নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সাল

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০০



আকবরের থিংক ট্যাংকরা সব ধর্ম এক করে দ্বীন ই ইলাহি নামে একটি অভিনব দর্শন তৈরি করে। দ্বীন ই ইলাহির প্রভাব আরও দৃঢ় করতে ইসলামি হিজরি ক্যালেন্ডার সরানোর চিন্তা করেন। সেই চিন্তাধারা থেকে আকবরের আদেশে তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করেন। এই ক্যালেন্ডার বানানোর ক্ষেত্রেও ফতেহউল্লাহ সিরাজি দীন ই ইলাহির কৌশল অনুসরণ করেন। ক্যালেন্ডারের প্রথম বছর করা হয় হযরত মুহাম্মাদ সা: মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের বছর অর্থাৎ হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে। আর মাস গুলার নাম নেওয়া হয় হিন্দু মিথলজি থেকে [https://goo.gl/pt8s94] । ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে মানে ৪৩২ বছর আগে এই ক্যালেন্ডারের সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই ক্যালেন্ডারের নাম ছিল তারিখ-ই-ইলাহী [https://goo.gl/VPEY0B] পরে এই তারিখ-ই-ইলাহী বঙ্গাব্দ বা আরো পরে বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত পায়।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সরকার এই ক্যালেন্ডারের সংস্কার করে। তাই এখন কোলকাতাতে যে বাংলা ক্যালেন্ডার চালু আছে এবং আমাদের দেশে যে বাংলা ক্যালেন্ডার আছে তা এক নয়। অর্থাৎ আমাদের এই ক্যালেন্ডার শুধু নামই বাংলা, এর কৃতিত্ব মোঘল এবং কিছুটা পাকিস্তানি প্রশাসনের।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৪

পিকো মাইন্ড বলেছেন: কথা সত্য ।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো শেয়ার ।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: আকবরের এই সংস্কার শুধুই চাদাবাজির স্বার্থে । বাৎসরিক যে চাদা ধার্য করা হত বাদশাহি পরিচালনার জন্য তা চন্দ্র ভিত্তিক হিজরি সনের সাথে সাংঘরসিক হয়ে দাড়ায় । সূর্য সনের ধারায় পুনরায় বাদশাহি কার্যক্রম ঠিক করে নিলে এদেশের জলবায়ুর সাথে তা মিলে যায় আর ভারতীয়রা যে পঞ্জিকা ভিত্তিক দিনক্ষন অনুসরন করত তা প্রকাশ্য হয় এবং কৃতিত্ব চলে যায় আকবরের ঘাড়ে। বৈশাখ উতসব চালু আছে ভিয়েতনামের কোল থেকে থাইল্যান্ড , বার্মা, বঙ্গ , ভারত ,নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং একদা আরবিয় অঞ্চলে । দিনক্ষনে কিছুটা বিবর্তন এলেও মুল থিম মৎস্য , ফসল ধরা বা রোয়া ইত্যাদির কোন পরিবর্তন আসেনি। গেল ক'মাস আগে সৌদি আরব তার বেতন পরিশোধে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রত্যাবর্তন করেছে কারন হিজরি সনের ধারায় তারা বেতন বেশি দিচ্ছিল । কুদরতি খোদার কমিশন একটা পাকি সংস্কৃতি সৃষ্টিতে বাংলা ক্যালেন্ডারের সংশোধনী আনতে যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল তা স্বাধীন বাংলাদেশের জেনারেল এরশাদ কার্যকর করেন । কিন্তু সেই পুরাতন পঞ্জিকার হিসাব এখনও চালু কৃষক আর মৎস্যজিবিদের মধ্যে। প্রয়াত এনায়েতুল্লাহ খান যখন আমাদের রাষ্ট্রদূত , এক বিশাল বৈশাখী উৎসবে আমন্ত্রিত উপরে উল্লেখিত দেশের কূটনীতিকদের সামনেই এই রহস্য বয়ান করেন ইংরেজিতে । চা চক্রের সময় আমি ব্যাক্তিগতভাবে তাদের সাথে আলাপ করি এবং তারা অকপটে স্বীকার করেন এই বিষয়। ধন্যবাদ যাযাবর কাক ভালো বিষয় উত্থাপনের জন্য।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মিথোলজী লিংক Clik here

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.