নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা নিয়ে বাংলাদেশি বাঙালিদের আদিখ্যেতা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯


আমার ভাষা আমার অহংকার। আমরা ভাষা প্রেমী জাতি। আমরাই পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি।।
একদম ছোট বেলায় এই শ্লোকগুলা আমাদের শেখানো হয়। আমরাও শ্লোকগুলো গিলি। এবং বছরের এই মাসে মানে ফেব্রুয়ারি মাসে এসে তা উগ্রে দেই। Social science একটা কথা আছে, Arguments must be supported by logics and factual truth. অর্থাৎ আপনার তত্ত্ব, তথ্য এবং বাস্তব সত্য দিয়ে প্রমানিত হতে হবে।
১৯৫২ সালে আমি ছিলাম না। কি হয়েছিলো আমি জানি না। ১৯৫২ নিয়ে যত লেখা পড়েছি সব একপেশে, আবেগ নির্ভর এবং বস্তুনিস্ট নয়। শুধু মাত্র ১৯৫৬ সালের সংবিধানের ভাষা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদগুলো কিছুটা বস্তুনিষ্ঠ। বর্তমান বাংলাদেশের সমাজ এই শ্লোকগুলোর পক্ষে কিছু বলে না।

আমাদের দেশে বাবা-মায়েরা ছেলে মেয়ে ইংরেজি ছড়া, অক্ষর বলতে পারলে গর্ব করে বলে সবাইকে বলে। বাংলা পারলে তার ছিটে ফোটাও থাকে না। ব্রিটিশ বা অ্যামেরিকান স্কুল গুলোতে পড়া বাচ্চাদের অনেক অভিভাবক তো গর্ব করে বলে, আমার ছেলে বাংলা পারে না! “জানেন দাদা আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না”। আমাদের দেশে ৩ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে- ১) বাংলা মাধ্যম। ২) ইংরেজি মাধ্যম [জাতীয় বোর্ডের অধীনে]। ৩) ব্রিটিশ বা অ্যামেরিকান স্কুল [ইংলিশ মিডিয়াম]। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা কিছুটা ব্যয় বহুল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, যাদেরই সামর্থ আছে তারা সন্তানকে ব্রিটিশ বা অ্যামেরিকান স্কুলে ভর্তি করে। এরপর যারা আছে তারা ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা আছে কিন্তু এরপরও সন্তানকে বাংলা মাধ্যমে পড়ায় এমন উদাহারন কম। যারা বাংলা মাধ্যমে পড়ে সমাজে তাদের অবস্থান ৩ নম্বরে। এটাই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।

গতবছর সময় টিভি একটি রিপোর্ট করে। পরে ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। তারা বইমেলায় গিয়ে ১৫-২০ জনকে প্রশ্ন করে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি করে কি হয়েছিলো? কেউই সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।

যত দোকানের সাইনবোর্ড বা বিলবোর্ড দেখবেন তার প্রায় সবই ইংরেজিতে। হাইকোর্টের আদেশের পরেও বাংলা সাইনবোর্ড পাওয়া যায় না।

শহীদ মিনার নামে একটি বস্তু আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। এটা ভাষা শহীদদের স্মরণে তৈরি করা। জুতা পরে এর উপরে উঠা নিষিদ্ধ। এমনকি হাইকোর্টের এ ব্যাপারে একটি রুলও আছে। ফ্রেবুয়ারি মাসের ১৯ থেকে ২২ তারিখ এই কয়েকদিন ছাড়া যেকোন দিন যান সেখানে। দেশের মানুষের কতটা সম্মান ভাষা শহীদের প্রতি পরিষ্কার বোঝা যাবে।

অ্যামেরিকাতে কিছুদিন আগে একটা জরিপ হয়েছিলো, অভিবাসীদের ভাষার অবস্থা নিয়ে। সেখানে পাঞ্জাবিদের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্ম পর্যন্ত ভাষা টিকে আছে। কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে তৃতীয় প্রজন্মে গিয়েই ভাষা হারিয়ে গেছে।[একটা মজার বিষয়, ৫২ তে ৫৫ ভাগ মানুষ বাংলায় কথা বলতো। ২০ ভাগের মত পাঞ্জাবি। উর্দু ৩-৪ ভাগ। বাঙালিরা ভাষা আন্দোলন করেছিলো। পাঞ্জাবিরা করেনি।

অর্থাৎ মুখে যতই ফেনা তুলুক না কেন, বাংলাদেশর সমাজ মোটেও ভাষাপ্রেমী না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫২

রিফাত হোসেন বলেছেন: ১০০ ভাগ সত্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.