নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন ছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৭



ওবামা প্রশাসন লিবিয়া এবং সিরিয়ায় বিমান করেছে। সৌদিকে ইয়েমেন হামলায় সহায়তা করেছে। তুরস্কে এরদোগান সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মিশরে সিসিকে সহায়তা করেছে। তাহলে ওবামা এবং ট্রাম্পের পার্থক্যটা কোথায়? খুবই যোক্তিক প্রশ্ন।

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের তৃতীয় বিশ্বের দেশেরগুলোর রাস্ট্র বা সরকার প্রধানদের মত এমন সুপ্রিম ক্ষমতা নেই [একই অবস্থা ইরানে]।। সিনেট এবং কংগ্রেস বলে দুইটা বস্তু আছে তারা যথেষ্ট ক্ষমতাবান। এছাড়া আছে সামরিক বাহিনী, এফবিআই, সিআইএ, পেন্টাগন, ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম- এদের ক্ষমতা কেমন তা উদাহারন দেওয়া যায় এভাবে, আমাদের দেশের সামরিক বাহিনী যতটা স্বাধীন তার চেয়ে তারা অনেকে বেশি স্বাধীন এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত। এছাড়া আছে নেপথ্য শক্তি মহাশক্তিধর রসচাইল্ড পরিবার, রকফেলার পরিবার, ইলুমিনাতি, ফ্রি ম্যাসন, মিডিয়া গ্যাং, জায়নিস্ট লবি। অ্যামেরিকান ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত একটা গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছে [New World Order]। প্রেসিডেন্ট যেই আসুক সে এতগুলো শক্তির সাথে টক্কর দিয়ে গন্তব্য পরিবর্তন করতে পারবে না। এছাড়া একটা বড় সময় সিনেট এবং কংগ্রেস রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। তারা ওবামাকে সাহায্য করেনি। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের অনেক ক্ষমতা যদি সে এই ট্রেনের গন্তব্যে দিকের মতবাদের কেউ হয়।

ওবামা প্রশাসন অভ্যন্তরে অভিবাসী এবং মুসলিমদের জন্য তুলনামূলক ভাল পরিবেশ দিয়েছে [আমাদের প্রত্যাশা হয়তো আরও বেশি]। ইকনা, ইসনাসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনকে কাজ করতে বাঁধা দেয়নি। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ মুসলিম সংগঠনগুলোর মধ্যে এই সংগঠনগুলো একদম প্রথমদিকে থাকবে। ইসলামিক স্কলারদের অ্যামেরিকায় ঢুকতে বা লেকচার দিতে বাঁধা দেয়নি [বুশ প্রশাসন তারিক রামাদানকে অ্যামেরিকায় ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো]। তার সময় বুশ প্রশাসনের সময়ের তুলনায়, তৃতীয় বিশ্ব থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থী অ্যামেরিকায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
বহিঃবিশ্বে, ওবামা প্রশাসন বেশ বার বার ইজরাইলকে অনুরোধ করেছে বসতি না বাড়াতে। জাতিসংঘে যে অ্যামেরিকায় ভেটো পাওয়ার ব্যবহার করে গত ৬০ বছর ধরে ইজরাইলের বিরুদ্ধে আনা সব বিল বাতিল করেছে সেই অ্যামেরিকা ইজরাইলের বিরুদ্ধে আনা রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং প্রথম বারের মত জাতিসংঘে ইজরাইলের বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছে।
আমার পুরোপুরি বিশ্বাস, ওবামার জায়গা যদি অন্য যে কেউ প্রেসিডেন্ট থাকতো হোক সে ম্যাককেইন বা হিলারি বহিঃবিশ্বে হামলার পরিমান অনেক বেশি হত।

অ্যামেরিকার ভেতরের অভিবাসী এবং মুসলিমরা পার্থক্যটা এখনই বুঝতে পারছে। আমরা বাইরে থেকে পুরোপুরি বুঝতে পারবো ট্রাম্পের শাসন কিছুদিন যাওয়ার পর.........

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

"ওবামা প্রশাসন অভ্যন্তরে অভিবাসী এবং মুসলিমদের জন্য তুলনামূলক ভাল পরিবেশ দিয়েছে [আমাদের প্রত্যাশা হয়তো আরও বেশি]। ইকনা, ইসনাসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনকে কাজ করতে বাঁধা দেয়নি। "

- ইকনা, ফিকনা, ইসনাসহ সবার কার্যক্রম বন্ধ করার দরকার ছিলো; সেগুলো করার জন্য আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইয়েমেন ও ইথিওপিয়া আছে; আমেরিকায় এসব পাথরের যুগের ভিক্ষুক মিক্ষুকের দরকার নেই, এখানে মানুষ কাজ করে খায়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩১

যাযাবর চিল বলেছেন: আরও বাড়বে কাজ। ট্রাম্পের ৪ বছর হয়তো একটু কম থাকবে, তবে কানাডা সে ঘাটতি মিটিয়ে দেবে। খারাফ লাগলে কিচ্চু করার নাই ব্রো

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"লেখক বলেছেন: আরও বাড়বে কাজ। ট্রাম্পের ৪ বছর হয়তো একটু কম থাকবে, তবে কানাডা সে ঘাটতি মিটিয়ে দেবে। খারাফ লাগলে কিচ্চু করার নাই ব্রো "

-নিজেদের দেশসমুহ ধ্বংস করে, সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তানের পর, ইউরোপ ও আমেরিকাকে বিষাক্ত করার জন্য দুস্টরা এসব দেশে আসছে; এসব দেশ আগে কখনো রাজাকার প্রসব করেনি; এখনো সম্ভাবনা কম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৬

যাযাবর চিল বলেছেন: নিজের চোখেই দেখো ব্রো, চোখ মেলো, দেখো কোন ধর্মের অনুসারি সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। অ্যামেরিকা, ইউরোপে কোন ধর্মে মানুষ বেশি কনভার্ট হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হিজাব আর মসজিদে মুসল্লিদের সংখ্যা। ইউটিউবে মুসলিম স্পিকারসদের ভিউ, টুইটারে তাদের ফলোয়ার সংখ্যা। কিচ্চু করার নাই ব্রো, বাসায় বসে *য়া থাপ্রাও ;)

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লেখাটিকে পছন্দ করেও লিখতে হচ্ছে কিছু যৌক্তিকতায়, শেষ বিরোধীতায় ট্রাম্পের পথ কন্টকাকীর্ন করা ছাড়া??
(এবং অবশ্যই আমার হিসাবে), ওবামা কখন ভেটো পাওয়ার ব্যাবহার করে নি?? আর বসতি না বাড়ানোর কথায়, ইসরাইল কি করেছে?? যেখানে বিশ্বের অন্য কোনদেশের পক্ষে এটা না মানলে কি হয় তার প্রমান টিটোর যুগোস্লাভিয়া!!
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অভ্যুত্থানের নামে নির্বাচিত সরকারদের অবহেলার ফল আজ তাদেরই জন্য বুমেরাং :-/ ।।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

যাযাবর চিল বলেছেন: আর বসতি না বাড়ানোর অনুরোধ করার ছাড়া অ্যামেরিকার ইজরাইলকে কিছু বলার ক্ষমতা নেই।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

"লেখক বলেছেন: নিজের চোখেই দেখো ব্রো, চোখ মেলো, দেখো কোন ধর্মের অনুসারি সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। অ্যামেরিকা, ইউরোপে কোন ধর্মে মানুষ বেশি কনভার্ট হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হিজাব আর মসজিদে মুসল্লিদের সংখ্যা। ইউটিউবে মুসলিম স্পিকারসদের ভিউ, টুইটারে তাদের ফলোয়ার সংখ্যা। কিচ্চু করার নাই ব্রো, বাসায় বসে *য়া থাপ্রাও "

-সন্ত্রাসীদের সংখ্যা বাড়ছে!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

যাযাবর চিল বলেছেন: কে সন্ত্রাসী আর কে পুলিশ তা নির্ভর করে তুমি কোন পাশে আছো তার উপর ;)

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম পিএইচডি স্পীকারেরা যা বলে, আমেরিকান ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তার থেকে হাজারগুণে সঠিক ও শুদ্ধভাবে বলতে পারে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

যাযাবর চিল বলেছেন: তাই নাকি?

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দেশের খবরই রাখতে পারিনা, আমেরিকারে কেমনে চিনি!

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কেও নিরব শয়তান অার কেও মুখ ফোসকে বলে ফেলেন।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: ওবামা থেকে ট্রাম্প অবশ্যই উত্তম ।মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি এবং আইএসের জন্ম দিয়ে যে শান্তিতে নোবেল পায় সে যে কতটুকু ভাল তা বোঝা যায় ।
ট্রাম্প আর যা করুক অন্তত পৃথিবীতে সন্ত্রাস বাড়তে দিবেনা এটা নিশ্চিত থাকুন ।

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২

Ridwan Raihan বলেছেন: বাস্তব হলেও মেনে নিতে হবে , যুক্তরাষ্টের আসনে যেই আসিন হবে সে না চাইলেও অনেক কিছু করতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.