নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথের চেপে রাখা পরিচয়ঃ নৃশংস দস্যু শিবাজির ভক্ত, সাম্রাজ্যবাদী ফ্রি ম্যাসন এবং গণহত্যাকারী জায়নিস্ট দলের সদস্য।

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৬


রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। তবে শুধুমাত্র সাহিত্যিকই নন, রবীন্দ্রনাথ একজন প্রভাবশালী দার্শনিকও। কয়েকদিন পরেই তার জয়ন্তী। তাই গুরুদেবকে নিয়ে লেখা। আজ তার কিছু আদর্শ নিয়ে। বিভিন্ন গান ও কবিতায় শান্তির গলাভরা বুলি প্রচার করলেও আসলে কি। মূলধারার সেবাদাস গনমাধ্যম এই কথাগুলো আপনাকে জানাবে না।


শিবাজী ভক্তঃ

শিবাজী ভোঁসলে অথবা ছত্রপতি শিবাজী [১৬৩০–১৬৮০], হলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। সে ছিল চরম ব্রাহ্মণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষী। শিবাজির দলকে বর্গীও বলায় হয়।

ঐতিহাসিক স্যুলিভ্যান এই শিবাজী সর্ম্পকে লিখেছেন,
‘শিবাজী ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুন্ঠক ও হন্তারক দস্যু। আর তিনি যাদের সংগঠিত করেছিলেন সেই মারাঠা জাতি ছিল এমন অপরাধপ্রবণ যে, মুহূর্তের মধ্যে তারা তাঁদের লাঙ্গলের ফলাকে তরবারিতে রুপান্তরিত করে এবং ঘোড়া ধার অথবা চুরি করে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তো। যেখানেই তারা গিয়েছে সেখানেই কেবল ধ্বংস ও মৃত্যু রেখে এসেছে'। [১]

মিঃ হলওয়েল,
‘‘সে ভীষণতম ধ্বংসলীলা ও ক্রুরতম হিংসাত্মক কার্যে আনন্দ লাভ করতো”।[২]

মারাঠা লুন্ঠনের প্রত্যক্ষদর্শী গঙ্গারাম বাবু এক কবিতায় লিখেছিলেন,
‘‘কারু হাত কাটে, কারু নাক কান,
একি চোটে কারু বধ এ পরাণ।
ভাল ভাল স্ত্রলোক যত ধইরা লইয়া জাএ
আঙ্গুষ্ঠে দড়ি বাঁধি দেয় তার গলা এ।
একজনে ছাড়ে তারে আর জনে ধরে
রমণের ডরে ত্রাহি শব্দ করে’’।

শিবাজির দল বাংলাতেও তাদের ডাকাতির কালো থাবা বাড়িয়ে দেয়। তবে বাংলায় তখন ছিলেন শায়েস্তা খাঁ। তিনি শিবাজির দলকে দমন করে বাংলাকে রক্ষা করেন। শিবাজির দলের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে একরাতে শায়েস্তা খাঁ তার শয়নকক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিশ্রামরত নিরস্ত্র শায়েস্তা খাঁ কে কাপুরুষের মতো অতর্কিতে আক্রমণ করল বর্গী সর্দার শিবাজী। শায়েস্তা খাঁ জানালা ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। কিন্তু তার অল্পবয়স্ক পুত্র দুর্ঘটনাবশত ঘরেই থেকে যায়। তার নিষ্পাপ পুত্রকে শিবাজী একা পেয়ে খন্ড- খন্ড- করে কেটে পৈশাচিক ভাবে হত্যা করে। [৩]

সম্রাট আওরঙ্গজেব সেনাপতি আফজল খাঁ কে পাঠিয়েছিলেন মারাঠা দস্যুদের দমনের জন্য। শিবাজী বুঝতে পারে সম্মুখ যুদ্ধে পারা সম্ভব নয়। তাই সে ভিন্ন রাস্তা নেয়। সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে শিবাজী যায় আফজল খাঁর সাথে দেখা করতে। এ সময় দু’জনে সৌজন্য মোলাকাত করে। শিবাজী আগেই তার পোষাকের নিচে ‘বাঘনখ’ নামক একটি ধারালো অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলো, মোলাকাতের সময় সে হঠাৎ সেনাপতি আফজল খানের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে। [৪]

শিবাজির একটি উপাধি ছিল ‘গো-ব্রাহ্মণ’ প্রতিপালক। গরু রক্ষার নামে সে হাজার হাজার মুসলিমকে হত্যা করেছিলো।[৫]

তবে আমাদের শিবাজিকে চিনতে কোন ইতিহাসের বই পড়ার দরকার নেই। বাংলাদেশের ৩-৪ বছরের বাচ্চাও শিবাজিকে চেনে। শিবাজি মারা যাবার সারে তিনশত বছর পর আজও বাংলার প্রতিটি ঘরে শিবাজির ভয় দেখিয়ে শিশুদের কান্না থামানো হয় বা ঘুম পারানো হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছোট বেলায় শোনা সেই ছড়া,
“খোকা ঘুমালো, পাড়া জুরালো
বর্গী এল দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিবো কিসে”

সেই শিবাজিকে নিয়ে মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন,
“মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক কন্ঠে বলো
'জয়তু শিবাজি'।
মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক সঙ্গে চলো
মহোৎসবে সাজি।
আজি এক সভাতলে ভারতের পশ্চিম-পুরব
দক্ষিণে ও বামে
একত্রে করুক ভোগ একসাথে একটি গৌরব
এক পুণ্য নামে"। [৬]

ফ্রি ম্যাসনঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী সন্ত্রাসীদল ফ্রি ম্যাসন দলের সদস্য। ব্যাপারটা বিশ্বাস করা একটু কঠিন। তবে সত্য যে কঠিন......। লিংকে ফ্রি-মেসন সদস্যদের তালিকায় T বর্ণের ৩ নম্বরে পাবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (rabindranath tagore) এর নাম। [৭]


জায়নিস্টঃ
এখানেই শেষ নয়। তিনি কুখ্যাত জায়নিস্ট দলের সদস্য ছিলেন। কয়েকদিন আগে গণহত্যাকারী ইজরাইলপন্থীদের ফেইসবুকে পেজে Israel Advocacy Movement রবী ঠাকুরকে স্মরণ করে পোস্ট দিয়েছিলো। ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট রবীন্দ্রনাথ মারা গেলে ৮ই আগস্ট ইহুদীদের ‘জিউইশ টেলিগ্রাফিক এজেন্সি’ নামক একটি পত্রিকায় তাকে নিউজ করে, যার শিরোনাম, “Tagore, Friend of Jews and Zionism Dies in Calcutta”। [৮]

তথ্যসূত্রঃ
১। https://goo.gl/2lQABx
২। “Interesting History/ Events Holl Well”
৩। গোলাম মোর্তুজা, চেপে রাখা ইতিহাস, ১৭৯ পৃষ্ঠা
৪। জয়নাল হোসেন, সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভিতর-বাহির, ৮১ পৃষ্ঠা
৫। https://goo.gl/HwDE85
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিবাজি উৎসব
৭। https://bit.ly/2nDpWFR
৮। আর্কাইভ লিঙ্ক : https://bit.ly/2GYwTbE, ঐ দিনের পত্রিকার পিডিএফ লিঙ্ক :https://bit.ly/2pU2Auj

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: আরো কত কি যে জানবো- - -

২| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি হিন্দু হওয়া্তে আপনার জন্য সমস্যা হয়ে গেছে।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫০

অর্ক বলেছেন: গেল বছর বা তার আগের বছরেও বোধহয় দিয়েছিলেন এই পোস্টটি! সেখানে দুটি তিনটি মন্তব্যও করেছিলাম এ বিষয়ে! আমি শিবাজী’কে নিয়ে ইন্টারনেটে পড়াশোনা করেছি ও মুম্বাইয়ে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা যেভাবে শিবাজীকে জানি, ওখানে সেভাবে নয়। সেখানে তার আরেক মহান দয়ালু রূপের ইতিহাস পাওয়া যায়। যে শিবাজী’র নামে মুম্বাইয়ের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নামাঙ্কিত, যেমন শিবাজী টার্মিনাল, বিমান বন্দর ইত্যাদি। আপনি একটু ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখবেন, অনেক গুণাবলীসম্পন্ন দয়ালু অসাম্প্রদায়িক আধুনিক যোদ্ধা বা নেতা হিসেবে তাকে দেখানো হয়েছে। এমনকি সেখানে আফজাল খাঁ’র সাথে ঘটনাটা আরেকভাবে এসেছে, বলা হয়েছে বিশালদেহী আফজাল খাঁ তাকে শরীরের সাথে চিঁপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চেয়েছিল। তখন কুশলী যোদ্ধা বাঘনখ দিয়ে হত্যা করে।

আপনি মিছিমিছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’র মতো একজন মহান ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করছেন। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই শিবাজীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একটু নেটে শিবাজী লিখে সার্চ করলেই। সেই সময়টাই ছিল ওরকম। বেশিরভাগ মোগল সম্রাটই ছিল যারপরনাই বর্বর সাম্প্রদায়িক নিষ্ঠুর, অথচ আমরা তাদের শ্রদ্ধার চোখে দেখি। এই পোস্ট বিভ্রান্তকারী।

৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

অর্ক বলেছেন: গেল বছর বা তার আগের বছরেও বোধহয় দিয়েছিলেন এই পোস্টটি! সেখানে দুটি তিনটি মন্তব্যও করেছিলাম এ বিষয়ে! আমি শিবাজী’কে নিয়ে ইন্টারনেটে পড়াশোনা করেছি ও মুম্বাইয়ে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা যেভাবে শিবাজীকে জানি, ওখানে সেভাবে নয়। সেখানে তার আরেক মহান দয়ালু রূপের ইতিহাস পাওয়া যায়। যে শিবাজী’র নামে মুম্বাইয়ের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নামাঙ্কিত, যেমন শিবাজী টার্মিনাল, বিমান বন্দর ইত্যাদি। আপনি একটু ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখবেন, অনেক গুণাবলীসম্পন্ন দয়ালু অসাম্প্রদায়িক আধুনিক যোদ্ধা বা নেতা হিসেবে সেখানে তাকে দেখানো হয়েছে। এমনকি সেখানে আফজাল খাঁ’র সাথে ঘটনাটা আরেকভাবে এসেছে, বলা হয়েছে বিশালদেহী আফজাল খাঁ তাকে শরীরের সাথে চিঁপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চেয়েছিল। তখন কুশলী যোদ্ধা শিবাজী বাঘনখ দিয়ে তাকে হত্যা করে।

আপনি মিছিমিছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’র মতো একজন মহান ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করছেন। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই শিবাজীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একটু নেটে শিবাজী লিখে সার্চ করলেই সব জানতে পারবেন। সেই সময়টাই ছিল ওরকম। রাজাগণ অন্য রাজ্যজয়ে যুদ্ধ করতো। বেশিরভাগ মোগল সম্রাটই ছিল যারপরনাই বর্বর সাম্প্রদায়িক নিষ্ঠুর, অথচ তবুও আমরা তাদের শ্রদ্ধার চোখে দেখি। কারণ তারা ছিল মুসলিম। আপনার এই পোস্ট অনর্থক বিভ্রান্ত সৃষ্টকারী। সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে ইতিহাসকে গ্রহণ করতে হয়।

শিবাজীকে নিয়ে ও এ ব্যাপারে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইলো।

৫| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

অর্ক বলেছেন: প্রথম মন্তব্য ও এটা দয়া করে মুছে দিন।

৬| ০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

লোনার বলেছেন: দেখুন:
view this link

৭| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অ আচ্ছা।
কিছু মানুষের ভুলের মধ্যে থাকতেই বেশি ভালোবাসে।

৮| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

শায়মা বলেছেন: পৃথিবীতে নাকি সকল ভালো কাজেরই কিছু হেটারস আছে। হেটারসদের কাজই সর্ষের মধ্যে ভূত খুঁজে বের করা।

আমি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে এত ভালোবাসি যে সরিষার মধ্যে ভূত খুঁজিনা!

৯| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর সৃষ্টি ই বলে দেয় তিনি কি ছিলেন। আমার ও অনেক নিন্দুক । গুরু দেবের ও আছে। ভাবতে লাগছে মন্দ নয়। #:-S

১০| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

শায়মা বলেছেন: শিবাজীর দোষের শেষ নেই তবুও আমার তাকে তার লক্ষ্যভেদী তীরন্দাজের ভূমিকা ও অব্যার্থ বর্শানিক্ষেপ বা তলোয়ার পারদর্শীতায় জন্য সেকালের রবিনহুড মনে হয়। এছাড়াও ইতিহাস পড়ে এটাও মনে হয় হিন্দু পীড়নকারী মুঘল সম্রাটদের বিরুদ্ধেই তার লড়াই ছিলো যার ফলশ্রুতিতে নিপীড়িত হয়েছিলো সাধারণ মুসলিম জনতা।

তূর্ণা লুটের পর তার মৌলবাদী মন মনে করে দেবী ভবানীর আশীর্বাদে সে এই বিপুল সোনা-রত্ন পেয়েছে। মৌলবাদীত্ব দিয়ে নিজের পাপ কাজ সিদ্ধ করার মানষিক পরিতৃপ্তি মনে হয়। তবে সে এসব ধন সম্পদ মহৎ কাজে ব্যয় করার ইচ্ছায় একের পর এক লুটপাট শুরু করে ও নেশাগ্রস্থ লুটেরা হয়ে ওঠে। ঐ বয়সে মিসগাইডেড স্পয়েল্ড টিন এজার। সে শুধু শক্তিতেই দুঃসাহসিক ছিলো তাই নয় কুবু্দ্ধিতেও কম নয়। আফজাল খা এর সাথে শক্তিতে পারবেনা জেনে সে অন্য কুপন্থা অবলম্বন করে। যশবন্ত সিং এর সাথে ঘুষ দেওয়া নেওয়া, ঝুড়ি করে পালানো সবই যেন দুঃসাহসিক লুটেরার কোনো ম্যুভি চিত্র।

তবে আফজাল খাকে কোলাকুলি ছলে বাঘনখ দিয়ে হত্যা করার ব্যাপারে আরো একটা গল্প আছে। তাকে বন্দী করা হয়েছিলো আওরঙ্গজেবের দরবারে সম্রাটের দিকে পিছন ফিরে বেরিয়ে আসার বেয়াদবির কারণে। এ কারণেই শিবাজী ছলের আশ্রয় নিয়ে তাকে হত্যা করে।

তবে এসবের সাথে রবিঠাকুরের বা তাকে শ্রদ্ধা বা তার অনুসারী হবার কোনো ইতিহাস আমার জানা নেই। আজ ছুটি আছে এই লেখাতে দেওয়া রবিঠাকুরের এই কবিতার ইতিহাস আজকে জানার চেষ্টা করবো। :)

১১| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কবিগুরুর এই পরিচয় আমার জানা নেই।

১২| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

শায়মা বলেছেন: শিবাজী উৎসব কবিতায়-


মারাঠার কোন শৈলে অরণ্যের অন্ধকারে ব’সে,

হে রাজা শিবাজি,

তব ভাল উদ্ভাসিয়া এ ভাবনা তড়িৎপ্রভাবৎ

এসেছিল নামি-

“এক ধর্মরাজ্য পাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত

বেধে দিব আমি।”

“খণ্ড চ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত” ভারত বলতে এক অখণ্ড হিন্দু ধর্মরাজ্য রূপে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন শিবাজি দেখেছিল সেটিই ছিল রবীন্দ্রনাথেরও নিজের স্বপ্ন। সে অভিন্ন স্বপ্ন নিয়ে রবীন্দ্রনাথ আর শিবাজির চেতনা একই ছিলো। তবে আমার মনে হয় না শিবাজীর মত তা শুধু হিন্দুদের জন্য ও মুসলিমদের বিপক্ষে ছিলো।

যদিও শিবাজী মুসলিম বিদ্বেষী ছিলো তার কারণ শুধু তার লুট তরাজ স্পয়েল্ড স্বভাবই না তার পিছে আরও কিছু কারণ আছে । ভারত জুড়ে তখন ছিলো মোগলদের শাসন। হিন্দু ধর্ম রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিবাজী বেছে নেয় মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসের পথ। শিবাজী গোঁড়ামীর শিকার হতে পারেন কিন্তু রবিঠাকুরকে ঠিক তেমনটা মনে হয় না আমার। তাকে মানবতার কবি বলেই বিশ্বাস করি আমি। আর তাছাড়া শিবাজি উৎসব কবিতায় কোথাও স্পষ্ট করে হিন্দুপ্রীতি এবং মুসলিম বিদ্বেষ ফুটে ওঠেনি। রাজনৈতিক চেতনার কিছুটা প্রকাশ আছে বলে মনে হয়েছে আমার।

তাছাড়াও ধর্ম যে বিশাল প্রভাব বিস্তার করে তাতে তার মাঝে হিন্দুপ্রীতি থাকলেই বা দোষের কি? মুসলিমদের যেমন নিজের ধর্মের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্ব আছে । মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে তখন হয়তো হিন্দুরা বলতো ঐ যে রবিঠাকুরও সাম্প্রদায়িকতা মনোভাবে আমাদেরকে আঘাত করেছেন।


সবচেয়ে মজার ঘটনা শিবাজীর জন্মের ইতিহাস। পুনার একজন মুসলিম সাধকের দোয়া ও সাধনায় তার জন্ম। অথচ যার কারণে তার এই পৃথিবীতে জন্ম সেই সম্প্রদায় শেষ করতে সে উঠে পড়ে লাগলো।

তবে হ্যাঁ সেই আমলের মুসলিম মুঘল সম্রাটদের কূকীর্তী ও অত্যাচারেরও শেষ ছিলো না। সব কিছুরই এ পিঠ ও পিঠ থাকে । অন্ধের মত শুধু নিজেদেরকে সাপোর্ট করাই বিবেকবানের কাজ না।


উইকি তথ্য- দীর্ঘদিন যাবত পুত্র সন্তান না হওয়ায় মালোজী সকল দেব-দেবীর পূজা করে হতাশ হয়ে অবশেষে শাহ শরিফ নামক একজন মুসলমান ফকিরের দরবারে দোয়াপ্রার্থী হন।কিছুদিন পর তার ঘরে পর পর দুইটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। ফকিরের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য তিনি তাদের একজন নাম রাখেন শাহজী এবং অপরজনের নাম রাখেন শরিফজী (দি প্রিনসেস অব ইনডিয়া, স্যার এডওয়ার্ড সুলিভ্যান, এডওয়ার্ড স্ট্যানফোর্ড, লন্ডন,১৮৭৫, পৃষ্ঠা ৪৪৩-৪৪৪)।

কিন্তু তার পরই মনোমালিন্যের কারণে মালোজী দুই পুত্রসহ স্ত্রীকে পূনায় পাঠিয়ে দেন এবং নিজে পুনরায় বিয়ে করে বিজাপুরে অবস্থান করতে থাকেন। শিবাজী ঐ পূনাতেই জন্মগ্রহন করেন.....

১৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

লোনার বলেছেন: view this link

১৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০২

নতুন বলেছেন: উইকিতে শিবাজি সম্পকে এতো বড় অভিযোগ নাই।

তিনি মোঘলদের সাথে যুদ্ধ করেছেন তাই মুসলমানেরা তাকে ভালো দেখবে না এটাই সাভাবিক।

https://en.wikipedia.org/wiki/Shivaji

কবি হিসেবে তিনি অবশ্যই ইহুদী হত্যাকে ঘৃনা করবেন এবং তাদের প্রতি সহানুভিতি দেখাতেই পারেন।

তিনি তো দেখি প‌্যালেসটাইনে আরব রাও যাতে ভালো ভাবে ধম` কম` করতে পারে সেই কথাও বলেছিলেন....

In a statement made recently Tagore said: “I regard Jewish nationalism as an effort to preserve and enrich Jewish culture and tradition. I visualize a Palestine Commonwealth in which the Arabs will live their own religious life and the Jews will revive their resplendent future, but both will be united as one political and economic entity.”

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.