নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

এবার আরো কিছু টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির! এ পর্বে প্রবাসে নিজের ভারতীয়দের সাথে আরো কিছু অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে কেন ওরা আমাদের বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে তা বিশ্লেষন করার চেষ্টা করব।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য

আগের পর্বে এক ভারতীয় সহপাঠির কথা বলেছিলাম! এ পর্বে টিচারের কথা বলছি!

আমার E.S.L. ক্লাসের টিচার ছিলেন মি.জি., একজন মধ্যবয়স্ক কানাডিয়ান, প্রচন্ড বিনয়ী, ফ্যামিলিম্যান। আগের কোন পর্বে ওনার কথা বলেছি। আমাদের ক্লাসের কাছেই ছিল মি.জির বন্ধু মি.ল. এর কম্পিউটার ক্লাস। মি.ল. ইয়াং টিচার, অনেক লম্বা ছিলেন, আর গায়ের রং আমাদে মতো শ্যামলা। মাথায় পাগড়ি, দাড়ি ছিল না কিন্তু হাতের বালা দেখে বুঝেছিলাম শিখ। আজকালকার আধুনিক শিখেরা অন্যসব কিছু না মানলেও হাতের বালাটা অবশ্যই পরবে! পাশাপাশি দুই বন্ধু হওয়ায় একটু সময় পেলেই দুজনে একে অপরের রুমে যেতেন কিছুক্ষন গল্প করে আবার নিজেদের ক্লাসে ফিরে যেতেন। আমি তখন মি.জি. এর T.A. ছিলাম। সেমিস্টারের শেষ ক্লাস। প্রায় সব ছেলেমেয়ে নিজের নিজের দেশে চলে যাবে, তাই মি.জি. বললেন ওয়ার্ল্ড ম্যাপের সামনে দাড়িয়ে আমরা সবাই ছবি তুলে রাখি! স্মৃতি হিসেবে সবার কাছে থাকবে। সেসময়ে মি.ল. রুমে ঢুকলেন, তাই মি.জি. তাকেই ছবি তোলার দায়িত্ব দিলেন! সবাই ছবি তোলার জন্যে দাড়িয়ে আছে। মি.জি. মাঝখানে, আর বাকি সবাই আমরা পিছনে হাইট ওয়াইজ। ম্যাপের সামনে সারি সারি লকার ছিল, তার সামনে ক্যামেরা হাতে দাড়িয়ে মি.ল. ।

ছবি তুলতে যাবেন এমন সময়ে মি.ল. কমপ্লেনের সুরে বললেন, "ব্যাংলাদেশী মেয়েটা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, ওকে সামনে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে বল।" ওনার কোন ক্লাস আমি কখনো করিনি, কিন্তু তাও উনি যখন আমার দেশের নাম জানেন তাহলে ওনার আমার নামও জানার কথা। আর না জানলেও বাংলাদেশকে ভুল উচ্চারন করা, এবং নিজে না বলে মি.জি. কে দিয়ে পরোক্ষভাবে বলার কারন কি আমি জানিনা। ওনার গলার স্বর খুব রুড ছিল। যেন পুরানো কোন রাগ আমার সাথে! মি.জি. পর্যন্ত অপ্রস্তুত। আজকাল অনেক ভারতীয় কানাডিয়ান একসেন্ট নকল করে বাংলাদেশকে ব্যাংলাদেশ বলে! আমাকে কে কি বলল যায় আসে না, কিন্তু এসবে মাথা গরম হয়ে যেত। বয়সে বড়, তারপরে আবার টিচার, আর হতভম্ব অবস্থায় কিছুই বলার জো ছিলনা। সব হয়ে যাওয়ার পরে আমাকে ডেকে নিয়ে মি.জি. বলেছিলেন, "তুমি কিছু মনে করোনা, ও একটু সারকাস্টিক, আমাকেও অনেক কিছুই বলে! But, he is a good man, he helps me a lot." মি.জি. সেরে নিলেন আর কি! আমি ভুল হতে পারি কিন্তু কিছু কিছু ভারতীয় অন্যকে হেল্প করে শুধুমাত্র পরে খারাপ ব্যবহার করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে যে আমার অবস্থান তোমার চেয়ে বড়।
তবে সবাই এক না, এরকমই আলাদা একজনের কথা বলছি!

এক ভারতীয় শিখ মহিলা, বয়স্কা, সদা হাশিখুশি, ছোটখাট টাইপের মানুষ। ইনি আমার মায়ের বান্ধবী। একটা ইংলিশ কোর্স করতে গিয়ে দুজনের পরিচয়। এখন থেকে যা বলছি তা আমার মায়ের কাছ থেকে শোনা।
প্রথমদিন ক্লাসে মহিলা শার্ট, প্যান্ট এবং মাথায় কাপড় দিয়ে এসেছিলেন। আমার মা বরাবরের মতোই সালোয়ার কামিজ পরেছেন। রুমে ঢুকতেই কোন কথা না বলেই আমার মাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমার মা হতভম্ব ভাব কাটিয়ে শুনতে পেলেন তিনি বলছেন তিনিও ভারতের। তখন মা বললেন আমি ভারতের না বাংলাদেশের। উনি বললেন আরে আমরাতো একই দেশের ছিলাম! তুমি আমার দেশেরই। কোন ভারতীয়কে এসব বলতে দেখলে বুঝবেন আপনার কোন ক্ষতি করবেনা, কারন ওরা "নিজের দেশের" মানুষের ক্ষতি করে না। ইউনিটি আছে ওদের মধ্যে!

উনি মাকে জিগ্যেস করলেন সালোয়ার সুট পরেছ, কেউ কিছু বলেনি? আমি এবং আমার মা কেন যেন এসবে কোন হেসিটেশন কখনোই ফিল করিনি! কিন্তু সাধারণত আমাদের এদিকের মানুষ কালচার নিয়ে হিনমন্নতায় একটু হেসিটেট ফিল করে! যাই হোক, যখন দেখলেন মায়ের কোন সমস্যা হচ্ছে না, উনি নিজেও পরেরদিন থেকেই সালোয়ার কামিজ পরে আসতেন। আমাদের মতো কামিজ আর পান্জাবীদের ঢিলাঢালা ধুতি! ক্লাস চলাকালিন অনেক মজার গল্প আছে ওনাদের মধ্যে। তবে আমি কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পরের এক গল্প বলব। একদিন আমার মা মোবাইলে ফোন পেলেন ওনার কাছ থেকে যে তোমাদের বাসার সামনে গ্যারেজে এসে দাড়াও। খুব জরুরি। আমার মা চিন্তায় পরে গেলেন, এই বরফের মধ্যে, দুই ঘন্টা ড্রাইভ করে বয়স্কা এসেছেন, নিশ্চই খুব সিরিয়াস ব্যাপার! মা কোন রকমে জ্যাকেট পরে, ওড়না মাথায় জরিয়ে দৌড় দিলেন!

এদিকে আমিও চিন্তা করছি কি হতে পারে? আসলে উনি বাড়িতে দেশি ঘিয়ের লাড্ডু করেছিলেন! মাকে না দিয়ে খাবেন? তাই এত কষ্ট করেছেন! হা হা। আমার মা বললেন বাড়ির কাছাকাছি এসে ফিরে যাবেন নাকি, জলদি বাসায় চলুন। উনি বললেন, " না না তোমার মেয়ের পরীক্ষা, মেহমান গেলে ডিস্টার্ব হবে। In our country, study is the main priority, not like Canada!"
উনি কানাডার ইয়াংদের দেখতে পারতেন না একদম, পড়াশোনা করেনা, খালি বয়ফ্রেন্ড/ গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এসব কারনে। আমার পরীক্ষা চলছে এটা ওনাকে বলা হয়নি তবে তখন পরীক্ষার সিজন চলছিল, তাই বিচক্ষন উনি বুঝে গিয়েছিলেন। আমার মা কোনভাবেই আনতে পারলেন না বাড়িতে। মা হাসতে হাসতে বাড়ি আসলেন ওনার এই পাগলামি দেখে, সত্যিই সেই লাড্ডুর স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে!

বিশ্লেষন: আগের পর্বের মতো এ পর্বও ভালো খারাপ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজানো। এবং এ পর্বেও বয়স্কদের মহানুভতা, এবং কমবয়সীদের অভদ্রতা উঠে এসেছে। কেননা তাই আমাদের সাথে সবসময়ে হয়েছে! আসলে ভারতীয় ইয়াংদের অনেকে ভাবে ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে!! বাংলাদেশ ওদের কাছে ভারতের "হেল্প" নিয়ে জন্মে যাওয়া এক দেশ। ওদের দয়া দাক্ষিনে বেচে থাকা এক দেশ! ওদের চেয়ে ছোট এবং কম ক্ষমতার একটা দেশ। যেন ওদের কোন অগুরুত্বপূর্ণ অংগরাজ্য আমরা। তাই ওরা আশা করে আমাদের মাথাটা নিচু থাকবে ওদের সামনে সবসময়। কিন্তু বয়স্করা সেযুগ দেখেছেন যখন আমরা এক দেশ ছিলাম, তাই এ ভালবাসা বাংলাদেশের প্রতি ভালবাসা না, বাংলাদেশ যে কখনো ইন্ডিয়ার অংশ ছিল সে বিষয়টাকে ভালবাসা।

কানাডা আয়তনে অনেক বড় আর আমেরিকার চেয়ে পিসফুল হওয়ার পরেও আমেরিকানরা কানাডাকে তেমন পাত্তা দেয়না। ওদের নিয়ে কমেডি হয় সব আমেরিকান শোতে। আমেরিকার সব শো কানাডায় পপুলার কিন্তু কানাডার দুই একটা শোই আমেরিকায় ঝড় তুলতে পারে। ছোট্ট একটা উদাহরন দেই, আমার কানাডিয়ান বন্ধুরা Master chef America দেখে, কিন্তু Master chef Canada দেখে না। দুটো দেশই বড়লোক, বাজেট, সেটের কোন পার্থক্য নেই, কিন্তু ওই যে world superpower ওরা! ওদের সম্মানটাই আলাদা। অনেক কানাডিয়ানদেরই দুঃখ করতে দেখেছি এটা বলে যে আমরা ওদের সব নামি মানুষদের চিনি, কিন্তু ওরা আমাদের কাউকে চেনেনা! আমার এক Canadian social studies টিচার দুঃখ, ক্ষোভ করে বলেছিলেন, " I fail to understand why Americans think that Canada is just another province of America!"
কয়েক মাস আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এক ব্রিটিশ জার্নালিস্ট প্রশ্ন করেছিল যে কানাডা কি কখনো আমেরিকার অংশ হতে চায় কিনা? ট্রুডো বলেছিলেন, "কানাডা কখনো আমেরিকার অংশ হবে না, তবে আমেরিকা কানাডার অংশ হতে চাইলে they are most welcome to." ভাবেন, স্বাধীনতার ১৪৯ বছর পরেও, এত উন্নত, বড়লোক, শান্তিপূর্ণ হয়েও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ওদেরকে!

এসব কথা বলার মানে হচ্ছে যে ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের বড় ভাই, ছোট ভাই দ্বৈরথও অনেকদিন চলবে! হয়ত কখনোই শেষ হবেনা। কিন্তু এর তীব্রতা কমানোর জন্যে আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হতে হবে, আমরা যতোই উন্নতি করিনা কেন ওরা আমাদের হয়ত সম্মানের চোখে দেখবেনা। কিন্তু আমাদের আত্মসম্মানবোধ, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিশ্বের চোখে আমাদের মর্যাদা বাড়বে। Then who cares what India thinks about us?
ওরা ভাবলেও আমাদের দেশটা মহান, না ভাবলেও মহান। ওরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বললেই মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা মিথ্যে হয়ে যাবে না। ওরা নিজেদের হিন্দি আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার যতো চেষ্টাই করুক না কেন আমাদের মহান একুশের শহীদ মিনারের সূর্যের দিপ্তী তাতে কমে যাবে না! ওরা আমাদের ক্রিকেট নিয়ে যতোই হাসি তামাশা, ষড়যন্ত্র করুক না কেন মুস্তাফিজ, সাকিব, মাশরাফি ভাইয়ের মতো প্লেয়ার আসা বন্ধ হয়ে যাবেনা। যে প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছিলাম তাতে ফিরে যাচ্ছি। ভারত বাংলাদেশকে যতোসব কারনেই ছোট করে দেখুক না কেন আমার তাতে কিছুই যায় আসে না। কেননা ওরা ভাবলেই বাংলাদেশ ছোট হয়ে যাবে না। লাল সবুজের পতাকা উড়তে থাকবে, এবং উড়তেই থাকবে গৌরবের সাথে! লাল সবুজের জয় হোক।

বিশেষ কথা: এমন অনেক প্রবাসি আছে যাদের ক্লোজ ভারতীয় বন্ধু আছেন, এবং ব্লগের কিছু ভারতীয় বাংগালিও আমার এ লেখা পড়ে ক্ষুদ্ধ হতেই পারেন। তাদেরকে বলছি এটা আমার প্রবাস জীবনের, আমার অভিজ্ঞতার গল্প। আপনাদের সাথে না মেলাটা নিশ্চই আমার দোষ না। আর সবাই এক না তাতো আমি সবসময় বলিই! ভারতে থাকা বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবসময়েই প্রানঢালা শুভেচ্ছা আমাদের পক্ষ থেকে।

এ পর্ব কেমন লাগল এবং পরের পর্বে কি লিখব তা নিয়ে বলুন প্লিজ। ধন্যবাদ।

এ বিষয়ে মি:জির দেখানো একটা ভিডিও দিয়ে শেষ করছি! এ ভিডিওটা দেখে আমারই রক্ত গরম হয়ে গিয়েছিল, এই এডে একজন কানাডিয়ান ছেলে, কানাডিয়ান স্টেরিওটাইপ, এবং কানাডা আর আমেরিকার পার্থক্যগুলো নিয়ে কথা বলে!

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মিস্টার কিলবিল বলেছেন: ভারতীয় ইয়াংদের অনেকে ভাবে ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে!! বাংলাদেশ ওদের কাছে ভারতের "হেল্প" নিয়ে জন্মে যাওয়া এক দেশ। ওদের দয়া দাক্ষিনে বেচে থাকা এক দেশ! ওদের চেয়ে ছোট এবং কম ক্ষমতার একটা দেশ। যেন ওদের কোন অগুরুত্বপূর্ণ অংগরাজ্য আমরা। তাই ওরা আশা করে আমাদের মাথাটা নিচু থাকবে ওদের সামনে সবসময়
এই চিন্তাধারা থেকেই মুলত সমস্যার সৃষ্টি।

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি ঠিক জায়গাটাই কোট করেছেন! আসলেই এগুলোই সমস্যা।

মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
শিখ ব্যাটারা বদ!

ঘি এর লাড্ডু খাওয়ার ইচ্ছা জাগসে।

জাস্টিন সাহবেবের কথা শুনে মজা পাইসি।

বাংলাদেশ, কিছু বাংলাদেশীদের দোষেই ইন্ডিয়ার বা অন্যান্য দেশের কটাক্ষের কারণ হয়।

এবারের পর্বটা খুবি গোছানো হৈসে, ভাল্লাগসে পড়ে ||

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "বাংলাদেশ, কিছু বাংলাদেশীদের দোষেই ইন্ডিয়ার বা অন্যান্য দেশের কটাক্ষের কারণ হয়।"

না মুন সেটা আমার পয়েন্ট ছিলনা। কোন দোষ না করেও অনেক সময়ে আমাদের অনেক ছোট চোখে দেখা হয় ওভারওল ওদের থেকে কম শক্তিশালী হওয়ায়!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার, এবং মন্তব্য করার জন্যে।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই দারুন।

এসব কথা বলার মানে হচ্ছে যে ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের বড় ভাই, ছোট ভাই দ্বৈরথও অনেকদিন চলবে! হয়ত কখনোই শেষ হবেনা। কিন্তু এর তীব্রতা কমানোর জন্যে আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হতে হবে, আমরা যতোই উন্নতি করিনা কেন ওরা আমাদের হয়ত সম্মানের চোখে দেখবেনা। কিন্তু আমাদের আত্মসম্মানবোধ, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিশ্বের চোখে আমাদের মর্যাদা বাড়বে। Then who cares what India thinks about us?
ওরা ভাবলেও আমাদের দেশটা মহান, না ভাবলেও মহান। ওরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বললেই মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা মিথ্যে হয়ে যাবে না। ওরা নিজেদের হিন্দি আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার যতো চেষ্টাই করুক না কেন আমাদের মহান একুশের শহীদ মিনারের সূর্যের দিপ্তী তাতে কমে যাবে না!

ওরা আমাদের ক্রিকেট নিয়ে যতোই হাসি তামাশা, ষড়যন্ত্র করুক না কেন মুস্তাফিজ, সাকিব, মাশরাফি ভাইয়ের মতো প্লেয়ার আসা বন্ধ হয়ে যাবেনা। যে প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছিলাম তাতে ফিরে যাচ্ছি।

ভারত বাংলাদেশকে যতোসব কারনেই ছোট করে দেখুক না কেন আমার তাতে কিছুই যায় আসে না। কেননা ওরা ভাবলেই বাংলাদেশ ছোট হয়ে যাবে না। লাল সবুজের পতাকা উড়তে থাকবে, এবং উড়তেই থাকবে গৌরবের সাথে! লাল সবুজের জয় হোক।
অনন্য। দারুন। শতভাগ সহমত।
++++++++++++++++++++++++

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওরে বাবা এত প্লাস!! সবসময় সাথে থাকার জন্য, যত্ম করে লেখাগুলো পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকবেন।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: "এসব কথা বলার মানে হচ্ছে যে ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের বড় ভাই, ছোট ভাই দ্বৈরথও অনেকদিন চলবে! হয়ত কখনোই শেষ হবেনা। কিন্তু এর তীব্রতা কমানোর জন্যে আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হতে হবে, আমরা যতোই উন্নতি করিনা কেন ওরা আমাদের হয়ত সম্মানের চোখে দেখবেনা। কিন্তু আমাদের আত্মসম্মানবোধ, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিশ্বের চোখে আমাদের মর্যাদা বাড়বে। Then who cares what India thinks about us?" চমৎকার মন্তব্য। পরামর্শটাও যথাযথ। দেশের চেতনা নিয়ে লেখাটা পড়ে মনটা ভরে গেল। আনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও মন্তব্য করার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে আনন্দ দিতে পেরে ধন্য।

ভালো থাকবেন।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: সম্ভব হলে ভারতীয়দের বলতে পারেন যে একাত্তরের আগে এ দেশ পাকিস্তানের সাথে পচিশ বছর ছিল। সে সময়ে ভারত কিছুই করতে পারে নাই। আমরা না চাইলে বা যুদ্ধ না করলে ভারতের কিছুই করার থকতে না। ওদের কে বলতে পারেন ভারতের জেনারেলরা যারা একত্তরে এ দেশে যুদ্ধ করেছেন তাদের লেখা বই গুলি পড়তে। মু্ক্তিযুদ্ধারা না থাকলে ওদের অবস্থা পাকিস্তান বাহিনীর মতো হত। তবে একাত্তরে ভারতের সাহায্য সহযোগিতা আমাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাই ওরা মুখের ওপরে এসব ইতিহাস নিয়ে কথা বললে অনেক কিছুই বলতে পারতাম। কিন্তু ওরা এসব নিয়ে কথা না তুলে ছোট করার চেষ্টা করে! তবে মনে মনে আমাদের ছোট করার দুঃসাহসটা ঐ ভুল ঐতিহাসিক নলেজ থেকেই পায়।

আবারো আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন, জানা থাকল, সুযোগ পেলে এপ্লাই করব!

একাত্তরে ভারতের সাহায্য সহযোগিতা আমাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে

সহমত।
ভালো থাকবেন।

৬| ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি সবসময় প্রবাসিদের লেখা খুব আগ্রহসহকারে পড়ি। এখন সুধু হতাসই হচ্ছি।

আপনার এর আগের একটি পোষ্টে দেখলাম এক পাকিস্তানির বন্দনা। কারন হিসেবে বললেন খারাপ বলা যাবে না।
"এদেশে বর্নবাদ খারাপ চোখে দেখা হয়"
এবার সরাসরি শিরনামেই কট্টর বর্নবাদি হেডলাইন।
যদিও পোষ্টের ভেতর অনেক খুজেও শিরনামের "ঘৃনা ছড়ানো"র মত কোন কারন খুজে পেলাম না।

১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শুধু এদেশে না বিশ্বের সব দেশেই বর্নবাদ খারাপ চোখে দেখা উচিৎ। কোন পাকিস্তানি আমাকে মমতার চোখে দেখলেও তার সাথে নিশ্চই আমি খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। সেটাই বলেছি।

এটা বর্নবাদি কোনভাবেই মানতে পারব না আমি কেননা দুই বড় ছোট প্রতিবেশী দেশের মধ্যেকার ঘাত প্রতিঘাত নিয়ে লিখেছি আমি।

তবুও বলছি আমার লেখার মানে আপনাকে বোঝাতে পারিনি সেটা লেখিকা হিসেবে আমার ব্যর্থতা। কিন্তু আমার পক্ষে এমন ব্লগ লেখা সম্ভব না যা ব্লগের সবাই পছন্দ করবে। কেউ কেউ হতাশ হবেন। আপনি নাহয় তারমধ্যেই পড়লেন।
হতাশ হওয়ার পরেও সময় নিয়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকবেন আশেপাশের মানুষকে নিয়ে।

৭| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ধন্যবাদ, দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্যঃ

//কয়েক মাস আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এক ব্রিটিশ জার্নালিস্ট প্রশ্ন করেছিল যে কানাডা কি কখনো আমেরিকার অংশ হতে চায় কিনা? ট্রুডো বলেছিলেন, "কানাডা কখনো আমেরিকার অংশ হবে না, তবে আমেরিকা কানাডার অংশ হতে চাইলে they are most welcome to." ভাবেন, স্বাধীনতার ১৪৯ বছর পরেও, এত উন্নত, বড়লোক, শান্তিপূর্ণ হয়েও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ওদেরকে! //

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে কানাডাকে নিয়ে কথা বলার জন্য। সবাই বাংলাদেশকে নিয়েই বেশি কমেন্ট করেছে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু কানাডাকেও আমি লেখায় হাইলাইট করেছি। ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি আমরা।

আপনিও ভাল থাকুন সবসময়।

৮| ১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে আমরা বাংলাদেশীদের প্রথমে ঘাড় সোজা করে বাচতে জানতে হবে। আমরা যতই মিন মিন করবো অন্যরা সেই সুজুগে ঘাড়ে চড়ে বসবে। তাই ঘাড় সোজা এবং শক্ত করে এবং দৃষ্টি সামনে নিয়ে যদি চলি কেউ আমাদের দেশ নিয়ে বিন্দু মাত্র অপমানজনক কথাতো দূরে থাক ভাবতেও পারবে না।

১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রচন্ডভাবে সহমত। আমাদের আত্নমর্যাদা বাড়াতে হবে জাতি হিসেবে।
অসাধারন মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

মোঃ ইউসুফ আলম বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে সব ক'টা পর্ব পড়ে ফেললাম।
অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন গল্পের আদলে। খুব ভাল লেগেছে।
জাতিসত্ত্বা জাগ্রত হোক সবার মাঝে।
লাল-সবুজের পতাকা চিরকাল সমুন্নত থাক।

১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সব পর্ব আনন্দ নিয়ে পড়ার জন্য। আমার লেখা স্বার্থক হল।

লাল-সবুজের পতাকা চিরকাল সমুন্নত থাক।
ভালো থাকবেন।

১০| ১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

বন্যলোচন বলেছেন: ভাল লিখছেন। আসল কথা মেরুদন্ড সোজা রাইখা চলা, ইন্ডিয়ানরা কি চোখে দেখল না দেখল তাতে কিছু যায় আসে না। আমাদেরও বোঝা উচিত, কৃতজ্ঞতা জানান এক জিনিস আর নিজের পোঁদ বর্গা দিয়া রাখা আরেক জিনিস; নিজের দেশ নিয়া গর্বিত থাকি সব সময়।

১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হা হা জ্বী অবশ্যই কৃতজ্ঞতা আর চামচামির মধ্যে পার্থক্য আছে সেটা সবাইকে বুঝতে হবে।

ভালো থাকবেন।

১১| ১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

খন্দকার আমিন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন । পৃথিবীতে একমাত্র ইণ্ডিয়ানরাই হিংসা পরায়ণ হিংস্র জাতি । ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর লিখেছেন ।

১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা এপ্রিশিয়েট করার জন্যে।

১২| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: লিখা বরাবরের মতোই ভালো হয়েছে। দিনকে দিন আরও পরিণত হচ্ছে।

শুধু একটা বাক্যের সাথে একমত হতে পারলাম না। সেটা হচ্ছে "ওরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বললেই মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা মিথ্যে হয়ে যাবে না।" ওরা স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল মাত্র। কিন্তু সেটাও শুধু নিজের স্বার্থের জন্যেই। অবশ্যই কৃতজ্ঞ হবো কিন্তু দাসত্বের মালা গলায় পরবো না। যেটা রাজনীতিবিদরা আর তাদের ধামাধরেরা করে থাকে। তাই যদি বাক্যটা বদলে দিতে তবে লিখাটা পুরোপুরি মনের মতো হতো।

আমি তোমার চেয়ে বয়সে বড় তাই তুমি বলার অধিকারটা তোমার অনুমতি ছাড়াই নিয়ে নিলাম। আর আমাকেও তুমি বলার অনুমতি দিলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "ওরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বললেই মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা মিথ্যে হয়ে যাবে না।"

আপু আমি আপনাকে একদমই বোঝাতে পারিনি আমার কথার মানে। আমি বলেছি ওরা "বললেই" মানে ওরা মিথ্যে ইতিহাস বানালেই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ মিথ্যে হয়ে যাবেনা। আমাদের দেশ আসলে স্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা করেছে, ভারতীয়রা না।
আমি সেটাই বলেছি। আপনার কথা আর আমার কথা একদম এক, আমি এক সেন্টেন্সে লিখেছি বলে বোধহয় কনফিউশন হয়েছে। আমি ভারতীয়দের ভুল ধারনার প্রতিবাদ করেছি বলতে পারেন। আপনার বাকিসব কথার সাথে সহমত।

অবশ্যই তুমি বলবে, আমিও আপনাকে আল্লাদ করে বড় আপু হিসেবে তুমি বলব।
সবসময় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, অনেক ভালো থাকবেন।

১৩| ১১ ই মে, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

ক্লান্ত রিয়াদ বলেছেন: আপনার আগের পর্ব গুলো চোখে পরার পরেও পড়া হয়নি, এই পর্বের শিরোনাম দেখে পড়তে গিয়ে ভাবলাম শুরু থ্বেকেই পড়ি, প্রায় ঘন্টা খানেক ব্যয়ে সবটা পড়ে শেষ করলাম! অভিজ্ঞতা গুলো দারুন ভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন।
৭ম পর্বের ''প্রবাসি, এবং হবু প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটা বিনীত অনুরোধ করব। দয়া করে বিদেশে যেয়ে উর্দু, হিন্দিতে ওদের সাথে কমুনিকেট করবেন না। ওরা তো আপনার ভাষা শিখতে আসছে না, তবে আপনি কেন ছ্যাবলা হবেন? আর বিদেশে গিয়ে ভারতীয়, পাকিস্তানিদের সাথে মিশে বাংলাদেশী ফ্ল্যাভার পাবেন এই আশা করবেন না। ওরা ভালো হোক খারাপ হোক আমাদের মতো না।" এই কথাটি সাথে সহমত, আমার এইখানে কেউ বললে সরাসরি বলে দিই আমি উর্দু বা হিন্দি পারিনা। কমন লেঙ্গুয়েজ এ কথা বলেন।

১১ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে সব পর্বগুলো একটানে পড়ার জন্য। আমি কৃতজ্ঞ।

অনেক ধন্যবাদ কমন লেঙ্গুয়েজে কথা বলার জন্যে। প্রবাসে অনেকের মধ্যে এ চেতনা, জাতীয়তাবোধ খুব করে আছে। কিন্তু আবার অনেকেই হিন্দি, উর্দুতে খুব গর্ব করে কথা বলে যেন অনেক মহৎ কাজ করে বসে আছে। তাদের জন্য করুনা অনুভব করি।

আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি কোন দেশে থাকেন ভাই? জাস্ট কিউরিউসিটি।

১৪| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

ক্লান্ত রিয়াদ বলেছেন: অনেক শুভকামনা! পড়ালেখার জন্য দু বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আছি। :)

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও আচ্ছা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। আমার অনেক রিলেটিভই মালয়েশিয়ায় থাকে। আপনি লাকি যাতায়াতটা সহজ, কানাডা থেকে বাংলাদেশতো পাক্কা দুইদিন লাগে।

যাই হোক, অনেক ভালো থাকবেন আই মিন প্রবাসে পরিবার ছাড়া যতটা ভালো থাকা সম্ভব আরকি। :)

১৫| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২২

ক্লান্ত রিয়াদ বলেছেন: হুম, লাকি বলতে পারেন। দেশে যাওয়াটা সহজ, আবাহাওয়া টা ও খুব চমৎকার। প্রতিদিন নিয়ম করে একবেলা বৃষ্টি পড়ে, ভালই আছি । আপনিও ভাল থাকবেন।

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারনে কানাডার ওয়েদারও প্রচন্ড সুন্দর হয় যাচ্ছে। বছরের লম্বা সময় ধরে মিষ্টি রোদ পরে থাকে! এখনো তাই আছে। কিন্তু দেশের বৃষ্টিটা প্রচন্ড মিস করি, কানাডায় বৃষ্টিটা প্রচন্ড ঠান্ডা, সহজে ভেজা যায়না।
শুভকামনা।

১৬| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কিরে জ্বর কি বেশি?

১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এখন কমের দিকে সো নো চিন্তা।

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: Are you sick? If yes, then wishing your quickest recovery. Missing your writing and also you dear.

১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তুমি কি সুইট আপু!! হ্যা জ্বর হয়েছে। কিন্তু এখন প্রায় ভাল। লেখা একটা প্রায় শেষ, কাল পরশুর মধ্যেই দিয়ে দেব।
সাথে থাকতে বলবনা কেননা জানি সাথেই আছো আমার সুইট আপুটা! অনেক ভাল থেকো!

১৮| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। ভালো আছো জেনে ভালো লাগলো। আমিও ভালো আছি।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাল যে আমরা দুইবোনেই ভাল আছি!
আর একটা পর্ব লিখেছি, পড়তে পারো। ধন্যবাদ।

১৯| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২২

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: ইশ্ একটুর জন্য তোমাকে মিস করলাম। পরের পর্ব পড়েছি। কমেন্টও করেছি।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জী আপু তোমার কমেন্ট দেখেছি, আমিও রিপ্লাই দিয়েছি।

২০| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

টু-স্টেপ বলেছেন: I read some of your posts and felt like you're exaggerating things a bit. After knowing you're from a town it make sense that you might have completely different experience. I think most of the immigrants try to live in cities and get a cosmopolitan experience.

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী একদম আমি এমন জায়গায় থাকতাম যেখানে বাংলাদেশি তেমন ছিলনা। যারা একদম বড় শহরের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে থাকেন তারা তেমন কোন বড় ডিফারেন্স হয়তো বুঝতে পারেন না।

আর অতিরন্জিত না, পুরোপুরি লাইন বাই লাইন নিজের জীবনের ডায়েরি লিখেছি বলতে পারেন।
ধন্যবাদ।

২১| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

টু-স্টেপ বলেছেন: Sorry for misunderstanding you. You must be dealing with lots of negative comments. Keep writing, you have a great writing spree. I enjoyed your blog posts. :). In a sum, from my experience we Bangladeshi's never learn good.

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: You must be dealing with lots of negative comments.
না সেরকম কিছু না। ভাল খারাপ মিলিয়েই জীবন।

ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা দেওয়ার জন্যে, সাথে থাকবেন।

২২| ১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: পৃথিবীতে একমাত্র ইণ্ডিয়ানরাই হিংসা পরায়ণ হিংস্র জাতি । ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর লিখেছেন
অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা এপ্রিশিয়েট করার জন্যে।
"এদেশে বর্নবাদ খারাপ চোখে দেখা হয়"

লেখিকারে কই বর্নবাদ লুকিয়ে রাখা যায় না।
লেজা ঠিকই বেরিয়ে আসে।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি ওনার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করে তো কিছু বলিনি! আমি শুধু ওনার "অনেক সুন্দর লিখেছেন" বলার কারনে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
যাই হোক বাদ দিন, আপনার যা ভাবতে ভাল লাগে তাই ভাববেন।

২৩| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভারতীয় ইয়াংদের অনেকে ভাবে ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে!! বাংলাদেশ ওদের কাছে ভারতের "হেল্প" নিয়ে জন্মে যাওয়া এক দেশ। ওদের দয়া দাক্ষিনে বেচে থাকা এক দেশ! ওদের চেয়ে ছোট এবং কম ক্ষমতার একটা দেশ। যেন ওদের কোন অগুরুত্বপূর্ণ অংগরাজ্য আমরা
এটা কেন ভাবে জানেন? কারণ, ওদের স্কুলের ইতিহাস বইতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে পড়ানো হয়, যে যুদ্ধে ভারত জয়ী হয়েছিল। আমি এক সময় ভারতের স্কুলে অধ্যয়নরত কিছু বাংলাদেশী বাচ্চাদের পড়াতে গিয়ে এটা দেখেছি।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এটা প্রচন্ড দুঃখজনক একটা ব্যাপার! আশা করি ভারত, পাকিস্তানের পাঠ্যবইতে একসময় সত্যি কাহিনীটা তুলে ধরা হবে।

২৪| ২৮ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোহানী বলেছেন: তোমার মানসিকতাকে শতভাগ সমর্থন করি। আমি এ পর্যন্ত একজন ও ভারতীয় পজিটিভ মানসিকতার মানুষ পেলাম না। যাহোক, দু:খ নিজেদের নিয়ে, নিজেদের ভারতপ্রীতি নিয়ে..... এখনো আমরা তাদের চিনলাম না।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি বেশ কিছু ভাল ভারতীয় দেখেছি। ভাল খারাপ সবখানেই আছে। আমি খারাপ হওয়ার কারনটা বিশ্লেষন করছিলাম।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে। ভাল থেকো আপু।

২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৩

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: যারা ইতিহাস নিয়ে পড়েছেন তারা কখনও আপনার লেখাকে অস্বীকার করতে পারবেন না।
সত্যিই সেই আন্টির লাড্ডুর স্বাদ আমারও মুখে লেগে আছে! আপনার স্বাবলির বর্ননাতে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা আপনাকে এত দূর থেকে লাড্ডুর স্বাদ দিতে পেরে আনন্দিত। রোজা ভেংগে গেল নাতো?

২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৪

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আমার চারটি ফিকেশন আসলেও কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আপনার কোন মন্তব্য মিস করে গেলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন। দয়াকরে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নো প্রবলেম। :)

২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৫

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: নোটিফিকেশন*।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বুঝেছি আগেই।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই।

২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

আরভিন বলেছেন: কানাডা যাইতে মন চায় -_- -_- -_-

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহ চলে আসুন না! আসলে দাওয়াত দেওয়া থাকল।

ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.