নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানি না দিয়ে সেই টাকা বানভাসী মানুষকে দিন

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭



কুরবানি না দিয়ে সে টাকা বানভাসি মানুষের সাহায্যে দিন। যারা এই কথা বলছেন বানভাসি মানুষের জন্য তাদের ভালবাসা নিয়ে সন্দেহ করার কোন সুযোগ নেই।

ইসলামি লিটারেচারে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার ব্যাপারে অনেক বেশি বর্ণনা করা হয়েছে। কুরঅান, হাদিস এবং বিভিন্ন ইসলামি স্কলারদের লেখায়। অনেক শাস্তির সাজা হল দান করা। জাফর (রাঃ) নাজশিকে ইসলামের বিধান কেমন তার ধারনা দিতে অল্প কয়েকটা উল্লেখ করেন; তার মধ্যে একটা ছিল অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করা। তখন নামাজ, রোজা ফরজ হয়নি, জিহাদ সংক্রান্ত কোন রকম বিধানই নাযিল হয়নি। একই সাথে ইসলাম অনুযায়ী মানুষ হল আল্লাহের খলিফা- প্রতিনিধি। অর্থাৎ ক্ষমতা এবং অর্থ সবকিছুর মালিক আল্লাহ। আল্লাহের প্রতিনিধি হিসেবে তা আপনার-আমার কাছে আছে কিছু সময়ের জন্য। যতটুকুই থাক তা খরচ করতে হবে আল্লাহের পছন্দ অনুসারে। এটাই ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি।

কুরবানি সব মুসলিমের জন্য ওয়াজিব নয়। পরিবার ভরণপোষণ করার পর, ঋণ থাকলে তা বিয়োগ করে, জিলহজ্জ্ব মাসে ৭.৫ ভরি সোনা বা ৫২.৫ তোলা রুপা বা সমপরিমাণ নগদ অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব। মানে কুরবানি যে দেয় সে ইতিমধ্যে একজন সচ্ছল ব্যক্তি।

কিন্তু অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে নূনতম সামর্থ্য থাকলেই।

কুরবানির পশুর চামড়ার অর্থ দান করা হয়। কুরবানির মাংসের ৩ ভাগের ২ ভাগ বেলানো হয়। কুরবানি মানু্ষকে ত্যাগের শিক্ষাই দেয়।
কুরবানি আল্লাহতালার নির্ধারিত বিধান। তাই কুরবানি না দিয়ে সে অর্থ সাহায্য দিয়ে মানবতা দেখানো এটা কোন ভাবেই মুসলিম মনের আবেগ হতে পারে না। একটা কথা যোগ করা যায়, ঈদে শপিং ঠিকই করবেন, পিজ্জা হার্টে গিয়ে ১৫০০ টাকায় পিজ্জা ঠিকই খাবেন, উইকেন্ডে ব্লক বাস্টারে মুভি-পার্টি সবই চলবে। এছাড়া দেশে সাবেক #১ পর্ন স্টার আসছে; তাকে দেখতে যাওয়ার টিকেটের দাম সবচেয়ে কমটা ১৫০০০। সেটাও চলবে; শুধু কুরবানি দেবেন না :)

যাদের ব্যক্তিগত জীবনে বা চিন্তায় ধর্মের কোন গুরুত্ব নেই; যারা সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে নাস্তিক্যবাদী চিন্তা লালন করে তারাই এইসব কথা প্রচার করছে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

উদাস মাঝি বলেছেন: বিশেষ করে, হিন্দু ভাইরা এই কথা প্রচার করছে ।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: কুরবানি সব মুসলিমের জন্য ওয়াজিব নয়। পরিবার ভরণপোষণ করার পর, ঋণ থাকলে তা বিয়োগ করে, জিলহজ্জ্ব মাসে ৭.৫ ভরি সোনা বা ৫২.৫ তোলা রুপা বা সমপরিমাণ নগদ অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব। মানে কুরবানি যে দেয় সে ইতিমধ্যে একজন সচ্ছল ব্যক্তি।


কুরবানির তিনদিনের যেকোনো সময়ে যদি কারো কাছে নিসাব পরিমান সম্পদ আসে তবে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআন হাদীসে এই কথা লেখা আছে?

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

ঋদ্ধি বলেছেন: আমার মনে হয় ব্যাপারটা খুব সহজ।
কুরবানি একটি ধর্মীয় বিধান। আর কুরবানি দেয়া বা না দেয়া ব্যক্তির সিদ্ধান্ত।
বন্যার্তদের কিভাবে সাহায্য করবো এটা আমার নিজস্ব চিন্তা।
আমি কুরবানি দিব কি দিব না, সে বিষয়ে আমি অন্যের পরামর্শ কেন শুনবো?
আসলে দুর্যোগকালীন সময়ে যারা অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরী করে সমস্যা কে সংকটে পরিণত করেন তাদের দ্বারা আর যাই হোক মানুষের কল্যাণ হয় না।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কুরবানি যাদের ফরয তাদের তা আদায় করতেই হবে। কুরবানি আদায়ের পর সাহায্যও দিতে পারেন বিভিন্ন ভাবে। শেষের কথাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: তাইলে যেই টাকা বিবাহ শাদির অনুষ্ঠান, ফুর্তিবাজি, বিউটি পার্লার, সামাজিক স্ট্যাটাস ইত্যাদি বাবদ খরচ হয়, সেই টাকার কি হবে?

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৪

আমপাবলিক বলেছেন: চেংকু প্যাঁকের সাথে সহমত পোষন করে উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম...

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মনে হয় যেন বাংলাদেশীরা শুধু কোরবানীতেই খরচ করে বাকী বছর শুধু দিনে আনে দিন খায়...

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৫

chondrobhuk বলেছেন: কুরবানীর বিপক্ষে ইনিয়ে বিনিয়ে যারা প্রচার চালাচ্ছে সামু তাদের কিচ্ছুটি বলবে না,, এটা পরমতসহিষ্ণুতা, সুস্থ বিতর্ক।কিন্তু যেই আপনি মিনমিন করে এই দুর্যোগের সময় সাড়ম্বরে দূর্গোৎসব বা হোলির বিষয়ে কিছু জানতে চাইবেন তৎক্ষণাৎ আপনর আইডি ব্যানকরা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.