নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৮) : পশ্চিমের গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড কালচার vs মফস্বলের প্রেম এবং চমকে যাওয়া আমি!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৪

শিরোনামে যা লেখা তাই বর্ণনা করব। বেশ কিছু পাঠক এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন প্রথম থেকেই। আমি লিখেই ফেললাম আজ। প্রচন্ড হাই ভোল্টেজের কিছু কালচার শক পেয়েছিলাম এ বিষয়ে। সেসব নিয়েই গল্প করে যাব এবং এ পর্বে বাংলাদেশের গল্প ঘুরেফিরে অনেকবার আসবে।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৭) : কানাডায় আমার প্রথম হ্যালুইন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে vs এক আবেগী জাতির পাগলামি

কাহিনী অনেক পিছে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের একটা ছিমছাম বাড়ির সাজানো ড্রয়িংরুমে। কাঠের কারুকাজ করা সোফাসেট, একটা সিংগেল খাট, চারকোনা টেবিল ঠিক ঠিক জায়গায় সাজানো। সোফায় বড়রা গম্ভীর মুখে আলোচনা করছেন এবং ছোটরা কার্পেটের ওপরে বসে বোর্ডগেম খেলতে খেলতে ফিসফিস করে গল্প করছে। আমিও একজন সেই ছোটদের মধ্যে। বড়দের আলোচনা কানে আসছে। বাবা বলছেন, "সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফ্লাইট। এর আগে সব রিলেটিভদের একত্রিত করে চাইনিজে নিয়ে যাই। একটা গেট টুগেদার, আবার কবে আসা হবে তার তো ঠিক নেই!" ফুপি মানা করে উঠলেন, "না না ভাইয়া আপনি সবসময় খরচ করবেন কেন? আমার বাড়িতে সবাই আসবে, দেশীয় রান্না খাবেন। কবে আবার ঘরের খাবার পাবেন কে জানে?" অনেক আলোচনার পরে শেষ ডিসিশান কয়েকদিন পরেই আমার কাজিনদের বাড়িতে সব আত্মীয়দের ঘরোয়া গেট টুগেদার। আমাদের বিদায়ী দাওয়াত বলতে পারেন।

গেট রুগেদারে আমি শান্ত হয়ে বসে আছি। আমার সব রিলেটিভ ঢাকার হলেও আমি মফস্বলেই বেড়ে উঠেছি বাবার চাকরির সুবাদে। বেশ সরল, শান্ত, দুনিয়া না দেখা মানুষ। আমার ঢাকার কাজিনরা আবার নামী স্কুলে পড়া ইংলিশ জানা ছেলেমেয়ে। আমি যখন বাংলা/ভারতীয় ছবিতেই পরে ছিলাম ওরা হলিউডের নামিদামী মুভিগুলো নখদর্পনে রাখত। আমি বিটিভির মীনার কার্টুন, আলিফলায়লা পাগলের মতো দেখতাম আর ওরা ডিসনীর বিখ্যাত ইংলিশ কার্টুনগুলো দেখত। আমিতো সাবটাইটেল দেখেও অনেক শব্দ বুঝতাম না। পুল যে পুকুর হওয়ার সাথে সাথে একটা খেলাও সেটা ওদের কাছেই জেনেছিলাম। মফস্বলে টিচারদের কাছে শান্ত হলেও বান্ধবীদের সাথে কথার ফোয়ারা ছোটাতাম। কিন্তু "স্মার্ট" কাজিনদের সামনে একদম চুপ সেই প্রজাপতির পেছনে ছুটে চলা চঞ্চল আমি। ওরা যে আমাকে মফস্বলের আনকালচার্ড, ক্ষ্যাত মনে করে বুঝতাম হাভেভাবে। তাই একটু আড়াল করে এককোনে নীরবে বসে ছিলাম ওদের মজলিসে।

এমনসময় আমার দুষ্টু কাজিন ব্রাদার ও সিস্টার আমাকে ডেকে নিয়ে গেল নিজেদের রুমে। আমাকে বলল, "কানাডায় যাচ্ছিস, কিছু জানিস দেশটার সম্পর্কে?" আমি পতাকা, নায়াগ্রাফলস আরো কিসব বললাম। ওরা বলল, "হায় হায় তুই তো আসল জিনিসই জানিস না।" আমি জিগ্যাসু দৃষ্টিতে তাকালাম। আমার বোন ড্রেসিংটেবিল থেকে তুলে একটা বিদেশী পাউডার হাতে ধরিয়ে বলল, "মোড়কটায় কিসের ছবি বলত?" আমি দেখি দুজন বিদেশী নর নারী অন্তরঙ্গভাবে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে আছে। আমি খুব লজ্জা পেয়ে গেলাম ওরা কোনদিকে যাচ্ছে বুঝতে পেরে। ওরা বলল, "কানাডায় স্কুলে এসব ওপেনলি হবে, বুঝলি? তোকেও করতে হতে পারে!"ওদের সিরিয়াস টোনে বলা কথাটা শুনে কিছুটা ভয় লেগে গেল আমার। কখনো কোন ছেলের হাতও ধরিনি, তাকালেই ওড়না ঠিক করতে শুরু করে দিতাম বিব্রত হয়ে। আমি এসব? ছি ছি! ওরা মজা পেয়ে বলল, "ভর্তি হতে এসব জানা লাগে কিন্তু ওখানে।" সেটুকু শুনে বুঝে গেলাম মজা নিচ্ছে দুজনে মিলে। এত বোকা ছিলাম না যে ভর্তি হতে এসব লাগতে পারেনা সেটা বুঝব না। বিরক্তিভরা চেহারা নিয়ে চলে গেলাম ফুপির কাছে গল্প করতে। ওরা নালিশ করব কিনা ভয় পেয়ে গেল, ইশারায় সরি বলল। আমি এমনিতেও নালিশ করতাম না, এসব বলতেও লজ্জা লাগত।
আমি সেদিন ক্ষনিক চমকালেও মনে মনে ওতটা ভয় পাইনি ওদের কথা শুনে। ভাবতাম রাস্তাঘাটে ওপেনলি হলেও পৃথিবীর সব দেশের স্কুলই কিছু ডিসিপ্লিন মেনে চলে। আমার এসব নিয়ে স্কুলে অন্তত কোন সমস্যা হবেনা। কিন্তু কানাডায় এসে বুঝলাম কাজিনদের কথা আংশিক সত্যি ছিল, স্কুলে সত্যিই এসব ওপেনলি হয়!

এবার কানাডায় ফেরত আসি। মনে পরে সেই প্রথমদিনের স্কুলের পর্বটা? সেখান থেকেই প্রায় শুরু করি। কয়েকদিনই হয়েছে স্কুলে। আমি অথৈ সাগরে পরে গিয়েছি। কোন ক্লাস কোনদিকে তাই ভুলে যাই, কাউকে জিগ্যেস করলে ইংলিশ বোঝেনা। কি করি আর না করি। এত আলাদা বর্ণ, দৈহিক গঠন, পোশাকের মানুষদের দেখে অবাক হয়ে যেতাম। যে আমি আড়ং এ ঢুকে কয়েকটা বিদেশী চোখে পরলেই হা হয়ে তাকিয়ে ভাবতাম এত সাদা! পাশে দাড়িয়ে থাকা মানুষটাকে ইশারা করে দেখাতাম, "ঔ যে বিদেশী!! কোন দেশের? বাংলাদেশ কি কাজে এসেছে?" কি কৌতুহল আর উত্তেজনা দু একটা বিদেশীতেই! সেই আমি যেদিকেই তাকাই কতধরনের মানুষ দেখি আর হকচকিয়ে যাই! এরকমই এক অসহায়ত্বে ভরা মনখারাপের সময়ে একদিন লবি দিয়ে আনমনে হেটে যাচ্ছি ব্রেকে। হঠাৎ চোখে পরল লকারের সাথে ঠেসে দুজন স্টুডেন্ট মগ্ন হয়ে লিপ কিস করছে! আমি দেখেই চোখ সরিয়ে নিলাম, আবার তাকালাম। না তাকানো যায়, না চোখ সরানো যায়! কি বিব্রতকর অবস্থা! হায় আল্লাহ! স্কুলে টিচারের রুমের কাছেই এসব! আমি কি দেখলাম, কেন দেখলাম?
কোনভাবে নিজেকে সামলে ছুটে সবচেয়ে কাছের দরজা দিয়ে স্কুলের বাইরে বেরিয়ে গেলাম কিছুক্ষনের জন্যে। বারবার ভাবছিলাম এসব ওপেনলি হয় স্কুলে? স্কুলে? প্রথম সামনাসামনি এমন কিছু দেখে কেমন জানি শরীর ঝিনঝিন করে উঠেছিল। একটা অস্বস্তি ভরা লজ্জায় মিশে গিয়েছিলাম!

তখন মাসখানেক হয়েছে স্কুলে। কোন ক্লাস কোথায় এটা জানি, কয়েকজন টিচারের সাথে ভাংগা ভাংগা ইংলিশেও ভাব জমিয়ে ফেলেছি। স্কুলে আপন বলতে কাউন্সিলার, আর দুজন টিচার। তাছাড়া আমি ভীষন একা। বন্ধু দূরের কথা কেউ পাশেও বসে না। পড়াশোনায় মার্ক তেমন ভালো না কিন্তু আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্কুলের লম্বা ৭/৮ ঘন্টা প্রায় চুপ করে কারও সাথে কথা না বলে থাকতে হত। কেউ কথা বলতে গেলে আমি কিছু বুঝতাম না। মনে হত ট্রেইন চালিয়ে শব্দগুলো বলছে! কি দ্রুত, খটমটে একসেন্ট! ওরা কয়েকবার রিপিট করে আগ্রহ হারিয়ে ফেলত। আর তেমন মিশত না। সবমিলিয়ে খারাপ পরিস্থিতি।

এমনসময় একদিন ব্রেকে আনমনে হাটছি। ছন্নছাড়া গন্তব্যহীন ভাবে হাটতে হাটতে স্কুলের পেছনের মাঠটায় পৌঁছে গেলাম প্রথমবারের মতো। কি ভীষন বড় এক মাঠ! ছোট করে ছাটা সতেজ ঘাসবিশিষ্ট সবুজ চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে মাঠটি শুয়ে আছে ঝকঝকে নীল আকাশের নীচে। মাথা উঁচু করে সামনে তাকিয়ে বুকে ধক করে লাগল প্রডন্ড সৌন্দর্য! সারি সারি পাহাড় আকাশ ছুঁয়ে! এ যেন আকাশ আর পাহাড়ের সৌন্দর্য প্রতিযোগীতা! এত সুন্দর আমি কি আগে দেখেছি? আমার একাকীত্ব প্রকৃতির বিশালত্বে মিলিয়ে গেল। কিছু বেঞ্চ ছিল সারি করে বসার। প্রথমদিন বসে ছিলাম বেঞ্চে। আস্তে আস্তে জায়গাটা আপন হয়ে যাওয়ায় ঘাসেই একা একা বসে থাকতাম। ঢালুমতো জায়গায় হেলান দিয়ে পাহাড় দেখতাম, সেটুকু সময় মনে কোন একাকীত্ব থাকতনা। এই আকাশ, পাহাড়ই আমার বন্ধু, এরা আমার চোখের ভাষা পড়তে পারে। ইংলিশ জানতে/বুঝতে হয়না আমাকে। কি ভীষন অভিমানের সাথে এসব কথা ভাবতাম আমি!

জায়গাটা এত সুন্দর হবার পরেও নির্জন থাকত বেশিরভাগ সময়। স্কুলের ভেতরে বা সামনের মাঠটাতেই সবাই হ্যাং আউট করত বেশি। আমাদের স্কুলের আশেপাশে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল। স্টুডেন্টরা দলবেঁধে সেখানে লাঞ্চ করতে যেত। আমি তো বাড়ি থেকেই দেশী নাস্তা আনতাম তাই কোথাও যাওয়া লাগত না। জীম ক্লাসের পেছনের দরজা দিয়ে সহজেই মাঠটা পরত এবং স্লো না থাকলে ক্লাস বাইরে হত। মাঠটা তাই বেশিরভাগ সময় ক্লাস অথবা টুর্নামেন্ট পার্পসে ব্যবহৃত হত। সবমিলিয়ে আমার পছন্দের জায়গা যার মালিকিন শুধু আমি! প্রতিদিনের রুটিন ছিল আমার সময় পেলেই নির্জন জায়গাটায় বসে বসে পাহাড়/আকাশে মিলেমিশে একাকীত্ব, বাংলাদেশকে ছাড়ার তীব্র ব্যাথা ভোলার। গাল বেয়ে কত ফোঁটা নিঃসংগ অশ্রু যে সেই ঘাসে পরেছে তার হিসেব নেই!

এরকমই একদিন রুটিন অনুযায়ী ব্রেকে গিয়েছি, দেখি অন্য অনেকদিনের মতো নির্জন না। বেশ কিছু স্টুডেন্ট আছে, খেলাধূলা করছে। কোন টুর্নামেন্টের অনুশীলন করছে মনে হয়। মন একটু খারাপ হয়ে গেল, একা থাকলে মনে হত এই পুরো পাহাড়, আকাশ আমার। যাই হোক তাও হাটতে হাটতে ঢালু মতো জায়গায় বসতে যাব দেখি কি আমাদের স্কুলের দুটো ছেলেমেয়ে ঘাসের ওপরে একে অপরের ওপরে শুয়ে মেক আউট করছে। আমার তো চোখে বড় বড়, মুখ হা হয়ে গেল! তখনো মেক আউট শব্দটা জানতাম না, একে "লজ্জা লজ্জা" বলতাম মনে মনে। তো ওদের লজ্জা লজ্জা করতে লজ্জা না লাগলেও আমি লজ্জা পেয়ে জোরে কদম চালিয়ে স্কুলের ভেতরে। কি ভীষন অস্বস্তি হয়েছিল সেদিন! কোন ছেলে মেয়েকে প্রথমবার অতটা অন্তরঙ্গ ভাবে দেখেছিলাম, তাও আবার আমারই সহপাঠি! ছেলেটা অনেক লম্বা, সোনালী চুল, নীল চোখবিশিষ্ট হওয়ায় আগেও অনেকবার চোখে পরেছে স্কুলে। আমার ক্লাসের না কিন্তু লাইব্রেরীতে মাঝেমাঝেই দেখতাম। মেয়েটাকে চিনতাম না। ওরা কি অবলীলায় একে অপরের ওপরে মেতে ছিল! আশেপাশের বাকি ছেলেমেয়েরাও অবাক চোখে তাকাচ্ছিল না, নিজের মতো খেলে যাচ্ছিল! এটাই যে স্বাভাবিক এখানে!

কাহিনী প্রথম কয় মাস থেকে এক টানে লাস্ট ইয়ারে নিয়ে আসছি। পায়ের মাটি পুরোপুরি শক্ত। সব টিচারদের পছন্দের পাত্রী এবং ভীষন সুমধুর সম্পর্ক তাদের সাথে। কানাডিয়ান সহ বিভিন্ন দেশের ইংলিশ একসেন্ট ভালমতো বুঝতে পারি এবং নিজেও বলতে পারি। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব। নিজে তো এডজাস্ট করেই নিয়েছি, টিএ হয়ে নতুন, ইংরেজী না জানা স্টুডেন্টদের সাহায্য করার সৌভাগ্যও হয়েছিল।

আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর কিছু সময় কেটেছে মি: এম এবং প্রানের ব্রাজিলিয়ান বান্ধবীর জের সাথে। একটা E.S.L. ক্লাসে দুজনকেই একসাথে পেয়েছিলাম। আমাদের তিনজনের বন্ডিংটা কি ছিল সেটা বলে বোঝানো যাবেনা।
আমি আর জে অনেক গল্প করতাম। কিশোরি বয়স, মনে অনেক রং থাকে। বান্ধবীদের সাথে বেশিরভাগ গল্পই ছেলেসংক্রান্ত হতে থাকে। পছন্দের মেইল সেলিব্রেটিদের ছবি দেখতে দেখতে কল্পনায় ভাসতাম, ওর দিকে তাকিয়ো না ও শুধুই আমার বা এটা আমার ওটা তোমার এভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে হেসে লুটপাট হতাম (এখনো লিখতে হাসি পাচ্ছে), স্কুলের কোন ছেলে ফ্লার্ট করছে, হাসব্যান্ড কেমন হবে, বাচ্চা কয়টা হবে সবকিছু নিয়ে গল্প করতাম। ও বলত আমি বড়লোক হলে অনেকগুলো বাচ্চা নিতাম, আমি বলতাম দুটোর বেশি কখনোই না এবং অবশ্যই মেয়ে। হাহা, এসব পাগলামি কথা ছিল। জীবনের কোন এক সময় এসব ধারনা পাল্টাবে কিনা সেটা নিয়ে আমরা বেপরোয়া ছিলাম। মি: এম এই সরল সুন্দর গল্পগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনতেন এবং আমরা ওনার সাথেও এসব কথা বলে যেতাম অবলীলায়!

জের বয়ফ্রেন্ড ছিলো এজন্যে আমার চেয়ে ওর গল্পগুলো আরো বেশি ইন্টারেস্টিং হতো। বয়ফ্রেন্ডের সাথে যা যা হতো সব আমাকে আর মি: এমকে বলত। এমনই একদিন জে মন খারাপ করে বসে আছে। জিগ্যেস করতে জানলাম ও ফেসবুকের চ্যাট হিস্ট্রিতে দেখে ফেলেছে যে বয়ফ্রেন্ড তার এক্স গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলেছে এবং ওকে জানায়নি। আমি জিগ্যেস করলাম চিট করছে? ও বলল, "না মেয়েটাকে বলে দিয়েছে ওর গার্লফ্রেন্ড আছে।" আমি বললাম সমস্যা কি তবে? ও বলল, "এই কথাগুলো আমাকে বলেনি কেন? ঐ মেয়ের সাথে কেন কথা বলতে হবে? আমিতো ওকে সব বলি, স্কুলে কোন ছেলে তাকালেও বলি।" আমি ওর মাথায়, পিঠে হাত বোলাচ্ছি, বোঝাচ্ছি। মি: এম আমাকে ইশারায় ডেস্কে ডাকলেন, ফিসফিস করে কি হয়েছে জানতে চাইলেন। আমি বললাম সব। উনি মাথা ঝাঁকিয়ে যার মানে (তোমরা বাচ্চারা!), জের কাছে এসে বোঝালেন, "একটা সম্পর্কে কিছু কিছু জিনিস পার্টনারকে বলা না বলা দুটোই রিস্কের। সে যদি তোমাকে বলত তুমি জিগ্যেস করতে কেন ও তোমাকে নক করেছে? সে বোঝাত এটা তার দোষ না। তুমি বলতে তারই দোষ, সে রেগে যেত। তুমিও। তোমার বয়ফ্রেন্ড এসব এভয়েড করতে চেয়েছে। ওর উচিৎ হয়নি তবে ও ভাবনা ঠিক ছিল। আর মেয়েটাকে তো বলেই দিয়েছে তুমি আছ ওর জীবনে। আমার মনে হয় তুমি ওকে ক্ষমা করে দাও পরেরবার কোন কথা না লুকানোর শর্তে।" জে একটু ভেবে মাথা নেড়ে সাথে সাথে ফোন নিয়ে ক্লাসের বাইরে গেল মি: এমের অনুমতি নিয়ে এবং কিছুক্ষন পরে হাসতে হাসতে ফিরে আসল।

ততদিনে এসবে আমার অবাক লাগেনা। কিন্তু মুচকি হাসতে লাগলাম বাংলাদেশের এক বাংলা টিচারের কথা মনে করে। গার্লস স্কুলে ছিলাম তখন। গ্রেড সেভেনের ক্লাসেই সম্ভবত, ঝড়ের গতিতে এসেই লেকচার শুরু করে দিলেন, "তোমরা কি হিন্দি সিনেমা দেখে এসব শিখতেছ?'' বেতটা উপর থেকে নিচে হাত বুলিয়ে বললেন, "কিছু মেয়ের সম্পর্কে খারাপ কথা কানে আসতেছে আমার। যদি হাতেনাতে ধরতে পাই তবে বেত না বাঁশ ভাঙ্গব পিঠের ওপরে। পরিবারের সাথে সাথে স্কুলেরও নাম খারাপ করতেছে। এইটুকু বয়সে তো আমরা প্রেম শব্দটার মানেই জানতাম না আর তোমরা?" আরো অনেককিছু গজগজ করতে করতে বলে গেলেন। ক্লাসে সবাই মাথা নিচু করে লজ্জায় মুখ ঢেকে হেসে যাচ্ছে। আমার বান্ধবী ইশারা করল একটা মেয়ের দিকে, "ইনিই তিনি" বলে। আমি একটু চমকে উঠলাম, আমার বয়সী মেয়ে প্রেম করে? এটাতো ভার্সিটির বড় আপুরা করে শুধু। সেদিন প্রথম জেনেছিলাম স্কুলপড়ুয়ারাও প্রেম করে। আর করাটা বিরাট আকারের পাকামি, পাপ এবং টিচার জানলে বেত না বাঁশ! পরিবারের সম্মান নষ্ট, সমাজে মুখ দেখানো যাবে না জানাজানি হলে। মোরাল অফ দা স্টোরি, পরীক্ষায় ফেইল এবং প্রেম এ দুটো জিনিস জান বাঁচাতে হলে কোনভাবেই করা যাবেনা।
আর কানাডায় টিচারই রিলেশনশিপ এক্সপার্ট হয়ে সাহায্য করছেন! ভাবতেই শব্দ করে খিলখিল করে হেসে উঠলাম। জে আর মি:এম জিগ্যাসু দৃষ্টিতে তাকালে বললাম, "একটা মজার স্মৃতি মনে পরে গেল!"

সারকথা: ভালোবাসাকে কোন বয়সের গন্ডিতে ফেলতে নারাজ কানাডিয়ানরা। প্রেমটা এখানে যেকোন বয়সেই পাকামি মনে করা হয়না। বরং সাত বছরের বাচ্চাও যদি মাকে বলে স্কুলে একটা মেয়েকে সুইট মনে হয় তবে মা বলবেন, "ওও হাউ কিউট! আমার বেবির প্রথম ক্রাশ, ইয়ে! ওকে কোনদিন বাড়িতে প্লে ডেটে ডাকো!"
আর কানাডিয়ান কালচারে পার্টনারের সাথে ঘনিষ্ঠতা যেকোন বয়সেই লুকানোর মতো কিছুনা। ওরা ভাবতেই পারেনা এসব ব্যাপার রেখেঢেকে করার জিনিস। আমার ভালবাসার মানুষটার হাত ধরি, চুমু খাই তাতে কার কি? স্কুলেও কিশোর কিশোরিরা হাত ধরে, খুব অন্তরঙ্গভাবে টিচারের সামনে দিয়েই ঘুরে বেড়ায়। বলাই বাহুল্য টিচারও ভুরু কুচকে তাকায় না। অনেক টিচার তো আবার রিলেশনশিপ এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করেন তাদের ফ্যাভারিট কাপলদের জন্যে। ঝগড়া হলে মেটান! এসব কাপলকে এখানে মিষ্টি করে "হাই স্কুল সুইটহার্ট" বলা হয়।
সবাই জানে এরা স্কুল শেষ হবার পরে আলাদা হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি, বিয়ে হওয়ার চান্স খুবই কম। কিন্তু সিংগেল থাকাটা যেকোন বয়সেই কানাডায় নরমাল না। ডেটিং চলতেই থাকবে, অনেককে ডেট করতে করতে স্পেশাল মানুষটা ঠিকই একসময় এসে যাবে! সেই বহু আরাধ্যের সৌলমেইট! এভাবেই কানাডিয়ানদের মেজোরিটি জীবনধারন করেন।

চমকে যাওয়া আমি: কানাডায় প্রথম প্রথম এসব অন্তরঙ্গতা দেখে চোখের সামনে নিজের মফস্বলের জীবনটা ফিল্ম রিলের মতো ভেসে উঠত। প্রেম কি ভীষণ সরল ছিল সেখানে! ব্যালকনিতে আপুটা, রাস্তায় ভাইয়াটা, ভীষন দূরত্ব কিন্তু কি ভীষন কাছে! মফস্বলের প্রেমগুলো কার সাথে কার হচ্ছে সেটা সবচেয়ে আগে বোধহয় আমরা কিশোর/কিশোরিরাই জানতাম। অনেক আপু পেটে কিছু লুকোতে পারতেন না, মুচকি হেসে কাউকে কিছু না বলার শর্তে সব বলতেন। আসলে সবার কাছে লুকিয়ে রাখা জিনিসগুলো সেইফ কোন জায়গায় বলতে না পারলে অস্থির লাগে। তাদের মিষ্টি গল্পগুলো আমরা ছোটরা স্বপ্নীল চোখে শুনতাম! আমি বাবার বদলির চাকরি হওয়ার কারনে এতটাও জানতে পারতাম না প্রথম প্রথম যেয়ে। কোন এক শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্ট খবরী বান্ধবী আল্লাহ আমাকে জুটিয়েই দিতেন যে ফিসফিসিয়ে কার সাথে কার "ইটিশপিটিশ" চলছে তা জানিয়ে দিত। অনেক লুকানোর পরেও প্রেম লুকিয়ে থাকত না, কারও চোখে পরেই যেত। সেই একজন থেকে পুরো মহল্লা, শহরে ওপেন সিক্রেট যে অমুক বাড়ির ছেলের তমুক বাড়ির মেয়ের সাথে চলিতেছে লটর পটর। মজার বিষয় হচ্ছে, শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের বাবা মাই সবকিছু একদম শেষে জানতেন। জানার পরে আসল ড্রামা শুরু হত। কারও ভালোবাসার জয় হত হাজারটা ঝড় ঝাপ্টা পার হয়ে, আর কিছুর করুন পরিনতি দেখা লাগত! করুন পরিনতিগুলো দেখে প্রেম এক ভয়াবহ জিনিস ছিল আমার কাছে। চোখাচোখির প্রেমও যে কালচার মেনে নিতে পারত না সহজে সেই কালচার থেকে এমন ওপেনলি সবার সামনে আমারই বয়সী ছেলেমেয়েদের অন্তরঙ্গতা বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিত ভীষনভাবে। চমকে চমকে যেতাম প্রতি কদমে!

কি ভীষন এক অস্বস্তি! মনে ভয় ধরে থাকত কখন কি দেখে চমকে যেতে হয়! কতদিন পর্যন্ত আমি সারি করে থাকা লকারগুলোর দিকে ভয়ে তাকাতাম না! মাথা নিচু করে হাটতাম। সেই মাঠেও সপ্তাহ দুয়েক পর্যন্ত ভয়ে যাইনি। লাইব্রেরিতে বসে থাকতাম। আবার যেন দেখতে না হয় ওসব! সত্যি বলতে এসব চোখে পরাটাও আমার কাছে অবৈধ, পাপ মনে হত। কানাডায় প্রথম প্রথম এসব দেখে অনেকবার মনে হত কোন দেশে আসলাম? কেন আসলাম?

এর সাথে আমি এডজাস্ট কিভাবে করেছি? হুম, কোন চেষ্টা করিনি। ব্যাস সময় যেতে যেতে চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারগুলো। ওদের যা করার করুক, আমার কি? আমিও তো সালোয়ার কামিজ, টিপ পরে সারা স্কুল ঘুরে বেড়াচ্ছি। কেউ তো কিছু বলছে না। এক কানাডিয়ান মেইল ক্লাসমেট গ্রুপ প্রজেক্টে হায়েস্ট পাওয়ার খুশিতে গ্রুপের সবাইকে হাগ করতে করতে আমার কাছে আসতে গেলে ভয়ে পা কয়েক কদম পিছে নিয়েছিলাম। কিচ্ছু বলিনি কিন্তু আমার পিছে সরে যাওয়া দেখে ওর প্রথম কথাই ছিল, "সরি! তোমার কালচারে সমস্যা?" আমি অস্বস্তিভরা চেহারায় মাথা ঝাঁকালে আবারো সরি বলেছিল অনেকবার। এরকম একটা দেশের মানুষের যেকোন কিছু মেনে নেওয়া যায় কেননা ওরা আমার সবকিছু মেনে নিয়েছিল। বিশ্বাস করুন মুখ ফুটে বলাও লাগেনি আমি এরকম, ওরা বুঝে নিয়েছিল, আমার চোখ পড়ে নিয়েছিল। আমার ঢাকার কাজিনরাও আমাকে ততটা বুঝতে পারেনি কখনো। আমাকে কিছুই করতে হয়নি। ওরা আমার বিপরীতধর্মী কালচারকে সহজে মেনে নিয়ে অজান্তে আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল ওদের কৃষ্টি, কালচারকে কিভাবে মেনে নিতে হয়! মুক্ত, সরল, বিনয়ী চিন্তাধারায় প্রতিটি চমকে যাওয়া কদমে অদৃশ্যভাবে আমার পাশেই ছিল। ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ আমি এই উদার মানুষগুলোর কাছে!

শেষ কথা: এই পর্বটার শেষের প্যারাটা অনেক আবেগী হয়ে লিখেছি কিন্তু বাকি স্মৃতিগুলো মজারই মনে হয়েছে। তখন বিদঘুটে লাগলেও এখনকার গা সওয়া বিষয়গুলোতে নিজের এক্সপ্রেশন মনে করে নিজেই নিজের ওপরে হেসে উঠেছি অনেকবার। কি ভীষন বোকা ছিলাম না আমি? না না ছিলাম কেন বলছি? এখনো আছিতো!

মফস্বলের প্রেম এ কবছরেই অনেক পাল্টে গেছে হয়ত। বৈশ্বিকতার ছোঁয়ায়, প্রযুক্তির বদৌলতে প্রেমেও আধুনিকতার পরশ লেগেছে দেশের কোনায় কোনায়। আমি শুধু নিজে দেশে থাকার সময়কার কথা বলেছি। এখন ভুল শোনালেও বেশ কবছর আগে তাই ঠিক ছিল। চোখের পলকেই যেন অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে! সেই পাল্টানোটা সবার জন্য হিতকর ফল আনবে কিনা জানিনা আমি, শুধু দোয়া করি আমার দেশের মানুষ যেকোন অবস্থাতেই ঠিক পথে থাকুক, সুখে থাকুক।

প্রতি পর্বে যে ভীষন অনুপ্রেরনা পাই তার জন্যে যেকোন কৃতজ্ঞতার ভাষা কম হয়ে যায়। তবুও বিনয়ের সাথে আবারো ধন্যবাদ জানাই।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই আমাদের সময়টা ছিলো কঠিন, এখন কানাডার মতো এতো সহজ না হলেও মোবাইল ফোনের কল্যানে যথেষ্ট এগিয়ে গিয়েছি আমরা কানাডার দিকে.......ভাবতেই কষ্ট হয়, এমন সুযোগগুলো আমরা মিস করেছি :-B

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা কমেন্টটা পড়ে হেসে ফেললাম ভাই।
আরেহ মিস টিস কিছু না, এখন তো মোবাইলেরই যুগ। ভাবীকে কিছুদিন বাপের বাড়িতে রেখে দিন। বিয়ে হয়নি এমন ভাব করে ওনার সাথে মোবাইলে প্রেম করে পুরোন প্রেমটাকে নতুন করে ঝালিয়ে নিন। ;)

জোকস আ পার্ট, পাঠ ও মজার মন্তব্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২০

ক্লে ডল বলেছেন: মোরাল অফ দা স্টোরি, পরীক্ষায় ফেইল এবং প্রেম এ দুটো জিনিস জান বাঁচাতে হলে কোনভাবেই করা যাবেনা।
হা হা হা! খুব হাসলাম ! :)

আকাশ, পাহাড় আর আপনার পছন্দের নির্জন জায়গাটার বর্ণনা দারুন শৈল্পিকভভাবে দিয়েছেন!

"সরি! তোমার কালচারে সমস্যা?" এটুকু পড়ে, সত্যিই অভিভূত হলাম কানাডিয়ানদের অন্যের কালচারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি নিজেও কিছু কিছু লাইন লিখতে গিয়ে হেসে ফেলেছি। তখনকার সরল, সিরিয়াস চিন্তাগুলো আজকে এভাবে হাসাবে তা কে জানত? অবশ্য ছোটবেলার ভাবনা, স্মৃতিগুলো বড় বেলায় হাসানোর জন্যেই রয়ে যায় হয়ত!

জায়গাটা এত ভীষন সুন্দর যে আমি যতো যাই বলি কম পরে যাবে, সত্যিই। বাড়িয়ে তো বলিইনি কম বলেছি হয়ত!

আমিও অভিভূত হয়ে যেতাম এসব দেখে। বড় থেকে ছোট যেকোন বয়সের মানুষের অন্যের কালচারকে সম্মান করার উদারতা প্রতিনিয়ত আমাকে মুগ্ধ করে চলেছে! এত বছর পরেও মুগ্ধতা একটুও কমেনি!

পাঠ ও গোছানো, সুন্দর মন্তব্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাকে কিছুই করতে হয়নি। ওরা আমার বিপরীতধর্মী কালচারকে সহজে মেনে নিয়ে অজান্তে আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল ওদের কৃষ্টি, কালচারকে কিভাবে মেনে নিতে হয়! মুক্ত, সরল, বিনয়ী চিন্তাধারায় প্রতিটি চমকে যাওয়া কদমে অদৃশ্যভাবে আমার পাশেই ছিল। ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ আমি এই উদার মানুষগুলোর কাছে!

আপনার প্রতিটা পর্ব এত প্রাঞ্জল, এত গতিশীল এত শেখার, জানার উপাদানে ভরপুর- প্রথম রোমাঞ্চের মতো অন্যকিছু না ভেবে, না দেখে, না করে... একটানে পড়ে যেতে হয় :)

অসাধারন সিরিজের জন্য ধন্যবাদ

++++++++

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কবিসাহেব এত সুন্দর সব কথা বলে আমাকে ভীষনভাবে ঋনী করছেন। প্রতিটি পর্বে এত উজ্জল, প্রানবন্তভাবে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

হুমমম কবিসাহেবকে আর কি বলা যায়?? এত সুন্দর মন্তব্য তো দুবাক্যে প্রতিউত্তর করাটা অন্যায় হবে!

ও হ্যা, আপনি অনেক সুন্দর, গোছালোভাবে মন্তব্য করেন। আমার মনে হয় বাস্তবজীবনেও হয়ত অনেক সুন্দর করে কথা বলেন।

কবিসাহেবের জীবন যেন সর্বদা গতি, তাল, ছন্দে ভরপুর থাকে সে দোয়া করে শেষ করছি!

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

মজার আরেকটি পর্ব। 'মি এম' এর একটি 'প্রিজমা ছবি' দিন তো আপাতত! ;)

সব একত্র করে বই বের করে ফেলুন। বেস্টসেলার হবে নিশ্চয়!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুজুগে বাঙালি এখন প্রিজমায় মেতে, সবকিছুতে টেনেই আনবে প্রিজমা, হাহা।

নাও প্রথম প্রথম কিছু পাঠক তো বই বের করতে বলা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। এখন আবার বেস্টসেলার হবে সে কথাও উঠে গেল। আমি এখন কৈ যাই! হাহা।
আপনাদের এসব কথা আমাকে কি ভীষন অনুপ্রেরনা দেয় তা বলে বোঝাতে পারবনা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুখে থাকুন সর্বদা!

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পরে পড়বো। ঘুমাতে গেলাম।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা আচ্ছা ঠিক আছে হেনাভাই। আপনার ঘুমের সময় হয়ে গিয়েছে, শান্তি করে ঘুমিয়ে পরুন। বলে যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ। পরে সময় করে পড়ে নেবেন কিন্তু!

ভালো থাকবেন অনেক!

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১১

সিলা বলেছেন: ইস.... আপু তোমার মত এত সুন্দর করে লিখতে পারলে আমি আমার জীবনে একদিন পর্ব করে লিখা সুরু করেদিতাম হাহা....


আপি..... মফস্বল কি আর মফস্বল আছে এখন? মফস্বলেও এখন একজনের ২/৩টা বয়ফ্রেন্ড থাকা তার ক্রেডিট!!! আর হাত ধরাধরি করে হাটাতো ডালভাত বেপার। আমারোজে মাঝে মাঝে হাত ধরে হাটতে ইচ্ছে করেনা তা নয় :-/
তবে...... আমার এই বদ মেজাজের কল্লানে কেউ সাহস পায়না।
সবাই বদলাল কোন না কোন ভাবে সুধু সেই আমিই আমার জায়গায় রয়ে গেলাম
তবে হে বান্ধবীদের সাথে বাজি ধরে ৪টা প্রেম করা লাগছে। আর আসাকরি ৪টাই শেষবার দোয়া কর আর যেন না করতে হয়। আগেতো ছোট ছিলাম তাই বুঝতাম না কিন্তু এখন বুঝি মানুষের মনে কস্ট দেয়া আসলে ঠিক না। :( আনকালচারি ভালো এত ডিজুস হইতে চাইনা। :)

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তুমি হয়ত আমার চেয়ে অনেক ভালো লেখো! সুপ্ত প্রতিভা নিজেই জানোনা! চেষ্টা করে দেখো একদিন লিখে, বুঝতে পারবে।

হ্যারে শেষে আমিও বলেছি যে কবছরেই মফস্বল পাল্টে গিয়েছে।

আমারোজে মাঝে মাঝে হাত ধরে হাটতে ইচ্ছে করেনা তা নয়
তাই নাকি? আমার বোনটার কারও হাত ধরে হাটতে ইচ্ছে করে! হুমম বিয়ের পরে বরের হাত ধরে হেটো। এখন পড়াশোনা ছাড়া অন্যকিছুতে নজর দেবেনা বুঝেছ? ;)

আমিও সেভাবে বদলাতে পারলাম কৈ? মান্ধাতা আমলের ভাবনাচিন্তা নিয়ে জীবন কাটাই। যদিও এটা নিয়ে দুঃখ নেই, আমি এভাবেই সুখী। আর জীবনে সুখটাই মূল!

৪ টা প্রেম??? কেন রে মা? এত প্রেম কেন করা লাগল? অন্যকারও সাথে বাজি ধরে কেউ প্রেম করে নাকি, প্রেম তো মন থেকে কাউকে ভাল লাগলে করতে হয়। এখানে তৃতীয় জনের কোন স্থান নেই। এমন ভুল আর কখনো করোনা। আমি দোয়া করে দিলাম।

আমার লক্ষী বোনটা অনেক ভালো থাকুক!

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৫

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: মোরাল: সাধের মিষ্টি হাতের কাছে পেলে অন্যকিছু না হলেও চলে.....কিন্তু কোনটা অামার পছন্দের সেই "মিষ্টি", তা জানতে কয়েক পদের মিষ্টি অাসলে চেখে দেখতেই হয় :P

......ওরা বুঝে নিয়েছিল, আমার চোখ পড়ে নিয়েছিল
এই বোঝাবুঝি কিংবা পড়াটা সম্পূর্ণ কালচারের কৃতিত্ব....সময়ের বিবর্তনে ধর্মকে ছাপিয়ে কালচারই দাপিয়ে বেড়ায়......অামাদের এই অঞ্চলেও অাজকাল লুকোছাপার শক্ত ক্যানভাসের অানাচে-কানাচে সেই উদার কালচারের রঙিন তুলি রীতিমতো পেইন্টিং করে বেড়াচ্ছে!!
ওখানের লিবারেল সমাজ ব্যবস্থার কারণে ওই পিচ্চিদের পারিপার্শ্বিক "বুঝ"-টা অ-নে-ক অাগেই কত পেকে যায়- অামরা তখনো বাতাসে হেলে দুলে, শক্ত বোঁটার তলায় ঝুলে থাকা কাঁচা পেয়ারা-ই থেকে যাই :`>
অামি কলেজ শেষ করে Little Manhattan (2005) দেখেই প্রথম ওদের পাকনামি সম্বন্ধে ধারণা পেয়েছিলাম- কতদিন যে ভালবাসাময় ঘোরের মধ্যে ছিলাম মনে নেই!!!

পাহাড়-অাকাশের প্রতিযোগিতার স্ক্রিনশট না দিয়ে সৌন্দর্য বঞ্চিত করলেন- এমন নয়নাভিরাম জায়গায় make out-র স্বর্গীয় সুধা না হয় অামরা কষ্ট করে কল্পনাই করে নিতাম :P

************
মোরকটায়-- মোড়কটায়; ঘনিষ্টতা-- ঘনিষ্ঠতা

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাস্টার সাহেব বানান ঠিক করে এসেছি। এখন বাকি কথাগুলোর উত্তর দেই।

মোরাল: সাধের মিষ্টি হাতের কাছে পেলে অন্যকিছু না হলেও চলে.....কিন্তু কোনটা অামার পছন্দের সেই "মিষ্টি", তা জানতে কয়েক পদের মিষ্টি অাসলে চেখে দেখতেই হয় :P

হাহা ভালোই বলেছেন। তবে বেশি চেখে দেখতে দেখতে আসল মিষ্টিটা অন্যকেউ কিনে নিয়ে গেলে? হাহা।

ওখানের লিবারেল সমাজ ব্যবস্থার কারণে ওই পিচ্চিদের পারিপার্শ্বিক "বুঝ"-টা অ-নে-ক অাগেই কত পেকে যায়
এটাই, আমি অবাক হয়ে যেতাম কিশোর বয়সেই এত ম্যাচুরিটি ছেলেটার! ওর কালচারে এসব তো নেই, অবাক হবার কথা ছিল ওর আমার ব্যবহারে। কিন্তু ও বুঝে গেল এই মেয়েটা অন্য কালচারের, ওকে অন্যভাবে বুঝতে হবে! কি ভীষন অসাধারন চিন্তাচেতনা!!

ছবিটির নাম শুনেছি মনে হয় আগে, তবে দেখা হয়নিরে। দেখে নেব সময় পেলে।

আপনি এত দেশ বিদেশের সিনেমা, বই দেখেন/পড়েন বলেই হয়ত এত বেশি সুন্দর করে লিখতে পারেন। এ এক অসাধারন গুন আপনার! সেই গুনে আমার ব্লগবাড়ি আলোকিত করছেন বলে মাথানত কৃতজ্ঞতা।

সবসময় সুখে থাকুন, ভালো থাকুন!

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০২

ম্যাড মাক্স বলেছেন: এত সুন্দর গোছাল লেখার কি কমেন্ট করা যায় সেটাই ভাবছি। লেখা পড়ারই আনমনেই তুলনা করতে ছিলাম আগের দিন প্রেম, বর্তমানের প্রেম আর কানাডিয়ান প্রেম এর মধ্যে। তুলনা শেষএ মনে হচ্ছে আগের দিনের চিঠি আদান-প্রদানের যুগের প্রেমই ভাল ছিল। চিঠি লেখার জন্য উপযুক্ত লাইন খুঁজে না পেলে কতশত কবিতা, গল্প, উপন্যাস পড়ত, এই বই পড়ার ফলে একদিকে যেমন চিঠি লেখা হতো আবার এত এত বই পড়ার ফলে মনের বিকাশ হতো। মনের সঠিক বিকাশের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। চিঠিতে যে আবেগ ছিল বর্তমানের কপি আর পেস্ট করা মেসেজএ তার ছিটেফোঁটাও নাই। চিঠির যুগে আমারা যারা ছোট ছিলাম তাদের একটা লাভ ছিল, অমুক ভাইয়ের চিঠি তমুক আপুর কাছে পোঁছে দিতে পারলে নগত টাকা বা চকলেট বা আইসক্রিম লাভের বিরাট সুযোগ ছিল।

লেখা বরাবরের মতই অসাধারণ ছিল।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার এত সুন্দর গোছালো কমেন্টের কি প্রতিউত্তর করা যায় সেটাই ভাবছি!

আমি চিঠির যুগের প্রেম দেখিনি। তবে প্রেম জানাজানি হবার পরে আপুদের ফোন বাবা মা কেড়ে নিলে কোন একটা খবর প্রেমিক ভাইয়াটাকে পৌঁছে দেবার পুরষ্কার পাওয়া যেত।

কি জানি! আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস করি। মনের আবেগ ম্যাসেজ, মেইলেও পুরোপুরি ঢেলে দেওয়া যায়। প্রযুক্তি বেগ দিলেও আবেগকে পুরোপুরি কেড়ে নিতে পারেনি। এখনো সত্যিকারের ভালোবাসা আছে, আগের চেয়ে সংখ্যায় কমে যেতে পারে তবে বিলুপ্ত একেবারেই হয়নি।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ভীষনভাবে ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৪

জেন রসি বলেছেন: দুটো বিপরীতধর্মী কালচার অনুসরণ করা মানুষ আসলেই বন্ধুর মতই সহাবস্থান করতে পারে। কনফ্লিক্ট হয় তখনই যখন একের কালচার অপরের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কালচার/ধর্ম/বর্ণ এসব বন্ধুত্বে কোন আচড় ফেলতে পারেনা। মানুষে মানুষে ভালোবাসা, সম্মান সব পার্থক্য নিমিষেই উধাও করে দেয়।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: খুব সহজে আরেকটা দেশের কালচার বিনয় নিয়ে মেনে নেওয়াটা মুখের কথা নয়। কানাডিয়ানদের পছন্দ করতে শুরু করেছি একটু একটু করে।
আপনি খুব দারুণভাবে জীবনকথা লিখছেন। প্রকৃতির বর্ণনাটায় উপমার ব্যবহার ভালো লেগেছে।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যা আসলেই কানাডিয়ানরা যে কি ভীষন বিনয়ী এবং শান্তিপূর্ণ! যেকোন দেশের কালচার, ধর্মকে মেনে নেয় এবং হাসিমুখে। ভুরুটা পর্যন্ত কুচকায় না! আপনি এই উদার জাতিকে পছন্দ করতে শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগল।

ধন্যবাদ আপু। আসলে প্রকৃতির সে রূপ আমি পুরোপুরি লেখায় বর্ণনা করতে পারিনি, কি ভীষন সুন্দর! উফফ!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন, সর্বদা হাসতে থাকুন।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। তবে না পড়লেও চলতো। নতুন কিছু পেলাম না।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন, স্কুলের বাইরে যদি কোন শিক্ষার্থী স্মোক করার সময় টিচারের সামনে পড়ে যায়, তখন কী করে?

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও! আমি ক্ষমাপ্রার্থী আপনার সময় নষ্ট হলো এমনকিছু পড়ে যা থেকে নতুন কিছু জানতে পারলেন না।

হাহা মজার প্রশ্ন। কানাডিয়ান টিচারেরা স্কুলের বাইরে বা অন্যকোন জায়গায় স্টুডেন্টকে স্মোক করতে দেখলে সরাসরি কিছু কখনোই বলবেন না। তারা হয়ত পরেরদিন ক্লাসে এসে সবার উদ্দেশ্যে বিনয়ের সাথে বলবেন ইয়াং বয়সে স্মোকিং কত ক্ষতি করতে পারে এসব। কোন স্টুডেন্টকে দেখেছিলেন সেটা ঘুনাক্ষরেও বলবেন না। কাউকে লজ্জা দিতে বিনয়ী কানাডিয়ানরা অস্বস্তি বোধ করে। আর অনেক টিচার কেয়ারই করবেন না। স্টুডেন্ট নিজের টাইমে কি করছে সেটা তাদের বিষয় না। তাদের দায়িত্ব এটেনডেন্স/এসাইনমেন্ট আদায় করা ব্যাস। কোন টিচার কি করবেন ডিপেন্ড করে। তবে কানমলা দিয়ে মারধোর করবেন না বা ক্লাসে দাড় করিয়ে সবার সামনে অপদস্ত করবেন না সেটা গ্যারান্টিড।

লেখায় না হলেও কমেন্টে নতুন কিছু জানাতে পেরেছি সে আশা রেখে দিলাম।
যে লেখা না পড়লেও চলত তা আগ্রহ নিয়ে পড়ে আমাকে ঋনী করেছেন।

আপনি অনেক ভালো থাকুন পরিবার পরিজন নিয়ে।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

অদৃশ্য বলেছেন:



প্রথম অংশ ভালো লেগেছে... মজা পেয়েছি... আর সবকিছু মোটামোটি... টোটাল লিখাটির ভেতরে সবচেয়ে বেশি যেটা মনের মাঝে ছাপ ফেললো তা হলো সেই সবুজ আচ্ছাদিত মাঠ তার পাশের পাহাড় তারপরের সুনীল অথবা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ তারপর... তারপর... আমি আপনার পেছন থেকে দৃশ্যটি অবলোকন করছি তাই এদের মাঝে আপনিও... আপনার চোখে দেখা এমন মনোহর দৃশ্যতে আপনাকে বাদ দিই কি করে...

লিখা ভালো লাগছে... এই লিখাটির শুরুটা বেশ আকর্ষণীয় যা পুরো লিখাটিকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে...
শুভকামনা...

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি সময় নিয়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনার কল্পনায় ভীষন সুন্দর সেই মাঠটি কেমনভাবে এসেছে যদি দেখতে পেতাম! হাহা।

শুরুর দিকটায় বেশি আবেগ, সারল্য, মজা ছিল। পরে সিনিয়ার ইয়ারের ঘটনা থেকে শুরু করে বাকিটুকু ম্যাচিউর আমার বিশ্লেষন ছিল। পাঠকের রুচিভেদে পছন্দের অংশটুকু আলাদা হবে সেটা জেনেই লিখেছি। আপনাকে নিজ পছন্দের জায়গাটুকু এত সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করার জন্যে ধন্যবাদ।

আপনাকেও অনেক শুভকামনা!

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: প্রচুর পাঠক পাবে তুমি, গুছিয়ে বইটি বের করেই ফেলো তো! বর্ণনা এতইটাই জীবন্ত যে দৃশ্যগুলোর আমিও একজন দর্শক ছিলাম মনে হয়। বইটির কি কোনো নাম ভেবে রেখেছ মাথায়?

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি কি ভীষন সুন্দর, আন্তরিকভাবে বললেন ভাইয়া! আমার খুব ভালো লেগেছে এমন অনুপ্রেরনায়।
না বই বের করার কথা ভাবিনি, কিন্তু আপনি ভেবেছেন আমার লেখা বই মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়বে সেই আমার চরম প্রাপ্তি।

অনেক ভাল থাকবেন ভাইয়া।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: কানাডার কালচার সম্পর্কে ধারনা হলো।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভিন্ন কালচার সম্পর্কে কিছু জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

পবন সরকার বলেছেন: কানাডার পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। বাংলাদেশে এমন দৃশ্য সহজে মেনে নেয়া যাবে না।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি অবশ্যই, বাংলাদেশে স্কুল মাঠে এমন কিছু হলে সেই স্টুডেন্টদের দেশের আর কোন স্কুলে পড়া লাগত না।

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আগের বেশ কয়েকটা পর্ব পড়েছি আপনার তবে এটাতেই প্রথম মন্তব্য করলাম। কেমন একটা সহজিয়া আর চুম্বকীয় বৈশিষ্ট আছে আপনার লেখায়। পড়াশোনার সুবাদে আমিও বাইরে বেশ কিছুদিন ছিলাম। অনেক চেনাজানা লাগে আপনার আঁকা জীবনের এই ভিন্ন ছবিগুলো। ভালো থাকবেন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যাক ১৮ টা পর্ব লেখার পরে আপনার একটা মন্তব্য পেলাম। আরো ১৮ টা পর্ব লেখার পরে দ্বিতীয়টাও পেয়ে যাব, কি বলেন? জাস্ট কিডিং!

আমার লেখার এত প্রশংসা করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। হুম অনেক প্রবাসীই রিলেট করতে পারবেন সাধারন আমার জীবনকাহিনীর সাধারন এই গল্পগুলোর সাথে।

ভীষন সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপনাকে!

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিদেশে না থেকেও বিদেশ সম্পর্কে জানছি, কানাডিয়ানদের কালচার সম্পর্কে জানছি, তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য গুলো বুঝতে পারছি-- এইসবই আপনার সৌজন্যে। সাবলীল ভাষায় খুব ভালো লিখেছেন। লিখে যান।

ধন্যবাদ সামু পাগলা ০০৭।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাদেরকে ভিন্ন দেশের ভিন্ন কালচার সম্পর্কে জানাতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।

হেনাভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা দেবার জন্যে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: পাঠক আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ। আপনার সার্বিক কল্যান কামনা করে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখিকা আপনার মন্তব্যে আপ্লুত। আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনা করে।
আপনাকে ধন্যবাদ। :)

১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

বিপ্লব06 বলেছেন: যত্রতত্র হাইস্কুলের ছেলেপেলেদের পিরিত করতে দেখলে মেজাজ বিলা হয়ে যায়! মনে হয় থাপ্রাইয়া...। ওদের কোন দোষ নাই যদিও। অন্য কেউ মজা করলে যে নিজের পেইন লাগে এইটা এই কেইস না হইলে মনে হয় বুঝা হইত না। পুরাই আনকমফোর্টেবল একটা ফিলিং!


লেখা ভালো লাগছে!

ভালো থাকবেন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

সম্রাট৯০ বলেছেন: তবে যাই বলেন গান বন্ধু আমার কিন্তু এই যেখানে সেখানে লিপকিস খুব একটা খারাপ লাগেনা, তবে স্কুলে এমন কিছু না করাটা ভালো, এখানে লিপকিসিং গুলোর মধ্যে অনেক কিস আমার কাছে বিরক্ত বা কুৎসিত মনে হয়না, লিপিকিস এর মত এমন প্রাইভেট বিষয়টা কেউ কেউ এত আবেগ আর স্বচ্চতায় করে যে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, আবার এমনো আছে কারো শুধু তাকিয়ে থাকার মধ্যে অনেক নোংরামী দেখা যায়। আমি পুতুল আর পুতুলের আম্মু যখন বাইরে যাই তখন এমন দৃশ্য সামনে পড়লে পুতুলের আম্মু এক হাত আমার চোখে দিবে অন্য হাত পুতুলের চোখে, আমি হাত সরিয়ে আবার তাকাই আর বলি আরে দেখতে দাও,এ যেন দুটো স্বর্গ পাশাপাশি দাড়িয়ে একে অন্যের মধ্যে মিলি মিশে যাচ্ছে। পুতুল আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে আমি কি বলি মা-ই বা এমন কেন করে, সেতো ছোটো তাই এসব বুঝেনা। হাহাহহা

তবে নিঃষ্পাপ সুন্দর সে যাহাই হোক যেখানেই হোক আমার ভালো লাগে।

আপনার বাকি সব বিষয় গুলো অনেক ভালো লেগেছে , সব বিষয় নিয়েই আমার মতামত তুলে ধরবো,

ভালো লাগা

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বন্ধু! আপনাকে দেখে ভীষন খুশি হই সবসময়।

হাহা আপনি সবকিছুতে ভাবী, পুতুল মামনীর কথা বলেই ফেলেন। ভাবী তো আপনাকে পাগল করে রেখেছে দেখছি! ভাবী যে আপনাকে আর পুতুলকে অনেক ভালোবাসে সেটা বোঝাই যায়! তার তো পুরো দুনিয়াই শুধু আপনারা দুটো মানুষ! ঠিক বলেছি না? আপনি স্বর্গসুখের সংসারে বাস করেন। এমন ভালোবাসাময় সংসারে যেন কারও নজর না লাগে সে দোয়া মন থেকে করলাম।

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০১

সম্রাট৯০ বলেছেন: গান দিতে ভুলে গেছি দোস্ত, আসলে অনেক দিন গান দেয়া নেয়া হচ্ছেনা বলে ভুলে গেছি। আগের মন্তব্য সেন্ড করতেই মনে হলো আপনাকেতো গান দেয়া হয়নি, এই গানটা অবশ্য পুতুলের আম্মু দিয়েছে আপনাকে দিতে, সে আবার রবি দাদুর ভক্ত :)

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ দোস্ত ব্যাপারস না! এখন তো দিয়েছেন।
ভাবীকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে দেবেন আমার তরফ থেকে। আরেহ আমিওতো রবিঠাকুরের ভক্ত! কি মিল না?

আমি পুতুলের আব্বুর জন্যে এই গানটি দিলাম, view this link

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

আমি ইহতিব বলেছেন: কানাডিয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জেগে উঠলো আপনার লেখা পড়ে। আপনার আগের কয়েকটি লেখাও পড়েছি। মন্তব্য করা হয়নি মনে হয়। ভালো লিখেন আপনি। একটানে পড়ে যাই। শুভকামনা আপনার জন্য।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আনন্দিত যে অসাধারন এই জাতিটির প্রতি কারো মনে নিজের লেখনীর দ্বারা শ্রদ্ধা জাগাতে পেরেছি।

ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা করার জন্যে। আমি কৃতজ্ঞ।
শুভকামনা রাশি রাশি!

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

র‍্যাশ বলেছেন: বর্ণনা শৈলী ভাল ছিল। বিতর্কিত লাইন নেই। বিশ্লেষন অবশ্য বিশ্লেষন হয়নি , হয়েছে পোষ্টের সামারি। যাই হোক কোন একটি নির্দিষ্ট ভিনদেশী কালচারকে বিশ্লেষন করাও খুব সহজ কোন কাজ না। বই আকারে সংকলনের কথা ভেবে দেখতে পারেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিশ্লেষন হয়নি আমি মানছি, আবার পড়ে আমারো তাই মনে হল বিধায় পরিবর্তন করেছি।
পাঠ, মন্তব্য, প্রশংসায় ধন্যবাদ।

২৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

ঢে্উটিন বলেছেন: ছোটবেলায় একবার বাসায় একজন বান্ধবীকে এনেছিলাম, এখনো মনে আছে মা ব্যাপারটিকে সহজ ভাবে নিলেও পাড়া প্রতিবেশিরা দলে দলে এসে ওকে এমন ভাবে জেরা শুরু করল যে বেচারা লজ্জায়..........তবে এটি মফস্বলের না বলতে পারেন অজ পাড়াগাওঁ এর কথা। এখনো ছুটিতে বাড়িতে গেলে মানুষগুলোর মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখি না। একটা ছেলের যে মেয়ে বন্ধু থাকতে পারে এটি তারা কখনো মেনে নিতে পারেন না।

আর স্কুলের কথা কি বলব, ছেলে এবং মেয়ে শিফট আলাদা। কোনো ছেলে কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে এবং তা যদি কোনো টিচার দেখে ফেলে তাহলে তো আর রক্ষে নেই। আমি দেখেছি এর জন্যে ছেলেদের ভয়াবহ শাস্তি পেতে হত আর মেয়েটির জন্যে স্কুলের দরজা বন্ধ হয়ে যেত।

কানাডিয়ানদের অন্য সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখে অবাক হলাম। আমাদের সংস্কৃতিতে এটা ভাবায় যায় না।

লেখা বরাবরের মতই প্রান্জল আর সাবলীল। এটাই মনে হয় আপনার লেখার বড় বিশেষত্ব ।
ভালো থাকবেন। পরের পর্বে কানাডিয়ানদের খাদ্য-খাবার সম্পর্কে জানতে চাই।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমাদের বাড়িতে ছেলেমেয়েদের অপোসিট জেন্ডারের বন্ধু আসা পুরোপুরি ব্যানড। গুরুজনেরা এটাকে ভালোচোখে দেখেন না। তাদের মত অপোসিট জেন্ডারের বন্ধু স্কুলে/ভার্সিটিতে পড়াশোনার জন্যে থাকবে। বাড়িতে এনে কি কাজ? লোকে খারাপ বলবে না?
আপনার ঘটনার প্রেক্ষিতে এটা শেয়ার করা। আসলে সব কালচারই নিজস্ব ভালো খারাপ নিয়ে গড়ে ওঠে।

কানাডিয়ানরা আসলেই অসাধারন জাতি! আমাদের সংস্কৃতিতেও অসাধারন সব মানুষ রয়েছেন। কোন জাতিই পুরোপুরি খারাপ না।

লেখার প্রশংসা করার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ।
ভীষনভাবে ধন্যবাদ কি জানতে চান বলার জন্যে। মাঝেমাঝে আইডিয়ার জন্যে মাথা চুলকে মরি যে কোন বিষয়টা নিয়ে স্মৃতির মালা গাঁথব? আইডিয়া পেলে সুবিধা হয়। তবে পুরো একটি পর্ব কানাডিয়ানদের খাদ্য-খাবার নিয়ে করা সম্ভব না। যখন সুযোগ পাব কোন পর্বে কিছু একটা ঢুকিয়ে দেব।

সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন এবং অন্যকে ভালো রাখুন!

২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০১

সম্রাট৯০ বলেছেন: হাহা আপনি সবকিছুতে ভাবী, পুতুল মামনীর কথা বলেই ফেলেন। ভাবী তো আপনাকে পাগল করে রেখেছে দেখছি!

আমার আম্মু আমাকে বলে আমি নাকি বউ পাগল ছেলে, আমার মত বউ পাগল নাকি আমাদের বংশের মধ্যে কেউ নেউ, বাবা বলে এই ছেলেটা যে আমার তা মাঝে মাঝে কনফিউজ্স হয়ে যাই, আমি বলি বাবা মা কে ঠকাইসো, আগের দিন নাই। মা তো বোকাসোকা তাই বেচে গেছো, এখনকার বউ গুলো গলার মধ্যে ছুরি ধরে ভালোবাসা আদায় করে নেয়। তুমি তোমার ছেলে বউ নিয়ে মেতে থাকো আমি আমার বউ মেয়ে নিয়ে থাকি, হাহাহাহা

জীবন থেমে গেলে মা বাবা চালিয়ে দেয়,তারা মাথায় বসে আছে,.
চোখে জল আসলে পুতুলের মা-ই প্রথম অশ্রু হাতের তালুতে নেয়।

আমি আর কার নাম নেবো বলেন?

https://www.youtube.com/watch?v=k4ihQsZrkFw

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পুতুলের আম্মু দুনিয়ার সবচেয়ে লাকি মেয়ে যে আপনার মতো জীবনসংগী পেয়েছে। জানেন আমি কল্পনা করতে পারি যে ভাবী একটু পরে পরে আপনার ভালোবাসা দেখে চোখ ছলছল করে ফেলেন! আর কারও নাম নেবেন কেন? ব্যাস তার নামই মনেপ্রানে লিখে রাখবেন। এ যে আপনার পরম অধিকার এবং ভাবীর পরম সুখ!

এখন মজা করে কিছু বলি বন্ধু?

হায় হায় ঢাহার পোলায় তো মান ইজ্জতের ফালুদা ফালুদা কইরা ফেলাইল। বউপাগল হইলেন কেমতে আপনি? আমি পুছি কেমনে হইলেন বউপাগল?? আমগো ঢাহার পোলারা হয় ১০০ টাকা তোলা। এগো শান বানই অন্যরকম, আপনে বউরে আপনের পিচ্ছন পাগল করবেন। নিজে পাগল হইলেন কেঠা? বেহায়া পুরুষমানুষ আবার সবতের সামনে কইতে আহে। এসব ন্যাকামি দেইখা মাথামুথা গরম হইয়া যায় কইলাম। মেজার বহুত খারাব হইয়া গেছে আপনের কমেন্ট পইরা। লাচ্ছি খাইয়া দিলডা শান্ত করি।

অহন গান হুনেন মিয়া, view this link

২৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১০

সম্রাট৯০ বলেছেন: আরো কিছু মা ছেলের মজার কথা বলি আপনাকে, - আমি যখন কোন খাবার নিয়ে আম্মুকে জ্বালাই তখন আম্মু বলে বিয়ে করে বউ আন,দেখি কত পারে, আমি তখন বলতাম কি জানেন/।? খবরদার আমার বউকে দিয়ে কোন কাজ করাবানা,আমার বউ খাটের উপর বসে থাকবে তুমি তাকে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিবে, আমার বউ যেন চুলোর কাছে না যায়,তার রং কালো হয়ে যাবে যদিও শ্যাম বর্নের মেয়েই আমার পছন্দ এবং আমার বউটাও শ্যাম বর্নের, আমি মা কালি বলে ডাকি, হাহাহা/

বাবা বলে- বাপরে এমন বউ বউ করিসনারে, যদি মাথায় ঘিলু থাকে এই মন্ত্র ছাড়। আমারে দেইখা শিখলিনা, আমি বলি তোমার অবহেলা দেখেইতো মনে জেদ চেপেছে, বউএর প্রতি ভালোবাসা তো তোমার কারণেই জেগেছে, বাবা বলে লজ্জা নারীর ভুষন সেটা আল্লাহ তোকে দিলোনা কেন, হাহাহাহা

আরো আছে বলি :)

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনের কেসটা কি মিয়া? এত প্রেম রাহেন কেমতে? উরিব্বাস আমিতো লজ্জায় গোলাপি হইয়া যাইতাছিগা। খালুব্বা ঠিকই কইছেন, আপনের তো লজ্জা শরম কিছুই নাইক্কা! কেমন পুরুষমানুষ আপনে?? ভাবী কিন্তু আপনেরে যাদুটোনা কইরা রাখছে। আপনেরে ভালোবাসার তাবিজ পরাইয়া বাঁইধা রাখচে।

আরো আছে? এহনো শেষ হয় নাইক্কা? কেমতে কি? আমার মাথা হ্যাং হইয়া যাইতেছেগা। এত প্রেম কেমতে আহে মনে?

view this link

২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: সরি আপনার মুল্যবাণ পোস্টে আমি কিছু অপ্রাসংগিক কথা বলে ফেলেছি, ভেবেছিলাম এটা আপনার আড্ডা পোস্ট, আপনার ভাবি আমার গা ঘেষে বসে আমার কমেন্ট পড়ে সেই মনে করিয়ে দিলো আমার এখানে এসব কথা বলা উচিৎ না, নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।
ভাবছেন আপনার ভাবি অনেক ভালো মানুষ? আরে নাহ, আরেকটা খোঁচা কিন্তু আমাকে দিয়ে ফেলেছে, আমি নাকি ব্লগে আসি শুধু আপনাকে কমেন্ট করতে, বললাম সামু পাগলার সাথে একটু পাগলামি না করলে জমেনা, হাহাহাহাহ

ভালো থাকবেন :)

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বন্ধু সরি বলতে হবেনা। ভাবীর গা ঘেষে বসে থাকার সময়টায় আপনার ব্লগে না থাকাই ভালো। ব্যাস উনিময় হয়ে থাকুন।

view this link

২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১০

পথহারা মানব বলেছেন: বছর কয়েক আগে অনেকটা আপনার মতই অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। একবার একটা কম্পিটিশনে গিয়েছিলাম আপনারই পাশের দেশে যেখানে আমার ব্রান্ডঅ্যামবাস্যডর ছিল একটা আমেরিকান মেয়ে। পরিচয়ের শুরুতেই সে আমার সাথে হাগ করতে চাইল আমি ইত:স্তত করতে লাগলাম কিন্তু আপনার মত না বলতে পারি নাই!!

পরে সে আমার কাছে জানতে চাইল আমাদের সংস্কৃতিতে ছেলে মেয়েরা হাগ করে কি না? আমি বললাম না। তখন সে বলল সরি, আমি বুঝতে পারি নাই। আমি তাকে বললাম ঠিকই, "ইটস্‌ ওকে" কিন্তুু এখনও মাঝেমাঝে মনে হলে কেন জানি অসস্তি লাগে!! হ্য়ত এটাই আমাদের সংস্কৃতির শিক্ষা যা আমরা আমাদের বাবা-মা, আত্নীয় স্বজন, সমাজ থেকে শিখেছিলাম নতুবা আমি হয়ত এখন গেয়োঁই রয়ে গেলাম..আধুনিক হতে পারলাম না।

অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে এত সুন্দর কিছু পর্ব উপহার দেয়ার জন্য....অনেক অনেক শুভকামনা ও দোয়া রইল।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটি অনেকটাই আমার মতো। আসলেই ওদের অন্য কালচারের প্রতি সহনশীলতা, সম্মান চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না! যেকোন প্রশংসা বাক্যই কম পরে যায়।

আমি মানা করে দেই কোনকিছুতে কমফরটেবল ফিল না করলে। ওরা কিছু মনে করবেনা সে বিশ্বাস পুরোপুরিরূপে আছে আমার।

হ্য়ত এটাই আমাদের সংস্কৃতির শিক্ষা যা আমরা আমাদের বাবা-মা, আত্নীয় স্বজন, সমাজ থেকে শিখেছিলাম নতুবা আমি হয়ত এখন গেয়োঁই রয়ে গেলাম..আধুনিক হতে পারলাম না।
আমার মনের কথাগুলোই যেন নিজের শব্দে বললেন!

আপনাকেও পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ভীষনভাবে ধন্যবাদ।
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন।

২৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরই ভাল লেখেন এবারও অনেক ভাল লিখেছেন।
আমাদের দেশের কালচারও দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখনীর প্রশংসা করার জন্যে ধন্যবাদ।

আপনি অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
শুভকামনা!

৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

নীলাঞ্জনানীলা বলেছেন: আপনি কানাডায় থাকেন? আমিও।
স্কুলের অনেক কিছুই আমি আমার ছেলের থেকে শুনি। মজাও করি কবে তোর গার্লফ্রেন্ড হবে?
সবকিছুই শেয়ার করে আমার ছেলে। দেশে ছেলে-মেয়েরা খুব কমকিছুই শেয়ার করে তাদের বাবা-মায়েদের সাথে।
এখানকার সবচেয়ে ভালো লাগে স্বাধীনতা। কেউ কাউকে বদার করছে না। বাংলার ছাত্রী আমি ইংরেজীতে কথা বলাটা বেশ কঠিন ছিলো। কিন্তু এরা এতো সাহায্য করে, বিদ্রূপ করেই না।

জন্মভূমি আমার বাংলাদেশ, তবে আমায় একটা প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছে এই কানাডা আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি। কারণ আমায় এক নতূনভাবে তৈরী করেছে।

আপনার স্মৃতিকথা এক এক করে পড়বো। বেশ লাগলো আপনার লিখনী।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাংলার ছাত্রী আমি ইংরেজীতে কথা বলাটা বেশ কঠিন ছিলো। কিন্তু এরা এতো সাহায্য করে, বিদ্রূপ করেই না।
রিলেট করতে পারলাম। আমি মফস্বলের বাংলা মিডিয়াম থেকে খটমটে কানাডিয়ান ইংলিশের স্কুলে পরে গেলাম। প্রথম প্রথম অনেককিছু বুঝতে পারতাম না, আমার ভাংগা ভাংগা ইংলিশও ওরা বুঝতে পারতনা। টিচার, সহপাঠিরা কেউ কখনো হাসাহাসি করেনি। ইংলিশ যেহেতু আমার প্রথম ভাষা না তাই মেনেই নিয়েছিল যে ভুলভাল হবে। এভাবেই সরলমন কানাডিয়ানরা ভাবে।

এই কানাডা আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি। কারণ আমায় এক নতূনভাবে তৈরী করেছে।
হুমম কানাডা আমাকে নতুনভাবে তৈরি করেছে কিনা জানিনা। তবে হয়ত আমাকে ভেংগে নতুন করে না গড়ে বাংলাদেশী কালচার সমেত মেনে নিয়েছে বলেই এ দেশটাকে আমি ভীষন ভালোবাসি! তবে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আপনারই মতো বলব কানাডা দ্বিতীয়তেই আসবে, প্রথমে না।

আপু আমি ভীষন খুশি হবো আপনি যদি বাকি পর্বগুলোও পড়েন। প্রবাসী পাঠকেরা আমার প্রবাস কথন পড়লে ভীষন ভালো লাগে। কমন্টে রিলেট করার মতো কিছু পাই বলেই হয়ত!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছেলে, সংসার নিয়ে অনেক সুখে থাকুন আপু। ছোট বোন হয়ে অনেক শুভকামনা বড় আপুটার জন্যে।

৩১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

অপেক্ষায় নাজির বলেছেন: ১৮ টা পর্ব আজকে শেষ করলাম। প্রথম দিকের গতিটা শেষে একটু কমে গেলেও ভালো লেগেছে। আমি আবার আপ্লাই করে রেখেছি তো, তাই কানাডা রিলেটেড কিছু দেখলেই পরে ফেলি। আপনি কোন প্রভিন্সে আছেন? দোয়া করবেন নাজির'-এর অপেক্ষা যেনো তারাতাড়ি শেষ হয় :|

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাপরে একদিনে এত পর্ব পড়ে ফেলেছেন সময় করে? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ও আচ্ছা তাই? অনেক দোয়া করে দিলাম যেন আপনার অপেক্ষা জলদি ফুরোয়। আগাম স্বাগতম জানিয়ে রাখলাম অসাধারন এই দেশটিতে!

শুভকামনা রাশি রাশি!

৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

অপেক্ষায় নাজির বলেছেন: ভুল বোঝানোর জন্য সরি। আমি বলেছি '১৮ টা পর্ব আজকে শেষ করলাম', তার মানে এই না যে আজকেই শুরু করেছি। আসলে ৪ টা সিটিং লেগেছে।

*প্রভিন্সের প্রশ্নটা কি ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গিয়েছেন?

আচ্ছা সহজ করে দেই, শুধু বলেন এলবারটায় থাকেন কিনা।

শুভকামনা রাশি রাশি!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে আমিই সরি ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। কিন্তু আপনি এতগুলো পর্ব পড়েছেন সেজন্যে আবারো ধন্যবাদ।

জ্বি ইচ্ছে করে এড়িয়েছি। সরি এগেইন। তবে যেখানেই থাকি না কেন আপনি কানাডায় আসলে নিজের প্রাপ্য দাওয়াতটুকু অবশ্যই পেয়ে যাবেন। অপেক্ষার এই সময়টা আপনার জলদি ফুরোক সে কামনা মন থেকে আবারো করছি।

ভীষন ভালো থাকুন।

৩৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮

দিয়া আলম বলেছেন: নাম দেখে ভেবেছিলাম তুমি ছেলে, পোস্ট পড়ে সেটা ভাঙলো, ইশ! তুমি যেন আমার কানাডা জীবন কাহীনিটাই তুলে ধরেছো আপু, অনেক সুন্দর করে বলেছো এখানে, আমারও ইচ্ছে ছিলো কানাডা জীবন নিয়ে পোস্ট দেই কিন্তু যেই কাজ করি এ্যানার্জি পাইনা, ১৫ বছর কিভাবে যেনো কেটে গেলো, তোমার মতই ভাবনা মন নিয়েই এই দেশে পা দিয়েছি, আজকে কোন কিছুই আর অস্বাভাবিক লাগেনা,শুধু প্রেম ভালোবাসা গুলো ছাড়া। তবে আপু তুমি যাই বলো প্রেম ভালোবাসায় আমার দেশ সেরা।

তোমার সব গুলো পর্ব পড়তে হবে। দারুন গোছানো লেখা।

কোথা্য থাকো তুমি? আমি মন্ট্রিয়ালেই আছি, তুমি আমার শহরে থাকলে মজা হতো।

ভালো থেকো আবার কথা হবে

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম অনেকেই ভুল করে, ইটস ওকে। ব্যাপার না।
নারে আপু আপনার শহরে না, কোথায় নাইবা বললাম।

১৫ বছর আপু!!! লম্বা সময়! আপনি রিলেট করতে পেরেছেন দেখে খুব ভালো লাগল।
আমি একমত পোষন করলাম নতুন আপুর সাথে, প্রেম ভালোবাসায় আমাদের বাংলাদেশ সেরা।
সময় করে অন্য পর্বগুলোও পড়ে ফেলবেন কিন্তু।

আমার সুইট আপুটা অনেক অনেক ভালো থাকুক।
জলদিই আবার কথা হবে সে অপেক্ষায়....

৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০২

দিয়া আলম বলেছেন: সরি আপু এতসব ভেবে জানতে চাইনি তুমি কোথায় থাকো, এখানে নিজের দেশের মানুষ দেখলে ভালো লাগে তাই জানতে চেয়েছিলাম।,

ওকে ভালো থেকো আপু,

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপু আবারো আপনাকে দেখে ভালো লাগল।

ধুর কি বলে আপুটা! সরি বলছেন কেন? আমি ব্যাস নেটে এত ইনফরমেশন দিতে চাইনা। একটু কনজারবেটিভ আছি। আমার দোষ। আপনি কেন সরি বলবেন? বাদ দিন তো। কখনো আমার আপুটা যেন আমাকে সরি না বলে।

আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন।
জলদিই আবার কথা হবে। :)

৩৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

অব্যক্ত চিরকুট বলেছেন: আপনার কোন লেখায় মন্তব্য করতে পেরে অনেক ভাল লাগছে। আপনার আগের "কানাডার স্কুলে একদিন" এর সবগুলো লেখা পড়েছি, ব্লগে account ছিলোনা বলে মন্তব্য করা হয় নি। শুধুমাত্র আপনার লেখায় মন্তব্য করবো বলেই এখানে আসা। আপনার লেখায় ছোট ছোট কিছু জিনিস পড়ে অনেক ভাল লাগে। যেমন ধরুন " আসলে সবার কাছে লুকিয়ে রাখা জিনিসগুলো সেইফ কোন জায়গায় বলতে না পারলে অস্থির লাগে।" এই কথা।
বাকিগুলো পড়ে নেই, অনেক দিন থেকে পড়া হচ্ছে না। পরে আরও মন্তব্য করবো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও ওয়াও! শুধুমাত্র আমার লেখায় মন্তব্য করার জন্যে কষ্ট করে একাউন্ট খুলেছেন জেনে আমি ভীষন অনুপ্রানিত ও আনন্দিত হয়েছি। আশা করি আপনার ব্লগিং যাত্রা শুভ ও সুন্দর হবে।

হুমম জলদি করে বাকি লেখাগুলো পড়ে মন্তব্য করতে হাজির হয়ে যান। অপেক্ষায় থাকলাম। :)
শুভকামনা রাশি রাশি!

৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২২

অব্যক্ত চিরকুট বলেছেন: বাকি পর্বগুলোও পড়া শেষ করেছি। সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারিনি। আপনার সবগুলো লেখা আমার অসম্ভব ভাল লাগে। অনেক নতুন কিছু শেখা যায়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার ভীষন অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। সময় করে বাকি পর্বগুলোতেও মন্তব্য করবেন সে অপেক্ষায় থাকলাম। আপাতত পাঠে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন, সুখে থাকুন সর্বদা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.