নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)

১১ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কানাডায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত ভাবতাম বিয়ে কম্পালসারি একটা বিষয়। সব ছেলে চাকরি পেয়ে আর সব মেয়ে পড়াশোনা শেষে বিয়ে করেই করে। বিয়ে এমন একটা জিনিস যা জীবনে একবারই হয়। বিয়ে না হলে ছেলে মেয়ে একসাথে থাকতে পারেনা। পার্কে ঘুরতে পারে তবে লুকিয়ে লুকিয়ে। এটা ইউনিভার্সাল কালচার, এবং পৃথিবীর সব দেশ এ প্রথাগুলো মেনে চলে! হায়রে মফস্বলের দুই বেনী করা কিশোরি মেয়েটি দুনিয়া তখনও দেখেনি, কানাডায় এসে দেখল। কি দেখলো তাই আপনাদের বলবো।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব

লিভ টুগেদার: এই জিনিসটা কানাডায় যাওয়ার আগেও জানতাম কোন এক মুভিতে দেখে। ভাবতাম নায়ক নায়িকা তো কত কিছুই করে! কিন্তু এটা যে কোন দেশের নরমাল প্র্যাকটিসিং কালচার হতে পারে তা জানতাম না।
আমি তখন বেশ নতুনই, জিম ক্লাসের ঘটনা। জিম ক্লাসে অন্য লম্বা চওড়া কানাডিয়ানদের পাশে ভয়েই থাকতাম। হয়তো সেজন্যেই জিম টিচার যেচে আমার সাথে কথা বলতেন ফ্রি করার জন্যে। সেদিন আমাকে এবং আরো দুই কানাডিয়ান মেয়েকে ডেকে আনলেন। তারপরে গল্প শুরু করে দিলেন। আমাকে জিগ্যেস করলেন কোন দেশের? বললাম। প্রথমবারের মতো ঐ কানাডিয়ান মেয়েটাও কথা বলল। বাংলাদেশ কোথায় জিগ্যেস করল। কথায় কথা বাড়ল। এক সময় টিচার বললেন, "আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ড একসাথে মুভ করছি। কি যে হ্যাসল! খুব বিজি সময় যাচ্ছে।" ঐ মেয়েরাও না চমকে বলে যাচ্ছে ওয়াও গ্রেট কোথায় মুভ করছেন? আর আমার তো কোন কথা আর মাথায় ঢুকছে না। কানের আশেপাশে শো শো শব্দ শুরু হয়ে গিয়েছে। টিচার অবলীলায় স্টুডেন্টদের লিভ টুগেদারের কথা বলছেন! কি ভীষন অবাক হয়েছিলাম! এটা এতো নরমাল এখানে?

আরেক ঘটনা, আমাদের বাড়িওয়ালা এক কানাডিয়ান মহিলা ছিলেন বয়স ৫০ এর কাছাকাছি হবে। তার স্বামী অতি সুদর্শন পুরুষ ছিলেন। বউয়ের সব কথা হাসিমুখে মেনে নিতেন এবং বউ কথা বললে চুপ হয়ে যেতেন। ১৯/২০ বছরের ছেলে ছিল ওনাদের। সবমিলিয়ে সুখী পরিবার। বেশ ভালোই লাগত ওনাদের। আমার এক সহপাঠী ওনারদেরই কোন এক এপার্টমেন্টে থাকত। আমি একদিন বলছিলাম ওনার হাসবেন্ডটা কি ভীষন ভাল! ও থামিয়ে দিল। বলল, "হাসবেন্ড? ওরাতো বিয়ে করেনি কখনো!" একসাথে এতদিন থেকেও বিয়ে করেনি! হায় আল্লাহ! বিয়ে ছাড়া ছেলেটা! ছি ছি কি দেশে এসে পরলাম আমি! ও আরও শকিং নিউজ দিল। ওনারা ২৫ বছর একসাথে থাকছেন, কখনো বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ওর কথাগুলো! পরে আরো সোর্স থেকে জেনেছিলাম আসলেই তাই।

লিভ টুগেদার সবাই করে এখানে। বেশ কবছর লিভ টুগেদার করে ভাল লাগলে তবে বিয়ে। এর পেছনের কারন হচ্ছে বিয়ের আগে এক ছাদের নিচে থেকে বোঝা যে বিয়ের পরেও থাকা সম্ভব কিনা। আবার সেই বাড়িওয়ালার মতো অনেকেই বিয়ে কখনোই করেন না। তারা কোন সামাজিকতায় বিশ্বাস করেন না। এর মানে এই নয় যে এখানে কাপলদের মধ্যে ভালবাসা নেই। আছে, একে অপরকে সারপ্রাইজ দেবার জন্যে যে কিসব পাগলামি করে! কিন্তু পাগলামি চলে যেতেও বেশি সময় নেয় না। অন্যকাউকে ভাল লাগলে খোলা মনে এমব্রেস করে। খুব বেশি নীতি নৈতিকতা নেই। মনের ওপরে জোর খাটেনা, I gotta do what my heart tells me বলে অবলীলায় এক সম্পর্ক থেকে অন্য সম্পর্কে বানরের মতো ঝুলতে থাকে।

বিয়ে: বিয়ে সাধারনত মধ্যবয়সে হচ্ছে আজকাল। বাচ্চা কাচ্চা হওয়ার পরে অনেকে বিয়ে করে। মা বাবার বিয়ে বাচ্চা দেখবে এটা অতি স্বাভাবিক এবং সুইট একটা ব্যাপার! এখানে বিয়ের জন্যে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে I gotta find the right one! My soulmate! দেশ/জাত/পেশা/ধর্ম/বর্ণ/শিক্ষা/বয়স কোনকিছুর পরোয়া নেই। শুধু মন মিললেই হল। হার্টের মিসিং পাজলটা হলেই হলো। এরা প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করে যে সবার জন্যে কেউ না কেউ থাকে এবং কখনো জীবনে আসেই। এখানে বিয়েটা শুধু মেয়েটার ভরনপোষন বা ছেলেটার জৈবিক চাহিদা পূরন নয়। বিয়েটা রাইট পার্টনারের সংগ এনজয় করার জন্যে। ব্যাপারটা শুনলে অনেক সুইট মনে হয়। কিন্তু এই রাইট মানুষটাকে খুজতে গিয়ে কোথায় যেন বেড়াছেড়া লেগে যাচ্ছে। বারবার সম্পর্কে জড়ানো, ভাংগা, বিয়ের পরেও মনে করা এই কি সে? সেই মনে করা থেকে এত বছর লিভ টুগেদার করেও ডিভোর্সের মতো করুন পরিনতি! বেটার কিছু পাওয়ার লোভে আরো খারাপের দিকে ধাবিত হওয়া। কিন্তু পসিটিভিলি, এখানে যারা ম্যারিড এবং একসাথে আছেন প্রচন্ড সুখে আছেন। লোভ হওয়ার মতো সুখে! সেরকম এক সুখের গল্প বলব।

E.S.L. টিচার মি: এম সুদর্শন, ভদ্রস্থ, মধ্যবয়সী ভদ্রলোক ছিলেন। উনি ওনার লাভ স্টোরি যে আমাকে কতবার শুনিয়েছেন! ওনার বউয়ের সাথে কমন ফ্রেন্ডদের মাধ্যমে পরিচয়। তখন ওনার এবং ওনার বউয়েরও লম্বা সময়ের সম্পর্ক ভেংগে টুকরা টুকরা। তারা বন্ধু হলেন, ডিসাইড করলেন আর প্রেম না, এবং যথারীতি একে অপরেরই প্রেমে পরলেন। তারপরে বিয়ে, এবং দুটো টিনএজ বাচ্চার পিতামাতা। উনি মাস্টার্স ছিলেন, এবং ওনার বউ P.H.D করছিলেন। উনি সেই সময়টায় সারাদিনের স্কুল শেষ করে বাড়ির সব কাজ করতেন! রান্নাবান্না, ক্লিনিং, বাচ্চাদের স্কুল থেকে শুরু করে ক্যারাটে ক্লাস! আমি বলতাম আপনি টায়ার্ড হন না? উনি বলতেন, "নিজের কষ্ট কিছু না কিন্তু ও কষ্ট করলে আমার জন্যে অনেক কিছু।" আমি বলতাম আপনার বউ আপনার ওপরে কখনো রাগ করেন না? উনি বলতেন, "সবসময় রেগে থাকে! কিন্তু ও রাগ না করলে আমি লাইনে থাকতাম না। Women keeps men in line." এক্সাক্ট এই কথাটাই বললেন। শুনে চমকে গেলাম, বাংলাদেশেও তো বলে বউ এসে ছেলেটাকে লাইনে রাখবে। আমার ব্রাজিলিয়ান বান্ধবী "J" বলল ওদের কালচারেও কথাটা বলে! আসলে এটা ওয়ার্ল্ডওয়াইড একটা ব্যাপার বলে সবাই হাসতে শুরু করলাম। ওনাকে আমি ক্ষেপাতাম আপনার বউ ডিগ্রিতে আপনার চেয়ে এগিয়ে গেল, এখন আরোই বকা খাবেন! উনি বলতেন, "না সেরকম কিছু হবে না। আমিতো গর্বিত, ও আমার চেয়ে বেশি যোগ্য হওয়া মানে I am the winner."
এসব কথা শুনে কি যে ভালো লাগত! একদিন মি: এম ক্লাসরুমে নেই, একটু বাইরে গেছেন। আমরা বান্ধবীরা বসে কে কেমন হাসবেন্ড চায় সেটা নিয়ে গল্প করছি। দুইজন ব্রাজিলিয়ান এবং এক কানাডিয়ান। এখানে বলে রাখা ভাল কানাডিয়ান স্টুডেন্টরা E.S.L. ক্লাসে এলাউড না। ইংরেজী যাদের দ্বিতীয় ভাষা তারাই থাকতে পারে সেই ক্লাসে। কিন্তু ও আমার মা জার্মান এসব বলে কোনভাবে এনরোল হয়েছিল যাতে আমাদের সাথে থাকতে পারে হাহা। যাই হোক, ভালো হাসবেন্ডের কথা উঠলে মি: এম এর কথা উঠবেই। সবাই বলছে ওনার মতো হাসবেন্ড থাকলে লাইফে আর কি লাগে! আমিও বলে ফেললেম, "I hope I get a husband like Mr. M." বলে হাসতে হাতে দেখি পেছনে মি: এম।
ইস!! সবাই বলল আর শুনল শুধু আমারটা। এখন কি করি কোথায় লুকাই! কি লজ্জার ব্যাপার! উনি হাসতে হাসতে বললেন "হাসবেন্ড (আমার নাম)"? চিন্তা করোনা আমার চেয়ে বেটারই হবে!" যদিও আমি আজও বিশ্বাস করি ওনার চেয়ে বেটার হাসবেন্ড সম্ভব না!

ডিভোর্স: একবার মি:এমকে জিগ্যেস করেই ফেললাম কানাডায় মানুষ বিয়ে করে না কেন? উনি হো হো করে হেসে ফেললেন। বললেন, "কই করেনা, আমিতো হ্যাপিলি ম্যারিড!" আমি বললাম বলেন না কেন অনেকে বিয়ে করেনা? উনি বললেন, "আমার এক কাজিন অনেক বড়লোক। ও একটা মেয়ের সাথে এক বছর বন্ধুত্ব, দুই বছর সম্পর্ক, পাচ বছর লিভ টুগেদার করেছিল এবং বাচ্চাটার যখন চার বছর বয়স তখন বিয়ে করে। যদিও আমি পারসোনালি বিয়ের আগে বাচ্চা নেওয়া পছন্দ করি না। "আমার নাম" বিশ্বাস করতে পার যে আট বছরের সম্পর্ক বিয়ের দুই সপ্তাহ পরেই ছারাছারি? ও এখন ডিভোর্সের ঝামেলায় পরে গিয়েছে, বলছে আমার অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি নিয়ে নেও, তাও ছাড়ো। তবে মেয়েটি অনেক লোভী, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আরো টাকা চাচ্ছে।" আমি বললাম অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি?
উনি বললেন, "কানাডায় ডিভোর্স নিলে হাসবেন্ডকে অর্ধেক সম্পত্তি দিতেই হয় ওয়াইফকে সিকিউরিটি হিসেবে, ওয়াইফ যদি বাচ্চাদের কথা বলে আরো দাবী করে তবে কোর্টের ডিসিশনে অনেক সময় তাও মেনে নিতে হয়। আর জানো, "আমার নাম" কানাডায় ৫০% এর বেশি বিয়ে ভেংগে যায়।" আমি বললাম তার মানে ডিভোর্স রেট হাই, আর ডিভোর্স নেওয়া অনেক যন্ত্রনাকর এক প্রসেস এজন্যে অনেকে বিয়ে করেনা? উনি বললেন, "For most part, yes, that's the main reason according to me!"

এখন প্রশ্ন হলো যারা লিভ টুগেদার করে মা বাবা পর্যন্তু সাকসেসফুলী হতে পারলেন তারা কেন স্বামী স্ত্রী হতে পারলেন না? আসলে বিয়ের আগে কোন বন্ধন ছিলনা, আশা ছিল না, দায়িত্ব ছিলনা। সবকিছুই দুজনে করেছেন মনের আনন্দে। বিয়ের পরে দায়িত্ব, অধিকারের চাপ লাগতে শুরু করল যা সম্পর্কের ফান টুকু নষ্ট করে দিল। কানাডিয়ানদের জীবনে "ফান" একটি জাতীয় শব্দ। ওরা যেকোন মূল্যে জীবনকে এনজয় করতে চায়। মুক্ত পাখির মতো ওড়া খুব জরুরি ওদের জন্যে এবং বিয়ের শেকলে অনেকের দমবন্ধ লাগে। এখানে বিয়ে না টেকার আরো একটা বড় কারন জীবনে ছোট খাট কমপ্রোমাইজ না করতে পারা। বিদেশীদের নিয়ে একটা জোক আছে যে নাক ডাকলেই ছাড়াছাড়ি। বাস্তবিকভাবে এতটা না হলেও যান্ত্রিক ব্যাস্ত জীবনে কেউ কাউকে সহজে ছাড় দিতে চায় না।
আর পরকীয়া তো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। আজকাল এখানে "open marriage" পলিসি শুরু হয়েছে। যার মানে স্বামী স্ত্রী জানবেন যে একে অপরের আরো গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড আছে এবং কোন কমপ্লেইন করতে পারবেন না! বাড়িতে এসে গল্প করবেন গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের সাথে কেমন সময় কাটল! বাচ্চা কাচ্চারাও এভাবেই বড় হবে সব জেনে শুনে। তবে হ্যা বাচ্চা কাচ্চা শুধু স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই হতে পারবে এ পলিসিতে। এর পেছনের লজিক হচ্ছে বিয়ের পরেও মানুষ অপসিট সেক্সের প্রতি এট্রাকশন ফিল করে, এবং ভয়ে সেটা এভয়েড করেন। কিন্তু মনের অনূভুতিকে পাত্তা না দেওয়া তো ভীষন অন্যায়! যাই হোক, এটা এখনো অনেকে পছন্দ করেনা, কিন্তু একটু একটু করে কমন হচ্ছে। কয়েক যুগ পরে যে মহামারি আকার ধারন করবে বুঝতে পারছি!

কিন্তু আমাদের দেশে যে বিয়ে এত টেকে সেটাও কি ভালো? মেয়েরা স্বামী শাশুড়ির হাতে প্রচন্ড নির্যাতিত হয়ে/স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েও কিছু করতে পারেনা সমাজের ভয়ে। মানছি আমাদের দেশে অনেক হ্যাপিলি ম্যারিড কাপল আছেন। কিন্তু এমন অনেক বিয়ে আছে যা মেয়েটার চোখের জ্বলে শিক্ত। আবার অনেক ছেলেও সমাজের ভয়ে বছরের পর বছর দজ্জাল বউকে সহ্য করে যান। ডিভোর্সি মানুষদের প্রতি বাংলাদেশি সমাজকে আরো ফ্লেক্সিবল হতে হবে। দুজন মানুষ একসাথে থাকতে না পারলেই তারা খারাপ হয়ে যান না। এটা ব্যক্তিগত চয়েস, সমাজের কানাঘুষার ব্যাপার না। আসলে সব কালচারেই ভাল খারাপ থাকে।

কিশোরি আমি: যখন নতুন নতুন ছিলাম গা গুলিয়ে যাওয়া ঘৃনা হত এসব দেখে। মনে হতো এরা এমন কেন? ক্লাসমেটরা অকপটে কোন ব্র্যান্ডের কনডম ভাল সেটা নিয়ে গল্প করত স্কুল লেভেলে! রাতে এসব ব্যাপার ঘুরতে থাকত মাথায়, ঘুম আসত না। আসলে কিশোরি বয়সে বাংলাদেশি কালচারকে ট্যাবলেটের মতো গিলে ফেলা আমি এসব মেনে নিতে পারতাম না। আমার ধর্মে, কালচারে তো এসব মহাপাপ। আর সবকিছু তো একবারে জানিনি। প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়িতে কোন না কোন নতুন "জ্ঞান" নিয়ে ফিরতাম। বুক ধক করে ওঠার মতো কোন কৃষ্টি, কাহিনী, পরিনতি।
কানাডিয়ানরা খারাপ এটাও মানতে পারতাম না। যে দেশ আমার মতো বাংলা মিডিয়াম পড়ুয়া, ইংরেজী না জানা, মফস্বলের, সালোয়ার কামিজ পরা, লম্বা বেনি ঝোলানো আনস্মার্ট/ক্ষ্যাত মেয়েকে যে ঢাকা শহরের হাই সোসাইটিতে পর্যন্ত বিলং করেনা তাকে আপন করে নিয়েছে তাদেরকে খারাপ বলি কি করি? যে দেশে অপরিচিতদের দিকেও মানুষ আন্তরিক ভাবে হাসে, বাস ড্রাইভারকে থ্যাংক ইউ বলে, ছোট ভুলেও হাজারবার সরি বলে তাদেরকে খারাপ ভাবি কিকরে? যে দেশ আমাকে নতুন ভাষা শিখিয়েছে ইংলিশও এবং জীবনেও, উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা দিয়েছে, বিভিন্ন দেশের বন্ধু দিয়েছে তার প্রতি অবজ্ঞা রাখি কি করে?

একদিকে প্রচন্ড সম্মান অন্যদিকে প্রচন্ড ঘৃনায় কি ভয়ংকর মানসিক যন্ত্রনার কিশোরিবেলা গিয়েছে তা লিখতেও এখন চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরে কিবোর্ড ভিজে যাচ্ছে! কিশোরি বয়সে এমনিতেই নিজেকে নিয়ে অনেক কনফিউশন থাকে, আমার তো নিজের সাথে সাথে নিজ কালচার নিয়েও কনফিউশন হতে থাকল। অস্তিত্ব কাপিয়ে দেওয়া এক বিক্ষিপ্ত, খাপছাড়া ভাব। রাতের পর রাত সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর ভাবতাম যে কারা ভাল? আমাার দেশের মানুষ না ওরা? আমার কাদের মতো হওয়া উচিৎ? হাজারটা প্রশ্ন এবং উত্তর দেবার মতো কেউ নেই। বাড়িতে এসব "বড়দের বিষয়" নিয়ে মা বাবার সাথে কথা বলা সম্ভব ছিলনা। স্কুলেও কোন কানাডিয়ান সহপাঠীকে মুখের ওপরে কিছু জিগ্যেস করতে পারতাম না ওদের কালচার নিয়ে। মি: এমসহ আরো কিছু টিচার ছিলেন শুধু যাদের সাথে সবকিছু অসহায়ের মতো শেয়ার করেছি। তারা যে কিভাবে ঠান্ডা মাথায় আমাকে সামলেছেন! আমার অসহায় চাহনী তারা পড়ে নিতেন এবং সিলি প্রশ্লগুলোরও বিশ্লেষনী উত্তর দিতেন।
তাদেরই সাহায্যে মানসিক দ্বন্দে পুড়তে পুড়তে একসময় সামলেছি আমি। আর আমার পারিবারিক শিক্ষা, মফস্বলের সরল মানুষের দেওয়া মূল্যবোধের ভীত অনেক শক্ত ছিল। প্রবল ঝড়ে তাই উড়ে যায়নি। মেনে নিয়েছি জীবন শুধু ভালো/খারাপ, পাপ/পূন্যই না, জীবন হয়তো অন্যের আলাদা ভাবনাগুলোকে সম্মান করাও। দেশে আমার অনেক হিন্দু/খৃষ্টান বন্ধু ছিল। তাদের ধর্মভাবনা ভীষন আলাদা হওয়ার পরেও কখনো ঘৃনা আসেনি। কেননা ছোটবেলা থেকে শিখেছি অন্য ধর্মালম্বী মানুষকে সম্মান করতে হয়। আমি ধর্মের থিয়োরি কালচারেও এপ্লাই করেছি। ভেবেছি ওরা ওদের ভাবনায় সুখে থাকুক এবং আমি আমার ভাবনায়।
তাই আমার ভাবনাচিন্তা এখনও প্রথম তিন লাইনের মতোই আছে। পরিবর্তন একটাই আগে দুই বেনী করতাম, এখন এক বেনী অথবা খোপা করি! এখনো মফস্বলের সেই ব্যাকডেটেড/আনস্মার্ট মেয়েটা আছি কিন্তু অনেক আত্মবিশ্বাসের সাথে আছি যা আছি। সারাজীবন এরকমই থাকব কেননা এই আমার আমিতেই যে আমার প্রকৃত সুখ!

শেষ কথা: ১৮+ দেবার পরেও অনেক ছোট ভাইবোনেরা জড়ো হবে। তাদেরকে বলছি যাও মন দিয়ে পড়ালেখা করো। ব্লগে/ফেসবুকে ১৮+ পোস্ট দেখে বেড়িয়ে নেপচুনকে নেপালের রাজধানী বানাতে হবেনা। যাও! :)
সব পাঠকদের বলছি, আমি নিজে এসব ১৮- বয়সেই জেনেছিলাম কানাডায় আসার কারনে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু শালীন, সভ্য হতে পারে তা ভেবেই ট্যাগ দেওয়া। কোন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করিনি, কিন্তু আইডিয়াগুলো এডাল্ট মনে হয়েছে। সব কানাডিয়ান কিন্তু এক না। এখানেও অনেক চার্চে যাওয়া ধার্মিক মানুষ থাকেন যারা এসব সাপোর্ট করেন না। তবে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে দিনদিন। বিশ্বাস করতে যদি কারও কষ্ট হয় তবুও বলছি যা লিখেছি মেজোরিটির কথাই লিখেছি। সেই মেজোরিটির কালচারকে খারাপ ভালো বলে জাজ করার আমরাই বা কে? থাকুক ওরা ওদের মতো!

আমি প্রতি পর্বে অনেক অনুপ্রেরনা পাই। অনেকে কমেন্ট করেন, লাইক দেন। সবচেয়ে বড় কথা আনন্দ এবং আগ্রহ নিয়ে পড়েন অতি সাধারন আমার জীবন কাহিনী! তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। সত্যিই নেই!

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৪

অশ্রুকারিগর বলেছেন: I gotta find the right one! My soulmate!

কত আকাঙ্ক্ষা, হাহাকার লুকিয়ে থাকে এই সামান্য কথার মাঝে !

এরচেয়ে তো এই কথাটা ভালো I gotta do what my heart tells me।

যদিও আমি লিভ টুগেদার এর চেয়ে বিয়েকে প্রাধান্য দেই বেশী।

আপনার কাহিনী চলতে থাকুক!

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম ঠিক, সারাবিশ্বের মানুষের এত মানুষের মধ্যে সেই একজন কে পাওয়ার আশা!

ঐ কথাটা অনেক সময় ভুল পথে ধাবিত করতে পারে। নিজের সাথে সাথে অন্যদেরটাও ভাবতে হয় কখনো নিজের মন মেরে হলেও।

অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্যে।

২| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৪

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: জানলাম,,,,

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪১

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


লিভ টুগেদার নিয়ে জীবনের প্রারম্ভে আমিও বেশ কনফিউশনে ভুগতাম! আমি তখন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি! আমাদের এলাকার এক পাড়াতো ফুফু বিয়ে করছিলেন আমেরিকান এক পোলারে! তো বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই গ্রামে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেল! কেউ কেউ বলে আমেরিকানরা বিয়ে করে দশ বছরের জন্য! মানে অনেকটা কনট্রাক্ট ম্যারেজ! দশ বছর পরে যে যেমন সে তেমনই থাকবে!

বোঝেনই তো গ্রাম্য মানুষের আচার আচারণ! একগুন হইলে সেটাকে দশগুন করা হলো গ্রামের মানুষের স্বভাব! তাছাড়া শহরে যে কথাটা যত দ্রুত ছড়ায় গ্রামে তার থেকেও দ্রুত গতিতে কথা এককান থেকে আর এক কানে হয়ে যায়! তো একদিন সাহস কইরা বাবারে জিগাইলাম- 'বাবা লিভ টুগেদারটা আসলে কি?'

বাবা খুব ভাল ভাবেই বুঝাইলেন! তারপর সেই ফুফুর বৈবাহিক অবস্থাটাও বাবাকে বললাম। যদিও বাবা আমেরিকান রিতী নিতী সম্পর্কে ততটা জানতো না, তারপরেও যতটা সম্ভব আমাকে বুঝাইলো! ছেলেটা ছিল মুসলিম! আর মুসলমানরা সাধারনত লিভ টুগেদার করে না! সেদিক বিবেচনা করলে ফুফুর কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না!

সেটা আজ প্রায় পনের ষোল বছর আগের কথা! আজও তারা খুব ভাল আছে এবং এক সাথেই আছে! তবে আপনার আর লেখাগুলো সমাজে ঘটে চলা একটা চিত্র মাত্র! ঐটা বোধ হয় সব দেশেই একই রকম! হয়তো কোথাও একটু বেশি আর কোথাও কম!

লেখাটা "ভাল্লাগছে"! ভাল লাগা জানাইলাম! কেমন আছেন?

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায়রে গ্রামের মানুষ এসব দুনিয়া দেখলে যে কি করত?

ওনারা ভাল আছে এটাই আসল কথা। ওনারা ভাল থাকুক। কিছু কিছু দেশে এরকম হয় এবং কিছু কিছু দেশে হয়না।
আর কিছু কিছু দেশে আপনার কথামতো আসলেই কম বেশি হয় যেমন আমাদের সাউথ এশিয়ার ব্যাপারে এটা বলা যায়।

উপরওয়ালার রহমতে ক্যাটালিয়া আপুর চোখে এখনো ঐ পোস্টটা পরেনি। কিন্তু যেভাবে আলোচিত ব্লগে পরে আছে যেকোন সময় চোখে পরে যেতে পারে। ইস! সামু ব্লগ কি করছে এসব? প্রানঘাতি পোস্টটাকে আলোচিত ব্লগে রাখছে? এখন আমার কি হপ্পে? :((

আমি ভাল নেই তবে চেষ্টা করছি মন থেকে বিনা কারনের গ্লুমিনেস দূর করার। আপনি কেমন আছেন?

৪| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: I am a keenly follower your writing. As usual this article is also very informative and the last segment is very touchy.

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জানি, বেশ কিছু লাইক লিস্টে, অনুসরনে আপনার নামটা বেশ কবার দেখেছি। অপেক্ষা করতাম কোনদিন কমেন্ট করবেন। আজকে করলেন।

ধন্যবাদ নীরবে পাশে থেকে এখন সরব হবার জন্যে।
অনেক অনেক ভাল থাকবেন। :)

৫| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


আরে ভাল নেই কেন? শোনেন একটা কাজ করবার পারেন, ধারে কাছে যদি কেউ থাকে তাইলে তারে উদ্ভট ভাষায় কিছু গালি ঝাড়তে পারেন! মনের রাগ অন্যের উপ্রে ঝাড়ার মধ্যে যে আনন্দ বিদ্যমান, সেইটা আপনি টাকা দিয়াও কিনবার পারবেন না! তবে এমন কারো উপ্রে ঝাড়বেন যেন পরবর্তিতে আবার রি-এ্যকশন হওনের চান্স না থাকে! ;)

ক্যাটেলিয়া ফর্ম ক্যাতেলিনা সম্পর্কিত বিষয়ে আমার মুখ আজ একদম অফ থাকবে! চাইলেই আপনি ঐ মুখ খুলতেই পারবেন না! তাছাড়া উনি শুনলাম স্যারের বড় বহিন হন, সেই সূত্রে তিনি আমারও বহিন! আর ইল্ডার সিস্টার সম্পর্কে আমি কোন বেঁফাস মন্তব্য করতে পারুম না! ঐডা আপনি স্যারের কাছ থিকা বুইজ্জা লইন গা! ;)

আমি পুলা খারাপ হইতারি, তয় ইমানদার আছি হেইয়া মুই হলপ কইরা কইতারি! জীবনে মিথ্যা কথা কইনা, আর সত্যি কথার ধার দিয়া হাঁটি না! কি বুঝলেন কানাডিয়ান ম্যাম? :P

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না স্যার আমার কাছে শুধু মা বাবা আছেন। তাদেরকে কিছু বলা সম্ভব না। আর কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজের কষ্ট দূর করা সম্ভব না। আপনি মজা করে বলেছেন বুঝতে পারছি।
আপনি মন খারাপ হলে মানুষকে গালি দিয়ে বেড়ান নাকি? হায় হায়! না মানে স্যার বলছিলাম কি যখন মন খারাপ থাকবে আমার ব্লগে ঢুকবেন না, ঠিক আছে? ;)

যাই হোক বড় বোন বলে না প্রানভয়ে কমেন্ট করবেন না সেটা সোজাসুজি বলা উচিৎ। ;)
বাদ ওনার কথা।

আরে ইমানদার পোলা আবার খারাপও। হুম এতক্ষন খারাপ একটা ছেলের সাথে মিশছিলাম সেটা বাড়িতে জানলে আস্ত রাখবে না। আপনি কাউকে বলবেন না যে আপনার সাথে মিশছি, ঠিক আছে? ;)

৬| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একদিকে প্রচন্ড সম্মান অন্যদিকে প্রচন্ড ঘৃনায় কি ভয়ংকর মানসিক যন্ত্রনার কিশোরিবেলা গিয়েছে তা লিখতেও এখন চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরে কিবোর্ড ভিজে যাচ্ছে! কিশোরি বয়সে এমনিতেই নিজেকে নিয়ে অনেক কনফিউশন থাকে, আমার তো নিজের সাথে সাথে নিজ কালচার নিয়েও কনফিউশন হতে থাকল। অস্তিত্ব কাপিয়ে দেওয়া এক বিক্ষিপ্ত, খাপছাড়া ভাব। রাতের পর রাত সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর ভাবতাম যে কারা ভাল? আমাার দেশের মানুষ না ওরা? আমার কাদের মতো হওয়া উচিৎ? হাজারটা প্রশ্ন এবং উত্তর দেবার মতো কেউ নেই।

আপনার অন্তর্দন্ধের কষ্টা দারুন ফটিয়ে তুলেছে। এভং তা থেকে নিজের মতো করে বেরিয়ে আসার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সাহস এবং স্বকীয় নৈতিকতাবোধে যে দারুন বর্ণনা দিলেন তা নিশ্চয়ই এরকম কষ্টে থাকা অনেকের মুক্তির ইশারা হবে।

আসলেই বৈশ্বিক অনুবভ শুধু দেশে থেকে অনুবভ করা যায় না। আবার অনেকেই বাইরে গেলেও নিজের ভেতরে আত্মগম্ন হয়ে ডুবে থাকেন।
আপনার নিজেকে প্রকাশটা অনবদ্য হচ্ছে। এবং সিরিজটি শেষ করতে করতে আশা করি নিশ্চয়ই এটাকে বই করার অনুপ্রেরণা পাবেন। আমার মন বলছে এটা সাবজেক্ট হিসেবে অসাধারন।

+++++++++++++

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যে লাইনগুলো কোট করেছেন সেগুলো লিখতে লিখতে অনেক আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম, কেদেছি আবার সেইদিনের কিশোরি মেয়েটির মতো। কাটাভরা পথগুলোতে আবারো চলেছি। সহজ ছিলনা আমার জন্যে। পরে যখনই এডিটিং করার সময় পড়েছি আবারো আবগী হয়েছি। অন্তর্দন্ধের যে কষ্ট আমি শুধু কয়েকজন টিচার ছাড়া আর কাউকে কখনো বলিনি এমনকি মা বাবাকেও না। বন্ধুদেরও দেখাতাম খুব মজায় আছি। তা ব্লগের হাজার মানুষের সামনে পোষ্ট করা আমার জন্যে সহজ ছিলনা। কিন্তু কেন যেন মনে হল এটা অনেক হবু প্রবাসি বিশেষ করে যারা আমার মতো বালাইয়ের কিশোর বয়সে নিজেদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিদেশে আসেন তাদের হেল্প করবে। আমার মা বাবা কখনো বুঝতে পারেননি আমার হাসিমুখের পেছনে দুঃখ। তারা ভেবেছেন ইংলিশ শিখছি, ভাল মার্ক পাচ্ছি তাহলে তো ভালোই আছি। কিন্তু এসব পড়ে অনেক প্রবাসি মা বাবা বুঝবেন কৈশর কত কঠিন পরীক্ষা হয়ে দাড়ায় বিদেশে! আর বেশি বয়সের মানুষেরও অন্তর্দন্ধের কষ্ট হয় বিদেশে, তারাও রিলেট করতে পারবেন।

বই?? হাহা। ও মোর জ্বালা লেখকের এত অভাব যে আমাকে বই বের করতে হবে? হাহা।
কম্প্লিমেন্ট হিসেবেই নিলাম ধন্যবাদ।
প্রতি পর্বে প্লাস, কমেন্ট, লাইকের সাথে পাশে থেকেছেন। আবারো বলছি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। সত্যিই নেই!
অনেক ভালো থাকবেন।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ----বই?? হাহা। ও মোর জ্বালা লেখকের এত অভাব যে আমাকে বই বের করতে হবে? হাহা।
কম্প্লিমেন্ট হিসেবেই নিলাম ধন্যবাদ।

লেখকের অভাব নেই সত্য। কিন্তু এমন সংবেদনশীল মন সবার নেই। আবার সেই মনের অনুভব প্রকাশের ভাষা সাহসও সবার নেই। স্রেফ কম্প্লিমেন্ট নয়- অন্তর থেকেই বিশ্বাস করে বলেছি- এমন লেখনির দরকার ভীষন রকম। হয়তো একটু এডিটরিয়াল টাচ পড়লে আরেকটু বেশি নানন্দনিক হবে- তবে র' ম্যাটেরিয়াল হিসাবে- অন্তত যদি আমি প্রকাশনা ব্যবসায় থাকতাম এডভান্স বুক করে রাখতাম।

আপনার প্রানখোলা ষ্টাইলটা বেশি আকর্ষনীয়। সাথে নিজের সাথে কথা বলার মতোন করে বলা। আর ঘটনা গুলোর গভীরতাকে সাবলীলতায় টেনে নেয়া... সত্যি ভিন্নরকম।

কৃতজ্ঞতা বরং আপনার কাছে আমার ;) আপনি লিখছেন বলেই না কত কিছূ জানলাম। কত দু:খ কষ্ট মজা আনন্দ, ব্যাথা, হৃদয়ে চাপা অনুভব একটা কিশোরী থেকে পূর্ন মানুষে উত্তরনের দ্বন্ধ, সাথৈ ধর্ম, সমাজ, লৌকিক বিশ্বাসের সাথে লড়াই, এক অনবদ্য লেখা দিয়ে আমাদের ঋদ্ধ করায় আপনার প্রতি অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনটা যে একটু বেশিই সংবেদনশীল, কি যে করি মনটাকে নিয়ে?

ব্লগিং জগতে কিছু কমেন্ট পেয়েছি যা অতি মজার/প্রশংসার/অনুপ্রেরনার ইভেন সুন্দর সমালোচনার কারনেও বারবার পড়ি আনন্দ নিয়ে। কখনো অন্যদের কমেন্টের জবাব দিতে ঢুকলে ঐ কমেন্টটাতে আটকে যেয়ে আবারো পড়ি। আপনার কমেন্টটা তেমনই একটা, অনেকবার খুশি মনে পড়ব।

এটাই তো সমস্যা আপনি প্রকাশনা ব্যবসায় নেই, থাকলে আমার লেখালেখিতে নোবেল কে আটকাত? ;)
জোকস আ পার্ট, আপনি এভাবে ভাবেন এটাই অনেক অনুপ্রেরনাদায়ক আমার জন্যে। ধন্যবাদ আবারো।

নিজের সাথে কথা বলার বিষয়টা একদম ঠিক বলেছেন। অনেক সময় লিখতে হেসিটেশন লাগে মনে হয় সবাই এটাও জানবে? তখন ভাবি নিজেকে বলছি, পোষ্ট করব না।তবে পরে ঠিকই পোষ্ট করি। হাহা।
নিজের আয়নায় আবারো নিজেকে দেখছি, আপনাদের সাথে সাথে আমিও যে নিজেই পাঠক হয়ে নিজের জীবনকে পড়ছি আবারো!

কত দু:খ কষ্ট মজা আনন্দ, ব্যাথা, হৃদয়ে চাপা অনুভব একটা কিশোরী থেকে পূর্ন মানুষে উত্তরনের দ্বন্ধ, সাথৈ ধর্ম, সমাজ, লৌকিক বিশ্বাসের সাথে লড়াই, এক অনবদ্য লেখা দিয়ে আমাদের ঋদ্ধ করায় আপনার প্রতি অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কত সুন্দর করে বলেন আপনি! আপনার কমেন্টে ++++++++++++++++++++++++++++++++++। এতদিনে যত প্লাস দিয়েছেন তার শোধবোধ হাহা।
ভালো থাকবেন।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: আমি লিভ টুগেদারেই বিশ্বাসী, যাকে পছন্দ করি তাকে নিয়েই। সেটা আইনীভাবে সিদ্ধ করে বা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, যেভাবেই হোক। বিয়ে কোন বন্ধনকে আইনগত সুবিধা আর সামাজিক স্বীকৃতি দিতে পারে, টিকিয়ে রাখা নিজেদের ব্যাপার। ওইটার জন্য অন্য জরুরী একটা ব্যাপার লাগে, আমরা তাকে ভালোবাসা নাম দেই।

পোস্টে ভালোলাগা রইল। শুভকামনাও। :)

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা এটা কেউ বলবে মনে হয়নি। সত্যিই লিভ টুগেদারে বিশ্বাসী আপনি? হুম এখন বুঝতে পারছি কানাডায় আসার প্ল্যান কেন করছেন। নানা সবার নিজস্ব ভাবনা চিন্তা থাকে। আপনার ভাবনাচিন্তা আপনার কাছে।

ভালবাসা? হুম যেভাবে বিচ্ছেদে অানন্দ পাচ্ছেন কিভাবে টিকে থাকবে? হাহা।

আপনাকে মন্তব্যের জন্যে শুভকামনা, ভাল থাকুন।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১১

বিপ্লব06 বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা পর্ব নিঃসন্দেহে।
ওপেন ম্যারিজের কনসেপ্টটাই আমার কাছে পারসোনালি আনফেয়ার মনে হয়। আমার কাছে বিয়ে করার মানে একজন আরেকজনের প্রতি লয়াল থাকার জন্য সাইন আপ করা, নো ম্যাটার হোয়াট। ভালো না লাগলে ডিভোর্স তো আছেই। কেন ওপেন ম্যারিজে থাকা লাগবে?

ডিভোর্স নিয়ে আমি কিছু হরর স্টোরি খুব কাছ থেকে দেখছি। মেইড আপ কেইস দেকছি। এক বড় ভাইকে খুব কাছ থেকে সাফার করতে দেকছি। দুঃখজনক ব্যাপার হইল যে, ছেলেরা যে এই প্রসেসটার মেজর ভিক্টিম এইটা সহজে লোকে বিশ্বাস করতে চায় না। একটা ছেলে একটা মেয়েকে থাপ্রাইলে ওইটা হয় ডমেস্টিক ভায়লেন্স, কিন্তু একটা মেয়ে আরেকটা ছেলেকে থাপ্রাইলে ওইটা হয় "হি মাস্ট হ্যাভ চিটেড অন্য হার ওর ডান সামথিং রং, হি ডিজারভস ইট"।

আর লাস্টের পার্টটা সুপার হইছে। আসলে এইভাবে করেই মানুষ ইভল্ভ হয়। এইরকম পরিবেশে নিজের স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখাটা বেশ কঠিন। কোন এক সময় এই রেসিস্ট্যান্সটা ভেঙ্গে পড়তে পারে (এক্সেপশন আছে)। কিন্তু কিছুদিন পর জখন মনে হয় হোয়াট হ্যাভ আই ডান, তখন যেটুকু অবশিষ্ট থাকে সেইটাকেই যক্ষের ধনের মত করে আঁকড়ে ধরা লাগে।

আমি আপনার আগের এক পোস্টের কমেন্টে আইন্ডেন্টিটি ক্রাইসিস নিয়ে বলছিলাম, এইটাই হচ্ছে সেই লেভেলটা। যেইটা প্রথমে বেশ ভালভাবেই এফেক্ট করে। যেই আমাকে হলের তাবলীগ ভাইয়েরা টেনেহিচড়ে ধরেও নামাজ ধরাইতে পারে নাই, তিনদিনের জন্য তাবলীগে নিয়ে যাইতে পারে নাই, সেই আমি এইখানে আসার কিছুদিন পর নভিস লেভেলের সেলফ টট ধর্মীয় স্কলার হয়ে গেছিলাম। ওই টাইমটা লাইফের বেস্ট পার্ট ছিল। তখন কেউ চড় মারলে, উল্টা চড় মারার বদলে মনে হইত, বেচারা বোঝে না। অবুঝ। এর হেদায়াত দরকার। জখন বুঝবে তখন নিজেই কানবে।

আর খ্যাত হইয়া থাকার আপসাইড হইল, "কুল কিড" হওয়ার কোন প্রেশার থাকে না। লাব বিয়িং খ্যাত।

হোপফুলি আপনের কি-বোর্ড কাজ করতেছে। চোখের জলে শর্ট-সার্কিট হইয়া যায় নাই তো আবার???

ভাল থাকবেন।

১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওরে বাবা বুদ্ধুকুমার কত বড় কমেন্ট করে ফেলেছেন!! আমিও বড় রিপ্লাই দিই, কি আর করা!

আসলে ওপেন ম্যারেজের থিয়োরি ওয়াইজ মানুষ কন্সটেন্টলি প্রেমে পরতে থাকে বিয়ের পরেও। আর বিয়ের পরে প্রেমে পরার মানে এই না যে সে তার পার্টনার কে আর ভালবাসেনা। সে দুজনকেই ভালবাসে, তাই ডিভোর্স না নিয়ে দুদিক চালিয়ে সংসার বাচানোর চেষ্টা চালায় বলতে পারেন।

এটা কেন হয় জানেন? কেননা একটা মেয়ে যতটা খারাপভাবে টর্চারড হয় একটা ছেলে সাধারনত সেভাবে হয়না। প্রাকৃতিকভাবেই ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বেশি শক্তীশালি হওয়ায় অনেকে এটা খারাপভাবে ইউজ করে। যেমন আমি আপনাকে জোরে চর মারলে আপনার শুধু অপমান লাগবে কিন্তু আপনি আমাকে জোরে চর মারলে আমার পুরো গাল লাল হয়ে ব্যাথা করতে শুরু করবে। এছাড়াও ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপসহ অনেক কিছুই আছে যা শুধু মেয়েদের ওপর দিয়েই যায়। তাই আইন মেয়েদেরকে বেশি সুবিধা দেয়, এবং দেওয়াটা উচিৎও। বুদ্ধুকুমার কিছু বুঝবে বলে মনে হয়না।

আমিও তো আপনাকে বলেছিলাম পরের পর্বে এটা নিয়ে লিখব।
আবারো ফিরে যান সেই লাইফে, হাহা টুপি পরা হুজুর বুদ্ধুকুমার।

আয় হায় আপনিও খ্যাত? হাত মেলান। কোথায় ছিলেন এতদিন? আপনাকেই তো খুজছিলাম হাহা।

আমি কিন্তু সত্যিই কাদছিলাম, আর আপনি মজা করছেন। বাহ কি সেন্সিভিটি!! বুদ্ধুকুমার কি আর সাধে বলি?

হুম বুদ্ধুকুমারও অনেক ভাল থাকুক, মনে কোন কষ্ট থাকলে সেটা ফেস করে উঠে দাড়াক আবার।

১০| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৪

সম্রাট৯০ বলেছেন: এসবের ভিতর দিয়েই আসছি আমিও কিন্তু আপনার মত করে এত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখিনি । এই নিন গান ,জানি আগেই শুনেছেন তবুও দিলাম, দেবো যতবার আসবো ........:)

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপনিও প্রবাসি? কোথায় থাকেন?

গান কোথায়? গান দিয়ে যান। প্রমিজ করেছেন কিন্তু। এখন থেকে সবসময় গান দিতেই হবে। :)

১১| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১১

সম্রাট৯০ বলেছেন: আপনার নিকটেই। গান দিয়েছি, একটা জিনিস ভালো পারি যখন প্রমিজ করি তা রক্ষা করতে। খুজে দেখুন গান আছে সেখানেই।

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এমেরিকা? নাকি কানাডাতেই? যদি সমস্যা থাকে তবে বলতে হবে না।

আপনি যদি মজা করে থাকেন তবে কিছু বলার নেই। তবে গান দেওয়া মানে লিংক দেওয়া,

এসবের ভিতর দিয়েই আসছি আমিও কিন্তু আপনার মত করে এত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখিনি । এই নিন গান ,জানি আগেই শুনেছেন তবুও দিলাম, দেবো যতবার আসবো ........:)
এর মধ্যে কোন লিংক নেই। এখন যদি গান শব্দটাকে মিন করেন তবে কিছু বলার নেই। ;)

১২| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২১

সম্রাট৯০ বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহ ডট গুলোর পরে যেই ইমো আছে সেটায় ক্লিক করেন । এখানের ইমোতেও একটা দিলাম। :)

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা ছেলে কি ক্রিটিকাল!! পেলাম, ধইন্যা পাতা।
না আমি ইংলিশ গানটা আগে শুনিনি। কম ইংলিশ গান শোনা হয়। আপনাকে এখন যেটা শুনছি সেটা দিলাম view this link

আর বাংলা গানটা সুন্দর। ছেলেটা বাংলাদেশী আইডল হতে পারেনি দেখে কষ্ট পেয়েছিলাম। ভাল গায়।

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: গানের জন্য ধন্যবাদ .... :)

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার ব্লগবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কোনদিন কিছু পোস্ট করুন, কবিতাই হোক, পড়বনি মজা করে।
ভাল থাকুন। আমার ব্লগবাড়িতে সবসময়েই স্বাগতম। :) (ক্লিক কইরেন না গান নেই এর মধ্যে)।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: উফ সরি ভুলে ক্লিক পড়ে গেছে, :)

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা গুড ওয়ান। আমার প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত শোনেন একটা, :) আমাকে ক্লিক করুন।

একটা জিনিস খুব ভালো লাগল যে আপনি সবধরনের ইংলিশ, বাংলা, ব্যান্ড, রবীন্দ্রসংগীত শোনেন। আমিও এরকমই। সব ধরনের গান শুনি। You have good choice of music.

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: ধন্যবাদ ছুয়ে দিলে মন সব গান আমার ভালো লাগে , আপনার পছন্দও সুন্দর :)

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম আপনার কমেন্টে আমার সবচেয়ে প্রিয় গানগুলোর একটা মনে পরল। এক ক্রাশের কন্ঠ, এবং আরেক ক্রাশের দৃশ্বায়ন। আমাকে ক্রাশ করে খুন করে দেবার মতো গান, শুনুন।
ধন্যবাদ।

১৬| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: Tribute to my favorite blogger. :)

https://www.youtube.com/watch?v=ITqILHf25u8

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইহা আমি কি পড়িলাম? আমি কারও প্রিয় ব্লগার!!! হায় এই আনন্দে তো মনে অটোমেটিক খুশির গান শুরু হয়ে গিয়েছে হাহা।

অনেক ধন্যবাদ। গানটা আসলেই অনেক গভীর, মনে ধাক্কা লাগে শুনলে। আপনিও একটা
শুনুন।

১৭| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২২

সম্রাট৯০ বলেছেন: তাহলেতো এটাও মনে হয় আপনার ক্রাশের মধ্যে আছে তাইনা? :)

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করবেন না এই গানটাই পরে আপনাকে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম। হাহা। হ্যা এটাও আমার জানের জান একটা গান।
কিন্তু এখন কোনটা দেওয়া যায় আপনাকে? আচ্ছা এটা শোনেন view this link

১৮| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৫

অন্তু নীল বলেছেন: আপনার যে কটি লেখা পড়েছি, প্রতিটিই ভীষণ ভালো লেগেছে। কি সুন্দর সহজ এবং সাবলীল। অন্যের সংস্কৃতি যেন নিজ চোখে দেখছি। একেবারে বাস্তব, জীবন্ত। লেখা চালিয়ে যাবেন অবশ্যই। আর হ্যা, বই আকারে প্রকাশ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস, বেশ ভালো হবে।

ভালো থাকবেন।

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক উৎসাহমূলক একটা কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ।

হায় হায় এগুলো বই বের করার মতো লেখা না! ব্লগে লেখা এক জিনিস, টাকা লাগেনা মানুষ পড়ছে। টাকা দিয়ে কেউ এই জিনিস কিনবেনা। কিন্তু আপনি বিশ্বাস রেখেছেন এজন্যে অনেক ধন্যবাদ।

আপনিও অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

১৯| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৪

টু-স্টেপ বলেছেন: I think very small portion of people practice live together. It's been always that odd practices in society catches most eyes. Most of the Canadians live family life and maintain good family bonding. And Canadians are very liberal. You can do what you want to do unless it brings harm to others. One thing I learned from westernized culture that you don't follow what others do. You have everything to make your own norms and ideology. And that makes harmony in this diverse culture.

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি জানিনা আপনি কোন কানাডার কথা বলছেন কিন্তু যে কানাডা আমি দেখেছি তাতে আজকাল লিভ টুগেদার না করে বিয়ে করেছে এমন উদাহরন বিরল। তবে আপনার এক্সপেরিয়েন্স আলাদা হতেই পারে।

পরের কথার সাথে শতভাগ সহমত। ওদের কালচারে কাউকে ফলো করেনা, যা নিজের মনে আসে তাই করে। একে অপরকে নিন্দা করেনা, শুধু নিজের মতো করে নিজের জীবনকে সাজায়। তাইতো বিভিন্ন দেশের মানুষ নিজের মতো করে থাকতে পারে এখানে।

ধন্যবাদ সময় নিয়ে কমেন্ট করে নিজের ভাবনা শেয়ার করার জন্যে।

২০| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬

ফাহিমোসিস ফয়সালোসিস বলেছেন: অদ্ভুদ সুন্দর সবগুলো পর্ব । এ পর্বটাও ব্যতিক্রম নয় । সিরিজে প্রথম থেকেই আছি ,নীরবে । বই হিসেবে বের করার যে দাবি এসেছে , সেটাকে জোর সমর্থন করছি । ধন্যবাদ এরকম একটা সিরিজ লেখার জন্য

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম আপনাকে সরব করতে পর্ব তেরো পর্যন্ত লিখতে হল। এ পর্বটা লেখা তাহলে সার্থক, হাহা।

সবার হলো কি? এটাতো সাধারন মানুষের জীবনকাহিনি, ব্যক্তিগত ডায়েরি এটা বই কিভাবে হয়? আমিতো ফেমাস কেউ না যে আমার আত্মজীবনি বের হবে। তবে এধরনের কথায় বুঝতে পারছি আপনারা এই সিরিজটা অনেক পছন্দ করছেন। I am honored and couldn't be grateful enough. অনেক ধন্যবাদ এতটা অনুপ্রেরনা দেবার জন্যে।

অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

২১| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উনি বললেন, "কানাডায় ডিভোর্স নিলে হাসবেন্ডকে অর্ধেক সম্পত্তি দিতেই হয় ওয়াইফকে সিকিউরিটি হিসেবে, ওয়াইফ যদি বাচ্চাদের কথা বলে আরো দাবী করে তবে কোর্টের ডিসিশনে অনেক সময় তাও মেনে নিতে হয়। আর জানো, "আমার নাম" কানাডায় ৫০% এর বেশি বিয়ে ভেংগে যায়।" লিভ টুগেদার বাড়ার কারণ বোধহয় এটাই, না?

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শুধু লিভ টুগেদারই না, অনেক মানুষ যে বিয়ে করছেই না আজকাল তার পেছনের কারনও তিনি এটাই বোঝালেন। আরো অনেক ফ্যাক্টর থাকতে পারে। তবে ওনার বিশ্লেষন এটাই ছিল।

আপনাকে মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২২| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

নকটার্নাল বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম!

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, জানাতে পেরে আনন্দিত।

২৩| ১২ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

অদৃশ্য বলেছেন:



ভালো লাগছে, নতুন নতুন ঘটনা ও আপনার প্রকাশ... মজা পাচ্ছি, জ্ঞানও বাড়ছে... আরও চমৎকার সব ঘটনা ও গল্প জানবার অপেক্ষায় থাকলাম...

শুভকামনা...

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মজা লাগছে জেনে অনুপ্রানিত হলাম। সাথে থাকুন, পরের পর্বগুলোতে আরো জানবেন।
আপনাকেও শুভকামনা।

২৪| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: যেহেতু আমি কখনো কানাডায় যাবো না, তাই ওটা নিয়ে ভাবি না। তবে আপনার লেখা মাঝে মাঝে পড়ি।

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না এটা কানাডায় যাওয়া মানুষের জন্যেই শুধু না। বরং আমিতো বলব এটা যারা যাবেন না তাদের আরো আনন্দ দেবে। দেশটা ভ্রমন না করেও হয়ত অনেক কিছু জেনে যাবেন।

মাঝে মাঝে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মত আমিও সবকিছু মেনে নিতে পারলাম না। বিশেষ করে পার্টনার থাকা স্বত্ত্বেও পরকীয়া করার ব্যাপারটা। শুধুমাত্র সুখ আর 'ফান' এর পেছনে ছুটলে শরীর-মন আনন্দ পায়, তবে আত্মা মরে যায়। এর পরের পর্বে বৃদ্ধ জীবনের ওল্ড হোমের বঞ্চনা, প্রাপ্তবয়স্ক হবার সাথে সাথে সন্তানের সাথে দূরত্ব বাড়া এসব নিয়েও লেইখেন। আমাদের দেশে এখন এক ক্রান্তিকাল চলছে। কয়েক দশক পরে দেশটা কানাডার মত হবে নাকি আফগানিস্তানের মতো, বুঝতে পারছি না। তবে প্রথমটা হলে সেক্ষেত্রে আমি জেনারেশন গ্যাপের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারা এক রাগী বুড়ো হব বলেই বোধ হচ্ছে!

১৩ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী আইডিয়া দেবার জন্যে ধন্যবাদ। বৃদ্ধ জীবন নিয়ে লিখব একসময়। আমার মনে বাংলাদেশ কানাডার মতোই হবে এবং কেন হবে সেটা নিয়েও একটা পর্ব করব।
হাহা রাগী বুড়ো? আমি আশা করি সেরকম কিছু হবে না। আপনি হয়ত বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে আরো পছন্দ করবেন, তাও তো হতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। সাথে থাকবেন পরের পর্বগুলোতেও।
ভালো থাকুন।

২৬| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে কানাডিয়ান কালচার সম্পর্কে কিছু জানতে পারলাম। অস্থানে ভাব নেয়ার জন্য এই জ্ঞানটুকু দরকার ছিল। :P
যদিও তাদের অনেক বিষয় মানতে নারাজ। কারণ আমাদের কালচার বা ধর্মের সাথে যায় না বা মন সায় দেয় না বলে। তাতে কিইবা আসে যায় তাদের। তারা তাদের মত জীবনযাপন করুক। আর ১৮ প্লাস ট্যাগটা না দিলেও চলতো বোধয়। কারণ এখানে যারা আসেন তারা বেশীর ভাগই এই বয়সটা পার করে আসেন। ভাল থাকুন এবং লিখে যান আরও।

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কোন যুগে পরে আছেন? এখন মায়ের পেট থেকে পরেই মানুষ ফেসবুকিং, ব্লগিং শুরু করে দেয়! আর আমার ব্লগে এক ক্লাস টেনের ছোট ভাই এসে বলেছিল লেখা ভাল লেগেছে। অনেক টিনএজার ব্লগ পড়ে, লেখে। খারাপ না যদি ভুল কিছু না শিখে ফেলে, ব্লগতো লেখক হিসেবে তৈরি করে অনেককে।

সেটাই ওদের কিছু যায় আসেনা, আসা উচিৎও না। ওরা ওদের মতো আমরা আমাদের মতো।

সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আপনিও।

২৭| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৭

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: অালস্যের কুঁড়েঘর এত তাড়াতাড়ি ভাঙবে (কিংবা এত সময় নিয়ে ভাঙবে) সেটা ভাবিনি......তবে দুর্ভাগা ১৩-তে এসে হাত-পা একটু খুলতে ইচ্ছা করল বোধহয়, তাই কিবোর্ডে ভাঙচুর শুরু করলাম B-)

সিরিজের জন্মলগ্নে- যখন ডাইনোসররাই বেঁচেবর্তে ছিল তিন কূলে, তখন সাবলীলতায় যে অপরিপক্কতাটুকু ছিল, সেটা কাটিয়ে যথেষ্ট ঝরঝরে হয়েছে এখন.....বৈদেশ কাহিনি পড়তে রহস্য গল্পের চেয়ে কোন অংশেই অামার কাছে কম মনে হয় না, প্রতিবারই অাপনার কানাডাকাব্য বেশ মজা নিয়েই পড়ি।
তাছাড়া চঞ্চলা কৈশোরের দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয়ই খানিকটা সারল্য অার নষ্টালজিয়া যোগ করবে লেখায়- এই অাশায়ও দু'দিন পরপরই অ্যাড্রেসবারে টাইপ করে অাপনাকে খুঁজতাম- যাক নিরাশ করেননি :#)

দিনলিপির বিষয়গুলোর নির্বাচন বেশ ভাল এবং ক্রমান্বয়ে উপযোগী ছিল.....তবে বর্ণনা অারো একটু সুন্দর করতে পারেন যদি বেশ কয়েকটা প্যারায় লেখেন (ভয় পাবেন না, লেখা যদি বড়ও হয়, উপাদেয় হলে ম্যাঙ্গো পিপল সাবাড় করতে বাধ্য :P ) এবং কথোপকথনগুলো যদি ওরকম ফরম্যাটে লেখেন.....পাঠকের চাহিদার তো শেষ নেই- কি বলেন??

তো কানাডার ট্রেন চলতে থাকুক, অামরা ক'জন নিয়মিত যাত্রী তো অাছিই, অার পথে-প্রান্তরে স্টেশনের তো কোন শেষ নেই :)

***** অাপনার বানানের নির্ভুলতা দারুন লেগেছে, ছোটখাট ভুলগুলো যা অাছে, কুড়িয়ে ছেঁটে ফেললে ষোল অানা পূর্ণ হয় বটে ;)

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্র‌থমদিকের লেখাগুলোই আমার বেশি প্রিয়। সেগুলোতে অনেক ছোট ছোট সমস্যা, সরলতা ছিল। এখন কেমন যেন বিশ্লেষনধর্মী লেখা লিখে ফেলছি! কিন্তু পাঠকেরা এটাই বেশি পছন্দ করছেন জেনে ভাল লাগছে।

এই অাশায়ও দু'দিন পরপরই অ্যাড্রেসবারে টাইপ করে অাপনাকে খুঁজতাম- যাক নিরাশ করেননি
I am honored যে আপনি আমার লেখার অপেক্ষায় থাকতেন। অনেক অনুপ্রেরনাদায়ক এ লাইনটা।

তবে বর্ণনা অারো একটু সুন্দর করতে পারেন যদি বেশ কয়েকটা প্যারায় লেখেন ভয় পাবেন না, লেখা যদি বড়ও হয়, উপাদেয় হলে ম্যাঙ্গো পিপল সাবাড় করতে বাধ্য
আমি পরের যে পর্বটা লিখছি সেটা বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। আমি ভাবছিলামই কিভাবে কাটা যায়। কাটতে গেলে দেখি কি সূক্ষ বর্ননাগুলো চলে যায়, জরুরি জিনিসগুলো থাকে কিন্তু লেখার আকর্ষন কমে যায়। আবার বড় লেখা যত ভালোই হোক না কেন একটা সময় পাঠক খেই হারিয়ে ফেলেন। সবকিছু না পড়ে বাদ দিয়ে দিয়ে পড়তে থাকেন। এই উভয়সংকটে নিজের বেস্টটা ট্রাই করেছি। তবে আপনার কথা মাথায় রাখব।

অাপনার বানানের নির্ভুলতা দারুন লেগেছে, ছোটখাট ভুলগুলো যা অাছে
বানান আমি জানি কিন্তু কখনো টাইপিং মিসটেক হয়, আবার আলসেমী লাগে চন্দ্রবিন্দুটা দিতে বা সেরকম কিছু। তবে খেয়াল রাখি যেন বেশি ভুল না হয়, নিজে পড়তে পড়তে ভুল পেলে ঠিক করে দিই।

তো কানাডার ট্রেন চলতে থাকুক, অামরা ক'জন নিয়মিত যাত্রী তো অাছিই, অার পথে-প্রান্তরে স্টেশনের তো কোন শেষ নেই :)
হুম তেরো পর্বে এসে কমেন্ট করে নিয়মিত যাত্রী না?? হাহা। সবসময় নীরবে হলেও পাশে থেকেছেন এজন্যে ধন্যবাদ। এখন সরব হবার জন্যে আরোই ধন্যবাদ।

অনেক সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন যেখানে আমি কিভাবে লেখা ইমপ্রুভ করতে পারি সেটা বলেছেন, অনুপ্রেরনা দিয়েছেন। সেজন্যে অনেক ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকবেন।

২৮| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৫

বিক্ষুব্ধ জনতা বলেছেন: যদিও আজকে প্রথম এই পর্ব পড়লাম,তবুও অনেক কিছু জানলাম।আগের সবগুলো পড়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী সময় করে একদিন সব পর্ব পড়ে নেবেন। খারাপ লাগবে না আশা করি। এ পর্বে সাথে থাকার জন্যে আন্তরিক অভিনন্দন।
ভাল থাকবেন।

২৯| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ জনাবা।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ জনাব আপনার কমেন্ট ছাড়া তো পোষ্টটা সার্থকই হতো না।

কি অদ্ভুত দেখুন, যারা প্রথমদিকে উৎসাহ দিয়ে লেখাতেন তাদের অনেকেই এ পোষ্টে নেই। আবার অনেক নতুন নীরব পাঠকদের সরব হতে দেখলাম। আশা করি পূর্বপরিচিতরাও পোষ্টটি পড়বেন।
আপনিতো এসেছেন, অন্যরাও আসবে।

জনাব যেন অনেক অনেক ভাল থাকেন জনাবার এই দোয়া।

৩০| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, জনাবার জন্যও রমযানের শুভেচ্ছা.... :)

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম রমযান মোবারক। আল্লাহ সকল ইবাদাত কবুল করুন এবং সকল পাপ ক্ষমা করুন আপনার। :)

৩১| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

গাজী বুরহান বলেছেন: এডাল্ট হইয়া গেছিরে... :#)

অনেক কিছু জানলুম !:#P

২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা মজার কমেন্ট। এডাল্ট মুবারক।

ভাল থাকুন।

৩২| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৫

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: ধন্যবাদ এত সুন্দর করে লেখার জন্য আশা করব আরও লিখবেন আপনি অপেক্ষায় থাকব

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি ১৬ পর্যন্ত লিখেছি, না পড়ে থাকলে পড়ে ফেলুন, অপেক্ষার প্রয়োজন হবেনা। হাহা।

উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

৩৩| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা অনেক ভালো লেগেছে ।
শুভকামনা

২৬ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও শুভকামনা।

৩৪| ২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৬

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: হে পরে পাইছি বাকি পর্ব গুলো ধন্যবাদ এত সুন্দর করে লিখার জন্য আশা করি আরো লিখবেন।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আরো পর্ব লিখব, সাথে থাকুন।

অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৩৫| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:২৬

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপু তারাতারি লিখবেন আপনার লেখা গুলো মন ছুয়ে য়ায।ওপেক্ষায় থাকব আর আমার জন্য দুয়া করবেন যদি আল্লাহ ভাগ্য লিখে রাখেন তাহলে ইনশাআল্লাহ রমজানের পর কানাডা চলে আসব বাকিটা আল্লাহ নিভর্র।অপেক্ষায় থাকলাম আপনার লেখার।

২৯ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাড়াতাড়ি হয়ত হবেনা পরের পর্বটা, আরো কয়দিন লাগবে। আড্ডা পোষ্ট নিয়ে টানা ব্যস্ত ছিলাম। একটা লাইনও লিখতে পারিনি পর্ব ১৬ লেখার পরে। যাই হোক তাও যত জলদি পারি দেব।

আমার লেখা আপনার মন ছুঁয়ে যায় সেটাই তো প্রাপ্তি।
অনেক ভাল থাকবেন।

৩৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

পবন সরকার বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.