছে। “ইসকনরা আসলেই হিন্দু কিনা? হিন্দুরা ইসকন হতে পারবে কি? ইসকন-হিন্দু বিরোধ" ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। খোদ আমাদের বাংলাদেশে ২০১২ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির দখল করে নেওয়ায় প্রতিবাদে স্থানীয় হিন্দুরা ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। [সুত্রঃ http://archive.is/JbP92]

ইসকনের একটি মৌলিক থিওরি মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে নেওয়া। চৈতন্য’র অনতম মৌলিক থিওরি ছিল - “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো। বলা বাহুল্য মেইনস্ট্রিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা এই থিওরি বিশ্বাস করে না। এরা সমকামীতায় বিশ্বাস করে যা হিন্দুইজম অনুযায়ী একটা বড় পাপ।
ইসকন নিম্নবর্ণের হিন্দুদের নিয়ে বেশি কাজ করে। এ কারণে তাদের মন্দিরগুলো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের বসতির আশে-পাশে। যেমন ঢাকা শহরে স্বামীবাগে ইসকন মন্দির হওয়ার কারণ, স্বামীবাগে রয়েছে বিশাল মেথর পট্টি। এই মেথর পট্টিতে বিপুল সংখ্যক নিচুবর্ণের হিন্দুরা বাস করে। সিলেটেও ইসকনদের প্রভাব বেশি। কারণ চা শ্রমিকদের একটি বিরাট অংশ নিচু বর্ণের হিন্দু। স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষা বঞ্চিত নিচু বর্ণের হিন্দুদের দলে নেওয়া যায় সহজে।

আর একটি অসাধারন ব্যাপার হল ইসকনের সাথে ইহুদিদের সম্পর্ক। এই সংগঠনটি চালায় ইসকন এবং ইহুদিরা। এটা ইসকনের নেতারা সরাসরি স্বীকার করে। [সুত্রঃ http://goo.gl/xS3sfH] । অনলাইনে সার্চ দিলেই পাবেন ইজরাইলের রাস্তায় গেরুয়া পোশাক পরে হিন্দুরা উৎসব করছে, দখলকৃত জেরুজালেমে একেশ্বরবাদী ইহুদিদের উইলিং ওয়ালে মাথা ঠোকাচ্ছে!

আবু রুশদের “বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা- বাংলাদেশে ‘র’” বইয়ের ১৭১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,
“‘ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। মূলতঃ এটা ইহুদীদের একটি সংগঠন বলে জানা গেছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি।”.
এই হল ইসকন। এখানে ফ্লাশব্যাক দিয়ে রাখা ভাল। ইহুদিরা যে আমাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বলেছেন।

এখন আসি গতকালের ঘটনায়,
সিলেট ইসকন মন্দিরের ইয়ুথ ফোরামের সমন্বয়ক দেবর্ষি শ্রীবাস জানান, মন্দিরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও কীর্তন চলছিল। হঠাৎ বাইরে থেকে ঢিল ছোড়া হলে তাঁরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। নামাজের সময় অনুষ্ঠান ও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর অভিযোগে তুলে মন্দির লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
কয়েকজন এলাকাবাসী দাবি করেন, নামাজের সময় গান বা কীর্তন বন্ধ রাখার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ সে অনুরোধ শোনেনি। আজও নামাজ শেষে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মন্দিরের লোকজন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। [সুত্রঃ http://goo.gl/9k2s9e ]
যেহেতু মন্দিরের লোক নিজেই বলেছে, তারা কীর্তন গাচ্ছিল সেহেতু মুসলিমদের অভিযোগ সত্য। হতে পারে পরে মুসলিমদের কেউ কেউ বাড়াবাড়ি করেছে।
আমাদের গ্রামে প্রচুর হিন্দুর বাস। আমাদের বাড়ি থেকে কয়েকশ গজ দূরেই দুর্গার মণ্ডপ হয়। তাদের কখনো বলতে হয় না। তারা নিজে নিজেই আজান হওয়ার পর থেকে ৩০-৪০ মিনিট সাউন্ড বক্স, ঢোল, বাঁশি ইত্যাদি বন্ধ রাখে। আমি আমার নানী-দাদিদের মুখেও শুনিনি আমাদের এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সমস্যা হয়েছে কোনদিন। আমাদের বাড়ীর ঠিক পাশের বাড়িই হিন্দু। আমাদের সাথে অসাধারন সম্পর্ক। তারা আমাদের চেয়ে ভিন্ন এটা চিন্তা করার চিন্তাও মাথায় কখনো আসেনি। কিংবা তারাও ভিন্ন কিছু ভাবে বলে মনে হয়নি কিছু। বাংলাদেশের হিন্দুরা এমনি। নামাজের সময় তারা অনুষ্ঠান ও বাদ্যযন্ত্র বাজানা বাজিয়েছে এমন ঘটনা এর আগে কোথাও ঘটছে কিনা আমি জানি না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫২

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত ভাষায় সমালোচনা। খুব ভালো লাগলো ভাই। ধর্মীয় উগ্রপন্থাই মূল সমস্যা আর, সহনশীলতাই শ্রেষ্ঠ আদর্শ। অথচ, যা আমাদের মাঝে আজ অনুপস্থিত।
আপনি সত্যিই বলেছেন বাংলাদেশের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের একটা আন্তরিক সুসম্পর্ক রয়েছে। যার মাঝে ফাটল ধরাতে এইসব আয়োজন চলছে।
আমার জন্মগ্রাম ঘোষগাঁও (ময়মনসিংহ)। আমাদের বাড়ি থেকে ১০০ হাত দূরে হিন্দুদের কামাক্কা মাতার মন্দির। সারা বছর কত পূজা-অর্চনা চলে। কিন্তু কখনোই কোন সমস্যা হয়নি।
'ইসকন' সম্পর্কে সরকার সচেতন নয় বুঝা যাচ্ছে।
আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নয়, হিন্দুবেশধারী ইহুদীদের একটি সংগঠন। আবু রুশদের লেখা---“বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা- বাংলাদেশে ‘র’ বইয়ে লেখা আছে-
“‘ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। মূলতঃ এটা ইহুদীদের একটি সংগঠন বলে জানা গেছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি।”. (বই- বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা- বাংলাদেশে ‘র’ পৃষ্ঠা:১৭১)

জেনে রাখা দরকার, ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু হঠাৎ করেই তার মাথায় কেন হিন্দু ধর্মের নতুন সংস্করণের ভুত চাপলো, কিংবা কোন শিক্ষাবলে চাপলো তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-খ্রিস্টান এজেন্টরা।
.
ইসকন একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এ সংগঠনটির বেসিক কনসেপ্ট মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো।
.
উল্লেখ্য- এ সংগঠনটি হিন্দুদের অধিকাংশ বেসিক কনসেপ্ট স্বীকার করে না। তারা হিন্দুদের উপর সম্পূর্ণ নিজস্ব কনসেপ্ট চাপিয়ে দেয়। এদের চেনার সহজ উপায়- এরা সব সময় ইউরোপীয় সাদা চামড়াদের সামনে নিয়ে আসে। সংগঠনটি মুলত এনজিও টাইপ। এরা নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারি করে। এ কারণে তাদের আস্তানাগুলো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের আস্তানার পাশে। যেমন ঢাকা শহরে স্বামীবাগ মন্দিরের পাশে ইসকন মন্দির হওয়ার কারণ, স্বামীবাগে রয়েছে বিশাল মেথর পট্টি। এই মেথর পট্টির নিচুবর্ণের হিন্দুদের নিয়ে তারা দল ভারি করে। সিলেটেও ইসকনদের প্রভাব বেশি। কারণ চা শ্রমিকদের একটি বিরাট অংশ নিচু বর্ণের হিন্দু। এদেরকে দলে নিয়ে সহজে কাজ করে তারা।
.
বর্তমানে ইসকন চালায় ডাইরেক্ট ইহুদীরা। ইসকনের মূল নীতিনির্ধারকদের প্রায় অর্ধেক হচ্ছে ইহুদী। এটি আমার কোন দাবি নয়, এক ইসকন নেতারই দাবি।
.
বাংলাদেশে ইসকন কি চায় ও কি করে ??
স্বাভাবিকভাবে ইসকনের কর্মকাণ্ড শুধু নাচ মনে হলেও আদৌ তা নয়। ইসকনের কয়েকটি কাজ নিম্নরূপ-
.
১) বাংলাদেশে সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা এবং সনাতনদের মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া। যেমন স্বামীবাগের মন্দিরটি আগে সনাতনদের ছিলো, পরে ইসকনরা কেড়ে আগেরদের ভাগিয়ে দেয়। এছাড়া পঞ্চগড়েও সনাতনদের পিটিয়ে এলাকাছাড়া করে ইসকনরা। ঠাকুরগাও-এ সনাতন হিন্দুকে হত্যা করে মন্দির দখল করে ইসকন। এছাড়া অতিসম্প্রতি সিলেটের জগন্নাথপুরে সনাতনদের রথযাত্রায় হামলা চালিয়েছে ইসকন নেতা মিণ্টু ধর।
,
২) বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলা করা। কিছুদিন আগে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো ইসকন। নামজের সময় ইসকনের গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে এনে তারাবীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এবার হলো সিলেটে।
,
৩) বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটানো। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, ইত্যাদি। বর্তমান অনলাইন জগতে যে ধর্ম অবমাননা তার ৯০% করে ইসকন সদস্যরা।
,
৪) বাংলাদেশে সম্প্রতিক সময়ে চাকুরীতে প্রচুর হিন্দু প্রবেশের অন্যতম কারণ-ইসকন হিন্দুদের প্রবেশ করানোর জন্য প্রচুর ইনভেস্ট করে।
,
৫) সিলেটে রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজের ইস্যুর পেছনে রয়েছে ইসকন। ইসকন আড়াল থেকে পুরো ঘটনা পরিচালনা করে এবং পঙ্কজগুপ্তকে ফের লেলিয়ে দেয়। এখন পঙ্কজগুপ্ত জমি পাওয়ার পর সেই জমি নিজেদের দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিচারবিভাগে ইসকনের প্রভাব মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ খোদ প্রধান বিচারপতিও একজন ইসকন সদস্য।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

নকশা মাকড়সা বলেছেন: আইনের ভাষায় বলে- যে অপরাধ করে, আর যে অপরাধ করতে প্ররোচিত করে উভয়ই অপরাধী। গতকালকে সিলেটে ইসকন মন্দিরে গান বাজনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হয়েছে তাতে ইসকন মন্দিরের আহামরি কোন ক্ষতি হয়নি, বরং অনেক মুসলমান মারাত্মক আহত হয়েছে, অনেককে অযথাই গ্রেফতার করে কষ্ট দিযেছে পুলিশ। অথচ এই বিশৃঙ্খলতার সূচনার জন্য পুরোপুরি দায়ী ইসকন। তারা যদি ঐ সময় জুমার নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখতো তবে এত বড় একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটতো না। বলাবাহুল্য শুধু সিলেট নয়, সারা বাংলাদেশ জুড়েই ইসকনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ। তারা যে নামাজের সময় এবং মসজিদের পাশে গান বাজনা বাজায় এটা একটা প্রকাশ্য সত্য।

পুরো ঘটনায় উস্কানির জন্য ইসকন দায়ী এবং তাদের উদ্দেশ্য যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়িয়ে তোলা তা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ ছড়ানোর কৌশল দেখলে বোঝা যায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে মুসলমানরা অথচ ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ দ্বীজ গৌরাঙ্গ ব্রহ্মচারী বলেছে- সে থানায় মামলা করতে গিয়েছিলো। থানায় যদি মামলা না নেয় তবে সে আদালতে গিয়ে মামলা করবে। (http://goo.gl/wIBqUZ)

অর্থাৎ গান বাজনা বাজিয়ে বিশৃৃঙ্খলতার সূচনা করেই ইসকন ক্ষান্ত হয়নি,
এতগুলো মুসলমানকে মারাত্মক আহত করেও তারা ক্ষান্ত হয়নি,
৭০ উপরের মুসলমানকে গ্রেফতার করে কষ্ট দিয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি,
এখন তাদেরকে মামলা দিয়ে জেলে দিতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে।

আসলে, অতি সাম্প্রদায়িক, ইহুদী নিয়ন্ত্রিত, উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন বাংলাদেশে থাকার কতটুকু যোগ্যতা রাখে তা বিবেচনা করার দরকার আছে। নয়ত পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এ সংগঠনটি দেশে দ্রুত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেবে, এটা নিশ্চিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.