নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)

০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

আরেকটা পর্ব নিয়ে হাজির। আগের পর্বগুলোতে প্রচন্ড উৎসাহ পেয়েছি। অনেক ধন্যবাদ। এবারের পর্বে কিভাবে কানাডিয়ানদের সাথে বন্ধুত্ব করলাম, এবং কানাডিয়ান ছেলেরা কিভাবে আমাকে জ্বালাত তা নিয়ে লিখব।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)

তো কানাডিয়ান বাচ্চারা কেউ রেসিস্ট ছিল না, তবে ভাষা সমস্যার কারণে আমার কাছে তেমন একটা ঘেষত না। আমাকে আমার পোশাক, গায়ের রং নিয়ে কখনো কিছু শুনতে হয়নি। তবে আমার সাথে কথাও বলত না। আমি প্রতি ক্লাসে বেন্চের মাঝে বসতাম যাতে কাউকে না কাউকে কোন এক পাশে বসতে হয়। কিন্তু তখন পুরো বেন্চ খালি থাকত শুধু আমি ছাড়া। অন্যান্য এশিয়ান (জাপানিজ, কোরিয়ানদেরও) একই অবস্থা। আর এদিকে E.S.L ক্লাসে টিচাররা তাগাদা দিচ্ছে ইংলিশ ইমপ্রুভ করতে কানাডিয়ান কিডদের সাথে মেশো। তোমরা বিদেশীরা সারাক্ষণ আলাদা থাক এটা ঠিক না। ওনাদের কে বোঝাবে আমরা মিশতে চাই, কিন্তু আমাদের কালচার, ইংলিশ না বুঝতে পারায় ওরাই আর আগ্রহ দেখায় না। আর এমনিতেও নতুন কোন কানাডিয়ান স্টুডেন্ট আসলেও খুব যে মেশে তা না। আমাদের দেশে নতুন স্কুলে গেলে টিচাররা পুরানোদের বলতেন ও নতুন, মানিয়ে নিতে সাহায্য করো। আসলে আমাদের দেশের আতিথেয়তা বা সরল মনে আপন করে নেওয়ার ব্যাপারটা কানাডায় নেই। এখানে নিজেরটা নিজেই করে নিতে হয়। এরা না কারও ক্ষতি করবে, না কারও লাভ করবে। Your life, your headache.

তো অনেক চেষ্টা করলাম টুকটাক কথা বলার ওদের সাথে। কিন্তু এক হাতে তালি বাজল না, আর আমারও কানাডিয়ান বন্ধু হলো না। কয়েকটা E.S.L এর ছেলেমেয়েদের সাথেই মিশতে থাকলাম। কিন্তু ওদেরও নিজের দেশের বন্ধু থাকায় খুব একটা পাত্তা পেলাম না। খালি মনে হত কয়েকজন বাংলাদেশি যদি এখানে থাকত! তো হাল ছেড়ে দিলাম। একাকিত্বকেই বন্ধু বানিয়ে নিলাম। একা একা ঘুরতাম, পড়তাম। খারাপও লাগত না আর। যেন এটাই নরমাল। তবে এতে আমার খুব লাভ হয়েছিল। খুব self dependent হয়ে গিয়েছি। এখনো যদি বন্ধু ছাড়া চলতে হয় চলতে পারব।

তো প্রথম সেমিস্টার প্রায় শেষের পথে। একদিন সাইন্স ক্লাস থেকে আমাদের জীমে নিয়ে যাওয়া হল। গিয়ে দেখি পুরো স্কুল এক হয়েছে। ওখানে নাকি ভালো স্টুডেন্টদের আওয়ার্ড দেওয়া হবে। তো বিশাল জীমের সারি সারি সিড়িতে স্টুডেন্টরা বসা। আর সামনে টিচাররা ভাষন দিলেন, সিনিয়াররা মজার মজার খেলা খেলল ফান্ড রেইজিং এর জন্যে। এরা ফান্ড রেইজিংটা খুব করে। এরপরে সামনে থাকা বড় স্ক্রিনে যারা বিভিন্ন সাবজেক্টে ভালো করেছে তাদের নাম উঠছে। তখন শুধু নাম দেখায় পরে অফিস থেকে পুরষ্কার হিসেবে দেওয়া সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হয়। হঠাৎ করে দেখি স্ক্রিনে বেশ কয়েকজনের সাথে আমার নাম!!! সাচ এ সারপ্রাইজ। ভাষাই পারিনা আবার ভালো করলাম কখন? একটু পরে পরে দেখি বিভিন্ন সাবজেক্টে একসিলেন্স আওয়ার্ড লিস্টে আরও পাচ ছজনের সাথে আমার নাম। কি যে ভালো লেগেছিল! পরের বছরগুলোতেও নিয়মিত পেয়েছি কিন্তু প্রথম বছরে আনএক্সপেকটেডলি এতগুলো আওয়ার্ডে যারপরনাই খুশি ছিলাম।

তো পরের সেমিস্টার শুরু হল। আর social studies ক্লাসে আমার নাইটমেয়ারও শুরু হল। ওই ক্লাসে স্কুলের সবচেয়ে দুষ্টু ছেলেগুলো কিভাবে যেন একসাথে পরে গেল। আর ক্লাসে বাকি ৭/৮ টা মেয়ের মধ্যে আমাকেই বেছে নিল ফ্লার্ট করার জন্যে। অশ্লীল কিছু করত না কিন্তু খুব পিছে লাগত। যেমন আমার পুরো নাম আরবিতে হওয়ায় আরবি টোনে নাম নিয়ে গান বাধত, লম্বা বেনীতে টান দিত, অন্যভাবে তাকাত এইসব। আগের সেমিস্টারেও তাকাত কিন্তু আমি নতুন হওয়ায় হয়ত অস্বস্তি বোধ করত। আর আওয়ার্ড পাওয়ার পরে আরও নজরে পরে গেলাম। আমি ভাই আমার মফস্বল শহরে এত ওপেন ফ্লার্টিং দেখিনি। খুব বেশি হলে চোখাচুখি। হাসবেন্ড ওয়াইফও জনসম্মুখে হাত ধরতে লজ্জ্বা পেত আমার ছোট শহরে। আর এখানে? নিজে থেকে ঝাড়িও দিতে পারছিনা। মা আমাকে বলেছিল, "যদি দেশে খারাপ কিছু কর ফ্যামিলির বদনাম, আর যদি এখানে খারাপ কিছু কর দেশের বদনাম।" সেই কথা মনে করে কিছু বলতাম না, ভাবতাম যদি ছড়িয়ে যায় বাংলাদেশের মানুষ রুড। কিছু না বলায় ওরা আরও আগ্রহ পেয়ে যায়। এখন আল্লাহর ফেরেশতা হয়ে কে বাচাবে আমাকে? হ্যা পেয়েছি যারা সবসময় বাচিয়ে এসেছে, টিচার!

তো একজন জার্মান কানাডিয়ান ভদ্রমহিলা আমার টিচার ছিলেন। ওনার সাথে অনেক ফ্রি ছিলাম। কারণ social studies এর টিচারদের অন্য দেশের প্রতি আগ্রহ থাকে। তো ক্লাস শেষ হওয়ার পরে প্রতিদিন অন্তত বিশ মিনিট দুজনে মনখুলে দেশের গল্প করতাম। তো আমি একদিন একটু আগে ক্লাসে যাই কনফিডেন্টলি ওই পাচ/ছয়টা ছেলের বিরুদ্ধে নালিশ দিতে। যাওয়া মাত্র টিচার আমাকে বললেন তুমি দেখেছ? আমি বললাম কি? উনি বললেন ও (ওদের মধ্যে একজন) ইউটিউব ভিডিওটার (ক্লাসে ভিডিওটা দেখানো হয়েছিল পড়ানোর জন্যে) নিচে কমেন্ট বক্সে i love you (আমার ডাক নাম) লিখে রেখেছে। টিচার বললেন তুমি নিশ্চয় খুশি ক্লাসের সব ছেলে তোমার সাথে ফ্লার্ট করে। It means you are hot stuff." আমার ওপরে তো বজ্রপাত হল। টিচার এসব কি বলে? কোথায় রাগ করবে, ছেলেদের স্কুল থেকে বের করে দেবে (বাংলাদেশে তাই হত) তা না। পরে বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের দেশে ছেলেরা ডিস্টার্ব করলে সেটা খারাপ কেননা মেয়েটার ক্যারেক্টারে দাগ পড়তে পারে। আর এখানে ছেলেদের নজরে আসাটাই ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট!!

তো আর কি করব? সহ্য করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে ক্লাসের মেয়েরা খুব ভাব জমাতে চাইল। ছেলেদের পছন্দের যে আমি সেজন্যে! কিন্তু একটা সময় আমার টিচার ঠিকই খেয়াল করলেন বিষয়টা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাচ্ছে। আমার অসহায় চেহারা দেখে বুঝতে পেরেছিলেন ব্যাপারটাতে আমি বিব্রত। তো উনি ওই পাচটা ছেলে আর আমাকে ক্লাসের বাইরে নিয়ে গেলেন। বললেন, "কয়দিন আগে ইন্ডিয়াতে একটা মেয়ে পাবলিক বাসে রেপড হয়। তোমরা বোঝনা জীবণ কত কঠিন। ও তোমাদের কলিগ, ওকে এসবের মধ্য দিয়ে কেন যেতে হবে?" আমিও বললাম আমার বাবা যদি ইউটিউব ভিডিওর নিচের লেখাটা দেখেন কতোটা চিন্তায় পরে যাবেন। ওরা পুরোটা সময় মাথা নিচু করেছিল আর বারবার সরি বলছিল। পরে কয়েকদিন আমার দিকে আর তাকায়নি পর্যন্ত কিন্তু তারপরে আবার যা তাই। তবে আর কিছু মনে করতাম না কেননা সেদিন ওদের সরি বলার ধরন দেখে বুঝে গেছিলাম আসলে ওরা ভালো ছেলে। শুধু দুষ্টুমিটা বেশি করে। আর টিচারও কড়া নজর রাখতেন বলে বেশি কিছু করতে পারত না। শুধু পড়া বুঝে নেওয়ার বাহানা করে আমার কাছে আসত। এতে তো টিচার কিছু বলতে পারবেনা। টিচার সব বুঝে আমার দিকে মুচকি মুচকি হাসত, আর কাধ ঝাকাত। যেন বলছেন সরি এটুকু সহ্য করতে হবে।

তো এরপর থেকে কানাডিয়ান ছেলেমেয়েদের জীবনের একটা বড় অংশ হয়ে গেলাম, যে আমি কোন একটিভিটিতে পার্টনার পেতাম না, এখন আমাকেই আগে থেকে বুক করে রাখে!! আমার পাশে কেউ বসত না, আর এখন আমার পাশে বসার জন্যে আগে থেকে ব্যাগ দিয়ে রাখে!! কারণ আামার গ্রুপে থাকলে ভাল মার্ক পাবে। কিন্তু এদের সাথে কাজ করলেও সিরিয়াস বন্ধুত্বে যাইনি। যে দুএকজন কানাডিয়ান আমার ভাংগা ভাংগা ইংলিশ সহ্য করেও প্রথমদিকে মোটামুটি মিশত শেষ পর্যন্ত তাদের সাথেই ছিলাম। ইংলিশ ইমপ্রুভ হওয়ার সাথে সাথে তাদের সাথে হওয়া টুকটাক কথাগুলো কনভার্সেশনে পরিণত হতে লাগল। বন্ধু ছিল তারাই যারা আমার কাছে হেল্প আশা করেনি, কিন্তু আমাকে হেল্প করেছে। আর ইংলিশে দ্রুত উন্নতি হওয়ায় E.S.L ক্লাসে সবার লাইফসেভার হয়ে গেলাম। সবাই অন্য সাবজেক্টের হেল্প নিতেও আমার কাছে আসত। ব্যাস এভাবেই দুতিনজন কানাডিয়ান বন্ধু আর অগনিত E.S.L বন্ধু পেয়ে গেলাম!

তো কিভাবে কানাডিয়ানদের সাথে ভাব জমালাম তার সহজ উত্তর হলো নিজের যোগ্যতা প্রমান করে, আর ইংলিশ ইমপ্রুভ করে। এটাই বাংলাদেশ আর কানাডার পার্থক্য। বাংলাদেশে বন্ধুত্ব করতে যোগ্যতা লাগেনা,অন্তত আমার ক্ষেত্রে লাগেনি। কিন্তু সত্যিই বলছি দেশের মতো পুরো স্কুল হাত হাত ধরে ঘুরে বেড়ানোর মতো, ক্লাস চলাকালিন লুকিয়ে কাটাকাটি খেলার মতো, রঙ সাধের পানি আইসক্রিম দুই ভাগ করে খাওয়ার মতো, মাতব্বরি করে ছোট একটা প্রবলেমের জ্ঞানী সমাধান দেওয়ার মতো বন্ধু খুব কমই পেয়েছি ....

এর পরের পর্ব পাঠক চাইলে লিখব। কষ্ট করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

আরইউ বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভেরি মেলোড্রামাটিক, এন্ড লুকস লাইক ইউ হ্যাভ গট দা মকসি!

০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলেই সময়গুলো ড্রামাটিকই ছিল, এখন পেছনে তাকালে বুঝতে পারি। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ০১ লা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

আলম 1 বলেছেন: ভাল লাগছে, চালিয়ে যান।

০১ লা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকুন, চালিয়ে যাব।

৩| ০১ লা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: //আসলে আমাদের দেশের আতিথেয়তা বা সরল মনে আপন করে নেওয়ার ব্যাপারটা কানাডায় নেই। // -- আমাদের দেশে কিছু ভাল জিনিস তা হলে এখনো আছে !!!

//এরা না কারও ক্ষতি করবে, না কারও লাভ করবে। Your life, your headache.// -- যে দেশে, যে নীতি !!!

//একাকিত্বকেই বন্ধু বানিয়ে নিলাম। একা একা ঘুরতাম, পড়তাম। খারাপও লাগত না আর। যেন এটাই নরমাল। তবে এতে আমার খুব লাভ হয়েছিল। খুব self dependent হয়ে গিয়েছি। এখনো যদি বন্ধু ছাড়া চলতে হয় চলতে পারব।// -- সব নেগেটিভ জিনিসেরই কিছু পজিটিভ দিক থাকে, আপনি সেই পজিটিভটাকে খুব সুন্দর করে নিজের করে নিয়েছেন।

//কি যে ভালো লেগেছিল! পরের বছরগুলোতেও নিয়মিত পেয়েছি কিন্তু প্রথম বছরে আনএক্সপেকটেডলি এতগুলো আওয়ার্ডে যারপরনাই খুশি ছিলাম।//
-- আমার অবচেতন মন বলছিল, আপনি ভাল করবেন। অভিনন্দন !!!!

//মা আমাকে বলেছিল, "যদি দেশে খারাপ কিছু কর ফ্যামিলির বদনাম, আর যদি এখানে খারাপ কিছু কর দেশের বদনাম।"// -- আপনার মার কথাটা খুব ভাল লেগেছে, সব মায়েরাই যদি সন্তানদের এভাবে গাইড করত !!!

//পরে বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের দেশে ছেলেরা ডিস্টার্ব করলে সেটা খারাপ কেননা মেয়েটার ক্যারেক্টারে দাগ পড়তে পারে। আর এখানে ছেলেদের নজরে আসাটাই ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট!! // -- পরিস্থিতি বেশ জটিল।

//শুধু পড়া বুঝে নেওয়ার বাহানা করে আমার কাছে আসত। এতে তো টিচার কিছু বলতে পারবেনা। টিচার সব বুঝে আমার দিকে মুচকি মুচকি হাসত, আর কাধ ঝাকাত। যেন বলছেন সরি এটুকু সহ্য করতে হবে।// -- মানিয়ে চলা, এটাও কিন্তু বিরাট একটা শিক্ষা !!!

//কিন্তু সত্যিই বলছি দেশের মতো পুরো স্কুল হাত হাত ধরে ঘুরে বেড়ানোর মতো, ক্লাস চলাকালিন লুকিয়ে কাটাকাটি খেলার মতো, রঙ সাধের পানি আইসক্রিম দুই ভাগ করে খাওয়ার মতো, মাতব্বরি করে ছোট একটা প্রবলেমের জ্ঞানী সমাধান দেওয়ার মতো বন্ধু খুব কমই পেয়েছি ....// -- এত প্রাপ্তির পরও এই অভাগা দেশটাকে ভুলতে পারলেন না !!!

কষ্ট না, পরিপূর্ণ আনন্দ নিয়েই পড়লাম।
এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।



০১ লা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ার পরে কিছুক্ষন থ মেরে বসে থাকি, কি বলব? এত সুন্দর!! কেউ আপনার মন্তব্য পড়লেই আমার পুরো লেখাটা বুঝতে পারবে।

আমাদের দেশে কিছু ভাল জিনিস তা হলে এখনো আছে !!!
ভাই আমি পৃথিবীর অনেক অনেক দেশের মানুষের সাথে মিশি, কেউ আমাদের চেয়ে বেশি প্রফেশনাল, কেউ বেশি স্মার্ট, কেউ বেশি পোলাইট কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মতো সরল, সাহসী কাউকে দেখিনি। আর কথাটা নিরপেক্ষভাবেই বলছি।

আমার অবচেতন মন বলছিল, আপনি ভাল করবেন। অভিনন্দন !!!!
বেশ আগের কথা বাট অভিনন্দনের জন্যে ধন্যবাদ।

আপনার মার কথাটা খুব ভাল লেগেছে, সব মায়েরাই যদি সন্তানদের এভাবে গাইড করত !!!
ভাই সব মাই ভালো জিনিসই শেখায় কিন্তু বাচ্চারা শুনলেতো।

এত প্রাপ্তির পরও এই অভাগা দেশটাকে ভুলতে পারলেন না !!!
ভাই আমাদের দেশ এমন কিছু অভাগা হয়ে যায়নি। কানাডার বয়স ১৪৫ আর বাংলাদেশের ৪৫, সো তুলনা করলে তারা এগিয়ে থাকবেই। কিন্তু আমাদের দেশের মতো বা তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় অনেক দেশ আছে। সেইসব দেশের মানুষের সাথে মিশে অবাক হয়ে দেখেছি তারা আমাদের চেয়ে বেশি গর্বিত!! আসলে নিজেকে সম্মান না করলে কেউ আপনাকে সম্মান করবে না।

এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
কিন্তু কি নিয়ে লিখব? আইডিয়া দেন, I am running out of ideas.

আপনার প্রচন্ড গোছালো কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: খুব ভালো লাগছে। প্লিজ আরও কয়েকটা পর্ব লিখুন। যদি স্কুল লাইফের শেষ পর্যন্ত লিখেন তাহলে আরও ভালো হয়।

০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শেষের দিকের কাহিনীগুলো এত মজার না কেননা ততদিনে মানিয়ে নিয়েছি। তবে প্রথমদিকের মজার কাহিনী আরও আছে সেগুলো লিখব। আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কানাডিয়ানদেরকে জয় করার কাহিনি পড়ে সত্যিই গর্বিত। গর্বিত আপনাকে নিয়ে।

বাংলাদেশেও কিছু সমাজে ভাব জমাতে যোগ্যতা লাগে। গ্রামের ক্ষেত্রে আলাদা। এটি সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শিক্ষার হার বাড়ার সাথেসাথে এদেশেও 'মাকাল ফল সোন্দর্য্যের' কদর কমে আসছে।

শুভেচ্ছা... সফলতা বেড়েই চলুক।

০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে ভাই আমি ক্ষুদ্র মানুষ কানাডা কি জয় করব। শুধু এডজাস্ট করার কথা লিখেছি।

বাংলাদেশেও কিছু সমাজে ভাব জমাতে যোগ্যতা লাগে।
সহমত। আমাদের গ্রাম আর মফস্বলের মানুষ সরল মনে আপন করে নেয়। কিন্তু বড় শহরের মানুষের ভাবই আলাদা।

শুভকামনার জন্যে ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমার অনেক কথাই কিন্তু ক্ষোভের থেকে বলা, আশা করি আপনি তা অনুধাবন করতে পেরেছেন।

আমার পরিচিত অধিকাংশ লোক (দু'এক জন বাদে), বিদেশ থেকে এসে এমন একটা ভাব করে, যেন নরকে এসে পড়েছে।

আর অনেক মায়েদেরই দেখি, নিজে যেমন, মেয়েকে তেমনই শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা উন্নত মানসিকতার মা সৃষ্টি করতে পারছি না। নেপোলিয়নের একটা বিখ্যাত উক্তি,"তোমরা আমাকে একটা ভাল মা দাও, আমি তোমাদের একটা ভাল জাতি দেব" । খেয়াল করুন, ভাল বাবার কথা কিন্তু বলেননি।
এক জন সন্তানের সবচেয়ে বড় শিক্ষক তার মা। কিন্তু আমরা ছেলেদের মানুষ করার জন্য যে পরিমাণ খরচ, ত্যাগ স্বীকার করি, তার কিয়দংশই মেয়েদের জন্য বরাদ্দ থাকে। একটা মেয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হচ্ছে, তাই তার মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

আপনি কি টপিক নিয়ে লিখবেন, সেটা আমি নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, যা আপনার হৃদয়কে আলোড়িত করেছে, যাতে কৃত্রিমতা নেই, এমন কিছু নিয়ে লেখুন, আশা করি সবাই পড়বে।

আপনার সাফল্যে আমরাও গর্বিত।

ভাল থাকুন। সবসময়।

অফটপিকঃ একটা কথা আপনাকে জানাই, মাশরাফি আমার খুব প্রিয় ক্রিকেটার।



০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ক্ষোভের থেকে বলা বুঝতে পেরেই ক্ষোভ দূর করতে চেয়েছিলাম।

জ্বী একদম ঠিক। বিদেশে আসার আগে এবং এখন নিজে প্রবাসী হয়েও দেখি আড্ডার পরে আড্ডা, কানাডার মতো দেশে থেকে থেকে তারা আর বাংলাদেশের মতো দেশ (যেখানে মানুষ থাকেনা) তা সহ্য করে এসেছে। এইগুলোক ধরে যে কি করতে ইচ্ছা হয় আমার। দূর বাদ দেন। প্রবাসি নামের কলংক।

বাবাহ ছেলে হয়েও নারীদের জন্যে মহান চেতনা। কয়েদিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বললেল, "কানাডায় নারীরা Equalityর জন্যে লড়ছেন, কিন্তু আমি চাই আরও পুরুষ যেন নারীদের অধিকারের জন্যে লড়ে।" অসাধারন সুন্দর কথা, এবং উনি আপনাকে পেয়ে খুশি হয়ে যেতেন। :)

শুধু ক্রিকেটার? আমার মনে হয় আমাদের যুগের শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী। আমার অনেক টাকা থাকলে ওনার নামে একটা ক্রিকেট স্ট্যাডিয়াম বানাতাম। আশা করি অন্য কেউ কাজটা করবে। মাশরাফি ভাইয়ের হাতে কোন ট্রফি দেখা এবং তার নামে হওয়া মাঠ আমার জীবনের অন্যতম বড় স্বপ্ন।

আপনিও ভাল থাকুন।

৭| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

পিকাচু বলেছেন:
AzuriLL said she gets to sLeep by 10/10.30

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: And AzuriLL doesn't lie. It's only 9:30 now. আর আজকে বিকেলে অসময়ে ঘুমিয়ে একটু আগেই উঠেছে। তো আজকে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবেনা। পিকাচু সারাদিন কি কি করলেন AzuriLL তা জানতে চায়।

৮| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

পিকাচু বলেছেন:


she reaLLy wants to know? she doesn't even bother giving repLies sometimes

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইস আমাকে টাইম দেখায়!! আমি এখানেই আছি। সামনে দেয়াল ঘড়িতেই টাইম। ৯:৫৬ বাজে এখন।
she reaLLy wants to know? she doesn't even bother giving repLies sometimes????????
আমি কখন রিপ্লাই দিতে দেরি করি????? সে আমার পোষ্টে একটা লাইক দিয়ে চলে যায়, কোন কমেন্ট করে না লেখা নিয়ে। আর আমাকে কথা শোনায়!! X(( এটা আদরের না সিরিয়াস রাগ!!

৯| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

পিকাচু বলেছেন:
i didnt say "repLy dite deri kore"


repLy jodi paoa na jay tahoLe r comment kore Lav ki

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরে নিচে অন্য কারও কমেন্টে হয়তো চোখে পরেনি। এর আগে যে হাজারটা কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম সেটা চোখে পরল না??
আর আমি পিকাচুর না মুনের কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারিনি। সো ক্যাচাল বাদ দেন।
সারাদিন কি কি করলেন বলেন এখন।

১০| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

পিকাচু বলেছেন:
so Moon's not the onLy one.


din matro shuru hoise. uthsi, breakfast korsi, portesi.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি খুজে খুজে এইগুলো কোথা থেকে বের করছেন? হায় আল্লাহ। এই ছেলের হবে। তো শোনের আপনার সাথে তখন বোধহয় অন্য একটা পোস্টে চ্যাট হচ্ছিল। তাই আর এটার উত্তর দেওয়া হয়নি।

din matro shuru hoise?? এতো দেরিতে? কি breakfast করলেন?

১১| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

পিকাচু বলেছেন:
ghum theke uthsi ektu derite.
ruti-cha.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও আচ্ছা। তো আমার পোষ্ট কেমন লাগল সেটা এখনো বলেননি। আর পরিক্ষা কেমন হচ্ছে? সামনেরগুলোর প্রিপারেশন কেমন? পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে কোন ছুটি আছে?

১২| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

পিকাচু বলেছেন:
vaLo hocche. ar ekta baki, agamikaaL. preparation motamuti. kono vacation nai.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যাক কালকের দিন গেলেই ঝামেলা শেষ আপনার। ও দেশে কি গরম একটু কমেছে? নাকি আগের মতোই কাহিল অবস্থা? শুনলাম জলদি নাকি বৃষ্টি হবে?

১৩| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:০২

পিকাচু বলেছেন:
uhu. exam diye ekta assignment prepare korte hobe.
gotorate brishti pore ektu shanti hoisiLo. ekhn abar gorom tobe ager cheye kom.

you've done some good and boLd things to get accustomed with the Canadians. that's appreciating.

ami boLsiLam amar shovab-choritro vaLona: oLpo te matha gorom hoye jay is one of em. sorry.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে ছেলেটাকে কত পড়তে হয়। যাক খেটে পড়ুন আর ভালো মার্কস পান।
Thanks.

আপনার সত্যিই কমেন্টের ব্যাপারে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল?? আমিতো ভালছিলাম ফাজলামি করছেন। এত অল্পেও মানুষ রাগে?আসলে বাড়ির সবার আদরে মনটা মোমের মতো নরম হয়ে গেছে। সবার কাছ থেকে স্পেশাল ফিল না করলে অসহায় বোধ করেন। আর অসহায়ত্ব লুকাতে রেগে যান। হা হা। You are one childish guy my dear. :)

১৪| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

পিকাচু বলেছেন:
sobar kach theke na.
i don't even give a damn about most of the peopLe.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: Oh my my arrogance? So which people do you care about?

১৫| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

যমুনার চোরাবালি বলেছেন:

যাদেরকে আপনি হেল্পান মাঝেমধ্যে শর্তসাপেক্ষে তাদেরকে দু'চারটা বাংলা শব্দ শিখিয়ে দেবেন না শিখতে চাইলে হেল্পান বন্ধ, ভয় দেখাবেন। আর আপনিতো প্রয়োজনে ওদের ভাষা শিখছেনই।

লিখা ভালো লেগেছে, সবক'টা পর্ব একসাথেই পড়লাম। আরও গুছিয়ে লিখুন আরও ভালো লাগবে।
শুভেচ্ছা।

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা ভাই ভয় দেখালে ওরা শব্দ শিখত কিন্তু বাংলাদেশীদের সম্মানটা কোথায় থাকত? তাই আমি গল্প করতে করতে অনেক কিছু বলতাম, ভয় দেখিয়ে নয়।

লেখিকা নইতো তাই একটু অগোছালো। চেস্টা করব বেটার করার। সাথে থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১৬| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

পিকাচু বলেছেন:
you know the one that matters.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: No sir, I don't. That's why I asked. How am I supposed to know?

১৭| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

পিকাচু বলেছেন:
Let it go.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আবার মেজাজ গরম? এবার কি করলাম? আপনার জিবনের স্পেশাল মানুষদের কথা জানতে চাইতে পারিনা? সমস্যা কোথায়?

১৮| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

পিকাচু বলেছেন:
mejaj gorom na. shouLd have put a smiLy after the sentence.
i just thought you'd understand.
kothao shomossha nai.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আপনি বললেন, sobar kach theke na. i don't even give a damn about most of the peopLe.

এই কথাটা ভুল প্রমান করে দিচ্ছি। আপনি যদি সত্যি বেশিরভাগ মানুষকে কেয়ার না করতেন তবে আমার ওপরে রাগ দেখাতেন না। দুইদিনের পরিচয়ের অদেখা আমার প্রতিই অভিমান দেখান। তাহলে যারা আপনার আশেপাশে অনেক দিন ধরে আছে তাদের অবস্থা তো আরও খারাপ। Let me break it to you. You actually care about most people who are around you. :)

১৯| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

পিকাচু বলেছেন:
abar boLLam, "i just thought you'd understand."
you didn't :)

it's Late. ghumao.

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: I got it. You are one naughty boy. ;)

ঘুমাতে পারবনা ভাই আমি আজকে সন্ধ্যা সাতটা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি, এখন রাত জাগব আর সুন্দর সব গান শুনব।

২০| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

পিকাচু বলেছেন:

০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হা হা এই গানে সুর কোথায় ভাই? এটাকি আবৃত্তি?

আপনার কমেন্টে মনে হল বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে দারুন একটা র‌্যাপ শুনেছিলাম। এই শুনুন।

https://www.youtube.com/watch?v=_d79d9Z4NNY

২১| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

পিকাচু বলেছেন:
vaLLagenai oto.

০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এটা খারাপ না। আমারটা ভালো লাগে নি? রাগের ইমো। হাহা।

এটা শোনেন আমার এক ক্রাশের কন্ঠে আরেক ক্রাশের অভিনয়ে।

https://www.youtube.com/watch?v=qb1HTyRAVV4

২২| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

পিকাচু বলেছেন:
ei gaanta amar ammur bhisshon pochonder!
amar motamuti Lage.

০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খালাম্মার ভালো লাগে? তাকে শোনাবেন তাহলে। তাকে খুব দেখার ইচ্ছে। আপনার মতো দুষ্টু ছেলেকে যখন সামলে রাখেন তখন নিঃসন্দেহে মহীয়সি নারী :)। তাকে আমার সালাম দেবেন।

আচ্ছা এখন যাই ভাই। ডিনার করে ঘুমাব। অনেক ভালো থাকবেন, অনেক ভালো করে পরীক্ষা দেবেন। আর রাগ কমাবেন। হেলথের জন্যে খুব খারাপ। কালকে আরেক পর্ব দেব তখন কথা হবে, আশা করি। অবশ্য আপনি কোন ছোট বিষয় ধরে রাগ করে থাকলে তা আর সম্ভব হবে না। :) বাই।

২৩| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

চাঁদের অরণ্য বলেছেন: এখানে ছেলেদের নজরে আসাটাই ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট!! ভাল লাগছে পড়তে। অবশ্যই পরের পর্ব চাই। আর কমেন্টে মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত আলোচনা বেশী হচ্ছে। ওগুলোর জন্য তো ফেসবুক আছে। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আগাম সরি।

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগার জন্যে। আরও পর্ব দেব।
ব্যক্তিগত আলোচনা হতেই পারে ভাই, ব্লগারদের মধ্যে বন্ধু, ভাই, বোন কত ধরনের সম্পর্ক থাকে।
সেখান থেকেই এক কথা দুকথা করে বাড়তে থাকে। এজন্যেই তো ব্লগটা একটা পরিবার। :)

২৪| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: আচচা বেপার টা কি...পিকাচু আর লেখিকার মাঝে?? something fishi fishi!!!

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাই পিকাচু হচ্ছে ইমতিয়াজ কবির মুন, ওনার ব্লগের অন্য পোস্টের কমেন্টগুলো দেখেন। অনেকের সাথেই এভাবে কথা বলেন। উনি সবার সাথেই এরকম। Nothing personal with me.

২৫| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

অজানা দার্শনিক বলেছেন: # এবারের লেখাটাও দারুন ছিলো ... ৫ নম্বরের অপেক্ষায় আছি ।
# আপনার চেহারা দেখার খুব কৌতুহল হচ্ছিলো সেটা চাপা দিতে বেশ কষ্ট হয়েছে । বিশেষ করে আপনাকে টিজ করার অংশটা পড়ার সময় , কি করবো ??... ছেলে মানুষ তো ...
# বন্ধুত্বে সুবিধাবাদীতার ব্যাপারটা আমাকে বেশ অবাক করলো ... আমার স্কুল লাইফে যা দেখতাম তা হলো , যে কাজে যত অধম ক্যাটাগরির , সে বন্ধু হিসেবে তত ভালো ... অবশ্য আমাদের সার্কেলটা একটু বেশিই অন্য ছিলো ( এখনো আছে ) , হয়তো এই মূহুর্তে একজন আরেকজনকে খুন করার চেষ্টা করতেছে আর কেউ থামাতে গেলে পর মূহুর্তে দুইজন মিলে সেই ছেলেকে খুন করার চেষ্টা করতেছে ।
# এওয়ার্ডগুলোতে প্রাইজ মানি ছিলো ??
# এমনিতে আর কোন বাঙালি পরিবারের সাথে কি আপনাদের যোগাযোগ ছিলো ??
# আপনার মায়ের বানীটা আমি নোটে তুলে রাখলাম , যেকোন দিন ফেসবুক স্ট্যাটাসে ব্যবহার করবো ... তবে অবশ্যই নিজের নামে না ...
# ইয়াশফিশামসইকবাল ইজ রাইট ... সামথিং রিয়েলি ফিশি গোইং অ্যারাউন্ড হেয়ার ...

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিটা পর্ব পড়ার জন্যে।

আপনার চেহারা দেখার খুব কৌতুহল হচ্ছিলো!!
Yeah that's not gonna happen. আসলেই ছেলে মানুষেরা কত অসহায়!! :)

বন্ধুত্বে সুবিধাবাদীতার ব্যাপারটা আমাকে বেশ অবাক করলো
আমাকেও করেছিল। ক্যানাডার এই একটা জিনিস এখনো ভালো লাগেনা।

না শুধু সার্টিফিকেট দেয়। তবে পরে বছর শেষে গড় সব সাবজেক্টে ভালো করলে স্কলারশিপ দেয়। যেটাও আমি পেয়েছিলাম।

না কোন বাঙালি পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিলো না।

আমার ব্লগের কোন কিছু, কোন লাইন প্লিজ অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না, আমার রিকোয়েস্ট।

ভাই পিকাচু হচ্ছে ইমতিয়াজ কবির মুন, ওনার ব্লগের অন্য পোস্টের কমেন্টগুলো দেখেন। অনেকের সাথেই এভাবে কথা বলেন। উনি সবার সাথেই এরকম। Nothing personal with me.

২৬| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

আক্কাসের বাপ ঝাক্কাস বলেছেন: সেমিষ্ট্রার শেষ করে ফেলসেন, তাও শিরোনাম স্কুলের প্রথম দিন? এই শিখসেন কানাডায় যেয়ে?

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওরে বাবা এট্যাকিং কমেন্ট। ভাই প্রথম যেদিন লিখেছলাম, ভাবিনি পর্ব আকারে লিখব। পাঠক বলল পরের পর্ব পড়তে চান, আর হয়ে গেল একই শিরোনামে পরের পর্বগুলো। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

২৭| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাটহাজারির তইন বইলচি বলেছেন: পিকাচু ওরফে ইম্রাজকবির্মুনের অবস্হা দেখি পুরা ভাদ্রমাসের সারমেয়র মত অয়া গেছে। ব্লগে নারী পুরুষের অবাধ মিলামিশা অবিলম্বে বন্ধ করতে হইবে।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাচা কথা।

২৮| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

অজানা দার্শনিক বলেছেন: # ইয়ে ওটা ... 'বন্য' হবে 'অন্য' না ... ( মানে আমার কমেন্টের ৩য় পয়েন্টের কথা বলছি )
# আচ্ছা ঠিক আছে ... বানীটা নাহয় ব্যবহার করবো না ...

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এমনিতেও বানীটা ফেবুতে দেওয়ার চেয়ে বাস্তবে এপ্লাই করা অনেক বেশি জরুরি।

২৯| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

রুহুল গনি জ্যোতি বলেছেন: আপনার সবগুলো লেখা পড়লাম। প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সাবলিলভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন যা পাঠককে আকর্ষণ না করে পারে না। বাংলা ভাষায় আপনার দক্ষতা সত্যি প্রশংসনীয়। প্রত্যাশা করি আপনার লেখা অব্যাহত থাকবে এবং তা উত্তরোত্তর বিকোশিত হবে।

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা দেওয়ার জন্যে।
সামনের পর্বগুলোতেও সাথে থাকবেন আশা করি।

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫০

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: মা আমাকে বলেছিল, "যদি দেশে খারাপ কিছু কর ফ্যামিলির বদনাম, আর যদি এখানে খারাপ কিছু কর দেশের বদনাম।" সেই কথা মনে করে কিছু বলতাম না, ভাবতাম যদি ছড়িয়ে যায় বাংলাদেশের মানুষ রুড। কিছু না বলায় ওরা আরও আগ্রহ পেয়ে যায়। এখন আল্লাহর ফেরেশতা হয়ে কে বাচাবে আমাকে? হ্যা পেয়েছি যারা সবসময় বাচিয়ে এসেছে, টিচার!

আপনার লেখা সিরিজ সারা জীবন পড়ে যাওয়া যাবে। বোন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শেষের কথাটা ভয়ংকর সুন্দর। এমন অনুপ্রেরনার পরে ধন্যবাদের ভাষাও হারিয়ে যায়। কি আর বলব?

শুধু শুভকামনা জানাই মন থেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.