নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:০০

প্রথমেই বলে নিচ্ছি হুট করে পাওয়া এক বন্ধুকে হুট করে হারিয়ে মন কিছুটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। তাই লেখায় ছন্নছাড়া ভাব থাকলে পাঠক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আগের পর্বগুলো ছিলো আমি কিভাবে কানাডায় নিজেকে চেন্জ না করে বাংলাদেশী কালচার ফলো করে মানিয়ে নিলাম। এ পর্বে থাকছে কেন নিজের কালচারকে নিয়ে গর্ব করা আমিই সেই কালচারকে ঘৃণা করতে শুরু করলাম। কেন অাত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে মাথা উচু করে চলা আমি মাথা নিচু করে চলতে শুরু করলাম। কেন নিজের ফ্যামিলি ট্রাডিশনকে সম্মান করা আমি এইরকম ফ্যামিলির অংশ হওয়াটাকে দুর্ভাগ্য মনে করতে শুরু করলাম। কেন এবং কিভাবে আমি চেন্জ হতে থাকলাম।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)

তখন হাই স্কুলের সিনিয়ার ইয়ার। আমার জীবন পারফেক্টলি চলছে। টিচারদের "স্মার্ট কিড", সহপাঠীদের লাইফ সেভার (পড়াশোনার ব্যাপারে) আর পারিবারিক সমস্যা তো কখনোই ছিল না। স্কুলে সবাই আমাকে চেনে, যেকোন এসাইনমেন্ট সবার আগে শেষ করতাম, আর সবাই অবাক হত এত তাড়াতাড়ি কিভাবে করলাম? টিচাররা আমার এসাইনমেন্ট এক্সামপল হিসেবে ব্যবহার করতেন অন্যদের বোঝাতে। একবার আমার E.S.L. টিচার আমাকে নতুন বছরের প্রথম ক্লাসে, নতুন বিদেশি স্টুডেন্টদের সামনে T.A. হিসেবে ইনট্রোডিউস করিয়ে দেওয়ার সময় বললেল, "She is the smartest kid in this school. ওর কাছ থেকে শুধু ইংলিশই না যেকোন সাবজেক্টে হেল্প চাইতে পারো তোমরা।" আমি সবচেয়ে স্মার্ট না হলেও ১০ জনের মধ্যে তো ছিলামই। এত বড় প্রশংসাগুলো বিব্রত করার সাথে সাথে আনন্দও দিত। মা বাবা হাসতে হাসতে খেপাতেন আমি স্কুলের "ম্যার" হয়েছি। আর একটা সময়ের পরে না খেটেই ভালো করতে শুরু করলাম। Everything was just too easy!

সেই নতুন বছরে J নামের এক ব্রাজিলিয়ান মেয়ের আগমন ঘটল আমাদের স্কুলে, এবং আমার জীবনে। মেয়েটা প্রচন্ড সুন্দরী, চার্মিং, বুদ্ধিমতী, এবং জিশুভক্ত ছিল। আমাদের বন্ধুত্ব হতে এক সপ্তাহও লাগল না। ওর সাথে এত ন্যাচারালি সব কথা হত মনে হত অনেক দিনের চেনা। ও কানাডায় আমার প্রথম বান্ধবী যার হাত ধরে পুরো স্কুল ঘুরে বেড়াতাম। কানাডায় ছেলে ছেলে, মেয়ে মেয়ে হাত ধরাটা "অন্যচোখে" দেখে। আমাদের বাংলাদেশ আর ব্রাজিলে তা না। এটা নিয়ে অনেক হাসাহাসি করতাম আমরা। ও আমায় বলত, "তোমার হাত কি নরম!! তোমার হাসব্যান্ড তোমার হাত ধরে অনেক লাকি ফিল করবে।" বাংলাদেশেও বান্ধবীরা exact এই কথাটা বলত। আমি অনেকদিন পরে যেন ইংলিশে কথা বলা বাংলাদেশি বান্ধবী পেলাম। প্রায় দু বছর পরে যেন মরুর বুকে পানি পেলাম, মনের মতো বন্ধু পেলাম। ও ওর জীবনের সব গল্প বলত আমাকে। সবকিছু!!

ও জীবনে প্রথম ভার্জিনিটি হারায় ১৩ বছর বয়সে, এবং সেটা Friends with Benefit ছিল। মানে কোন রোমান্টিক সম্পর্ক ছাড়াই নিজের কোন বন্ধুর সাথে শারিরীক সম্পর্ক করা এবং পরেরদিন ভুলে যাওয়া। আবার বন্ধুর মতো থাকা!! যে আমি বিয়ের আগে হবু বরের সাথেই গভীর সম্পর্ক মেনে নিতে পারতাম না সেই আমার ওর কথায় আশ্চর্য হওয়া উচিৎ ছিল। ওকে ঘৃণা করা উচিত ছিল। কিন্তু না আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম। ও আমাকে বলত ওর মা মডেল ছিলেন, আর একসাথে ছয়টা বয়ফ্রেন্ড রাখতেন, এবং একবার সবার সামনে একসাথে ধরাও পরে যান। ওর বাবাও ওদের মধ্যে ছিলেন, তবে শেষে ওনার সাথেই বিয়ে হয়। ওর বাবারও অনেক গার্লফ্রেন্ড থাকায় কিছু মনে করেননি। পরে দুজনে দুজনকে মাফ করে বিয়ে করেন এবং এখনো পর্যন্ত সুখেই আছেন। আমার যে কি ভাল লেগেছিল গল্পটা, এসব তো মুভিতে হয়। বাস্তবেও এমন হয়!

আর এদিকে আমার মায়ের জীবন! জীবনে কারও সাথে কোন সম্পর্ক ছিল না, এমনকি প্রচন্ড সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও ভার্সিটিতে পড়ে ছেলেদের সাথে বন্ধুত্বও কর‌তেন না। আমার বাবাকে বিয়ের আগে মাত্র একঝলক দেখেছিলেন। এটাও কোন জীবণ হলো? আমি কমপেয়ার করতে শুরু করলাম। ভাবতাম ওরা কি ভিষন সুখী!! কোন বাইন্ডিং নেই, যার সাথে ইচ্ছে মিশছে আবার দুইদিন পরে ছেড়ে দিচ্ছে। আমি আগে নিজের মায়ের মতো লাইফ চাইতাম কিন্তু এখন J র মায়ের মতো লাইফ চাইতে শুরু করলাম। J র পাচটা রিলেশনসিপ হয়ে ব্রেক করেছিল, ছয় নম্বর চলছিল!! আর আমার কি ছিল? ভাল রেসাল্ট? বয়স্ক সব টিচারদের প্রশংসা? এসব নিয়ে আমি কি করব? কেন পুরানো, ঠুংকো কালচারকে খুটি হিসেবে আগলে আছি? I also want to have a life, a bit of freedom, and lots of fun like J.

ওর মা ওকে বলতেন শুধু একটা বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কি করছ? কানাডায় গিয়েছ আরেকটা বানাও!! আর ব্রাজিলেরটা তো থাকছেই। আর আমার মা বলত আমি যেন কাউকে পছন্দ না করি, তারাই আমার জন্যে পাত্র খুজবে! মা বলত রাতে পার্টি করা যাবে না, সন্ধার পরে একা ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা। কারণ তাতে আমার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু J তো যা ইচ্ছা করে বেড়াচ্ছে, ওর তো কোন ক্ষতি হচ্ছে না। সব নিয়ম শুধু আমার জন্যে কেন? আমি J র মতো লাইফ চাইতাম। ওর মতো হতে চাইতাম। ও কত সুইট ছিল!! আমাকে বলত তোমার মডেল অথবা এক্ট্রেস হওয়া উচিত, কি সুন্দর চুল তোমার বেনী খুলে দেখাও, তুমি একদম পারফেক্ট ইনসাইড আউট (মডেলের মতো চেহারা আমার না, আর আমার চেয়ে J অনেক বেশী সুন্দরী ছিল, এটা ওর বিনয়, আর বান্ধুবীর প্রতি ভালোবাসা ছিল)। আমি ভাবতাম ওর মতো স্মার্ট মেয়ে আমার এতো প্রশংসা করছে! আমি খুশি ছিলাম, খুব খুশি।

কিন্তু যখন ওর সাথে থাকতাম না ওর কথাগুলো মনে হত। কি জীবন ওদের, কি এডভেন্চার, কোন নিয়মকানুন নেই। যে যার মতো। কানাডায় আসার পরে আমার জীবনে ওর মতো কালচারের অনেক বন্ধু এসেছিল, কিন্তু ওর মতো অতটা ইনফ্লুয়েন্স করতে পারেনি। হয়তবা তাদের সাথে বন্ধুত্বেের সময় পড়ালেখা নিয়ে বিজি ছিলাম। কানাডিয়ান এডুকেশন সিস্টেমের সাথে, নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এজন্যে ওদের কথা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিতে পারতাম। কিন্তু J যখন জীবনে আসল তখন পড়াশোনা পিস অফ কেক। বাসায় করার তেমন কিছু ছিলনা, খালি ওর কথাগুলো কানে বাজত। Friends with Benefit, নুড বিচ, উদ্যাম নাচানাচির মধ্যে কত আনন্দের দেশ ব্রাজিল। আর আমরা?
নিজের অনেকদিনের পড়ুয়া কানাডিয়ান, এশিয়ান বন্ধুদের বোরিং মনে হতে লাগল। J কে ছাড়া আর কাউকে বান্ধবি হিসেবে ভাল লাগত না। J র বন্ধুত্ব আমার কাছে ড্রাগের মতো ছিল। যখন ওর সাথে থাকতাম নিজেকে "high" মনে হত। আর ওর সাথে না থাকলে অন্যকিছু বা কাউকে ভাল লাগত না।

সবাই স্কুলে ভাবত আমি কত লাকি, সবকিছুতে ভাল!! মা বাবাও নিজের মতো সংসারে ব্যস্ত ছিল। মেয়ে ভালো রেসাল্ট করছে, স্কুল ছাড়া কোথাও যায় না তাহলে ভালোই আছে। আর টিচারদের মনোভাব তো আগেই বলেছি। কিন্তু আমি ভেতরে ভেতরে বদলে যেতে শুরু করলাম। এই আমি আগের আমি না, অন্য আমি। এই অন্য আমি আগের আমির সবকিছু অপছন্দ করতে শুরু করল। যে কালচারের আবরণে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলাম সারাজীবন তাতে প্রচন্ড বিরক্তি, বিতৃষ্ণা এসে গেল। আমি সারারাত কাদতাম লুকিয়ে লুকিয়ে। মনে হতে লাগল এতদিনের বাংলাদেশী কালচারকে নিয়ে করা গর্ব আসলে ভুল ছিল। কোন মানে হয় পাচ হাজার বছরের পুরানো কালচারে বেচে থাকার? জীবনের সুন্দর সময়গুলোকে কেন নিয়মের বেড়াজালে বাধছি আমি? আমি J র মতো হব। পার্টি করব, ছেলেদের সাথে মিশব!

পরেরদিন সকাল থেকে চেষ্টা শুরু করে দিলাম। ভাবলাম কেউ পার্টিতে ডাকলে যাব, ছেলেরা মিশতে চাইলে মিশব! কিন্তু একি, কেউ কোন পার্টিতে আমাকে ডাকে না। আগে ডাকত, না করে দিতাম তাই ছড়িয়ে গেছে আমি ওসব পছন্দ করি না। আর ছেলেদের সাথে মেশা! ছেলেরা তাকাত, কথা বলার জন্যে উশখুশ করত কিন্তু আমি তাকালে চোখ সরিয়ে নিত। আমাকে ভক্তিমিশ্রিত ভয় পেত। আমি যে ভাল ছাত্রী, সব টিচারের আদরের, class T.A., পড়াশোনা নিয়ে থাকা ভালো মেয়ে!! তাই খারাপ হওয়ার সুযোগ কেউ আমাকে দিল না। আমি আরো ভেংগে পরলাম। সারাজীবন বাংলাদেশী হয়ে থাকা আমি চেষ্টা করেও ওয়ের্স্টানাইজড হতে পারলাম না। J র মতো হতে পারলাম না। এর চেয়ে বড় পরাজয় আর কি হতে পারত? এরকম মানসিক কষ্টে, দ্বন্দে সেমিস্টার শেষ হল এবং আমাকে কাদিয়ে, নিজে কেদে J নিজের দেশে ব্যাক করল।

এরমধ্যে আমাদের স্কুলের এক জার্মান মেয়ে (আমার পরিচিতা, প্রতিবেশী) যে নিজের বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিভ টুগেদার করত সে প্রেগন্যান্ট হয়ে গেল। লিভ টুগেদার তখন আমার পছন্দের লিস্টের নতুন সংযোজন। আমি ভাবলাম বাহ কি সুন্দর জিবন ওদের। বিয়ের কোন ঝামেলা, লোক দেখাদেখি নেই, যা ইচ্ছা তাই করছে। এটুকু বয়সে কিউট একটা বাচ্চার মা হবে। কি লাকি!! জয়তু পশ্চিমি কালচার।
কিন্তু কয়েকদিন পরেই ভীষন একটা ধাক্কা খেলাম। মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড ওকে ছেড়ে চলে গেছে, পড়াশোনা বন্ধ করে রাস্তায় রাস্তায় কাজ খুজে বেড়াচ্ছে প্রেগন্যান্ট অবস্থায়। সৎ বাবা রাখবে না বলে ফ্যামিলির কাছেও যেতে পারছেনা। আমি যাকে সবচেয়ে সুখি ভাবতাম তার আজ এই অবস্থা! আমি ভাবতে শুরু করলাম। আচ্ছা বাংলাদেশী কালচারে তো এটা হতো না। বাংলাদেশী কালচার ফলো করলে মেয়েটার বাবা মা ছোট কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে বিয়ে ভাংগত না। মেয়েটা হয়ত বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করে তারপরে প্রেগন্যান্ট হত। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা তো দূরের কথা দজ্জাল শাশুড়িও মমতাময়ী হয়ে সেবা করতেন! আস্তে আস্তে মেয়েটার চোখের নিচে পরে যাওয়া কালিগুলো পশ্চিমি কালচারের ওপর থেকে ভক্তির কালো পর্দা সরিয়ে দিতে শুরু করল।

আমি সামার ব্রেকে দেশে আসলাম। দেশে এসে আবার সবকিছু ভাল লাগতে শুরু করল। মনে হল এইতো আমি, এইতো আমার দুনিয়া। মনে হল এতদিন যা ভেবেছি ভুল ছিল। ফ্যামিলির সবাই খুব খুশি বিদেশে থেকেও আমি পাল্টাইনি, পড়াশোনায় ভালো করেছি। তাদের খুশি মুখ দেখে মনে হল কেন আমি নিজেকে পাল্টাতে চেয়েছিলাম? কিসের মোহে? আমার প্রিয়জনদের হাসিভরা মুখ, মা বাবা, টিচারদের গর্বিত চেহারার চেয়ে আর কি মূল্যবান অর্জন করতাম আমি? আমি আবার আগের মতো হয়ে গেলাম। দেশীয় কালচার, ফ্যামিলি ট্রাডিশন নিয়ে গর্ব করতে শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে খারাপ ভাবনা মাথায় আসলেও খারাপ কিছু করতে পারিনি আমি। ঐ মানসিক দ্বন্দের সময়টাতেও তিনি আমার পাশে ছিলেন।

বিশেষ কিছু কথা: J কে দয়া করে খারাপ মেয়ে ভাববেন না। ওর কালচারটা শুধু আলাদা, আর ও আমাকে কখনও বলেনি আমার কালচার খারাপ, বা আমার উচিৎ ওর কালচার ফলো করা। শুধু সেটেলড ম্যারেজ করতে নিষেধ করত, আর বলত আমি যেন ভালবাসা খুজে তারপরেই বিয়ে করি। এটাতো কোন বাংলাদেশি বান্ধবীও বলতে পারত। ও শুধু সরল মনে নিজের গল্প বলত, আর আমাদের দেশের গল্প শুনত। ও এখনো আমার সবচেয়ে স্পেশাল বান্ধবী। ওর সাথে এখনো ইমেইলে যোগাযোগ হয়। ও কয়েক বছর ধরে ডাক্তারিতে চান্স পাওয়ার চেষ্টা করছে ব্রাজিলে, আর নিজের সিভিল ইন্জিনিয়ারিং পড়ুয়া বয়ফ্রেন্ডের সাথে লম্বা সময় ধরে সিরিয়াস রিলেশনে আছে।
আর পশ্চিমি কালচারের সবকিছু খারাপ না, আমিই বেছে বেছে খারাপ জিনিসগুলোর প্রতি ইনফ্লুয়েন্সড হচ্ছিলাম। সব কালচারেই ভালো মন্দ থাকে।
আর আমাকে যদি কেউ খারাপ ভেবে থাকেন যে একটা বাংলাদেশী মেয়ে কেন এক মিনিটের জন্য হলেও এভাবে ভাববে? শুধু বলব আমি একটা কিশোরি ছিলাম যারা স্বভাবতই বন্ধুদের সাথে নিজের জীবন কম্পেয়ার করে। আমিও করেছিলাম। আপনি করেননি কখনো? বন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে সিগারেট খাওয়া বা সেরকম কিছু? ব্যস আমাকে সেভাবেই বুঝে নিন। আর বিদেশে গিয়ে বেশিরভাগ বাংলাদেশীই এরকম একটা ফেইজে পরে। কেউ নিজেকে খুজে হারায় আর কেউবা নিজেকে হারিয়ে খোজে। এই ফেইজটার ওপরেই বাকিটা জীবণ নির্ভর করে।

এরপরে লিখব কিনা, এবং কি নিয়ে লিখতে পারি তা অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২২

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: হুট করে পাওয়া জিনিস এভাবে হুট করেই হারিয়ে যায়! তার জন্য অবশ্য টেনশনের কিছু নেই! পর্ব চালিয়ে যান, সাথেই আছি!

অফটপিকে প্রশ্নটা করার জন্য দুঃখিত! নিউজে দেখলাম কানাডার ফোর্ট ম্যাকমার প্রদেশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে! নিরাপত্তার কারণে সেখানে বসবাসরত মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে! সুতরাং আপনি ভাল আছেন তো?

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চিন্তা করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, অনেক আপন মনে হল আপনার কমেন্টটা পড়ে। যেন আমার কোন রিলেটিভ আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে। আসলে ব্লগটাতো একটা পরিবারই। আমি একদম ঠিক আছি, আমার কাছাকাছি কিছু হয়নি।

তবে কানাডায় একবার আমাদের এপার্টমেন্টেই আগুন লেগেছিল!! সে গল্প পরে একদিন করব।

অনেক ভালো থাকবেন।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬

আরাফআহনাফ বলেছেন: পুরো পথেই অসাধারন গতিতে টানলেন শেষ পর্যন্ত, ১-৬পর্ব।

এরপরতো অবশ্যই লিখবেন।
আরো অনেক কিছু জানার আশায় রইলাম।

ভালো থাকুন নিরন্তর।
শুভ কামনা রইলো।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই পুরো পথে আমার সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

ঠিক কি কি জানার আশায় আছেন বললে আমার লিখতে সুবিধা হয়। লেখার আইডিয়া পাই।

আপনাকেও অনেক অনেক শুভকামনা।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক অজানা কিছু জানা হলো। পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

গল্পের মতো করে লেখেছেন। রোমাঞ্চিত হলাম :)

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গল্পই তো ভাই, জীবনের গল্প।

৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

আরাফআহনাফ বলেছেন: স্টুডেন্ট বিষয়ক যেমনঃ পড়ালেখা, বৃত্তি, আবাসন, থাকা খাওয়া, বিভিন্ন আইন, জীবনযাপন নিয়ে লিখতে পারেন যা গাইড লাইন হতে পারে পরবর্তীদের জন্য।

এছাড়া ভ্রমন, দর্শনীয় স্থান, খাবার-দাবার ইত্যাদি নিয়েও লিখতে পারেন।

০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: স্টুডেন্ট বিষয়ক যে বিষয়গুলো বললেন ফ্যামিলির সাথে থাকায় তার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই।

পরের জিনিসগুলো নিয়ে ভাবব। অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

আরইউ বলেছেন: আমি আপনার লেখাটাকে গল্প হিসেবে নিচ্ছি। স্রেফ গল্প। আই হ্যাভ মাই ডাউটস, ইউ নো। আই আম নট শুর, বাট ইট ফিলস লাইক ইউ আর মেকিং থিংস আপ।

এক হতে পারে আপনি খুব কম বিদেশিদের সাথে মিশেছেন, হয়ত মাত্র একজন ব্রাজিলিয়ান বা জর্মন এর সাথে মিশেছেন, হয়ত ব্রাজিল বা জর্মন কালচার সম্পর্কে জেনেছেন মাত্র এক দুই জনার কাছ থেকে। এবং সেই দেখা থেকে ইউ হ্যাভ কেম টু আ কনক্লুশন হুইচ ইজ লাইক (ভেরি) স্টেরিওটাইপ।

অথবা আপনি আমাদের মাঝে পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে যে সাধারণ ধারণা আছে তার উপরে বেজ করে লিখছেন। যাইহোক ইউ আর প্লেয়িং ইউর কার্ডস রাইট!

০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার ভাবনা আপনি ভাবতেই পারেন, আমাকে আপনি চেনেন না, আমার জীবনকে কখনো দেখেননি তাই এধরনের ভাবনা আসাটা স্বাভাবিক।

এক হতে পারে আপনি খুব কম বিদেশিদের সাথে মিশেছেন

ট্রাস্ট মি কানাডায় থাকা আর কম বিদেশির সাথে মেশে সম্ভব না। Those 2 things just doesn't work together. কেননা এখানে শত দেশের হাজারটা মানুষ নিয়মিত আসছে।

আমার জার্মান বন্ধু একজনই ছিল সেটা ঠিক, কিন্তু ব্রাজিলের যে কতো বন্ধু তা গুনে শেষ করতে পারবনা। ওদের কিছু কিছু পাগলামি দেখলে বাংলাদেশের কথা মনে পরে যেত।

স্টেরিওটাইপ অবশ্যই বলতে পারেন, আমার পক্ষে সব দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে মেশা সম্ভব না। তাই কোন দেশের আট দশটা মানুষের সাথে মিশলেই মনে মনে একটা স্টেরিওটাইপ তৈরি হয়ে যায়। যেটা স্বাভাবিক, আর সেই ছোট বয়সে এটা বোঝার ক্ষমতা ছিলনা যে স্টেরিওটাইপস আর জাস্ট স্টেরিওটাইপস। কারও মধ্যে কিছু দেখলে সেটা ধরে নিয়ে বসে থাকতাম। তাই শেষে লিখছি, "আর পশ্চিমি কালচারের সবকিছু খারাপ না, আমিই বেছে বেছে খারাপ জিনিসগুলোর প্রতি ইনফ্লুয়েন্সড হচ্ছিলাম। সব কালচারেই ভালো মন্দ থাকে।"

আপনি আমাদের মাঝে পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে যে সাধারণ ধারণা আছে তার উপরে বেজ করে লিখছেন।
১০০% রাইট। আপনাদের একজন আমিও হওয়ায় পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে আমার সাধারণ ধারণাগুলো একইরকম। তাই জিবনে চলতে চলতে বহুবার তার মুখোমুখি হয়েছি। তার প্রতিফলনই আমার জীবনে এবং জিবনের গল্পে দেখানো হয়েছে।

ইউ আর প্লেয়িং ইউর কার্ডস রাইট!
Thanks for the compliant, but I am just not playing any cards. I know you won't believe me, and you are absolutely entitled to your own thoughts. So, no offense taken my friend.

ভালো থাকবেন।

৭| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

হাসনাতুল বলেছেন: ভালোই। তবে ছেলে ছেলের বা মেয়ে মেয়ের হাত ধরে হাটার বিষয়টা আমাদের ইউনির্ভাসিটি তে-ও অন্যরকম ভাবে দেখা হয়।।

০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যা যুগ চেন্জ হচ্ছে। তবে স্কুল লেভেলে বাচ্চাদের নিয়ে এসব ভাবনা ভালো না মনে হয়। যাই হোক ভালো থাকবেন।

৮| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১২

কামের কথা কন!! বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইরান!!

০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৯

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: এটাও বড় হয়ে উঠার একটা অংশ। একটা কথা আছে না নিজেকে আবারও খুঁজে পাওয়া। সেটাই হয়েছে। আর আল্লাহ্-এর কাছে অশেষ শুকরিয়া এর জন্য। অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন এসে চেক করে যাচ্ছি একবার করে। তো লিখতেই হবে।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন এসে চেক করে যাচ্ছি একবার করে। তো লিখতেই হবে।

আপনার এই কমেন্টটা পরে কি যে ভাল লাগল! একজন কমেন্টে বলেছিলেন আমি নাকি বানিয়ে লিখছি, আর মানুষের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করছি! শুনে প্রচন্ড অপমান, এবং খারাপ লেগেছিল। ভেবেছিলাম আর লিখবনা। আপনার কমেন্টটা পরে মনে হল, দুই একজন সন্দেহবাতিক, ক্রিটিকাল মানুষের জন্যে কেন লেখা বন্ধ করব? লিখবো আপনাদের মতো মানুষদের জন্যে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি যাচ্ছি অর্ধেক লেখা ৭ পর্বকে শেষ করতে আপনারই অনুপ্রেরণায়!

১০| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হাতের পাঁচটা আঙুল সমান না, তাই বলে আপনি হাতটা কেঁটে ফেলতে পারেন না।
সামু ব্লগের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য, এখানেও বিভিন্ন মানসিকতার মানুষ আছে।
একজনের কথায় অখুশি হয়ে আপনি দশজনকে বঞ্চিত করতে পারেন না।

৬ নম্বর পর্বে এসে আপনি মাশরাফির মত ৬ হাঁকিয়ে দিয়েছেন - ক্লাসিক লেখনী।
প্রিয়তে নিলাম।

নিজেকে নিয়ে আপনার দ্বিধা দ্বন্দের মাঝে কোন যেন মনে হয়েছে, সবার জীবনেই কখনো না কখনো এমনটা হয়।
কেউ উতরে যায়, কেউ পড়ে যায় খাদে।
এবং আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া কেউ সেই বাঁধা পেরোতে পারে না।

ব্রাজিলিয়ান মেয়েটার প্রতি এখনো আপনার মনোভাব প্রমাণ করে, আপনি কতটা মানবিক।
আজকাল সবকিছুরই প্রাচুর্য, শুধু মানবিকতারই অভাব।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একজনের কথায় অখুশি হয়ে আপনি দশজনকে বঞ্চিত করতে পারেন না।
আমি সেটা রিয়েলাইজ করেছি, ধন্যবাদ।

৬ নম্বর পর্বে এসে আপনি মাশরাফির মত ৬ হাঁকিয়ে দিয়েছেন - ক্লাসিক লেখনী। প্রিয়তে নিলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। যখন মাশরাফি ভাই ৬ মেরে জেতায় হার্টবিট আরো বেড়ে যায়। কি অসহ্য সে আনন্দ। আমাকে খুশি
করার জন্যে এর চেয়ে বড় কমপ্লিমেন্ট আর হতে পারে না। ধন্যবাদ।

আসলেই আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল আমার ওপরে এবং এখনো আছে!

আপনিও ভাল থাকুন। সবসময়।

১১| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: হাঁ পুরোপুরি সহমত। ঠিক একইভাবে আমার ও কথা তাই। খারাপটা কেন আমরা নিব ভালোটা ছেড়ে। সত্যিকারের জীবনমূখী লিখায় ++++++++++++

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
তওবা তওবা 8-|

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কিসের তওবা তওবা? বুঝলাম না! :)

১৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লিখা আর চিন্তাচেনতনা। একজন ভাল মানুষ হতে হলে তাকে নিজের মধ্যে খুজে নিতে হয় ভালগুণগুলো ।ভাল আর মন্ধের থফাৎ বুঝতে হলে অভিজ্ঞতার দরকার যা আপনি বাস্তব জীবন থেকে পেয়েছেন।

আমাদের মনে রাখা দরকার মানুষের ভাল কর্মগুলো কম হাইলাই হয়ে থাকে কেননা চারদিক খারাপে সয়লাপ।
ভাল থাকবেন।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কথাগুলোর সাথে সহমত পোষন করছি!

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ, এবং আপনিও ভালো থাকবেন।

১৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
১৮+ তওবা তওবা। আমি ছোট্ট তো, লজ্জা লাগে এগুলা :`>

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মুন সাহেব আপনি আমার চেয়েও বয়সে বড়! আমি ১৮+ লিখে ফেললাম আর আপনি ১৮+ পড়তে পারেন না? :)

১৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এত বড় ছোট বুঝিনা।
দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি :#)

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হি হি।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

অনুভবকে অনেকেই অনুভব করে। স্বীকর করতে চায়না। লুকিয়ে রাখে। আপনার বিশ্বাসের ধাক্কা এবং ফিরে আসার উপাখ্যানে ভাললাগা! লেখনির গতি টেনে নিয়েছে একটানে। ভাল লাগছে। চালীয়ে যান।

০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, আসলেই এটা একটা কনফেশনের মতোই ছিল!

সাথে থাকুন, চালিয়ে যাব!

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১২

জাগরিত নিদ্রা বলেছেন: নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি এই ভেবে যে এত বছর এদেশ থেকে ওদেশে ঘুরে বেরাচ্ছি তবুও বিদেশী সংস্কৃতির প্রতি সামান্য ভুল বশতও আসক্ত হই নি।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি আসলেই ধন্য, আমি ভুল করেছিলাম, কিন্তু বের হয়ে এসেছি আল্লাহর রহমতে। আবারো বলছি, আপনি আসলেই ধন্য।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন!

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

অজানা দার্শনিক বলেছেন: কালচারের কথা চিন্তা করলে , আমাদের দেশের কালচার একটু বেশীই রক্ষনশীল ( যদিও সময়ের সাথে যে পরিবর্তন হচ্ছে না তা না ) ।
========
# এখনো ভার্সিটি লাইফের আগে কোন ছেলের কোন মেয়ে বন্ধু থাকলে পরিবার-আত্মীয়স্বজন বটেই এলাকার মানুষজন এবং চেনা পরিচিত এমনকি অপরিচিত সবাই কৌতুহলী হয়ে তাকিয়ে থাকে ।

# প্রেম করার ব্যাপারটা বেশিরভাগ পরিবারে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় ( বিশেষত বিভাগীয় শহরগুলোর বাহিরে ) ।
---
কলেজ বা তার নিচের বয়সীদের ছেলেদের কথাই বলি ...
---
# এখনো ছেলেরা প্রায় কখনোই সম্পর্কের বাহিরে মেয়ে বন্ধু থাকার ব্যাপারটা কল্পনাও করতে পারে না ।

# এখনো , ছেলেদের মাঝে কারো যদি গোটা তিনেক মেয়ে বন্ধু ( শুধুমাত্র বন্ধু ) থাকে ব্যাপারটা বিরল ঘটনা হিসেবে ধরে নেয়া হয় ।

# ছেলেদের কাছে আজও মেয়েরা হচ্ছে জাদুঘরের সাজানো ভাস্কর্যের মতো । ধরা ছোয়া যায় না , দূর থেকে দেখতে হয় ।

# আজও ছেলে ও মেয়েদেরকে আলাদা মাপকাঠিতে মাপা হয় ।
=======
আরো অনেককিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো ... কিন্তু কথা পেটে আসতেছে কিন্তু মুখে আসতেছে না ... :3

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা আপনার এত ক্ষোভ মনে? আমি যার মধ্যে দিয়ে বিদেশে থেকে যাচ্ছিলাম আপনি দেশে তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মনে হয়। যাই হোক সময় নিয়ে বড় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন! অনেক ভালো থাকবেন।

১৯| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

অজানা দার্শনিক বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের ৩ টা বই ...
১। হোটেল গ্রেভার ইন
২। মে ফ্লাওয়ার
৩। যশোহা বৃক্ষের দেশে
বই ৩ টা পড়ে দেখতে পারেন ... প্রবাসী লাইফ নিয়ে লিখেছেন ... যদিও আমেরিকা নিয়ে তবুও অনেক মিল পাবেন আমার ধারনা ।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এবং জাফর ইকবালের সব বই আমি পড়েছি!
তবুও শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। :)

২০| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল আপনার সাবলীল লেখা। কানাডাতে গিয়ে আপনার কি মনে হচ্ছে? কি অর্জন করতে পারছেন?

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। দেরিতে হলেও সব পর্ব পড়ছেন, মন্তব্য করছেন সেজন্যে ধন্যবাদ।

অর্জনের খাতা:
একটা বিদেশী ডিগ্রি পাব।
অনেক দেশের মানুষের সাথে মিশে তাদের কালচার, ভাবনাচিন্তা জানা।
নিজের দেশের ভাল কোন জিনিস বিদেশের মানুষের সাথে শেয়ার করার সুযোগ।

সবমিলিয়ে বিশ্বকে জানার একটা প্রচন্ড সুন্দর এক্সপেরিয়েন্স। আমার জার্মান, ব্রাজিলিয়ান, চাইনিজ, জাপানিজ, পাকিস্তানি, কোরিয়ান, উগান্ডা, কলাম্বিয়ান, থাই আরও কত দেশের বন্ধু আছে বা তাদের সাথে কাজ করতে পারছি। কতকিছু যে শিখছি প্রতিদিন ভাবলেই মন ভাল হয়ে যায়।

অর্জন এত বেশি যে কিছু বাদ পরতে পারে। তবে ওপরের লিস্টে মেইন জিনিসগুলো এড করেছি বোধহয়!

২১| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৩

নূর মোহাম্মদ প্রধান বলেছেন: J যখন চলে গেলো ওই লাইনটায় এসে খুব কষ্ট পেয়েছি।মানুষ কেন আসে আবার চলে যায়? কি হয় একসাথে সারাজীবন থেকে গেলে? মানুষের জীবনে কত রহস্য!

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে হঠাৎ করে সেদিনের কষ্টটা তাজা হয়ে উঠল। ওকেত যেতেই হত শুধু এক সেমিস্টারের জন্যেই এসেছিল। কিন্তু এত মায়া লাগিয়ে ফেলল সবার সাথে এত অল্প দিনে!

হুম সারাজীবন কাছের মানুষেরা যদি পাশে থাকত তবে আর জীবনে কোন অপূর্নতা থাকত না।

আপনার সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৮

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: বাস্তবিক সাসপেন্সে ভরপূর পর্ব ছিল। এটি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জীবনের সে সময়গুলো আসলেই সাসপেন্সময় ছিল কেননা তার ওপরে ভবিষ্যতের জীবন কাহিনী নির্ভর করে ছিল!

ধন্যবাদ।

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৮

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আর সেটা আপনি ভালোই ঠেকল দিয়েছেন, তাও একা। অভিনন্দন জানবেন বোন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম অনেকটা একাই নিজের মনের সাথে লড়ে দ্বিধাময় কাঁটাভরা পথটা পার হতে পেরেছিলাম তা আল্লাহ সাথে থাকার কারনেই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

আটলান্টিক বলেছেন: আপু দুই বছর দেরি করে এলাম।প্লাস দিসি কিন্তু :)

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! কোন সমস্যা নেই! বেটার লেইট দ্যান নেভার! :)

আমারো প্রতিমন্তব্য করতে বেশ দেরী হয়ে গেল। নানা সমস্যায় ব্লগে অনেকদিন আসা হয়নি। সরি ফর দ্যাট।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.