নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মচু স্যার এর স্ট্রাইক!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১০


"বিজ্ঞান উপর বিশ্বাস এমন অবস্থানে পৌছে গেছে যে যারা নিজের ধর্ম প্রচার করে আজকাল তারা একটু পরে পরে দেখানোর চেষ্টা করে তাদের ধর্মগ্রন্থ বিজ্ঞানসম্মত কিংবা এখন বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার হচ্ছে তার সবই তাদের ধর্মগ্রন্থে অনেক আগেই বলে দেওয়া ছিল!"

আচ্ছা কারা এটা করে?

খৃষ্টিয়ানিটি?
গির্জার সাথে বিজ্ঞানের বিরোধ খুবই পুরানো। যখন গির্জা ইউরোপ শাসন করতো তখন ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ছিল নিষিদ্ধ। গির্জার এই অপশাসনের বিরুদ্ধে মধ্যযুগে ইউরোপে রেনেসাঁ হয়। খৃষ্টিয়ানিটির সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক খুব একট ভাল কখনোই ছিল না। এখনো কিছু ডানপন্থী খৃষ্টান দল আছে যেমন জিহোভা'র সাক্ষী যারা বাইবেলের কথা অনুসারে বিশ্বাস করে পৃথিবী সমতল, সূর্য স্থির, অসুখ হলেও অন্যের রক্ত গ্রহন করে না। এছাড়া বাইবেলে রয়েছে আছে বেশকিছু গাণিতিক সমস্যা।

হিন্দুইজম?
হিন্দু ধর্মের সাথেও বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই। হিন্দু থিওলজি অনুসারে শুধুমাত্র সমাজের উচুঁ শ্রেনীর মানুষ জ্ঞানচর্চা করবে। উনিশ শতকের প্রথমদিকে উচ্চ শিক্ষিত-বিজ্ঞানমনস্ক হিন্দুরা একটা মূলধারার হিন্দুইজম থেকে বেড়িয়ে 'ব্রাহ্ম ধর্ম' নামে একটা আলাদা গোত্র তৈরি করে, যেটা এখনো বর্তমান।

বুদ্ধইজম?
বুদ্ধ ধর্ম এসবের মধ্যে নেই। তারা জনগন থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন আশ্রমে বুদ্ধ এবং বুদ্ধইজমের বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে নিবির অধ্যায়ন করে।

তাহলে করে কে?!
বিজ্ঞান নিয়ে যাবতীয় ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করে একমাত্র মুসলিমরা। তার কারন ইসলাম যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখন বিজ্ঞান চর্চা উৎসাহিত করেছে এবং যত মুসলিম বিজ্ঞানী ছিলেন মধ্যযুগে তাদের বেশিরভাগ ধর্মতাত্ত্বিকও। একমাত্র মুসলিমরাই ইসলামের যোক্তিকতা বোঝাতে কুরঅানে বর্ণিত বিগ ব্যাং, পৃথিবীর আকার, সূর্যের গতি, চাঁদের ধার করা আলো, পানি চক্র, সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে ইত্যাদি উদাহরণ নিয়ে আসে। এনিয়ে প্রচুর বইও আছে যেমন ড. মরিস বুকাইলির 'বাইবেল, কুরঅান এবং বিজ্ঞান'। প্রায় সব ইসলামি স্কলারের 'কুরঅান এবং বিজ্ঞান' এই জাতীয় লেকচার সিরিজ আছে। ফলাফল ইউরোপ-আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম ইসলাম।

আচ্ছা আবার বইয়ের প্রসঙ্গে আসা যাক। এই বই কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে। আমার প্রশ্ন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মধ্যে এই অপ্রসঙ্গিক বিষয় এনে একটি বিশেষ ধর্মকে খোচাঁ দেওয়ার উদ্দেশ্য কি? এর উত্তর হতে পারে নোংরা মানসিকতা, সেই ধর্মের প্রতি মনে ক্ষোভ, কিংবা সেই ধর্মকে হেয় করার জন্য কারো কাছ থেকে নগদ প্রাপ্তি।

কুইজ টাইম! বলতে হবে এই বইয়ের নাম কি এবং লেখক কে!?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: জাফর ইকবালের কোয়ান্টাম মেকানিক্স?

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাজার বছর সায়েন্সের লোকজন, সারা জীবন পড়ে, রিসার্চ করে বের করার চেষ্টা করছে, এই বিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হলো; অথচ, যিনি তৈরি করেছেন, তিনি তাঁর বইয়ে লিখে দিয়েছন সবকিছু, এরা আসল বই না পড়ে কি ঝামেলার মাঝে পড়ছে!

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: খোঁচা দেওয়ার কারণ আছে। এই আপনিও যেমন পুরো কৃতীত্ব ধর্মের দিয়ে দিলেন।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: হিন্দু ও বৌদ্ধ ইজম সম্পর্কে আপনি যে তথ্য দিচ্ছেন সেটা ভুল। এই দু'ইজম সময়ের জাঁতাকলে নিজেদের ঐতিহ্য হারাচ্ছে। কিন্তু এগূলো মানুষের জন্যই তৈরি করা। যেমন মুসলমানদের ধর্ম এসেছে মানুষের জন্য। দেখেন, বর্তমান ইসলামের অবস্থা! এটা সেই সময়কার অবস্থায় টিকে থাকতে পারেনি। সময় ও জায়গার উলটপালটে ধর্মগুলোও নিজ অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
আর বিজ্ঞান কখনো ধর্মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না। আজাইরা বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের যোগসূত্র খোঁজা বোকামি।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: হাস্যকর।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

হাঙ্গামা বলেছেন: এই বেয়াদবকে কারা স্যার বলে সম্বোধন করে?
কেন করে? ছাত্র পড়াইলেই স্যার হয়া যায়?
একদলকে তো দেখি স্যার স্যার করতে করতে ফ্লোরে মাথাঠেকাইয়া ফালায়।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জানলাম...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.