নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৬

কানাডা এমন এক জায়গা যেখানে পৃথিবীর সব দেশ থেকে মানুষ আসে পড়াশোনা, ভ্রমন অথবা পার্মানেন্টলি থাকার জন্যে। এই কারনে কানাডায় থাকতে থাকতে আমার এই পৃথিবীর সব অংশের মানুষের সাথে মেশার, বন্ধুত্ব করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই শুধু কানাডিয়ানরা না বিশ্বের নানা দেশের মানুষ বাংলাদেশকে কেমন করে দেখে তা জানার সুযোগ হয়েছে। আজকের পর্বে থাকছে সেসব অভিজ্ঞতা।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে

গার্মেন্টস: তখন প্রায় দেড় বছর কেটে গেছে স্কুলে। আমি ওয়েল এডজাস্টেড। প্রথমবারের মতো T.A. হলাম একজন জার্মান বয়স্কা মহিলার আনডারে। তিনি E.S.L এর সাথে সাথে একজন সেলাই এবং রান্নার শিক্ষকও ছিলেন। তিনি সবসময় আমার পরে থাকা সালোয়ার কামিজের প্রশংসা করতেন। ডিসাইনগুলো খেয়াল করতেন। সেই ক্লাসে T.A. হিসেবে আমি সবাইকে ইংলিশসহ, অন্য সাবজেক্টেও এবং সর্বোপরি মানিয়ে নিতে হেল্প করতাম। আমি নিজেও নতুন থাকাকালে অনেক কষ্টে মানিয়ে নিয়েছিলাম, তাই ওরা কোন কোন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সহজেই বুঝে সলভ করে দিতাম। কয়েক মাসের মধ্যেই ওদের সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে গেলাম! টিচারও প্রচন্ড খুশি। আমি নিজেও খুব আনন্দ বোধ করতাম। মাথা উচু করে সারা ক্লাস ঘুরে ঘুরে সবার টেক কেয়ার করতাম। একবার আমার কাউন্সিলর কি একটা কাজে ক্লাসে এসেছিলেন এবং আমাকে দেখে বলেছিলেন, "তোমাকেইতো আসল টিচার মনে হচ্ছে!"

একদিন এক থাই মেয়েকে অংক দেখাচ্ছিলাম। এমন সময়ে টিচার আমাকে বললেন, "তোমার ড্রেসগুলো কি সুন্দর! তুমি স্কুলে আস কেন? এই ড্রেসগুলো পরে মডেলিং করলেই অনেক বড়লোক হয়ে যাবে, হাহা।" আমি নিজেও ওনার সাথে প্রচন্ডভাবে হাসতে লাগলাম। এমন সময়ে উনি বললেন, "এই ড্রেসগুলো কি তোমার মা বানায় না বাড়ি থেকে কিনে আনা? (কানাডায় হোম বলা হয় আপনার দেশকে, তো বাড়ি বলতে বাংলাদেশকে বোঝানো হয়েছে)।" আমি বললাম দেশ থেকে কেনা, অনেকগুলো নিয়ে আসি। তিনি বললেন, "দামতো অনেক কম তাই না? ব্যাংলাদেশে শ্রমিকরাতো ন্যায্য দাম পায়না!" ওনার কথা ঠিক কিন্তু আমার ভাল লাগেনি। আমি বললাম ব্র্যান্ডের ওপরে নির্ভর করে। অনেক বেশি থেকে কম দামের মধ্যে হতে পারে।

কিন্তু উনি কমে ছাড়ার পাত্রী ছিলেন না। রানা প্লাজার ঘটনাটা খুব আলোচনায় এসেছিল। কানাডিয়ান নিউজ চ্যানেলগুলোতে গুরত্বের সাথে প্রচারিত হয়েছিল খবরটা। সেটা নিয়ে ক্লাসে ছোটখাট একটা লেকচার দিলেন। বললেন বাংলাদেশে নিয়মনীতি তেমন মানা হয়না, অপরাধীদের শাস্তি কারাপশনের কারনে হবে না। দারিদ্র চরমে থাকায় শ্রমিকেরা মুখ বুজে সব সহ্য করছে আরও কত কি। বললেন তো বললেন এমন এক ক্লাস মানুষের সামনে যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে, এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে এসব নলেজ নিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাবে! আমার চোখে প্রায় পানি এসে গিয়েছিল, কোনভাবে সামলে মেয়েটাকে অংক দেখিয়ে দিলাম। আমি ভাবলেশহীনভাবে নিশ্চুপ হয়ে সব কথা শুনেছিলাম। প্রতিবাদ করিনি কেননা সত্য হৃদপিন্ড খামচে ধরলেও তার সাথে লড়াই করে পারা যায়না। এমন কিছু কঠিন দিন দেখেছি যা জীবন ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। সেদিনটাও তেমন একটা দিন ছিল। সেদিনের পরে ঐ ক্লাসে মাথাটা উচু করে আর চলতে পারতাম না। না কেউ কিছু বলত না, আমারও বাংলাদেশি হয়ে কোন লজ্জা নেই। কিন্তু ভয় পেতাম আবার কোন কথায় কি উঠে যায়, শুধু নিরবে নিজের কাজটুকু করে অন্য ক্লাসের অপেক্ষা করতাম!

এটা একটা সোসাল স্টাডিস ক্লাসের ঘটনা। টিচার ছিলেন ইতালিয়ান কানাডিয়ান। কানাডায় বেশিরভাগ সমাজবিজ্ঞান ক্লাসে টিচার এসে প্রথম পাচ মিনিট বিশ্বে এবং কানাডায় হওয়া আলোচিত ঘটনাগুলো বলতে থাকেন, এবং সবার ওপিনিওন চান। এসব পরীক্ষায় আসবে না, শুধু সবার আউট নলেজ বাড়ানোর জন্যে। তখন টার্গেট কানাডায় ভাল বিসনেস করতে না পেরে উঠে গেল। উনি সেটা নিয়ে কথা বললেন। আলোচনা বাড়তে বাড়তে অন্যান্য ফেমাস শপগুলো নিয়েও কথা উঠতে লাগল। এসব নিয়ে কথা বলতে বলতে উনি একসময় বললেন বাজারে বেশিরভাগ প্রডাক্টইতো Made in China, or Made in Bangladesh. শুনে কি ভীষন ভাল লেগেছিল আমার! আমার দেশ রপ্তানিতে চায়নার পাশাপাশি! একদিন বাজারে গিয়ে খেয়াল করে দেখেছিলাম আসলেই যেকোন গার্মেন্ট মেড ইন বাংলাদেশ! বিশ্বাস করুন আমি শার্ট প্যান্ট পরিনা কিন্তু এখানে দোকানে গেলে শুধুমাত্র Made in Bangladesh ট্যাগ দেখার জন্যে বারবার মেন ক্লোদিং সেকশনে ঢু মেরে আসি, হাহা। বিদেশের মাটিতে Made in Bangladesh এর ছোট্ট ঐ ট্যাগটা বুকের ভেতরে যে কিরকম ঝাকি দেয় তা শুধু প্রবাসিরাই জানেন।

ভারতের অংশ? আমি তখন এক বছর পার করেছি, মোটামুটি এডজাস্টেড। E.S.L ক্লাসের স্টুডেন্টই ছিলাম তখনো। টিচার ছিলেন মি:এম। ইনি যে কি সুন্দর ছিলেন! হাইট এত যে মাথা উচু করে কথা বলতে হত, নীল চোখ, টোল পরা হাসি! হলিউডের কোন হিরোই ওনার কাছে কিছু না। ওনার নামের মানে জিগ্যেস করলে বলতেন "হ্যান্ডসাম!" কত সুদর্শন হলে এধরনের জোক করা যায় বুঝতেই পারছেন। E.S.L ক্লাসে অনেকেই নতুন দেশে, ইংরেজী না পারার কারনে মনমরা হয়ে বসে থাকে। টিচারেরা তাই আপ্রান চেষ্টা করেন সবাইকে ফ্রি করতে। স্টুডেন্টদের সাথে দুষ্টুমি করেন, মজা করে গল্প করেন যাতে ইংলিশটা বেটার হয়। এভাবেই কথা বলতে বলতে ওনার সাথে আমার সম্পর্কটা অনেক মজার হয়ে গেল। ইভেন একে অপরকে টিজ করতাম আমরা।

আসল গল্পে আসি এখন। টিপ আমি ভীষন পছন্দ করি। বাইরে গেলে ম্যাচিং টিপ পরবই। বাংলাদেশে স্কুলে ডিসিপ্লিনের কারনে পড়তে পারতাম না। তবে কানাডায় নিয়মিত টিপ পরে স্কুলে যেতাম। আমার এক ব্রাজিলিয়ান সহপাঠি বলল, "তোমার কপালের ট্যাটুটা খুব সুন্দর!" আমিতো হাসতে হাসতে শেষ। টিপকে বলে ট্যাটু! ওকে খুলে দেখালাম যে পার্মানেন্ট কিছু না, আর এটাকে টিপ বলে। কথায় কথায় ওর আগ্রহ দেখে বললাম তোমার জন্যে কালকে আনব। আপনারা বুঝতে পারছেন না যে আমি কত মহানুভতার পরিচয় দিয়েছিলাম সেদিন ;)। টিপ আমার জানের জান একটা জিনিস যা কানাডায় সব জায়গায় পাওয়া যায়না। দেশ থেকে অনেকগুলো কিনে নিয়ে সামলে খরচ করি! কিন্তু বন্ধুর জন্য বলিদান দিয়ে একপাতা টিপ নিয়ে গেলাম। ও পরল, একদম বাংগালি মেয়ের মতো লাগছিল। ওকে টিপ দিয়ে আমি রুমের আরেক কর্নারে গিয়েছি অন্য বন্ধুদের হাই বলতে। নিজের টেবিলে ফিরে এসে আমার মাথায় বাজ পড়ল।
একি! মি: এম টিপ পরে বসে আছেন আমার চেয়ারে, আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন! আমি কোমরে হাত দিয়ে বললাম এটা কি করেছেন, এটাতো মেয়েরা পরে! হাসতে হাসতে বললেন, "ক্যানাডায় এটা ছেলেরাও পরে।" আমি বললাম কবে থেকে, উনি বললেন, "এখন থেকে!" এখনো সেই ভীষন সুখের সময়গুলো লিখতে লিখতে হাসি পাচ্ছে!

ব্রাজিলিয়ান মেয়েটাও আমাদের খুনসুটি দেখে হাসছিল। এসময় বলল, "ইন্ডিয়ান কালচার আসলেই অনেক সুন্দর!" আমি মাথা ঘোরালাম, বললাম ইন্ডিয়া কোথা থেকে আসল এর মধ্যে? বলল, "তুমি ইন্ডিয়ান না?" আমি বললাম এটা আবার তোমাকে কে বলল? আমি তো বলেছিই বাংলাদেশের আমি। ও বলল "Yeah! Bangladesh is a place of India, right?" আমার রাগে টিপটা খুলে নিতে ইচ্ছে করছিল! এতদিন আমার সাথে মিশে এই শিখল! কঠোর কন্ঠে বললাম, "Bangladesh is not a part of India." মি: এম বললেন, "ওও ঠিক আছে ঠিক আছে, ও এখন জানে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার অংশ না এবং ইন্ডিয়ার চেয়ে অনেক বেটার! ঠিক আছে?" আমি বললাম হ্যা ঠিক আছে! আমার রেগে যাওয়াটা কি ভীষন চাইল্ডিশ ছিল এখন বুঝি। ছোট বয়সে অত সেল্ফ কন্ট্রোল ছিলনা। তবে এখনো কাছের বন্ধুরা যাদের কাছে বাংলাদেশের অনেক গল্প করি তারা বাংলাদেশ ভারত গুলিয়ে ফেললে রাগে মাথার তার ছিড়ে যায়!

এটা আরো বেশ কবার ফেস করতে হয়েছে। আমাকে কেউ আমার দেশটা কোথায় জিগ্যেস করলে ইন্ডিয়ার পাশে বলিনা, বলি সাউথ এশিয়ায়। আর যদি বলেই ফেলে ইন্ডিয়ার মধ্যে তবে বলি যে স্বাধীন দেশ। এর চেয়ে বেশি তো কিছু করার নেই!

পপুলেশন: এটা অনেকবার শুনেছি। বেশিরভাগ সময়েই বাংলাদেশকে অনেক ভীরের দেশ মনে করার হয়। সবাই বলে ও ব্যাংলাদেশ! অনেক ক্রাউডি না? "Small country, but large population?" বাংলাদেশ থেকে বললে সাধারনত এটাই প্রথমে শুনতে হয়। আমি বলি বড় শহরগুলো ক্রাউডি কিন্তু গ্রাম, ছোট শহরগুলো কম। ওরা মাথা ঝাকায় কিন্তু কোচকানো মুখ দেখে বুঝতাম কল্পনায় কত ভিড় দেখছে! তবে একটা ভাল এক্সপেরিয়েন্সও আছে!
একবার E.S.L. ক্লাসে আমরা চারকোনা টেবিলে তিনজন বসে আছি। আমি আর দুইজন ব্রাজিলিয়ান। এর মধ্যে ছেলেটা বলল, "তোমাদের দেশেতো অনেক মানুষ না?" আমি বললাম তুমি কি করে জানো? ও বলল, "ব্রাজিলে বইয়ে পড়েছি।" আমি বললাম হ্যা বাংলাদেশ বিশ্বের দশটি জনবহুল দেশের মধ্যে পরে। ও ইমপ্রেসড চেহারা নিয়ে বলল, "ওয়াও। তোমরা তো তাহলে অনেক পাওয়ারফুল।" ও কি ভেবে পাওয়ার আর জনসংখ্যাকে এক করল আমি জানিনা। তবে এত মানুষের শ্রম, মেধা ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আসলেই বাংলাদেশ অনেক পাওয়ারফুল হবে!

নারী ক্ষমতায়ন: সাইন্স ক্লাসের ঘটনা এটা। কানাডায় টিচারের পাশাপাশি কিছু স্পেশাল নিডস এসিসট্যান্টও থাকেন। তারা যেসব শিক্ষার্থীর কোন শারিরীক/মানষিক সমস্যা বা লার্নিং ডিসওর্ডার থাকে তাদের হেল্প করেন। আমরা তিনজন বসতাম একসাথে। আমি, আমার বন্ধু "বি" এবং "বি" এর বন্ধু "ডি"। "বি", "ডি" দুজনেই কানাডিয়ান ছিল। "ডি" এর লার্নিং ডিসঅর্ডার ছিল বিধায় এসিসট্যান্ট মিসেস "জে" আমাদের কাছেই থাকতেন। আমার সাথেও কিভাবে যেন খুব ভাব জমে উঠল। বয়স্কা কানাডিয়ান মহিলা অনেক হাশিখুশি থাকতেন সবসময়। অনেক গল্প করতাম ওনার সাথে। ওনার ব্যবহারে বুঝতাম আমাকে বেশ পছন্দ করেন। একবার বলেছিলেন, "Your parents have raised you well!"

একদিন কথায় কথায় উনি বললেন, "উইকেন্ডে আমি এক ফেস্টিভ্যালে ভারতীয় মুভি দেখলাম যেখানে ভারতে নারীরা কেমন অসহায় তা দেখানো হয়েছে। মুভিটি কি দেখেছো?" আমি দেখিনি বললাম। উনি বললেন, "Women are so down in India. চলন্ত বাসে এক মেয়ে ধর্ষিত হল। কি ভীষন খারাপ!" আমি আর কি বলব? শুনছি শুধু। বাংলাদেশের অবস্থা জানতে চাইলেন।
আমি বললাম আমাদের দেশের প্রাইম মিনিস্টার একজন মহিলা। বাংলাদেশের ৫০% মহিলা যারা অনেক হার্ডওয়ার্কিং এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। উনি থামালেন, "ব্যাক আপ ফর এ সেকেন্ড। প্রাইম মিনিস্টার মহিলা?" আমি বাংলাদেশের কিছু বিষয়ে বিদেশীদের মুগ্ধ হতে দেখেছি। কিন্তু সেদিন প্রথমবার একদম চোখ কপালে তোলা মুগ্ধতা দেখলাম। আমি উৎসাহিত হয়ে আমাদের আরো সব গুরুত্বপূর্ন পলিটিকাল পদে মহিলাদের থাকার কথা বললাম। আশেপাশের সবাইও অবাক চোখে তাকাচ্ছে। না ওদের অবাক হবার কারন এটা না যে তৃতীয় বিশ্বের এক দেশে নারী ক্ষমতায়। ওরা অবাক হয়েছিল ভেবে পৃথিবীতে এমন দেশও আছে! অনেক উন্নত দেশে এখনও কোন মহিলা প্রাইম মিনিস্টার হননি। কানাডার ১৪৭ বছরের ইতিহাসে মাত্র একবারই মহিলা প্রাইম মিনিস্টার হয়েছেন! পুরো পৃথিবীতে এখন মাত্র ২২ টির মতো দেশে নারী ক্ষমতায়। এটা বিরাট গর্বের ব্যাপার। কেউ যদি কখনো বাংলাদেশকে ছোট করে কিছু বলে তবে এটা মোক্ষম অস্ত্র। চুপ হয়ে যাবে। কেননা আপনি যার সাথে কথা বলছেন চান্স খুব কম যে তার দেশের প্রধান একজন নারী!

ক্রিকেট: আবারো সেই E.S.L ক্লাস এবং মি: এম। ওনার টেবিলে বসে আছি এবং পা দোলাচ্ছি। আর উনি চেয়ারে বসে আমার সাথে গল্প করছেন। কি ভীষন ফ্রি ছিলাম বুঝতেই পারছেন!
উনি আমাকে বললেন, "তোমার দেশ হকি কেমন খেলে? আমার দেশ আবার হকিতে ১ নাম্বার।" বলেই দুষ্টু দুষ্টু চোখে তাকালেন। উনি ততদিনে বুঝে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ আমার উইক পয়েন্ট, এটা বলে চটানো/টিজ করা যাবে। আমিও বুঝে গিয়েছিলাম চটলে ক্ষতি, উনি জিতে যাবেন। A good humor deserves another! আমিও বললাম ক্রিকেটে তোমাদের দেশের যা শোচনীয় অবস্থা তাতে হকিতে নাম্বার ওয়ান না হয়ে উপায় আছে? আমার দেশ ক্রিকেটে তোমার দেশের চেয়ে অনেক বেটার। উনি মাথা নাড়িয়ে বললেন, "আমি জানি, That's true." উনি কিভাবে জানেন জিগ্যেস করতে বললেন, "তোমাদের দেশের এক ক্রিকেটার তো ক্রিকেটে নাম্বার ওয়ান, কি যেন নাম স্যাকিব সামথিং!" আমি বললাম সাকিব আল হাসান। উনি তখন মনে পরায় পরিষ্কার কন্ঠে বলে উঠেছিলেন "Oh! yes shakib al hasan!" ভাল লেগেছিল সেদিন কেননা কানাডায় ক্রিকেট বিখ্যাত না তাও কিছু কিছু কানাডিয়ানের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কারনে বিখ্যাত! তবে উনি E.S.L টিচার ছিলেন বলে এতটা জানতেন, এভারেজ কানাডিয়ান এতটা জানে বলে মনে হয় না। আমার হিউমার মি: এম এর সাথে থেকে থেকে বেটার হয়েছিল নিঃসন্দেহে। এমনি কি আমার রিপোর্ট কার্ডে কমেন্ট বক্সে লিখেছিলেন, "ও হার্ডওয়ার্কিং এবং আমি ওর সেন্স অফ হিউমার অনেক এনজয় করেছি!" হাহা রিপোর্ট কার্ডে এধরনের কমেন্ট কয়জন স্টুডেন্ট পায়?

এটা ক্রিকেট নিয়ে কানাডার আরেকটা এক্সপেরিয়েন্স একজন ভারতীয় বাস ড্রাইভারের সাথে। টিকিট দেখানোর সময় আমাকে জিগ্যেস করলেন আমি কোন দেশের? আমি বললাম বাংলাদেশের। উনি সাথে সাথে বললেন, "আমি সাকিব, মুশফিককে চিনি! হ্যা! কি দারুন ওরা।" আমি মুচকি হেসে সিটে এসে বসে পরলাম। আর প্রচন্ড ভাল লাগা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। একসময়ে যে দেশের কিছু মানুষ আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে হাসাহাসি করত, তারাই আজ ডেকে এনে প্রশংসা করছে!

বিশ্লেষন: যে প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছিলাম তাতে ফিরে যাচ্ছি। বিদেশিরা বাংলাদেশকে অনেকভাবেই দেখে। অনেকে বাংলাদেশকে চেনে না, বাংলাদেশকে ভারতের অংশ, গরিব, আধুনিক দাসত্বে বন্দি শ্রমিকের, দূর্যোগের দেশ মনে করে। অনেক বিদেশী মুখের ওপরে বলেও ফেলে এসব। প্রবাসি/হবু প্রবাসিদের বলছি বিব্রত হবেন না।
আমাদের দেশটা নতুন; সেদিনই তো জন্মাল! আর অনেক ঝড় ঝাপটাও সামলেছে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দারিদ্র থেকে শুরু করে ক্রিকেটের মাঠেও আমাদের বিভিন্ন কূটচালের শিকার হতে হয়েছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে একেকটা ইট গাথতে হয়েছে। লিটারেলি একেকটি ফুলের জন্যে যুদ্ধ করতে হয়েছে। অন্য দেশের মানুষ হয়ত বুঝবে না আমাদের বীরত্বগাথা। আমরা কোথা থেকে কোথায় এসে দাড়িয়েছি তাতো শুধু আমরাই জানি। একসময় বাংলাদেশ আমেরিকানদের দানকৃত সেকেন্ড হ্যান্ড ক্লথস পড়ত। আমাদেরকে বটমলেস বাসকেট বলা হত। আজকাল আমেরিকানরাই মেড ইন বাংলাদেশ পরিধান করে। আমাদের ইকোনমিক গ্রোথ প্রতিবছর সাফল্য মেইনটেইন করে চলেছে গার্মেন্টস এবং প্রবাসি রেমিট্যান্সে। আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে হাসাহাসি হত। আজকাল কোটি টাকায় তারাই পিসল, আইপিএলে দাওয়াত দিয়ে খেলতে নিয়ে যায়।

পসিটিভলি অনেক বিদেশীর কাছে বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী গার্মেন্টস, ক্রিকেট, সাউথ এশিয়ার রাইসিং পাওয়ার হিসেবেও পরিচিত। আর আজকাল এমন কমদিনই যায় যখন বাংলাদেশকে একদমই চিনতে পারেনা। সারাবিশ্বে বিভিন্ন বাংলাদেশি কমিউনিটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে চেনানোর জন্যে। রেপুটেশন মেরামতের কাজ মনেপ্রানে করে যাচ্ছেন। ২০/৩০ বছর আগের চেয়ে বেটার পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে but still a long long way to go! And we are gonna make it for sure! স্বপ্ন দেখি সারাবিশ্ব একদিন বলবে জয় বাংলা! জয় লাল সবুজ!
আসলে সব প্রবাসীই একেকটা ব্র্যান্ড এম্বাসেডর অফ বাংলাদেশ বিদেশের বুকে। আমাদের এজন্যে ভদ্র হয়ে চলাটা অনেক বড় দায়িত্বের মধ্যে পরে। আমার মায়ের সেই কথাটা দিয়ে শেষ করছি, "যদি দেশে খারাপ কিছু কর ফ্যামিলির বদনাম, আর যদি এখানে খারাপ কিছু কর দেশের বদনাম।"

ব্লগের অন্য প্রবাসিরা কমেন্ট বক্সে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে আমিসহ অন্যান্য পাঠকেরাও অনেক খুশি হবেন।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩০

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সত্য হৃদপিন্ড খামচে ধরলেও তার সাথে লড়াই করে পারা যায়না দারুন বলেছেন। আপনার এই সিরিজের সব কয়টা না পড়লেও যে কয়টা পড়েছি, বেশ ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যে কয়টা পড়েছেন ভাল লেগেছে মানে বাকিগুলোও পড়লে ভালোই লাগবে। একদিন সময় করে পড়েই ফেলুন না। :)

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ এবং অনেক ভাল থাকবেন।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: অল্প কিছু জাম্প দিয়ে পড়লাম। আগের পর্বগুলো তো পড়িনাই, সেখানেও হয়তো এমন অনেক কাহিনী আছে। দেশের জন্য এই টানটা আমার খুব পছন্দ। আমি বিশ্বাস করি যারা দেশের জন্য বুকভরা মায়া ধারন করেন, তারা দেশে বা বাইরে, কোথাও খারাপ কাজ করতে পারে না। আর বিদেশীদের সাথে কথা বলবার সময় পজেটিভ ব্যাপারগুলোই তুলে আনা দরকার। আমার মনে আছে, একবার এক আমেরিকানকে আমি দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে আলোচনার সময় বোকার মত বলেছিলাম, আমাদের আয় কম, কিনু খরচও কম। অবস্থা এত খারাপো না। আমাদের দেশে ৫ টাকা কেজি আলু, ১০ টাকায় টমেটো পাওয়া যায়। তোমাদের দেশের দামের সাথে মিলিয়ে দেখ এবার। আবেগ আর টান থেকে বেপরোয়া হয়েই বলেছিলাম। এই আবেগটা থাকা খুব জরুরী।

শুভকামনা রইলো। :)

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না আগের পর্বগুলোতে বাংলাদেশকে অন্যরা কিভাবে দেখে সেটা নিয়ে খুব বেশি কোন কথা নেই। এ পর্বে সব একসাথে দিয়েছি। আরো গল্প আছে এ বিষয়ে, কিন্তু বড় হয়ে যাচ্ছিল বলে ইতি টেনেছি। নাহলে আপনি অল্প জাম্প না অনেক বড় জাম্প দিয়ে দিতেন। আসলে বড় লেখা পাঠককে বোরড করে। আরো ছোট করা উচিৎ ছিল!

দেশের প্রতি সবার আবেগ নিরন্তন থাকুক।

ও আপনার পোষ্টে আমার হিউমার বোঝার জন্যে ধন্যবাদ। আর মাদাম কি কখনো স্যারকে হুমকি দিতে পারে? ;)
আমি শুধু ব্লগে না বাস্তবেও ভেজিটেবল টাইপের মানুষ। আমাকে ঘাটিয়ে মজা পাওয়া যাবেনা। আমার একটা ভালো মেয়ে ট্যাগ এবং ইমেজ রয়েছে, সেটা ধরে রাখতে হবেনা? That's why you either like me or unknown to me. :)

আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! বিদায় নেবার সময় ভালো থাকবেন স্যার ফ্রম বাংলাদেশ বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। বললাম এখন।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২০

বিপ্লব06 বলেছেন: দেশ সম্পর্কে এই রকমের পজিটিভ এটিচ্যুড আমি অনেক আগে এক ব্লগারের মাঝে দেখছিলাম। আজকে আবার আপনার মাঝে দেখলাম। আমাদের সময় যে লাগবে এইটাই অনেকে বুঝতে চায় না। আর সমস্যা যে সব দেশেই আছে সেটা অনেকে বুঝতে চায় না। যেখানে শিকাগোর মোট শহরে এক উইকেন্ডে ৬৪ জন গুলিতে আহত হয় সেখানে বাংলাদেশের কথা আর কি বলি? এর মানে এই না যে সমস্যাগুলার সমাধানে আমাদের দেরী করা উচিত।

দেশ থেকে মাইগ্রেট করার পর প্রথমে একটা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হয়। তখন দেশের প্রতি একটা অস্বাভাবিক একটা টান তৈরি হয়। কিন্তু আস্তে আস্তে জখন নতুন কালচারে নিজেকে কমফোর্টেবল মনে হয়, নতুন কালচারের সাথে নিজেকে আইডেন্টিফাই/এসোসিয়েট করা যায়, তখন দেশপ্রেম এ আস্তে আস্তে চিড় ধরে। দেশের প্রতি টান আস্তে আস্তে কমে যায়। আমি অবশ্য এটার ব্যাতিক্রমও দেখছি। হোপফুলি আপনার মধ্যে ব্যাপারটা আসবে না।

বিদেশের অভিজ্ঞতা কমেন্টে লিখে শেষ করা সম্ভব না। পরে সময় করে লিখব আবার।

ভালো থাকবেন।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার ব্লগে কমেন্ট করলে আপনাকে পিরিতকুমার না অন্য নাম দেব বলেছিলাম। আপনার নতুন নাম বুদ্ধুকুমার! এতে রাতের ঘুম হারাম হবে না আশা করি।

আমাদের সময় যে লাগবে এইটাই অনেকে বুঝতে চায় না। আর সমস্যা যে সব দেশেই আছে সেটা অনেকে বুঝতে চায় না।
হায়রে আপনিতো আমার মনের থেকে খামচে ধরে কথাগুলো বলেছেন। এই একই কথা কতজনকে যে বোঝালাম আমি!

কিন্তু আস্তে আস্তে জখন নতুন কালচারে নিজেকে কমফোর্টেবল মনে হয়, নতুন কালচারের সাথে নিজেকে আইডেন্টিফাই/এসোসিয়েট করা যায়, তখন দেশপ্রেম এ আস্তে আস্তে চিড় ধরে। হোপফুলি আপনার মধ্যে ব্যাপারটা আসবে না।
বুদ্ধুকুমার, কি ভিষন কাকতালীয়তা! একদম এটা নিয়েই পরের পর্বটা লিখেছি। আর লাস্ট লাইনে আপনার হোপ পূরন হয়েছে কিনা সেটা জানবেন।
না আপনিতো এমনিতেই সিরিজ করেন তাই এখানে কমেন্ট বক্সে কিছু লেখা লাগবেনা।
অফটপিক: আমার খারাপ দিক দেখানোর কথা বলেছিলেন। আমার খারাপ দিক আমি অতি আবেগী এবং অতি অভিমানী তবে শুধু আপনজনদের কাছে। তাই আপনি কখনো দেখবেন না।

বুদ্ধুকুমার ভাল থাকুক, ঝিকমিকে সূর্যের মতো হাসতে থাকুক। :)

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৭

বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: আমাদের দেশটা নতুন; সেদিনই তো জন্মাল! আর অনেক ঝড় ঝাপটাও সামলেছে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দারিদ্র থেকে শুরু করে ক্রিকেটের মাঠেও আমাদের বিভিন্ন কূটচালের শিকার হতে হয়েছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে একেকটা ইট গাথতে হয়েছে ।

খুব ভালো লেগেছে
সহমত প্রকাশ করছি । মন্তব্য করে ছোট করবোনা ।
আসলে , আপনারা হচ্ছেন এক একজন আইকন যারা বিদেশের মাটিতে দেশের সন্মান বজায় রাখছেন । যা এই প্রজন্মের সন্মানের যুন্ধ বলা যায় ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই প্রজন্মের সন্মানের যুদ্ধ
হ্যা ঠিক, একদম ঠিক। এটা আমাদের সম্মানের যুদ্ধ, আত্মমর্যাদার যুদ্ধ। আমারা স্বাধীনতা, ভাষা, গণতন্ত্র, দূর্যোগের যুদ্ধ যেমন হারিনি এই যুদ্ধও তেমন হারব না। কসম আমার বাংলাদেশের।

ছি ছি মন্তব্য করলে ছোট হব কেন? এত সুন্দর মন্তব্যে তো অনুপ্রেরনা পেলাম আরো।
ভালো থাকুন আপনিও, শুভকামনা।

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


ম্যাম, কানাডার অভিজ্ঞতা অর্জনের লাইগা ভাবতেছি ভিসা লাগাইয়া কানাডার কোন একটা কিন্ডার গার্ডেনে গিয়া ভর্তি হইবো! অবশ্য সেইখানে কিন্ডার হার্ডেন আছে কি না জানা নাই! থাকলে আমার লাইগা একটা অগ্রিম সিট বুকিং দিয়া রাইখেন! পরে গেলে হয়তো সিট পামু না! :P

পোস্ট ভাল্লাগছে কানাডিয়ান ম্যাম! বিশেষ কইরা পোস্ট শেষে কোর্টেশনে লেখা কথা গুলো! শুভেচ্ছা রইলো!

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বাংলাদেশি স্যার! ইউ আর আ ফানি গাই! আপনার কমেন্ট পড়ে হাসতেই থাকি!

উরে বাবা বাচ্চা ছেলেটা কিন্ডার গার্ডেনে ভর্তি হবে? এত ছোট ছেলে ব্লগে কি করছে যান মায়ের কাছে গিয়ে ফিডারে দুধ খান। ;)

স্যার, কোন সম্পর্কে সিট বুক দিয়ে রাখব? আচ্ছা বলব আমার বাচ্চা স্যারের জন্যে একটা সিট দরকার। হাহা।

জোকস আ পার্ট, আপনি কখনো কানাডায় আসলে বলবেন, দাওয়াত দিয়ে খাওয়াব।
বাংলাদেশী স্যারকেও রাশি রাশি শুভেচ্ছা।

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৩

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


আমার কমেন্ট পইড়া আপনি হাসতেই থাকেন জাইনা তো এখন আবার আমার নিজেরে গর্ভবতি (থুক্কু গর্বিত) মনে হইতাছে! গেবনে বিনুদন ছাড়া আর আছে কি বলেন? ব্লগে তো আসি একটু আনন্দ করার জইন্য! এইহানে আইসা যদি মুখ গোমড়া কইরা বইসা থাকি তাইলে আর ক্যামতে কি? ;)

ধুরঅ মিয়া! ছুডো বইলা কি এতই ছুডো যে মায়ের কোলে বইসা দুদু খামু? ঐবয়স পার কইরা আসছি অনেক আগেই। যাউকগা, সিট বুকিং দেওনের একটা পিলান আপনারে শিখাই দিই! স্কুলে গিয়া হেড মাস্টররে কইবেন- স্যার একখান মেধাবী পোলা দেশে ভাত না পাইয়া বৈদেশে আসছে শিক্ষা গ্রহণ করনের লাইগা! দেশে তার মেধার অগ্রিম পরিচয় পাইয়া সেখানকার স্কুলের মাস্টেররা তারে আর ভর্তি করায় নাই! তার সিরাম মেধার একটা ফরিচয় হইলো, ইচ্ছা করলে সে আইনস্টাইনকে বুঝাই আসতে পারে যে, সূর্য পূর্ব দিকে উইঠা দক্ষিন দিক থেকে ধিরে ধিরে আবার পশ্চিমে গিয়া অস্ত যায়! :P

আপনে খালি ব্যবস্থা করেন! বাদ বাকি দ্বায়িত্ব আমার! স্টাইল মাইরা এমন ভাবে স্যারের সামনে হাজির হমু যে স্যার কাইত হইয়া পইড়া যাইবো!

ওহঃ ভাল কথা, দাওয়াত কবুল করা হইলো! তয় কি কি খাওয়াইবেন তার রেসিপিটা যদি একটু আগের থিকা কইয়া রাখতেন তাইলে আমার লাইগা একটু ভাল হইতো! আফটার অল বিদেশি খাওনটা একটু আগে ভাগে প্রাক্টিস কইরা লইতাম আর কি! তয় দেশি হইলে তো কুনো সমিস্যা নাই! কুঁচো চিংড়ি থেকে শুরু কইরা বিরিয়ানি পর্যন্ত অনায়াসেই সাবাড় কইরা দিতারুম! ;)

ভাল থাকবেন কানাডিয়ান ম্যাম!

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দাড়ান, হেসে নিই আগে ঠিকমতো তারপরে রিপ্লাই দিচ্ছি।

একদমই মুখ গোমড়া করা যাবেনা। বিশেষ করে গর্ভবান অবস্থায় তো আপনার হাসিখুশি থাকতে হবে।

আমি মিয়া না মাইয়া, আপনি ভুল করে মিসটেক করে ফেলেছেন। ;)
না না আইনস্টাইন তো মরে গিয়েছেন। তাকে বোঝানোর কথা বললে তো চিটার ভেবে ভর্তি নেবে না। আপনি অন্যকোন প্রমানের কথা বলুন।
হুম বাংলাদেশী স্যারের স্টাইলে ওখানকার স্যার কাইত হবেন। আপনি তখন পুরো জাতিকে গর্ভবান/বতী করিবেন।

ধুরও ছেলে! আমি কি আপনাকে বিদেশী খাবার খাওয়াব নাকি। আপনি আমাকে আপনার প্রিয় দেশী খাবারগুলোর লিস্ট দিন। সেগুলোই খাওয়ানো হবে। আমি অবশ্য আপনার কথায় হাসতে হাসতে কিছু খেতে পারবনা। I am sure you will be a pleasant company!

হুম আপনি ভাল থাকার পাশাপাশি সবাইকে ভাল রাখবেন বাংলাদেশী স্যার।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


শুইয়া ছিলাম, আপনার কথায় আবার উইডা দাঁড়াইলাম! তয় এহন ঝানবার ফারলাম না আপনার হাসি শ্যাষ হইলু কি না? যাহোক, শোনেন আমি জানি আপনি মেয়ে! তবে ইচ্ছা করেই 'মিয়া' বলছি! ঐটাই তো দিস ইজ মাই স্টাইল ( ভবিষ্যতে আরো পাইবেন)! আমি যে স্টাইলিশ বয়, সেইটা আপনারে বুঝাইতে হইবো না! ;)

কানাডিয়ান ম্যাম, আইনস্টাইন ছাড়া আরো একটা ফর্মূলা আছে। দেখেন তো পছন্দ হয় কিনা? আপনি উক্ত স্যারকে কইবেন পোলা স্কুল জীবনে কখনোই GPA-5 পায় নাই! ইহা হয় একদম পরিক্ষীত! সুতরাং তাহার মেধা সম্পর্কে স্যারের মনে আর কোন ধরনের ডাউট থাকা ঠিক হইবো না!

আর দেশি খাবার যখন খাওয়াইবেন তখন আর রেসিপির কি দরকার? কইলাম তো কুঁচো চিংড়ি থেকে বিরিয়ানী এর মধ্যবর্তি যা পারবেন দিবেন! আমি বিসমিল্লাহ বইলা আরম্ভ করলে দেখবেন, প্লেট খালি হইতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগবে! তবে শর্ত হইলো খাবার সময় সামনে থাকতারবেন না! আমি আবার কারো সামনে বইসা খাইতারি না! একটু বেশি লজ্জা আর কি (শরমিন্দা হওয়ার ইমো হইবেক) :P

তাছাড়া খাবার সময় তো নজরও দিতারেন! তখনতো আবার রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, এন্টাসিড লাগতারে! কানাডায় আবার এইগুলা পাওয়া যায় কিনা কেডা জানে?

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করবেন না আপনার কমেন্টটা দেখতে দেখতে এত হাসি আসল যে কাশতে কাশতে অবস্থা খারাপ। হাহা।
বাহ! ছেলে কত বিনয়ী একটা মেয়ের কমেন্ট পড়েই সম্মানে উঠে দাড়ায়। জাতি গর্বিত আপনার মতো ছেলেকে পেয়ে। আমিতো ভাষা হারিয়ে ফেলছি। চোখ আবেগে কেপে উঠছে! ;)
আপনি জানেন আমি মেয়ে তবে আপনি গর্ভবতী হয়ে আমাকে কনফিউশনে ফেলে দিয়েছেন! ;)
না বোঝাতে হবে না কেন? আমি এখনো স্টাইলের নমুনা দেখলাম না। ফানি আর স্টাইলিশ এক জিনিস না! ;) 

বাংলাদেশী স্যার, হাহা গট দা জোক। GPA-5 রাই মেধার যে নমুনা দেখালেন! আপনি পাননি মানে অবস্থা আরো খারাপ!

রেসিপি নারে আমি বলেছিলাম কি খেতে পছন্দ করেন। আপনাকে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়াতে পারি, আমার অনেক পছন্দের। না না সামনে তো আমি অবশ্যই থাকব। তৃপ্তি করে কাউকে খাবার খেতে দেখতে ভাল লাগে!
শরমিন্দা আপনি!! উক্ত বস্তুটি আপনার মধ্যে নেই। নাহলে গর্ভবতী হওয়ার কথা অকপটে বলতে পারতেন? আচারও রাখব, এসময়ে ভাল লাগে।
ইস! আমার বাড়ি, আমার খাবার আর আমি নজর দেব! কি কথা ছেলের!
আপনি আসার সময় ওষুধ নিয়ে আসবেন সব। তবে আসছেন সেটাতো ফাইনাল!

আর আমি এখনো হাসছি। :)

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৭

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: স্টাইলিশ পুলা আবার যা শুরু কর্সে হাসতে হাসতে শেষ। আপনার সিরিয়াস পোস্ট আগে ফানপোস্ট বানাইয়া ফেলছিলাম, সরি। ব্লগের যেই আকাল ভাল পোস্টের, আর কিছু খুইজাও পাওয়া যায়না। গাজী গুরুর পিছনে লাইগা এইখানের আলাপ দেখতে পারিনাই। স্টাইলিশ পুলার কথা শুইনা আমারও একটা আবদার জানানোর খায়েশ হইলো। আমারে আপনি বেবী হিসেবে এডপ্ট কইরা ওইখানে লইয়া যাইয়েন। বয়সে ডাবল হই কিংবা তিনগুন, অন্তরটা তো শিশু শিশুই =p~

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: স্যার ইজ ব্যাক!

না না মজাই তো জীবন। পোষ্টের ভেতরের কথা ফানি না হলেও কেও যদি মজা করেন সেটাতো ভালো। আমিও তো আপনার সিরিয়াস কবিতাগুলোর নিচে মজার কমেন্ট করি। এসব ব্লগীয় খুনসুটি রিগার্ডলেস অফ ফানি/সিরিয়াস পোস্ট চলতেই থাকবে।

স্যার আবার কেন কারও পিছে লেগে বেড়াচ্ছেন? ক্যাচাল করতে ভাল লাগে স্যারের না? ;)

আমারে আপনি বেবী হিসেবে এডপ্ট কইরা ওইখানে লইয়া যাইয়েন। বয়সে ডাবল হই কিংবা তিনগুন, অন্তরটা তো শিশু শিশুই
এই লাইন পড়ে আমি শেষ। আমারে কেউ মাইরালা (ব্লগীয় ভাষায়)। আমি ইহা কি পড়িলাম!
বেবী হিসেবে এডাপ্ট করতে পারি! তবে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেয়ে নেই আগে। নাহলে আপনার দুধ কেনার জন্যে বাংলা সিনেমার নায়িকার মতো রক্ত বেচতে হবে! আপনি তখন আমাকে মাদাম না মাদার ডাকিবেন, ;)
আপনি বয়সে ডাবল বলেন কি করে, আমার বয়স তো জানেন না। ইহা আজব ব্যাপার।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২১

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


নিদাঘ স্যার, আপনি টেনশন করিয়েন না! আপনি যে একজন অবুঝ শিশু কানাডা জাতির সামনে সেইটা পরমান করার দ্বায়িত্ব না হয় এই অধম নিল! প্রয়োজন হইলে সার্টিফিকেট এভিডেবিট কইরা বয়স আরো দুই বছর পিছাইয়া নিয়া যাবো! মানে তখন আপনি আসমান আর জমিনের মাঝখানে ফুরফুরা দক্ষিণা হাওয়া সেবন করতাছেন! ;)

তয় আমার একটা সম্পূরক কইশ্চেনঃ- ঐখানে শিশু হিসাবে এডপ্ট হইয়াকি আপনি বারবি ড্যান্স দেখাইবেন্নাকি? তাইলে তো কাজ হইবো না! কানাডিয়ান ম্যাম, আপনি হিলিয়াম গ্যাস, মিথেন, নাইট্রাক্ট অক্সাইড আর মরুভূমির বালির ব্যবস্থা করেন! স্যারকে ম্যাগনেফাইং করে পরিশোধন কইরা শিশু বানাইতে হইবো। নইলে উনি যে শিশু না সেইটা সেইটা তো জাতি বুইজ্জা ফেলাইবো! :P

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বাংলাদেশী স্যার আবার নিদাঘ স্যারের পেছনে পরলেন কেন?
দুজনেই ভাল মজা করতে পারেন আপনারা।
উনি দেখে সবকিছুর উত্তর দেবেন আশা করি। আমি আমারটা বলছি এখন।

বাংলাদেশী স্যার, ওনাকে এডাপ্ট করতে অনেক দেরি। পড়াশোনা/চাকরি শেষ হোক তারপরে। সেটা পরের এভেন্ট। আগে আপনার কথা ভাবি। আপনিতো জলদি যেকোন সময়ে দাওয়াতে আসবেন। আপনাকে কিন্ডারগার্ডেনে পড়ানোর জন্যে তো শিশু বানাতে হবে আগে। দেখি ঐসব সামগ্রী আপনার জন্যে নিয়ে আসি! আর কিছু লাগলে বলবেন কিন্তু ;)

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩০

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ওভার ২০, আন্ডার ২৫, এইতো? তাইলেই ধরে নেন অন্তত ডাবল।

আর আমি কেবল আমার দাবী পেশ করলাম। উপায় বার করা আপনাদের হাতে। ঘুমানোর সময় মাথায় টেনশন নিবোনা। :(

যাই, গুডনাইট :)

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ কোথায় যাচ্ছেন? স্টাইলিশ বয়ের কমেন্টের জবাব দিয়ে যান!

গুডনাইট এন্ড সুইট ড্রিমস!

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো অনুভূতি হলো আপনার লেখাটি পড়ে। কিপিটাপ!

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: বার্বি ড্যান্স দেখাবু কেনু? বার্বি ড্যান্স দেখবু। :``>>

আর মাম্মি তো আছেই, মাম্মি খাওয়াবে, পড়াবে, থাকার জায়গা দিবে আর আমি আনন্দের সাথে মুর্গির ভাজা ঠ্যাং আর একগ্লাস টয়াং পাশে লইয়া ভিডূ গেমস খেলবু, আর অল্প বড় হলি গ্রীক পুলা এরিকের বোন এরিকার সন্ধানে নিবেদিতপ্রান হইবু। বাকী সব মাম্মীর ইচ্ছা =p~

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা কতো প্ল্যান করে রেখেছেন।

মুরগী তো ভাজা করেনা আমাদের বাড়িতে, ঝোল রান্না করে। না ভিডিও গেমসই শুধু না পড়াশোনা করে ডাক্তার/ইন্জিনিয়ার হতে হবে। হুম, এরিকের মনে হয় বোন ছিল না। সৎ ভাই ছিল। কিন্তু আমি আমার স্যারের জন্যে গ্রিক দেবীর চেয়েও সুন্দরী খুজে রাখব। নো প্রবলেম। ;)

বার্বি ডান্স দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=rVjqtyljYvw

১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


কানাডায় বইসা গ্রীক দেবীর খোঁজ করলে কি কানাডিয়ানরা শুনবে? দেখা গেল সোনার টুকরো পোলা হাত ছাড়া হইয়া যাচ্ছে দেইখা তারা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধাই দিল! কানাডিয়ান ম্যাম, স্যারের মতলব কিন্তু ভাল ঠেকতাছে না? আপনি উনার মাম্মী, দেখেন কি করবেন! :P

আপনাকে কিন্ডারগার্ডেনে পড়ানোর জন্যে তো শিশু বানাতে হবে আগে। দেখি ঐসব সামগ্রী আপনার জন্যে নিয়ে আসি! আর কিছু লাগলে বলবেন কিন্তু


-আমারে নিয়া আপনার টেনশন করা লাগবে না! আমি যে একটা শিশু সেটা জনসাধারনের সামনে প্রমান করার দ্বায়ীত্ব আমার। প্রয়োজন হলে ওয়াও, ওয়াও করে খানিক সময় কেঁদে নেবো। আপনি শুধু ভর্তির ব্যবস্থা করেন! তবে অতিরিক্ত সামগ্রী হিসাবে একটা ফিডার রাইখেন সাথে! যখনই ওয়াও ওয়াও আরম্ভ করবো, তখনই সেইটা মুখের কাছে ধইরা আপনার ডায়ালোগ হবে- 'ওলে, ওলে! কাঁদে না বাবু, কাঁদে না! :P

শুভ সকাল (বাংলাদেশ সময়)! ঐখানের খবর কিতা?

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায়রে বিয়ের আগেই সবাই মাম্মী বানিয়ে দিচ্ছেন। না না সমাজ আমাকে এ কলংকের দায়ে বাচতে দেবেনা। আমি কাকে মুখ দেখাবে? কে আমার হাত ধরবে এখন? ;)

আরে আমার বাংলাদেশী স্যারকে নিয়ে আমি চিন্তা না করলে কে করবে? আচ্ছা ফিডার রেখে দেব।
আপনাকে বাবু ডাকব? হাহা, না আমিতো স্যারই ডাকব :)। যে যা ভাবার ভাবুক। আর আমি নিজেই বাচ্চাদের মতো কাদি অনেক, তাই কাদতে থাকা কাউকে সামলানো সম্ভব না। আমাকে সামলাতেই কতো লোক লাগে!

আপনাদের ওখানে যা বাজে এখানে এখন ঠিক ততটা তবে আমাদের রাত। টাইম ডিফারেন্সটা মজার না?
আচ্ছা এখন দেশে ওয়েদার কেমন?
আপনাকেও শুভ সকাল!

১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


বিয়ের আগে মাম্মী হওয়া তো একটা গর্বের ব্যাপার! এইটা কিন্তু সবাই পারে না? আর যারা পারে নিঃস্বন্দেহে তাদেরকে মহিয়ষী নারী খেতাব দেওয়া যায়! আমি ভাবতেছি আপনারে কি খেতাব দেওয়া যায়, মাদার ফর্ম কানাডা দেবো নাকি কানাডার্স মাদার দেবো! একটা কাজ হোক, ডিসাইডটার ভার স্যারের কাছে দিয়ে দিলাম! আফটার অল তিনিই তো আপনাকে ফাস্ট মাম্মী ডাকছেন তাই না? :P

টাইম ডিফারেন্সটা আসলেই মজার! আর আমি যেখানে আছি, আপাতত সেখানে রিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে! বেশ ভালই লাগছে! সব জায়গার খবর বলতে পারবো না! তবে আনুমানিক, আবহাওয়া গরমও নয় ঠান্ডাও নয়! বর্তমান তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি দেখাচ্ছে আমার মোবাইলে!

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইহা আমি কি পড়িলাম? হাহা।

হুম, বিয়ের আগেই ছেলে তাও আবার এতো বয়সী! মানুষজন ভাববে আমি ৫ বছর বয়স থেকেই মহিয়ষী নারী হাহা। না কানাডিয়ান ম্যাম খেতাব দিয়ে যথেষ্ট ধন্য করেছেন আর ধন্য করিতে হইবে না বাংলাদেশী স্যার।
ফাস্ট মাম্মী ডেকেছেন মানে? আমার কি এদিকে সেদিকে আরো সন্তান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে?

না আমার এতো মহিয়ষী হবার ইচ্ছে নেই। বিয়ের পরেই মাত্র দশ/বিশটা বাচ্চা হলে খুশি আমি। ;)

জোকস আ পার্ট, এখানে এখন ঝিরঝিরে বাতাসে নিকষ কালো আকাশের রাত। জানালা দিয়ে হালকা হাওয়া বারবার ছুয়ে যাচ্ছে।
দেশের ওয়েদার বলার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। অনলাইনেও দেখা যায়, তবে কোন বাংলাদেশীর কাছে শুনতে যে কি ভালো লাগে! বুকটা ফাকা ফাকাও লাগে, মনে হয় ঐ রিমঝিম বৃষ্টিটা যদি ছুয়ে দেখতে পারতাম! নিজের নাম লিখে যদি নৌকা ভাসাতে পারতাম! আপনি লাকি ওখানে আছেন।

হুম, আমার ইমোশনাল সাইড আবার বিরক্ত করতে চলে এসেছে। কি যে করি? আমার এতো আবেগ ক্যারে বাংলাদেশী স্যার?

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: পোস্ট পরে যা লিখব ভেবেছিলাম তা সহ ব্লগারদের কমেন্ট পড়ে মাথা থেকে পুরোপুরিই নাই হয়ে গেছে। হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে গেছে। তো ব্লগে তোমার এখন বড় ভাই, বড় বোন, ছোট ভাই, আর বেবি(দের) পাওয়া হল। মনে হচ্ছে পরিবারের আর সদস্যদের পেতেও বেশি দেরি হবে না। তোমার ভার্চুয়াল পরিবার প্রতিদিনই আরও বড় হোক, এই কামনা করছি। B:-/

আর টপিকের ব্যাপারে বলি, তোমার উপলব্ধি অসাধারণ। যদি আমাদের পলিটিশিয়ানদের মধ্যে একটুখানি তোমার মতো দেশের প্রতি টান থাকতো তবে অনেক আগেই আমরা আমাদের দেশের ব্যাপারে বিদেশিদের এই নেতিবাচক ভাবনাগুলো দূর করতে পারতাম।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। স্কুল চলাকালীন সময়ে কীভাবে রোজা রেখেছ আর এর সাথে প্রাসঙ্গিক কোন কাহিনি থাকলে সে বাপারেও একটা পর্ব লিখতে পার।

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপু বলবেন না আমিতো সারাদিন হাসতেই আছি। কোন কাজ না থাকলে কমেন্টগুলো আবার পরি আর হাসি। নির্মল বিনোদন।
হুম আসলেই এখন তো আমার ভরা পরিবার। নাতি নাতনি হওয়াটাই বাকি হাহা। হয়তো কোনদিন নিজের বয়সী নাতি নাতনি পাব সিরিয়ালের মতো।

ধন্যবাদ আপু।

আচ্ছা লিখব কখনো। তবে পরের পর্বটা সেসব না অন্যকিছু নিয়ে হবে।

সাথে থাকবেন জানি, অনেক ভালো থাকুক সুইট আপুটা।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


মাম্মী বিষয়টা জানবার চাইলে আপনি এই পোস্টে স্যারের করা ৮ এবং ১২ নং মন্তব্যটা দেখতে পারেন! তাহলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে! আর দোয়া রইলো, যেন বিয়ের পর ফুটবল টিম ক্রিকেট টিম বানাইয়া সাচ্ছন্দে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন! :P

আপনার ইমোশনাল দেইখা তো এখন আমার ইমোশনাল অাপাতত সাইড লাইনের ধারে খাড়াইয়া তড়পাইতেছে! যে কোন সময় সে মাঠের মধ্যে প্রবেশ কইরা একটা দক্ষযজ্ঞ কান্ড ঘটাইয়া দিতে পারে! ;)

যাহোক, অফটপিকে একটা কথা বলি! আমিও আসলে স্যরি! আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ন পোস্টে ফানি কমেন্ট করে করে পোস্টটাকেই ফানি করে ফেলেছি! অনেকদিন পর আপনার পোস্টে তিনজনে মিলাইয়া বেশ মজা করলাম! আপনার যদি খারাপ লাগে তাহলে বলবেন, পোস্ট বহির্ভূত কমেন্ট কম করবো! তবে একসময় ব্লগে খুব মজা করছি! স্যারকে জিগাইয়া দেইখেন, আমার কথার সত্যতা তিনিই প্রমাণ করতে পারবেন!

পরিশেষে এই অফটপিক মন্তব্য নিয়ে একজন বিখ্যাত ব্লগারের একটা বিখ্যাত বানী দিয়ে শেষ করছি- "পোস্ট কি ছিল সেইটা ব্যাপার না, গ্যাজানোটাই হলো মূল ব্যাপার!" ;)

আপনার জন্য শুভ রাত্রি! ভাল থাকবেন কানাডিয়ান ম্যাম!

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার দোয়া কবুল হোক, আমিন। ;)

ছি ছি এসব কি কথা? আমার কাছে এটা সিরিয়াস পোষ্ট ছিল এবং আছে। কেউ যদি পোষ্ট না পড়ে কমেন্ট পড়ে কমেন্ট করে সেটা তাদের সমস্যা।
অনেকদিন পর আপনার পোস্টে তিনজনে মিলাইয়া বেশ মজা করলাম!
ইহাই সত্য। মজাটাই আসল ব্যাপার। আমার স্যারকে জিগ্যেস করতে হবেনা। আমি প্রথমদিকে যখন ব্লগিং করতাম এবং আমার মাসখানেক আগের পোষ্টেও এধরনের মজার কমেন্ট রয়েছে। মানুষগুলো আলাদা ছিল, এই যা। কেউ কেউ বলত কমেন্টগুলো ভালো লেগেছে, কেউ কেউ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার অবস্থায় ছিলেন। সবার নিজস্ব মতামত থাকে তার জন্যে আমাকে সরি বলার কিছু নেই। খারাপ? আরেহ না, আমি ইসরাত আপুকে যা বলেছিলাম আপনাকেও বলছি, "আরেহ আপু বলবেন না আমিতো সারাদিন হাসতেই আছি। কোন কাজ না থাকলে কমেন্টগুলো আবার পরি আর হাসি। নির্মল বিনোদন।"
Blog is a place to share/gain knowledge and have fun. We did both, cheers to that. Haha.
ওনার কথাটা আসলেই মজার।
হুম, শুভরাত্রীটা আমি সকালে উঠে দেখলাম বাংলাদেশী স্যার। কিন্তু থ্যাংকস।

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

আদম_ বলেছেন: গার্মেন্টস কি আমাদের গর্ব? কি হয় সেখানে জানেন? অন্ধ আবেগ এবং অপ্রাসংগিক কমেন্টস এ ভরপুর একটি পোস্ট।

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি গার্মেন্টস নিয়ে লজ্জা গৌরবের দুটো ঘটনাই লিখেছি। এগুলো সব বাস্তব ঘটনা। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না পাওয়াটা লজ্জার কিন্তু দেশের অর্থনিতী এগিয়ে যাওয়াটা গৌরবের। কানাডায়/চায়নায়েও একসময় শ্রমিকেরা ঠিক বেতন পেতনা। কানাডা গরিব থাকাকালিন এশিয়ান শ্রমিকদের কম বেতনে চাকরি করানোর বিষয়টা এখানে ইতিহাস বইতে পড়েছিলাম। কিন্তু ইকোনমি গ্রো করার সাথে সাথে তাদের বেতনও উঠতে শুরু করে। আমাদের বাংলাদেশও সোনার সে দিন দেখবে সে আশা করছি।

আপনার পোস্টটি ভালো লাগেনি তারপরেও কমেন্ট করেছেন সেজন্যে ধন্যবাদ।

অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২০

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ফ্য্যামিলি পুরা হয়নাই। কেউ একজন আসুক, এসে প্রেমে পড়ে যাক। হাঁটু গেড়ে প্রপোজ ট্রপোজ করুক, হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নেন। বিয়ে শাদী হোক, আমরাও বাবা পাই একজন =p~

স্টাইলিশ পুলা@ গ্যাজানোটাই বড়, গ্যাজানোতেই অনেককিছু জানা যায়। গ্যাজানো প্রাসংগিক অপ্রাসংগিক সবরকমই হইতে পারে। তথ্য থাকবে, মতামত জানানোর ব্যাপার থাকবে, খুনসুটি থাকবে, কে কি উদ্দেশ্যে গ্যাজাইতে আসছে সেটা সম্পর্কেও আইডিয়া থাকা লাগবে। আবার কতটূকুর পর থামতে হবে, কতটূকুতে দৃস্টকটু লাগা শুরু হইলো তাও বোঝা দরকার আছে। অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট ফানপোস্টে থাকলেই ভালো হয়। ব্লগের জন্য ফানপোস্টেরও দরকার আছে। কিন্তু আবার অনেক ফানপোস্ট আসলেও সাধারণ পোস্ট চাপা পড়ে যায়। দেখবেন যে ফানপোস্টগুলার হিট বেশি হয়, ক্যাচাল পোস্ট নিয়াই মানুষ বিজি থাকে। এইসব ব্যালেন্স করা টাফ। আপনার যা ভালো মনে হয় করবেন। আজাইড়া কমেন্ট আসলেও বা করলেও তা আনন্দ পাচ্ছেন সেটার জন্যেই করলে ভালো। হিট সিকিং মিসাইল হওয়ার জন্য না।

আর এই সময় অবশ্য যা খুশী করতে পারেন, শালার ব্লগ প্রায় নিভু নিভু। ক্যাচাল, ইয়াচাল, লুলামী, ইতরামী, ন্যাকামী, আতলামী সবকিছু দিয়া হইলেও এক্টিভিটি বাড়ূক। সরগরম দেখলে আবার লোক বাড়বে। গতবছর যখন মে জুনের দিকে ব্লগিং নতুন উদ্যমে শুরু করি, তখন এরকমই অবস্থা ছিলো। ১৫ এর জানুরারী ফেব্রুয়ারীতে মনে হয় আমরা কেবল ২-৩ জনই কমেন্ট করতাম, পুরা ময়দান ছিলো ফাকা। ব্লগ জমতে ৫-১০ জন এক্টীভ কমেন্টার লাগে, নিজের পোস্ট দরকার নাই। কেবল অন্যের পোস্টগুলো মন দিয়ে পড়লেই হয়। আমার কাছে ব্লগিং এর ফার্স্ট প্রায়োরিটি সেটাই থাকে। অন্যের ব্লগে গিয়ে বলা, এই অভ্যাস চেঞ্জ করতে চাই না।

@ আদম, আসলেই অপ্রাসঙ্গিক কমেন্টে পূর্ণ পোস্ট, দায়ভার অনেকটাই আমার। তবে পোস্টে অন্ধ আবেগের বাইরে কিছ ভালো ব্যাপারও ছিল। আবার অন্ধ আবেগ হলেও দেশের জন্য এই আবেগটা থাকাও কিন্তু জরুরী।

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কেউ একজন আপনার কমেন্টটা দেখে হৃদয়বান হয়ে প্রপোজ করুক। না না আমার অতো শখ নেই শুধুমাত্র আমার স্যার যেন বাবা পায় সে জন্যে। :`>
নিজের পোস্ট দরকার নাই। কেবল অন্যের পোস্টগুলো মন দিয়ে পড়লেই হয়। আমার কাছে ব্লগিং এর ফার্স্ট প্রায়োরিটি সেটাই থাকে। অন্যের ব্লগে গিয়ে বলা, এই অভ্যাস চেঞ্জ করতে চাই না।

সহমত। অভ্যাস চেন্জ করার কোন দরকার নেই অন্যের কথা শুনে। যদি লেখকের সমস্যা না থাকে। ব্লগে হাজারটা মুখ, হাজারটা কথা। সবার মন রাখা সম্ভব না স্যার।

না আপনার কোন দায়ভার নেই। যদি আমার পোষ্টে অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট আসে তবে আমার কারনেই এসেছে। আমি মজা করেছি আপনারা তাল মিলিয়েছেন। আমি ধন্যবাদ লিখে ছেড়ে দিলে আর বাকি কথাগুলো হতোনা। এখন ব্যাপার হচ্ছে আমি কি ভুল করেছি কিনা? না, ব্লগ অনেক মজার একটা জায়গা। এখানে সিরিয়াস আলোচনা হবে কিন্তু যারা পরিচিত অনেকবার কমেন্ট করে তারা মজা করবেই। আমরাই প্রথম না আমরাই শেষ না। অনেক আগে থেকে এসব হয়ে যাচ্ছে। আর যদি না হয় তারমানে ব্লগ কিছুটা ঝিমিয়ে পরেছে।

আমি প্রথম ব্লগ দেখি এইট/নাইনে এ বোধহয় দেশে, তখন একাউন্ট খোলা থেকে অনেক দূরে। ব্লগ তখন স্বপ্নের মতো একটা জায়গা ছিল। প্রথম পোষ্ট যেটা পড়েছিলাম তার নিচে অনেক ক্যাচাল বেধেছিল। পড়ে হাসিতে লুটোপুটো খাচ্ছিলাম এবং মাকেও দেখালাম এরকম এক জগৎ আছে পৃথিবীতে। টপিকটা সিরিয়াস ছিল কিন্তু সম্ভবত কোন পলিটিশিয়ানকে নিয়ে ছিল। কিন্তু সেই মজা দেখেই ব্লগের প্রেমে পড়েছিলাম। ছোট বয়সে ভাল/খারাপ লেখাতো বুঝতাম না। এত সময় পরে মনে হয় সেই বন্ডিংটা, মজাটা খুব কম পোস্টে হচ্ছে। আগেতো কবিদের/আস্তিক,নাস্তিক/ছবি রিভিউ এরকম অনেক গ্রুপ থাকত ব্লগে। এই ব্লগারের পোস্টে এই এই ব্লগার আলাপ জমাবেন, মজা করবেন সেটা সবাই জানত। আমি কিন্তু সেলিব্রেটি ব্লগারদের ভালো পোস্টের কথাও বলছি। অন্যমানুষেরাও জরো হতো দেখার জন্যে কি কি মজার কথা হচ্ছে। আমিতো আগে প্রথমেই কমেন্ট দেখতাম। এখন এসব মজা দু একটা পোষ্টেই হয়। ক্যাচাল ছাড়া নির্মন বিনোদন যেখানে কয়েকজন ব্লগার ভালো সম্পর্কের খাতিরে কথা বলছেন অনেকদিন পরে পরে হয়। আমি খুশি যে I could be a part of this party.

অনেক ধন্যবাদ স্যার ফ্রম বাংলাদেশ। ভালো থাকবেন।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


নিদাঘ স্যার, আমি আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত! পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট মূলত ফান পোস্টে থাকলেই বেশি ভাল হয়! কিন্তু তারপরেও এখানে একটা কথা কিন্তু থেকেই যায়! কোন পোস্টে যখন একজন ব্লগার প্রথম কমেন্ট করেন তখন কিন্তু পোস্ট সংশ্লিষ্ট কমেন্টই করেন! আর তার পর উক্ত ব্লগার থেকে সেই একই পোস্টে যে কমেন্ট গুলো আসে সেগুলো মূলত কমেন্ট সংশ্লিষ্টতা থেকেই আসে!

আমি আপনাকে কমেন্ট করলাম আপনি উত্তর দিলেন আবার আপনি আমাকে কমেন্ট করলেন আমি উত্তর দিলাম এভাবে পর্যায়ক্রমে! আমার কথা হলো যে কোন পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট আসতেই পারে, কিন্তু দেখতে হবে সেই পোস্টের লেখক সেটাতে বিরক্ত হচ্ছে কিনা! ব্লগটা হলো বিনোদনের জায়গা সেক্ষেত্রে এখানে এসে ভাব ধরে বসে থাকারতো কোন মানেই হয় না!

মে থেকে জুন বা তার পরে আপনি আমি বা যারা মূলত একটু বেশি এক্টিভ থাকতাম, যথেষ্ট পরিমাণে চেষ্টা করতাম ব্লগটাকে প্রাণবন্ত রাখার জন্য! এখনো অনেকেই বলে, সেই সময়টাতে আমাদের দেখাদেখি অনেক আন-এক্টিভ ব্লগারও এক্টিভ হয়েছিল। সেটা আপনি আমি বা অনেকেই জানে!

ব্লগে তৎকালিন সময়ে প্রচন্ডভাবে মন্তব্য খরা চলতো! অপু তানভির ভাইয়ের মাসিক হিট পোস্টে দেখেছি অনেক পোস্ট ৩০/৪০ টা মন্তব্য নিয়েই সেটাতে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু তার পরপরই সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেল! আজাইড়া কমেন্ট হোক আর যে কোন কমেন্টই হোক ব্লগ আবারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠলো! এটা দেখতে আসলেই সবারই ভাল লাগে!

হিট সিকিংয়ের মন মানসিকতা নিয়ে আসলে কখনোই ব্লগিং করতে আসিনি! নিজের পোস্টের থেকে বেশির ভাগ সময় অন্যের পোস্টে গিয়েই নিজের মতামত দিয়ে এসেছি! সেটা যাই হোক না কেন! ব্লগ আমাকে অনেক কিছু যেমন দিয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে আবার কেড়েও নিয়েছে! কিন্তু তারপরেও ব্লগ ছাড়তে পারিনি কারণ বোধহয় মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছি বিংবা অভ্যাস হয়ে গেছে!

@আদম, আপনার মতে গার্মেন্টস্ খুব একটা ভাল জায়গা নয়! খারাপ বলেননি কিন্তু আপনার মন্তব্য থেকে সেটাই মনে হয়! তবে একটা কথা, সেই খারাপ জায়গা থেকেই যে দেশ বছরে কোটি কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করছে সেটা ভুলে গেলে চলবে কেন! একসময় পাঁটকে দেশের সোনালী আঁশ বলা হতো! নিশ্চই এমনি এমনি বলা হতো না? এক সময় দেশের প্রতিটা স্থানেই প্রচুর পরিমাণে পাট জন্মাতো, কিন্তু বর্তমান সময়ে তো পাট ক্ষেত দেখতে পাওয়া আর আমাবস্যার রাত্রে চাঁদ দেখতে পাওয়া তো সমান ব্যাপার হয়ে গেছে!

এখন যে জিনিসটা দেশকে ক্রমে ক্রমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটাকে এতটা খারাপ নজরে দেখলে চলবে কেন? গার্মেন্টসে কি হয় না হয় সেইটা সবাই জানে, কিন্তু সেখান থেকে যে আমরা রাজস্বর একটা বড় অংক পাচ্ছি সেটাকি ভুলে যেতে পারবেন? সব জিনিসের যেমন একটা নেগেটিভ দৃষ্টিকোন থাকে ঠিক তেমনিভাবে থাকে একটা পজেটিভ দিক! আমরা না হয় নেগেটিভটা বাদ দিয়ে পজেটিভ নিয়েই থাকি! ভাবেন তো একবার, দেশে যদি গার্মেন্টস শিল্প না থাকতো তাহলে কত মানুষ অনাহারে অনিদ্রায় দিন যাপন করতো? কত বেকার বেড়ে যেত?

অনেকদিন পর বোধ হয় একটা সিরিয়াস কমেন্ট করলাম! কানাডিয়ান ম্যাম স্যরি, এতবড় কমেন্টের জন্য!

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সকালে উঠে সাম্প্রতিক মন্তব্যে দেখি আপনার দুটো কমেন্ট, নিদাঘ স্যারেরও কমেন্ট দেখে বুঝলাম কি ব্যাপার। ভেবেছিলাম দুজনে মজা করেছেন। কিন্তু রাতের মধ্যে যে অন্য ক্যাচালও বেধে গিয়েছে সব কমেন্ট পড়ে তা বুঝলাম।

এগুলো নিয়ে আমার উপরের কমেন্টগুলো দেখুন। সেখানে ডিটেইলে বলেছি।
এখানে শুধু এটুকুই বলি যে আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।

ইস একটা কমেন্টে আমাদের মজাটা নষ্ট হয়ে গেল, সব সিরিয়াস হয়ে গিয়েছে এখন। সকালে উঠে আপনাদের কমেন্ট দেখে হাসব ভেবেছিলাম কিন্তু যাই হোক আবার কোন পোষ্টে মজার কথা শুরু হবে সে আশায়.....।

নানা বড় কমেন্ট আমার ভালোই লাগে, কেউ আমার ব্লগে সময় নিয়ে নিজের মতামত দিচ্ছেন সেটা অনেক বড় একটা ব্যাপার আমার কাছে।
বাংলাদেশী স্যার বারবার সরি বলা বন্ধ করুক। আমিতো কিছু বলিনি। আপনার, আমার, স্যারের মধ্যে কোন সমস্যা ছিল না। অন্যের কমেন্টে রং ভং হলো। যাই হোক ওনারও ব্যক্তিগত ভাবনা আছে। উনি ওনার ভাবনায় ভালো থাকুক আমরা আমারটায়।

বাংলাদেশী স্যার নিজের সাথে সাথে সবাইকে হাসাতে থাকুক।

২০| ০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

অদৃশ্য বলেছেন:



চমৎকার ঘটনাগুলো... সাথে চমৎকার আপনার প্রকাশ... নিজের মা-মাটিকে নিয়ে বাজে কথা শুনতে হলেতো খারাপ লাগবেই... যে আসলেই ভালোবাসে তার খারাপ লাগবেই... আপনার শুরু হেকে ৯টি পর্ব পরেছিলাম মাঝখানে দু'ই পর্ব বাদ গ্যাছে... পর্বগুলো দেখার পরেও পড়া হয়নি... পড়ে নিব কোন এক সময়ে... অনেক লিখাই আমি লগঅফ অবস্থায় পড়তাম তার মধ্যে আপনারটাও ...

সামনে আপনার চমৎকার সব অভিজ্ঞতা আামদের সাথে আরও চমৎকারভাবে শেয়ার করুন... আর দেশের প্রতি ভালোবাসাটা প্রক্বত ভালোবাসাই হোক...থাকুক তা আমৃত্যু...
শুভকামনা...

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খুব কষ্ট লাগে আসলেই। আমি হৃদপিন্ড খামচে ধরার কথা বলেছিলাম। কোন ড্রামাটিক এফেক্টের কারনে না আসলেই ওরকম হয়।
আচ্ছা পড়ে নিয়েন সময় করে।

হুম, দেশপ্রেম মৃত্যুর পরেও সাথী হোক।

শুভকামনা আপনাকেও।

২১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

ছাসা ডোনার বলেছেন: সুন্দর ভাবে আপনি সব খুটিনাটি ব্যাপারগুলো তূলে ধরেছেন, সেই সাথে নিজের দেশের প্রতি আন্তরিক ভালবাসার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। সত্যিই বিদেশ না গেলে দেশের প্রতি ভালবাসা টের পাওয়া যা্য না। ভাল হোক আর খারাপ হোক তবুও নিজের দেশ, কোন ভীনদেশী লোক খারাপ কিছু বললেই মেজাজ গরম হয়ে যায়। আমরা নিজেরা সচেতন হলেই আমাদের দেশের সব প্রকৃতিক সৌন্দর্য গুলো সুরক্ষ্যা করে বিশ্ববাসিকে প্রদর্শন করতে সক্ষম হব। আপনার লেখা সব পর্বগুলিই পড়লাম । খুব ভাল লেগেছে

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সব পর্ব পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ।

বাকিসব কথার সাথে সহমত পোষন করছি।
অনেক ভালো থাকুন আপনি।

২২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

রাশেদ রাহাত বলেছেন: "তিনি সবসময় আমার পরে থাকা সালোয়ার কামিজের প্রশংসা করতেন। "
আবার
"সামু পাগলা" - দুটি দ্বারা মেয়ে ও ছেলে বুঝানো হয়।
বুঝতে পারছিনা।

০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি মেয়েই, সামুপাগলা একাউন্টটা যখন খুলেছিলাম অতো ভেবে খুলিনি। চার বছর আগে জোশে খুলেছিলাম। বেশ ছোট ছিলাম তখন। আমি যে সামুকে অনেক পছন্দ করি, সামুর জন্যে পাগল সেটা বোঝানোই উদ্দেশ্য ছিল। ছেলে মেয়ে ওসব কিছু মনে হয়নি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০০

শেখক বলেছেন: কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক ডক্টর ইউনূস নোবেল পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশকে চেনে না—শিক্ষিতদের মধ্যে এ সংখ্যাটা মনে হয় না খুব একটা আছে। যেখানেই গেছি বাংলাদেশ বলার সাথে সাথেই প্রত্যুত্তর পেয়েছি, 'তুমি প্রফেসর ইউনূসের দেশের লোক?'

বাংলাদেশকে চেনে না কেবল ইন্ডিয়ানরা।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি কখনো ডক্টর ইউনূস সম্পর্কিত কোন কমেন্ট পাইনি। কিন্তু নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের গর্ব এবং অনেকেই ওনার কারনে বাংলাদেশকে চেনে।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

বিপ্লব06 বলেছেন: বুদ্ধু নামটা রিয়াল লাইফে কখনো শুনি নাই। খালি ছোটবেলায় বাংলা/হিন্দি ছবিতেই শুনছি। যেই কন্টেক্সটে শুনছি সেই কন্টেক্সটে যদি বলেন তাইলে ঘুম বলে কিছু আর অবশিষ্ট থাকবে না। পিরিত সিরিজটাও আবার শুরু করা লাগবে। উপরআলা, তুমি মোরে এই জমিনি বালা থেইকা বাঁচাও!

অতি আবেগি বা অতি অভিমানী হওয়ার মানে এইনা যে ব্যাপারটা খারাপ। এইটা খুব নরমাল, ইন ফ্যাক্ট ব্যাপারটা বেশ ভালও হইতে পারে। আর এমনও হইতে পারে আপনি না দেখাইতে চাইলেও সাবকনসাসলি ইউ হ্যাভ সৌন এনাফ!!!

পরের পর্বের জন্য আপেক্ষেয় থাকলাম। ভালও থাকবেন।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এসব কি হচ্ছে বুদ্ধুকুমার? আমি যাই বলি তাতেই আপনার ঘুম হারাম হচ্ছে? খুবই খারাপ রোগের লক্ষন এটা হাহা।

না সিরিয়াসলি কন্টেক্স বলি নাহলে আমরা ব্লগীয় শাবানা আলমগীর হয়ে যাব। আপনার কাছে থেকেই নামের আইডিয়াটা পাওয়া। আপনি ইডিয়ট বলেন নিজেকে। ইডিয়ট শব্দটা কেমন গালির মতো কিন্তু তারই বাংলা বুদ্ধু শব্দটাতে অনেক মায়া আছে। এখন আপনাকে মায়া লাগানোর কারন কি?
কেননা সবাই দেশকে অনেক ভালবাসে কিন্তু নিজের মতো করে। আপনার আর আমারটা ওয়েটা এক। দেশের প্রতি দুজনের মায়া বোধ করা এবং সেটা উপলব্ধি করার জার্নিটা এক। আমার আশেপাশের প্রবাসীরা হয় বাংলাদেশকে ভুলে গিয়েছে অথবা দেশকে নিয়ে তাদের আর কোন আশা বাকি নেই। আমি খুব আপনার মতো কাউকে ৫ বছর ধরে খুজছি যে বলবে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো অন্য দেশেও আছে, কিছু সময় পরে অনেক উন্নতি করব আমরা। কিন্তু পাইনা, আপনাকে পেয়ে অনেক আপন মনে হলো সেজন্যে। আপনার আর আমার কলিজার টুকরা দেশটা যে এক!
তাই আমার আপনার প্রতি মায়া শাবানা আলমগীরের মায়ার চেয়েও অনেক পবিত্র। এটা শুধু একজন প্রবাসীর আরেক প্রবাসীকে করা সম্মান থেকে এসেছে। ঘুম এখন আর হারাম হবে না আশা করি।
আরেহ! আমি আপনাকে এমন নাম কেন দেব যা আগে শুনেছেন? নাম তো এমন হওয়া উচিৎ যা শুধু আমিই ডাকব অন্যকেউ না, হাহা।

আপনি যে বলেছেন ব্যাপারটা ভালোও হতে পারে মানে আপনি এখনো এর তীব্রতা অনুভব করেননি এবং আমি শুধু আপনজনদেই অনুভব করতে দিই এর তীব্রতা। So, dude let alone enough you have seen nothing of me yet. And I will make sure subcontiously/contiously you never come across it. Because I know that will be too much for you.

অনেক সিরিয়াস কথা বলে ফেলেছি তাই যেতে যেতে একটা মজার বাংলা ডায়ালগ দিয়ে যাই আপনাকে
"ওগো তোমার সুখেই তো আমার সুখ, তুমি না ঘুমালে আমিও যে এ দু নয়নের পাতা এক করতে পারবনা!" ;)
এবার গানে চলে যেতে হয় নিয়মঅনুযায়ী https://www.youtube.com/watch?v=7IbgtJOovYg

আপনিও ভাল থাকুন বুদ্ধুকুমার। আর জমিনি বালা থেকে তো আপনাকে সে নিজে ছাড়া আর কেউ বাচাতে পারবেনা! ;)

২৫| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষে আপনার মা-র কথাটা অনেক দামি। প্রবাসিদের মাঝে আমি যে টান দেখেছি দেশের জন্যে, সেই একই টান দেশের রাজনৈতিক বলয়ের মানুষও যদি দেখাতে পারত, আমরা জাপানের মতো ছোটোখাটো সুপারপাওয়ার হয়ে যেতাম এতদিনে!

১১ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকুন আপনি।

২৬| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

মোঃমোজাম হক বলেছেন: সুন্দর সিরিজ।
তবে এখন আর অনেকে বাংলাদেশকে চেনে না, এটা ঠিক নয়।
যারা চেনেনা সেটা তাদের জ্ঞানের অভাব।

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতায় অনেকেই চেনেনা। বিশেষ করে ক্লাসমেটরা চিনত না। আবার টিচাররা চিনত।

যাই হোক বাংলাদেশ সে জায়গায় যাবে যখন সর্বস্তরের মানুষ চিনবে বাংলাদেশকে সে আশায় আছি।

অনেক ভাল থাকুন, শুভকামনা।

২৭| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

আদম_ বলেছেন: @ স্স্টাইলিশ বয়; আমি কোথায় বললাম গার্মেন্টস খাারাপ জায়গা? কোথায় বললাম গার্মেন্টস থেকে রাজস্ব আসেনা? আমি শুধু বলেছি যে গার্মেন্টেসে উপায়হীন কিছু লোক প্রায় পানির দামে নিজেদের শ্রম বিক্রি করি সেই গার্মেন্টস নিয়ে বুক ফুলিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। কাল থেকে বিদেশিরা পোশাক বানানোর অর্ডার আমাদের না দিয়ে অন্যদেশকেও তো দিতে পারে। এমন একটা ভংগুর ভিতের উপর দাড়ানো আমাদের ইনকাম সোর্স আপনার গর্বে ভেসে যান কি করে।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আশা করি স্স্টাইলিশ বয় মন্তব্যটা দেখে জবাব দেবেন। যেহেতু ওনাকে করা আমার কিছু বলার নেই।

শুধু শুভকামনা জানাচ্ছি।

২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২১

অাজব জাহাঙ্গীর বলেছেন: ভালোবাসার অসংখ্য লালগোলাপ তোমার জন্য, ধন্য আমি যে তোমার মতো মানুষের লিখাটা পড়তে পারছি, এবং সত্ব্যিই আমি কেদে ফেললাম লিখাটা প্রচন্ড ভাবে আমাকে হিট করেছে

২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি ভীষন সুন্দর একটা কমেন্ট! আমি বরং ধন্য যে আপনার মতো আবেগী দেশপ্রেমিক মানুষ আমার লেখা পড়ে কমেন্ট করেছেন।
এতোটা অনুভব করেছেন আমার লেখাকে। নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরনা পাব পরের লেখায়।
অনেক অনেক ভাল থাকুন, মন থেকে বলছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.