নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ পাঠঃ একজন জমিদার রবীন্দ্রনাথ

০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন অসাধারণ সাহিত্যিক। একজন দার্শনিক। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন জমিদার। আজ রবীন্দ্রনাথ পাঠের দ্বিতীয় পর্বে, জমিদার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেমন ছিলেন আসুন তা বোঝার চেষ্টা করি...
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। তাঁর দফায় দফায় খাজনা বৃদ্ধি এবং জোর-জবরদস্তি করে তা আদায়ের বিরুদ্ধে ইসমাইল মোল্লার নেতৃত্বে শিলাইদহে প্রজা বিদ্রোহ ঘটেছিল"।
(জমিদার রবীন্দ্রনাথ, অমিতাভ চৌধুরী, দেশ, শারদীয় সংখ্যা, কলকাতা ১৪৮২)
রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের প্রাইভেট সেক্রেটারি অমিয় চক্রবর্তী একবার বিশাল জমিদারীর একটি ক্ষুদ্র অংশ দরিদ্র প্রজাসাধারণের জন্য দান করার প্রস্তাব করেছিলেন ।রবীন্দ্রনাথ ইজি চেয়ারে আধ শোয়া অবস্থা থেকে সোজা হয়ে বসে বলেছিলেন-
‘‘বলো কি হে অমিয় ! আমার রথিন তাহলে খাবে কি ?’’
(অন্নদা শংকর রায়ের রচনা থেকে উদ্ধৃত, রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তাধারা, আবু জাফর, বইঘর, চট্টগ্রাম ১৯৮৫)
"জমিদার হিসেবে ঠাকুর পরিবার ছিল অত্যাচারী। গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বুট পরে প্রজাকে লাথি মেরেছেন,পায়ে দলেছেন দেবেন ঠাকুর। এটাই রেকর্ড করেছিল হরিনাশ মজুমদার। যিনি মহর্ষি বলে পরিচিত, তিনি এ রকমভাবে মানুষকে পদাঘাতে দলিত করেন। গ্রাম জ্বালাবার কথাও আছে। আবুল আহসান চৌধুরীর কাছে এর সমস্ত ডকুমেন্ট আছে। সমগ্র ঠাকুর পরিবার কখনো প্রজার কোনও উপকার করে নাই। স্কুল করা,দীঘি কাটানো এসব কখনো করে নাই। মুসলমান প্রজাদের চিট করার জন্য নমঃশূদ্র প্রজা এনে বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি রবীন্দ্রনাথের মাথা থেকেই বের হয়েছিল। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার তার ‘গ্রাম্য বার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকায় ঠাকুর পরিবারের প্রজা পীড়নেরর কথা লেখে ঠাকুর পরিবারের বিরাগভাজন হয়েছিল।”
- ড. আহমদ শরীফ
(দৈনিক বাংলাবাজার, ১৪ এপ্রিল ও ১মে ‘৯৭)
১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে জমিদারীতে খাজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গরীব মুসলমান প্রজারা তাঁর পায়ে পড়লো, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নির্মমভাবে তা আদায় করলেন । পরে সেই বাড়তি আয়ের টাকায় মার্কিন কোম্পানীর কাছ থেকে ডেবরাকোল জমিদারী খরিদ করেছিলেন । এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রবন্ধকার শ্রী অরবিন্দু পোদ্দার লিখেছিলেনঃ
“জমিদার জমিদারই । রাজস্ব আদায় ও বৃদ্ধি, প্রজা নির্যাতন ও যথেচ্ছ আচরণের যেসব অস্ত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাংলার জমিদার শ্রেণীর হাতে তুলে দিয়েছিল, ঠাকুর পরিবার তাঁর সদ্ব্যবহারে কোনও দ্বিধা করেনি। এমনকি জাতীয়তাবাদী হৃদয়াবেগ ঔপনিষদিক ঋষি মন্ত্রের পুনরাবৃত্তি এবং হিন্দু মেলার উদাত্ত আহবানও জমিদার রবীন্দ্রনাথকে তাঁর শ্রেণীস্বার্থ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি"।
( শ্রী অরবিন্দু পোদ্দার, রবীন্দ্রনাথ ও রাজনৈতিক গ্রন্থ দ্রষ্টব্য)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি ছিল পূর্ব -বাংলায়। এই পূর্ব -বাংলার মুসলমান প্রজাকুল থেকে খাজনা আদায় করে পশ্চিম – বাংলার কলিকাতায় শান্তি -নিকেতন, বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নোবেল প্রাইজ-এর পুরো অর্থও ব্যয় করেছেন বিশ্ব ভারতীতে। কিন্তু পূর্ব -বাংলার প্রজাদের কল্যাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ছিলো একেবারে মুষ্টিবদ্ধ। এর কারন কি!? সেটা বোঝার চেষ্টা করবো আগামি পর্বে...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইয়া মাবুদ কত বদলোক ছিলেন আমি তো এর কিছুই জানতাম না

এত অন্যায় আর অত্যাচার উনি করেছেন প্রজাদের -
আর আমরা কত আনন্দ নিয়ে উনার গান শুনি ( অবশ্য গান অন্য ব্যাপার)

কিন্তু কেনো জানি একটা ঘেন্না ভাব জন্ম নিল বদলোকের উপর।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি ছিল পূর্ব -বাংলায়। এই পূর্ব -বাংলার মুসলমান প্রজাকুল থেকে খাজনা আদায় করে পশ্চিম – বাংলার কলিকাতায় শান্তি -নিকেতন, বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নোবেল প্রাইজ-এর পুরো অর্থও ব্যয় করেছেন বিশ্ব ভারতীতে। কিন্তু পূর্ব -বাংলার প্রজাদের কল্যাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ছিলো একেবারে মুষ্টিবদ্ধ।

তাইতো তিনি সোনার বাংলাকেই ভালবেসেছিলেন, সোনার মানুষকে ভালবাসার কথাতো বলেননি।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: একজন মানুষ তো সব বিষয়ে ব্যাতিক্রম হইতে পারে না।তিনি সাহিত্যে ব্যাতিক্রম মেধার অধিকারী ছিলেন। জমিদারিতে নাহয় অন্যদের মতোই হলেন ! মানুষতো ! দেবতাতো নহেন !

০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:০৭

যাযাবর চিল বলেছেন: আমি প্রথমেই বলেছি তিনি অসাধারণ সাহিত্যিক এবং একবারই বলি নাই তিনি দেবতা।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তাই নাকি এই কি বলেন। আমরা এতো ভাল বাসি ওনাকে!

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

ফকির জসীম উদ্দীন বলেছেন: একজন কবি ও একজন জমিদার আলাদা রূপ রবীন্দ্রনাথ। আমরা তার সাহিত্যাকাশে ঘুরি, জমিদারীতে নয়। তাই যদি না হবে, শিলাইদহের ঠাকুরবাড়ির পাশেই একজন 'বুজুর্গানে দীনের' রওজা আছে তার খবর জানিও না।

০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

যাযাবর চিল বলেছেন: হুম। জমিদার রবীন্দ্রনাথকে আমি ঘৃণা করি।

৬| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কবিগুরুর জীবনের এই অজানা/কম জানা বিষয়ে লিখে আপনি ভালো করেছেন। মানুষের সব কিছু জানার অধিকার আছে।


ধন্যবাদ যাযাবর চিল।

৭| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:২৯

হাফিজ রাহমান বলেছেন: তবু তাকে নিয়ে কত মাতামাতি ! তবে জমিদার রবি ঠাকুরকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে; কবি রবিঠাকুরকে নয়। শুনেছি বঙ্গ ভঙ্গের বিরুদ্ধে তিনি আমার সোনার বাংলা লিখেছিলেন। ফল কি দাঁড়ায় ? বাংলাদেশ নামের স্বতন্ত্র অঞ্চলের পরিচয় ফুটে না উঠুক। ভারতের সাথে মিলে একাকার হয়ে থাক। বেঁচে থাকলে তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির বিপক্ষেই অবস্থান করতেন। ফলে তিনি বাংলাদেশ নামের একটি স্বতন্ত্র্য স্বাধীন রাষ্ট্রের বিপক্ষেই থাকতেন !??

৮| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৭

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: এসব কী ঘটনা না রটনা? আর একটু খোলাসা করে বললে হয় না! কোথাও না হোক,পাঠকের আদালতে না হয়এক প্রস্থ হয়ে যাক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.