নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকজন ভাষাবিজ্ঞানীর দৃষ্টতে \'বাংলা ভাষা এবং মুসলিম\'

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১


'মুসলমানদের আগমনের পূর্বে বাংলা ভাষার বাস ছিল বাঙলার গ্রামাঞ্চলে কৃষকের কুঁড়েঘরে, ঘোমটা পরা দরিদ্র নারীদের সাথে। ব্রাহ্মণ পন্ডিতরা বাংলাকে নিম্নশ্রেনীর মানুষের ভাষা মনে করতেন এবং তাদের জীবনে সেটিকে স্থান দিতেন না। ‘ভদ্রলোকদের’ কাছেও এটি গ্রহণযোগ্য ছিল না। বরং, বাংলা ছিল তাদের কাছে ঘৃণা, অশ্রদ্ধা এবং উদাসীনতা প্রকাশের বস্তু।
ভারতে ইসলামের আগমনের পর ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যের ছোঁয়ায় মূলত বাংলা একটি ভাষার (পূর্ণাঙ্গ) রূপ লাভ করে। মুসলমানদের বাঙলা বিজয়ই বাংলা ভাষাকে গ্রামের কৃষকের কুঁড়েঘর থেকে বের করে এনে এটিকে সাহিত্যের মহাসড়কে উঠিয়েছে।
বাংলা ভাষা তার সাহিত্যিক প্রকাশ লাভ করে এই সময়ে। যেমন ১২শ শতাব্দীতে পদাবলী কীর্তন, চরিত্র লীলা অমৃত এবং রামায়ন ও মহাভারতের বাংলা অনুবাদের মধ্য দিয়ে।
এই দেশে বাংলা ভাষা বহু আগে থেকেই ছিল, এমনকি (গৌতম) বুদ্ধ’র সময়েও ছিল। কিন্তু এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলা সাহিত্য এক দিক থেকে মুসলমানদের সৃষ্টি।’
রেফারেন্সঃ
১. দীনেশ চন্দ্র সেন, বঙ্গভাষার উপর মুসলমানের প্রভাব’, ড. হুমায়ুন আজাদ সংকলিত, বাংলা ভাষা: বাংলা ভাষা বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন, ভলিউম ২য়, দ্বিতীয় সংস্করণ, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ২০০১, পৃষ্ঠা ৫৯৬।
২. প্রভাতকুমার বন্দপাধ্যায়, রামমোহন ও তৎকালীণ সমাজ ও সাহিত্য, ১৯৬৫ সালে কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে দেয়া ‘বিদ্যাসাগর লেকচার’, বিশ্বভারতী, পুনঃমুদ্রণ, ১৯৮৭, কলকাতা, ভারত, পৃষ্ঠা ৪।
৩. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫৯৮।
৪. নুরুল কবির, বাংলা ভাগে ভাষা ও সাহিত্যের রাজনীতি পর্ব-১

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮

আহা রুবন বলেছেন: ব্রাহ্মণ পন্ডিতরা বাংলাকে নিম্নশ্রেনীর মানুষের ভাষা মনে করতেন এবং তাদের জীবনে সেটিকে স্থান দিতেন না।

এই মনোভাবাপন্নরা মুসলমানদের মধ্যেই আছে। এরা উচ্চশ্রণির মনে করে কখনও আরবি, ফারসি বা উর্দুকে আজকাল ইংরেজি।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলা সাহিত্য এক দিক থেকে মুসলমানদের সৃষ্টি?

প্রকৃত মুসলিমরা (দাবিদার) অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের আলকায়দা, আইসিস, পুর্ব আফ্রিকার আল সাবাব ও মধ্য আফ্রিকার বোকোহারাম।
এরা মনেকরে শিল্প, সাহিত্য হারাম। সুধু নারী শিক্ষা না, যে কোন শিক্ষাই হারাম।
এদের কাছে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ সবই হারাম।
শিল্প, সাহিত্য, কবিতা ছড়া, সঙ্গিত, চারুকলা কোন প্রানীর ছবি আঁকা, ছবিতোলা, ভাষ্কর্য তৈরি করা, ফটোগ্রাফি সহ সকল শিক্ষাই হারাম।
বোকোহারাম শব্দের অর্থই 'শিক্ষা হারাম'।

আর এদেশী বোকোহারামজাদারা (তেতুল মোল্লারা) অবস্য একটু উদার। বালিকাদের ৫ম শ্রেনী (মাদ্রাসায়) পর্যন্ত অনুমোদন দেয়।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কিন্তু ভাষাবিজ্ঞানী হয়ে গেলেন আজ থেকে।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সুদূর আম্রিকা থেইকা কিছু ব্রা-ম্মন আইসা ল্যাদাইয়া পরিবেশ নষ্ট কইরা গেলো ! এরা আসলে জাতিতে ব্রা-ম্মন , ভুল কইরা বাংলাদেশের মুসলমানের ঘরে আয়া পড়ছে ! বাংলা যে প্রাকৃত ভাষা থেকে জন্ম নিছে তা প্রাকৃতজনদেরই ভাষা ছিল , যাদের অধিকাংশই ছিল চাষা।ব্রা - ম্মনরা সবকিছুরই কৃতিত্ব ছিনতাই করতে চায় ! তাদের প্রভু ইংরেজ না আইলে এরা সংস্কৃতিতে কথা কইতো আমি নিশ্চিত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.