নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন হিন্দু রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিচ্ছে?!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৮


গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জালে একটা প্রচার দেখছিলাম, রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিচ্ছে। ব্যাপারটি নিয়ে খটকা লেগেছিলো। ডেইলি মেইল, ডয়েচ ভেল এবং বিবিসির খবর দেখে বুঝলাম। আরাকানের হিন্দুরা টুপি-হিজাব পরে নিজরাই নিজেদের বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে। কিন্তু কেন!?
খুবই পুরানো কৌশল...
বছর খানিক আগে সিরিয়ার যুদ্ধ যখন চরমে। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে সিরিয়ার সাধারণ মানুষ ছোট ছোট নৌকায় করে বিশাল সমুদ্রে নেমে পরে [মরুভূমির মানুষ সাতাঁর জানে না]। অনেকে ইউরোপে পৌছে। এ সময় প্রচুর নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। সমুদ্রে ভেসে আসা সিরিয় শিশু আয়লানের ছোট্ট নিথর দেহ বিশ্ব মানবতাকে একটা ঝাঁকি দেয়। ইউরোপসহ সারা দুনিয়ার মানুষ তখন শরণার্থীদের পক্ষে চলে যায়, ফলে ইউরোপে বেশকিছু শরণার্থী আশ্রয় পায়। শরণার্থী শিবিরগুলোতে সাহায্য যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
ঠিক এরপরই একটি একদল সিরিয়দের নামে মিথ্যা কুৎসা রটনা শুরু করে। প্রচার শুরু করলো- তারা নাকি ধর্ষণ করে, জুয়া খেলে, নারী নির্যাতন করে, চুরি করে, খুন করে। নানান মিথ্যা অপবাদ। এদের সাথে যুক্ত হল ইসলামোফোবিক দলগুলো এবং তাদের মুসলিম জুজু কার্ড। ফলাফল, ধীরে ধীরে ইউরোপীয়রা শরানার্থী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলো। তাদের ক্ষোভ এতটাই বৃদ্ধি পেলো যে, রাস্তায় রাস্তায় তারা শরনার্থী পেটানো শুরু করলো। এমনকি নিরীহ শরনার্থী শিবিরে আগুন দিয়েছিলো ফরাসিরা [http://bit.ly/2weCjZ2]
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, রাখাইন সম্প্রদায় এবং বৌদ্ধ যাজকরা ইতিহাসের নির্মমতম নির্যাতন করছে রোহিঙ্গাদের উপর। পুরুষ যুবকদের ধরে নিয়ে গুলি করছে, মহিলাদের রেপ করে গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আর শিশুদের নিক্ষেপ করা হচ্ছে আগুনে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসবে সেটাও দুঃস্বপ্ন, সীমান্তে পোতাঁ আছে ল্যান্ড মাইন আর অকুল সমুদ্র। বন্যার পানির মত একের পর এক লাশ ভেসে আসছে টেকনাফের সৈকতে। আর অন্তর্জালে আরাকানে নির্যাতনের কিছু নমুনা, বীভৎস সব ছবি, এমনকি ফেসবুকও ছবিগুলো ঢেকে দিচ্ছে।
ফলাফল সমগ্র পৃথিবী এবং বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ রোহিঙ্গাদের পক্ষে। জনগনের চাপে সরকার সীমান্ত খুলে দেয় এবং তাদের মানবিক সাহায্য প্রদান করছে। শতশত সেচ্ছাসেবী দল ত্রান নিয়ে টেকনাফ যাচ্ছে।
ঠিক এই সময়ে মিয়ানমারের চাল এটা। একই সাথে আমাদের দেশেও একদল চেতনাবাদী দাঁড়িয়ে গেছে মগ দস্যুদের সাথে। তাদের শিখিয়ে দেওয়া কথা বলছে, রোহিঙ্গারা বদমাশ, পাজি এবং দুষ্ট। তারা নিজেরাই নিজেদের সন্তানকে হত্যা করে সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে, নিজের ঘরে আগুন দিয়ে, ৩-৪ ধরে গভীর জঙ্গল দিয়ে হেটে বাংলাদেশে আসছে এখানে থাকার জন্য।
হায়রে চেতনা....
এদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার।।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এবং এদেশেও তেমনটাই করবে!! যেন আমরা ৭১রে খুব ভদ্র শরনার্থী ছিলাম!! শতভগই!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৯

যাযাবর চিল বলেছেন: ৭১ এ শরনার্থী কেমন ছিলাম জানি না সঠিক। এ ব্যাপারে কোন বইয়ের সাজেস্ট করবেন প্লিজ

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০২

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: ভালো বলেছেন।
ইস্যু১: কোরবানীতে গরু জবাই।
টিপিকাল মানবতাবাদী: আহারে কি নির্মমতা। একটা পশুর সাথে এমন আচরণ। কেঁদে চোখের পানি - নাকের পানি একাকার
ইস্যু২: রোহিঙ্গা নির্যাতন
টিপিকাল মানবতাবদী: ওরা জঙ্গী, সন্ত্রাসী বর্বর,মানবতার শত্রু।ওরা মরছে ভাল হচ্ছে।
ইস্যু ৩: বিজিবি রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দিচ্ছে না
টিপিকাল মানবতাবাদী:রোহিঙ্গারা অপরাধপ্রবণ জাতি। ওদের আশ্রয় দিলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।বিজিবি ঠিক কাজ করছে।
ইস্যু ৪: বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে রোহিঙ্গারা বেঘোরে মরছে।
টিপিকাল মানবতাবাদী: মরুক। তো??? বাংলাদেশ জনসংখ্যাবহুল দেশ।আমরা ফকীর - গরীব- মিসকীন।আমরা নিজেরাই খেতে পাই না। ওদের খাওয়াব কেন?? ওরা বাঙালিও না।
ইস্যু ৫: অনেকেই বলছে রোহিঙ্গারা আমাদের মুসলিম ভাই।ওদের আশ্রয় দেয়া উচিৎ
টিপিকাল মানবতাবাদী: এদেশের ধর্মান্ধতা গেল না।পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশ কি মুসলমান মুসলমান করে??? খালি আমাগোই যত্ত সব।
ইস্যু ৬: ( খবর নিশ্চিত না হওয়ার কারণে) এখনো প্রতিক্রিয়া দেখায় নি কোনো মুসলিম রাষ্ট্র
টিপিকাল মানবতাবাদী: আমাগো ধর্মান্ধরা ছাড়া কারো কি মাথাব্যাথা আছে নাকি?? সৌদি - তুর্কি বাপরা কই???
ইস্যু ৭: নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, চেচনিয়া....
টিপিকাল মানবতাবাদী: খালি নিন্দা জানাইলে কি হইব। এইডা কোনো কাজ হল।এত হেডাম থাকলে রোহিঙ্গাগোরে খাওয়াক না। তা তো করব না।ওরা এত বোকা না...
ইস্যু৮: ত্রাণ পাঠিয়েছে তুরস্ক, মালয়েশিয়া।পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে চেচনিয়া,সৌদি...
টিপিকাল মানবতাবাদী: খালি ত্রাণ দিলে হইব নাকি?? এটা আন্তর্জাতিক সমস্যা। আন্তরজাতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এরকম ত্রাণ সবাই দিতে পারে।এত হেডাম থাকলে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি কর..
ইস্যু৯: সব মুসলিম দেশের প্রধানদের সাথে ফোনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন এরদোগান, ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু তোলার, বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডীকে, মায়ানমারের কাছে পুরাতন মডেলের বিমান বিক্রি করার চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের, মায়ানমারের সাথে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন মালদ্বীপের।

টিপিকাল মানবতাবাদী: রোহিঙ্গাদের জন্য সব করল বাংলাদেশ।ওরা আইছে ফোনকল/ ত্রাণ দিয়া ক্রেডিট নিতে।
ইস্যু ১০:তুর্কী ফার্স্ট লেডী প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে এসে, ৯ ঘণ্টা বিমান জার্নি শেষে রাত তিন টায় ল্যান্ড করেছিলেন ঢাকা বিমানবন্দরে, রেস্ট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সকালের নাস্তা সেরেই ছুটে চলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে

টিপিকাল মানবতাবাদী: ঢং দেখানোর জায়গা পায় না।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৩

আদর্শ সৈনিক বলেছেন:
রোহিঙ্গা মজলুমদের নিয়ে কলাবিজ্ঞানী ও তাদের সহযোগীদের প্রপাগান্ডায় কান দিবেন না। মানবতার কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও এসব বুনো শুয়োরদের মানবিক বিপর্যয়ে হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়নি আজ পর্যন্ত। মুসলিম হলে ওদের চুলকানি আরো বেশি বেড়ে যায়, রোহিঙ্গারা মুসলিম তাই এবার ওদের জ্বলতেছে বেশি। সাধারণ বাংলাদেশি আপামর জনতার প্রতিও কখনো এদের কোনো মমতা লক্ষ্য করা যায়নি । এবারের ভয়াবহ বন্যার সময়েও কলাবিজ্ঞানী ও তাদের সহযোগীদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। আর্থিক সাহায্য দূরে থাক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানুভূতিপূর্ণ কোনো প্রচার প্রচারণাও চালাতে দেখা যায়নি।

এইসব বুনো শুয়োরদের কোনো স্ট্যাটাস শেয়ার, লাইক কিছুই করবেন না, সাধারণ সহজ সরল মানুষেরা বিভ্ৰান্ত হয়ে যেতে পারে। নদীতে ভেসে যাওয়া লাশ, ছিন্নভিন্ন দেহ বা আগুনে জ্বলতে থাকা গ্রামের পর গ্রাম দেখেও এই বুনোশুয়োরদের মানবতা খাড়ায় না অথচ কিছু পুরোনো কাপড় চোপড় ফেলে দেয়া দেখে এদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। এই শুয়োররা সমসময় যুক্তিপূর্ণ কথা বলার দাবি করলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তির ধার ধারছে না।

শুয়োরদের কথায় কান না দিয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে মজলুমদের পাশে দাঁড়ান, দীর্ঘ মেয়াদে পাশে থাকার মাইন্ডসেট গড়ে তুলুন। হতাশা আসবে, ক্লান্তি আসবে কিন্তু থেমে থাকার উপায় নেই। মানুষরূপী বুনোশুয়োরদের পাশাপাশি শয়তানও তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, মনের মধ্যে ওয়াছওয়াছা তৈরী করবে, বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে মনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। এর থেকে বাঁচার উপায়, দিনের বেলায় মজলুমদের জন্য কাজ করে রাতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য এর থেকে উত্তম আমল করার সুযোগ এর আগে এসেছে কিনা আমার জানা নাই। সময় এসেছে নিজেদের দরজা বুলন্দ করার, সেদিনের সফল মানুষদের কাতারে নিজেকে দাঁড় করানোর যোগ্যতা অর্জন করার।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


রোহিংগাদের পুরো খরচ আসবে জাতি সংঘ থেকে; বাহিরের সাহায্যও প্রচুর আসবে; রোহিংগারা ঘুরে ফিরে বাংলা দেশে থেকে যাবে; তবে পেছনে-পরা এই জাতিকে গুহা মানবে পরিণত করার চেস্টাও অব্যাহত থাকবে।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

মাহিরাহি বলেছেন: অত্যাচারীদের ধংস অনিবার্য, শুধুমাত্র সময়ের ব্যপার

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে খুবই একটা কার্যকর ট্যাকটিকস আধুনিক সময়ে | আর বিদেশি মিডিয়াতো আছেই বাচ বিচার না করেই সে মিথ্যে দোষগুলো মুসলিমদের উপর চাপাতে | কিন্তু এভাবেই ষড়যন্ত্রগুলো আবার ফাঁসও হয়ে যায় |সত্যি আর মিথ্যেটা মানুষ বুঝতে পারে | এবারও তাই হয়েছে | ভবিষ্যতেও হবে | মুটামুটি তিনটে দেশ ছাড়া সারা বিশ্ব এসে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের পাশে |

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

কূকরা বলেছেন: আদর্শ সৈনিক বলেছেন: রোহিঙ্গা মজলুমদের নিয়ে কলাবিজ্ঞানী ও তাদের সহযোগীদের প্রপাগান্ডায় কান দিবেন না। মানবতার কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও এসব বুনো শুয়োরদের মানবিক বিপর্যয়ে হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়নি আজ পর্যন্ত।

উপরে পাঁদগাজীর কমেন্ট দেখছেন?

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বইয়ের সম্পর্ক বিহীন প্রায় ৩৫টি বছর!! সুতরাং বলতে পারছি না।। আমার দেখা লোকদের বিচার করেই বলেছি।। ধন্যাদ আগ্রহের জন্য।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.