নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতিউর রহমান

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪



গেল ২০ আগস্ট, মতিউর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী

মতিউর রাহমানকে আমার মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে অভিনব চরিত্র মনে হয়। সম্মুখ যুদ্ধে অংশ না নিয়েও তিনি যুদ্ধের সর্বোচ্চ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন। তবে আমার মনে হয় পদক তাকে সম্মানিত করে নি বরং পদকই তার হতে পেরে সম্মানিত হয়েছে। যুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনির অফিসারদের বিলাশবহুল বাংলোতে বসবাস করতেন মতিউর রহমান । ক্যান্টনমেন্টে স্ত্রী/ পরিবারকে অরক্ষিত/বিপদে রেখে বাংলায় আসতে চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষকে হত্যার প্রতিবাদ করতে। অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ২০ ই আগস্ট সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রশীদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে, চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। এ সময় রশীদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশীদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রশীদ সহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সাথে প্যারাসুট না থাকায় মতিউর ঘটনাস্থলেই শাহাদত বরন করেন।

রশিদ মিনহাজ তার ইসলামি রিপাবলিককে রক্ষা করার জন্য নিজে মরেও মতিউরের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে। পাকিস্তান সরকার রশিদ মিনহাজকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনির সর্বোচ্চ সম্মান ‘নিশান-ই হায়দার’ উপাধিতে ভূষিত করে। [এটা পৃথিবীর ইতিহাসের বিরলতম ঘটনা। একই ঘটনায় ২ জন নিজ দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে]

কে বিজয়ী ?

মতিউর রহমান সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে নিজের জীবনটা দিয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখন নদীতে লাশ ভাসে। গার্মেন্টস এ আগুনে প্রতি বছরে শত শত মানুষ মরে। হরতালের আগুনে মানুষ বাসে জীবন্ত দগ্ধ হয়, আবার কখনও প্রতিপক্ষের লাশের উপর নৃত্য।
রশিদ মিনহাজ তার ইসলামি রিপাবলিকে রক্ষা করার জন্য মারা গেল। পাকিস্তানে এখন প্রতি বেলা বিভিন্ন শিয়া-সুন্নি মসজিদে হামলা হয়। আমেরিকা প্রতি বেলায় বিভিন্ন পাহাড়ে মনুষ্য বিহিন হামলা করে পাইকারি দরে মানুষ হত্যা করছে।
মানুষের বিচারে অবশ্যই একজন শহীদ অন্যজন অপরাধী। কিন্তু আল্লাহের বিচারে কি??
আল্লাহ দুইজনকেই শান্তিতে রেখো। দুইজনের উদ্দেশ্যই মহৎ ছিলো......

বিঃদ্রঃ- আমরা দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ২৪ ঘন্টা গলা ফাটালেও আজ মতিউরকে কেউ মনে রাখেনি। কিন্তু পাকিস্তানিরা মিনহাজকে ভোলেনি। টুইটার/ফেইসবুকে #RashidMinhas হ্যাশট্যাগে ভরে গেছে। কিন্তু #MatiurRahman এ কিছু নেই। মতিউর আমাদের ক্ষমা করুন, আপনাকে আমরা যোগ্য সম্মান দিতে পারিনি.......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই। আমরা মনে হয় একটু বেশিই বেঈমান।

শ্রদ্ধাঞ্জলি বীর বীরশ্রেষ্ঠ-এঁর জন্য

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



যুদ্ধে কেউ জিতে না। সবাই হারে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.