নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৭) : কানাডায় আমার প্রথম হ্যালুইন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে vs এক আবেগী জাতির পাগলামি

১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ঈদের মতো পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ন উৎসব শেষ হয়ে গেল। উৎসবের মেজাজে থাকতে থাকতে মনে হয়েছিল এটাই হয়ত কানাডিয়ান এবং বাংলাদেশীদের উৎসবের ধরন, মিল, বৈপরিত্ব নিয়ে পর্ব লেখার সঠিক সময়। সবকিছুতেই উৎসব স্পেশাল কিছু থাকে, তো আমিই বা বাদ পরব কেন? হাহা।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি

হ্যালুইন: তখন আমি মোটামুটি নতুনই, কেবল এডজাস্ট করতে শুরু করেছি। ইংলিশ বলতে পারি ভালোমতোই কিন্তু একসেন্ট আলাদা হওয়ার কারনে কেউ তেমন বুঝতে পারেনা। তবে আমি কানাডিয়ানদের বেশিরভাগ কথা পরিষ্কারভাবে বুঝি। কানাডায় যে ক্লাসটা আমার জীবন নরক বানিয়ে রেখেছিল সেটা হচ্ছে জীম ক্লাস। দুই তলাবিশিষ্ট জীম ক্লাসটা কি ভীষন বড় ছিল! উপরের তলাটা অনেক ধরনের বিশালাকার নাম না জানা জটিল সব এক্সারসাইজ মেশিনে সাজানো! আমি কোনটা কি করতে হয় কিছুই জানতাম না প্রথমদিকে। দেয়াল ঘেষে আঁটা বড় আয়নার সামনে বিভিন্ন সাইজের ডাম্বেলস রাখা। সারি সারি সাইক্লিং মেশিন রাখা আরেক পাশের দেয়ালের সামনে। আর নিচতলা তো আরোই এলাহী কাজকারবার। বিশাল রুমের মেঝে ঘিয়ে টাইলসে মোড়ানো এবং ঝকঝকে থাকত সবসময়, নিজের চেহারা পরিষ্কার দেখা যেত। দেয়াল ঘেষে অনেকগুলো ফোল্ডিং সিস্টেমের বেঞ্চ যা স্কুলের অর্ধেকের বেশি স্টুডেন্টকে ধরে ফেলবে। একটা স্টোররুমও ছিল এককোনে যাতে হকি থেকে শুরু করে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ল্যাকরস, বাস্কেটবলসহ সবধরনের খেলার সরন্জাম থাকত। টিচার বলতেন আজ এই খেলা হবে। সেই অনুযায়ী ক্লাস টিএরা সব সেট করে ফেলত নিমিষেই! আবার ক্লাস শেষ তো পুরো রুম আগের মতো কিছুই নেই, ফাঁকা! জিমের পিছন দরজা দিয়ে চলে যাওয়া যায় সবুজ, সতেজ ঘাসবিশিষ্ট মাঠে। কি বিশাল এক মাঠ সে! স্নো না থাকলে ক্লাসটা সেখানেই হতো। এজন্যে সবাই গরমের চেয়ে শীতের সেমিস্টারে জীম ক্লাস নিতে বেশি পছন্দ করত নাহলে তপ্ত সূর্যের নীচে দৌড়াতে দৌড়াতে জান চলে যাবে যে!

অন্য কানাডিয়ান স্টুডেন্টরা এসব খেলা, এক্সারসাইজ মেশিন মায়ের পেট থেকে পরেই ব্যবহার করতে শুরু করে। আমাদের চেয়ে শারিরীক গঠনে এগিয়ে থাকে লম্বায় চওড়ায়। আমার বেশ অস্বস্তি বোধ হত ওদের সাথে ক্লাস করতে। বুঝতাম ওদের তুলনায় বেশ দূর্বল আমি। খেলাগুলো খেলে হাত লাল করে বাড়ি ফিরে আসতাম। মনে হত সেই ৭০ মিনিটে শরীর ভেংগে যাচ্ছে! ভয় লাগত ক্লাসটার কথা মনে পরলেই। প্রতিদিন কেন জীম ক্লাস থাকে তাই ভাবতাম!
আর বাংলাদেশে তো ড্রিল ক্লাসের মজাটাই অন্যরকম ছিল। সপ্তাহে একদিন হওয়া ৩০ মিনিটের ক্লাসটার জন্যে সবাই অপেক্ষা করে থাকতাম। প্রথম ক্লাস থেকেই বান্ধবীদের সাথে আজ খেলাধূলা হবে বলে ইশারাবাজি। কি সহজ সব মজার খেলা আর হাত উঠানামা করার এক্সারসাইজ ছিল। কোন মেশিন, বল কিছুই ছিলনা। ব্যাস নিজের ব্যক্তিগত হাত পা ব্যবহার করে যতো যা করা যায় করতে থাকো হাহা। সেই আমার জন্যে এমন ক্লাস তো কঠিন মনে হবেই!

যাই হোক, প্রথমদিকের ঝক্কি পেরিয়ে একটা পর্যায়ে এসেছি যখন একটু অভ্যাস হতে শুরু করেছে খাটনিটা। ভালো লাগত না কিন্তু করতে করতে ভয়টা কেটে গিয়েছিল। ক্লাসের শুরুতে আমরা স্টুডেন্টরা সারি করে নিচতলায় এক কোনে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছি। এভাবে কিছুক্ষন থেকে রেস্ট নিয়ে তারপরে দৌড় এবং অন্যান্য কার্যবলী শুরু হবে। সব খুব শান্ত হয়ে আছে। তিনজন টিচার জীম ক্লাসে থাকতেন, তারা কাছেই চেয়ার নিয়ে বসে আছেন। এটা তুফানের আগের শান্তি বলতাম আমি মনে মনে। এমন শান্তিময় সময়ে হঠাৎ করে বিকট শব্দ করতে করতে একদল অদ্ভুত ভয়ালদর্শন পোশাকের মাস্কধারী মানুষ ঢুকল রুমে। দৌড়ে পা দাপিয়ে লাফাতে লাফাতে আমাদের কাছে এসে হাত মুখ বিকৃত করে অংগভংগি করতে লাগল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি একদম গায়ের মধ্যে ঢুকে আসছে চিল্লাতে চিল্লাতে। আমি দেয়ালে আরো ঠেস দিয়ে পিছনে সরার চেষ্টা করলাম। চমকে, হতবিহব্বলতায় আমার মুখ পলকেই রক্তশুূন্য হয়ে গেল। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। একটু দূরে বসে থাকা একজন কানাডিয়ান সহপাঠির চিৎকার শুনতে পেলাম। প্রচন্ড উৎকণ্ঠায় মেয়েটার কি হয়েছে দেখার চেষ্টা করি ঘাড় ঘুরিয়ে।

কিন্তু একি! মেয়েটার মুখ হাসি হাসি! ভয়ের ভান করছে, কিন্তু ভয় পাচ্ছে না। টিচাররাও মুচকি মুচকি হাসছেন! আরেহ! রক্তলাল রং মাখা, মাস্ক পরা মানুষটা টিচারের সাথে হাই ফাইভ করছে! আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। আশেপাশের সবাই যেন ভয়ের একটা দৃশ্যের রিহার্সাল শেষ করে স্বরুপে মজা করছে! দিব্যি হাসাহাসি, গল্প চলছে দৌড়ে আসা মুখ ঢাকা মানুষগুলোর সাথে। কারুকাজপূর্ন মাস্ক পরা আরেকটা ছেলে হাতে কুমড়ার মতো প্লাস্টিকের পাত্র থেকে নিয়ে চকলেট ছুড়ে মারছে সবার দিকে! একটা এসে আমার কোলের ওপরে পরল। একটু ধাতস্থ হয়ে বুঝলাম এদের কোন মজার দিন। কি কিছুই জানতাম না তবে সবাইকে খুশি দেখে ভাল লাগল। আমার ভয় পেয়ে চমকে যাওয়াটা যে বোকামী হয়েছে বুঝতে পেরে মুখে এমন হাসি আনলাম যেন আমি ওদের উৎসবের সব জানি এবং খুব মজা পাচ্ছি এমন কান্ডকর্মে। সবাই একে অপরকে "হ্যাপি হ্যালুইন!" বলে উইশ করছে। এখন বাংলাদেশে অনেকেই হ্যালুইন কি তা জানার সাথে সাথে সেলিব্রেটও করে। কিন্তু আমি তেমন কিছু জানতাম না তখন। কোন গল্পের বইয়ে একবার পড়েছিলাম কিছু তবে ডিটেইলে তখন মাথায় ক্লিক করেনি।

পরের দিন E.S.L. ক্লাসে টিচার বললেন আজকে তোমরা কানাডিয়ান উৎসব হ্যালুইন সম্পর্কে জানবে। অনেক লেকচার দিয়ে ওয়ার্কশিট দিলেন এসাইনমেন্ট হিসেবে। একজন ইজিপ্টের স্টুডেন্ট জিজ্ঞেস করল, "তোমাদের উৎসব কিন্তু স্কুল ছুটি না কেন?" টিচার মিষ্টি হেসে বললেন, "বাচ্চারা তাহলে সারাদিন দুষ্টুমি করত, তাই সারাদিন স্কুলে আটকে রেখে দুষ্টুমির লিমিটটা শুধু রাতের জন্যে বেঁধে দেওয়া হয়।" আমরা সবাই মাথা নাড়লাম বুঝতে পেরে।

হ্যালুইনের ইতিহাস অনেককিছু জানলাম টিচারের লেকচার শিটগুলো পড়ে। ওয়ার্কশিটগুলো ফিল করতে করতে একটা প্রশ্নে এসে থমকে গেলাম। প্রশ্নটা ছিল, এমন একটা উৎসব বর্ণনা করো যা হ্যালিউনের মতোই তবে তোমাদের কালচারে পালন করা হয়! আমি এখন কি করি? বাংলাদেশে থাকতে তো হ্যালিউন কি তাই ঠিকমতো জানতাম না, আবার তার মতো কোন উৎসব! কি লিখি? অনেক চেষ্টা করেও কিছুই মনে করতে পারলাম না। টিচারের কাছে গেলাম, ভাগ্যবসত সেদিন এক সাব টিচার এসেছিলেন যার সাথে অনেক ফ্রি ছিলাম। তিনি এক বয়স্ক, মোটাসোটা, টাক মাথার হাশিখুশি মানুষ ছিলেন। তার কাছে গিয়ে বললাম, আমাদের কালচার অনেক আলাদা, মিলের কিছু নেই আসলেই। আপনি আমাকে অলটার্নেট কোন প্রশ্ন দিন। উনি নাটকের সুরে অনেক অভিনয় করে কথা বলতেন। তিনি বললেন, "নেইইই? সব কালচারেই কিছু মিল থাকেই। না করতে পারলে তো ফেইল করবে তুমি!" আমি ভয় নিয়ে তাকালে উনি হেসে ফেললেন, বললেন, "তোমাদের দেশের উৎসবগুলো আমাকে বল, হেল্প করে দিচ্ছি।"

আমি বোধহয় ভাষা দিবস দিয়ে শুরু করে শেষ করছিলাম বৈশাখে। মাঝখানে দুই ঈদ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা ফাল্গুন, চৈত্র যা যা আছে গড়গড় করে বলে গেলাম উৎসবের ধরনসহ। আমি কানাডিয়ান কালচারের ক ও জানতাম না। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশী কালচারের প্রায় সবকিছুই ছোটবেলা থেকে গুলে খাওয়ানো হয়েছিল আমাকে। টিচারের সবুজাভ চোখ আর জ্বলজ্বল করে উঠল, উত্তেজিত হয়ে আমাকে বললেন, "তোমাকে তোমার দেশের উৎসবের কথা বলতে বলেছিলাম, তুমিতো পুরো দুনিয়ার উৎসবের কথা শুনিয়ে দিলে হাহা।" আমি বললাম আমাদের কালচারে প্রায় প্রতি মাসেই কিছু না কিছু হতেই থাকে। উনি বললেন, "Wow! How amazing that should be! You might find us Canadians a little boring!" আমি তখন বেশ ছোট, অতো ভদ্রতা জ্ঞান ছিলনা। বলেই ফেললাম বেশি না একটু বোরিং মনে হয়। উনি যে কি ভীষন জোরে হেসে ফেলেছিলেন এখনো কানে বাজে আমার। আমিও হেসে ফেললাম, হাসতে হাসতে ঘড়ির দিকে নজর গেল। একি! কথা বলতে বলতে তো আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি ক্লাসের। ঐ প্রশ্নটা? এখন জমা না দিলে হোমওয়ার্ক হিসেবে করতে হবে আবার। আমি জলদি করে ওনাকে বললাম দেখলেনতো কোন মিল নেই আপনার, আমার কালচারের? প্রশ্নটা বাদ দিই?

উনি বললেন, "ইয়াং লেডি! এটা কখনো ভাববে না আমাদের কালচারে কোন মিল নেই। তোমরা আমাদের চেয়ে বেশি উৎসব করো এর মানে তোমার অনেক অপশন আছে সিমিলিয়ার কিছু বের করার। যেমন তোমাদের সব উৎসবে সার্টেইন ওয়েতে ড্রেস করো, আমরাও হ্যালিউনে সাজি।" আমি বললাম আমরাতো ওভাবে ভয়ংকর হওয়ার জন্যে সাজিনা, সুন্দর হবার জন্যে সাজি! উনি বললেন, "প্রশ্নটা আবারো পড়, আমি পড়লাম, উনি বললেন, "লাইক শব্দটা আছে মানে তার মতো, ওটাই না।" আমি বুঝলাম বিষয়টা পুরোপুরি। কি লেখা যায় মনে একটা খসড়া মুহূর্তেই হয়ে গেল। আমি বললাম আপনারা যেমন কুমড়ার বিভিন্ন পদ করেন আমাদেরও বিশেষ বিশেষ খাবার হয় উৎসবে। সেটাও বলতে পারি? উনি বললেন, "একদম তাই, You got the idea!" আমি ঝটপট দশ মিনিটে লিখে জমা দিয়ে ঝাড়া হাত পা কোন হোমওয়ার্ক ছাড়া বাড়ি আসলাম।

উপরের কনভার্সেসনটা কানাডিয়ান এডুকেশন সিস্টেম সম্পর্কে আপনাদেরকে একটা আইডিয়া দেবে। ওখানে টিচাররা চান স্টুডেন্ট নিজে থেকে ভেবে লিখুক, কোন কিছু যেন মুখস্থ না করে। ভাবতে ভাবতে কোন স্টুডেন্ট আটকে গেলে টিচার বন্ধুর মতো গল্প করতে করতে স্টুডেন্টের মুখ দিয়েই উত্তর বের করিয়ে নেন। এ এক অসাধারন ট্যালেন্ট কানাডিয়ান টিচারদের!

ভ্যালেনটাইনস ডে: এটা আমি দেশে থাকতেই জানতাম। আমাদের দেশে তখন পুরোদমে সেলিব্রেট করা হয়। প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রীই শুধু না সন্তানেরা বাবা মাকে, স্টুডেন্ট টিচারকে উইশ করে। সপ্তাহ ধরে কোন জামা পরা হবে তার প্ল্যান শুরু হয়ে যায়। পেপারগুলো বিশেষ খাবারের ফিচার করে, সব চ্যানেলে বিশেষ ভালোবাসার নাটক। সবমিলিয়ে এলাহি কান্ড। আমাদের মফস্বলে বিরাট আকারে তখনো হতো না কিন্তু ঢাকার জনসাধারনের উত্তাপটা বেশ টের পেতাম। আমার পরিবারে খুব একটা কিছু না করা হলেও একে অপরকে উইশ করত অবশ্য।

বিদেশী এক উৎসব যা আমরা এত মন নিয়ে পালন করি, আমিতো ভেবেছিলাম কানাডিয়ানরা কি করবে আর না করবে? তখন আবার একটা ক্লাসের চার পাঁচটা দুষ্টু কানাডিয়ান ছেলে আমার পিছনে খুব লাগত। সবার সামনেই ফ্লার্ট করত। টিচারও দেখতাম মুচকি হাসছেন ওদের আমার জন্য করা পাগলামিগুলো নিয়ে। বুঝে গিয়েছিলাম এদের দেশে এসব খারাপ চোখে দেখেনা। কি করতাম আর? চুপ করে সহ্য করতাম ওদের দুষ্টুমি। অশালীন কিছু করতনা কিন্তু একটু পরে পরে আমাকে টেনেই আনত সবকিছুতে। আমার আশেপাশেই থাকত, বিরক্তির চেয়ে ভয় লাগত বেশি। দেশে থাকতে মা খালাদের কাছে শুনেছিলাম খারাপ ছেলেদের নজরে পরলে মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়! এসব ভেবে ভয় পেতাম। এতটাই যে ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিনে প্রচন্ড রেগুলার আমি না যাওয়ার প্ল্যান করলাম! কিন্তু পরে মনে হল ক্লাস মিস করলে আমারি ক্ষতি, ওদের তো কিছু হবেনা। একটা ক্লাসই তো সহ্য করে নেব।

প্রথম দুইটা ক্লাস শান্তিতে করার পরে যথারীতি সেই ক্লাসটা আসল সোশাল স্টাডিজের। দুরু দুরু বুকে ঢুকলাম। আল্লাহই জানেন আমাকে নিয়ে কি প্ল্যান ছেলেগুলোর! সেদিন সিটিং প্ল্যানটা এমন ছিল যে দুইটা করে ডেস্ক একসাথে নিয়ে বড় টেবিল করে ৮ জনের গ্রুপে করে বসা, এবং আলোচনা করা একটা টপিক নিয়ে। টিচার ঠিক করে দেন কে কোথায় বসবে, কোন টেবিল কোথায় থাকবে সাপ্তাহিক আলোচনার দিনগুলোতে। সেদিনই আমার সামনে তিনটা ছেলে এবং ডান পাশে আরো একটা ছেলে পরল। কিছু মেয়ে ছিল বাম পাশে। সর্বনাশের মাথায় বারি আমার পিছনে লাগা পাঁচটা ছেলের মধ্যে চারটা ছেলেই কাছে বসা, শুধু একজন অন্য গ্রুপে পরল। আমার তো আরোই অবস্থা খারাপ। কি আছে কপালে আজকে?

ক্লাস যাচ্ছে, ওরা নরমাল দুষ্টুমিগুলো করে যাচ্ছে। বলোত তুমি বেশি স্মার্ট না আমরা, আরো কিসব হাবিজাবি বলে যাচ্ছে। আমি মেয়েগুলোর সাথে আসল টপিক ডিসকাস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওদের কথা ইগনোর করে। ওরা আবার বলছে তুমি কি ইগনোর করছো আমাদের? এই তুমি জেফকে অপছন্দ করো না? জেফ আবার বলছে না আমিতো ওর ফেবারিট। বলে একে অপরের গায়ে গড়াগড়ি দিয়ে হাসাহাসি করছে।

ওদের আমার পিছে লাগার কারনটা একটু বলে নেই। আমি বেশ শান্ত নরম সরম মানুষ। কানাডায় ভাষা সমস্যায় আরোই শান্ত হয়ে গেলাম। শুধু পড়াশোনা ছাড়া কিছুতে মনযোগ দিতাম না। ওদের কাছে একটা মেয়ের এতটা শান্ত স্বভাবের হওয়াটা ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। অপোসিট এট্রাকশন বলে ইংলিশে একটা কথা আছে। সেটা কাজ করেছিল সম্ভবত। আর আমাকে যতোই জ্বালাক না কেন কিছুই বলতাম না, চুপ করে সহ্য করতাম বলে আরো মজা পেত। ভিনদেশীদের সাথে ঝগড়া করে আমি বাংলাদেশের রেপুটেশন খারাপ করতে চাইনি। স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষ ঝগড়াটে এটা ভয় পেতাম। আর এমনিতেও ঝগড়া, চিল্লাচিল্লি করার মানুষ আমি না। কারন হিসেবে এটাই আমার মনে হয়, টিচারও প্রায় এই কারনগুলোই বলেছিলেন আমাকে। ওরাই আসল কারন বেটার বলতে পারত যদিও।

যাই হোক কাহিনীতে ফিরে আসি। আলোচনা চলছে এমন সময়ে দুটো মেয়ে গোলাপি গেন্জি ও স্কার্ফ পরা, হাতে গোল কাঁচের পাত্রে অনেকগুলো ছোট ছোট গোলাপি পেপারের হার্ট নিয়ে আসল। এসে ক্লাসের মাঝখানে দাড়িয়ে ঘোষনার সুরে বলল, ''আজকে ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে স্কুল ক্লাব থেকে মজার একটিভিটির আয়োজন করেছে। সব মেয়েকে একটা করে পেপারের হার্ট দেওয়া হবে। যখনই একটা মেয়ে কোন ছেলের সাথে কথা বলবে ছেলেটাকে হার্টটা দিতে হবে। যে ছেলে সবচেয়ে বেশি হার্ট কালেক্ট করতে পারবে তার এবং তার ভ্যালেনটাইনের জন্য পুরষ্কার আছে। মেয়েদেরকে চেষ্টা করতে হবে যার তার সাথে কথা বলে যেন নিজের হার্টটা নষ্ট না করে।''

আমিতো ভয় পেয়ে গেলাম। আলোচনা হচ্ছে, এখন তো সবাই কথা বলবেই। অন্য মেয়েরাও বলে উঠল আমরাতো আলোচনা করছি একটা পড়ার বিষয়ে, এটাও কি কথা হিসেবে ধরা হবে? টিচার বললেন, "না না এখন তোমরা কশাস হবেনা, এসব মজা ক্লাসের বাইরে। এখন ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সাবজেক্টে কনসেনট্রেইট করো।" টিচার যাই বলুন না কেন সব ছেলের দুষ্টুমি শুরু হয়ে গেল। মেয়েরাও কথা বলবেনা, মুখ বন্ধ করে আছে। আমিতো আরোই। মাথা নিচু করে আলোচনার পয়েন্টগুলো নোট করছিলাম যেটা টিচারকে সাবমিট করতে হবে। এমন সময় আমার হাত থেকে পেন কেড়ে নিল পাশের ছেলেটা। আমি বিরক্ত হয়ে জোর খাটিয়ে ওর কাছে থেকে পেন নিয়ে নিলাম এবং হাতে ছোঁয়া লেগে গেল।

ছেলেটা অন্য বন্ধুদের বলল, "ও আমাকে টাচ করেছে, মানে আমাকে পছন্দ করে। ওর হার্ট আমিই পাব, তাইনা?" বলে টেবিলে রাখা আমার হার্টটার দিকে লোভী দৃষ্টিতে তাকাল। আমি সাথে সাথে হার্টটা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম ও ছিনিয়ে নেবার আগেই। ওর কথা শুনে লজ্জায়, অস্বস্তিতে অবস্থা খারাপ। আমি মুখ খুললাম কিছুটা সেদিন, বললাম, টিচার বলেছেন এসব ক্লাসের বাইরে হবে। প্লিজ টপিক নিয়ে আলোচনা করো। আমি তোমাদের এতজনের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। পড়ছি, ভাবছি, লিখছি, তোমাদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে। ওরা একটু সিরিয়াস হলো তখন এবং আলোচনা করে এসাইনমেন্ট শেষ করতে করতে সেই ক্লাস শেষ। আমার বিপদ কেটে গেল, আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

এক আবেগী জাতির পাগলামি: আবেগী জাতি যখন বলেছি নিঃসন্দেহে আমার বাংলাদেশের কথা বলেছি। পাগলামির অংশটুকু বর্ণনা করি। সেদিনকার E.S.L. ক্লাস থেকে বাড়িতে এসে মনে হল আমাদের দেশের উৎসব শুনেই এমন মুগ্ধ হলেন টিচার, যদি দেখতেন কি ভীষন মজা আমরা করি, কত রং কি করতেন? উনি যতোই বলুক কানাডিয়ানদের উৎসব ভাবনা আর আমাদেরটা অনেক বেশি আলাদা। আমরা এমন এক জাতি যারা সাধারনত কোন উৎসবের শুধু দিনটা পালন করিনা। পুরো মাসব্যাপি উৎসব চলে ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস এবং ঈদ, পূজা হলেতো কথাই নেই। প্রতিদিন শপিং করা নিজের, পরিবারের জন্যে, ঈদ আসছে ঈদ আসছে বলে এক মাস ধরে আমরা কিছু না কিছু করতেই থাকি।
কানাডায় যেকোন উৎসবে সকল স্টোরে সেল দেয়, ব্যাংকে গেলেও ডেকোরেশন আলাদা হয়ে যায় যেমন ক্রিসমাসে বড় ক্রিসমাস ট্রি দেখবেন। কিন্তু জনসাধারনের মধ্যে বাংলাদেশের মতো উৎসবপ্রিয়তা দেখিনি। রাস্তায় বেড়োলেই একটা উৎসবের আবহ অনুভব করাটা খুব মিস করি এখানে। কানাডিয়ানরা সাধারনত উৎসবের কয়দিন প্রচন্ডভাবে এনজয় করে এবং ভুলেও যায় তারপরে। তবে উৎসবে পরিবারের সবার এক হওয়াটা এবং একসাথে ডিনার করাটাকে খুব গুরুত্বের সাথে দেখে।
উৎসবের সংখ্যাতেও নিঃসন্দেহে আমরা বহুগুনে এগিয়ে। আমাদের আবেগ, পাগলামি, মেতে থাকাটা এখানে পাইনি বা বলা চলে তুলনায় বেশ কম। একটা ক্রিকেট ম্যাচ জিতলেই আমরা রাস্তায় যেভাবে নাচানাচি করি সারারাত ধরে! সপ্তাহজুড়ে আনন্দউল্লাসে পরে থাকি। কোন শেষ নেই যেন কোনকিছুর। কানাডিয়ানরা হকিতে জিতলে অনেক উল্লাস করে তবে পরেরদিন ভুলেও যায়। কোনকিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা কানাডিয়ানদের স্বভাবে নেই। ব্যাস উৎসবের দিনটা পার করে পরেরদিন বিনয়ী, মিষ্টিহাসি মুখে নিয়ে যান্ত্রিকতার খোলসে ঢুকে যায়। ভীষন কোলাহলমুক্ত, শান্তিপূর্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত কানাডিয়ানরা। তবে অনেক ব্যতিক্রমধর্মী কানাডিয়ান আছেন যারা আমাদের মতো এক্সাইটেড থাকেন সবকিছু নিয়ে। আমি নিজের চোখে দেখা মেজোরিটির কথা লিখছি শুধু।

অনেক বাংলাদেশী বলে থাকেন আমরা বেশি বেশি করছি, এতটা উচ্ছাস ভালো নয়। আমার মনে হয় খারাপ কি? উৎসবের রং তীব্র করে যদি একটা জাতি আনন্দে মেতে থাকে সমস্যা কি? উন্নত বিশ্বকেও বাঁচতে শিখিয়ে দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা এ জাতি। যারা হাজারটা সমস্যা পার করেও তৈরি থাকে সর্বদা আনন্দ উল্লাস করার জন্যে। অনেক অনিশ্চয়তা, জটিলতাকে তুড়ি মেরে মুহূর্তেই উড়িয়ে দেয় প্রানখোলা হাসি দিয়ে! তীব্র কঠিন দুঃখগুলোকে ছোট ছোট সুখের ভেলায় ভাসিয়ে দেয় পলকেই! ড্যান্সিং শুটা পরাই থাকে, ব্যাস নাচার একটা কারন চাই। আমাদের এ উৎসবপ্রিয়তা শুধু আমার সেই টিচারকেই না যেকোন বিদেশীকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে! আমরা যেন এরকমই থাকি। উৎসবমুখর, পাগলামি, আবেগ, সারল্যে ভরা এক জাতি। এ বাংলাদেশকেই আমি নিজের দেশ বলি, এ জাতিকে নিয়েই গর্ব করি। কানাডায় যখন কেউ জিগ্যেস করে তোমার ন্যাশনালিটি কি? তীব্র একটা গর্বের কাঁপুনি নিয়ে বলি আমি বাংলাদেশী। অন্য অনেক প্রবাসীরও এমনই হয় জেনেছি।
তবে আমি কোনভাবেই বলছিনা যে আমরা পারফেক্ট জাতি হিসেবে। অনেককিছুতে ভাবনা চিন্তায় আমাদের এগিয়ে যাবার সুযোগ রয়েছে এখনো। তবে আমাদের ভালোটাকে ঠিক রেখে, খারাপগুলোকে দূরে সরিয়ে বেটার জাতিতে পরিনত হব সে আশা নিয়ে শেষ করছি।

শেষ কথা: আগের বেশ কিছু পর্বের থেকে বেশ আলাদা এ পর্বটা। আগের পর্বগুলোতে আমি পার্শ্বচরিত্রে ছিলাম, এবং অন্য কারও দুঃখ, কষ্ট তুলে এনেছি। আজকে নিজেকে আবার মূল চরিত্রে ফিরিয়ে আনলাম। সিরিয়াস বিষয়গুলো নিয়ে লেখার সময় কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে করে অনেক কেঁদেছি, আবেগী হয়েছি। আজকে হালকা কিছু মজার স্মৃতি শেয়ার করলাম। কোন কান্নাকাটি ছাড়া বেশ অনেকদিন পরে একটা পর্ব লিখলাম। পেছনে তাকালে সেই সমস্যাগুলোকে আসলেই দুষ্টমিষ্টি মনে হয় আজকের তারিখে।

ধাঁধা: যেতে যেতে একটা ধাঁধা দিয়ে যাই। আমি আমার স্কুল ব্যাগে সামলে রাখা কাগজের হার্টটা স্কুলের একজনকে দিয়েছিলাম সেদিন। কাকে বলুনতো? মানুষটার কথা বিস্তারিত অথবা সংক্ষেপে পুরো সিরিজের কোথাও দেওয়া আছে এই হিন্টটুকু দিয়ে দিলাম।

ধাঁধার জবাব ৩৩ নম্বর কমেন্টে দেওয়া হয়েছে। কৌতুহলি পাঠক চেক করে নেবেন।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৮

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: প্রথম এলাম আপনার এই সিরিজে, পড়ে আবার মন্তব্য করছি।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুস্বাগতম জানাই নতুন পাঠককে।

মন্তব্যের অপেক্ষায়....

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

গাজী বুরহান বলেছেন: সেই গ্রিক দেব দূতের মত দেখতে ছেলেটাকে

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

ধাঁধার সঠিক জবাব একবার ম্যাক্সিমাম রেগুলার পাঠকেরা ট্রাই করার পরে দিয়ে দেব। আপনাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ভিনদেশীদের সাথে ঝগড়া করে আমি বাংলাদেশের রেপুটেশন খারাপ করতে চাইনি। স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষ ঝগড়াটে এটা ভয় পেতাম।undefined
এই অংশটুকু আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে।
আর আগের সিরিজগুলো না পড়ার কারনে ধাঁধার উত্তর দিতে পারলামনা বলে দুঃখিত।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ, মন্তব্য এবং ভাল লাগার জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।

না না ঠিক আছে, এটা শুধু রেগুলার পাঠকেরা মজা করে ট্রাই করবেন বলে দিয়েছি। কৌতুহল হলো আমাকে বুঝবেন কিনা কেউ দেখার জন্যে।

আগের কোন পর্বও একদিন সময় করে পড়ে নেবেন সে কামনা করি।
শুভকামনা, ভালো থাকুন।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুধু কানাডিয়ান কালচার নয়, পুরো পাশ্চাত্যের কালচারের সাথে আমাদের প্রাচ্যের বিশেষ করে বাংলাদেশী কালচারের অনেক পার্থক্য রয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিলও রয়েছে। তবে সেটা তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। আমার এক ভায়রা যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। এক বন্ধু অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। তাদের কাছে এসব দেশের কালচারের কথা শুনে আমার কাছে এরকমই মনে হয়েছে। আপনার এই লেখা পড়েও সেই ধারনাই পেলাম।
তবে ওদের জিমের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লাগলো। আর ওই যে বলেছেন, ওরা আমাদের মতো এত আবেগপ্রবণ নয়, সেটা ওদের সংস্কৃতি ও মানসিক গঠনের কারণে বলে মনে হয়। আমরা বাঙালিরা বেশ আবেগপ্রবণ। দুই সভ্যতার এই দু'রকম অবস্থা কিন্তু মানুষ হিসাবে ওদের বা আমাদের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের মধ্যে কোন পার্থক্য করে না। ভালো ও মন্দ মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে।
ধাঁধাঁর উত্তর দিতে হলে পুরো সিরিজ পড়তে হবে। তাই এখনই উত্তর দিতে পারছি না। অবসর সময়ে লিংকগুলো খুলে সব পড়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ সামু পাগলা ০০৭।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ হেনা ভাই! স্বাগতম আমার সিরিজে।

আপনি কষ্ট করে বড় এবং সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্যে ধন্যবাদ প্রথমেই।

হুম ওদের জীম ক্লাস এলাহি ব্যাপারস্যাপার। আমরাও যদি এমনটা করতে পারতাম তবে আমাদের শিশু/কিশোরেরা আরো হেলদি, শক্তিশালী হতো! যাই হোক, একদিন আমাদের দেশেও তেমনি হবে আশা করি।

হুম এটা আমি সবসময় বলি ভালো ও মন্দ মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। শুধু ভাবনা, কালচার আলাদা হলেও কেউ খারাপ হয়না।

জ্বী অবশ্যই আপনি সময় করে পড়ে নেবেন, আমি খুশি হব।

ধন্যবাদ আবারো পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।
শুভকামনা।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩১

অসভ্য রাইটার বলেছেন: অাপু অামি জানি কাকে হার্ট টা দিয়েছেন , অামার মনে হয় মি . এম যার মত অাপনি স্বামী চেয়েছিলেন অার তিনি পিছন থেকে শুনেণিয়েছিলেন ।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরে আমার ভাইটা!

পড়ে মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

ধাঁধার সঠিক জবাব একবার ম্যাক্সিমাম রেগুলার পাঠকেরা ট্রাই করার পরে দিয়ে দেব। তোমাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে।

ভালো থেকো, লক্ষী হয়ে থেকো আপুর এই দোয়া!

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৪

অসভ্য রাইটার বলেছেন: অাপু এত সুন্দর করে প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য অাপনাকেও অন্নেক ধন্যবাদ ।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তোমাকেও অন্নেক ধন্যবাদ সুন্দর করে প্রতিউত্তরের উত্তর দেবার জন্যে এবং কষ্ট করে ছবি এটাচ করার জন্যে।

ভালো থেকো সোনা ভাইটা আমার!

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১২

পুলক ঢালী বলেছেন: আমরা পহেলা বৈশাখে কিছু মুখোশ পড়ে রাস্তায় প্রসেশন করি ঐ মুখোশ হ্যালোইনের সাথে মিলে। জিমে গিয়ে তাহলে আপনার স্ট্যটিসটিক এখন স্ট্যাডার্ড অবস্থায় আছে? :P

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরে তাইতো তখন মাথায় আসেনি মুখোশের ব্যাপারটা। সেটাও এড করা উচিৎ ছিল।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ওয়াও ! আবার মুগ্ধ হলাম লেখনীতে, আপুনি ! :)

আমার বুদ্ধি একটু কম। ধাঁধাঁর উত্তর দিতে পারলাম না। :(
কিন্তু তোমার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম মাক্সিমাম কমেন্ট পাবার পর। ;)

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ভাইয়ু! ভালো আছো আশা করি।

আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই মাক্সিমাম রেগুলার পাঠক ট্রাই করার পরে উত্তর দিয়ে দেব, দেখে নিও। :)

ভালো থেকো, শুভকামনা রাশি রাশি আপুনীর পক্ষ থেকে।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৭

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হল ধন্যবাধ এতো দিন পর নিজেকে নিয়ে লিখার জন্য।আর মাথায় আসতেছে না কাকে কাগজের হার্ট টা দিছেন সরি এর জন্য।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যারে এ পর্বটা অনেক দেরী হয়ে অপেক্ষার পালা শেষ করে তবেই আসল।
ইটস ওকে। না পারলে সমস্যা নেই।

প্রায় প্রতি পর্বেই আপনাকে পাচ্ছি পাঠ ও মন্তব্যে। অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৯

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: দুঃখিত ধন্যবাদ লিখতে গিয়ে ধন্যবাধ লিখে ফেলছি।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না না ঠিক আছে, আগেই বুঝেছি। আবারো ঠিক করতে আসার জন্যে ধন্যবাদ। :)

১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: আশা করি পাবেন সবসময় যতদিন আপনি লিখবেন ততদিন আছি আমি ইনশাআল্লাহ সমস্যা নাই। পরের পর্বটা একটু তাড়াতাড়ি দিয়ে দিয়েন নাইলে খবর আছে কিন্তুু হাহাহা।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি আমার ব্লগবাড়িতে আমাকেই হুমকি? হাহা। কিডিং।
চেষ্টা করব পরের পর্ব জলদি দেবার।

সাথে থাকুন, ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: আপনার ব্লগ বাড়ি এসে আপনাকে হুমকি না দিলে তাড়াতাড়ি লিখবেন না তাই হুমকি দিলাম হাহাহা।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইশ! আমি যেন তার হুমকিতে ভয় পাই!! আমিও হুমকি দিলাম আমাকে হুমকি দিলে তাড়াতাড়ি লিখবনা। :) ;)

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার লেখার মাধ্যমে আমরা কিন্তু অনেক কিছুই জানতে পারছি।ধন্যবাদ।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাদেরকে কিছু জানাতে পেরে আমি ভীষন আনন্দিত।

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

বিপ্লব06 বলেছেন: হ্যালোইন একটি ভয়াবহ ব্যাপার!!!

আর হার্ট সামলাইয়া রাখা একটা কঠিন কাজ। কাকে দিছেন মনে হয় জানি।

ভালো থাকবেন।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বুদ্ধুকুমার! লং টাইম নো সি!

হার্ট সামলানো কঠিন কিনা তা মানুষভেদে নির্ভর করে।

কাকে দিয়েছি? বলুন! পরে ধাঁধার জবাব দেবার পরে বলবেন এর কথাই ভাবছিলাম! না না চালাকি চলবে না, বলে যাবেন আপনি কার কথা মনে হচ্ছে। পরে মিলিয়ে নেবেন।

বুদ্ধুকুমারও অনেক ভালো থাকুক, সূর্যের মতো হাসতে থাকুক!

১৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখনও কি জিম ক্লাশে, বিভিন্ন উৎসবে এমন সিঁটিয়ে থাকেন? এর আগে বেশ কিছু পর্বে কানাডিয়ানদের ওপর রাগ হয়েছিলো। এ পর্বে তা দূরীভূত হলো। বেশ কিউট একটা জাতি মনে হলো। জিম ক্লাশের প্রতি লোভ হচ্ছে। আমাদের যদি এরকম থাকতো!

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরে ভার্সিটিতে আর কিসের জীম ক্লাস? জীম এখানে আরো বড় যদিও! তবে কোন টিমের সাথে জড়িত নাহলে বা চয়েস ছাড়া জীমের মুখ দেখা লাগেনা সাধারনত। আমি এর কোনটার মধ্যেই নেই, সো জীম কাহিনী হাইস্কুলেই শেষ। না শেষের দিকে সিঁটিয়ে থাকাটা কমে গিয়েছিল অনেক। উৎসবেরও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। পরেরবার থেকে মেন্টালি প্রিপেয়ার থাকতাম যেকোন ক্লাসে যেকোন সময় হামলা হতে পারে, অনেক সময় টিচাররাও করতেন, সে গল্প আরেকদিন হবে।
হুম আমাদের দেশেও হবে কোনদিন সে কামনা করি।

আমি এমন কিছু লিখেছি যাতে কানাডিয়ানদের ওপরে রাগ হতে পারে তা ভেবে অপরাধবোধ হচ্ছে। ওরা আসলেই অনেক কিউট, পোলাইট, শ্রদ্ধাশীল ও সরল একটা জাতি। অনেকবার বলেছিও কিভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে আলাদা সাজপোশাক, ভাবনার পরেও। আগের পর্বগুলোতে যা লিখেছি তা ঘরে ঘরে হয়না তাতো বলেছিই। কানাডিয়ানদের মেজোরিটি ভালোই। আপনার ভাষায় কিউট একটা জাতি!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

র‍্যাশ বলেছেন: অনেক বাংলাদেশী বলে থাকেন আমরা বেশি বেশি করছি, এতটা উচ্ছাস ভালো নয়। আমার মনে হয় খারাপ কি? উৎসবের রং তীব্র করে যদি একটা জাতি আনন্দে মেতে থাকে সমস্যা কি?
সমস্যা আছে। পুঁজিবাদ মানুষের মৌলিক চাহিদা ও বিনোদনের ক্ষেত্রগুলোকেও মুনাফার উপকরণ হিসেবে বানিয়ে ফেলে। উৎসবও এক ধরনের বিনোদন মাধ্যম। পুঁজিবাদীদের পুজির বিকাশের স্বার্থেই নুতুন নুতুন উৎসবের উদ্ভাবন প্রয়োজন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা সাম্প্রতিক কালে ক্রিকেট কেন্দ্রীক উৎসব তারই কিছু সাম্প্রতিক উদাহরণ। প্রচারযন্ত্র ও গণ মাধ্যম পুঁজিবাদীদের নিয়ন্ত্রনে। এই প্রচারযন্ত্র বা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে উৎসব কেন্দ্রীক কৃত্তিম উন্মাদনা তৈরী করা হয় ফলে রাষ্ট্র ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলো থেকে মানুষের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরে যায়। যেমনঃ বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচে শুরুর আগে অমুক ম্যাচে হারের বদলা নিতে হবে, তমুক ধারাভাষ্যকারকে দেখিয়ে দিতে হবে টাইপের কৃত্তিম উন্মাদনা তৈরী করা হয়। ক্ষনিকের এই ফালতু উন্মাদনায় মানুষ ভুলে যায় তাদের দৈনন্দিন সমস্যা, বেনিয়াদের শোষণ, নিপীড়ন। এই কৃত্তিম উৎসব গুলো কাজ করে আফিমের নেশার মত। ভ্যালেন্টাইন্স ডে মত উৎসব প্রতিষ্ঠান পন্থী আর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার দ্বন্দকে উৎসাহিত করে। আমাদের রক্ষনশীল সমাজে প্রেম ভালবাসাকে কিছুটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হিসেবে দেখা হয়। ফলে প্রতিষ্ঠান পন্থীরাও সুযোগ পেলেও প্রেমিক যুগলকে কানে ধরিয়ে উঠ বস করিয়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাউন্টার করে। আরেকটু এক্সট্রিমিষ্ট যারা তারা হয়তো ভবিষ্যতে বোমা হামলার সম্ভাব্যতাকেও যাচাই করতে পারে। প্রতিষ্ঠান পন্থী আর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার এই দ্বন্দটাও কর্পোরেট স্বার্থের জন্য সহায়ক। আবার ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে বলা হয় ধর্ম যার যার উৎসব সবার কিন্ত বাস্তবতা সেটা বলে না। ধর্মীয় উৎসবও সাম্প্রদায়ীকতা‍য় তীব্র আচ্ছন্ন। মোট কথা, রঙ্গিন চশমা চোখে লাগিয়ে দুনিয়াটাকে দেখলে একে রঙ্গিনই বলে মনে হবে কিন্ত বাস্তবের দুনিয়া রঙ্গিন না।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কষ্ট করে সময় নিয়ে বড় মন্তব্য করে নিজের মতামত দেবার জন্যে ধন্যবাদ।

আমার তেমন কিছু বলার নেই কেননা আপনার লজিক ঠিক আছে। কিন্তু আমার আবেগও নিজের জায়গার ঠিকই আছে।

"ক্ষনিকের এই ফালতু উন্মাদনায় মানুষ ভুলে যায় তাদের দৈনন্দিন সমস্যা, বেনিয়াদের শোষণ, নিপীড়ন
সেই ভুলে যাবার সময়টুকুর আনন্দেই তো বেঁচে থাকতে হয় আমাদের মতো দেশের মানুষদের। প্রতিটি সেকেন্ড সমস্যাগুলোর কথা না ভেবে একটু আবেগ, উল্লাস, প্রানখোলা হাসির যে ভীষন দরকার আছে! রংগিন চশমা পরে সাদাকালো দুনিয়াটাকে রংগিন দেখার মধ্যেও একটা সরলতা আছে! তবে আপনি কি বলতে চাইছেন তা আমি বুঝতে পারছি, খোড়া আবেগ দিয়ে তীক্ষ্ণ যুক্তির সাথে লড়তে আসব না। হারার ভয়ে না, ফলাফল শুন্য হবে জানি তাই।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
সর্বদা ভালো থাকুন, হাসতে থাকুন।

১৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

বনসাই বলেছেন: পর্ব ১৩ থেকে "ভালো হাসবেন্ডের কথা উঠলে মি: এম এর কথা উঠবেই। সবাই বলছে ওনার মতো হাসবেন্ড থাকলে লাইফে আর কি লাগে! আমিও বলে ফেললেম, "I hope I get a husband like Mr. M." বলে হাসতে হাতে দেখি পেছনে মি: এম।
ইস!! সবাই বলল আর শুনল শুধু আমারটা। এখন কি করি কোথায় লুকাই! কি লজ্জার ব্যাপার! উনি হাসতে হাসতে বললেন "হাসবেন্ড (আমার নাম)"? চিন্তা করোনা আমার চেয়ে বেটারই হবে!" যদিও আমি আজও বিশ্বাস করি ওনার চেয়ে বেটার হাসবেন্ড সম্ভব না!"

কাগজের হার্টটা পেয়েছিলেন মি: এম।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা লেখার কিছু অংশ তুলে যুক্তি দিয়ে ধাঁধার জবাব দেবার জন্যে ধন্যবাদ। এটা অনেকেই বলেছেন, আমি এবার বলেই দিই মি: এম সঠিক জবাব না! অন্যকারও কথা ভাবুন পাঠকেরা হাহা।

ধাঁধার সঠিক জবাব একবার ম্যাক্সিমাম রেগুলার পাঠকেরা ট্রাই করার পরে দিয়ে দেব। আপনাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে।

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রাশি রাশি।

১৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: চমৎকার লেখনী! সময় করে শুরু (১ম পর্ব) থেকে পড়তে হবে।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
সময় করে অবশ্যই পড়ে নেবেন।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: মোবাইল দিয়ে পুর লেখাটা পড়লাম। বিস্তারিত মন্তব্য পরে করবো। আমি বোকা মানুষ ধাধার উত্তর দিতে পারবো না।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোবাইলে এত বড় লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

হাজিরা দিয়ে গিয়েছেন সেজন্যে ধন্যবাদ, বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায়.....

২০| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: *পুরো
চন্দ্র বিন্দু কি বোর্ড এ কই থাকে। হা হা :)

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এত বড় ছেলেটা চন্দ্র বিন্দুও পারেনা! হাহা, কিডিং।

আমি হেল্প করে দিচ্ছি। ধরুন ধাঁধা শব্দটা লিখবেন। প্রথমে ধা লিখে এরপরে ডাবল N বসালেই হয়ে যবে। হোপ দ্যাট হেল্পস। :)

২১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই অনন্য।

দারুন সব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হচ্ছে ঝুলি।

আমার মনে হয় খারাপ কি? উৎসবের রং তীব্র করে যদি একটা জাতি আনন্দে মেতে থাকে সমস্যা কি? উন্নত বিশ্বকেও বাঁচতে শিখিয়ে দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা এ জাতি। যারা হাজারটা সমস্যা পার করেও তৈরি থাকে সর্বদা আনন্দ উল্লাস করার জন্যে। অনেক অনিশ্চয়তা, জটিলতাকে তুড়ি মেরে মুহূর্তেই উড়িয়ে দেয় প্রানখোলা হাসি দিয়ে! তীব্র কঠিন দুঃখগুলোকে ছোট ছোট সুখের ভেলায় ভাসিয়ে দেয় পলকেই! ----- আমরা যেন এরকমই থাকি। উৎসবমুখর, পাগলামি, আবেগ, সারল্যে ভরা এক জাতি। :)

আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতাটুকু না থাকলে আসলেই আমরা এমনই। কত অল্পতেই সন্তুষ্ট। কত অল্পতেই হাসতে হাসতে আমরা শেয়ার করি সবকিছু।
শুধু উচুতলার আর হঠাৎ ধনী হওয়াদের বাদ দিলে আমরা পুরা পৃথিবীতেই এক দারুন জাতি। আমাদের ব্রান্ডংটাই করছেনা সরকার। ফলে পৃথিবীবাসী চিনলোনা আমাদের।:)

আপনার প্রিয় স্কুল শিক্ষককে দিয়েছিলেন কাগজের হার্ট :)

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শুধু উচুতলার আর হঠাৎ ধনী হওয়াদের বাদ দিলে আমরা পুরা পৃথিবীতেই এক দারুন জাতি। আমাদের ব্রান্ডংটাই করছেনা সরকার। ফলে পৃথিবীবাসী চিনলোনা আমাদের।
অসাধারন বলেছেন এবং পুরোপুরি সহমত পোষন করছি। কানাডায় বিভিন্ন জাতির সাথে মিশে আমারো মনে হয়েছে কোথায় কম আমরা? একদিন পৃথিবীবাসী অবশ্যই শ্রদ্ধাভরে জানবে আমাদের কৃতিত্ব।

আপনার কমেন্টগুলো কি ভীষন সুন্দর! পড়েই বোঝা যায় আপনি ভালবাসায় পূর্ণ, প্রচন্ড অনুভূতিশীল, সহমর্মী, সবাইকে ভালবাসায় ভরে দেয়া প্রাণখোলা একজন মানুষ।
আমি কিন্তু মোটেও বাড়িয়ে বলছিনা। আমার তো শব্দ কম পরে যায় আপনার প্রশংসায়। মুগ্ধতায় লেগে থাকি আপনার চমৎকার কবিতা ও সাবলীল মন্তব্য পাঠে।

কবিসাহেব, আমার আবার ঋনী থাকার অভ্যেস নেই। তীব্র প্রশংসা, বিনয়ের বিনিময় করে ঋনমুক্ত হলাম। ;) যদিও শব্দগুলো ধার করেছি কারও কাছ থেকে কিন্তু মন থেকেই বলেছি যা বলেছি।
ধাঁধার জবাব আরো কিছু রেগুলার পাঠক সুযোগ পেলেই দিয়ে দেব।

পাঠ, মন্তব্য, লাইকে আবারো উপস্থিতি জানিয়েছেন, সেজন্যে ধন্যবাদ দেবনা। ঝুড়িতে আর আপনার জন্যে ধন্যবাদ বেঁচে নেই, দিতে দিতে রিক্ত। শুধু দোয়া করছি প্রচন্ড সুখে থাকুন, ভালো থাকুন।

২২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগুর সাথে পুরপুরি একমত। কাগজের হাট আপনি আপনার শিক্ষকে দিয়েছিলেন বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য। হাহা :D

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, দেখা যাক।
ধাঁধার সঠিক জবাব একবার ম্যাক্সিমাম রেগুলার পাঠকেরা ট্রাই করার পরে দিয়ে দেব। আপনাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে।

শুভকামনা শুভসাহেব, ভালো থাকবেন।

২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: চন্দ্র বিন্দু আইটেমটা জানিনা বাইলা যুগপৎ মজা লাইলেন ও পচাইলেন। ম্যাডাম হেই আপ্নিই মই দিয়া আমারে গাছে উঠাইয়া কাট মারছেন। দিলে খুব চোট পাইছি। বুলস আই। আমি নিচ্চিত মাষ্টার মশাইরে কাগজের হাট্‌ দিছেন। মাষ্টার মশাই হইলো uncontrovercial মানুষ। প্লাস প্রকারান্তে বাংট্টা পলাপাইনগোও একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার। নম্বরের কথা তো আগেই বলছি। উপসংহারঃ আছিলাম বোকা হাইলাম বুদ্ধিমান।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেখো ছেলেটাকে! একটু মজা করে হেল্পও তো করেছি, আর সে বলেকি! আর আপনার ম্যাডাম হলাম কবে থেকে? আপনি তো লেখিকা বলেন!

না না আপনার দিলে তীর ছুড়ে কষ্ট দেবার মনোবাসনা আমার ছিলনা, বুলস আই না বলেই ভুল করে আপনার দিলে লেগে গিয়েছে। হাহা।

আপনি ১৭ নম্বর কমেন্টের প্রতিউত্তর দেখুন, তাহলে বুঝবেন ধাঁধার ব্যাপারে ঠিক পথে এগোচ্ছেন না ভুল পথে? উপসংহারটাও তারপরে নতুন করে দেবেন নাহয়! ;)

২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

মাদিহা মৌ বলেছেন: কদিন আগে হুমায়ূন আহমেদের জীবনধর্মী লেখা আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই পড়েছিলাম। আজ আপনার এই লেখাটা পড়লাম। হুমায়ূন স্যারের লেখায় আমেরিকানবাসী আর আপনার লেখায় কানাডাবাসী দের সম্পর্কে জেনে বার বারই মন থেকে একটা কথা চলে আসছে, আলহামদুলিল্লাহ! আমি বাংলাদেশী।

আপনার এই সিরিজের কেবল মাত্র একটা লেখা পড়েছিলাম আগে। পুরোটা পড়তে হবে সময় করে। যেহেতু পুরোটা পড়িনি, তাই ধাঁধার জবাব দিতে যাচ্ছি না। কিন্তু জানার আগ্রহ রইল।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম আলহামদুলিল্লাহ! আমি বাংলাদেশী।

শুধু একটা? কেমনে কি? না না আপু আরো কয়টা পড়েন, বোন হয়ে শুধু একটা পড়লে সম্পর্কের মান থাকে? হাহা।
যখন ইচ্ছে সময় করে পড়ে নেবেন।

এখনো কিছু রেগুলার পাঠক কমেন্ট করেননি, তারা পদধূলি দিলেই ধাঁধার জবাব দিয়ে দেব।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু।
খুব ভালো থাকবেন।

২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আপনি আপনার ব্রাজিলিয়ান বান্ধবিকে দিয়েছিলেন কাগজের গোলাপি হাট।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম আচ্ছা এটাকে আপনার ফাইনার উত্তর ভেবে লক করে দেওয়া হল। ঠিক কিনা সেটা সময় হলেই জানবেন। :)

২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: wifi এর প্রব্লেম। বাকিগুলো delete করে দিয়েন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি করে দিয়েছি। নেট সমস্যাতেও কমেন্ট করে যাওয়ার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা শুভসাহেব!

২৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০০

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: ধাঁধার উত্তর অদ্যাবধি পেটের ভিতরের জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে রাখতে পেরে নারীসুলভ যাবতীয় গুনাবলির রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারায় অাপনাকে অভিনন্দন.......শান্তির নোবেল অার বেশী দূরে নাই :D

"হ্যালোউইন" উৎসব অামারাও একটা করি কিন্তু.......পহেলা বৈশাখে.....যদিও সব দিবসেই পুলাপান অাজকাল "ভ্যালেন্টাইনের বংশধর" হয়ে যায় X((

অামারতো মনে হয় জীম ক্লাসটা পরে অাপনি খুব উপভোগই করতেন.....নাচন-কোঁদনে মজা অাছে বটে!!
রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশেও উৎসবের চিরচেনা দীর্ঘকালব্যাপী ছাপও অস্পষ্ট হয়ে পড়ছে ইদানীং.....
মুহূর্তের ব্যস্ততা, ব্যস্ততার দৌড়ানি, ঘটন-অঘটনের অাকস্মিকতায় সত্যি সত্যিই উৎসবের রেশ অার অতকাল মানুষের মনে অার থাকে না......ঈদ-পূজার রেশ ছোটবেলায় শুরু হত সপ্তাহখানেক অাগে- শেষ হত সপ্তাহখানেক পরে.....খুব মনে অাছে সেসব দিনের ঝাপসা স্মৃতি......অাজকাল ওইসব সুখের মুহূর্তগুলো বড় কষ্টেও খুঁজে পাওয়া যায় না......বাংলা-কানাডায় অার তফাত নাই......অামরা এখন দেশে বসেই অাপনাদের মত ভাব নিয়ে বলতে পারি-- Sorry dude! I almost forgot (হালারপো, ভুইল্লাই তো গেসিলাম) :P

........কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে করে অনেক কেঁদেছি, আবেগী হয়েছি
জেনে যারপরনাই খুশি হলাম, লেখায় যে অাপনাকে অার কানাডাকে সর্বোচ্চ মাত্রায় পেয়েছি সেটার চেয়ে সুখকর খবর প্রবাসপ্রিয় পাঠকের কাছে অার কী হতে পারে? (ডিগবাজীর ইমো)

মি: এম-কে বাদ দিয়েছেন দেখে "শেন" ছাড়া কাউকে মনে হচ্ছে না.......যদি এটাও না হয় তবে অাপনার ধাঁধাই ভুয়া :-<

************
জিগ্যেস--&gt;জিজ্ঞেস; ধাতস্ত--&gt;ধাতস্থ

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাস্টার সাহেব যেগুলো চোখে পরেছে ঠিক করে দিয়েছি, বাকি কিছু থাকলে হাত পেতে রাখলাম, শাস্তি দেবেন! :)

ধাঁধার উত্তর অদ্যাবধি পেটের ভিতরের জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে রাখতে পেরে নারীসুলভ যাবতীয় গুনাবলির রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারায় অাপনাকে অভিনন্দন.......শান্তির নোবেল অার বেশী দূরে নাই :D
মি: এম-কে বাদ দিয়েছেন দেখে "শেন" ছাড়া কাউকে মনে হচ্ছে না.......যদি এটাও না হয় তবে অাপনার ধাঁধাই ভুয়া :-<

প্রথমত ধাঁধা ভুয়া না, আমি আসলেই একজনকে দিয়েছিলাম। সত্যি বাস্তব কাহিনী।
আমি লুকিয়ে যাদের কথা ভেবে রেখেছি আপনি তার মধ্যে অন্যতম। রেগুলার পাঠকেরা চান্স পাবার আগে ডিসক্লোজ করতে চাইনি। আমি কাল পরশুর মধ্যেই দিয়ে দেব। উত্তরগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং, আর কিছু শুনেই রিয়াল উত্তর দিয়ে দেব। তখন আপনি দেখে নেবেন উত্তর মেলে কিনা।
হেই হেই নারীসুলভ না এটা, ছেলেরাও অনেক কথা পেটে রাখতে পারেনা। এগুলো আপনাদের পুরুষজাতীয় অন্যায় অপবাদই বটে! :)

অামারতো মনে হয় জীম ক্লাসটা পরে অাপনি খুব উপভোগই করতেন.....নাচন-কোঁদনে মজা অাছে বটে!!
অদ্ভুত ব্যাপার কি জানেন? কানাডায় প্রথমদিকে কোন ক্লাসই ভালো লাগত না কিন্তু পরে আমি উপভোগ করার রাস্তা খুঁজেই নিয়েছিলাম। কিন্তু জিম ক্লাস? হেল নো! এখনো আমার জীবনের দুর্বিষহ স্মৃতি, পরের দিকে বেটার মার্কে পেতে শুরু করেছিলাম কিন্তু এনজয় কখনোই করিনি। যে কয়বারই নিয়েছি নিতে হবেই বলে নিয়েছি। সিনিয়ার ইয়ারে অপশন থাকে কোন কোর্স নিতে পার, তখন থেকে আমি আর ওমুখো হইনি!

রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশেও উৎসবের চিরচেনা দীর্ঘকালব্যাপী ছাপও অস্পষ্ট হয়ে পড়ছে ইদানীং.....
আগের চেয়ে অস্পষ্ট হলেও কানাডায় তুলনায় অনেকগুন এগিয়ে বাংলাদেশের মানুষ উৎসবপ্রিয়তায়! লাস্টের ডুড ফরগট কথাটা খুবই মজা লেগেছে!

.......কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে করে অনেক কেঁদেছি, আবেগী হয়েছি
জেনে যারপরনাই খুশি হলাম, লেখায় যে অাপনাকে অার কানাডাকে সর্বোচ্চ মাত্রায় পেয়েছি সেটার চেয়ে সুখকর খবর প্রবাসপ্রিয় পাঠকের কাছে অার কী হতে পারে? (ডিগবাজীর ইমো)

হায়রে পাঠক, আমার প্রিয় পাঠক, কান্নাভেজা লেখার স্বাদ গ্রহনের আনন্দে আমার কষ্ট ভুলে গেলেন! আফসোস!

আপনি যত্ন নিয়ে কমেন্ট করেন, আমিও যত্ন নিয়ে প্রতিউত্তর করলাম। আপনার মতো মেধাসম্পন্ন শব্দভান্ডার নেই তবে ডিটেইলে সব বলে দিয়েছি।

অনেক ভালো থাকুন আপনি। হাসতে থাকুন সর্বদা।

২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৭

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: গ্রিক দেব দূত নাকি?
লেখা বরাবরের মতই ক্লাসি।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখনীর প্রশংসা করার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ধাঁধার সঠিক জবাব একবার ম্যাক্সিমাম রেগুলার পাঠকেরা ট্রাই করার পরে দিয়ে দেব। আপনাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে।

শুভকামনা আপনাকে!

২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪১

ম্যাড মাক্স বলেছেন: ঈদ এর ছুটি শেষ করে আসার আগেই ভেবে ছিলাম উৎসব নিয়ে একটা লেখা পাবো, তবে ধারণা করেছিলাম প্রবাসে কি ভাবে ঈদ পালন করেন সেটা নিয়ে লিখবেন

ভিনদেশীদের সাথে ঝগড়া করে আমি বাংলাদেশের রেপুটেশন খারাপ করতে চাইনি। স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষ ঝগড়াটে এটা ভয় পেতাম।
দেশকে নিয়ে এত ভাবেন এটা অসাধারণ একটা ব্যাপার। আমার এক বন্ধু ৪ মাস হল জাপানে গিয়েছে, ওর সাথে কথা বলতে গেলে শুধুই দেশের সাথে জাপানের তুলনা করে। এই জন্য ওর সাথে কথাই বলতে ইচ্ছে করে না। দেশে হল "মা", মা এর সাথে কি কারও তুলনা হয়?

ধাঁধার জবাবঃ শেন হতে পারে।

লেখা বরাবরের মতই ভাল হয়েছে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপনি! স্বাগতম। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ ভালো কেটেছে আশা করি।

আপনাকে একটা সিক্রেট বলি। আপনি যাবার আগে বলেছিলেন বলে আমি আসলেই লিখতে বসেছিলাম এবং কানাডায় আমার প্রথম ঈদ নিয়ে সাত আট প্যারা লেখার পরে মনে হল কি ভীষন দুঃখের ছিল দিনটা! স্বজনহীন, হাহাকারময় সে কথাগুলো ঈদের মৌসুমে আনতে চাইনি। ঈদতো সবার মাঝে খুশি ছড়িয়ে দেবার সময়! সেজন্যে কানাডিয়ান উৎসবের মজার স্মৃতিগুলো নিয়েই লিখে ফেললাম। তবে উৎসব নিয়ে লেখার আইডিয়াটা আপনার কাছ থেকেই পেয়েছিলাম এজন্যে ভীষনভাবে ধন্যবাদ।

দেশে হল "মা", মা এর সাথে কি কারও তুলনা হয়?
একদম। আমিও সিক এন্ড টায়ার্ড কিছু প্রবাসীর কানাডার সাথে বাংলাদেশের তুলনা করা এবং একটু পরে পরে দেশটার কিছু হবে না বলা নিয়ে। আরে কানাডা ১৪৬ বছরের দেশ আর বাংলাদেশ সেদিন জন্মাল, উন্নতিতে সমান হয় কি করে? আরো অনেক অপেক্ষা করতে হবে, এবং স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হবে। এখনই আশা, হাল ছেড়ে যারা বসে আছে দেশ এবং দেশের বাইরে, তাদের প্রতি করুনা।

ধাঁধার সঠিক জবাব একবার ম্যাক্সিমাম রেগুলার পাঠকেরা ট্রাই করার পরে দিয়ে দেব। আপনাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে।
ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা করার এবং সিরিজটা ফলো করার জন্যে।

অনেক ভালো থাকুন আপনি, শুভকামনা রাশি রাশি।

৩০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

সম্রাট৯০ বলেছেন: জব্বর লিকছো কইলাম,তুমি হালায় ইমুন কিমতে লিকো? জোস হইছছে। জানুনের অনেক কিছু আছছে। যিমুন ধরো আমাগো ঢাকাইয়া কালছার, দুনিয়ার যেহানে যাইবা আমাগো কালছারই চেরা। আমাগো মিল মহব্বত দেইককা মানুচ জ্বইললা মরে, আমরা হালায় একটু আবেগি আছছি।তয় আবেগ কইলাম বালা জিনিস, যার লগে আবেগ নাইক্কা ঐ হালায় মানুচিই না,আবেগ থাকবোনা কেলা কও? আবেগ ছাড়া চলমু কেমতে। মেচিন মেচিন লাগবোনা কও?

তয় তোমার এক্কান কতা আমার বালা লাগছছে। আবেগ লুকাইবার যাওনা, আরে হালা আবেগ লুকানোর জিনিচ নাহি? আবেগ থাকবো চামনে, আমাগো ঢাকাইয়া ছেমরী আবেগ বেছি হেইডা হগ্গলেই জানে। তুমিতো হলায়া আমাগো ঢাকারিই, হাছা কইছিনা? :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরিব্বাস রংবাজটা না? এত্ত প্রসংসা কইরা তো লজ্জায় ফেইলা দিলেন আমারে। থাংকু থাংকু।
হাচা কননি, আমার বোলচাল ঢাহাই হলেও আমি মাইয়াডা মফস্বলের। তয় আপনের লগে এ বোলে বাতচিত করতে মজা লাগে, কলিজায় সান্তি পাই।

হ আবেগ চারা তো আমি থাকবারই পারিনা। এইডার লাইগা তো এত কষ্ট পাই! মাগার এইডাই আমার শক্তি, তাই গর্ব নিয়া দেহাইয়া চলি।

বন্ধু আপনি ভালো আছেন আশা করি। পুতুল মামনীও ভাল থাকুক। আর ভাবী? তাকে ভালো রাখছেন তো? ভাবীকে কিন্তু অনেক ভালবাসবেন এবং কখনো অবিশ্বাস করবেন না। তাহলে সে অনেক কষ্ট পাবে।
আপনার সাজানো সংসারে কারও যেন নজর না লাগে সে দোয়া করলাম আমি মন থেকে।

গানটা সুন্দর, এটা নিন, view this link

৩১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

ঢে্উটিন বলেছেন: পড়লাম এবং জানতে পারলাম ভিন্ন একটি দেশের কালচার। আসলে জাতি হিসেবে অামরা বরাবরই অাবেগ প্রবন এটা সবারই জানা। মাঝেমাঝে মনে হয় এই আবেগই অামাদের জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়ার কারন, আবার মাঝেমাঝে মনে হয় এই আবেগ এর কারনেই এখনো পারিবারিক বন্ধন এতো বেশি, যা অন্য দেশে কম দেখা যায়। তবে সবকিছুরই ভালো-মন্দ দুটি দিকই বিদ্যমান।

অাশাকরি লেখিকা অত্যাধুনিক জিমে জিম কইরা অারো বেশি হেলদি হয়া এখন ভালো আছেন। আর আমরা অত্যাধুনিক জিম না পায়া ডাইনোসর (টিকটিকি) রইয়া গেলাম..... :D :D :D :D
তয় আমগো লাইগা একটু দোয়া দরুদ পইড়া দিয়েন... B-)

লেখা বরাবরের মতই সাবলীল, প্রান্জল, ঝাঝা। এর বেশি আর মাথায় আসলো না তাই প্রত্যাশা সত্বেও প্রসংশাবানে ভাসাতে পারলাম না।

ধাধার উত্তর: মি: এম।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যা সবকিছুরই ভালো খারাপ থাকে। অত্যাধিক আবেগেরও ভালো খারাপ দুটো পিঠই আমরা জাতি হিসেবে দেখেছি। লেখার কথাটাই আবারো বলছি আমাদের ভালোটাকে ঠিক রেখে, খারাপগুলোকে দূরে সরিয়ে বেটার জাতিতে পরিনত হব সে আশা করছি।

হাহা জিমসংক্রান্ত কথাগুলো পড়ে হেসে ফেলেছি। :)

না না যতটুকু মাথায় এসেছে তাতেই ধন্য করে দিয়েছেন আমাকে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সব কথা বলার জন্যে আমার লেখনী নিয়ে।

আপনাকে ধন্যবাদ চেষ্টা করার জন্যে, আমি জলদিই উত্তর দিয়ে দেব চেক করে নেবেন।

ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা এবং সিরিজটা ফলো করার জন্যেও।

শুভকামনা রাশি রাশি।

৩২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

অসভ্য রাইটার বলেছেন: ধাঁধার সঠিক জবাব কবে দিবেন অাপু , প্রতিদিন পোস্টে অাসে ঘুরে যাই উত্তর পাই না ।

অার সম্ভব হলে এই লিংকে দিয়ে দিবেন , কারণ অাজ থেকে হয়ত ব্লগে অার নিয়মিত হতে পারব না । ভাল থাকবেন ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সোনা ভাইটা আমার উত্তর দিয়ে দিয়েছি চেক করে নাও।
তোমার লিংক তো আমারই ব্লগবাড়ির এডরেস, এটাই কি দিতে চেয়েছিলে? আমি তো উত্তর আমার ব্লগেই দেব না?

জলদি সব কাজ/সমস্যা মিটিয়ে ব্লগে আবারো নিয়মিত হও, ঠিক আছে?

ভাইটা আমার ভালো থাকুক সে কামনা থাকল।

৩৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধাঁধার জবাব: কোন পাঠকই সঠিক উত্তর দিতে পারেননি, আমি সব ভুল উত্তরগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। তারপরে সঠিক উত্তর দিয়ে দিচ্ছি।

ম্যাক্সিমাম উত্তরগুলো ছিল,

প্রিয় শিক্ষক মি: এম: ওনাকে তখনো চিনতাম না। দেখুন আমি বলেছি বেশ নতুন, তেমন কথা বলিনা, আমার ইংলিশ ওরা বোঝেনা। আর মি: এমের তো E.S.L. ক্লাসের টিএ ছিলাম আমি! বেশ চটপটে, ইংলিশে দক্ষ হবার পরেই হয়েছি নিশ্চই! এক পর্বে বলেছিলাম আমি মি: এমের স্টুডেন্ট তবে সেটা অন্য মি: এম, নাম একনা তবে প্রথম অক্ষর এক। যেই মি: এমের কথা বলছেন আমি শুরু থেকে তার টিএই ছিলাম সিনিয়ার ইয়ারগুলোতে। ওনাকে যেহেতু চিনতামই না তো দেবার প্রশ্নই ওঠেনা।

প্রানের ব্রাজিলিয়ান বান্ধবী জে: এটা খুব ভালো একটা গেস ছিল। ভুল হওয়ার একটাই কারন ও তখনো আমাদের স্কুলে আসেনি, মি: এমেরই ক্লাসে ওর সাথে আমার পরিচয়। ওকেই হয়ত দিতাম যদি তখন জানতাম ওকে! তবে নিঃসন্দেহে ও ঠিক উত্তর না।

বান্ধবী শেন: ও ভীষন ইরেগুলার ছিল। এখন মনে করতে পারছিনা তবে সেদিন হয়ত আসেইনি। আর এমনিতেও ও আমার জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ন কিন্তু সংক্ষিপ্ত অংশ ছিল। যেদিন ওর প্রতি তীব্র মমতা বোধ করেছিলাম তার পরে এক সপ্তাহ অনুপস্থিত থেকে ও আমেরিকা সেটেলড হয়। তো না।

সুদর্শন এরিক: হেল নো! নিজের বয়সী কোন ছেলেকে কাগজের হার্ট দেবার সাহস সে বয়সে কেন এ বয়সেও হয়নি আমার। আর ওকে ভীষন নাকউঁচু, অহংকারী মনে করতাম শুধু চেহারা ভালো হবার কারনে চোখ যেত। বন্ধুত্ব ছিলনা, টুকটাক কথাও কমই হত। ওকে নিয়ে বি এর সাথে হাসি ঠাট্টা করতাম! শেষ দেখার আগ পর্যন্ত ওর জন্যে মনে কোন সম্মান ছিল না, তারপরে তো আর দেখাই হয়নি! ও কোনভাবেই না।

সঠিক উত্তর বি: পর্ব ১১ তে সুদর্শন এরিকের কথা বলেছিলাম। সেই পর্বেই ৮ তম প্যারায় আমার এক কানাডিয়ান বেস্ট ফ্রেন্ড বি এর কথা বলেছিলাম। সে পেয়েছিল। আমি এখানে বলেছি দুটো ক্লাস শেষ করার পরে সোশাল স্টাডিস ক্লাস। চারটা করে ক্লাস হত দিনে। লাস্ট ক্লাসে আমার পাশে বসত বি। প্রথম কানাডিয়ান যে আমার ভাংগাচুরা ইংলিশের পরেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল। অনেকবার রিপিট করতে হত তারপরেও ধৈর্য নিয়ে সব শুনত। নতুন দেশে নতুন পরিবেশে অসহায় আমাকে মেধার জন্যে ভীষন সম্মান দেখাত। কত প্রশংসা, ভালোবাসা পেয়েছি ওর কাছে! ওকেই দিয়েছিলাম আমি।
জানতাম সংক্ষেপে আসা ওর নাম ঢেকে যাবে মুখ্য অনেক চরিত্রের চাপে। আসলে বিভিন্ন সিরিয়াস টপিকের আড়ালে ওর সাদামাটা ভালোবাসার কাহিনীগুলো তোলার সুযোগ পাইনি। তবে জলদি ওকে নিয়ে লিখব একদিন।

ধন্যবাদ সকল পাঠককে যারা চেষ্টা করেছেন। কেউই সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। অনেক কঠিন ছিল তাই না পারাটা দোষের না। ধন্যবাদ আবারো।

৩৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৮

অসভ্য রাইটার বলেছেন: অাপু অামি লিংকটা ঠিকি দিসিলাম তো । কিন্তু কেন যে এমন হল । ঐ লিংকে কে ক্লিক করলে অাপনার ব্লগে নিয়ে যায় ঠিকি কিন্তু অাপনার ব্লগের ঠিকিনা ........samupagla007/ ---&gt; এর পরে লক্ষ করলে দেখবেন এডডেস বারে ........samupagla007/
পরে (www...........) দিয়ে সাথেই অামার দেয়া লিংকটা অাছে । যাই হোক । J link ta disilam

উত্তর তো পেয়ে গেছি , মনের কনফিউশন দূর হল ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা বুঝেছি। হতে পারে টেকনিকাল কোন সমস্যা।
যাই হোক বাদ দাও, উত্তর পেয়ে গেছ ধাঁধার, আর কি চাই?

ভালো থাকুক আমার লক্ষী ভাইটা। :)

৩৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: হ্যালো ব্লগ বাড়ির মেডাম ভাল আছেন নিশ্চয় কি খবর উত্তর দিলেন না।আর পরের পর্ব কবে পাব।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা এই ম্যাডাম নামটা ভালোই ছড়িয়েছে দেখছি, আপনারা পারেনও!

হাই স্যার! আমি ভালো আছি, আপনিও ভালো আছেন আশা করি!

জানিনা রে, এরপরের পোষ্ট অন্যকিছু নিয়ে হবে সেটা বলে দিতে পারি। তারপরে হয়ত পর্ব ১৮ আসবে। যাই হোক সাথে থাকুন ম্যাডামের! হাহা।

শুভকামনা!

৩৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: অউ কিতা খইলা আমরা কিতা ফারি ম্যাডাম না ডাকিয়া আফনারে কিতা ডাকতাম তে আফনে খউক্কা।১৮ নম্বর পর্বটা সকাল সকাল দিলাইন জানি।বালা থাখউক্কা আল্লাহ হাফিজ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আফনে আমারে ম্যাডাম ডাইকেন, আমরার খুব বালা লাগত। কিতা কন? সকাল সকাল কেমনে দিতাম? না পারতাম না, আমরার টাইম লাগত। আফনারে অপেক্ষা করতে হইত। আপনেও বালা থাইক্কেন। আল্লাহ হাফিজ।

কোন একসেন্টে বললাম জানিনা, ব্যাস আপনারটা দেখে চালিয়ে গিয়েছি, ভুল ত্রুটি মাফ করে দেবেন। :)
শুভকামনা!

৩৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৪

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: আপনি মনে হয় কিছুটা বরিশাইল্লা মিক্স করে বলছেন।আর আমি সিলেটি নাগরি ভাষায় বলছি বুজলেন ম্যাডাম।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে বুঝিনি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাড়িতে কড়া নিয়ম শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে। সেজন্যে অন্য একসেন্টে তেমন কথা বলিনি কখনো। কোন একসেন্ট কেমন সে বিষয়ে জ্ঞান কম, শুনলে যদি বুঝেও যাই যে এই জেলার, নিজে বলতে/লিখতে পারিনা ভালভাবে। আজকাল বিভিন্ন বাংলা একসেন্টে কথা বলতে ইচ্ছে করে তাই চেষ্টা করলাম।

যাই হোক, ভালো থাকুন।

৩৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫২

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: সমস্যা নাই আপু না বুজারই কথা।আর সিলেটী নাগরী ভাষা হচ্ছে বর্ণ মালা সহ একটি ভাষা যার ৩১ টা ব্যাণ্জন বর্ন ও ৫ টি সরবর্ণ আছে আর যে সংখ্যা টা লিখছি একটু কম বেশি হতে পারে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাষা বুঝি, কিছু বললে বুঝব। কিন্তু কোন ভাষাটা কোন জেলার সবসময় বুঝতে পারিনা, আর পারলেও নিজে বলতে পারিনা।

কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ। জানলাম!

৩৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৫

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: আপনাকে ও স্বাগতম।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: :)

৪০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৭

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.