নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে

১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

কানাডায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ইমিগ্র্যান্ট যায়। এই প্রবাসীদের একটা বড় অংশই আর ফিরে আসেনা এবং সেখানেই বিয়ে করে সন্তানসন্ততী নিয়ে জীবন যাপন করেন। এই বাচ্চাদের অনেকেই চোখ ফুটে বাংলাদেশকে দেখেনা, দেখে কানাডাকে! তারা আদৌ কতটুকু বাংলাদেশি হতে পারে তা নিয়েই থাকছে আজকের পর্ব!

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে

মারিয়া না মরিয়ম?: সময়টা আমার কানাডিয়ান স্কুলের অনেক প্রথমদিকের। আমি মাত্র দুই মাসই কষ্টে কোনভাবে পার করেছি! কোন বন্ধু নেই, পড়াশোনায় ভালো করতে পারছিনা ভাষা সমস্যার কারনে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা কোন ক্লাসে কোন বাংলাদেশি চোখে পরেনি। সবার নিজের নিজের দেশের মানুষ আছে শুধু আমারই নেই। পুরো স্কুলে শুধু আমার কানাডিয়ান কাউন্সিলরের সাথেই মন খুলে কথা বলতে পারি। আমি ওনার কাছে গিয়ে বললাম বাংলা না বলতে পেরে আমার অবস্থা খারাপ। আমাকে কোন বাংলাদেশি খুজে দিতে। উনি বললেন দেখি কি করা যায়? পরেরদিনই মরনিং এনাউন্সমেন্টে শুনলাম তিনি বলছেন স্কুলে কোন বাংলা স্পিকিং স্টুডেন্ট থাকলে মেইন অফিসে যোগাযোগ করতে। আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম। দুই দিনের মধ্যে আবার কাউন্সিলরের ডাক পরল। তিনি বললেন, "একটা বাংলাদেশি মেয়ে আছে মারিয়া নামে, ওর বাবা মা চায় ওর বাংলাটা যাতে ইমপ্রুভ করে, আর তুমিও কথা বলতে চাও। সো পারফেক্ট ম্যাচ।"

আমার খুশি আর দেখে কে! মেয়েটার সাথে রোজ ব্রেকে বিশ মিনিট কথা বলার সময় করে দিলেন তিনি। মারিয়া জিন্স প্যান্ট আর মাথায় হেজাব পরত, শ্যামলাটে, আর চোখে বড় পাওয়ারের চশমা। ও অনেক ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিল আর আমার থেকে এক ক্লাস নিচে পড়ত। ওকে বললাম খুব ভালো হল তোমার সাথে পরিচয় হয়ে, বাংলাদেশের কাউকে খুজছিলাম অনেকদিন। ওমা! মেয়েটা বলেকি, "আমার বাবা মা বাংলাদেশের, আমি এখানকার। ৫ বছর বয়স থেকে কানাডায়।" "এখানকার" শব্দটা অনেক কষ্টে অন্যরকম করে বলেছিল, এখন আমার মনে পরছে না। ওর বলার ধরনটা কেমন যেন ছিল, যেন ওকে বাংলাদেশি বলায় প্রচন্ড বিব্রত। যেন এটা কোন লজ্জার ব্যাপার! বাংলা পুরো আঞ্চলিক ভাষায় বলত, শুদ্ধ বাংলা পারত না। আমাদের দেশে মা বাবা আঞ্চলিকের সাথে সাথে শুদ্ধ ভাষা শেখায় জোর দেয় যাতে বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে কেউ হাসি তামাশা না করে। কিন্তু ওখানে বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও বাংলা বলার প্র‌য়োজনীয়তা না থাকায় অনেক প্রবাসি বাচ্চা শুধু বাড়িতে শোনা আঞ্চলিক ভাষাটাই জানে।

যাই হোক, ওর এইকথা শুনে বুঝে গেলাম she is not my type. তাও বড় মুখ করে কাউন্সিলরের কাছে আবদার যখন করেছি, প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ওর ভুল ভাল বাংলা শুনলাম। ওরও আমার সংগ নিশ্চই ভালো লাগত না। তারপরে একদিন ও পরীক্ষা বলে আসতে পারবেনা বলল। আমিতো হাফ ছেড়ে বাচলাম। ওর সাথে আসলে বলার মতো কোন টপিকই ছিলনা। দুজনে শুধু বসে থাকতাম ২০ মিনিট ধরে। এর পরে আমি একদিন একটা পরীক্ষার কথা বললাম। এভাবে দুই পক্ষ থেকে বাহানা করতে করতে ওর সাথে মিটিংটা কমে কমে নাই হয়ে গেল।

এর বেশ কিছুমাস পরে তখন আমি ওয়েল এডজাস্টেড স্কুলে, এক পাকিস্তানি মহিলা (আগের কোন এক পর্বে বলেছি) আমাকে বললেন তুমি মরিয়মকে চেন? আমি বললাম না কে? উনি বললেন কেন বাংলাদেশেরতো মরিয়ম? আমি বুঝলাম মেয়েটার নাম বাড়িতে, সাউথ এশিয়ান কমিউনিটিতে মরিয়ম কিন্তু স্কুলে মারিয়া। এসব আমার কখনোই ভালো লাগেনি, কানাডিয়ানদের খুশি করতে মা বাবার দেওয়া নামটাও চেন্জ করতে হবে? যাই হোক সবারই ব্যক্তিগত চয়েস আছে।

এর পরে ওর সাথে আর কোন কথাই হয়নি, এমনকি একটা টিউটারিং ওয়ার্কশপে একই গোল টেবিলে বসেও কোন কথা বলিনি আমরা। ও ওর কানাডিয়ান বন্ধুদের সাথে, এবং আমি আমার জাপানিজ বন্ধুদের সাথে বিজি ছিলাম! এখানে বলে রাখা ভালো আমরা দুইজনে একে অপরকে ঘৃনা করতাম না, শুধু আমাদের মধ্যে সব মিলিয়ে ভালো ম্যাচ হতো না। আমি বাংলায় কথা বলা একজন বাংলাদেশি প্রানের বান্ধবী চেয়েছিলাম। আর ওর শুধু মাথার হেজাব আর গায়ের রংটাই আমাদের মতো ছিল। কিন্তু মনের রং অনেক আগেই কানাডার রংগে ছেয়ে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের কোন অস্তিত্বই নেই। আর ও বাবা মায়ের শুদ্ধ, পরিষ্কার বাংলা শিখতে হবে সেই চাপে আমাকে আকড়ে ধরতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশি আমি ওর ভুল ভাল বাংলায় বলা কানাডিয়ান টপিক (মুভি, শো, তারকা,কালচার) নিয়ে বলা কথাগুলোর কিছুই বুঝতাম না। মাথা ঝাকিয়ে যেতাম কিন্তু ওর বলা কথাগুলোয়ে কিছুই এড করতে পারতাম না। তাই আমার চেয়ে বেশি আশাহত হয়ত ওই হয়েছিল! ও অনেক ভালো, নামাজি, ব্রিলিয়ান্ট কানাডিয়ান একটা মেয়ে ছিল, যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।

ভারতীয় বাংলাদেশি?: এটা সবচেয়ে কষ্টের এক্সপেরিয়েন্স। কানাডায় বাংলাদেশির কানাডিয়ান হওয়াতো মেনে নেওয়াও যায়। কিন্তু ভারতীয় হয়ে যাওয়াটা? এই মেয়েটা অনেক পরে এসেছিল। মেয়েটার জিন্স, প্যান্ট পরত, চুল সোনালি রং করা, বেশ ফর্সা, আমি বাংলাদেশি প্রথমে বুঝতে পারিনি। একই লাইনে পরীক্ষার খাতা নিতে দাড়িয়ে ছিলাম। ও নিজেই পরিচিত হল আমাকে জিগ্যেস করল আমি বাংলাদেশি কিনা? আমি হ্যা বলায় বলল, ''আমিও বাংলাদেশি, বাংলাদেশের আরেকজনকে সাথে পরিচিত হতে পেরে ভাল লাগছে।" এই পুরো কথাটা ইংলিশে বলল, এবং আমিও বুঝে গেলাম ইনি মারিয়া টাইপ বাংলাদেশি। লাইনে এগিয়ে আর তেমন কথা হলনা সেদিন।

এরপরে কয়েক মাস পরে একটা এডিশনাল হেল্প ক্লাসে একই টেবিলে বসে আছি আমরা ৭/৮ জন। আমার সেই ক্লাসটা তেমন করা লাগত না তাই একা একাই ছিলাম। ওর অনেক বন্ধু ঐ ক্লাসে, তো ও কথা বলছিল নিজের বন্ধুদের সাথে। এমন সময়ে বলল, "আমি বলিউড মুভি খুব পছন্দ করি। ওয়ান্ডরফুল সব মুভি ওদের।" বন্ধু যে শুনছিল জিগ্যেস করল সাবটাইটেলে দেখ? ও বলল, "আমি হিন্দি বলতে পারি, বুঝতে পারি।" ওরা বলল তোমার মাদারটাং?
ও বলল, "না আমার মাদারটাং বাংলা, but I don't speak Bengali, I speak Hindi." আমার কানে এখনো বাজে কথাটা। ওর কানাডিয়ান চালচলনে খারাপ লাগেনি কিন্তু সেকন্ড অপশনেও বাংলাদেশ না অন্য কোন দেশ! আড়ালে কারও কথা শোনা উচিৎ না কিন্তু একই টেবিলে বসে থাকায় কানে চলেই আসল। আর মিথ্যে বলবনা বাংলাদেশি হওয়ায় আলাদা কৌতুহলতো ছিলই! সেদিন বাড়িতে আসার পথে পুরোটা সময়ে ওর বলা কথাটা কানে বাজছিল। আমার খারাপ লাগা এটা ছিলনা যে ও এরকম, আমার খারাপ লেগেছিল এটা ভেবে যে প্রবাসে ওর মতো হাজারটা বাংলাদেশি বাচ্চা ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে!
এখানে দুইজন বাংলাদেশি প্রবাসি বাচ্চার কথা বললাম। একজন নিজেকে বাংলাদেশি না কানাডিয়ান মানতে গর্ববোধ করে। আরেকজন নিজেকে সবসময় বাংলাদেশি বলে কিন্তু বাংলাদেশি হওয়ার মানে কি তার কোন আইডিয়াই নেই!

বাস্তবতা: ওপরের গল্পটার প্রতিটা লাইন যেমন আমার জীবনের বাস্তব ঘটনা, তেমনি সার্বিকভাবে কঠিন সত্য। প্রবাসী বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে বাড়িতে হিন্দি সিরিয়াল, সিনেমা দেখে তাই বাংলা শিখুক না শিখুক হিন্দি ঠিকই শিখে ফেলে! পেপারে অনেক সময়ে প্রবাসি পাতায় দেখবেন পয়েলা বৈশাখে বাচ্চারা নাচানাচি করছে আর বাবা মা বলছেন তারা বিদেশেও দেশীয় কালচার লালন করে রেখেছেন! আচ্ছা বছরের একটা দিন নাচ গান করলেই বাংলাদেশি হওয়া যায়? তাহলেতো আমি বাংলাদেশিই না! আমি নাচ, গান কোনটাই পারিনা। এটা আমাদের কালচারের একটা অংশ কিন্তু পুরো কালচার না।

প্রবাসি বাচ্চাদের কোনই দোষ নেই, বাংলাদেশকে না দেখলে মায়া আসবে কোথা থেকে? ওরা রবীন্দ্রসংগীতের তালে নাচবে পুতুলের মতো, কিন্তু এর মানে হয়তো বুঝবেনা। আমি সবসময়েই বলেছি কোন কানাডিয়ান আমাকে বাংলাদেশি কালচার কানাডায় ফলো করতে বাধা দেয়নি। সবসময় সালোয়ার কামিজ পরে চলাফেরা করেছি, নিজের আসল নামটা পাল্টাইনি, বন্ধুরা খাওয়ার শেয়ার করতে চাইলে হালাল না হওয়ায় রিফিউজ পর্যন্ত করেছি। কিন্তু ওরা ভুরুটা পর্যন্ত কুচকায়নি মুখে কিছু বলাতো দূরের কথা। আর বলবেই বা কেন? আমার দেশ, আমার কালচার। তেমনি করে কানাডাকে নিজের দেশ ভাবতে থাকা বাচ্চাদেরকে আমাদের প্রবাসি বাবা মারা বাধা দেওয়ার কে? এতে ওরা বাংলাদেশকে আরও অপছন্দ করতে শুরু করবে, ভাববে জোর করে নিজেরদের কালচার ফলো করানোটাই আমাদের কালচার!

প্রবাসি বাংলাদেশি মা বাবাদের অনেকে (সবাই না) আশা করে থাকে আমাদের বাচ্চাকে কানাডায় মানুষ করে কানাডিয়ান স্কুলে পড়াব আর বাড়িতে হিন্দি চ্যানেল চালিয়ে রাখব এবং বাচ্চারা বাংলা ভাষা শিখবে, বাংলাদেশি কালচার ফলো করবে এবং বাংলাদেশি ছেলে অথবা মেয়েকে বিয়ে করবে। এটাও কি সম্ভব? একটা বাচ্চা কালচার শেখে পরিবার, স্কুল এবং আশেপাশের পরিবেশ থেকে। প্রবাসী বাচ্চারা স্কুলে, আশেপাশে তেমন কোন বাংলাদেশি পরিবেশ সাধারণত পায় না। তারপরে ঘরেও যদি বিদেশী চ্যানেল চলতে থাকে তাহলেতো এরা বাংলাদেশের ব ও বুঝবে না।

কিন্তু মা বাবারা ভাবে আরে আমি বাংলাদেশি আমার বাচ্চা কেন তা হবেনা? এই কঠিন প্রশ্নের সহজ উত্তর আপনি বাংলাদেশে মানুষ হয়েছেন, এদেশের জল, মাটি, রোদ গায়ে মেখেছেন। ওরা সেই সৌভাগ্য পায়নি! ওদের কাছে কানাডাই নিজের দেশ যেমন করে আপনার কাছে বাংলাদেশ নিজের দেশ। আপনি যেমন বছরের পর বছর কানাডায় থেকেও মনেপ্রানে বাংলাদেশের জন্যে টান অনুভব করেন ওরা তেমনি করে কানাডার জন্যে টান অনুভব করে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই বাচ্চারা দিন দিন নিজের মা বাবা, পরিবারের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে কালচারাল ডিফারেন্সের কারনে। মানসিক দ্বন্দে বড় হচ্ছে নিজের আইডেন্টিটি নিয়ে, নিজের জাতীয়তাবোধ নিয়ে। আর মা বাবাও দুশ্চিন্তায়, যে বাংলাদেশি কালচারকে সারাজীবন লালন করেছেন তা তাদের বাচ্চারা বুঝতে পারছেনা! এসব সমস্যা সলভ করার একটাই পন্থা। যতটুকু পারা যায় বাংলাদেশি কালচার জানানো বাচ্চাদেরকে কেননা নিজের শেকড়কে জানার, মানার অধিকার ওদের আছে। তারপরে ওদের সিদ্ধান্ত ওরা নিজের শেকড়ের সাথে মিশে থাকবে নাকি যে দেশে থাকছে সে দেশের কালচার ফলো করবে। তবে বাচ্চারা কানাডিয়ান কালচার ফলো করতে চাইলে বাধা দেওয়া যাবে ন। জানি অনেক কঠিন তা বাংলাদেশি মা বাবাদের জন্যে কিন্তু পারিবারিক সম্মান, দেশীয় আবেগকে বাচাতে গিয়ে নিজের বাচ্চাদেরকে কষ্ট দেবেন না দয়া করে। আমার বিনীত অনুরোধ এটা। 

ছোট্ট একটা পসিটিভ গল্প দিয়ে শেষ করি। আমাদের পরিচিত প্রবাসি গল্প করেছিলেন যে একটা ৮ বছরের বাচ্চা কানাডায় যেয়ে গুগল ম্যাপে বাংলাদেশ সার্চ করে ম্যাপের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকত। আর বলত "এটা আমার বাড়ি না? এটা আমার বাড়ি না?" শুনে মনটা ভরে গিয়েছিল। দেশের প্রতি বাচ্চাটার এই টান শুধু বাড়বেই কমবেনা। ওর মতো হাজারটা প্রবাসি বাচ্চা সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে, শুধু মা বাবার কাছে বাংলাদেশের কথা শুনে, ইন্টারনেটে দেখে, বুকের গভীর আবেগে শেকড়ের টানে বাংলাদেশের জন্যে পাগলের মতো ভালবাসা বয়ে বেড়াবে সেই আশা নিয়ে শেষ করছি।

বিশেষ কথা: আমার লেখা পড়ে দয়া করে ভাববেন না প্রবাসে ঘরে ঘরে এই সমস্যা। যারা এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শুধু তাদের কথা লিখেছি। অনেক ব্যতিক্রমধর্মী বাবা মা আছেন যারা জোর না করে কৌশলে দেশপ্রেম ঢুকিয়ে দেন এবং বাচ্চারা গর্বের সাথে বাংলাদেশি পরিচয় দেয় নিজেকে। তাদেরকে অভিনন্দন।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ফাহিমোসিস ফয়সালোসিস বলেছেন: কানাডার স্কুলে একদিন সিরিজের সবগুলো পর্বই পড়েছি । কিন্তু কেন জানি মন্তব্য করি নি । আজ একটু বলে নিই । দুর্দান্ত একটা সিরিজ হচ্ছে । কন্টেট যেমন বৈচিত্র্যময় , তেমনে বর্ণনা ও তেমন ঝরঝরে । পড়তে গিয়ে আটকাতে হয় না । অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ এ ধরনের সিরিজ লেখার জন্য ।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নয়টা পর্ব লেখার পরে আপনার একটা কমেন্ট পেলাম, তো এই পর্বটা লেখা সার্থক। হাহা।

কমেন্ট না করেও সবসময় পাশে ছিলেন সেজন্যে ধন্যবাদ। আর বাকি সব কমপ্লিমেন্টের জন্যেও ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকবেন।

২| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০২

পড়শী বলেছেন: যেহেতু এটা আপনার স্কুলের বর্ণনা, ধরে নিচ্ছি আপনি এখন স্কুল বা কলেজে পড়েন। আপনার লেখা দূর্দান্ত হচ্ছে।

আমি অবাক হচ্ছি, আপনার এত পরিষ্কার চিন্তা করার ক্ষমতা দেখে। এত সুন্দর করে সমস্যা চিহ্নিত করে তা বিশ্লেষণ করা, এবং সমাধানের দিকটাও ভাবা-সত্যিই অসাধারণ।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জী আমি হাই স্কুল শেষ করে ভার্সিটিতে উঠেছি।

উরে বাবা এত প্রশংসা! মন ভাল করে দেওয়ার মতো সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।

ভাল থাকবেন।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: বাচ্চাগুলো আর সাথে সাথে তাদের মা-বাবাদের জন্যেও কষ্ট লাগছে। কিন্তু তোমার কথাটাই ঠিক জোড় করে ভালবাসতে শেখানো যায় না। আর যে সব ব্যতিক্রমধর্মী মা-বাবারা জোর না করে কৌশলে দেশপ্রেম ঢুকিয়ে দেন এবং বাচ্চারা নিজেদেরকে গর্বের সাথে বাংলাদেশি পরিচয় দেয় তাদেরকে আমার পক্ষ থেকেও অভিনন্দন।

লিখা দুর্দান্ত হচ্ছে। বলাই বাহুল্য পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "জোড় করে ভালবাসতে শেখানো যায় না।"
একদম সারমর্ম লিখেছো আমার লেখার আপু। এটাই বলতে চেয়েছি আমি।

আচ্ছা পরের পর্বে আবার দেখা হবে। :)

৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
Maria, Maria
Senorita Maria Hoooooooo!

Varotiyo bangaLir beparta khub kharap hoise.

8 bochorer piccir kahini monta khushi kore dise :)

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায়রে যেকোন মেয়ের নাম নিয়ে হওয়া গানগুলো জানেন দেখছি।

আসলেই বাচ্চাটা যেখানেই থাকুক বাংলাদেশকে বুকে নিয়ে ভাল থাকুক।

ধন্যবাদ মজার কমেন্ট করার জন্যে।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গুছানো, যুক্তিপূর্ণ একটা পোস্টের জন্য।

//ছোট্ট একটা পসিটিভ গল্প দিয়ে শেষ করি। // এবং //বিশেষ কথা//, এই দুই অংশ ছাড়া পুরো লেখাটা পড়ে ভীষণ ভাবে হতাশ হয়েছি। (অবশ্য আপনার লেখা বরাবরের মতই ভাল।)
++

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হতাশ করার জন্যে সরি ভাই কিন্তু বাস্তব সবসময় সুন্দর হয়না।

আপনাকে সুন্দর মন্তব্য এবং প্রতিটি পর্বে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

সোহানী বলেছেন: কি করবে ওরা বলো, সবখানে ইংরেজী আর ঘরে হিন্দি..... ওরা শিখবে কি? আমি ওদেরকে না ওদের বাবা-মাকে বলি আগে নিজেরা বাংলাদেশী হোন তারপর বাচ্চাদের দেশী বানান.... চমৎকার লিখায় ++++++

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম একমত। নিজেরাই বাংলাদেশী হতে না পারলে বাচ্চাকে বানাবে কিকরে?

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক আগ্রহ নিয়ে আপনার এই পর্বগুলো পড়ছি ।

বিদেশের মাটিতে একেবারে ছোট বেলা থেকে বড় হলে বাঙ্গালী অবেগ অনুভুতিগুলো নিয়ে বড় হওয়াটা বেশ অসম্ভব বলে মনে হয়। আপনি কৈশরের বয়সন্ধির গুরুত্বপূর্ন সময়টায় বাংলাদেশে, বিশেষ করে মফস্বলের আলো-বাতাস-জল-প্রকৃতি, স্নেহ, রবীন্দ্রনাথের গানের উদ্ভাসে বড় হয়েছেন বলে আপনি খুব সহজে সংস্কৃতিটা পেয়েছেন । কিন্তু যে শিশুটা পাঁচ বছর বয়সে বিদেশে চলে গেছে তার পক্ষে এটা ধারণ করা কঠিন ।

বাবা-মা'রা কিন্তু চান তাদের সন্তানরা কর্ম-দক্ষতায়, শিক্ষায় কানাডিয়ান হোক, কিন্তু মননে যেন বাঙ্গালী হয় । মজার ব্যাপারটা হলো ধর্মের আচার অনুসঙ্গ গুলো সন্তানদের শেখানো গেলেও (আপনার পোস্টের প্রথম মেয়েটি) সংস্কৃতি শেখানো যায়না । বাবা - মা বাঙ্গালী হলেও ছেলে মেয়েদের "পথের পাচাঁলী" পড়ার অনুভুতি অর্পন করা যায়না ।

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি ভয়ানক সুন্দর একটা কমেন্ট। আমি দুইবার পড়লাম।

"আপনি কৈশরের বয়সন্ধির গুরুত্বপূর্ন সময়টায় বাংলাদেশে, বিশেষ করে মফস্বলের আলো-বাতাস-জল-প্রকৃতি, স্নেহ, রবীন্দ্রনাথের গানের উদ্ভাসে বড় হয়েছেন বলে আপনি খুব সহজে সংস্কৃতিটা পেয়েছেন ।"

আপনি আমার জীবনটাকে একদম ঠিক ঠিক পড়ে নিয়েছেন। আসলেই এটাই আমার জীবন ছিল। আপনার কথায় আরো বেশি করে সেই মফস্বলে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। আহারে স্বপ্নের মতো সুন্দর ছিল সে দিনগুলো!

"মজার ব্যাপারটা হলো ধর্মের আচার অনুসঙ্গ গুলো সন্তানদের শেখানো গেলেও (আপনার পোস্টের প্রথম মেয়েটি) সংস্কৃতি শেখানো যায়না । "
আমার পোষ্টের একটা বড় আইডিয়া এটাই ছিল, আমি সামারাইজ করে বিষয়টা লিখিনি কিন্তু একদম এটাই বুঝাতে চেয়েছি। ধর্মের নিয়ম আছে যা ফলো করলেই হয় কিন্তু দেশীয় আবেগ কোন নিয়ম না এটা বুকের ভেতর থেকে আসে যা সবাইকে শিখানো যায় না। আমার লেখার অন্তর্নিহিত মানে বোঝার জন্যে ধন্যবাদ।

এত সুন্দর কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় ব্যাপারটা আমাদের জাতীয় সমস্যা। আমি কোন তুর্কি বা সার্বিয়ান, জার্মান, আরবী কে নিজ ভাষা বাদে অন্য ভাষায় কথা বলতে দেখি নাই। যদিও আমরা ইউরোপে শুধু ইংরেজি না একাধিক ভাষায় পারর্দশী যা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে স্কুলে কলেজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নিজ জাতিতে কথা বলতে গেলে বাংলাদেশী,ভারতীয়,পাকিদের দেখি ভিন্ন ভাষা বা বিদেশী ভাষা ব্যবহার করতে।

হুম, তবে বলিউড তাদের প্লাস পয়েন্ট, কারন কিছু আরবীকেও হিন্দী গান শুনতে দেখি। ব্যপারটা মজার।

আমার কাছে লাগে মীর জাফর আর রাজাকার ধরন টা আমাদের জাতিতে মিশে আছে। নতুবা গিরগিটি ধরনের আমরা।

পোষ্টের সাথে একমত সবাই এক নয়।

১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সময় নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করে নিজের মতামত দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

বটপাকুড় বলেছেন: আমি অনেক দিন পরে আপনার ব্লগ পড়লাম, আগে চোখে পড়েনি কেন জানি না। আমার কাছে মনে হয়েছে বিশাল এই প্রবাস জীবনে বাঙ্গালির মত অদ্ভুত জাতি আমার চোখে আর দুটো পড়েনি। কারণ, এদের নিজেদের মধ্যে কোন জাতিগতভাবে একত্র হওয়ার কোন আবেগ কাজ করেননা। বেশিরভাগ সময়ে আমি দেখেছি, এদের কাজ হল একে অপরকে পিছনে টেনে ধরা। সেই দিকে পাঁশের দেশের দিকে তাকাই, তাহলে চোখে পরে ওদের একতাবোধ আর অগাধ দেশপ্রেম। তবে শেষ যে ঘটনা বললেন, সেটা আসলে মন ছুঁয়ে গেল।

জাফর ইকবালের লেখা থেকে আমাদের দেশের মানুষের বিদেশে এই আচরণের একটা কথা বলেছিলেন, হয়ত এটাই সত্য

আমাদের দেশ থেকে যারা লেখাপড়া করতে বিদেশে গিয়ে সেখানে থেকে যায় তাদের আসলে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক ভাগ কখনো ভুলতে পারে না যে তারা এই দরিদ্র দেশটির মূল্যবান সম্পদ ব্যবহার করে লেখাপড়া করেছে, প্রতিদানে তারা দেশকে কিছু দেয়নি। দরিদ্র দেশে প্রায় বিনামূল্যে পাওয়া শিক্ষাটুকু ব্যবহার করে আমেরিকা (বা সেরকম কোন একটা দেশ)-কে সেবা করে যাচ্ছে। সেজন্যে তাদের ভেতর একটা অপরাধবোধ কাজ করে। তারা সবসময়েই দেশের ঋণটুকু শোধ করার জন্যে নানাভাবে চেষ্টা করে।

আরেক ভাগ মানুষ এই অপরাধবোধ থেকে বের হবার জন্যে অত্যন্ত বিচিত্র একটা উপায় খুঁজে বের করেছে, সেটা হচ্ছে সবকিছুর জন্যে নিজের দেশটিকেই দায়ী করা। তারা প্রতি মুহূর্তে দেশকে গালাগাল দেয়। তারা বড় গলায় সবাইকে জানিয়ে দেয় এই পোড়া দেশে জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণার সুযোগ নেই, তাদের মেধা কিংবা প্রতিভা ব্যবহারের সুযোগ নেই, এই দেশে জন্ম হওয়াটাই অনেক বড় ভুল হয়েছিল এখন আমেরিকাতে আসন গেড়ে সেই ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিজের দেশটি কীভাবে রসাতলে যাচ্ছে তার সব পরিসংখ্যান তাদের নখদর্পণে। দেশের অবিবেচক মানুষ কীভাবে রাজনীতি করে, হরতাল দিয়ে, সন্ত্রাস করে, দুর্নীতি করে পুরো দেশটাকে ডুবিয়ে দিচ্ছে সেটা তারা শুধু নিজেদের মাঝে নয়, বাইরের সবার সঙ্গেও আলোচনা করে সময় কাটায়।


সময় হলে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন 8-|

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জাফর ইকবাল স্যারের এই লেখাটা একটা পেপারে পড়েছিলাম বেশ আগে। একদম ঠিক করে দুইধরনের প্রবাসির কথা তুলে ধরেছেন উনি। আসলে খারাপ ভাল সব জায়গায় আছে।

দাওয়াত দিলেন? আচ্ছা খাবার রেডি করে রাখেন, আমি দাওয়াত খেতে যাব আপনার ব্লগবাড়িতে। :)

১০| ২৪ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, একটা বেকুব মার্কা প্রশ্ন করি?
যারা কানাডায় সেটলড হয়, তারা কি আর বাংলাদেশী থাকার জন্য যায়?? ;) :P

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি বেকুব মার্কা না সিরিয়াস উত্তরটাই দিচ্ছি আপনাকে।

যারা বড় বয়সে যায় তারা ১০০% বাংলাদেশি হিসেবেই থাকতে চায়। বরং অন্য বিদেশিদেরও বাংলাদেশি কালচার বোঝাতে থাকে। বাংলাদেশকে প্রানপনে পরিচিত করার চেষ্টা করতে থাকে বিদেশে। যারা কম বয়সে যায় তাদের ব্যাপার আলাদা।
কানাডায় সেটেলড হওয়া প্রবাসিরা ওদের প্রফেশনাল লাইফের সুযোগ সুবিধা পছন্দ করে কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে লুংগি পরা, মাছে ভাতে বাংগালি।
বুঝলেন কিছু জনাব?

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জ্বি জনাবা, বুঝেছি আপনার কথা।
তবে লাভ খুব বেশী হবে না। নাইতে নেমে জল ছোবেন না, তা কি হয়? ;)

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি জনাব, হয় বইকি। আমিতো করব গোসল নদীতে, কিন্তু ভেজাব না বেনী গ্রুপের সদস্য। ;)

না সিরিয়াসলি এমন অনেক বাংলাদেশী আছেন ২০/৩০ বছর বিদেশে থেকেও কিছুই চেন্জ হয়নি। আর অনেকে দুইদিনেও চেন্জ হয়ে যায়। তবে কানাডায় পুরোপুরি নিজের কালচারে থাকাটা যে দেশেরই হোন না কেন ১০০% পসিবল। এরা এত টলারেন্ট এবং অন্যদের কালচারকে মন খুলে আমন্ত্রন জানায়। এটা নিয়ে কানাডিয়ানরা অনেক গর্ব করে।

যাই হোক ভাল থাকুন জনাব।

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জেনে খুব ভাল লাগল জনাবা।
কানাডার ইমিগ্রেশনের জন্য এপ্লাই না করে তাহলে কি ভুল করে ফেললাম??!! :P

০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জনাব আমার মনে হয় উন্নত বিশ্বের যেকোন দেশে এপ্লাই করে রাখা উচিৎ। ছবিতে যেমন দেখায় ক্রিমিনাল নায়কও দুইদিনেই পাসপোর্ট করে প্লেনে উঠে পরল। বাস্তবে তা না বরং নন ক্রিমিনালদেরও অনেক কাঠখর পুড়িয়ে তারপরে যেতে হয়। ৪/৫ বছরের লম্বা প্রসেস। এখন যেখানে আছেন ভাল আছেন মনে করছেন কিন্তু পরে তো মন চেন্জ হতেও পারে।
এপ্লাই করে রাখলে পস্তানোর ব্যাপারটা আসেনা। পরে যেতে না চাইলে ওরাতো আর জোর করবে না।

যাই হোক জনাব, যে দেশেই থাকুন সুখপাখিকে ছুয়ে থাকুন সে আশায় আমি জনাবা...।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হুম! হুম...আসাধারন।

সহপাকদের কমেন্টগুলো কত রিলেভেন্ত আর উত্তরগুলো এত এপ্প্রপ্রিয়েট। ওভার অল ব্রিলিয়ান্ত একটা পোস্ট।

৮ বছরের বাচ্চাটার জন্য খুব মায়া হয়।

ভালো থাকবেন।You are very special to us. :)

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাব্বাহ পোষ্টসহ কমেন্ট, প্রতিউত্তর সব পড়ে শেষ! অনেক ভাল লাগল ব্যাপারটা।

আমারো খুব মায়া হয় বাচ্চাটার জন্যে। অনেক সাফল্য কামনা করছি ওর জন্যে।

Oww how sweet. Thanks for calling me special. এই ব্লগ এবং এর সদস্যরা আমার কাছেও খুব স্পেশাল।

আপনাকে অনেক সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা শুভসাহেব। অনেক ভাল থাকবেন।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: *সহপাঠকদের

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঠিক আছে, বুঝেছি আগেই। ধন্যবাদ। :)

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মোহাম্মদ আলী অপু বলেছেন: প্রবাসি বাচ্চাদের কোনই দোষ নেই, বাংলাদেশকে না দেখলে মায়া আসবে কোথা থেকে?

ঠিকই বলেছেন। যারা জন্মের পর থেকে বাংলাদেশ দেখে নাই, তাদের এই দেশের প্রতি টান থাকবে কিভাবে?
আরও দুঃখজনক ভারতীয় হয়ে যাওয়া বেপারটা। ওদেরই বা কি দোষ? আমাদের দেশেই তো বাচ্চাগুলা বাংলা ঠিকমত পারুক আর নাই পারুক হিন্দি কার্টুন/সিরিয়াল দেখে টপাটপ হিন্দি বলছে।

খুবই দুঃখজনক :(

২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম আসলেই। দেশের গুলোর তো বাড়িতে, স্কুলে, পাড়ায় বাংলা শুনে বলে শিখেই যাবে যতোই টিভির প্রভাব থাকুক।

কিন্তু প্রবাসের গুলো তো বাংলাদেশকে একদমই বুঝবেনা।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২৮

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আপনি আর আমি বিপরীত স্রুতের দুই ভাই বোন।
আপনার লেখা পড়লে বারবার আমার বন্ধুদের নিয়ে কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমি যে পাঠক লিখতে জানি না বোন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাই বোনই তো আমরা। হয়ত ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম মেলায়, এখন পেলাম ব্লগে হাহা।

কেননা? যা ইচ্ছে লিখে ফেলুন। মনের কথা লিখতে কি আর কিছু জানতে হয়? ব্যস ইচ্ছে থাকলেই হয়।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

আরভিন বলেছেন: কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না, "না আমার মাদারটাং বাংলা, but I don't speak Bengali, I speak Hindi."
এই যদি হয় অবস্থা -_- -_- লেখা বরাবরের মতই সুপার ডুপার হিট

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড এই বাক্যই ছিল। আমার কানে এখনো বাজে। ভীষন মন খারাপ হয় ভাবলে!

যাই হোক, লেখার প্রশংসা করার জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন অনেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.