নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৯) : কানাডিয়ান কৈশোর জীবনের কিছু উচ্ছৃঙ্খলতা এবং মফস্বলের বোকা মেয়েটি

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০২

আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি জীবনের বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং কাহিনী ব্যবহার করে। তাই বেশি ভূমিকা না করে সোজা গল্পে চলে যাই।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৭) : কানাডায় আমার প্রথম হ্যালুইন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে vs এক আবেগী জাতির পাগলামি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৮) : পশ্চিমের গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড কালচার vs মফস্বলের প্রেম এবং চমকে যাওয়া আমি!

তখন কানাডার স্কুলে প্রথম সেমিস্টার পার করে ফেলেছি কষ্টেসৃষ্টে। একদিন খুব ভোরে মায়ের ডাকে ঘুম ভাংগল। আমি খুব ভোরে ওঠা মানুষ, নিজে উঠে বাড়ির সবাইকে ডাকি। কেউ আমাকে ডাকবে ঘুম ভাংঙ্গাবে সে অভ্যাস আমার নেই। সূর্য মামার আগেই উঠে বসে থাকতাম সেই ছোটবেলা থেকে। হুজুর কোরআন খতম দেওয়াতে আসতেন অন্ধকার থাকতে থাকতেই। সেই থেকে সারাজীবন ভোরেই উঠে গিয়েছি। কিন্তু সেদিন ভোরে মায়ের ডাকাডাকিতে আমার ঘুম ভাংঙ্গল! আমি ভাবলাম দেরী করে ফেলেছি নাকি? মায়ের গলার তৎপরতায় সাথে সাথে চোখ ডলতে ডলতে উঠে পরলাম। মা টানতে টানতে কাঁচঘেরা ব্যলকনির সামনে নিয়ে আসলেন। বললেন, "দেখ দেখ বাইরে দেখ!"

কনফিউজড আমি ঘুম ঘুম চোখে কাঁচের ওপারে তাকানো মাত্র সব ঘুম উধাও! মুখ লিটারেলি হা করে দেখলাম বুকে সজোরে ধাক্কা মারা প্রকৃতির ভয়ংকর সৌন্দর্য! প্রকৃতির সেরূপ আমি আগে কখনো দেখিনি। রাতেও স্বাভাবিক ছিল পুরো জায়গা, কিন্তু ভোর হতে হতে সব শুভ্র তুষারে ছেয়ে গেছে! আশেপাশের সকল বাড়ির চাল সাদা পরচুলো পরে নিথর, নিশ্চল! লম্বা লম্বা গাছগুলো শরীরের প্রতিটি রেখায়, শাখা/প্রশাখায় তুষার লেপ্টে নির্জীব দাড়িয়ে! উঠানের লম্বা চেরি গাছটির লাল চেরি ফলও বরফের প্রকোপে ঠকঠক করে কাঁপছে! সামনের বিশাল সবুজ ঘাসের মাঠটা উধাও; সেখানে একটি শুভ্র, শীতল তুষারসমুদ্র জায়গা করে নিয়েছে। পিচঢালা কালো রাস্তা সাদা চাদর জড়িয়ে শুয়ে আছে শান্তভাবে। উঁচু উঁচু পাহাড় পর্বত প্রবল তুষারপাতে বুড়ি দাদীমার মতো পাকা চুল ও ধবধবে সাদা থান কাপড়ে দাড়িয়ে! আকাশে কেমন একটা ঔজ্জ্বল্য মেশানো দীপ্তি! জমিনে পরে থাকা হিরকখন্ডের মতো জ্বলজ্বলে তুষারকণা প্রজ্জলিত করছে এত উঁচুতে থাকা আকাশকে! ভোরের আলো আঁধারি পরিবেশে তুষারের কম্বল গায়ে জড়িয়ে পুরো শহরে কেমন যেন একটা গা ছমছমে নিস্তব্ধতা! মনে হলো চোখের সামনে প্রকৃতির একটি সাদাকালো নির্বাক চলচিত্র দেখছি আমি! এ কি করে সম্ভব? এক রাতে কোন যাদুতে সব সাদা হয়ে গেল? ঘোর লাগা চোখে কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম, স্বপ্ন ভাবছিলাম তা নিজেও জানিনা।

মায়ের ঝাঁকিতে ঘোর কাটল। বললেন, হাতমুখ ধুতে। আমি টলতে টলতে হাতমুখ ধোয়া, নামাজ, ব্রেকফাস্ট সারলাম। এর মধ্যে বারবার ব্যালকনির কাছে ছুটে গিয়েছি। দরজা খুলিনি আমি সেদিন, ব্যাস কাঁচের অন্যপাশে দেখছিলাম বারবার। বারান্দাও বরফে ঢেকে গেছে, যেকেউ বরফ ছুঁতে চাইত হাত বাড়িয়ে। কিন্তু আমার তো তখনো তুষারপাত নামের নতুন জিনিসটির সাথে বন্ধুত্ব হয়নি! অস্বস্তি মেশানো মুগ্ধতা থেকে বারবার তাকিয়েছি শুধু। এভাবে দেখতে দেখতে স্কুলে যাবার সময় এসে গেল। মা বিশাল সাইজের জ্যাকেট দিলেন। আমার চেয়ে যেন সেটারই ওজন, উচ্চতা বেশি! গ্লাভস, টুপি সহ আরো অনেককিছু পরে জামা কাপড়ের দোকান হয়ে স্কুলে রওয়ানা হলাম। মায়ের চোখমুখ বরফের চেয়েও সাদা হয়ে গিয়েছে ভয়ে! জীবনে প্রথমবার বরফে হাটবে তার মেয়ে! পরে যায় যদি? নিজে আসতে চাচ্ছিলেন, আমি জেদ করে একা গেলাম।

পাঁচ মিনিটের পায়ে হাটার পথ পা টিপে টিপে ১৫ মিনিটে পার করলাম। জ্যাকেটের হুড দিয়ে ঢেকে রাখা মাথায় বরফ পরেই যাচ্ছে। আমি তখনো বরফ হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করছি না বা আশেপাশে অবাক চোখে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখছি না। আমার সব নজর মাটিতে। পুরু বরফে দেবে যাওয়া পা উঠিয়ে উঠিয়ে কদম ফেলে হাটছি! সাবধানে, ধীরলয়ে ফেলছি প্রতিটি কদম। পথে কয়েকবার পড়তে পড়তে সামলালাম। চোখের পাপড়িতে কিছু বরফকুচির অস্তিত্ব টের পেলাম। হাত গ্লভস ভেদ করে কাঁটা হানছে। নাক লাল! এতসব কষ্ট পার হয়ে স্কুলে পা রাখামাত্র মনে হল যুদ্ধজয় করেছি আমি!
স্কুলে ঢুকে বড় একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বেশ খুশিমনে রেগুলার স্পিডে হাটতে গিয়ে খারাপ ভাবে পিছলে গেলাম। কোনমতে সামলে দেখি মেঝে ভেজা! স্কুলের দরজা পার হয়ে কিছু অংশ অনেক স্টুডেন্টের পদচারনায় ঢুকে পরা বরফে গলে ভিজে গিয়েছে। স্কুলের প্রতিটি দরজার সামনে ভিজে থাকা জায়গাগুলোতে "বি কেয়ারফুল! ওয়েট ফ্লোর!" সাইন বসিয়ে রাখা। সাবধানে হাটতে হাটতে শুকনো জায়গায় আসলাম। লকারে জ্যাকেট, গ্লাভস রাখলাম। বেনীটা দেখি বরফে ভেজা ভেজা। হাত দিয়ে লম্বা বেনীর ফাঁকে ফাঁকে লেগে থাকা বরফকুচি সরিয়ে একটু ঝেড়ে নিলাম। কপালের ওপরে পরে থাকা ছোট চুলগুলোকে হাত দিয়ে কানের পেছনে সরিয়ে লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে মোটামুটি ধাতস্থ হয়ে ক্লাসে গেলাম।

টিচার বসেই ছিলেন, কিছুক্ষনেই ক্লাস শুরু হবে। ইংলিশ ক্লাস। সেই ক্লাসের টিচার ছিলেন মিসেস হাওয়ি। তিনি একজন ছোটখাট, সুন্দর চেহারার, বাদামী চুলের, বয়স্কা কানাডিয়ান নারী ছিলেন। খুব আদর, স্নেহ ছিল তার মধ্যে। আমাকে দেখেই চিন্তিত মুখে প্রথম প্রশ্ন, "এত স্নোতে তুমি এই ড্রেসে (সালোয়ার কামিজে)? জমে যাওনি?" আমি হেসে ফেললাম, বললাম, আমি জ্যাকেট, গ্লাভস সব পরে এসেছিলাম। উনি বললেন, "ও, তুমি সবসময় ট্রাডিশনাল আউটফিটে থাক, ভাবলাম জ্যাকেট পরবে কিনা?" আমি বললাম আমাদের দেশেও শীতকালে জামার ওপরে সোয়েটার, জ্যাকেট পরে। আমার অসুবিধা হয়নি কোন। উনি হেসে বললেন, "ও ও অলরাইট, গুড ফর ইউ! সরি আমি বুঝতে পারিনি!"

এই টিচারকে টেনে আনা যে গল্পের জন্যে তা শুরু করি এখন। তিনি প্রতি শুক্রবারে মানে উইকেন্ডের আগের ক্লাসে একটা কথা বলতেন, "হ্যাভ আ সেইফ উইকেন্ড! ডোন্ট ড্রিংক এন্ড ড্রাইভ!" আমি প্রথম কয়বার বুঝতে পারিনি কি বলছেন, কানেও নিইনি। ক্লাসের শেষে ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দেবার তাড়া থাকে। কিন্তু এক উইকেন্ডে কানে এসেই গেল এবং আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমরা সবে স্কুলে পড়ি, আমাদের কেউ ড্রাইভ করবে কেন? বাড়ির বড় কেউ বা ড্রাইভার করবে! আর ড্রিংক? ছি ছি! টিচার এমন উপদেশ এত রিলিজিয়াসলি নিয়ম করে কেন দিচ্ছেন আমাদের? খুব কৌতুহল হতো জানার জন্যে। কিন্তু বোকা আমিও ততদিনে বুঝে গিয়েছি কানাডিয়ান কালচার আমি কিছুই বুঝিনা। উদ্ভট কিছু জিগ্যেস করে বোকামি প্রকাশ হবে শেষে। এজন্যে চুপ করে থাকতাম।

কিন্তু হয়ত আমার কৌতুহল মেটানোর ইচ্ছে উপরওয়ালার ছিল। একদিন মিসেস হাওই নিজে থেকে এমনটা বলার কারন গল্পে গল্পে এক স্টুডেন্টকে বললেন। আমিও কান ফেলিয়ে শুনলাম। ওনার জবানিতে কথাগুলো ছিল, "আমার সিনিয়ার ইয়ারের এক ছাত্র ঐ থার্ড বেঞ্চের কোনে বসত। ছেলেটা পড়াশোনায় মোটামুটি তবে খেলাধূলায় তুখোড় ছিল। হাসিখুশি, তোমাদেরই মতো নরমাল টিনএজার। এক সোমবারে আমি দেখি ওর সিটটা ফাঁকা! খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ও উইকেন্ডে বন্ধুদের সাথে পার্টিতে ড্রিংক করে ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সিডেন্টে মৃত্যুবরন করেছে।" এর পরে বেশ আবেগী কিন্তু জোর কন্ঠে ক্লাসের সবার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন, "সেই থেকে আজ পর্যন্ত এতটা বছর আমি শুক্রবারে এই উপদেশটা দিতে কখনো ভুলিনি। তোমরা কেউ সাহসও করবেনা আবারো আমাকে অমন একটা ট্রমার মধ্যে পাঠাতে। সোমবারে আমি যেন কোন সিট খালি না দেখি, সবাই নিরাপদে আবার ফিরে আসবে। ক্লাস ডিসমিস!" কাঁপা কাঁপা আবেগী গলায় এসব বলে নিজের চেয়ারে গিয়ে আস্তে করে বসে পরলেন।
ওনার কথাগুলো আমাকে ভীষনভাবে হিট করেছিল। টিচার হিসেবে ওনার স্টুডেন্টের প্রতি মমতা আমার ভীষন ভালো লেগেছিল। কানাডিয়ানরা প্রফেশনাল, আবেগ কর্মক্ষেত্রে আনে না সেই ধারনা ভেংঙ্গে চূড়মার হয়ে গেল যেন এক পলকেই! কানাডায় ১৬ তে ড্রাইভারস লাইসেন্স পাওয়া সম্ভব পরীক্ষায় পাশ করে বিভিন্ন ধাপ পেরোলে। কঠিন তবে সম্ভব। আর ড্রিংকিং প্রভিন্স ভেদে ১৮/১৯ বছর বয়সে লিগাল! যদিও কেউ কেউ অতদিন অপেক্ষা না করে বাবা মায়ের সংগ্রহ থেকে চুরি করে এনে পার্টিতে মেতে ওঠে। সে এক অন্য এডভেঞ্চার অনেক টিনএজারের কাছে, যেন বড় হওয়ার স্বাদ অনুভব করা! আর ১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই বা কি? আমি মনে করি সেটাও বেশ কম বয়স ড্রিংক করে নিজেকে সামলানোর ম্যাচিউরিটি রাখার জন্যে। এজন্যে এখানে ইয়াংদের মধ্যে ড্রিংকিং এন্ড ড্রাইভিং এর কারনে মৃত্যুর রেট বেশ হাই! এসব জেনে ও ভেবে আমার খুব খারাপ লেগেছিল।

টিনএজরা বয়সের আগেই মদ খাচ্ছে সেটা খুব যে কমন তাও না, তবে সিগারেট এমন একটা জিনিস যা বেশ কমন! দেশে থাকতে মনে করতাম সিগারেট শুধু ছেলেরাই খায় তাও বেশ বড় হলে। তবে কানাডায় অবশ্যই এ ব্যাপারেও ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ নেই। আমার বাড়ি থেকে স্কুলে হাটার পথ ছিল। আসার পথে একটা গ্যারেজ পড়ত যার নিচ দিয়ে একটা সিড়ি চলে যেত। সেখানে মাঝেমাঝেই আমাদের স্কুলের কিছু স্টুডেন্টকে দলবেঁধে স্মোক করতে দেখতাম। ভীষন চমকে গিয়েছিলাম প্রথমদিন। পরে চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছিল। স্কুলের একটা পার্টিকিউলার এরিয়াজুড়ে টোবাকো আনা ও সেবন নিশিদ্ধ ছিল। তবে সেটুকু অংশ পার হয়ে অনেকেই স্মোক করত। বেশিরভাগই সিনিয়ার ইয়ারের স্টুডেন্ট যারা সবে এডাল্ট হয়েছে। তবে তাদের দেখাদেখি কিছু ইয়াং ছেলেমেয়েও গ্রুপে ঢুকে যেত! আমাদের দেশে যদি কোন শিক্ষক স্টুডেন্টকে স্কুলের বাইরে এমনকি অন্যকোন শহরেও স্মোক করতে দেখে তবে কান টেনে শাস্তি দেবেন সবার সামনেই। কানাডায় টিচারেরা স্কুলের প্রহিবিটেড অংশের বাইরে কাউকে স্মোক করতে দেখলে ফিরেও তাকাবেন না। তবে অনেকে ক্লাসে এসে সেই স্টুডেন্টকে উদ্দেশ্য না করে নরমালি বলে যাবেন স্মোকিং এর ক্ষতিকর দিকসমূহ। কাউকে লজ্জা না দিয়ে নিজের উপদেশ পৌঁছে দেবেন। যদি শিক্ষার্থী শোনে ভালো, না শুনলে নেই!

তখন সিনিয়ার ইয়ারে পড়ছি; স্কুলে ভালমতো এডজাস্ট করে নিয়েছি। বাড়ির মতোই কমফরটেবল স্কুলে! E.S.L. ক্লাসের টিএ আমি মি: এমের আন্ডারে। তিনি একজন কানাডিয়ান, মধ্যবয়স্ক পুরুষ। উনি অনেক বুদ্ধিমান, বিনয়ী এবং ভদ্র ছিলেন। ওনাকে ভীষন পছন্দ করতাম। ওনার সাথে অনেক গল্প করতাম; কতকিছু যে শিখেছি ওনার কাছে! উনি ক্লাসের প্রথম কিছুক্ষন লেকচার দিয়ে ওয়ার্কশিট দিতেন স্টুডেন্টদের। আমি তারপরে ঘুরে ঘুরে সবাইকে সেগুলো পূরন করতে সাহায্য করতাম। সবাই যখন মোটামুটি আইডিয়াটা বুঝে নিজের মনে কাজ করে যাচ্ছে তখন মি: এমের সাথে গল্প শুরু হয়ে যেত।
একদিন গল্পে গল্পে জিগ্যেস করলাম আমাদের স্কুলে ড্যান্স এলাউড না কেন? কোন ফাংকশনে গান, বিতর্ক, অভিনয় সব হবে। তবে ড্যান্সিং না! শুধু জিম ক্লাসে কাপল ড্যান্স শেখানো হত সামাজিকতার খাতিরে টিচারের তত্ত্বাবধায়নে। তবে স্টুডেন্টরা নিজের ইচ্ছাতে নাচের পরিবেশনা করতে পারবেনা। আমাদের মফস্বলেই যেকোন অনুষ্ঠানে নাচের আপুদের "মমচিত্তে নিতিনৃত্তে" শুরু হয়ে যেত। আর এতো খোলামেলা নিয়মকানুনের স্কুলে এলাউড না! আমাকে প্রশ্নটা খুব ভাবাত। অনেকদিনের জিইয়ে রাখা কৌতুহল আমি একদিন মি: এমের কাছে ভেংঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম।
উনি বললেন, "আমাদের স্কুলে একসময় ড্যান্স এলাউড ছিল। একটা সময় দেখা গেল এটার ভুল এডভানটেজ নেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ছেলে মেয়ে খুব অন্তরংগভাবে নাচানাচি করত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিচারদের সামনেই পাগলের মতো ভালগার সব অংগভংগিতে মেতে উঠত। একদম ক্রেজী হয়ে যেত। স্টুডেন্টদের আচার ব্যবহার অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় তদন্ত করা হলো। তখন কিছু স্টুডেন্ট বাথরুমে মদের বোতলসহ ধরা পরল! ওরা আসলে ড্রাংক হয়ে নাচানাচি করত। স্কুলে বন্ধুদের সাথে ড্রিংক করে নেচে এডাল্টদের মতো পার্টি করাটাকে উচ্চমাপের এডভেঞ্চার মনে করত! তখনকার প্রিন্সিপাল এসবে ভীষন ক্ষুদ্ধ হয়ে শাস্তি হিসেবে ড্যান্সিং চিরতরে ব্যানড করে দেন স্কুলে!" পরে জেনেছিলাম আরো কিছু কানাডিয়ান স্কুল আছে যেখানে ড্যান্স ব্যানড এবং অনেক স্কুল আছে যেখানে নাচ নিয়ে কোন ধরনের রেসট্রিকশন নেই।

আমার এক পাকিস্তানী বান্ধবী আসমার কথা বলেছিলাম আগে। ওর বাবা অন্যখানে চাকরী নেওয়াতে আমাদের স্কুল ছেড়ে বড় শহরে মুভ করেছিল। আমি খোঁজ খবর নিতাম, স্কুলটা কেমন জিগ্যেস করতাম। ও বলত, "কেউ পড়াশোনা করেনা, অর্ধেকের বেশি ড্রাগ এডিক্টেড। আমার একদমই দমবন্ধ লাগে!"
আমি তো থ! একটা স্কুলে এত ড্রাগ এডিক্ট! মি: এমকে স্কুলটির নাম বলে জানতে চেয়েছিলাম সত্যি কিনা? তিনি বলেছিলেন, "তুমি হয়ত এই স্কুলের স্টুডেন্টদের দেখেই ক্রেজি ভাবো! কিন্তু আমি আগে বড় শহরের স্কুলে চাকরি করেছি। ট্রাস্ট মি এই স্কুলের ছেলেমেয়ে অনেক বেশি ওয়েল বিহেভড। ওরা অনেকেই বড় লোকের ছেলেমেয়ে, মা বাবা ব্যাস্ততায় তেমন সময় দেয়না। সময়ের কমপেইনসেইট করে গাড়ি গাড়ি টাকা দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চারা হাতের বাইরে চলে যায়। সবাই খারাপ না অবশ্যই, তবে অনেকেই!" আমি অবাক হয়ে ভাবলাম সব দেশেই কি ছোট শহর বড় শহরের একই কাহিনী? মি: এম যা বললেন আমাদের মফস্বলের টিচারেরাও ঢাকার বড়লোক গোষ্ঠিকে নিয়ে একই কথা বলতেন, একদম এক কথা! আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম যে আমি শান্তিতে ভালো স্কুলে পড়ছি। মা বাবার ছোট শহরে মুভ করার সিদ্ধান্ত আসলেই ঠিক ছিল। কানাডার মফস্বলের স্কুলেই আমি এত কালচার শক পেয়েছি, বড় শহরে তো হারিয়েই যেতাম! এসব ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।

সেই কনভার্সেশন এবং ভাবনার বয়স বেশিদিন হয়ওনি, মি: এম একদিন জানালেন, আমাদের স্কুলের দুটো ছেলে ড্রাগ সহ ধরা পরেছে ক্লাসেই। তাও আবার বেশ নিচের ক্লাসের সম্ভবত ৮ এর স্টুডেন্ট ছিল তারা! ধারনা করা হচ্ছে আরো কজনও জড়িত! ভাইস প্রিন্সিপাল তীব্র পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে শোনা যাচ্ছে (আমাদের স্কুলে কিভাবে যেন প্রিন্সিপালের চেয়ে ভাইস প্রিন্সিপালে মান্যতা বেশি ছিল)। আমি তখন বেশ পুরোন হয়ে গিয়েছি। হাজারটা কালচার শকে চমকে চমকে কোনকিছুই গায়ে লাগেনা টাইপ অবস্থা। তবে সেটা শুনে দমবন্ধ হয়ে গেল। আমি ভাবলাম আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়ে কিভাবে? ওভারঅল স্কুলে কোন র‌্যাগিং হতো না, খেলাধুলায় শহরে সেরাদের একটা (আমাদের জীম ক্লাসের মতো বড় শহরের আর কোন স্কুলে নাকি ছিলনা), পড়াশোনার গড়ও সন্তোষজনক। আমাদের কেউ এত খারাপ কাজ!
আমি জিগ্যেস করলাম কারা? মি: এম নাম নিলেন, অতো নিচের ক্লাসের বিধায় চিনলাম না। উনি উপরের ক্লাসে পড়া এক স্টুডেন্টের নাম নিয়ে বললেন চিনি কিনা? আমার মুখচেনা ছিল, তিনি বললেন তার কাজিন! আমি বললাম ওও। এখন কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? মি:এম বললেন, "কদিন পরে সেই মিটিংয়েই যাচ্ছি আমি। দেখা যাক কি ডিসিশান হয়!"

এসব কথা হয়ে কদিন হয়ে গিয়েছে। আমি নরমালি ঘুরে ঘুরে গল্প করতে করতে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছি সবাইকে। ব্রাজিলিয়ান মেয়ে জে আমার প্রানের বান্ধবী তাই ওর ডেস্কে আসলে গল্প শুরু হয়ে যেত। একদিন জে গল্প করছে ও নাকি পুরো লিস্ট করে রেখেছে বিয়ের পরে হাসব্যান্ডকে কিভাবে জ্বালাবে? পানি ফেলে দিয়ে হাসব্যান্ডকে হাত নাড়িয়ে, গম্ভীরভাবে বলবে, "যাও পরিষ্কার করো, তুমি আমার সারভ্যান্ট!" বলে হেসেই বাঁচেনা। আমিও হাসতে হাসতে শেষ। আমিও মজা পেয়ে এড করলাম, আমি আমার হাসব্যান্ডকে মাঝরাতে ঘুম ভাংগিয়ে বাজার করতে পাঠিয়ে দেব। কোন দোকান খোলা না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরবে সারারাত! নিজে কিছু করবনা সব কাজ ওকে দিয়ে করাব। ওরা মজা বুঝবে বলে দুজনে হেসে একে অপরের গায়ে লুটিয়ে পরছি যেন হাসব্যান্ড নামক মানুষটিকে বিভিন্ন উপায়ে অপদস্ত করা পৃথিবীর সবচেয়ে মজার কাজ! এগুলো আমরা ব্যাস মজা করে বলেছিলাম, বাস্তব জীবনে এপ্লাই করার প্ল্যান কারোরই ছিলনা।

আমরা দুই পাগলী এমনই সব পাগলামী ভরা কথাবার্তায় হেসে খুন হতাম। সেই সময় মি:এমের সাথে গল্প করতে এক টিচার ক্লাসে এসেছিলেন। তার নাম মি: বি, তিনি কি ভীষন সুদর্শন ছিলেন! একদম জীশু খৃষ্টের মতো চেহারা! সবাই অবাক হয়ে যেত এত মিল দেখে! সেই টিচার আমার একদম শুরুর দিকের সমাজ ক্লাসের টিচার ছিলেন। আমাকে স্ট্র্যাগল করতে দেখেছেন, সাহায্য করেছেন। তিনি সেই সেমিস্টার শেষ করে অন্য স্কুলে ট্র্যান্সফার হয়েছিলেন।এতদিন পরে ফিরেছেন। এসে মি:এমের সাথে কিভাবে যেন খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। মাঝেমাঝেই ক্লাসে আসেন; সেদিন বোধহয় ড্রাগ সংক্রান্ত মিটিংটা নিয়েই কথা বলতে এসেছিলেন।

ওনারা দুজন তখন একটু দূরে দাড়িয়ে কথা বলছেন। আমার আর জের কুটিপাটি হাসি চোখে পড়াতে মি: বি মজা করে বললেন, "জানো ও যখন নতুন এসেছিল একদমই হাসত না। আর এখন হাসি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকেনা! ব্যাপার কি?" মি: এম দুষ্টুমি করে বললেন, "ওও আসলেই চিন্তার বিষয়। ও বোধহয় ড্রাগ নিচ্ছে মি: বি!" তারপরে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ নাচিয়ে টেনে টেনে বললেন, "কি? তোমার মা জানলে কি বলবে?" আমার সাথে ওনারা নিয়মিত মজা করতেন, এবং অভ্যস্ত আমিও মজা করেই জবাব দিতাম। তবে ড্রাগ পর্যন্ত চলে যাওয়াতে থতমত খেয়ে গেলাম। সরলভাবে বললাম না না আমি ওসবের মধ্যে নেই। ওনার দুজনে আমাকে ভয় পায়িয়ে ভীষনরকম মজা পেয়ে বোধহয় আমার আর জের চেয়েও বেশি হেসে যাচ্ছিলেন! আমিও লজ্জা পেয়ে হেসে ফেললাম।
সেই ড্রাগ এডিক্ট স্টুডেন্টদের কি শাস্তি হয়েছিল আমি জানতে পারিনি। মি: এমের সাথে এ বিষয়ে আর কোন কথা তুলতে কেন যেন মন চায়নি আমার!

মফস্বলের বোকা মেয়েটি: ড্রাগ নিয়ে আমাদের মফস্বলে কোনকিছু শুনিনি। এটা এমনকিছু যা বাংলা সিনেমায় ভিলেনের হাতে থাকে কিন্তু আসল না চিনির প্যাকেট! তবে সিগারেট নিয়ে কিছু কাহিনী হতো। সদ্য গোঁফ গজানো অনেক কিশোর থাকে যাদের কোন এক অজানা কারনে পাশের বাড়ির সুন্দরী বড় আপুকে আর আপু ডাকতে ভালো লাগে না! রংগিন চোখে সবই নতুন, অচেনা! বড় হচ্ছে টের পেয়ে শহরের সবচেয়ে গোপন জায়গা খুঁজে দল বেঁধে আনাড়ি আংগুলে সিগারেট বসিয়ে কাশতে কাশতে ফুঁ দেয়! আহা প্রতি টানে বড় হওয়ার স্বাদ! তারপরে এটা ওটা খেয়ে, পাতাপুতি মেখে মুখ, শরীরের গন্ধ দূর করা। আপনারা ভাবছেন এতকিছু করার পরে কেউ টের পেতনা? আমার কাছে এখনো রহস্য ওদের এতো গোপনীয়তার পরেও পুরো শহরে সবাই কিভাবে জানত যে এই ইঁচড়ে পাকা ছেলেগুলো সিগারেট খায়? ছি ছি পরে যেত চারিদিকে, দেশের তরুনসমাজের অবক্ষয় নিয়ে চায়ের দোকানে চলত তুমূল আলোচনার ঝড়! সবার সামনে কান ধরে দাড় করিয়ে রেখে টিচার করতেন কঠিন প্রহার! ক্রন্দনরত মায়ের আপ্রান চেষ্টা বংশের মান ডোবানো ছেলেকে বাবার হাতের ভয়ংকর মারের হাত থেকে বাঁচানোর! সবমিলিয়ে এলাহি ব্যাপার স্যাপার। কিশোরি মেয়েদেরও অনেক শারিরীক এবং মানসিক সমস্যা থাকে সে বয়সটাতে। তবে আমি নেশা জাতীয় কিছুতে জড়িয়ে পরতে দেখিনি কাউকে দেশে থাকতে। কিছু তো থাকেই, আমার জীবনে দেখিনি বলে ছেলেদের কাহিনীটি শেয়ার করলাম।

আর আমাদের মফস্বলে কোন টিনএজারের মৃত্যু মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে হতে পারে তা কারও কল্পনাতেও আসত না। গাড়ি ছিলই হাতে গোনা কজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীদের। আমি স্কুলে নতুন নতুন গেলে বান্ধবীরা চোখ বড় বড় করে জিগ্যেস করত, "এই তুমি গাড়িতে আসো? ঐ গাড়িটা তোমাদের?" নিরিবিলি মফস্বলে দু একটা গাড়িওয়ালা মানুষেরা সুপারস্টারের চেয়ে কম কিছু ছিলনা! আর মদ্যপান? ওটাতো বাস্তবে হয়না, শুধু বাংলা সিনেমার ভিলেনের কাজ! সেটা নিয়েও কত জল্পনা, সত্যিই অভিনয়ের জন্যে মদ খেয়েছে? ছি ছি! তারপরে এক বিজ্ঞ বান্ধবীর উত্তর আরেহ না, আমাদের দেশে মদ পাওয়া যায়নাতো, ওরা কোক খেয়ে অভিনয় করে। বাকি সবাই অনেক বুঝেছে এমন ভাব করে মাথা নাড়ায়! হাহা কি ভীষন সরল, সুন্দর মানুষ এবং তাদের সাদামাটা ভাবনা! আর সেই ভাবনায় মিলেমিশে একাকার বোকা আমি!

বিশেষ কথা: পাঠক উপরের লেখা পড়ে কোনভাবেই ভাববেন না যে সব কানাডিয়ান কিশোর/কিশোরি ড্রাগ, মদে ভীষনভাবে অভ্যস্ত। তা একদমই নয়। এখানে ভীষন ওয়েল বিহেভড, মেধাবী টিনএজারও আছে। আর ভালোদের সংখ্যাই বেশি। আমি সব পর্বেই বলি কিভাবে আমার পোশাক আাশাক, কালচার আলাদা হবার পরেও ওরা আমাকে ভীষন সম্মানের সাথে ট্রিট করত! কি ভীষন ভালো ব্যবহার! খুব বেশি মিশত না প্রথম প্রথম কিন্তু হাইটাও এত মিষ্টি হেসে বলবে যেন জনম জনমের বন্ধু! আর কাউকে ছোট করত না কখনো। কেউ খারাপ মার্ক পেলে হাসাহাসি না, হয় চুপ থাকবে নয় চিয়ার আপ করবে! মায়ের পেট থেকেই যেন সম্মান, বিনয় এসব ভালো গুন নিয়ে এসেছে।

তবে এ পর্বে ট্রাবলড টিনএজদের কথা বলেছি কেননা তাদের সংখ্যাটা নিতান্তই কমও নয়। খারাপ জিনিসগুলো আলোচনা করলে অনেক সময় সচেতনতা তৈরি হয়। একসময় বাংলাদেশে কিশোর জীবন বেশ সরল ছিল যেমনটা আমি বলেছি। কিন্তু কবছরেই যেন সবকিছু বদলে গেছে! টাইটেলের কানাডিয়ান কৈশোর জীবনের সেই উচ্ছৃঙ্খলতা আমাদের দেশেও প্রযুক্তি, বিশ্বায়নের প্রভাবে ছড়িয়ে পরছে। অনেকেই আজকাল মারাত্মক সব খারাপ কাজে জড়িয়ে পরছে কৈশোরে। তবুও অনেক দেশের তুলনায় তা এখনো কম বোধ করি তবে ঠিক পদক্ষেপ না নিলে হয়ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে! পৃথিবীর সব দেশেই কৈশোর বয়সে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পরে। বিভিন্ন নেশাখোর এমনকি বড় বড় ক্রিমিনালও অনেক সময় বলে শুরুটা কৈশোরেই হয়েছিল! সেই একটা আনাড়ী সিগারেটের ফুঁ যে কখন বেআইনি ড্রাগসে পরিনত হয়ে যায় তা কেউ বুঝতে পারেনা! এদেশে সবচেয়ে চ্যালেন্জিং কাজ মনে করা হয় কোন টিনএজ বাচ্চার প্যারেন্ট হওয়া। কেননা এরা হরমোনের তারতম্যের কারনে জেদি, একরোখা হয়, কোনকিছু বুঝতে/মানতে চায়না। এডভেঞ্চারের লোভে ভুল পথে সহজেই পা বাড়ায়। বাবা মা বুঝতে পারেন না কি করা উচিৎ তাদের? যদি বেশি নজর রাখেন স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ! নজর না রাখলে হাতের বাইরে! বালাইটা যেন বাচ্চাদের চেয়ে অভিবাবকদেরই বেশি!

অনেক বিপথগামী টিনএজার সামনের জীবনে সামলে নিতে পারে নিজেকে, অনেকে পারেনা। কৈশোর বয়সের ভুল কারও সারাজীবন যেন নষ্ট না করে দেয় সেজন্যে অভিবাবকদের সাবধানে থাকতে হবে। অতি স্বাধীনতা বা অতি অনুশাসন দুটিই বিষ এ বয়সের জন্যে। সব ঠিক পরিমানে হতে হবে। বাবা মাকে বন্ধুর সাথে সাথে কড়া অভিবাবক হবার কঠিন ব্যালেন্সটি একসাথে মেইনটেইন করতে হবে। সেই বয়সে আমি আমার মায়ের কাঁধে ঠেস দিয়ে বান্ধবীর মতো সব গল্প করতাম। স্কুল থেকে ফিরেই "মা জানো কি হয়েছে?" শুরু হয়ে যেত। বাবা হঠাৎ করে রুমে ঢুকে বলতেন "দুই বান্ধবী কি গল্প করে?" আবার সেই মাই যখন ভুরুতে ইশারা করে কোন কাজ মানা করতেন সাহস হতোনা অমান্য করার। আর অবশ্যই কৈশোরের আগ থেকেই শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন নিয়ে খোলাখুলি সব আলোচনা করতে হবে। কৈশোরে পা দেবার পরে বুঝালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্তানটি বিপথে চলে যেতে পারে। কেননা তখন কিছু বোঝার শক্তিই থাকেনা। পিয়ার প্রেশারও খুব বড় একটা কারন টিনএজারদের বিপথে পা বাড়ানোর। অভিবাবককে তাই ভালোভাবে খোঁজ রাখতে হবে সন্তান কার সাথে মিশছে। সবচেয়ে বড় কথা সকল কিশোর কিশোরির নিজের নূন্যতম বোধ বিবেচনা থাকতে হবে। নিজের ভালো নিজে না বুঝলে অন্যকেউ করতে পারেনা। এই পৃথিবীর বেস্ট প্যারেন্ট এবং টিচারও ফেইল করবে। পৃথিবীর সকল কিশোর কিশোরিরা অভিবাবকের সহায়তায় এবং নিজের বুদ্ধিতে যেন ঠিক পথে চলতে পারে সে কামনায় শেষ করছি।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: বরাবরের মত লেখাটি বেশ ভাল হয়েছে। তথ্যপূর্ণ তো বটেই। এভাবে কানাডা জীবন সমাজ শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সহজ ভাষায় ব্যক্ত করার জন্য লেখিকাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠককেও পাঠ, প্রশংসা, মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা শুভসাহেব!

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৪

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: উফ....এত্ত দেরি করে পোষ্টান যে সত্যিই সত্যিই যে পোষ্টাইছেন- সেটাও চোখ ডলে সোজা হয়ে বসে দেখে বিশ্বাস করতে হয়......মানুষ নিষ্ঠুর হয়া যাইতেছে :((

কেননা এরা হরমোনের তারতম্যের কারনে.......
অামার এখনো মনে অাছে, অামার এই হরমোনাল তারতম্য পুরোপুরি তারতম্য করতেও অনেক সময় নিয়েছিল- অামার সবকিছুই একটু দেরিতে পরিপক্ক হয়, অন্যসব টিনএজারদের দাপাদাপি তাই যতদূর মনে পড়ে অামারও দেরিতেই প্রকাশ পেয়েছিল.....অামার টিনএজগিরি বোধহয় এত বয়সে এসেও শেষ হয়নি- মাঝে মাঝে ধন্দে পড়ে যাই- শরীরের বয়স নিয়া না মনের বয়স নিয়া!!
অার বালাই ব্যবস্থাপনাকে যদি বাপ-মায়ের জন্য পেইনফুল বলি- তবে অামাদের কাছেও সমাজের বালাইনাশক অাচরণগুলো বেশ দুর্বিষহ-ই ঠেকতো X((

মায়ের কাঁধে ঠেস কিংবা বাপের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ানো পিচ্চিকালে যতটা সহজ- বড়বেলায় সেটাই অনেকের কাছে কাল্পনিক!! এটা শুধু সংকোচের জন্য না- অযাচিত অপ্রত্যাশিত অনেক দূরত্বের জন্যও!!
অামি নিজেও মার সাথে একটা বয়স পর্যন্ত যতটা ফ্রি ছিলাম মানে সম্পর্কে দেয়াল যতটা স্বচ্ছ ছিল- সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেখানে অনেক ধূলা অার দাগ পড়ে সেটা পুরু হয়ে গেছে.....প্রতিটা সংসারে খাবার টেবিল অার অাড্ডায় সাংসারিক বিষয়াবলির পাশাপাশি রাজনীতি-ধর্ম-নীতি-চেতনা-মানুষ এগুলো যদি সমভাবে জায়গা দখল না করে, তাহলে অামরা অালগাভাবে জুড়ে থাকা অাপাত দৃশ্যমান কিছু শক্ত বন্ধন ঠিক পাব কিন্তু পুরো অাবেগ-বিশ্বাস-যুক্তিবাদ ইত্যাদি পাবো না.....মানুষ ক্রমেই পরিবার গড়বে কিন্তু সেখানে ঘাটতি থেকে যাবে, মানুষের সাথে সাথে ঘাটতি গুলোরও বিবর্তন ঘটতে থাকবে :-*

........ওও আসলেই চিন্তার বিষয়। ও বোধহয় ড্রাগ নিচ্ছে মি: বি!......
চরম একটা কথা বলেছে মি: এম......অস্থির হিউমার ব্যাটার :D

মুখ লিটারেলি হা করে দেখলাম বুকে সজোরে ধাক্কা মারা প্রকৃতির ভয়ংকর সৌন্দর্য!
অামি ওয়ালপেপার অার ভিড্যুতে দেখি তাতেই ঘোরের মধ্যে থাকি......তুষার যে এত গভীরভাবে নাড়া দিতে পারে সেটা ফিল করারও যোগ্যতা লাগে অাসলে......স্নোফল- সেক্সি এন্ড কুল :``>>

***********
অাপনার অাজকের মুদ্রনদোষ দেখে মেজাজটাই বিলা হয়ে গেছে বারবার- অনেকদিন ধরে না লেখার অভিশাপ এইটা- বুঝছেন? /:)

ভাংগল-ভাঙল/ভাঙ্গল; ঔজ্জল্য-ঔজ্জ্বল্য; জিয়িয়ে- জিইয়ে(অাধুনিককালে এটাই দেখেছি, যদিও সাধুভাষায় "জিয়াইয়া" ব্যবহৃত হয়েছে এবং এটার চলিত রূপ অাবিষ্কার করে বিবর্তিত করাটা অামাদেরই দায়িত্ব ;) , তারপরও অমন বানান কোথাও দেখিনি অাসলে- তাই নিশ্চিত শুদ্ধ জানি না); কৈশর-কৈশোর; ইচোড়ে পাকা-ইঁচড়ে পাকা

জিগ্যেস=জিজ্ঞেস, এটা অামার জানা ছিল না.....যেমন প্রতিযোগিতা=প্রতিযোগ :P

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আমার মাস্টার সাহেব হাজির! লং টাইম নো সি! আপনি আমার লেখার অপেক্ষায় যতোটা বিরক্ত হয়েছেন আমি লিখতে না পেরে আপনার দেখা না পেয়ে তার চেয়ে অনেক বেশি বিমর্ষ ছিলাম। এজন্যে শরীর ভীষন খারাপ থাকার পরেও কোনমতে লিখে পোষ্ট করেই দিয়েছি! আসলে আই এম নট ফিলিং ওয়েল ফ্রম সাম ডেস। লেখার জন্যে শরীর, মনের যে ফূর্তি দরকার সেটা ছিলনা, এবং সত্যি বলতে এখনো নেই। কিন্তু কিছু কিছু বিনয়ী পাঠক আমার মতো সাধারন মানুষের জীবনকাহিনী পড়ার জন্যে মুখিয়ে থাকেন। সেই দায়িত্ববোধেই কষ্ট করে শেষ করা!

অামার সবকিছুই একটু দেরিতে পরিপক্ক হয়
এই কথাটার সাথে রিলেট করতে পারলাম। আমিও শিশুকালে এবং কিশোরি বয়সে খুব বেশি সরল ছিলাম। আমার ইঁচড়ে পাকা সমবয়সীদের তুলনায় নিজেকে বেশ আনস্মার্টই মনে হত। কিন্তু এখন মনে হয় আমি যা ছিলাম সেটাও খারাপ ছিলনা। হয়ত এখনো অতোটাই আবেগী, সরল আছি, তবে আত্মবিশ্বাসের সাথে আছি। তখনকার মতো পিছিয়ে পরা মনে হয়না নিজেকে! আমি পরিবর্তিত হইনি তবে আমার নিজেকে দেখার ঢং পরিবর্তিত হয়েছে। আমি কোথাও একটা নিজেকে সম্মান করতে শিখেছি, যেটা বেঁচে থাকার জন্যে ভীষনভাবে জরুরি!

মি: এমের হিউমার নিয়ে পুরো একটা বই লিখে ফেললেও শেষ করা যাবেনা। আমি খিলখিল করে হাসতে হাসতে অনেক সময় মেঝেতে পরে গিয়েছি গড়াগড়ি খেতে খেতে। মি:বিও কিন্তু খুবই মজার মানুষ ছিলেন, ওনার কিছু মজার গল্পও একদিন শেয়ার করব।

স্নোফল আসলেই অন্যরকম এক সৌন্দর্য, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তবে এখনো বাইরে স্নোয়ের মধ্যে যেতে বিরক্তি লাগে। ঘরের মধ্যে বসে বাইরে তাকিয়ে দেখার মজা অন্যরকম! মনে হয় মুভি দেখছি হাহা।

পোষ্ট করার সময়েও ভাবছিলাম মাস্টার সাহেব বেত নিয়ে ছুটে এলেন বলে। সরি রে জিজ্ঞেস বানানটা আগে বলার পরেও ভুল করলাম। বাদবাকি যা চোখে পরেছে ঠিক করে দিয়েছি।

আপনার কাছে আমি ভীষন কৃতজ্ঞ থাকি। অনেককিছু শিখতে, জানতে পারি আপনার মন্তব্যে। আমি লিটারেলি অপেক্ষা করি আপনার মন্তব্যের।
ভীষন ভীষন ভালো থাকবেন মাস্টার সাহেব!

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৪১

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: দুইবার কমেন্ট করতে বসলাম......ইমোর বিড়ম্বনা অারেকবার ফেইস করলাম লাইফে!!

"জিগ্যেস" বানানটা ভুল- এইটা কে বলল? অামিতো বললাম যে "জিজ্ঞেস"-র যে এরকম একটা বিকল্প বানানও অাছে তা অামার জানা ছিল না (অভিধানে অনেক অভিজাত বানান পাওয়া যায়, চামড়ার চোখে যেগুলো ভুল মনে হয়- অাসলে বানানগুলো একটু ঘাড়ত্যাড়া টাইপের!!)
মাগার বুঝছি, শ্যাষ লাইনডার লগে জিহ্বা বাইর কইরা ভেংচি মারছি- এলা অাপনে উল্টাডা বুঝছেন.....ইমোরে টুট টুট টুট...... X(

অসুস্থতার খবর শুনে জব্বর হাসি পাচ্ছে অামার.....অামাদের মায়েদের পুরান জমানার অনেক গাল-গল্প অামরা করি, অামার মা যতই মডার্ন হোক না কেন, কিছু বিষয়ে অাদিমতার এক্কেবারে জ্বলন্ত উদাহরন ।
মা'র জমানায় মেয়েদের "প্রেগনেন্সি" মানে ছিল অসুস্থতা....এটাই সবচেয়ে ভদ্রস্থ প্রকাশভঙ্গি ছিল মনে হয়.... :#)

- ওই বাড়ির বউ অসুস্থ- শুনলে সবাই মুখ টিপে হেসে খোঁচাখুঁচি করত পরস্পরকে.....
অাবার এমনটাও শোনা যেত-
- ওই বিল্ডিংয়ের ইন্জিনিয়ার ভাবিরতো শরীর খারাপ কয়দিন ধরে, জানেন নাকি ভাবি?
- সত্যি, কী বলেন? কবে থেকে? ভাবি অাবার এই বয়সে.......?
অাশ্চর্যের বিষয়, মা এখনো অামাদেরকে অাত্মীয়ের মধ্যে নতুন কারো প্রেগনেন্সির খবরটা এই সুরেই বলে.....

অামিতো ভিতরে ভিতরে হাসি অার মনে মনে বলি কোন ভাইরাসে ভিতরে ঢুইকা অসুখটা বাধাইছে তা কি অার জানি না? :P

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাফ করবেন আমি বানানের ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। ক্লিয়ার করে দেবার জন্যে ধন্যবাদ।

আপনার রসবোধের প্রশংসা করতেই হয়। অনেক পাঠক পোষ্টের সাথে সাথে আপনার মন্তব্যেও বিনোদিত হবেন।

মাস্টার সাহেব অনেক ভালো থাকুক।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৫৮

অভি চৌধুরী বলেছেন: আহারে! স্বপ্নের দেশে একবার যদি যাইতারতাম :(

আপু তোমার পোষ্ট জোশ হইসে

আরো লেখুকগা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার ভাইয়ের স্বপ্নের দেশে যাবার মনোবাসনা পূরন হোক।

পাঠ, মন্তব্য, প্রশংসায় ধন্যবাদ।
ভাইটা আমার অনেক ভালো থাকুক।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর বর্ননা, আসলে অল্প বয়সে দু দেশের কালচারদেখার সৌভাগ্য হয়েছে আপনার, নিজের জীবনে কিছু আত্তিকরন কিছু বিসর্জন দিয়ে একটা ব্যালেন্সড লাইফ লিড করার ম্যাচিউরিটি অর্জন করেছেন, তুলনামুলক আলোচনার মধ্যেদিয়ে অনুভব গুলি সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন ভাল লাগলো। ভাল থাকুন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ পুলক ভাই! ভালো আছেন আশা করি।

হুম একপ্রকারের সৌভাগ্য তো বটেই। কম বয়সেই কত দেশের বৈচিত্রপূর্ণ মানুষের সাথে মিশে কতকিছু শিখেছি আমি!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ম্যাডামের তরফ থেকে একরাশ শুভকামনা!

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লিটারারি হা হয়ে গেলাম ;) আপনার পোষ্ট পড়েও!

এত দারুন করে লেখেন একটানে স্লেজের মতো গড়গড়িয়ে টেনে নিয়ে যায় :)

অসুস্থতার মাঝেও অধম পাঠকদের প্রতি আপনার দায়ে বিমোহিত! দ্রুত পরিপূর্ন সুস্থ হয়ে উঠুন। আর আমাদের হা করা মুগ্ধতার লেখায় ভাসিয়ে দিন! :)

অন্তহীন শুভেচ্ছা শুভকামনা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখার চরন পোষ্টে অবশেষে পরিল। :)

আপনার শুন্যহাত পরিপূর্ণতা পেয়েছে আশা করি।

সখীর প্রতিটি লেখায় লাইক, সুন্দর মন্তব্য সহ হাজির হবার আপনার দায়ে আমি বিমোহিত। ;)

না না অনেক মজা করে ফেলেছি। সিরিয়াসলি বলি, এত প্রশংসা এবং শুভকামনার জন্যে ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

বলবো না!! বলেছেন: প্রথম তুষার দেখার বর্ণনা পড়ে "সাতকাহন" এর শুরুর বর্ণনা মনে এলো। এস পার সিচুএসন আপনিত সুপার পারফেক্ট.. সহজ বর্ণনা ভঙ্গির কারনে আপনার বড় লেখাও একটানে শেষ করা যায় ।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরে আপনি বলবো না বলেও অনেক কিছু বলে ফেলেন তো। :)

সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন আমার পঠিত সেইসব উপন্যাসের মধ্যে পরে যা পড়ার পরে মনে হয় জীবন বদলে গেছে। নতুন অনেক বোধ যুক্ত হয়েছে পুরোন জীবনে যা মানুষ আমাকে ভেঙ্গেচূড়ে অন্যকিছু বানিয়ে দিয়েছে! কতবার আবেগী হয়ে কেঁদেছি আবার চোয়াল শক্ত করে আত্মবিশ্বাসী হয়েছি বইটি পড়ে তার হিসেব নেই। বইটির সাথে অনেক স্মৃতি জড়িত বলে এত কথা বলে ফেললাম!

হ্যারে বেশি বড় লিখে ফেলছি আজকাল। কাটার চেষ্টা করি কিন্তু মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ পরে যাচ্ছে! তাই কিছু কিছু পাঠকের বিরক্তি মাথা পেতে নেব সেই ভাবনায় দিয়েই ফেলি। কিন্তু আপনার মতো পাঠকদের জন্যে অনেক উৎসাহ পাই। আপনার ব্যস্ত জীবনে বড় লেখাও আগ্রহ এবং ধৈর্য্য নিয়ে পড়েন সে এক বিরাট প্রাপ্তি।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ আমার দায় নয়গো সখি, এ যে ঋণ শোধ!
দারুন সূখপাঠ্য অভিজ্ঞতা, জ্ঞান আর একটা স্বত্ত্বার বিবর্তনের দারুন নান্দনিক সিরিজে আমাদের ঋদ্ধ করছেন তা শোধের সামান্য চেষ্টা মাত্র।

ভাসতে থাকা ভাললাগার বেলুনে 'মজা'র পিনটা ফুটিয়েই দিলে সখি ;) =p~ =p~ =p~

অনেক অনেক শুভকামনা নিরন্তর, সবসময়...

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ একি! সখার মন দেখি আর নিজ ব্লগঘরে টেকেনা, সে না থাকিতে পেরে আবারো সখীর ঘরে আসিয়া পরেছে! ;) :D

ভাসতে থাকা ভাললাগার বেলুনে 'মজা'র পিনটা ফুটিয়েই দিলে সখি
এক্সিলেন্ট! আপনি পারেনও! সখা আমার বড়ই মজার মানুষ দেখা যাইতেছে!

আবারো মজা বাদ দিয়ে সিরিয়াসলি বলি, প্রশংসা অনেকেই করে। কিন্তু কবিসাহেবের মতো এত সুন্দর সব শব্দ সবার ভান্ডারে থাকেনা!

অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকেও!

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

বিপ্লব06 বলেছেন: বরাবরের মতই অনেক নাইস একটা লেখা!

প্রথম তুষারপাত দেখার অভিজ্ঞতাটা বেস্ট!

নতুন সেমিস্টার মুবারক!!!

ভালো থাকবেন!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইশ! নতুন সেমিস্টার শুরু হতে যাচ্ছে তা মনে করিয়ে দিলেন! হুম থ্যাংকস।

আসলেই প্রথমবার তুষারপাত সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকুন।



১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

পথহারা মানব বলেছেন: আমি আমার হাসব্যান্ডকে মাঝরাতে ঘুম ভাংগিয়ে বাজার করতে পাঠিয়ে দেব। কোন দোকান খোলা না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরবে সারারাত!! হা হা হা

তারপর কি হবে জানেন...?

ও বেচারা দোকান খোলা না পেয়ে আমাকে ফোন দিবে...
আমি তখন বলব, দুলাভাই আপনি তিন দিন বাসায় যাবেননা...!

ব্যাস এইবার...আপু কেদেঁ কেদেঁ হবে একাকার
তারপর থেকে রাতে কেন...দিনেও আর বাজারে পাঠাবে না

হা হা হা হা....


১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দুলাভাই নেই আর এতো প্রেম! হলে কি করবে! ঐ ছ্যামরা, বোনের পক্ষে থাকা ফরজ কাজ না? অন্যবাড়ির ছেলের পক্ষে থেকে লাভ আছে?

না না এরকম কেন করবেন? তিনদিন আপু আপনার দুলাভাইকে ছাড়া থাকবে কি করে? (লজ্জার ইমো হপে)।
আপনি কি বলবেন সেটা শিখিয়ে দেই। বলবেন অন্যবাজার বাদ দিয়ে আইসক্রিম কিনে নিয়ে যাও, আপু আজ রাতের মতো মাফ করে দেবে। এখন অতো রাতে কোথায় আইসক্রিম শপ খোলা পাবে সেটা তার ব্যাপার! :D

সিরিয়াস পোষ্টের রসটুকু নিয়ে বেশ ভালোই মজা করলেন আন্তরিকতার সাথে।
অনেক কৃতজ্ঞতা পাঠ, এবং মজার মন্তব্যে।
ভীষন ভালো থাকুন।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০১

পথহারা মানব বলেছেন: পোষ্টটা সিরিয়াস হলেও বেশ কিছু মজার বিষয় ছিল....কিন্তুু আজকে সময়ের কারনে আর মজা করতে পারলাম না... :(( :(( শেষে দেখা যাবে একটু পরে বসের হাতে জাড়ি খেয়ে আমিই মজার বিষয় হয়ে যাব... ;)

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মাঝেমাঝে অসুস্থ হলে তার আশপাশের মানুষগুলোর লাভই হয় ;) ;) ...তথাপি আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম সিরিয়াস পোষ্টের মজার জায়গাগুলো আপনি ধরতে পেরেছেন বলে ধন্যবাদ। ও অফিস ফাঁকি দিয়ে ব্লগিং না? হুমম আপনার বেচারা বস এমন ফাঁকিবাজ কর্মচারী রেখে কত লোকশান গুনছেন তা ভেবেই আমার খারাপ লাগছে! ;)

তাই না? আমি অসুস্থ্য হলে কার যে লাভ হতে পারে তাই ভাবছি এখন!

শুভকামনা এবং মজার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন আপনিও।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

ঢে্উটিন বলেছেন: "হাসব্যান্ড নামক মানুষটিকে বিভিন্ন উপায়ে অপদস্ত করা পৃথিবীর সবচেয়ে মজার কাজ"! B:-) B:-)
পাগলে পাইছে, দরকার হইলে সাদীই করুম না..... :D :D

"বড় হচ্ছে টের পেয়ে শহরের সবচেয়ে গোপন জায়গা খুঁজে দল বেঁধে আনাড়ি আংগুলে সিগারেট বসিয়ে কাশতে কাশতে ফুঁ দেয়! আহা প্রতি টানে বড় হওয়ার স্বাদ"! :P :P :P
গোপন কথা কইয়া ফালাইলেন....। মনে হ্য় বড় হইয়া গেলাম,,,,,, 8-|

লেখা বরাবরের মতোই সুন্দর ও সাবলীল। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে আমরা যতই আধুনিক হচ্ছি ততই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ হারাচ্ছি। মজার ব্যাপার হলো শিক্ষিত বাবা-মায়ের সন্তানরাই বেশি বিপথে যাচ্ছে। মা-বাবারা সন্তানদের শুধুই ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে দেখতে চায়, ভালো মানুষ হিসেবে নয়! প্রত্যেক মা-বাবার উচিৎ সন্তারদের সাথে আন্তরিক হওয়া ও তাদের বেষ্ট ফ্রেন্ড হওয়া। মা-বাবা থেকে দুরে সরে যওয়া সন্তানরাই ড্রাগ এ্যডিক্টেড হয়ে পড়ছে।

তুষারপাত দেখতে ভালো লাগে বাট পামুকই? তাই আমাগো লাইগ্যা বছরে দু'একবার শিলাবৃষ্টিই ভরসা।

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায় হায় আমার একটা লাইনে ব্লগের ব্যাচেলর ভাই, ব্রাদারেরা বিয়ে বিমুখ হয়ে গেলে তো আমি ভাবীর আদর না পাওয়ার শোকে পাথর হয়ে যাব। :)

হুম সেই ইঁচড়ে পাকা ছেলেদের মধ্যে আপনিও ছিলেন মনে হয়! ;)

লেখনীর প্রশংসার করার জন্যে ধন্যবাদ।
হুম আপনার বিশ্লেষনী কথাগুলোর সাথে আমি একমত। আপনি সব বলে দিয়েছেন, আমার এড করার কিছু নেই।

যতো যাই বলেন আমার শিলাবৃষ্টিই সেরা!! ইশ! প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতে শিলা কুড়ানো, কিছু কিছু কামড়ে কামড়ে শব্দ করে খাওয়া! আর কিছু ফ্রিজে রেখে দেওয়া এবং কাজিন, বন্ধুদের দেখানো! সেসব দিন কি ভোলা যায়!!

পাঠ ও সুন্দর, বিস্তারিত মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার যে কয়েকটি লেখা পড়েছি তাতে যে জিনিসটা আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে সেটা হলো আপনার খুবই অসাধারণ এবং সাবলীল উপস্থাপনা।
কিছু অতি সাধারণ ব্যাপারও আপনি খুবই অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আপনার লেখক সত্ত্বাকে স্যালুট।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আসলেই। প্রতিটি গল্প, কাহিনীই বেশ সাধারন। কেননা এটি অতি সাধারন এক মেয়ের বাস্তব জীবনের কাহিনী। অসাধারন হবার সুযোগ এদের তাই হয়নি। কিন্তু এই সাধারন গল্পমালাও অসাধারন মনে করে তৃপ্তি নিয়ে পড়ে আপনি আমাকে ঋনী করেছেন।

পাঠ, মন্তব্য, প্রশংসায় অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

অদৃশ্য বলেছেন:




চমৎকার...

শুভকামনা...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, জানার আছে। কানাডার কালচার আমাদের চেয়ে আলাদা হলেও ড্রাগের ব্যাপারে যা লিখেছেন, তা' কিন্তু এখন বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। আপনার আগের দেখা বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ ভিন্ন। এখানে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ আগের চেয়ে অনেকটাই শিথিল। বয়সের কারণে কয়েকটা জেনারেশন দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাতে বর্তমানের অবস্থা দেখে আমি খুবই হতাশ।

যাই হোক, পড়াশুনার জন্য আপনার স্ট্রাগলের প্রতি শ্রদ্ধা রইল। মিসেস হাওয়ি, মিঃ এম এবং মিঃ বি সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। তুষারপাতের বর্ণনা চমৎকার হয়েছে। সার্বিকভাবে এই লেখাটি অনেক উপভোগ্য ও শিক্ষণীয়।

ধন্যবাদ সামু পাগলা ০০৭।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম আমিও এটা বলেছি লেখায় যে, "একসময় বাংলাদেশে কিশোর জীবন বেশ সরল ছিল যেমনটা আমি বলেছি। কিন্তু কবছরেই যেন সবকিছু বদলে গেছে! টাইটেলের কানাডিয়ান কৈশোর জীবনের সেই উচ্ছৃঙ্খলতা আমাদের দেশেও প্রযুক্তি, বিশ্বায়নের প্রভাবে ছড়িয়ে পরছে। অনেকেই আজকাল মারাত্মক সব খারাপ কাজে জড়িয়ে পরছে কৈশোরে।"
অবাক লাগে ভেবে যে মাত্র ক বছরেই সবকিছু কি ভীষন বদলে গেছে! বিশ্বায়ন, প্রযুক্তি যে বড়ই গতিময়! তাল মেলাতে না পেরে অসাহায় বোধ করি!

হুম যে তিনটি নাম নিলেন সকলেই আমার অনেক প্রিয় মানুষ। তারা যে কি ভীষন ভালো মানুষ ছিলেন হেনাভাই! আমি বর্ণনা করে বোঝাতে পারবনা।

পাঠ এবং এত সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মতো গুনী লেখক আমার লেখায় কমেন্ট করলে উৎসাহ বহুগুনে বেড়ে যায়! আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভালো থাকুন, ভীষন ভালো থাকুন।

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: পড়ে অনেক কিছু জানা হলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
সর্বদা ভালো থাকুন।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই পর্বটা বেশ ভালো লাগলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার লেখা । তুষারপাতের প্রথম অভিজ্ঞতার বর্ণনাটা অতি সুন্দর ।

আপনার প্রবাসজীবনের বর্ণনা আলো আর অন্ধকার দুটোকেই ছূয়ে যায় বলে পড়তে ভাল লাগে আর তেমনি ভাবায়ও ।

গেল মাসে কয়েক দিনের জন্য আপনাদের ওদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম । মিসেসাগা আর ফ্রেডরিকটনে (NB) ছিলাম সপ্তাহ দুয়েক । কানাডার প্রকৃতি সুন্দর । আর বড়ই সৌন্দর্য এর দীর্ঘ, প্রশস্থ লেক গুলো, প্লেন থেকে দেখে যেগুলোকে আমি নদী ভেবে ভুল করেছিলাম । আমার স্ত্রী আর চার বছরের মেয়ের অনেক পছন্দ হলো দেশটাকে। আমার হলো ভয়। মনে হলো নিজের দেশ থেকে এত দুরের দেশে এসে থাকবো কি করে ? দেশের জন্য পিছুটানের এই তীব্র অনুভুতিটা আমার আগে কখনও হয়নি ..........।

আপনার জন্য শুভকামনা ...।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা করার জন্যে।

হুম ঠিকই, কানাডা অনেক সুন্দর! আসলেই বিদেশে পা পরলেই এই অনুভূতিগুলো তীব্রতার আকার ধারন করে। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।
শুভকামনা রাশি রাশি!

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কখনো কোন বরফের দেশে যাওয়া হয়নি। তবে আপনার প্রথম বরফ পড়ার বর্ণনাটা পড়ে মনে হলো আমিও কানাডায়।

কানাডা সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা হলে।

অশান্ত পৃথিবী কিশোরদের জন্য আরও বিপদজনক।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ শামছুল ভাই! লং টাইম নো সি! এই সিরিজের প্রথমদিকে আপনাকে রেগুলারলি পেতাম। আজ বেশ অনেকদিন পরে পেয়ে ভীষন খুশি হলাম। ভালো আছেন আশা করি!

অশান্ত পৃথিবী কিশোরদের জন্য আরও বিপদজনক।
১০০% সহমত। আর কিছু নেই এড করার!

আপনিও সর্বদা সুখে থাকুন, ভালো থাকুন!

২০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: পরা অর্থ পরিধান (জামা-কাপড় পরা)
পড়া অর্থ পতন ( পিছলে পড়া), অধ্যয়ন (বই পড়া)

তুষার পাতের বর্ণনায় 'পরা' গুলো 'পড়া' নিয়ো।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া। ঠিক করে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্যে।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা!
শুভকামনা!


২১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫১

অভি চৌধুরী বলেছেন: আপু তোমার কথায় মায়া আছে অনেক । খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারো মনে হচ্ছে তবে আমি গুছিয়ে কথা বলা লোকদের খুব ভায় পাই,।আমার গুছিয়ে কথা বলতে ভালো লাগেনা, লাইফ হতে হবে পাগলা ঘোড়া, আউলা ঝাউলা।

দেখি আরো কিছু পোষ্ট পড়ে কি লিকসো...........।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাগল ভাই আমার! পাগলা ঘোড়ার রাশ টেনে আউলা ঝাউলা জীবন কেউ না কেউ গুছিয়ে দেবে একদিন। হাহা।

আচ্ছা ঠিক আছে অন্যকিছু পর্বও নাহয় পড়েই ফেলো।
ভাই আমার সুখে থাকুক, ভালো থাকুক।

২২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনেক দিন পর গাড়ি ষ্টার্ট দিলে প্রথমে একটু খক খক করে কাঁশে-ভাল চলেনা।
তাই অল্পেতেই শেষ করলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাই আমি "আর কিছু নেই এড করার" বলতে নিজের কথা বলেছিলাম। যে আপনার কথায় পুরোপুরি একমত, পারফেক্ট বলেছেন, এরপরে কিছু বলার নেই। ওটা প্রশ্ন ছিলনা, যদি ভুল বুঝে থাকেন সেজন্যে ক্লিয়ার করে দিলাম।

ভীষন ভীষন ভালো থাকুন আপনিও!

২৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

অপেক্ষায় নাজির বলেছেন: নাম গুলো এ, বি, সি, এম, এন না বলে কাল্পনিক নাম ব্যাবহার করলে সুখপাঠ্য হয়

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলে কানাডায় কোন টিচারের নামের পদবী আগে মি:/মিস/মিসেস ধরে ডাকা হয়। সেই পদবীটি যদি কঠিন এবং খটমটে উচ্চারনের হয় তবে নামের প্রথম অক্ষর ধরে ডাকে সব স্টুডেন্টরা। টিচারই এমনটা করার ফ্রিডম দেন। কিছু কিছু ব্যবহৃত নাম তাই একদম সেটাই যেটা আমি ডেকেছি বাস্তবে। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরোটা বলিনি সেটাও ঠিক। তবে রেগুলার পাঠকেরা এভাবেই পড়ে অভ্যস্ত নামগুলো। চরিত্রগুলোকে এভাবে চেনেন। এজন্যে এখন পাল্টালে হয়ত রিলেট করতে অসুবিধা হবে। আমি ভেবে দেখব কি করা যায়! তবে মনে হয় এভাবেই লিখে যেতে হবে।

পাঠ, মন্তব্য, পরামর্শে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.