নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মরণঃ সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীর (৩ নভেম্বর ১৬১৮- ৩ মার্চ ১৭০৭)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯



সম্রাট আওরঙ্গজেব ৪৯ বছর ধরে উপমহাদেশ শাসন করেছেন। ভারতবর্ষের প্রায় সব জায়গা তার রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল।

আওরঙ্গজেবের সময়েই বাংলার সুবেদার ছিলেন শায়েস্তা খান। তার সময়ে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত। এবং এই সময়েই রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের খবর শুনে আরাকানে সম্রাট আলমগীর একটা আর্মি পাঠান সেই আর্মির বিজয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বাংলা সালতানাত তথা বাংলাদেশের অংশে পরিনত হয়।

আওরঙ্গজেব এর সময়ে ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে চীনকে পিছনে ফেলে ভারতবর্ষ পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিনত হয়, যার মূল্যমান ছিল প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। এর জিডিপি ছিল সে সময়ের সমগ্র বিশ্বের ৪ ভাগের ১ ভাগ।

১৭০৭ সালে আজকের এই দিনে তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রপ্রধান আওরঙ্গজেব ৮৮ বছর বয়স মারা যান। মৃত্যুর পরে তার সম্পকদের হিসাব করে পাওয়া যায়- ৩১৪ রুপি আর নিজ হাতে বোনা কিছু টুপি (এই টাকা টুপি এবং কুরআন শরীফ নকল বিক্রি করে প্রাপ্ত)।

তিনি শেষ সময়ে বলে যান এ থেকেই জানাযা আর দাফনে খরচ করা হয়। এবং যা বাঁচবে তা গরীবদের মাঝে দান করে দিতে।

#
পাঞ্জাবের নিকটবর্তী এক গ্রামের ঘটনা। সম্রাট আওরঙ্গজেব প্রেরিত এক মুসলমান সেনাপতি তার বাহীনি নিয়ে পল্লীর ভিতর দিয়ে যাওয়ার কালে এক ব্রাহ্মনের সুন্দরী কন্যা তার নজরে পরে। সেনাপতি ব্রাহ্মনের নিকট সে কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং এক মাসের মধ্যে বলে নিশ্চিত জানিয়ে আসেন। ব্রাহ্মন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কতিপয় বুদ্ধিমান লোকের পরামর্শে ব্রাহ্মন সরাসরি সম্রাট আওরঙ্গজেবের শরানাপন্ন হন। সম্রাট আওরঙ্গজেব ধৈর্য করে ব্রাহ্মনের বিপদের কথা শুনলেন। তিনি ব্রাহ্মনকে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে যেতে বললেন এবং বিয়ের দিন তিনি নিজে বাড়িতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান। কারো নিকট বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য নির্দেশ দিলেন। বিয়ের আগের রাতে সম্রাট সাধারনভাবে গিয়ে ব্রাহ্মনের বাড়িতে উপস্থিত হন। পরদিন যথাসময়ে সেনাপতি বরবেশে ব্রাহ্মনের বাড়িতে এসে হাজির হন। ব্রাহ্মনকে সেনাপতি বললেন যে বিয়ের আগে কন্যা দেখা উত্তম। তখন পূর্ব নির্দেশমত স্থান দেখিয়ে দেওয়া হয় যে কক্ষে সম্রাট রয়েছেন। সেনাপতি সে কক্ষে প্রবেশ করেই নাঙ্গা তলোয়ার হাতে স্বয়ং সম্রাটকে দেখে আতংকে ক্ষমা চাওয়ার আগেই বেহুশ হয়ে মাটিতে পরে যায়। ব্রাহ্মন সম্রাটের ভূমিকা দেখে আপ্লুত হয়ে যায়, সম্রাট তাকে বুকে জরিয়ে ধরে বললেন যে, এটা তারই দায়িত্ব ছিল। দায়িত্বটুকু পালন করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন। এই ঘটনার পর ওই গ্রামের সবাই এই ঘটনার স্মরণ রাখতে গ্রামের নাম দেন সম্রাটের নাম অনুসারে “আলমগীর নগর”।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে খুব ভালো হতো।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

নয়া পাঠক বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য। এ যুগে এমন মহামানব এই সোনার দেশে আরও একটিবার যদি ফিরে আসতেন!

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা অজানা বিষয় জানলাম।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: সম্রাট আওরঙ্গজেব সম্পর্কে আগেই জানা ছিলেন তার আমালে কোন সাম্প্রদায়িক অশান্তিও ছিলো না, তবে তিনি ছিলেন আল্লাহ ভীরু একজন শাসক

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

রুদ্র আতিক বলেছেন: সম্রাট আওরঙ্গজেব সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেই গেল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.