নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিমরা পুজায় গেলে সমস্যা কি?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬



ধর্ম যার যার উৎসব সবার সাধারণভাবে দেখলে কথাটি খুব যোক্তিক-ই মনে হয়। তাইতো, সবাই এক সাথে থাকবো, এক সাথে উৎসব এর আনন্দ করবো। খুবই সাধারণ ও ভাল চিন্তা। কিন্তু একটা বিপুল সংখ্যক মানুষ এর বিরোধীতা করছে। একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যখন একটা ব্যাপার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় তখন তা সমাধান করতে সমাজ বিজ্ঞান এবং দর্শনে একটা অভিধা ব্যবহৃত হয় ইংরেজিতে যাকে বলে “Comparative study” বা তুলনামূলক আলোচনা। অর্থাৎ যে ব্যাপারটি সবার কাছে গ্রহযোগ্য তা দিয়ে ধোঁয়াশে বিষয়টিকে ব্যাখা করা। আসুন এই জ্ঞানটি এখানে কাজে লাগাই। যে ব্যাপারগুলো আমাদের কাছে পরিস্কার তা দিয়ে বিষয়টি বিচার করি।
বাংলাদেশে ৩ টা বড় রাজনৈতিক দল আছে। এক- আওয়ামীলীগ, দুই-বিএনপি, তিন-জামাত। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী। আবার এই দিনেই বিএনপি প্রধানের জন্মদিন। তারা বেশ আমোদের সাথে এই দিন পালন করে। এখন দল যার যার খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক সবার। আওয়ামীলীগের কোন নেতা যদি এই থিওরি মেনে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক খেতে যায় তাহলে আওয়ামীলীগে কি তার পদ আর থাকবে? একই ভাবে বিএনপির কেউ যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতে যায়, তাহলে বিএনপিতে তার পদ আর থাকবে?
জামাতের প্রধান মতিউর রহমান নিজামির কয়েকদিন আগে ফাঁসি হয়েছে। জামাত এজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। দল যার যার গায়েবানা জানাজা সবার, আওয়ামীলীগের কোন নেতা যদি গায়েবানা জানাজা যোগ দেয় তাহলে আওয়ামীলীগ থেকে তার লালবাতি জ্বলতে কয় মিনিট লাগবে??
লন্ডনের কিংস চার্লস স্ট্রিটে রবার্ট ক্লাইভের একটা ভাস্কর্য আছে। ইংলিশরা তাকে অনেক শ্রদ্ধা করে। দেশ যার যার শ্রদ্ধা সবার এই নীতি মেনে কোন বাংলাদেশি কি স্ট্রিটে রবার্ট ক্লাইভের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাতে যাবে কখনো? কিংবা পাকিস্তানে? যদি আওয়ামীলীগের কোন নেতা খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বা গায়েবানা জানাজায় যায় তার অর্থ আওয়ামীলীগের প্রতি আসলে ওই নেতার মনে কোন ভালবাসা নেই। অবশ্যই কোন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি রবার্ট ক্লাইভের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাতে যাবে না।
দলের প্রতি আনুগত্য বা দেশের প্রতি আনুগত্য খুবই ছোট একটা বিষয়। আমাদের জীবনে দল বা দেশের ধারনার প্রভাব খুব বেশি না। আর ধর্মে একটা বিশাল ধারনা। এই ছোট আনুগত্য আপনাকে বিরত রাখছে এইসব কাজ থেকে, আর ধর্ম.........

ফ্ল্যাশব্যাকঃ
 “নিশ্চয়ই শিরক জঘন্য জুলুম” -সূরা লুকমান [১৩]
 “হে মুমিনগণ নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদি, ভাগ্য নির্ণয়ক শর এগুলো সব শয়তানের কাজ। এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও” -সূরা মায়িদা [৯০]
 “হে আমার প্রতিপালক!
এই শহরকে নিরাপদ কর এবং আমার সন্তানদের প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রেখো। হে আমার প্রতিপালক এই প্রতিমা বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ” -সূরা ইব্রাহিম [৩৪-৩৫]
 " ...সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো
এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাকো" -সুরা হাজ্জ্ব [৩০]
 “অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে” -ইউসুফ [১০৬]
 যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক এর শরীক করে , আল্লাহ পাক তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম ।" -সূরা মায়িদা [৭২ ]
 “আমি যদি তোমাকে দৃঢ়পদ না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকতে পড়তে তখন আমি অব্যশই তোমাকে ইহ ও পরকালে দ্বিগুন শাস্তি আস্বাদন করাতাম, এ সময় তুমি আমার মোকাবেলায় কোন সাহায্যেকারী পেতে না” -সূরা বনি ইসরাইল [৭৪-৭৫]
এ আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হযরত সাঈদ বিন যুবায়ের থেকে বর্ণনা পাওয়া যায় একবার রাসুলুল্লাহ [সা.] কাবা তাওয়াফ এর সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছিলেন তখন কুরায়েশগণ তাকে বাঁধা দিয়ে বলে আমাদের দেবতার নিকটে না গেলে তোমাকে তা স্পর্শ করতে দেব না। তখন রাসূল [সা.] মনে মনে ভাবছিলেন হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের বিনিময়ে মূর্তির কাছে গেলে কি পাপ হবে? আমি যে মূর্তি অপছন্দ করি আল্লাহ তা ভালোভাবেই জানেন।
আল্লাহ রাসূল সা. এর এমন চিন্তা অপছন্দ করেন এবং তখন এই আয়াত নাযিল হয়। [তাফসীরে কুরতুবি]
এ আয়াতের তাফসির থেকে এটা পরিষ্কার অন্তরে অপছন্দ নিয়েও মূর্তিপূজার কাছে যাওয়া যাবে না।
 রাসূলুল্লাহ [সঃ] বলেছেন, - যে কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্যতা ধারণ করলো সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত।। সূনান আবু দাউদ- ৪/৪৪।।
তাদের পূজার উৎসবে যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানো, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা।
 রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে এবং কিছু লোক মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে যাবে”। [সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৯৫২]
 উমর ইবনে খাত্তাব [রাঃ] বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।"
[ইবনুল ক্বাইয়্যিম[রাহিঃ] তাঁর
'আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-৭২৪ এ সহিহ সনদে বায়হাক্বী থেকে এই রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন।]
 ইমাম ইবনুল কায়্যিম [রহ:] তার ‘আহকাম আহ্ল আল-দিম্মা’ গ্রন্থে বলেন, “কাফিরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো মুসলিম ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ”।
 শায়খুল হাদিস ইমাম ইবনে তাইমিয়া [রহঃ] বলেন- “কাফেরদের উৎসবের নিদর্শন এমন কিছুতে অংশ নেয়া মুসলমানদের জন্য জায়েয নয়”। [সূত্রঃ মাজমু আল ফাতাওয়া- ২৯/১৯৩]
অন্য ধর্মের ব্যাপারে ইসলামের অবস্থানঃ
'অন্য ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের উপাসনা করে সেসব দেব-দেবীকে তোমরা গালি দিও না। তাহলে তারাও সীমালংঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দেবে।’
-সূরা আন'আম : ১০৮

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

সংক্ষিপ্ত জীবন বলেছেন: ছবি দেখে বিভ্রান্ত হইলাম। এই লেখার সাথে এই ছবি চলে কি ?

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ছবি অনুপযুক্ত লেখার সাথে।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ভালো যুক্তি দিয়ে বুঝায়ছেন । কিন্তু নিজের আক্কেল বলে কিছু আছে আপনার? ছবি দিলেন কেন? আমিতো না গিয়েও মার দর্শন পেলাম। দেখাইচে কে? আপনি! পাপ কার হল?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

যাযাবর চিল বলেছেন: ছবি দেখলে সমস্যা হবে কিনা সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের এসব মনোভাব থেকে বুঝা যায় যে, ধর্মকে মানুষ মন থেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

কূকরা বলেছেন: একটি মাছির কারণে জান্নাত অথবা জাহান্নামে যেতে হলে নারিকেলের কারনে কেন নয়?
.
ত্বারেক বিন শিহাব ((رضى الله عنه) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
: ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَﺔ ﺭَﺟُﻞٌ ﻓﻲ ﺫُﺑﺎﺏ، ﻭَﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭَ ﺭَﺟﻞ ﻓﻲ ﺫُﺑﺎﺏ "، ﻗﺎﻟﻮﺍ : ﻛﻴﻒ ﺫﻟﻚ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪ؟
ﻗﺎﻝ : "ﻣَﺮَّ ﺭﺟُﻼﻥِ ﻋﻠﻰ ﻗﻮﻡ ﻟﻬﻢ ﺻَﻨَﻢٌ ﻻ ﻳُﺠﺎﻭِﺯُﻩُ ﺃﺣﺪ ﺣﺘﻰ ﻳُﻘَﺮِّﺏَ ﻟَﻪُ ﺷَﻴﺌﺎ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟَﻪُ : ﻗَﺮِّﺏْ
ﻭَﻟَﻮْ
ﺫُﺑﺎﺑﺎ ، ﻓَﻘَﺮَّﺏَ ﺫﺑﺎﺑﺎ، ﻓَﺨَﻠَّﻮﺍ ﺳﺒﻴﻠَﻪ، ﻓَﺪَﺧَﻞَ ﺍﻟﻨّﺎﺭَ، ﻭﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟﻶﺧﺮِ : ﻗَﺮِّﺏْ، ﻗﺎﻝ : ﻣﺎ ﻛﻨﺖُ ﺃﻗﺮِّﺏُ
ﺷَﻴْﺌًﺎ
ﻷﺣَﺪٍ ﺩﻭﻥَ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ، ﻓَﻀَﺮﺑﻮﺍ ﻋُﻨﻘﻪُ، ﻓَﺪَﺧَﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔ / ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ
-এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জান্নাতে যাবে আর এক ব্যক্তি মাছির কারণে জাহান্নামে জাহান্নামে যাবে। সাহাবীহণ বললেন তা কি ভাবে? উত্তরে রাসূল (ﷺ) বললেন : এক কওমের একটি ভাষ্কর্য বা মূর্তি ছিল। ওটার পাশ দিয়ে যেই যেত সেই উক্ত ভাষ্কর্যে কোন কিছু উতসর্গ না করে যেতে পারতো না। সেখান দিয়ে একবার দু’জন লোক যাচ্ছিল। তাদের একজনকে মূর্তিওয়ালারা বলল কিছু দান করে যাও। সে বলল, আমার কাছে দান করার মত কোন কিছুই নেই। তারা বলল একটি মাছি হলেও তোমাকে উৎসর্গ করতে হবে। সুতরাং সে একটি মাছি উৎসর্গ করল। তারা তার পথ ছেড়ে দিল। এভাবে সে যাহান্নামে প্রবেশের ফয়সালা নিশ্চিৎ করল।
এবার অপর জনকেও বলল: কিছু দান করে যাও । সে জবাবে বলল, আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে কোন কিছুই দান করব না। ফলে তারা তরবারী দিয়ে তার গর্দান উড়িয়ে দিল। কিন্তু সে জান্নাতের ফয়সালা লাভ করল।
[ইমাম আহমাদ, আয-যুহুদ ১/১৫; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৩৪৩, ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩০৩৮]



৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

যাযাবর চিল বলেছেন: পূজার জন্য নারকেল জামাত কেন কাবা ঘরের ইমাম সাহেব দিলেও সেটা ভুল।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

লোনার বলেছেন: একটু অবাক করলেন....!

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫০

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: একটা কিছু (মুর্তি) তৈরী করে একটা নির্দ্দিষ্ট স্থানে না রেখে-ভেঙে চুরে নদী ও বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়ে পরিবেশ দুষিত ও অর্থাপচয় করাটা অযৌক্তিক। ধর্মগুলো দিয়ে ডিসিপিলিন শেখানো হয়েছে এটা খুবই ভাল বিষয়। কিন্তু ধর্মের আপডেট অতি দ্রুত প্রয়জন।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৬

রেজওয়ানুল ইসলাম বলেছেন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিভিন্ন দেশে তাদের ধর্মীয় উৎসবের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য ওই দেশে সংখ্যাগুরুদের আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশে হিন্দুরা মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানালেও ভারতে তারা মুসলিমদের থোড়াই কেয়ার করে। অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদ উৎসবে অংশ নিলে সেখানকার মুসলিমরা আহ্লাদে গদগদ হয় এবং পায়ের নিচে মাটি পায়।
চিন্তা করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখাটা ভালো লাগলো | এখনকার বিতর্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু প্রয়োজনীয় হাদিস আর কুরআনের ভার্স একজায়গায় পাওয়া গেলো | কোনো লাভ অবশ্য এতে হবে না | যারা ব্যাপারটা পছন্দ করবে না তারা এতেও খুব বেশি একমত হবে না |

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

যাযাবর চিল বলেছেন: সত্য মিথ্যা থেকে সুস্পষ্ট ভাবে আলাদা। যে যেটা করে তার ব্যাপার।

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪

এম এ কাশেম বলেছেন: আপনার কথাগুলো মূল্যবান ও সঠিক কিন্তু ছবি দিয়ে নিজেই ভুল করে বসলেন।

পূজায় অংশ গ্রহন আর অন্য ধর্মের মানুষকে নারিকেল দান এক বিষয় নয়, কারন এইখানে প্রশ্নটা ধর্মের নয়,
নীতির । ইসলাম যেহেতু দেবদেবীর পূজা হারাম করেছে তাই সে ই সব অনয়ষ্ঠানে অংশ গ্রহন হারাম, তবে
সেই ধর্মের লোকজনকে দান করা হারাম নয়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুক।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: কোরানের যে আয়াত গুলো দিলেন সেগুলো তো পুজা দেখার বিষয়ে নহে পুজা করা বা পুজাতে অংশ গ্রহন করা বিষয়ে। ধরুন আপনি মাঠে বা টিবিতে খেলা দেখচ্ছেন তখন আপনি দর্শক না খেলোয়ার? পুজা দেখলে যদি পুজারি হয়ে যায় তাহলে দর্শককে খেলোয়ার বলতে হয়। পুজা দেখলে যদি পুজা করা হয় তাহলে নামাজ না পড়ে দেখলেই নামাজ পড়া হয়ে যাবে কারন পুজা দেখলে যদি অটমেটিক হিন্দু বিষাশ গ্রহন করে পুজা করা শরিকি করা হয় তাহলে নামাজ পড়া দেখলে নামাজ হয়ে যাবে :):):)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

যাযাবর চিল বলেছেন: উমর ইবনে খাত্তাব [রাঃ] বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।"

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

বারিধারা বলেছেন: পূজা দেখাটা ইস্যু নয়, পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেয়াটা ইস্যু। আপনি যদি মন্ডপে কারো সাথে দেখা করতে বা কারো সাথে পরিচিত হতে যান, তাহলে সমস্যা নেই, চাইলে নারকেলও বিতরণ করতে পারেন যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে।

কিন্তু সেখানে গিয়ে অর্ঘ্য দেয়া, প্রসাদ গ্রহণ করা, মূর্তির দিকে ভক্তি গদ্গদ হয়ে তাকানো এমনকি হিন্দী গান বা ডিজে মিউজিকের তালে তালে নাচা - এগুলো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: হুজুর :: এই যে আতাহার সাহেব আপনি মুসলমান হয়ে পুজা মন্ডপে কেন গেছেন , জানেন না পুজা মন্ডপে যাওয়া শিরিক করা এবং কবিরা গুণা !!
আতাহার হোসেন :: আপনার কথাটা মানলাম না , আমি তো পুজা করিনি ওখানে শুধু দেখেছি এবং ওদের মন্ডপের পাশে যে মন্চ বানিয়েছে সেখানকার সংস্বকৃতি অনুষ্ঠান মুলত দেখেছে । বড় বড় পুজা মন্ডপে একদিকে পুজার বেদি থাকে যেখানে পুজা হয় এবং অন্য দিকে সংস্বকৃতিক মন্চে নাচ গান কির্তন শ্যামা সংগিত ইত্যাদি হয় । প্রথমে ঢুকে দেখলাম হিন্দুরা পুজা করছে মুর্তির সামনে সেই সাথে ঢোল বাজানো হচ্ছে , দুই তিন মিনিট পুজা দেখে সংস্বকৃতিক মন্চের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখেছি , তার পর নৃপেনদা এসে লাড্ডু সিঙ্গারা দিল এবং সেই সাথে ভেজিটেল খিচুরি খেয়ে চলে এলাম ।
হুজুর ::: তোবা তোবা আপনি পুজার প্রশাদ খাইছেন , আপনি জানেন না পুজার প্রশাদ খাওয়া হারাম
আতাহার ::: ইসলামের নামে উল্টা পাল্টা কথা মিথ্যা কথা বন্ধ করেন দয়া করে , প্রশাধ টা তো কোন মাংস ছিল না , মাংস হোলে হামার বলা যেত , লাড্ডু সিঙ্গারা কি করে হারাম হয় ।
হুজুর ::: পুজার প্রশাধ হারাম , এর প্রমাণ কি আপনি দেখতে চান
আতহার ::::: মাংস ব্যথিত পুজার প্রশাধ যে হারাম না সেটা কি আপনি দেখতে চান ??
হুজুর :::: খালি খালি আজাইড়া পেচাল পাড়েন কেন
আতাহার :::: শুনুন কোরানে আল্লাহ তালা বলেছেন শুধু --- আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখির মাংস হারাম এবং এই বিষয়টি শুধু মাংসের ক্ষেত্রে প্রজোয্য ,এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি জীবনে কি কখনো পুজার মন্ডপে গেছেন ।
হুজুর :::: তোবা তোবা প্রশ্নই আসে না ।

আতাহার :::: শুনুন পুজার বেদির উপরে মুর্তির সামনে পুজার সময়ে যে খাবারটা থাকে তাকে প্রশাধ বলে , এবং বাহিরে প্যান্ডেলের পাশে বড় বড় হাড়ি ডেকচিতে সারা দিন যে রান্না হয় ঐ খাবার গুলোকে বলে ভোগ , ঐ মন মন হাড়ি ডেকচি ভরা ভোগ পুজার বেদির সামনে আনা হয় না এবং আলাদা ভাবে বিতরন করা হয় । যদি আপনার প্রশাধ খাওয়াকে হারাম মনে হয় তাহোলে ভোগটা খেতে পারেন ।

হুজুর :::: আমার মাথা খারাপ হয় নি যে ভোগ খাবো যাহা প্রশাধ তাহাই ভোগ এবং তাহাই হারাম

আতাহার ::: কোরানের আয়াত থেকে উদাহরন দিতে পারবেন একটাও , যেখানে কোরানে শুধু আল্লাহর নামে জবাই ছাড়া পশু পাখির মাংসকে হারাম করেছেন অন্য কোন খাবারকে নহে । প্রশাধ হোল যে খাবার দেবতার মুর্তির সামনে থাকে এবং দেবতার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় এবং ভোগ হোল উৎসর্গকৃত খাবার গুলো নহে ।

শুনুন মাওলানা সাহেব পুজা দেখা মানে তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করা নহে , যদি বিশ্বাষ গ্রহন করা হোত যদি আমি পুজা করতাম । আপনার লেকচার মারেন পুজা দেখলেই নাকি শিরিকি করা হয়ে যায় তাদের বিশ্বাষের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা হয়ে যায় , আমি জীবণে বহু পুজা দেখেছি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । যাদের ঈমাণ দুর্বল তাদের পুজা না দেখাই ভালো কারন দেখলেই মুর্তির প্রতি তাদের ঈমাণ এসে যাবে ।
এবার হুজুর আপনাকে একটা প্রশ্ন করি - আমি একজন মুসলমান এবং আমার সামনে কয়েক জন মুসুল্লি নামাজ পড়ছে এবং আমি সেই নামাজ পড়া দেখছি কিন্তু পড়ছি না তাহোলে কি দেখার জন্য আমার নামাজ পড়া হবে ???

হুজুর :::: কি পাগলের মত কথা বলেন অন্যের নামাজ পড়া দেখলে কি কোন দিন নামাজ পড়া হয় !!!!!!

আতাহার :::: ও হয় না বুঝি কিন্তু মুসল্লিদের ঈমাণ আর আমার ঈমাণ এক তাহোলে ও নামাজ পড়া দেখার জন্য নামাজ হবে না !!!
হুজুর :::::: নিয়ত করে ওজু করে নামাজ নিজে না পোড়লে অন্য পড়াতে নিজের নামাজ কোন দিন হবে না যতই নামাজ পড়া দেখেন ।
আতাহার ::: ও মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমানের নামাজ পড়া দেখলে নামাজ হবে না কিন্তু মুসলমান হয়ে অন্য বিশ্বাষের মানুষের পুজা করা দেখলে আমার পুজা করা হয়ে যাবে শিরিক করা হয়ে যাবে এবং হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন না করলেও আমার পুজা করা হয়ে যাবে ।
হুজুর ::: বড় বড় চোখ করে তাকায়
আতাহার :::: শুনুন হুজুর আপনি মাঠে বা টিবিতে যদি কোন খেলা দেখেন তখন আপনি দর্শক খেলোয়ার নহেন , আমি যদি অন্যের নামাজ পড়া দেখি আমি দর্শক নামাজি নহি এবং আমি যদি অন্যের পুজা করা দেখি তাহোলে আমি দর্শক পুজারি নহি । পুজা মন্ডপে যাই পুজা করতে না দেখতে এবং সেটা অল্প কিছুক্ষণ , বেশি ভাগ সময় কাটে মন্চের সামনে কালচারাল অনুষ্ঠান দেখে । আমি হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে এত মিশি এবং আমি তাদের ধর্ম গ্রন্থ ও পড়ি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি , আমার ঈমাণ অত দুর্বল নহে ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

যাযাবর চিল বলেছেন: এতবড় পোস্ট তো পড়তে পারবো না। কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গল্প আকারে লেখে স্থুল বুদ্ধির লোকেরা। দুইটা চরিত্রই নিজের বানানো। একটাকে অন্যটার চেয়ে বড় বানানো। হাস্যকর। সংক্ষেপে বলুন

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন:
হুজুর :::: "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।" ' - 'উমার ফারুক (রা) (তথ্যসূত্রঃ ইবনুল ক্বাইয়্যিম(রাহিঃ), আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩- ----- এর পরে ও কি আপনার কোন প্রশ্ন আছে ??? 
আতাহার ::::: এটা কোন কোরানের আয়াত নহে এবং হাদিস নহে এবং হযরত ওমর ফারুক (রা: ) নামে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেটা কোরানের নিচের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক .
---- আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে , তুমি ওদের তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক.. ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে বল, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন , সুরা হজ ৬৭-৬৯ ।

তার মানি হিন্দুদের স হ অন্য সব ধর্মের ইবাদতের নিয়ম কানুন আল্লাহ ঠিক করে দিয়েছেন ।যদি আল্লাহ নিজে অন্য ধর্মের রিচুয়াল নিয়ম কানুন ঠিক করে দেন তাহোলে গজব নাজিল হবে কেন ??? যদি তাদের উপর নাজিব হচ্ছে যারা পুজা করছে তাহোলে যারা পুজা করছে না দেখছে তাদের উপর কেন নাজিল হবে ??? আল্লাহ যদি ইবাদতের নিয়ম কানুন ঠিক করে দেন তাহোলে কেন গজব দিবেন । 
হযরত ওমর ফারুক (রা: ) এর নামে যে কথা বলা হয়েছে সেটা কোরান বা হাদিস নহে এবং সুরা হজ ৬৭-৬৯ এর সাথে সাংঘর্ষিক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.