নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ২১) : পশ্চিমি কালচারে নারী পুরুষের অবাধ ইনটিমেসি এবং রক্ষনশীল সমাজের স্তব্ধ আমি! (১৮++)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

আমি কানাডায় থাকাকালীন অনেক ধরনের কালচার শক পেয়েছি, চোখের সামনে কল্পনাতীত অনেককিছু দেখেছি, শুনেছি। আজকে সবচেয়ে বড় কালচার শকের বিষয়টি নিয়ে লিখব। শিরোনাম দেখেই অনুমান করতে পারছেন তা কি হতে পারে? ভূমিকা শেষ, এবারে স্মৃতিকথন শুরু করে দেই।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৭) : কানাডায় আমার প্রথম হ্যালুইন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে vs এক আবেগী জাতির পাগলামি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৮) : পশ্চিমের গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড কালচার vs মফস্বলের প্রেম এবং চমকে যাওয়া আমি!
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৯) : কানাডিয়ান কৈশোর জীবনের কিছু উচ্ছৃঙ্খলতা এবং মফস্বলের বোকা মেয়েটি
কানাডার স্কুলে একদিন (পর্ব ২০) - জানি না আজকের পর্বের নাম কি হওয়া উচিৎ? অনেক ভেবেও কোন নাম খুঁজে পাইনি!

কানাডায় স্কুল যাওয়ার পথটুকু আমি খুব এনজয় করতাম। আমার বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পায়ে হাঁটার পথ ছিল। বাংলাদেশে গাড়িতে স্কুলে যেতাম। কিন্তু কানাডায় একা নিজে হেঁটে হেঁটে স্কুলে যেতে অন্যরকম স্বাধীনতা বোধ করতাম। পাহাড়ি এলাকা ছিল। স্কুলের চারিপাশ ঘেরাও করে সারি সারি উঁচু পাহাড় দাড়িয়ে! সেই পাহাড়গুলোর ওপরে ছাদ হয়ে ঝকঝকে স্বচ্ছ নীল আকাশ! স্কুলে যাবার পথে একটা ঢালু মতো জায়গা পরত। তার কিছু আগে কচিকলাপাতা রংঙের ঘাসময় ছোট্ট একটা মাঠ, এবং সেই মাঠে প্রকান্ড একটা গাছ! আমি লাফিয়ে গাছটার একটা বড় ডাল ধরে ঝাঁকাতাম নিজের মাথার ওপরে। কখনো শুভ্র চিকচকে বরফ কুচি, বা শীতল ও কোমল বৃষ্টির ফোঁটা আর কখনো শরৎ এর ঝড়ে পড়া হলুদ পাতা মাথার ওপরে পরত। আমার তো বন্ধু ছিলনা প্রথমদিকে তেমন, এরাই আমার বন্ধু ছিল। এদের সাথে এভাবেই মিশে যেতাম আমি। ঢালুর আশেপাশে সুন্দর ছোট ছোট হলুদ রং এর বুনো ফুল ফুটে থাকত। সেগুলো যেন পায়ে পিশে না যায় সেজন্যে ঢালুটা সাবধানে পা ফেলে ফুলগুলোকে এড়িয়ে আসতাম। তারপরে দুপাশে মাঠঘেরা পিচঢালা পথ পেরিয়ে আমার স্কুলের চৌকাঠ!

আজ গল্প বেশ প্রথমদিক থেকে শুরু করব। আমি তখন নতুন নতুন। খুব চুপচাপ ভয়ে ভয়ে থাকি। ভাষা সমস্যায় বন্ধু তেমন নেই, একা একা বসি। চমকে চমকে উঠি বিভিন্ন আজব কানাডিয়ান রীতিনীতি দেখে। তবে পড়াশোনার গ্রিপটা ধরতে শুরু করে দিয়েছিলাম। নতুন সেমিস্টারে আমার ইংলিশ ক্লাসে একটা ছেলে ছিল নাম থমাস। ছেলেটা স্কুলের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং কুখ্যাত ছাত্র ছিল। বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া সুদর্শন নবাবজাদা। ওকে একনামে সবাই চিনত। আমি অতোটা চিনতাম না। বেশ আত্মভোলা মানুষ আমি এমনিতেই, আর কানাডায় এডজাস্ট করার চাপে আশেপাশের অনেককিছুই চোখ এড়িয়ে যেত।
ওকে আমি প্রথম নোটিশ করি টিচারকে বলা ওর অমার্জিত কথাবার্তায়। একবার টিচার আমাদের সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছেন উইকেন্ডে কে কি করল তা নিয়ে। তিনি বলছেন, "বাড়ির অনেক কাজ ছিল। হাউস ক্লিনিং, ডিশিং, লন্ড্রি ইত্যাদি।" তখন থমাস খুব অহংকারী ভাবে বলে উঠল, "আমাদের তো মেইড আছে প্রতিটি কাজের জন্যে। এসব কাজ কেউ নিজে করে নাকি! গরিব হলে কত কষ্ট! উইকেন্ডে বাড়ির কাজ করতে হয়। হাহা।" আমি থ! টিচারকে কেউ এমন করে কি করে বলে! টিচার একটু বিব্রত হলেও ভীষন বিনম্র হওয়ায় পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন ভদ্রভাবে। আমি হতভম্ব ভাব কাটিয়ে সেই প্রথম মাথা ঘুরিয়ে পেছনের বেঞ্চে বসা থমাসকে খেয়াল করে দেখলাম। খুব লম্বা, চুল ছোট করে ছাটা, কাটা কাটা চেহারা। তবে আমার কাছে সুদর্শন মনে হয়নি শুধুমাত্র ওর চোখমুখের প্রবল অহংকারী ভাব দেখে। আমি অহংকারী মানুষদেরকে ছোটবেলা থেকেই তীব্রভাবে অপছন্দ করি। মানবজাতির হাজার দোষের এই দোষটি আমার সহ্যই হয়না! লাভ এট ফার্স্ট সাইট যেমন হয়, তেমন করে আমার হেইট এট ফার্স্ট সাইট হয়ে গেল। পরে খেয়াল করে দেখেছিলাম এছাড়াও আরো খারাপ দোষ আছে ছেলেটার। মেয়েদের পেছনে খুব লাগত। ফ্লার্ট করে কথা বলত সবার সাথে। কিছু কিছু মেয়ে ভীষন পছন্দ করত, আর কেউ কেউ বলত, "আই হেইট থমাস!" তবে ওভারঅল নারীকূলে ওর একটা গ্রহনযোগ্যতা ছিল। দে লাভ হিম অর হেইট হিম, দে সারটেইনলি ডিডন্ট ইগনোর হিম!

আমি সামনের বেঞ্চে চুপচাপ এককোনে বসতাম। আমার ভিন্ন বেশভুষা ও চুপচাপ থাকাটা ওর কাছে ইন্টারেসটিং লাগত বোধহয়। মাঝেমাঝেই আমার দিকে তাকাত, টিজ করার মতো কিছু বলতে গিয়েও বলত না। একদিন আমার দিকে দুষ্টু টাইপ হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিল হ্যান্ডশেক করার জন্যে। চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল আজ বিরক্ত করেই ছাড়বে। ডাইরেক্ট কোন কথা ওর সাথে তখনো হয়নি। সেদিনের ঘটনায় আমার ওকে পছন্দ হয়না প্রথম থেকেই, আমি ওর হাত কোনভাবেই ধরব না। কি করা যায়! আমি করলাম কি, নিজের হাতটা বাড়িয়ে ওর সাথে না মিলিয়ে, ওর হাতের পাশ দিয়ে কাটিয়ে নিজের কানের কাছ দিয়ে নিয়ে নিলাম। আমি কোনকিছু না ভেবেই এমন একটা দুষ্টুমি করে বসলাম। অন্যসব স্টুডেন্টরা ছোট বিষয়টাতে অসম্ভব এক্সাইটেড হয়ে গেল। বেশ কয়েকটা মেয়ে বাহবা দিয়ে বলে উঠল, "ইয়ে গো গার্ল!" ছেলেগুলো বলল, "ওহো থমাস, শি ক্রাশড ইউ ম্যান!" আর থমাস তো আমার মতো নতুন মানুষের এমন দুষ্টুমিতে অবাক হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে অস্বস্তিভরা হাসিতে অপ্রস্তুত ভাবটা কাটানোর চেষ্টা করতে থাকল। আমি এখনো অবাক হই ভেবে যে এমন কাজ কিভাবে করলাম। এমন দুষ্টুমি করার মতো মানুষ আমি না। আমার উদ্দেশ্য ওকে ছোট করা ছিলও না, আমি ব্যাস কোনভাবে মজার ছলে হাতটা না মেলানোর জন্যে এমন করেছিলাম। সবাই এটাকে এতবড় করে দেখছে সেটা বেশ বিব্রত করে দিল আমাকে। কেউ আমার সাথে কথা বলেনা, আমার দিকে তাকায়ও না, সেখানে থেকে হঠাৎ করে সেন্টার অফ এটেনশন হয়ে গেলাম সেই ক্লাসে অনিচ্ছাকৃতভাবে। আসলে থমাস এত পপুলার ছিল যে ওর সাথে যাই হবে তাই খবর! আর আমিও একটা খবর হয়ে গেলাম!
অন্যসবাই ভুলে গিয়েছিল ব্যাপারটা থমাসকে কয়দিন ক্ষেপিয়ে। কিন্তু থমাস ভুলত না। ছোট্ট একটা আকস্মিক মজাকে কেন্দ্র করে নতুন, চুপচাপ, মিইয়ে থাকা মেয়েটি একটা ব্যাড বয়ের ব্যাড লিস্টে পরে গেল! সে কারনে ছোট ছোট কিছু সমস্যায় পরতে হতো। তা পরে কোন পর্বে শেয়ার করব।

তবে এখন ওর কথা যেকারনে উঠল বলি। একদিন স্কুলের লবি দিয়ে হেঁটে ক্লাসে যাচ্ছি এমন সময় পাশে দুইটা ছেলের কথা কানে এল। একজন থমাস এবং আরেকজন থমাসের বন্ধু। সেও খুব দুষ্টু ছিল। তবে অহংকারী, অভদ্র না, ব্যাস নরমাল হাসিঠাট্টা করত সবার সাথে। বন্ধুটি থমাসকে বেশ স্বাভাবিক স্বরেই বলছে "ওহ ম্যান! আজ কনডম নিয়ে এসেছি, ক্লাসের পরে গার্লফ্রেন্ডের সাথে.." বলে ইশারা করে কেমনভাবে হাসতে শুরু করল। আর থমাসও ওর সাথে তাল মিলিয়ে হেসে গেল। আমার কানে কথাটা যেন বাড়ি খেল, ঘাড় ঘুরিয়ে ওদের দিকে তাকালাম। মুখ হা হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলাম। ওরা আমাকে নোটিশ করেনি, হাসতে হাসতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমার তো পা চলেনা আর। ঐ লবির একটু সামনে যেতেই একটা বেঞ্চ মতো ছিল বসার। ধপ করে বসে পরলাম। তারপরে কিছুক্ষন পরে হুশ ফিরল যে ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে। কোনমতে শরীরটাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলাম ক্লাসে। সেখানে গিয়ে পড়াশোনার খেয়ালে মনটা ডাইভার্ট হল। বেশ কিছুক্ষন এমন বড় একটা কান্ড আমি কিভাবে যেন ভুলে ছিলাম। কিন্তু বাড়িতে এসে টিপ খুলে আয়নায় আটকাতে আটকাতে আবার কথাটা কানে বেজে উঠল। আর আয়নায় একটা হতভম্ব চেহারা দেখতে পেলাম।
আমারই ক্লাসমেট আমারই বয়সে এসব করে বেড়ায়? হায় হায়! এখন কি এসব করার বয়স? আর কি নির্লজ্জের মতো বলছিল সবার সামনে, ছি! ছি! আমার কানাডায় স্কুলে থাকাকালীন সবচেয়ে বড় শকিং ঘটনার মধ্যে অন্যতম ছিল এটা। এসব নিয়ে একটা কিউরিসিটি মনের কোনে জমে গেল সেদিন। সেই ঘটনার পরেও অনেক সহপাঠিকেই সেক্স নিয়ে বেশ ওপেনলি গল্প করতে দেখেছি। টিচারের সামনে নয়, তবে নিজেদের মধ্যে। এ যেন কোন ব্যাপারই না! পার্ট এন্ড পার্সেল অফ টিনএজ লাইফ!

একদিন চ্যানেল শাফল করতে করতে একটা কানাডিয়ান শো চোখে পরল। তাতে বেশ কিছু পথে হাটা র‌্যানডম মানুষকে জিগ্যেস করা হচ্ছে কখন ভার্জিনিটি হারিয়েছ? অবাক হলাম, এসব টিভিতে বলবে সাধারন মানুষেরা? সেদিনের ঘটনার কারনেই বোধহয় আমি আগ্রহ নিয়ে দেখলাম কি হয়? বেশিরভাগই বলছে ১৩-১৭ র মধ্যেই এবং বেশ অকপটেই। অবশ্য অস্বস্তি বোধ করবেই বা কেন? এখানে বিয়ের আগে ভার্জিনিটি লুজ করা এবং সেটা সাবালক হওয়ার আগেই করা প্রেসটিজ ইস্যু। কেউ যদি অসফল হয় আর বন্ধুদের আড্ডায় মুখ ফসকে বলে ফেলে আমি ভার্জিন ব্যাস হাসাহাসি শুরু হয়ে যাবে। আমাদের দেশে বিয়ের আগে ভার্জিন হওয়াটা রেগুলেশন আর ওদের!

কিশোর কিশোরিদের মধ্যে এই প্রবনতা খুব খারাপ ফল বয়ে আনে বেশিরভাগ সময়েই। ভার্জিনিটি হারানোর জোশে অনেক মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় অতি কম বয়সেই। এত ছোট বয়সে অতি উত্তেজনায় প্রিকোশন ব্যবহার করতে ভুলে যায়। টিনএজ প্রেগন্যান্সি ওয়েস্টার্ন কিশোরিদের মধ্যে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। বয়ফ্রেন্ড সাধারনত ছেড়ে চলে যায় তারপরে। পড়াশোনা লাঠে ওঠে কর্মসংস্থানের জোগাড়ে। উন্নত বিশ্বের কত কিশোরি যে ঝড়ে পরছে এভাবে! পূর্বের কিছু পর্বে এরকম একজন জার্মান মেয়ের গল্প করেছিলাম আমি। তবে অনেক কিশোরি আছে যারা সিংগেল মাদার হয়ে পড়াশোনা কন্টিনিউ করে বা অন্যকোনভাবে অনেক সাকসেসফুল হয়েছে। তবে প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরে স্কুল ড্রপ আউট হয়ে কোনমতে ছোটখাট কাজ করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কিশোরিদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়! যে বয়সে নিজে বাচ্চা হওয়ার কথা সেই বয়সে বাচ্চার মা হয়ে যাওয়ার দায়িত্ব জীবনটাকে তছনছ করে দেওয়া জন্যে যথেষ্ট!

কানাডায় কাপলদের মধ্যে ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি ম্যাচ করা খুব জরুরি। ওরা বিয়ের আগে এসব এনকারেজ এজন্যে করে যাতে বিয়ের পরে ঝামেলা না হয়। আমাদের দেশে যেমন অনেকে প্রেম করে মন বুঝে নিতে চায় যাতে বিয়ের পরে এডজাস্ট করতে সুবিধা হয়! তেমনি ওরা শরীরকেও বোঝার চেষ্টা করে। গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডরা সাধারনত কয়েক ডেটেই বা প্রথম ডেটেই কেমিস্ট্রি ম্যাচ করলে শারীরিক সম্পর্ক করে। এখানে এটা কোন বড় ব্যাপার না। দুটো ছেলেমেয়ে একে অপরকে পছন্দ করে কি করবে না করবে তাতে সমাজ বাঁধা দেবেনা কোনভাবেই।
কিন্তু এখন আর এতে মজা লাগেনা অনেকের। কারও সাথে সিরিয়াস সম্পর্ক থাকলেই সেক্স না হলে না! সেটা কেন হবে? ওরা নাইট ক্লাবে/পার্টিতে যায়। ড্রিংক করতে করতে যার সাথে ভাল লাগল one night stand করে। প্রথমে ফ্রেইজটা শুনে মনে করেছিলাম সারারাত না ঘুমিয়ে দাড়িয়ে থাকা। যখন আসল মানে জানলাম দুটো জিনিস মনে হল ১) আমি কেন এত বোকা? ২) এ কোন দেশে এসে পরলাম? আসল মানে হল একরাত কাটিয়ে সকালে ভুলে যাওয়া! কোন সম্পর্ক বা ভালবাসা না শুধু জৈব তাড়না মেটানো দুজনের ইচ্ছায়! একটা সময় এসব শুধু হলিউড সেলিব্রেটিরাই করত। এখন সাধারনের মধ্যে পুরোদমে ছড়িয়ে গিয়েছে। এসবের কারনে STDs (sexually transmitted diseases) বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পরছে। অনেকের প্রানহানিও ঘটছে কোন মরনব্যাধিতে। শুধু এডাল্টরাই না, টিনএজরাও এসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের স্কুলে একটা কোর্স হত যা কিশোর কিশোরিদের বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক সমস্যা নিয়ে শিক্ষাপ্রদান করা করত। সেটা কম্পালসারি একটা কোর্স ছিল এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হত। সেই কোর্সে STDs টিনএজারদের কিভাবে সংক্রমন করছে সেই পরিসংখ্যান, এবং বিভিন্ন STDs কবলিত টিনএজারদের বেদনাদায়ক সত্যি গল্পগুলো পড়ে রীতিমত অবাক হয়েছিলাম। বাঁধনহারা জীবনধারনের কারনে অকালে এভাবে প্রান ঝড়ে যাওয়াটা সত্যিই খুব দূর্ভাগ্যজনক।

মি: এমের গল্প বলি। তিন অনেক জ্ঞানী, বিনয়ী, ও ভালোমানুষ ছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ওনার আন্ডারে E.S.L. ক্লাসে টি.এ. ছিলাম, এবং গল্পে গল্পে অনেককিছু শিখেছি আমি ওনার কাছ থেকে। একদম সিনিয়ার ইয়ারে তখন, কৈশোরকে বিদায় জানাচ্ছি সবে, এক ধরনের ম্যাচিউরিটি অনুভব করি নিজের মধ্যে। যাই হোক, উনি একদিন বলছিলেন, "মানুষজন আজকাল ভালোবাসা খোঁজার জন্যে কতকিছু করে! আমি আমার ওয়াইফকে ভার্সিটিতে মিট করেছিলাম। কোন প্ল্যান ছিলনা, হঠাৎ করেই এসে গিয়েছিল জীবনে।" আমি তখন তাল মিলিয়ে হড়বড় করে বললাম, হুম, মানুষজন কতকিছু করে ভালোবাসা খোঁজার জন্যে। নাইটক্লাবে যায়, পার্টিতে যায়, ডেটিং ওয়েবসাইটে কত একাউন্ট! আজ এর সাথে তো কাল ওর সাথে। আজ এর নামের ট্যাটু তো সেই ট্যাটু অপারেশন করে রিমুভ করে কয়দিনেই অন্যকারো নাম! উফফ! কি করে না করে! উনি আমার নাম নিয়ে বললেন, "ইয়াহ, ড্রেডফুল, ড্রেডফুল! পিপল ডোন্ট আনডাস্ট্যান্ড ইউ ক্যান নট গো টুওয়ার্ডস লাভ! বাট লাভ কামস টুওয়ার্ডস ইউ। ট্রু লাভ কামস হোয়েন ইট সুড এজ ইট মাস্ট! অগনিত মানুষের সাথে মিশে ভালোবাসাকে জোর করে আনা যায়না। সেই একটা মানুষ যখন আসার এসেই যায়! খুঁজলেও আসে, না খুঁজলেও আসে!" ইশ! কি সুন্দর করে বলতেন! কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে!

এবারে এমন সময়ে আসি যখন আমি স্কুলে ওয়েল এডজাস্টেড। নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছি অনেক স্ট্র্যাগল করে। সবাই আমাকে চেনে স্কুলে। টিচারেরা অনেক পছন্দ করতেন, সহপাঠিদের প্রায় সবার সাথে ভালো সম্পর্ক। বন্ধু তখনও কম ছিল। তবে যারা ছিল তারা অনেক ভালো ছিল। তেমনই এক ভীষন ভালো বন্ধু ছিল ব্রাজিলের মেয়ে জে। আমার প্রানের বান্ধবী বলি ওকে আমি। ওর আর আমার দুজনের সবচেয়ে বড় মিল ছিল নিজেদের কালচার এবং দেশের প্রতি একটা টান। আমার এখনো মনে আছে যখন ব্রাজিলের ফুটবল খেলা এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা হতো দুজনেই সমান এক্সাইটেড হতাম। একে অপরের দেশকে সাপোর্ট করতাম প্রান দিয়ে। একে অপরের আবেগকে খুব করে ধরতে পারতাম। ওকে আমি মনখুলে বলতে পারতাম যে আমার দেশের কথা মনে পরে। বাংলাদেশের কত গল্প করতাম ওকে, আর ওর কাছে ব্রাজিলের হাজারটা গল্প শুনতাম। দুজনেরই স্বদেশবিহনে ভারী হয়ে যাওয়া মনটা একে অপরের সাথে মিশে হালকা হয়ে যেত।

ইংলিশ ক্লাসের কথা বলি। আমরা দুজন সেই ক্লাসে পাশাপাশি বসি। একবার একটা এসাইনমেন্ট পেলাম যে প্রেসেন্টেশন করতে হবে আফগানিস্তানের ওপরে। কেননা আমরা একটা উপন্যাস পড়ছিলাম আফগানিস্তানের সেটিং নির্ভর। উপন্যাসটির নাম ছিল দ্যা কাইট রানার। মুগ্ধ হয়ে পড়েছিলাম একটানে, মনেই হয়নি যে পড়াশোনার জন্যে কষ্ট করে কিছু পড়ছি।

তো সেই প্রজেক্টে আমার পার্টনার হলো জে। আমরা অনেক খেটে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন করেছিলাম আফগানিস্তানি খাবার, পোশাক, নাচ, গান, বিয়ে সবকিছু নিয়ে এজ পার রিকোয়েআর্মেন্ট। আফগানিস্তানের ট্রাডিশনাল পোশাক আমাদের সালোয়ার কামিজের মতোই, একটু ডিফারেন্ট কাট। সেই ছবি স্লাইডে প্রেসেন্ট করেছিলাম, আর এও বলেছিলাম আমার পরে থাকা পোশাকটার সাথে মিল আছে। তবে আমি আফগানিস্তানি না। সবাই হেসে ফেলল। প্রেসেন্টেশনে কিছু রিয়াল লাইফ গল্প, হিউমার থাকলে মার্ক অনেক বেড়ে যায়।

আফগানিস্তানি গানের ভিডিও দেখালাম কিছুক্ষন ওদের গান সম্পর্কে ধারনা দেবার জন্যে। তখন দুষ্টু ছেলেরা নাচানাচি শুরু করে দিল গানের তালে। আমাদের দুজনের নামকে সেই সুরে ফেলে গানও গেয়ে উঠল। টিচার থামানোর চেষ্টা করলেন, তবে নিজে হেসে ফেলেছিলেন বলে কোন কাজে লাগছিল না। আমি আর জেও একে অপরের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে মুচকি হেসে যাচ্ছি। জানতাম এসব ফেইস করতে হবে আগে থেকেই। যাই হোক, প্রেসেন্টশনের মাঝে এমন সব দুষ্টুমি সত্ত্বেও বেশ ভালো করে শেষ করলাম দুজনে মিলে। শেষ হওয়ার পরে অন্য সহপাঠীরা প্রশ্ন করবে টপিকটি নিয়ে। একটা ছেলে প্রশ্ন করল, "আফগানিস্তানি কালচারে কি অনেকগুলো বিয়ে করা যায়?" বলে খিকখিক হাসি, ইশারাবাজি ক্লাসের সব ছেলের। সাথে সাথে আরেকজন জিজ্ঞেস করে উঠল, "কয়টা বিয়ে করা যায়? এক বাড়িতে থাকে সবাই?" পলিগামি কোন দেশে এলাউড সেটা ওদের কাছে দারুন ফ্যান্টাসি। আর আমাদের দুটো মেয়েকে জিজ্ঞেস করে বিব্রত করা তো বোনাস মজা। আমার বান্ধবী জে বেশ খোলামেলা, কিন্তু এক ক্লাস মানুষের সামনে দাড়িয়ে ও নিজেই দেখি দুষ্টুমিষ্টি লজ্জা পাচ্ছে। তবে আমরা আগেই জানতাম এমন প্রশ্ন আসবে, ওরা ওৎ পেতে আছে। আমি প্রিপেয়ার ছিলাম, বিয়ে নিয়ে সবচেয়ে রিসার্চ করে গিয়েছিলাম। ওরা যে এটা নিয়েই যাবতীয় প্রশ্ন করবে জানতাম। আমি সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেলাম। ওদের হাসি আর জের লজ্জা পেরিয়ে। প্রশ্নের জবাব আমি দেব সেটা আগে থেকেই ঠিক ছিল কেননা জের ইংলিশ তখনো অতোটা ভালো ছিলনা। আমি কথা বলতে বলতে বুঝে যেতাম তবে অন্যরা একটু কষ্টে বুঝত।
প্রেসেন্টেশন শেষে টিচার খুব খুশি। ক্লাসের সবাইকে হাত উঁচু করে দেখিয়ে বললেন, "ওরা বারটাকে অনেক হাই করে দিয়েছে, তোমরা প্রেসেন্টেশন করার সময় সেটা মনে রেখো।" আমরা দুজনে সব শেষ করে ডেস্কে বসে একে অপরের দিকে তাকিয়ে একসাথে বলে উঠলাম, "উফফ বয়েজজজ!" তারপরে হেসে উঠলাম খিলখিল করে দুজনেই।

জে কে আমি ভীষন ভালোবাসতাম এবং এখনো বাসি, আর ও নিজেও আমাকে খুব মায়া করত। ওর সাথে বন্ধুত্ব গাড়ো হতে হতে একপর্যায়ে সব ব্যক্তিগত ব্যাপার একে অপরের সাথে শেয়ার করতাম। ও আমাকে কখন ভার্জিনিটি লুজ করেছিল তা বলছিল একদিন। এখানে মজার বিষয় হচ্ছে, আমি ওর অনেক কাছের বান্ধবী হওয়ার পরেও অনেক হেসিটেশন নিয়ে বলছিল। কারন ও জানত আমি বেশ রক্ষনশীল মন মানসিকতার মেয়ে। ওর একটা দোটানা যেন। বান্ধবীকে সব বলতে চায়, আবার বান্ধবী এই জিনিসটাকে ভালোভাবে নেবে না তাও জানে। তবুও বলেছিল। আমি অবাক হইনি। ততদিনে আমার এসবে অবাক লাগেনা, আর ব্রাজিলিয়ান কালচার কানাডার চেয়ে আরেক কাঠি সরেস তাতো জানতামই। তখন ওর বয়স ছিল ১৩, সেটা জেনেও অবাক হইনি। আমার কাছে এসব ডালভাত হয়ে গিয়েছে ততদিনে। তবে অবাক হবার মতো বিষয় এরপরে আসল। ও নাকি Friends with Benefit এ ভার্জিনিটি লুজ করেছিল। মানে কোন রোমান্টিক সম্পর্ক ছাড়াই নিজের কোন বন্ধুর সাথে শারিরীক সম্পর্ক করা এবং পরেরদিন ভুলে যাওয়া। আবারো বন্ধুর মতো থাকা।

আমি এই ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট জিনিসটা জে বলার আগে তেমনভাবে জানতাম না। জানার পরে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছিলাম। তবে জিনিসটাকে আমার মূল্যবোধনুযায়ী যতোটা ঘৃনা করার কথা ততটা হনেস্টলি করতে পারিনি। কেননা আমার প্রানের বান্ধবী এই কাজটি করেছিল। আমি কিকরে ভাবি যারা এসব করে তারা খুব খারাপ? জে নিজেও এসব ফেইস করত আমার কারনে। পারিবারিক বিয়েটা ও মেনে নিতে পারতনা, কেননা ভাবত বিয়ে ভালোবাসার কারনে হবে। না জেনে বিয়ে করার মানে কি? আবার আমার কালচারে কমন বলে তেমন কিছু বলতেও পারতনা। আমরা দুজন ভীষন অমিলের কালচার থেকে এসে একই পরিস্থিতিতে পরেছিলাম। স্ট্রাগলগুলো একই প্রকারের ছিল দুজনের। কি অদ্ভুত সব বিব্রতকর পরিস্থিতি! যাকে আমি ভীষন ভালো বান্ধবী ভাবি, মনেপ্রানে পছন্দ করি তার চরিত্র এমন যা আমার কালচারে ভালো মেয়ের ক্যাটাগরিতে কোনভাবেই পরবেনা! কিন্তু আমার ওকে খারাপ মনে হয়না, সব পার্থক্য একপাশে সরিয়ে খুব ভালো একটা মেয়ে মনে হয়! আবার সেটা মনে হওয়াতে নিজের যেন কোথায় একটা অপরাধবোধ! ধুর! এত জটিলতা কেন সবকিছুতে?

রক্ষনশীল সমাজের স্তব্ধ আমি: কানাডার স্কুলে অনেক সময় কাটালাম। এখন টাইম মেশিনে চড়ে আমার সেই সরল ছোট্ট মায়াঘেরা মফস্বলে ঘুরে আসি কিছুসময়ের জন্যে। আমি তখন দুই বেনী করা স্কুলের ইউনিফর্ম পরা সদ্য কিশোরি! কিশোরি যে হয়েছি, আর বাচ্চা নেই, সে বোধও হতে শুরু করেনি ভালোমতো। একটা কোচিং সেন্টারে পড়তে যেতাম। সেই কোচিং এ কলেজ পড়ুয়া ভাইয়াদেরও ক্লাস হত। সেই বড় ভাইদের ভাইই মনে করতাম। অন্যকিছু মাথায় কখনোই আসত না। এজন্যে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতাম। একদিন কোচিং এর সামনে দাড়িয়ে আছি, মা নিতে আসবে, আমি অপেক্ষা করছি। অপেক্ষা করতে করতে বোরড হয়ে একদম সামনে রাস্তার ওপাশের দোকানে ঘুরে ঘুরে হাবিজাবি জিনিস দেখতে লাগলাম। এমন সময়ে কোচিং এর এক বড় ভাইয়া এসে কেমন আছি জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম ভালো, এভাবে কথায় কথা বাড়ল। পড়াশোনা কেমন যাচ্ছে? এসব কথা। এমন সময়ে মা পৌঁছে গেল, আমি ভাইয়াকে বাই বলে মায়ের সাথে চলে এলাম।

মা পুরোটা পথ বেশ গম্ভীর ছিলেন। যেন বজ্রপাত হবার আগে মেঘকালো আকাশ! আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করেছি! কিছু একটা গড়বড় করেছি তা নিশ্চিত, ভাবতে লাগলাম কি হতে পারে? মনে মনে তন্নতন্ন করে ঘাটতে লাগলাম গত কদিনে কি ভুল করেছি? হায়রে পেয়েছি! আমি যে মায়ের প্রিয় ডেকোরেশন পিসটা ভেংঙে ফেলেছিলাম, মা কি টের পেয়েছে? এত সুন্দর করে জোড়া লাগালাম, কি করে টের পেল? ইশ! আমিতো শেষ! সারা রাস্তা ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছি মায়ের দিকে। মা বেশি অপেক্ষায় রাখলেন না, বাড়িতে আসার প্রায় সাথে সাথেই বললেন, "শোন মা, এভাবে কোচিং এর বাইরে দাড়িয়ে কোন ছেলের সাথে কথা বলবে না। এসব খারাপ দেখায়!" আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম মায়ের কথায়। আমি বললাম কিন্তু মা কোচিং এর ভাইয়ার সাথেই তো কথা বলেছি, অপরিচিত না। বিশ্বাস করো শুধু পড়াশোনার খবরাখবর নিলেন। অন্যকিছু না। আমি "বিশ্বাস করো" কথাটা কি ভীষন আকুল, অসহায় কন্ঠে বলেছিলাম সেদিন! একটা ছেলের সাথে কথা বলার জবাবদিহিতা, শুধু কথা বলার জবাবদিহিতা করতে হয়েছিল আমাকে। আমার মা বলেছিলেন, "আমি তো বলিনি খারাপ কিছু বলেছ, ব্যাস মফস্বলে অনেকের চোখে অনেককিছু ভালো না। বড় হচ্ছ এসব বোঝা শেখ। ক্লাসের মধ্যে পড়াশোনার বিষয়ে কথা বললে ঠিক আছে। কোচিং এর বাইরে কেন? কার মুখে কি কথা রটে কে জানে!" আমি মাথা নেড়ে মেনে নিয়েছিলাম। এর বছরখানেক আগে যখন আমাকে বলা হয়েছিল এখন আর ছেলেদের সাথে খেলাধূলা করে বেড়ানো যাবেনা, তখনও মাথা নিচু করে মেনে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সমাজ এমনই। এই আমাদের রীতি এবং নীতি!

ওয়েস্টার্ন কালচার আমাদের মতো ভাবেনা সেটা প্রযুক্তির কল্যানে কিছুটা হলেও জানতাম। তবে যখন হলিউড ড্রামা/মুভিতে হওয়া জিনিসগুলো চোখের সামনে লাইভ হতে থাকে, আর চরিত্রগুলো আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সহপাঠি, শিক্ষক, বাড়িওয়ালা হতে থাকে, জীবন কেমন যেন হয়ে যায়! খুব একটা ধাক্কা লাগে। এরা আমার আপনজন, আমার প্রিয়জন। কিন্তু এদের ভাবনা চিন্তাকে আমি সারাজীবন পাপ, মহাপাপ মনে করে এসেছি। ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড, ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট, টিন প্রেগনেন্সি এগুলো কঠিন সব শব্দ আমার কাছে। কে ভুল কে ঠিক সেটা ব্যাপার না। কোন কালচার বেটার সে তর্কে আমি নেই। আমি ব্যাস নিজের মনের দোটানা বোঝানোর চেষ্টা করছি। যেই আমাকে ছেলেদের সাথে কথা বলার সময়েও চক্ষুলজ্জার ভয় করতে শেখানো হয়েছিল, সেই আমাকে এমন খোলামেলা পশ্চিমি কালচার কেমন বোধ করাত তাতো সহজেই অনুমেয়। আমি যেই টার্মসগুলোর মানেও বাংলাদেশে থাকতে জানতাম না, সেগুলো ওখানে গিয়ে নিজের বন্ধুদের করতে দেখতাম। নিজেকে খুব একা মনে হত আমার! কানাডায় যেই জিনিসটা আমার সবচেয়ে বেশিবার মনে হয়েছে/হয় সেটা হলো, "আই ডোন্ট বিলং হেয়ার! আই জাস্ট ডোন্ট!" আমি যে ওদের বুঝিনা, আর ওরা আমাকে! কখনো আমি ওদের বা ওরা আমার কালচারকে অসম্মান করেনি। তবে আমার শুধু মনে হত আমার মতো মানুষ যদি পেতাম! বেশি না শুধু একটু মিলের ভাবনা, চেতনা, মূল্যবোধ! যার সাথে কথা বলে ধাক্কা খেতে হয়না। কিন্তু কানাডার ছোট্ট মফস্বলের সেই স্কুলটিতে বাংলাদেশী কোথায় পেতাম?

উফফ! এসব লিখতেও আমি প্রবল শুন্যতা অনুভব করছি। লজিক্যাল মানুষেরা বুঝবেন না আমার শুন্যতার কারন। কেননা লজিকে ভাবলে আমার কোন সমস্যা হচ্ছেনা। বুঝুক না বুঝুক ওরা আমার কালচারকে সম্মান দিয়ে কথা বলে। আর আমাকেও ওদের কালচার ফলো করতে হচ্ছেনা। কিন্তু আবেগের দৃষ্টিকোন থেকে অনেকগুলো বছর কেটে গেল নিজেকে শুন্যতায় ঘেরা খুব স্বচ্ছ, খোলা চোখে দেখা যায় না এমন কাঁচের দেয়াল বন্দি ঘরে দেখে। সেই ঘরে অক্সিজেন শুধু ততটুকুই যতটুকু বাঁচার জন্যে দরকার, এর বেশি না কমও না! কাঁচবন্দি সেই ঘরটার মধ্যে থেকে সবাই আমাকে দেখতে পাচ্ছে, আমি সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কেউ কাছে এসে স্পর্শ করতে পারছেনা আমাকে। আমার ঠোঁট নড়ছে, অন্যদেরও। কতশত কথা বলে যাচ্ছে সবাই, কিন্তু দুপক্ষের কাছে কাঁচ ভেদ করে শব্দগুলো পৌঁছাচ্ছে না। আমি অসহায়ের মতো সবাইকে পাশে নিয়েই একা। আর কতবছর এভাবে কাটবে কে জানে....

বিশেষ কথা: এ পর্বটি লেখার সময় আমি বেশ অস্বস্তি বোধ করেছি। কারনটা খুব মজার। আমি যখন কিশোরিবেলার গল্প লিখি, লিখতে লিখতে নিজেও আসলেই কিশোরি বনে যাই। সেই মেয়েটি হয়ে যাই যে খুব চমকে যেত এসব ভিন্ন রীতিনীতি দেখে। সেই বয়সের হয়ে যাই যার এসব কথা বলতে, লিখতে অস্বস্তি বোধ হয়! আমাকে লেখাটা শেষ করতে বেগ পেতে হয়েছে আসলেই। তবে সব হেজিটেশন একপাশে সরিয়ে লিখে পোষ্ট করেই ফেললাম। সেইসব পাঠকদের জন্যে যারা প্রতি পর্বে আসেন অনুপ্রেরনা/সমালোচনার ঝুড়ি হাতে নিয়ে। তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৪৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

প্রামানিক বলেছেন: প্রথম হ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কমেন্টের পুরোটা আসেনি, পরেরটায় যাই। :)

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

প্রামানিক বলেছেন: প্রথম হলাম। এখনও পড়া হয় নি। পড়ে আবার মন্তব্য করবো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমমম প্রথম হবার জন্যে যদি কোন পুরষ্কার থাকত তবে আপনি অবশ্যই পেতেন। পুরষ্কার নেই তো আপনার এত কষ্ট করে প্রথম হওয়াটা ব্যর্থ হয়ে গেল প্রামানিক ভাই। হাহা।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখানে বিয়ের আগে ভার্জিনিটি লুজ করা এবং সেটা সাবালক হওয়ার আগেই করা প্রেসটিজ ইস্যু। কেউ যদি অসফল হয় আর বন্ধুদের আড্ডায় মুখ ফসকে বলে ফেলে আমি ভার্জিন ব্যাস হাসাহাসি শুরু হয়ে যাবে।...........সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়, আমাদের দেশে এমনটা হলেও ইহা লুকানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়, অথচ,,,,,,,,,,,,,

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম ভিন্ন দেশের ভিন্ন রীতি এবং নীতি!

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন সর্বদা পরিবার পরিজন নিয়ে।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রামানিক ভাই পোষ্ট না পড়েই প্রথম হওয়ার চেষ্টা করছেন, এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কাজটি যখন উনি করেই ফেলেছেন, এখন মেনে নিতেই হবে। আর কিছু তো করার নেই। হাহা।

উনি ৯ নম্বর মন্তব্যে আপনাকে জবাব দিয়েছেন, দেখেছেন নিশ্চই! আপনারা দুজনেই অনেক মজার মানুষ।
ভালো থাকুন সর্বদা!

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

মিশু ইমতিয়াজ বলেছেন: ভালো লাগলো

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগাতে পেরে আনন্দিত।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা রাশি রাশি।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগে মন্তব্য লেখা ও পোস্ট করায় খুব সমস্যা হচ্ছে। তবু লিখছি।

থমাসের ব্যাপারটা এবং পুরো কানাডিয়ান কালচার প্রথম প্রথম তোমাকে হতভম্ব করেছে সেটা বুঝতে পারছি। সম্পূর্ণ ভিন্ন কালচার থেকে ওরকম কালচারে গিয়ে পড়লে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে তুমি দেশে থাকো না বলে এ দেশের কালচারে পরিবর্তনের দিকটা হয়তো অনুভব করতে পারছো না। বাংলাদেশেও পশ্চিমা কালচারের প্রভাব পড়েছে এবং বেশ ভালোভাবেই পড়েছে। তুমি হয়তো শুনেছ, এ পর্যন্তই। কিন্তু শোনা ও দেখার মধ্যে পার্থক্য আছে।
যাই হোক, "ইয়াহ, ড্রেডফুল, ড্রেডফুল! পিপল ডোন্ট আনডাস্ট্যান্ড ইউ ক্যান নট গো টুওয়ার্ডস লাভ! বাট লাভ কামস টুওয়ার্ডস ইউ। ট্রু লাভ কামস হোয়েন ইট সুড এজ ইট মাস্ট! অগনিত মানুষের সাথে মিশে ভালোবাসাকে জোর করে আনা যায়না। সেই একটা মানুষ যখন আসার এসেই যায়! খুঁজলেও আসে, না খুঁজলেও আসে!" ইশ! কি সুন্দর করে বলতেন! কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে! এই কথাগুলো চমৎকার লাগলো।

ধন্যবাদ ম্যাডাম।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন বলে প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ জানাই।

তবে তুমি দেশে থাকো না বলে এ দেশের কালচারে পরিবর্তনের দিকটা হয়তো অনুভব করতে পারছো না। বাংলাদেশেও পশ্চিমা কালচারের প্রভাব পড়েছে এবং বেশ ভালোভাবেই পড়েছে। তুমি হয়তো শুনেছ, এ পর্যন্তই। কিন্তু শোনা ও দেখার মধ্যে পার্থক্য আছে।
জ্বি আমি সব খবরই রাখি দেশের। কি হচ্ছে না হচ্ছে দেশে থাকা যেকোন মানুষের মতোই জানি। তবে আপনার কথা ঠিক শোনা ও দেখার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও কানাডার ক্ষেত্রেও তাই, শোনা এবং দেখার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যারা বাংলাদেশে থেকে পশ্চিমি কালচার মুভি দেখে বা উপন্যাস পড়ে জানে, তারাও অনেককিছু মিস করে যায়। সেটা দেশের মানুষের সাথে এসব কালচারাল বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে বুঝি। সেভাবেই আমিও হয়ত বাংলাদেশের অনেককিছু মিস করে যাচ্ছি আপনারই কথামতো।

তবে আমার লেখা বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে ছিলওনা। ব্যাস আমার দেশে থাকার সময়কার কৈশোরকালীন আবেগ, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছি।

আসলেই হেনাভাই, মি: এমের এত সুন্দর, বিশ্লেষনী কথাগুলো শোনা আমার জন্যে পরম সৌভাগ্যের ছিল।

আপনার মতো এত ভালো লেখকের মন্তব্য কি ভীষন অনুপ্রেরনা দেয় তা বলে বোঝাতে পারবনা হেনাভাই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সুস্থ্য থাকুন, সুখী থাকুন সর্বদা!

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যাকে আমি ভীষন ভালো বান্ধবী ভাবি, মনেপ্রানে পছন্দ করি তার চরিত্র এমন যা আমার কালচারে ভালো মেয়ের ক্যাটাগরিতে কোনভাবেই পরবেনা! কিন্তু আমার ওকে খারাপ মনে হয়না, সব পার্থক্য একপাশে সরিয়ে খুব ভালো একটা মেয়ে মনে হয়! আবার সেটা মনে হওয়াতে নিজের যেন কোথায় একটা অপরাধবোধ! ধুর! এত জটিলতা কেন সবকিছুতে?........একেই বলে বন্ধু,

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম আসলেই একেই বলে বন্ধু। ওর নিজেরও নিশ্চই আমাকে নিয়ে এমনই মনে হত!

আবার মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা!

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই সিরিজের শুরুর দিকের কয়েকটা পর্ব মনে হয় পড়েছিলাম, মন্তব্যও করেছিলাম। অনেকদিন পর এই লেখাটি সামনে পেয়ে পড়ে ফেললাম। অসাধারণ হয়েছে এ পর্বের লেখাটা, বিশেষ করে লেখার শেষাংশে এসে সত্যিই অভিভূত হয়ে গেলামঃ
অনেকগুলো বছর কেটে গেল নিজেকে শুন্যতায় ঘেরা খুব স্বচ্ছ, খোলা চোখে দেখা যায় না এমন কাঁচের দেয়াল বন্দি ঘরে দেখে। সেই ঘরে অক্সিজেন শুধু ততটুকুই যতটুকু বাঁচার জন্যে দরকার, এর বেশি না কমও না! কাঁচবন্দি সেই ঘরটার মধ্যে থেকে সবাই আমাকে দেখতে পাচ্ছে, আমি সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কেউ কাছে এসে স্পর্শ করতে পারছেনা আমাকে। আমার ঠোঁট নড়ছে, অন্যদেরও। কতশত কথা বলে যাচ্ছে সবাই, কিন্তু দুপক্ষের কাছে কাঁচ ভেদ করে শব্দগুলো পৌঁছাচ্ছে না। আমি অসহায়ের মতো সবাইকে পাশে নিয়েই একা। আর কতবছর এভাবে কাটবে কে জানে.... -- মনে হচ্ছে কথাগুলো একটা সুগভীর আবেগের সার্থক প্রকাশ। ভালো লেগেছে- + +
বাকী কথাগুলোর সাথে মোটামুটি পরিচিত ও অবগত ছিলাম, শুধু ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট কথাটি ছাড়া। আপনার লেখাটি পড়ে Justin Timberlake এবং Mila Kunis অভিনীত Friends with Benefits ছবিটার রিভিউ পড়ে এলাম। মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের একটা সুন্দর গল্প।
আপনার লেখার হাত খুব ভাল, উপস্থাপনাও পরিশীলিত। লেখা চালিয়ে যান নিয়মিতভাবে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আমার মনে আছে। প্রথমদিকে আপনার অনেক সুন্দর কিছু মন্তব্য পেয়েছিলাম। আবারো স্বাগতম এ সিরিজে।

ধন্যবাদ আপনাকে। যে লাইনগুলো আপনার ভালো লেগেছে সেগুলো আমার মনের অনেক ভেতর থেকে এসেছে। আপনাকে সেগুলো ছুঁয়ে গিয়েছে দেখে আপ্লুত হলাম।

আর নিয়মিত! পড়াশোনা সহ অনেক ব্যস্ততায় হয়ে লেখার সুযোগ পাইনা। বড় কোন ছুটি পরলে তখনই একটু ব্লগিং করতে পারি। আমি হচ্ছি সিজনাল ব্লগার, লেখালেখি আর নিয়মিত হয় কি করে? হাহা।

আপনার সুন্দর অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা।
পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ভালো থাকুন।

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

প্রামানিক বলেছেন: প্রামানিক ভাই পোষ্ট না পড়েই প্রথম হওয়ার চেষ্টা করছেন, এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ, আমি না পড়ে মন্তব্য শুরু না করলে আপনি তো এই কথাটা লেখার সুযোগই পেতেন না। কাজেই আমি রাইট।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! মজার জবাব দিয়েছেন তো!
সবসময় এভাবেই হাসি মজায় সবাইকে মাতিয়ে রাখবেন, সে কামনাই করি প্রামানিক ভাই।

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: আমি ব্লগের একজন নগণ্য পাঠক এবং আপনার লেখা সবগুলো পর্ব আমি পড়েছি। এখানে এমন কিছু ব্যাপার আছে, যেগুলো পড়লে মনে হয় অবিবাহিত'রা সেখানে যাওয়ার আকুপাকু করতে পারে!!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়ে কৃতজ্ঞ করেছেন। আপনার মতো পাঠকদের অনুপ্রেরনাতেই তো লিখে চলেছি।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।

১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০০

জে আর সিকদার বলেছেন: সবগুলো পর্বই চমৎকার ! তবে এটাই বেস্ট ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাই নাকি? অনেক পাঠকই পরের পর্বগুলো বেশি পছন্দ করার কথা বলেছেন আপনার মতো। তবে আমার প্রথমদিকের সরল পর্বগুলোই বেশি কাছের মনে হয়।

যাই হোক, পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক শুভকামনা।
ভালো থাকুন সর্বদা।

১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০৪

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: কিন্তু আমার ওকে খারাপ মনে হয়না, সব পার্থক্য একপাশে সরিয়ে খুব ভালো একটা মেয়ে মনে হয়! আবার সেটা মনে হওয়াতে নিজের যেন কোথায় একটা অপরাধবোধ! ধুর! এত জটিলতা কেন সবকিছুতে?
অাজকের লেখায় অামার সবচেয়ে প্রিয় কথাগুলো এগুলো-ই......যথেষ্ট দিলখোলা টাইপের হয়েছে......চলতে-ফিরতে প্রিয় কিংবা ভালোলাগার মানুষগুলোর বেলায় এই অনাবশ্যক পরিস্থিতি মাঝেমাঝেই ফেইস করতে হয়......খুব প্রিয় বন্ধুটার এমন কিছু স্বভাব বা লুকানো অতীত থাকে যেটা অামার কাছে অযাচিত মনে হয়- অথচ বন্ধুটার কাছে সেটা অগ্রাহ্য করার মতন......মাটির নীচে যত্নে বেড়ে ওঠা বাদামকে যেমন ধুলা ছাড়িয়ে সচেতনভাবেই ভেঙে খেতে হয়- কাছের মানুষগুলোও সেই রকম কখনো কখনো নতুন পরিচয়ের সামনে ফেলে দেয় অামাদের ;)

এতদিন পড়ে মজা লাগলেও অাজকে কেন জানি অাপনার জায়গায় নিজেকে কল্পনায় দাঁড় করাতে পেরেছি......লজিক ছেড়ে অনুভূতির মারপ্যাঁচটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও অাঁচ করতে পেরেছি.......পরবাসে যদি দেশের মাটি-মানুষ-ভাষাকে মিস না-ও করেন, তবুও ভিনদেশী অার অাপনার মাঝে বেড়ে ওঠা ঈষৎ স্বচ্ছ কাঁচটা কিন্তু থেকেই যাবে....মনের কথা হয়তো সবটাই খুলে বলতে পারবেন ছুঁড়ে দেয়া শব্দের খেলায়, কিন্তু সে কথা হয়তো তার মনকে ঠিক অাপনার মতো করে ছুঁতে পারবে না......ওটাই বোধহয় কালচারাল গ্যাপ!!

আমাদের দেশে বিয়ের আগে ভার্জিন হওয়াটা রেগুলেশন আর ওদের!
সত্যি কথা হল- ভার্জিনিটি অাসলে ইটসেল্ফ লুলীয় জিনিস :P .......কোন দেশে এটা থাকলেই বিপদ অাবার কোথাও না থাকলেই!!! অামাদের দেশেও একটা কথা চালু অাছে- লাভ ম্যারেজ করলে নিজের গার্লফ্রেন্ডকে অার অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করলে পরের গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করা লাগে =p~ ...জীবন পুরাই রসময়!!

বিটিডাব্লিউ- ফ্রেইজ দু'টো বেশ পুরনো হলেও কিন্তু দেখেন, যুগে যুগে অারও পাকাপোক্ত হয়ে গেছে.....মনে হয় সমাজ সুশৃঙ্খল রাখতে এইটার কিঞ্চিৎ অাবশ্যকতাও অাছে :D

পোষ্টে ধইন্যা থাকল :)
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
অার কয়েকদিন দেরি করলেই অাপনার অাইডিটা গোয়েন্দার হাতে দিয়ে দিতাম- বলতাম নিখোঁজ হয়ে গেছে!! বিনা নোটিশে এদ্দিন গায়েব ক্যামনে থাকলেন? X(( .......জাস্টিন ট্রুডো দৌড়ের উপর থাকত অাপনাকে নিয়া অারেকটু হইলেই.....ওহ, ভালো কথা- দুষ্টু লোকেরা বলে ট্রুডোকে দেখেই দুনিয়ার তাবৎ "লেডি হেড অব স্টেট"-রা বেসামাল হয়ে পড়ে.....ঘটনা সত্যি? :P

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ মাস্টারসাহেব! কেমন আছেন?

একি! আমার বানান ভুল বেত হাতে করে ধরিয়ে দিলেন না যে!

মাটির নীচে যত্নে বেড়ে ওঠা বাদামকে যেমন ধুলা ছাড়িয়ে সচেতনভাবেই ভেঙে খেতে হয়- কাছের মানুষগুলোও সেই রকম কখনো কখনো নতুন পরিচয়ের সামনে ফেলে দেয় অামাদের
আমার জ্ঞানি মাস্টারসাহেবের জ্ঞানী সব কথা! :)

এতদিন পড়ে মজা লাগলেও অাজকে কেন জানি অাপনার জায়গায় নিজেকে কল্পনায় দাঁড় করাতে পেরেছি......লজিক ছেড়ে অনুভূতির মারপ্যাঁচটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও অাঁচ করতে পেরেছি.......
যাক ২১ টি পর্ব লেখার পরে আমার একজন অন্যতম প্রিয় পাঠককে নিজের আবেগ অনুভূতির জায়গায় দাড় করাতে পেরেছি। এ কম প্রাপ্তি নয় আমার। হাহা।
জ্বি আপনি পরিস্থিতি একদম ঠিক বিশ্লেষন করেছে। নাথিং টু এড।

লাভ ম্যারেজের সেই নিজের গার্লফ্রেন্ডও তো পূর্বে অন্যকারো গার্লফ্রেন্ড হতে পারে, কি বলেন মাস্টার সাহেব? হাহা।

আরেহ আমিতো বলিই যে আমি সিজনাল ব্লগার। আমার লেখালেখি নিয়মিত হবে কি করে বলুনতো? ছুটি যখন ছিল জমিয়ে লিখেছি। এখন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। একটু একটু করে সময় পেলে লিখি। তবে আমি যখনই পোষ্ট দেই, যত দেরীতেই দেই না কেন আপনি উপস্থিত হয়ে যান নিজের সুন্দর মন্তব্যে। এজন্যে অনেক কৃতজ্ঞ আমি।

সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
মাস্টারসাহেব অনেক অনেক অনেক ভালো থাকুক।

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার ভিন্ন বেশভুষা
কেমন ভিন্ন? আপনার ও অন্যান্নদের বেশভুষা একটু ডেস্ক্রাইব করলে ভাল হত।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভিন্ন বেশভূষার ব্যাপারটি লেখার অনেক জায়গাতেই ইনডিকেইট করা হয়েছে। যেমন এক জায়গায় বলা হয়েছে আমি প্রেসেন্টেশনের সময়ে নিজের পরে থাকা সালোয়ার কামিজের কথা বলছি, আরেক জায়গায় বলা হয়েছে আমার টিপটা আয়নায় রাখতে রাখতে। এগুলোই। এ পর্বে বেশি ক্লিয়ার করে বলা হয়নি কেননা আগের পর্বগুলোতে এসব নিয়ে বলেছি। বলেছি যে আমি সালোয়ার কামিজ পরি কিন্তু কোন কানাডিয়ান কখনো এটা নিয়ে কটুবাক্য করেনি। বরং সবসময় প্রশংসা করেছে যে ওয়ান্ডারফুল কালারফুল ক্লোথস! আর অন্যরা নিশ্চই পশ্চিমি জিন্স, টিশার্ট, স্কার্ট এসব পরত। তবে বেশভূষার চেয়েও আমার বেশি চুপচাপ থাকাটা ওর কাছে ইন্টারেস্টিং লাগত বোধহয়। হয়ত মনে করেছিল আমাকে বিরক্ত করলেও আমি কিছু বলবনা। আশা করি এখন ব্যাপারটি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছি।

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: সিরিয়াসলি! ঐ পরিবেশে এখনো এমন মানসিকতা বহন করে চলছেন?

কেম্নে?

নাকি শুধু লেখার জন্য এভাবে লিখলেন?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে এ সিরিজের প্রতি পর্বের প্রতিটি লাইন, ভাবনা নিজের জীবন থেকে তুলে এনেছি। লেখার জন্যে লেখা নয়, আমি যা তাই। অন্য পর্বগুলো বিশেষ করে প্রথমদিকের পাঁচ/ছয়টা পর্ব পড়লে আপনার আরো সুবিধা হবে বুঝতে কেমনে? :)

পরিবেশ হয়ত ততটা গুরুত্বপূর্ণ না, যতটা ইনভিডুয়াল মানুষটি । আমাদের দেশে খুব রক্ষনশীল সমাজে বেড়ে ওঠা একটা মানুষের অনেক আধুনিক ধ্যান ধারনা থাকতে পারে যা হয়ত কিছু হলিউড মুভি/ড্রামা দেখেই প্রভাবিত। বিদেশে যাবার প্রয়োজন পরেনি তাদের। আবার অনেকে এমনও আছেন যারা ২০/৩০ বছর টানা বিদেশে থেকেও একদম দেশী কায়দায় জীবনধারন করতে পছন্দ করেন। সবারই নিজস্ব ভাবনায় নিজেদের জীবন পরিচালিত করার অধিকার রয়েছে।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরন্তন।

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "ইউ ক্যান নট গো টুওয়ার্ডস লাভ! বাট লাভ কামস টুওয়ার্ডস ইউ। ট্রু লাভ কামস হোয়েন ইট সুড এজ ইট মাস্ট! অগনিত মানুষের সাথে মিশে ভালোবাসাকে জোর করে আনা যায়না। সেই একটা মানুষ যখন আসার এসেই যায়! খুঁজলেও আসে, না খুঁজলেও আসে!" ইশ! কি সুন্দর করে বলতেন! কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে! "

সত্যানুভব এমনই সত্য। চীরকাল।

কালচারাল শক দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। ১৮+ কি আসলেই ছিল কোথাও ? ;) চোখে পড়লনা ! নাকি মিস করেছি :P

আচ্ছা আপনার চোখে কি এমন বাঙালী পড়েনি? যারা ওখানে গিয়ে অবাধ স্বাধীনতার অবাধতম ব্যবহার করেচে েকান প্রতিক্রিয়াহীন বরং উপভোগের সাথেই! তাদের েকান পর্বে পাইনি মনে হচ্ছে!!!

দীঘ প্রতীক্ষার অবসানে কৃতজ্ঞতা :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশেষে সে আসিল। ;)

মজার আদলে বলা সিরিয়াস কথাটার জবাব আগে দিয়ে নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে আইডিয়াগুলো ১৮+ ছিল। এখন এই লজিক দাড় করানো যায় যে এখন দেশে ১৮- রা এসব নিজেরা করেই অভ্যস্ত। আমি মনে করিনা, ওরা যেই লেভেলে আছে সেখানে আমাদের মেজোরিটি এখনো নেই। অবশ্য আপনার বোকামতী সখী যে যুগের অনেক পিছে চলে তাতো জানেনই। :) আর আসলে কোন লেখা ১৮+ বা কোন ম্যাটেরিয়াল ১৮+ সেটা পাঠকভেদে নির্ভর করে। আমি নিজের লেখা পাঠক হিসেবে মনে করেছি পুরো ম্যাটেরিয়ালটাই ১৮+। আপনার না মনে হলেও সমস্যা নেই।

হুম মি: এমের কথাগুলো চরম সত্যি বলেই হয়ত পরম সুন্দর!

নারে আমি বাংলাদেশী কম পেয়েছি। স্কুলে যে আমিই একমাত্র বাংলাদেশী স্টুডেন্ট ছিলাম তাতো বলেছিই অনেকবার। সেজন্যেই বোধহয় আমাকে এতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। নিজের ভাষায় কেউ সাহায্য করে দিলে ভিনদেশে জীবনটা সহজ হয়ে যায়। আমাকে একা একাই সব করতে হয়েছিল। তার কারনে বাংলাদেশীর গল্প কমই এসেছে। তবে সেই একই কারনে আমি অন্যদেশের মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছি। বেশি বাংলাদেশী স্কুলে থাকলে কষ্ট করে ভাংঙা ভাংঙা ইংলিশে বিদেশীদের সাথে বন্ধুত্ব করার এফোর্টটা দিতাম না। যেটা আরো সুন্দর, ইন্টারেস্টিং কিছু গল্প জীবনে খাতার পাতায় যোগ করেছে বলে মনে করি। তখন মন খারাপ হলেও এখন মনে হয় যা হয়েছে ভালোর জন্যেই হয়েছে।

তো সখার দিনকাল কেমন যাচ্ছে? ভালো আছেন, সুখে আছেন সে কামনাই করি।
সর্বদা অনুপ্রেরনা হয়ে পাশে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: হাই আপুনি ! কেমন আছো? :D

পড়ে ফেললাম পুরো লেখাটা। বরাবরের মত সুন্দর ছিল। একটা সাজেশন দেই, কখনো সুযোগ পেলে তোমার কানাডার অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে বই বের করে ফেলো। :`>

যাই হোক, কানাডার মত ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড কিংবা ফ্রেন্ড উইদ বেনিফিট টাইপের কালচার কিন্তু বাংলাদেশেও ঢুকে পরেছে, এমনকি টিনএজ টাইমে গর্ভবতী হয়ে যাবার ব্যাপারটাও। তবে পার্থক্য, কানাডায় হয়তো বাচ্চার জন্ম হয় কিন্তু বাংলাদেশে বাবা মায়েরা লোকচক্ষুর ভয়ে তাদের কন্যার গর্ভপাত করায়। X(

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ভাইয়ু যে! আমি আছি ভালোই। তুমি কেমন আছো?

বই বের করব!!! কে কিনবে রে? তুমি? সব কপি তোমাকেই কিনতে হবে। হাহা।

হুমম অনেক সিরিয়াস বিষয় নিয়ে বলেছ। কানাডাতেও গর্ভপাত হয়। তবে সেটা সমাজের ভয়ে না, ব্যাস একটা কিশোরি মেয়ে হয়ত ভাবে এখন বাচ্চা হলে জীবন শেষ হয়ে যাবে। কানাডায় এবর্শন বিভিন্ন কারনে করে থাকেন বিভিন্ন বয়সের মহিলারা। যেকোন দেশেই হোক, এসব মহিলারা নারী জাতির জন্যে কলংক ছাড়া আর কিছুই না। কোন মা নিজের বাচ্চাকে কি করে মেরে ফেলে? উফফ!!!!

যাই হোক, পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়ু অনেক ভালো থাকুক, সুখে থাকুক। আপুনি অনেক দোয়া করে দিল।

১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: লেখিকা বরাবরের মত ভাল লিখেছেন। আপনার লিখা পড়ার জন্য উদগ্রীব থাকি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে।
শুভকামনা শুভসাহেব!

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম একটা লেখা আগেও দিয়েছিলেন না?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি জানি! বাকি সব পর্বগুলো পড়ে দেখতে হবে! হাহা।

না গল্পগুলো তো নতুন। ভাবনায় কিছু রেপিটেশন থাকতে পারে। ব্যাস এই।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

ঢে্উটিন বলেছেন: সমস্ত অস্বস্তি পাশ ফেলে একদিন আপনার শূন্যতা কাটবে অবশ্যই।

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি জানি! অনেক সময় তো হয়ে গেল! শুন্যতা কাটাতো দূরের, যেনো বেড়েই যাচ্ছে!

যাই হোক, আপনার শুভকামনায় অনেক কৃতজ্ঞ।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা!

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

অব্যক্ত চিরকুট বলেছেন: "আমার এখনো মনে আছে যখন ব্রাজিলের ফুটবল খেলা এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা হতো দুজনেই সমান এক্সাইটেড হতাম। একে অপরের দেশকে সাপোর্ট করতাম প্রান দিয়ে।"
আপনারা দুজন আলাদা ভাবে এই দুইটা টিমকে সাপোর্ট করতেন, আর আমি একসাথে এই দুইটা টিমকে সাপোর্ট করি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আমরাও একসাথে দুটো টিমকেই সাপোর্ট করতাম। অবশ্য আপনার মতো দুটো খেলাই পছন্দ করে না। আমি ফুটবল তেমন দেখতাম না, আর জে ক্রিকেট কি জানতোও না। বন্ধুত্ব হবার পরে দুজনেই একে অপরের খেলা নিয়ে পাগলামিকে সাপোর্ট করে যেতাম।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

অব্যক্ত চিরকুট বলেছেন: আজও আমাদের বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ আছে, ইংল্যান্ড এর সাথে। আশা করি দেখবেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩০ এবং GMT time 8.30 am

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশ্যই খেলা দেখব। এ আর বলতে? সবাই মিলে একসাথে ক্রিকেট দেখতে হলে এখানে আসুন, view this link

২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ভাল লিখেছেন। পড়ে ভাল লাগলো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগাতে পেরে আপ্লুত!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা রাশি রাশি!

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোন সে শুভক্ষন
ধরনীেত আগমন
জেনে রাখা ভাল
যেই ভুলো মন ;)

না জানলে ইশ :P
কেমনে করব উইশ :) B-)



১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইশশশশ!! সখার সখ কত!
নিজেরটা যেন আমায় এসেছিল শোনাতে
বয়েই গিয়েছে তাকে আমারটা জানাতে
জেনে নিন অন্যকারো কাছ থেকে
যা করতে হয়েছিল আমাকে!

যদি না পারেন জানতে,
যান ভুলে উইশ করতে
সখি কিন্তু প্রস্তুত বলতে
আহা প্রানবন্ধু, সখা কেমন যে,
রাখেনা সখির জন্মদিনের খবর সে!!!

বলে সখা সখির কানে কানে
হৃদয় নাকি বিশাল অধিক আকাশের
যদি হয় তাই, তবে জানি মনে মনে
সখার সরল সখির সকল খবর আসবে ভেসে বাতাসে!

আন্তরিকতার চূড়ান্ত করেন আপনি সবসময়।
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: পড়লাম আপু ৷

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ছোট ভাই!!! কেমন আছিস রে? পড়াশোনা ঠিকঠাক করিস তো? নাকি ব্লগেই পরে থাকিস সবসময়? :D

২৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
সখ নয়গো সখি
এ যে প্রানের চাওয়া
এক ভুল থেকে
ইশারায় শিক্ষা নেওয়া ;)

অন্য কারো থেকে জানলে
সখা-সখি নামের হয়যে অপমান
কেমন তর বাঁধন তবে
হিয়ায় যদি না লাগে টান :)

আহারে নিঠুর সখি
বলে উইশ করা ভুলে যেতে
হায়! মরণ হয়না কেন
এ কথা শোনার আগেতে !!

হুম সে কথা সত্যি
আকাশের চেয়ে বিশাল
মিছে নয় এক রত্তি
হৃদয়ে আলোর মশাল!

অন্তর্জাল তো বাতাসেই ভর
দাও বলে কানে কানে
আর কেউ যেন না জানে
আসবে ভেসে ফেবুর পর ;)


@ এক মানব জনমে আন্তরিকতাটুকু ছাড়া আছে কি আর সখি!!
সবই ক্ষয় হয়ে যায়, ব্যায় হয়ে যায়
যৌবনও শেষ হয়ে যায়
রয়ে যায় স্মৃতিটুকু - মনের গহীনে :)

শুভকামনা নিরন্তর....

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অপমান হয় বটে?
তবে তা হয়েছে সেদিন
যেদিন কি করির কাছ থেকে সখিকে
হয়েছে জানতে সখার জন্মদিন! :(

নিঠুরতার বসবাস সখির নয় সখার মনে
ভুলে বসেছিল সখিকে শুভ জন্মদিনে
চোরের কথার ফাঁদে ভুলছি না যান
সেদিন হিয়ায় না লাগলে টান
আজ আর কোন মলিন সুতোর বাঁধন???

অভিমান করছি কেন মিছে মিছে?
সখি হবার দায়িত্ব পালন করছি যে! ;)
কথায় কথায় যদি না দেখাই মান
সখা পাবেন কি করে সখি সুখের আস্বাদন? :)

হাহাহা আমার সখা, প্রানবন্ধু বড্ড রসিক
ফেবুর পর আসবে ভেসে কি করে?
সেই নীল দুনিয়ার বড্ড দূরে
যে সখির আবাসিক!

আপনাকেও শুভকামনা! না না সখাকে একটু ভেংঙাই,
শুভকামনা নিরন্তর.... :)

২৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বড়ই সরলা সখি -কিছু বোঝে না
আমি যে ইন্ট্রোভার্ট তাও জানে না;)
লুকিয়েই থাকতে চাই আপন ভুবনে
যদি কেউ এসে কভু -কড়া টানে :)

জনম ক্ষনের লেখায় তাও বলে কৌশলে
ছেড়েছিনু পাঠকের অনুভব তরে;
কি করি ভায়া বড় ইন্টেলেকচুয়াল
ইশারায় -সারপ্রাইজ দিল ছড়ার পরে।

আহা সখি বোঝেনা, একবার হলে ভুল
অত গোস্বা করে না; রসো- দুই তিন
তারপর না হয় করো বড় অভিমান;)
এখনতো ছাড়ো জিদ - নাও বনফুল :)

সে কথা ঠিক-
মান অভিমানে মেলে সূখ সঠিক;
তাইতো সখির তরে নাই কোন রাগ
অভিমান যত সব জলে ভেসে যাক। :)

সখির তরে কালে কালে
কত সখা করল দিগ্বীজয়--
আর এতো শুধু নীলে ভ্রমন
সখার তরে ”দূর” বললে কি হয় ;)

ভেংচির মাঝে থাকে
কিযে শুভকামনা
সেই বোঝে যে জানে
ভেংচির মানে, না!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা :)


১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ​সখা আমার অন্তর্মূখী জেনে
কড়া নেড়েছি মনের কোনে কোনে
নয় তা আপন ভুবন হতে বের করতে
ব্যাস সেই ভুবনে প্রবেশ পেতে! :)

কিন্তু হায় একি!
রক্তবর্ণ , ক্লান্ত, আহত হাতজোড়া
পরে রইল রিক্ত, শুন্য
সখার মুখে জন্মদিনের খবর পেয়ে
হতে পারল না সখি ধন্য! :(

সখা সখি; সখা সখি
বড়ই সরল সুন্দর এ বন্ধন
অসীম মায়া, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস অর্জন
হোক সে অন্তর্মূখী
দিনশেষে তো সখা সখিরই! ;)

বাপরে বাপ! সখা!
আরো ভুল করার বাসনা মনে রাখা?
সখি আপনার বড্ড অভিমানি
ভুল করে বেশি,
হারিয়ে ফেলবেন কিনা কি জানি!

কালে কালে আসা সখারা
হারিয়েই গেল কালের স্রোতে
দিগ্বীজয় করিলেই কি হয় মন জয়? ;)
নীলে ভ্রমন সখির সহিতে?
সখার স্বপ্নেই সম্ভব; বাস্তবে তো নয়!

ভেংচি ভেংচি ভেংচি
সখা সখির শুভকামনার
ধরনই এই! :)

২৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

অনেক অনেক প্রীতি শুভ ভাবনায়
আপন ভুবনে মেশার হৃদ কামনায়;
শান্ত টলমল হ্রদের মতো
উদার বিশাল প্রকৃতির মতো-
ভাবনারা মিলে যায়-যে সীমানায়
সেখানেই একে অন্যে খূঁজে পায়! :)


হায়! কেন বোঝেনা সখি বোঝে না-
নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম
সখির কাছে দিনের খবর কেমনে পাঠাতাম;)
এত বলি সরি তবু অভিমান ভোলে না :)

অকে অকে ক্ষ্যামা দাও, এই প্রহর
মিস যেন না হয় আসছে বছর
কানে কানে বলে দাও-একবার
বইয়ে দেব -শুভেচ্ছার নহর :)

ভাল থেকো সদাই
এবার দাও বিদায় ;) (মাটির ঘ্রানে)


১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে বোকামতী সখির সখা; বড্ড বোকা ভোলা!
শত কথা ফুলের মালা গেঁথেও পারলাম না বোঝাতে
সখি আপনার বন্দি তীব্র অন্তর্মূখী আমিতে
জটিল মন বাক্সের এ তালা না যায় খোলা!

অজানা থাকুক নাহয় অজানায়
অধরা থাকুক মিলে অধরায়
যতটুকু জানা, চেনা, ছোঁয়া যায়
চলতে থাকুক না পথ ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায়!

অভিমান নয় সে তো হিয়ার টান
বলুন তবে সখা, ভুলব কি আর?
দুষ্টুমি মজার মিছে মিছে অভিমান
ভাংঙাতে কত আকুতি পাগল সখার!

বিদায় তো দিয়েছি আগেই অনেক
শুভক্ষন জন্মদিনের আবার আনল টেনে ক্ষনেক
ছুটে ছুটে এসে সখার বাড়ির চৌকাঠ পেরোনো
মান অভিমান, হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকা কিছু লগ্ন!
সুন্দর সময়গুলো এবারে ফুরোল
নটে গাছটি মুড়োল!

ভুল চুক যদি কিছু হয়ে থাকে অজ্ঞতায়
সরলা সখি আপনার পাগলী ভেবে
করে দিয়ে ক্ষমা বাঁধিবেন মোরে কৃতজ্ঞতায়!

উপলক্ষ্যগুলো সব বোধহয় এল ফুরিয়ে
কে জানে! এ বিদায় হয়ত শেষ বিদায়! :( :(
বিদায় প্রানবন্ধু বিদায়!!!
বিদায় সখা বিদায়!!!!

২৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: আপু আমি ভালো আছি ৷ আপনি কেমন আছেন আপু?
আজ আমার পরিক্ষা শেষ হলো ৷

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো আছিরে। পরীক্ষা শেষ, এখন তো তাহলে তোর আনন্দময় অবসর!
আড্ডা পোষ্টে আসিস, আড্ডা দেওয়া যাবে।

ভাইয়ের জন্যে অনেক অনেক দোয়া করে দিলাম। ভালো থাকিস অনেক।

২৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কলকল বইছিল ঝর্ণা- হঠাৎ থেমে গেল
শন শন বইছিল হাওয়া - থমকে গেল
প্রজাপিত উড়তে উড়তে -প্রপাত ধরনীতল
আর আমি- স্তব্ধতা কাটিয়ে লিখলুম ক'টি লাইন ;)

উপলক্ষ্য ফুরিয়ে গেলে এমনই হয়!?

বললেই হল! হৃদয়ে যখন বন্ধুতা উপলক্ষ্য কি করে ফুরোয়
নো ওয়ে-এ যে জনম জনমের বন্ধন, তাই
নেভার সে থ্যাংকস এন্ড বাই
বন্ধুতায় :)


৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিদায় তো সখাই চেয়েছিল প্রথমে
অবলা সখী তো বাধ্য তার চাওয়া পূরনে। ;)

জনম জনমের বন্ধন; নয় তা শুধু মুখের কথায়!
হয়ত ছিলাম মোরা সাথী পূর্ব জনমের পথচলায় ;)
আগত জনমও আগাম বাঁধা মোদের বন্ধুতায়
ব্যাস ভিন্ন রূপে, ভিন্ন পারিপার্শ্বিকতায়!

এ জনমের মতো দূরত্ব ছিলনা কোন কালে :(
মোরা বসে দূরে; মাইল মাইল যোজন যোজন
তাও এ যে সখা সখির অটুট বন্ধন
মিলতেই হত মুখোমুখি বা অন্তর্জালে! :)

আচ্ছা সখা, আমরা একে অপরকে সখা সখি বলা শুরু করলাম কবে থেকে এবং কেন? মজাটা প্রথমে বোধহয় আমিই করেছিলাম, কিন্তু কোন কথার সূত্র ধরে? কমেন্টটি খুঁজে দেখতে হবে তো! সখা সখীর মতো প্রাচীন ডাক আধুনিক দোস্ত দোস্ত জামানার দুজন মানব মানবীর পূর্ণপ্রচলনের সূত্র খুঁজতেই হয়! :) ;)

কাব্য, ঠাট্টা এসাইড, আপনার নির্মল আন্তরিকতা আসলেই মন ছুঁয়ে যায়। ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ তবে সখার আজ্ঞা পালনে দিলাম না। আল্লাহর রহমতের ছায়া সর্বদা আপনাকে সকল বিপদ, আপদ থেকে দূরে রাখুক। শুভকামনা!

৩০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
চেয়েছে সখা কোন বিদায়
সখি দিল কোন বিদায়
মাঝে কষ্টের কত দিন যায়
হায়! এভাবেই ভুলে কত প্রাণ যায় ;)

আরজনমেও বুঝি
এমনি ভুলে হারিয়েছি তারে সেইকালে
ভেবে মনে আজো বাজে ব্যাথা বীণ
করে উঠে মন আনমনে চিন চিন
কে জানে মহাকালের মহা ভাবনা।

কখনো এক উঠোন দূরত্ব
পার হতে যায় জনম
কখনো যোজন যোজন
কাছে আেস পলক সম:)

হুম। খুঁজতেই হয়:) সখি রাজি থাকলে এটাকে দারুন এক সিরিজ করা যায়। কাব্য, ইতিহাস, সম-সামিয়কতা, রোমান্স ;) সূখ দু:খ অনুভব, বিশ্ব ভাবনা, সামাজিক ইস্যু.. সব মিলিয়ে এক দারুন উপাখ্যানের এক প্লাটফর্ম হতে পারে সখা-সখি কাব্যোপাখ্যান :)
পারেনাকি?
আজ্ঞা পালনে কৃতার্থ:) সখির জন্যও একই কামনা। আল্লাহর রহমতের ছায়া সর্বদা আপনাকে সকল বিপদ, আপদ থেকে দূরে রাখুক। শুভকামনা!


০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ছন্দকথায় কহে সখা, জীবন তাহার সখিময়! :D 
সখি বিনে প্রান যায়, প্রায় যায়, হায় হায়
বিরহ যাতনা দিন খানিকও সওয়া না যায়
মনচোরার মন চুরি হলে এমনই তো হয়! ;) :D

বোকামতী কি বোঝে মহা জটিল মহাকাল, মহাভাবনা?
পূ্র্ব জনমের বিচ্ছেদ বেদনা; বিস্মৃতেই পরে থাকনা!
অতীত পুড়ে ছাই, ভবিষ্যৎ ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়,
বর্তমানে জ্বলতে থাকা সুখকে; সখা সখি আমন্ত্রন জানায়! :)

পারে বৈকি! সখার আজ্ঞা পালনে সখি সর্বদাই রাজী। কিন্তু কিভাবে? ঠিক বুঝলাম না। জয়েন্ট ব্লগিং? কোন টপিক নিয়ে দুজনেই সিকোয়েন্সলি কাব্য করা কমেন্ট সেকশনে বা পোষ্টই করা, নাকি নিছক মজা করে বললেন? প্লিজ ক্ল্যারিফাই হোয়াট ইউ মেন্ট বাই দ্যাট?
কপি পেস্ট কৃত শুভকামনায় কৃতজ্ঞতা। ;) শুভকামনা জানাই আবারো।

৩১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আহা প্রীতি, সূখে অতি প্রাণ যায় যায়
এইনা হলে সখি! আহা
এ পাওয়া বুঝি জনম জনমের সাধনায় :)
ধন্য জনম! বাহা বাহা

সেই ভাল থাক পরে পোড়া অতীত
বেদনার মহাভারে তলিয়ে থাকুক
বর্তমানের কর্ম হোক সূখের এমন
হিংসেয় পুড়ে মরে শত্রুর মন! ;)

আপ্লুত! সখির আন্তরিকতায়।
না মজা করে না। সত্যিই। সখা-সখি বিষয়েই আমাদের যত কাব্য, ছড়া, সবগুলো এক সাথে থাকা । এখন যেমন এই পোষ্টকে বেইজ করে চলছে- তাও চলতে পারে..অথবা সখি নতুন কোন পোষ্ট দিলে তাতেও চলে বা সখি চাইলে আমার কোন পোষ্টেও হতে পারে। অথবা এখানেই চলুক.... এজ মাই সখি লাইক:)

সখা-সখি যখন বিলিন- কপি পেষ্টে শুভকামনা হয়না মলিন ;) =p~ =p~ =p~

নিরন্তর শুভ কামনায় :)




০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই কাব্য ছড়া, এত বার চলবে জানলে একটা পোষ্টেই সব রাখা যেত। এখন আপনার আমার বিভিন্ন পোষ্টে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে। বাট লেইট ইজ বেটার দ্যান নেভার। এই পোষ্টেই চলুক আপাতত। মেজোরিটি যেহেতু এখানেই রয়েছে।

শুরু করি তবে সখা-সখি কাব্যোপাখ্যান এক নতুন
সূখ দু:খ অনুভব; সখারই ভাবা বিষয়ের অনুসরণ
সখির মন কৌতুহলী; চায় জানতে
কেন তার সখা বন্দি অন্তর্মূখী আমিতে?

সর্বত্র তার বিচরন কিন্তু কোথাও যেন নেই
অন্যদের মনবাড়ি খুঁজে, জেনে কত কথার ফুলঝুড়ি ফোটান
তবে নিজ মনঘরের এক কোনে কেন নিজেকে লুকান?
সখা যেন নাটাইয়ে বাঁধা ঘুড়ি; মুক্ত আকাশে যে না ওড়ে
নিশ্চল থাকে পরে নাটাইকে খুঁটি ধরে!

এমন হবার আছে কি বিশেষ কোন কারন?
একি মহাকালের মহাকবির মহাভাবনা, ধ্যান? ;)
জীবনে সুখ দুঃখের কোন ইতিহাস, আখ্যান?
নাকি ব্যাস জন্ম থেকেই এমন, সৃষ্টিকর্তার অর্পণ?

অন্তর্মূখী সখাকে করে ফেললাম প্রশ্ন গভীর
অজান্তে সমীরেখা যদি করে ফেলি লংঘন
কিছু না বলে এড়িয়ে যাবেন অকপটে, সুধীর
নেই সমস্যা কোন; সখি তো জানে, সখা তার এমন! :)


সখা-সখি যখন বিলিন- কপি পেষ্টে শুভকামনা হয়না মলিন

হাহা গুড ওয়ান! আমার কাটারকে তো বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। :)

মন থেকে আপনার সুখ, সমৃদ্ধির জন্যে দোয়া করছি। ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন।

৩২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
উরি ব্বাস! সেকি লেখনির ঠাট
দাড়াও সখি আরেকবার করে নেই পাঠ :)

এ যেন হাওয়ার খেলা কিংবা আলো
আঁধারও বলতে পারো অবহেলার নেই কারন-
সবই সর্বত্র করে বিচরণ-
কেবলই অনুভব, সূখ বা পেরিয়া যাবার পালা
তুমি কেন ভিন্ন তবে? এওকি প্রকৃতিরই দান অকৃপন?

ঘুড়ির স্বপ্নেই বাঁধা অধিক জীবন
সৃষ্টি তত্ত্বেই আমিও- চেয়েছিলুম আকাশ ছুঁতে
মেঘ পরীর স্বপ্নে নীলিমার রঙে চোখ রাঙাতে
বারবার সূতো কেটে যায়! ভাগ্য না নিয়তি
খুঁজতেই নেমেই গেলুম-আগে নাটাই চিনতে।

শুন্যতাতো বস্তুর অস্তিত্বকেই বোঝার আভরন
মহাকালের কি দারুন আয়োজন!
তারই কোন কার্যকারণে আশৈশব দূরন্তপনায়
কেবলই প্রশ্ন আর কি যে সন্ধান!

সূখ-দু:খ এক মাষ্ট ইনগ্রেডিয়েন্ট
মিশে যায় জীবনের আপেক্ষিকতায় কত রংয়ে কত রুপে
ব্যাস জীবন তখন এক অপূর্ণ অশেষ প্রশ্নের আকর
হয়তো বিধাতাই চেয়েছে এমন!

যখন হৃদয়ে সখা অনুভবে সুধীর
সীমারেখার প্রশ্নই অবান্তর-
অসীমের সন্ধানে যে পথ চলা
তাতে থাকতে নেই লংঘনের ডর ;)

বাউন্ডারী তো সখির স্লো বল বাগে পেয়েছি বলেই না! সখার নো ক্রেডিট ;)

শুভকামনা আর শুভেচ্ছা অন্তহীন - :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও ম্যানন, দিস বয় ইজ গুড, টুউউ গুড!!! এটা একদম পোষ্ট কোয়ালিটির কবিতা হয়েছে। একটু এডিট করে আপনি নিজের ব্লগে কোনদিন প্রকাশ করতে পারবেন পাঠকের কল্যানে। আমি বেশ কবার মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আরে একি! সখার প্রতি অতি মুগ্ধতার আবিষ্টতায় আমি স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছি!! না এবারে শুরু করতেই হয় সখা সখিও কায়দায় কাব্যকথন! :)

জীবন তো এক ঘড়ি সখা! সেকেন্ডের কাঁটায় সুখ, দুঃখ মিনিটের কাঁটায়
ঘন্টা কাঁটায় অবস্থান মানুষের, করে নির্ভর সুখ দুঃখ অনুভব, অভিজ্ঞতায়!
ঘড়ির সঞ্চালক বিধাতা, পূর্বেই লেখা কোন কাঁটা কোথায় করাবে দাড়!
সখাও তো তাই বোঝালেন; এ তত্ত্ব অভিন্ন সকলের, আমার, আপনার!

শত জনমের বাঁধন কার সাথে আর চোখাচোখির বাসনা মেঘ পরীকে! X((
সখি তো জ্বলে হলো ছাড়খার, চলল খুঁজতে কোন মেঘকুমারকে! ;)
না না সখা ঠাট্টা রেখে দূরে, বলি সত্যি মন থেকে, দোয়া করে সখার তরে
শেষ নায়িকা না হোক মেঘদেশের পরী, মর্ত্যে বাসকারী বিশেষ এক মানবী সে
নাটাইয়ের সুতো দেবেনা কভু ছিড়তে, উড়িয়ে সখাকে যাবে নিয়ে মুক্তাকাশে!
বেদনার নীল রংঙা আকাশ নয়, লাল মিষ্টি আদি চিরন্তন অনুভূতির রংয়ে ভরে। :)

সখি সখারই মতো! এমনিই কি হয় বাঁধা শত জনমের বাঁধন? :)
প্রকৃতির দান তা বটেই, তবে সমাজও কারন
মফস্বলের, মধ্যবিত্ত শ্রেনির মেয়েদের হয় শেখানো
নারী হয় লজ্জাবতী, শান্ত, মায়া মাখানো
কৈশরেই চঞ্চলতাকে দিতে হয়ে বিরাম; নারীত্বের আস্তরন!
শরীর ঢেকে সুতার আড়ালে; মনকে রক্ষনশীলতার আবরন!

সবাই নিয়ম মানেনা; যুগে যুগে অসাধারন সব নারী; মেধা, সাহস পূর্ণ
সমাজের ঠুংকো বিশ্বাস, কায়দাকে, মাড়িয়ে ভেংঙে করেছে চূর্ণ
আপনার সখি তো বিশেষত্বহীন, অতি সাধারন
যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের রূপ করে ধারন!
শান্ত স্রোতময় নদী সে, নয় উত্তাল সমুদ্র গর্জন!

সে সমাজ ছেড়ে এতদিনেও কেন নেই পরিবর্তন?
জীবনে পথচলার একপর্যায়ে করেছিলাম অনুধাবন
আর সবার তুলনায় মনটা বড্ড বেশি অনুভূতিপ্রবণ
অতি প্রকাশে কেউ যদি হয়ে যায় অতি আপন!
খেলে মাটি কাদার নরম মনটাকে নিয়ে ইচ্ছেমতন!

বোকামতী মানুষের ভালো খারাপ বোঝেনা
লুকিয়ে রাখে নিজেকে, সামলে, শেকড়ের শিক্ষায়
করে প্রকাশ ততটুকু, যতটুকুতে ছোঁয়া না যায়।

প্রথম বিষয় টেনে এনেছিল সখি; লেডিস ফার্স্ট! ;)
তবে এবারে সুযোগ দিতেই হয় সখাকে, টু স্টার্ট
এই বিষয়ের অন্য প্রশ্ন বা নতুন কোন বিষয় নির্বাচন!
এজ মাই ডিয়ার সখা উইশ, সখার চয়ন! :)

সখির সকল শুভ ভাবনায় নিরন্তন শুভকামনায় অন্তহীন শুভেচ্ছা সখার জন্যে। :)

৩৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
৥ শত জনমের বাঁধন কার সাথে আর চোখাচোখির বাসনা মেঘ পরীকে! X((
সখি তো জ্বলে হলো ছাড়খার, চলল খুঁজতে কোন মেঘকুমারকে! ;)

<< আহা আমার বোকামতি
আসলেই ভাবনায় সরল অতি
ভুলে যায় মেঘ পরী আর নীলিমার রঙ
আর জনমে সেেতা তারই আভরণ ;)

যাও যাও ভুল বুঝে জ্বলে, জ্বালিয়ে
আর জনমরে মতো না হয় রব পথ চেয়ে :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ মুগ্ধতায়। এ অনুপ্রেরণাতেই শক্তি, সাহস আর এগিয়ে চলার স্বপ্ন :)
স্বাভাবিকতায়ই বেশি প্রাণময়তা! মিশে থাকুক আবেগে, প্রকাশে ছন্দে ছড়ায়... মন্দ কি? :)

প্রতিটি কুড়িতে সম্ভবনার অপার আঁধার
ঝড়ে নিত্য এ পোড়া ভুমে
সিস্টেম আর চেতনার ভুলে বঞ্চিত ভুবন-
দোষে বিধাতায় নিত্যদমে!

শেকড়ের শিক্ষা খানিকটা তেতো হলেও
গড়ে দেয় ভিত মজবুত!
তাইতো আছো আজো দাড়িয়ে
মহিরুহ সম, রুখে বিপরীত স্রোত!

সাথে চাই জ্ঞানের মুক্ত আলো
নারীত্বের পূর্ন জ্ঞান
অতি আধুনিকতা ভেসে যাবে
মফস্বলী নৈতিকতাই পাবে প্রাণ!

ধর্মতো এত সাবলীল প্রাণবন্ত
অ-ধার্মিক করেছে তার প্রয়োগ যত ভ্রান্ত...
মূলাধারে ডুবলে দেখি আহা কি আলোকময়
নারী সেতো স্বত্তারই পূর্ণতার প্রতিবিম্ব বৈ নয়!

অসাধারনের বড় পরিচয় অতি সাধারন বোধ
সখির যেথা নিত্য বিরাজ, নিশ্চয় ভাংবে প্রচলিত ভুলের বাধ
যে নদী ভাঙ্গে নিজেও জানেনা শুধূ বয় অবিরাম
তীরের মানুষ অনুভবে বোঝে ভাঙাগ গড়া কি নাম!

চলুক লেখনি অবিরাম সখি -বদলাবেই চেতনা
কেউ বলুক না বলুক -এতো নিত্যতার খেলনা,

আত্মপিরচেয়র চর্চা এক অন্তহীন নিরন্তর চলমানতা
এবার সখি বলো তো আমায় সূখ চেন কি? কেমন িক তা? :)

হে প্রভু দয়াময়, রাখ সখিরে সূখে শান্তিতে সদাই
আত্মায় সত্ত্বায় যেন কষ্ট না পায়- এই দোয়া নিত্য করে যাই :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বোকামতী আছি ঠিকই, তাই ভুলব আরজনমের স্মৃতি!
যায় কি ভোলা সখার সাথে হেসে খেলে বেড়ানো, প্রেম প্রীতি?
আছে মনে স্পষ্ট ছিলাম না আমি নীলিমা/মেঘপরী কোন জনমেই
সে যুগে সখা ছিল শুধুই সখিময়; কর্পোরেট যুগ তাকেও পাল্টায়! ;)
জ্বলতে জ্বলতে সখির মনে করেছে ভর একরাশ বেদনা, ক্লান্তি
মেঘকুমার ডাকছে আমায়, সত্যিই যাব চলে? না সখা দেবেন ভুলে ক্ষান্তি? :P

শেকড়/ধর্ম/মফস্বলীয় মূল্যবোধে নেইতো বিরোধ, কভু ছিলনা
শেকড় আষ্টেপৃষ্টে রেখেছে বলেই সুউচ্চ বৃক্ষলতার বিন্যাস
ধর্ম সেতো মূল্যবোধ, অন্ধকার পথ হতে আলোর আশ্বাস
আর নিত্য পথচলার সঞ্জীবনী, সেই মায়াঘেরা শহরের চেতনা!

তবে তা বলা সহজ জন্যে তার, যে বন্দি নিজ বৃত্তে, আংঙিনা
দুনিয়া জোড়া মানুষের দেশে থেকে, পোড়ে আত্মা কদাচিৎ
বিশাল দুনিয়ার কত ক্ষুদ্র অস্তিত্বে আছি বেঁচে নিত্য প্রাত্যাহিক
না! এ নিজ মূল্যবোধে ক্লান্তি নয় সখা, অবিশ্বাসের প্রশ্নই আসেনা।

হুমম কিভাবে যে তাকে বোঝাই! বোঝানো যে দায়
এ শুন্যতার সংজ্ঞা, সূত্র বুঝতে আসতে হবে এক অবস্থানে
ভাবুক, বুদ্ধিমান সখা বুঝবেন অনেকিছুই অনুভবে বিশ্লেষনে
তবে অভিজ্ঞতাময় উপলব্ধির বসত যে ভিন্ন এক পর্যায়ে!

সখার জীবন অনুভব সখি যেমন বুঝবেনা সম্পূর্ণ
নিজস্বতাময় জীবনের নিজস্ব বোধই মানবজাতিকে করেছে পূর্ণ!

লেখনি চলুক, শত ব্যস্ততায় ছেদ হয়ত পরবে কভু
তবে নি:শেষ যেন না হয় সখা সখির কাব্যকথন; ও মোর প্রভু!

সুখ!! সখা!!! সুখ আর কি?
সখার সাথে বন্ধুতা, সখ্যতা, প্রেমময়তা ;), কাব্যতা!
এক জীবনে সুখি হতে আর কি লাগে বলুন আমায় তা? ;)

হুমমম না জটিল প্রশ্নের সরল উত্তর হাতড়ে খুঁজি
হয়ত প্রতি প্রভাতে, নিজ প্রতিবিম্বের চোখে তাকানো
খুঁজে পাওয়া সেই মানুষটিকে যার নেই বড় কোন অনুশোচনা
নিজ বিবেকে সদা উন্নত মমশির, সেই প্রকৃত মানব নিয়ে সুখ পুঁজি!

এ তো গেলো দর্শন; আর সখির ব্যক্তিগত সুখ?
বৃষ্টিতে মিশে কুড়ানো শিলা; শীত শিশিরে ভেজা ঘাসে শুন্য পায়ে হেঁটে
দূরাকাশে প্লেইন দেখে মুগ্ধ চিৎকার; হাওয়ায় সওয়ার চলন্ত রিকশা ছুটে!
শিরশিরে ঠান্ডা কুলফি মিঠে; চোখে জল এনে দেওয়া ঝালমুড়ি চটপটে
আহারে, সুখ হতে দূরে হয়ে কত বছর গেল কেটে!!! :(

আর বর্তমান সুখ! ধরুন সখা স্বপ্নের মতো; এমন একটা দিন,
টিপটা বসে দু ভুরুর ঠিক মাঝখানে, কাজল না লেপ্টে যায়
ভোরের বাসটা মিস করতে করতে এক ছুটে ফেলা ধরে
খারাপ দেওয়া একটা পরীক্ষায় আশাতীত ভালো করে
সখা হয়ত ভাবছেন সখির সুখ ভাবনা কত সীমিত, হায়!

সখা আপনার প্রতিও রাখলাম প্রশ্ন একই
দর্শনভিত্তিক সংজ্ঞা না, সখার সুখ কি, জানতে চাই শুধু তাই!

আজ প্রথম প্যারা লিখতে গিয়ে হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ। একি শুরু করলাম আমরা বলুনতো? অতি প্রাচীন সখা সখি ডাক কম ছিল, যে পূর্ব জনমে চলে গিয়েছি একেবারে? হায় আল্লাহ! সামনে যে আর কি কি আছে! আই ক্যান অনলি ইমাজিন, অন দ্যা আদার সাইড অফ দ্যা স্ক্রিন ইউ মাইট বি লাফিং মোর দ্যান মি! সুখ একেই বলে জনাব! অজানা, অদেখা মানুষও নিত্য চলেছে হাসিয়ে, কিবোর্ডের আচড়ে!! হাহা।
শুভকামনা অনেক অধিক, অনন্ত অসীম, অবিরাম অফুরান! :)

৩৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুখ!! সখা!!! সুখ আর কি?
সখার সাথে বন্ধুতা, সখ্যতা, প্রেমময়তা ;), কাব্যতা!
এক জীবনে সুখি হতে আর কি লাগে বলুন আমায় তা? ;)

সূখ মানে এমন একছত্র কবিতা :)

রুনার গায়কীতে -
কিশোরীর মিষ্টি আশা- নাকি ষোড়িশর ভালবাসা!
ক্ষুধার্তের সামনে এক প্লেট আহার
বারবণিতার একটা ভাল খদ্দের!
বৃষ্টির দিনে পলিথিন ছাউনিতে ঘরের স্বপ্নেভাসা।

প‌্যালেষ্টাইনে সূখ আপন স্ব-দেশ
কাশ্মীরে রাত শেষে স্বাধীনতার ভোর
সৈকতে ইতিহাস আয়লান -শরনার্থির বেদনার গান
সূখ বড় আপেক্ষিক- যার যা নেই তাতেই সূখাহবান!

বড় বেশী স্বপ্নবাজ! যেন বিশ্ব রাজাধিরাজ!

এক স্বপ্নের স্ব-দেশের স্বপ্ন দেখি
কল্যান রাষ্ট্রের মডেল ছবি
নেই ফুটপােত বসতি
নেই স্রেফ পেটের দায়ে দেহ-পসারী
নেই গাড়ীর গ্লাসে গাল ঠেকিয়ে গোলাপ হাতে করুন চোখ
নেই নাগরিক সভ্যতার আড়ালে -বস্তির বিষ !

রাজনীতিবিদরা বলবেনা মিথ্যা
বিজ্ঞাপনের মতো- দদুদকে যেয়ে নিজেরাই দেবে স্বীকােরোক্তি!
নেতৃত্ব হবে হৃদয়ের দায়-ক্ষমতার চেয়ারে বসতে পাবে ভয়
দায়মোচনের ভয়, সবাইকে প্রতিশ্রুত প্রতিজ্ঞা পূরণে !

ব্যক্তির সূখ ! ব্যক্তিত্বে
সখার সূখ সখির হাতে ;)
ছবির মতো ঝর্ণার পাশে
মোহময় জোছনা রাতে -ছোট্ট ডিঙ্গি জলের বুকে
তার বুকে দুজনাতে- হাতে রেখে হাত নির্বাক
কেটে যাক শত জনম :)

রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজতে ভাললাগে
গুনগুন মনকথা গাইতে ভাললাগে
ভাললাগা মানুষের কথা ভাবতে ভাললাগে
সৃষ্টির সবার শুভ কামনায় ধ্যানে ভাললাগে!

সূখ আনলিমিটেড সখি ;) নিত্য বদলায়
সময়ের তালে তালে সূখের সঙ্গা দোলে,
জ্ঞান, স্বপ্ন, অবস্থানে সূখ নিরন্তর রং বদলায়!
সূখি মানুষের জামা গল্পটা মনে আছে! সূখ সেখানেও!

দারুন সখি দারুণ বলেছ- সুখ একেই বলে জনাব! অজানা, অদেখা মানুষও নিত্য চলেছে হাসিয়ে, কিবোর্ডের আচড়ে!! হাহা।

সখি বলো তবে জীবন কেমন?
জীবন মানে যদি প্রাণ রসায়ন
জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন মন ( প্রয়াত ব্লগার ইমন জুবায়ের ভাইয়ে কোটেশন)
এবার জানি সখির জীবন দর্শন!

হে প্রভু দয়াময়, রাখ সখিরে সূখে শান্তিতে সদাই
আত্মায় সত্ত্বায় যেন কষ্ট না পায়- এই দোয়া নিত্য করে যাই :)









০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা! আগেই জানতাম সখার সুখ সংজ্ঞা হবে বেশ গভীর, জটিল
প‌্যালেষ্টাইন/কাশ্মীর আসবে ঘুরে; বিশ্ব/সমাজ/রাজনীতি কত ভাবনা তার সনে!!!!
বোকামতী স্বদেশের হাজার সমস্যায় বিশ্বভাবনা থাকে ভুলে; সখার সহিত অমিল :(
তবে স্বদেশ নিয়ে দেখা আপনার প্রতিটি স্বপ্ন জ্বলছে নিত্য আমারো মনে!

উ লা লা! সখা ইজ ভেরি রোমান্টিক! পার্টটুকু পড়ে ভীষনভাবে হেসে ফেলেছি। এখন আপনাকে হাসাই। :)

ঝর্না/জোছনা/ডিঙ্গি নৌকা আছে ঠিক; তবে নির্বাক কেন সখা?
সখার পাশে বসলে, হাতটি ধরে, সখিতো ফোটাবে হাজার কথা ফুলমালা!
এ জন্ম সে জন্ম, অতীত/বর্তমান/ভবিষ্যৎ মিলিয়ে কত গল্প আছে তোলা!
চোখের ভাষাও অবশ্য যায় পড়া, বিজ্ঞজনে বলে ঠিক, সেথা প্রকৃত প্রেমময়তা আঁকা
যেথা আলাপন সুখ ততটাই, যতটা প্রশ্বাস তারতম্য চিনে স্থির আঁখি পলকে চুপ থাকা! :D ;)

সূখ বড় আপেক্ষিক- যার যা নেই তাতেই সূখাহবান! ভীষন সুন্দর করে বলেছেন। ++++++
বৃষ্টি প্রিয় আমারো, সখার সাথে মেলে কিছুতো। :) সখার গুনগুন মনকথা শোনার অপেক্ষায়....

জীবন কি? সুখ দুঃখ অনুভব আলোচনায় পূর্বেই বলেছিলাম। "পাঠকটির কল্যানে রিকমেন্ট করিলাম।" ;)
জীবন তো এক ঘড়ি সখা! সেকেন্ডের কাঁটায় সুখ, দুঃখ মিনিটের কাঁটায়
ঘন্টা কাঁটায় অবস্থান মানুষের, করে নির্ভর সুখ দুঃখ অনুভব, অভিজ্ঞতায়!
ঘড়ির সঞ্চালক বিধাতা, পূর্বেই লেখা কোন কাঁটা কোথায় করাবে দাড়!
সখাও তো তাই বোঝালেন; এ তত্ত্ব অভিন্ন সকলের, আমার, আপনার!

দর্শন! জীবন দর্শন সেভাবে নেই সখা,
তবে আছে কিছু মূল্যবোধ, বিশ্বাস, প্রতিজ্ঞা।

জীবনে কারো প্রভাবে হবোনা পরিবর্তিত, যদি মন না চায়
তিলে তিলে গড়ে তোলা নিজ ব্যক্তিত্ব, বিকিয়ে দেওয়া কি যায়?
দোষ গুন মিলে হয় মানুষ, সবাইকে দেখি নমনীয়তায়
ফিল ফ্রি টু এভয়েড; ইফ আই এম নট ইওর কাপ অফ টি
প্লিজ ডোন্ট ট্রাই টু এড এক্সট্রা সুগার/মিল্ক অন মি!

কষ্ট জীবনের অংশ, কেঁদে কেঁদে নদী হয়েও ভাংঙন ধরবেনা কভু
পরিস্থিতি যতোই হোক কঠিন, নীতিময় জীবনের আহবান যেন থাকে প্রভু!
অজান্তেও কভু কখনো দেইনি/দেবনা কাউকে ব্যাথা; কেউ যদি করে ক্ষতি মোর
নিজ বিবেকে মানব না হার, প্রতিশোধপরায়নতায় হয়ে বিভোর!

এইতো সরল জীবন স্রোতের মূল্যবোধ ও দর্শনে সাধারন নদীটি বইছে চলে
পরম আগ্রহে দু চোখ ভরে দেখছে সে, কোন স্রোত আছড়ে কোথায় ফেলে!
নিজ জীবন ভাবি এক দিনলিপি, যোগ হচ্ছে নব্য গল্প অনুদিন প্রতি পাতায়
বিধাতার লেখা সে পুঁথি, পড়ছি আমি পাঠক হয়ে, পরম আগ্রহে নিত্যতায়।

সখার জীবনদর্শন জানতে হচ্ছে ভয়
অতি জটিল তত্ত্ব বোকামতীর মাথায় ওপর দিয়ে না যায়! :)
তাও সখার ভাষায় অসীমের সন্ধানে চলা পথে ভয়কে দূরে পাঠিয়ে
চাইলাম জানতে, সখা আপনার জীবন দর্শন সময় করে দেবেন জানিয়ে!

হে প্রভু দয়াময়, রাখ সখিরে সূখে শান্তিতে সদাই
আত্মায় সত্ত্বায় যেন কষ্ট না পায়- এই দোয়া নিত্য করে যাই :)

ছ্যামড়া আমার শুভকামনা কপিপেস্ট করে, আবার নিজেরটাও করে! সময় নেই তো তার, নীলিমা/মেঘপরী কত কি! ছুটে যেতে হয়। :) ধুর এংগরি ইমো দিতে গিয়ে এটা কি দিলাম? তার শত অপরাধেও রাগ করা যে দায়! হাহাহাহা।

খুব খুব ভালো থাকবেন। বিশ্ব,স্বদেশ,ব্যক্তিকে নিয়ে দেখা আপনার সকল স্বপ্ন পূর্ণ হোক। নন কপিপেস্ট ;) কৃত শুভকামনা!

৩৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

মেহেদী রবিন বলেছেন: এই জিনিসটা আমার কাছে খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং। এত কম বয়সে এমন একটা মানসিক ও শারীরিক চাপের মাঝ দিয়ে যাওয়া ওদের পরবর্তী জীবনে প্রভাব ফেলে না ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সত্যি বলতে ফর মোস্ট পার্ট তেমন মারাত্মক প্রভাব ফেলে না। যেহেতু এসব জিনিস ওদের কালচারে ওয়েল ইন্টিগ্রেটেড, ওরা এসবে ইউজড টু। এগুলো লাইফের পার্ট এন্ড পারসেল। স্বাভাবিক জীবনের স্রোতধারা এভাবেই বয়ে চলে।
তবে অনেকের জীবনে সেটা যেকোন কাচলারেই হতে পারে, কৈশোর জীবনের কোন কষ্টময় স্মৃতি সারাজীবন কাঁটার মতো বিঁধে থাকে। ডিপেন্ডস অন দ্যা ইনডিভিজুয়াল একচুয়ালি।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
সর্বদা ভালো থাকুন।

৩৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

দারুন একেবারে ল্যাব বিশ্লেষনে মুগ্ধতা!

হাজার কথা যায় বলে এক - নিরব চাহনী
শত আবেগ লীন হয়ে যায়- হাসলে মোহিনী ;)

ফিল ফ্রি টু এভয়েড; ইফ আই এম নট ইওর কাপ অফ টি
প্লিজ ডোন্ট ট্রাই টু এড এক্সট্রা সুগার/মিল্ক অন মি! --- দারুন লাগল! এটা কি সখির বানী ;) ?

একটা ফোক গান দিয়ে শুরু করি-
ঘুমাইয়া ছিলাম ছিলাম ভাল
জেগে দেখি বেলা নাই বেণা নাই
কোন বা পথে নিতাই গঞ্জ যাই!!!!!!

জীবন দর্শন সূখের মতোই আপেক্ষিক বরং আরও বেশি
জ্ঞান, শিক্ষা, ধর্ম, প্রজ্ঞা বদলে দেয় জনে জনে বোধির শশী!

না সখি জটিল তত্ত্ব কিছু নয়
সবচে সহজ কথাটি ভুলেছি তাই
ফিরে যেতে সে সহজ সরল পথে
পাই সবে মিছে কত ভয়!

ভোগ, পূজি আর সাম্য মানবতার
লড়াই ভুবন জুড়ে
সে ইজমের ছায় প্রচ্ছায় আমজনতার
জীবন বোধ গড়ে!

ভোগ-পূজি পূজারীর জীবন
কেবলই ভোগের স্বপন
বস্তু বাস্তু সম্পদের পাহাড়
তবু অতৃপ্ত মন!

সাম্য-মানবতা ধ্যান যাদের
বিলিয়ে নিজেকে উজারি
জ্ঞান,সম্পদ, জীবন দিয়ে
করে যায় সাধন তারি!

সাম্য মৈত্রির স্বপ্ন কখন
গেথে গেছে অজানিতে
জানিনি শুধূ জেনেছি মানুষ
আছে কতইনা দু:খে!

সু:খ দু:খ স্রোত পেরিয়ে খুঁজি
আসলে আমি কে?
কেনই বা এত স্বপ্ন আশা
জনম জন্মান্তরে!

আমার আমিরে খুঁজে খূঁজে শেষে
পেয়ে হই ভীষন হয়রান
একি আলো একি মায়া একি সত্য সুন্দরম!?
নিজেতে নিজেরই দর্শন!

জনম জনমের আসা যাওয়া খেলা
খুঁজি কার্যকারণ
কেন এ খেলা কেন ছলা কলা
কেনইবা প্রভু খেলেন!!

অন্তরাত্মার এ চাওয়া নিত্য অনন্তের
বাহিরে কেবল সাম্য শান্তি চাই সকলেরই;
প্রেমময় হোক ভুবন যুদ্ধ বিগ্রহ হীন
সকলের মেধায় হয়ে উঠুক এ ভুবন রঙিন।

জীবন দর্শন খুবই সরল
সত্য সুন্দর আর রব
অল্পে তুষ্টি সূখের মুলে
বাকী সব কলরব!

স্নেহ ভালবাসা প্রেম মমতার
ভীষন ভীষন কাঙাল
এতটুকুতেই গলে যাই যেন
আগুনে মোমের খিলাল!

এক কথায় বলতে গেলে সেকথাই বলতে হয়
গুনিজন বহু আগে বলে গেছেন যা, তাই
জন্মে কেঁদেছ তুমি হেসেছে ভূবন
গড় জীবন এমন
মরনে হাসবে তুমি
কাঁদবে ভুবন।

৥ছ্যামড়া আমার শুভকামনা কপিপেস্ট করে, আবার নিজেরটাও করে! সময় নেই তো তার, নীলিমা/মেঘপরী কত কি! ছুটে যেতে হয়। :) ধুর এংগরি ইমো দিতে গিয়ে এটা কি দিলাম? তার শত অপরাধেও রাগ করা যে দায়! হাহাহাহা।
হা হা হা হা- অনেক অনেক কৃতার্থ সখি :)

এ মহাজগতে যত তারকা
যত গ্যালাক্সি গণন অগনন রয়-
তারচে বেশি সূখ যেন সখীর ভাগ্যে রয় ;)




০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ফানি দ্যাট ইউ সেইড দ্যাট। আই ওয়াজ একচুয়ালি রাইটিং আ ল্যাব রিপোর্ট হোয়েন আই ওয়াজ রাইটিং ইউ; কাইন্ডা মাল্টিটাস্কিং!
হ্যা তাই। ১০০% নিজের কথা! যাদেরকে ভালোবাসি তাদের দোষ গুন মিলিয়েই ভালোবাসি, সবার কাছে সেই প্রত্যাশাই রাখি।
"না সখি জটিল তত্ত্ব কিছু নয়" এটুকু পরে খুশি হলাম, নিচের প্যারায় ভোগ পুঁজি শুরু হলে মনে মনে বললাম, হেয়ার ইউ গো এগেইন! ;) আমার সখা আমি চিনব না? যাই বোকামতী আমি, বুদ্ধিমান সখার ভাবনা মন মাইস্ক্রোপের নিচে রেখে ল্যাব বিশ্লেষন শুরু করে দেই। :)

অতৃপ্তি তো থাকেই; মনে সর্বদা কিছু পাওয়ার লোভী সুরটা বাজে
সব যে পায়, কিছুই না পাওয়ার বেদনা কেবল তারই যে সাজে!
সুখ কি চেয়েছিলেন না জানতে? বলি তবে শুনুন
অসুখেই সুখ। ভোগ উল্লাসে মেতে অধরাকে ধরার চেষ্টাই সুখের উনুন!

ইহজনমের সকল মায়া করে ত্যাগ সন্যাস নেয় যে সন্যাসি
তার মনও দুনিয়ার চেয়ে শতগুন মোহনীয় স্বর্গ ভোগে আশ্বাসি
মন বসে ভাবতে, তবে কে বেশি ভোগী; সাধারন মানুষ না সেই যোগী?
এ সুখ শুধু নয় মানুষেরই, প্রভুও করেন উপভোগ মানব ও ভোগ লীলাখেলা
চাওয়া পাওয়া বিহীন দুনিয়া হবে যে বড্ড একঘেয়ে; ভোগেই তো চলে সৃষ্টিমেলা!

নিজেকে খোঁজা বেশ কঠিন সখা; খুঁজে খুঁজেও বারবার হারানো হায়!
জীবন নদীর প্রতি স্রোত যে এক নয়, মানুষ পলকেই পাল্টে যায়
কেন শান্ত মোহনীয় নদীতে লাগে হুটহাট ভাংগনের খেলা বারবার
এত ভাংঙনেও কেন সুখী জীবনের স্বপ্ন দেখে ক্লান্ত মনটা না মেনে হার?

জীবন পথচলায় মাঝে সাঝে হাতড়ে মরে মাথা ঠুকে নিজেকে করতে হয় জিগ্যেস
কেন চায় সে অধরাকেই ছুঁতে, অজানাকেই জানতে? কেন এভাবে হয় নিঃশেষ?
মন হয়না কেন সুখি যা সহজ অতি পাওয়া, ধুর ধ্যাত মন বড় বেহায়া!

সখিও সখার মতো; কেউ দু কথা বলে যদি মিষ্টি আন্তিকতায়
সুখের আতিশয্যে, বেঁধে রাখে তারে সকল স্নেহ, মমতায়
ছোট ছোট খুশিতেই নিত্য জীবনের সুখরস আস্বাদন
দুঃখের প্রবল ঢেউ তাই না পারে নদীতে বাজাতে সুর চিরভাংঙন।
মনের কথা এসবই, মিথ্যে নয় একরত্তি; সখার জীবনদর্শেরই পুনরাবৃত্তি!

এই সখা, ও সখা, জানেন করলাম খেয়াল
ভাবনা, দর্শনে আমরা ভীষনভাবে অভিন্ন
এ জনমেও এতমিলে সখা সখির জীবন ধন্য
তবে প্রকাশভংগিতে আছে অনেক তফাৎ সত্য
বোকামতী তো শব্দের মারপ্যাঁচ না জানে এত।

সখা করেছে প্রশ্ন অনেক, সুযোগ সখির এবার
বলুনতো সখা, স্বভাবে দোষ কি কি আপনার?
কি করে আপনজন, পরিচিতদের ভীষন অতিষ্ঠ, বিরক্ত
এমন কি কিছু আছে মধ্যে নিজের, যা করতে চান পরিবর্তিত??

ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রশ্নের মতো নিজের ভালোকে খারাপের আদলে বলবেন না কিন্তু, সখির কাছে বলা যায় সবতো। :)

ছ্যামড়া শুভকামনাও কবিতায় লেখে! হায় আল্লাহ! এ ছেলেতো স্বাভাবিক কথা ভুলেই গিয়েছে! :) সখা ভুললেও সখি ভোলেনি।
আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করি, ভালোমানুষটাকে যেন অনেক ভালো রাখে। বেশী ভাবুক, আবেগী মনটা কষ্ট যেন না পায় কারো কাছে। শুভকামনা!

৩৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইরে সেরেছে
এইবার সখি মেরেছে ;)

নিজের দোষ নিজে কে গেয়েছে কবে?
সখি আমায় ফেলল কি কঠিন কাজে ভবে!! :)

ওকে তবে আয়না মহল সাজাই আপন মনে
সেই মহলে দেখে আপনি সাজাই শব্দে আপনে,

দুষ্টু ভারী, সবকিছুেত মজার করার সখ
না বুঝে কেউ মাঝে মাঝে পায় মনে দু:খ;
সবসময়ে হাসি দেখে বলে দুর্জনে
ন্যাকা নাকি ফ্যাকফ্যাক হাসে সর্বক্ষনে :)

ঘুম কাতুরে ছিলাম বটে এখন একটু কম
সুযোগ পেলে ছাড়তে না চাই- থাকিনা আরেকটু সম'
মূখের উপর বিল কথা-তাতে অনেকেই নাখোশ
কি করব সব সময় তবু থাকেনা ঠিক হুম ;)

হঠাৎ রাগের দোষটা ছিল আগে অনেক বেশি
এখন দয়াল সাইজ করেছেন চেষ্টায় বাঁধি রশি :)
তবু ধৈর্য ভেঙ্গে গেলে হয়যে ভীষন রাগ
আবার একটু সরি বললে-খুশিেত বাগবাগ :)

দরিদ্র নই দারিদ্রকে ভীষণ ভালবাসি
বলতে পারো দোষ এটাও কিংবা ফেলাসী ;)
বিশ্বাস করি সহজেই এটা বড় দোষ
কত খেলাম ঠকা তবু হলনাযে হুশ !!!

ভালবাসী সকল সুন্দর কবি মনে হাসি
সমাজে মন্দ বলে- লোকটা লুল ছি ছি;)
নজরুল রবি গানলিখে যায় সুন্দর বন্ধনায়
আমি তোমার পানে চাইলে কেন বকা খাই ;)

ঘাম ছুটার ইমো কই?????

হা হা হা । উরিব্বাস ! আর না! এইবার সখি কর আপনা বন্ধনা! বিষয় কিন্তু ভিন্ন না ;)



বৃষ্টিতে ঝড়ে যত জল
রহম করম ঝড়ুক
তারচে বেশি -
সখিসনে অবিরল :)



০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কে? কে বলে, আমার সখার হাসিকে ন্যাকা?
কত মিষ্টি, মধুর একদম কাকের কা কা! :D ;)
কেন বকা খাবেন না? নজর যে বড় নির্লজ্জ, বেহায়া
দুষ্টু বটে আপনি! পূর্বজন্মে ছিল ডাকনাম সখির দেওয়া! ;)

দোষ ভুল থাকুক হাজার, সখির একটা অনুরোধ রাখবেন সখা (মনচোরা)
আজীবন, সর্বদা থাকবেন এমনি, আন্তরিক, হাসিখুশি, মায়াকাড়া।

এইবার সখি কর আপনা বন্ধনা! বিষয় কিন্তু ভিন্ন না
এইরে! আমার তীর আমার দিকে আসবে তেড়ে
ভাবা ছিল উচিৎ প্রশ্নটি করার আগে; এখন কি যে করি...
সখা ("দুষ্টু" :) ) তো ছাড়বেনা; নাম নিয়ে প্রভুর লেগে পরি
শুনুন তবে সখির দোষ, ত্রুটি সকল ধৈর্য্য ধরে!

গান শুনতে করি ভীষন পছন্দ; একই গান শুনি হয়ত শতবার
আমি পাই আনন্দ, তবে শ্রবনশক্তির পরীক্ষা বাকি সবার!

ইটস মাই ওয়ে অর হাইওয়ে! জেদটা চরম!
মনে মনে করে ফেললে কোন প্রতিজ্ঞা/কসম
কেউ পারেনা টলাতে চেষ্টা করেও হাজার জনম!

রাগিনা সহজে, প্রতীক ধৈর্য্যশক্তির, মগ্ন শান্ত ধ্যান
তবে যদি একবার লেগে যায় রাগ; উরে বাপরে
কি যে হয় বুঝিনা কিছু; মাথার সকল তার যায় ছিড়ে
অন্যমানুষ আমি! পুরোপুরি হারিয়ে ফেলি হিতাহিত জ্ঞান!!!

মনটা একটু বেশিই অনুভূতিপ্রবন, যেন আছে নরম চাদর মুড়িয়ে
আপনজনদের দেওয়া অতি ছোট অবহেলাও দেয় ভেংঙে গুড়িয়ে
কেউ দেয় কষ্ট পাছে, মন দরজা জানালা রাখি আটকে; বদ্ধ নিঃশ্বাস
সামলে চলতে গিয়ে বেশি, অন্তর্মূখী আমি সহজে করিনা কাউকে বিশ্বাস! (সখার বিপরীত)

বোকামতী, পাগলী আরো কতকি
সখির দোষ, ত্রুটির শেষ আছে কি?
সখা কিভাবে করেছে/করছে সহ্য হাজার জনম
তাই ভাবি ধন্য জীবন; অতি সুখে কৃতজ্ঞতায় পরম!

নিন এবারে টার্ন সখার; সখির জন্যে কঠিন ছুড়ে প্রশ্নবান
নিতে পারেন প্রতিশোধ মধুর; সখির দেওয়া সুযোগ, আহ্বান! :)

তারা, বৃষ্টি, এবারে কি? দাড়ান আপনাকে আইডিয়া দিয়ে দেই। মহাসমুদ্রে আছে যত নুড়িপাথর সখি তত.... হাহা। ও ম্যান, হোয়াই এম আই ইন সাচ আ টিজিং মুড টুনাইট? জাস্ট মেসিং উইথ ইয়া! :)

আপনার দোষগুলো এমনি ছোট ইন্নোসেন্ট থাকুক। জীবনে আর কিছু পান না পান, ভালোমানুষ হয়ে সবার ভালোবাসা পান সে কামনাই করি। সদা সর্বদা ভালো থাকুন।

৩৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিন এবারে টার্ন সখার; সখির জন্যে কঠিন ছুড়ে প্রশ্নবান
নিতে পারেন প্রতিশোধ মধুর; সখির দেওয়া সুযোগ, আহ্বান! :)

সেকি সেকি সখা-সখিতে আবার শোধ প্রতিশোধ কোথা
হেথা চির ভালবাসা-বাসী হংস-মিথুন যথা :)
হবে বিনিময় ভাবের মতের চিন্তার চেতনার
জয় পরাজয় নাই হেথা সবই বিকাশ পূর্নতার :)

ইচ্ছে যত স্বপ্নের মত, জন্মে মনের আতুর ঘরে
আহা যদি হত পূরণ -আলাদিনের জিনির মতো করে,
উইশ পূরনের প্রতিশ্রুতি যদি দিত কখনো জিনি
উইশে চাইতাম সখির সূখ নিত্য রিনিঝিনি!

বলবে ফ্লার্ট! নিছক ভাবালু আশিক ! মোটেই তা নয়
আমি জানি সখির হৃদয় মানবতার কথা কয়! ;)
তারইচ্ছায় মানবতার হবেই জানি জয়
তাই এক ইচ্ছেতেই সব পূর্ণ হয়েও হাতেরয় বাকী দুই ;)

মানুষে মানুষে রবেনা ভেদাভেদ
আসবে কবে সেদিন
সদা ভাবনায় মন ভরে রয়
প্রার্থনা অমলিন!

স্বপ্ন দেখি ছবির মতো সাজানো সকল গ্রাম
প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত সবে আলোকিত অবিরাম;
নারী-পুরুষে নাই ভেদ কোথা সকলেই পাশাপাশি
নিরাপদ শিশু শৈশব যেন দূরন্ত হাসিখুশি:)

ক্ষুধায় কাতর নেই কোন লোক নেই কোন শিশুশ্রম
ইউটোপিয়া বলে হেসোনা সখি বলোনা সখার ভ্রম:)
এমন কল্যান রাষ্ট্র বলো নেইকি এই ভুবনে
তুমিতো আছো তেমনি দেশে যেন স্বর্গ চলতি ভুবনে!

সূজলা সুফলা সোনার বাংলায় কত বেশি সম্ভবাবনা
কেবলই কিছু মন্দ লোকের কারণেই কিছু হয়না!!
অথচ কত বেশিজনা বলো আত জনতার মাঝে
নিজেরেই নিজে চেনেনা বলেই কষ্টে সকাল সাঝে!!

ভবে যত পথ সকল রথে ভাল মানুষেরা এলে
নিশ্চয়ই বদলে যাবে সময় বলছি জেনেই,নয় ভূলে!
লেখনি, মুভি, ধারনা, চেতনা চেষ্টা যত প্রকার
সবে দিতে হবে যে যার থেকে যত ছোট হোক আকার!

নিজের স্বপ্ন ! সেতো বিশাল মহাকাশো ছোট মনে হয়
শুধু সখির জন্যেই চাই বুঝি আরো মিল্কিওয়ে গোটা ছয় ;)
কিংবা অনুতে পারবেকি যেতে আর কিছু নাহি চাই
শুধু তুমি আমি পাশাপাশি থাকার স্থানটাই চাই ;)

স্বপ্ন দেখার স্বপ্নটাও বুঝি আজো ধারনায় নেই
তাইতো কেবলই ভাবনার ঘেরে বন্দী স্বপ্নেরাই।
মিল্কি ওয়েতে তোমার বাগান তারাদের ফুলে ছাওয়া
এঞ্জেল সেথা প্রজাপতি সম উড়ে উড়ে দেয় হাওয়া ;)
শত বর্ষ পথ চোখর পলকে তোমাকে নিয়ে যাই উড়ে
এন্ড্রোমিনা হুশ করে পাশ কাটিয়ে সখির আপন দেশে :)

সুগন্ধ সুরভিত দেহের সাগরে দেহাতীত আলিঙ্গন
শত আলোকবর্ষ দূরে থেকেও হৃদয়ে হৃদয়ে আলাপন :)
আঙুলের ডগা ছুয়ে গেলে যেন সব কথা বলা হয়ে যায়
আলোর নাচনে তরঙ্গ সম দুজনেই ভেসে যাই :)

উরিব্বাস ! স্বপ্নে হারিয়ে স্বপ্নের মাঝে স্বপ্ন গেছে হারিয়ে
এবার ক্ষান্ত ফিরে এনু ব্লগে দেই তোমা খেই ধরিয়ে;
সখি এবার স্বপ্ন দেখো দেখাও সকলে
স্বপ্নেই যেন লুকানো সে বীজ যা ফুটবে এককালে :)


সখি নিশ্চিন্তে স্বপ্ন বয়ান করো। আমাদের মালে মাল মুহিত সাহেব এখনো স্বপ্ন দেখায় কোন ট্যাক্স বসাননি। তাই যত পার দেখে নাও বলে নাও ;) কে জানে কবে আবার এই খাতও চোখে পড়ে যায় - হা হা হা ;)

সখির স্বপ্ন শুনবো এবার
দোয়া সাথে শুভকমনার
মহাসমুদ্রে আছে যত নুরি পাথর
সখির সনে শুভ কামনায় কাটুক তত প্রহর ;)






০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বলবে ফ্লার্ট! নিছক ভাবালু আশিক ! মোটেই তা নয়
না না ফ্লার্ট, আশিক কেন যাব বলতে? নেই তো কোন কারন
কি আর এমন লিখেছেন আপনি, যার জন্যে লাগবে বকা বারন?

ব্যাস এই তো, আপনার ব্যক্তি স্বপ্নের পুরোটাই আমাকে জুড়ে
মিল্কিওয়েতে স্বপ্নের সাজানো ভুবনে পাশাপাশি স্থান, উড়ে উড়ে
আর কি যেন বলেছিলেন সখা, ও হ্যা, ভালোবাসা বাসি হংসমিথুন
আলিঙ্গন, হৃদয়ে হৃদয়ে আলাপন, ভেসে যাওয়া আলোর নাচন
এন্ড নান অফ দ্যা এভোব ইজ ফ্লার্টিং!
তো সখা কোনটা ফ্লার্টিং সেটাও শিখিয়ে দিন! ;) :D

(জাস্ট কিডিং! আই নো ইউ ওয়েআর টুুূুউ জোকিং! ডিডন্ট টেক ইট এজ ফ্লার্টিং। স্বপ্নকথনে চলে যাই, হাসিঠাট্টা হলো অনেক।)

বলেছিলাম আগেই সখার স্বদেশ স্বপ্ন জ্বলছে সখিরও মনে
সবচেয়ে শক্তিশালি, বড়লোক নাইবা হলাম; বেশি কিছু চাইনে!
ব্যাস ইশ্বর করুন সকল জনগোষ্ঠিকে শুধু মৌলিক চাহিদাগুলো দান
অক্ষরজ্ঞান হবে ১০০ ভাগ, নারী পুরুষ সবার অধিকার সমান সমান।

পথশিশু! উফফ কি নিষ্ঠুর দুনিয়া! সব যাবে পাল্টে কোন যাদুকাঠির জিয়ন
কোন বাচ্চা বলবেনা "আম্মা দুইডা টাহা দেন, সারাদিন কিছু নাই খাওন!"

দুর্নীতি, দূর্যোগ শব্দগুলো থাকবে শুধু পাতায় অভিধান
গার্মেন্টস চলুক যতোই, দেশটা আমার কৃষিপ্রধান
যারা জোগায় অন্ন পুরো জাতিকে, তাদেরই চুলোয় চাল নেই
একদিন বিশ্ব কৃষি প্রযুক্তির সাথে চলব আমরা তালমিলিয়ে!

আরো ছোট কিছু স্বপ্ন; পূরন না হলেও চলে,
তবে যদি হয়ে যায় তবে পাই সাত রাজার ধন
আরো গোটা খানেক নোবেল, কোনদিন প্রথম অস্কার
অলিম্পিকে নিত্য হবে লাল সবুজের জয়জয়কার
ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপটা তো চায়ই চায় লোভী মন!

জানি সাফল্য সিড়ি চড়তে লাগে অনেকসময়; দেশটা নবীন বেশ
হয়ত বেঁচে থাকতে থাকতে পারবনা দেখে যেতে অনেককিছুই
তবে মৃত্যুর পরেও কবির মতো এ বাংলায় ফিরে আসতে চাই
দু চোখ ভরে দেখব সুখি, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এক স্বদেশ; বাংলাদেশ!!!

না এ সব স্বপ্নের আবির্ভাবি কারন প্রবাসি আবেগ নয়
যবে থেকে ছোট্ট আমি বুঝেছিলাম দেশটা আমার
জ্বালিয়ে ছিলাম মনে স্বপ্ন মশাল হাজার হাজার!

ব্যক্তি স্বপ্ন? নেইরে! সত্যিই নেই।
যা হবার হবে, যা পাবার পাব, যা হারানোর তা তো...
হাজার স্বপ্ন সাজিয়ে, হয়ে অসহায়, চাইনা দেখতে স্বপ্ন ভাংঙন
যদি লিখে থাকেন ব্যাথা ভাগ্যবিধাতা, দেবেন সহ্যশক্তি স্বয়ং
এমনিও প্রানবন্ধু সাথে যার শতজনমের বাঁধন,
সেই যখন পাশে কি আর চাইতে পারে মন?
নিজেকে ভুলে পূর্ণ, নিত্য শুধু প্রার্থনারত তার সুখে হ্রদয় আপন।

ও সখা, ফ্লার্টিং কি নয় তা শিখিয়েছিলেন না আমাকে? আপনার ওপরে এপ্লাই করলাম। লাস্ট তিন লাইন একদমই ফ্লার্টিং ছিলনা। আমি কত ভালো ছাত্রী দেখুন তো! :D ;) :)

বাবাহ! এই কমেন্টটি লিখতে গিয়ে ভীষনরকম মুড সুইং হয়েছে। প্রথমে হেসে কুটিপাটি, মাঝে আবেগী, আর শেষটা মিলেমিশে!

ওকে আই এম ডান, ইটস সখা'স টার্ন!
করুন প্রশ্ন মনখুলে, বললাম না আর প্রতিশোধ যান
ব্যাস হোক ভাব বিনিময় চিন্তা, চেতনা, জ্ঞান! :)

মহাসমুদ্রে আছে যত নুরি পাথর
সখির সনে শুভ কামনায় কাটুক তত প্রহর ;)

হাহা, আই স দ্যাট কামিং!

আপনি অনেক অনেক সুখি থাকুন। আর সবাইকে সুখে রাখুন। শুভকামনা!

৩৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যাস্ততায় কেটে গেল একটি দিন
সখি সনে হয়নি কথা মন বেচইন ;)
গাল ফুলিয়ে রাগ করে কি সখি আড়ে চায়
সরি বলে সখা দেখো আকুল - মান ভাঙাতে হায় :)

কেমন গেল দিন সখি? কাল দারুন উত্তর কাব্য দেখেছি । মুগ্ধ হয়েছি। লেখনিতে সেকি ধার.. দিল করে আর-পার ;)
এমনিও প্রানবন্ধু সাথে যার শতজনমের বাঁধন,
সেই যখন পাশে কি আর চাইতে পারে মন? :)

মুগাম্বো খূশ হুয়া =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

নারী নিয়ে কত কথা নারী কত রুপে ভাবনায়
কন্যা জায়া জননী নারী কত রুপ খেলে তায়;
নারী ভোগ্যা পূজ্যা নারী প্রেম নারী অবেহলায়
জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর চেতনায় ব্যবধান রচে যায়।।

আমি দেখি নারী এক ইশ্বরের ত্রিগুনাধার
ধারন, লালন, পালন বিস্ময়ের সমাহার।
শ্রদ্ধা, প্রেম আর প্রণয়ের বিভুতি
জানাই নিত্য তাই নারীতে প্রণতি।

কোমল কঠোর নারী সময়ে পাষানী
সোহাগী আদুরী আবার কভু সংহারিনী;
নারী নিজেই জানেনা তার আসল স্ব-রুপ
যেদিন যায় জেনে সেই রুপ অপরুপ-

অপ্রতিরোধ্য নারী অনন্য কারিগর
সতত সালাম তারে ভাগবান রুপধর।

আটপৌড়ে সাধারন নেই আলোচনায়
অতি সাধারন দোষগুনে বিরাজে ভবে তায়
পুরুষও যেমন নারীও তেমন ষড়রিপু কামনায়
তাতেই ডুবে রয় বেহুশ অচেতন কেবা সে খবর লয়।

অনন্য যারা জ্ঞান আর কর্ম গুনে
তারেই ধরনী রাখে চিরদিন মনে।

সখির চোখে পুরুষ ধারনা এবারে জানতে চাই
আপ-স্বরুপে ভাবনায় কেমন সকলেই জানি তায়।

অনেক অনেক অনেক অনেক শুভকমানা :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা অনেকসময় গান দিয়ে শুরু করেন, আমি এভাবে ভাবছিলাম না, তবে সখার শুরুর কলাইনে পারফেক্ট সিচুয়েশনাল গান পেয়ে গিয়েছি। হাহা। শুরু করি তবে।

তুমি এসেছিলে পরশু কাল কেন আসোনি?
তুমি কি আমায় বন্ধু কাল ভালবাসনি?
নদী যদি হয়রে ভরাট কানায় কানায়
হয়ে গেলে শূন্য হঠাৎ তাকে কি মানায়
তুমি কি আমায় বন্ধু কাল মনে রাখ নি?

আড়ি নিয়ে বিরহ যন্ত্রনা চাইনে বাড়াতে; তবে ক্ষমা করতে গেছে বয়ে!
বলুনতো সখা, শুনি একবার, কোন ব্যস্ততা জরুরি বেশি সখির চেয়ে?
ইশ! মান ভাংঙানোর কি ছিড়ি! শুধু শুকনো সরি?
কোথায় আমার তাঁতের শাড়ি, লালরংঙা রেশমি চুড়ি??? X(( ;) :)

সখার মুগ্ধতায় প্রীত, তবে মুগ্ধতার পরিমান বেশি আমারই। আপনার নারী ভাবনা ও এর প্রকাশ মুগ্ধ করল।
দিন পড়াশোনার ব্যস্ততায় ভালোয় মন্দে কেটেই যায়। আপনার দিন কেমন ছিল?

আসল কথায় যাই, পুরুষ ভাবনা!!! আপনি কঠিন প্রশ্ন করেছেন বা বলা চলে ভীষন সহজ প্রশ্ন করেছেন, কিন্তু সহজ উত্তরটির প্রকাশ কঠিন। আমাকে জীবনে কেউ এমন প্রশ্ন করেনি। হয়ত কোন ছেলে জিজ্ঞেস করেছে তাকে কিভাবে দেখি, আই মিন প্রপোজ এন্ড স্ট্যাফ! কিন্তু ওভারঅল পুরুষ ভাবনা!! হুমমম দিস ইজ আ নিউ ওয়ান! লেটস গেট স্টার্টেড।

কথায় বলে নারীর নাকি রূপ হাজার
তবে পুরুষও কিন্তু যায় না কম
এক পুরুষ জাতে কত রূপ, কত রং!!

পুরুষ! মানুষ হয়েও যেন অমানুষের আরেক রূপ!
লালসায় হয়ে বন্য; নারীর শরীর, হায় শুধু শরীর চায়
জোর করে খুবলে খামচে জানোয়ারের হামলায়।
সেই পুরুষই পিতা! স্নেহ, দয়া, মায়ার আধার
কোলে নিয়ে শিশুকন্যাকে লুটায় সাগর মমতার।

পুরুষ প্রতীক শক্তির, বীর! বলবান, উদ্যমী, সাহসী
স্রষ্টার কাঠপুতুল, সেই পুরুষই নিদারুন অসহায়!
কষ্টে, যন্ত্রণায় মন পাথর তবু কাঁদতে না পারে হায়
সে যে শক্ত, মজবুত স্তম্ভ; টলে গেলে দুনিয়া হবে বিনাশী।

পুরুষ! দুনিয়ায় আগমন তার হয়ে নারীর অংশ মাস নয়
হায় সেই করে খুন কন্যাকে লজ্জায়, সংগীনিকে যৌতুকের দায়ে
আবার পুরুষই যুগে যুগে নিয়ে গিয়েছে নারীকে অন্য উচ্চতায়
সতীদাহ প্রথা নিরসন, বিধবা বিবাহ প্রচলন হয়েছে তারই চেষ্টায়!

সাহিত্যে, কাব্যে, সংগীতে, চিত্রে নারী সবখানেই করে বিরাজ; পুরুষের চিত্তে, চিন্তায়
হতে পারে ক্ষয়, জ্বলে পুড়ে ছাড়; আবেগী প্রেমিক, নিঃস্বার্থ পাগলামী ভালোবাসায়!

পুরুষ!!!
কাপুরুষ/বীর, যোগী/ভোগী, স্নেহ আধার/শিমার, প্রেমিক/যোদ্ধা,
মহাপুরুষ/নরপশু, প্রশান্ত/উন্মত্ত, আশ্রয়/অসহায়, সরল/বোদ্ধা,
হায় এক পুরুষ জাতে নিহিত সবই, তবে কিছুই যেন নয়
জীবনযুদ্ধে হয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত, নারীর কাছেই এসে চায় আশ্রয়!
সখাও ব্যস্ত দিনের ক্লান্তি ভোলে সখির কাছে ফিরে, হয়ে সখিময়! :) :D ;)

এই ছিল উত্তর, এবারে করুন নতুন প্রশ্ন চয়ন
সখার মতো তার প্রশ্নও বড়ই দূর্লভ রতন
যেন ছেঁকে নিয়ে জানা সখির মন!

আপনার ব্যস্ততাভরা দিনগুলোও অনেক ভালো কাটুক। আল্লাহ সকল কাজে সফলতা দিক। অনেক ভালো থাকুন।

৪০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাঁতের শাড়ি, লালরংঙা রেশমি চুড়ি???
এই এনেছি নাও ভাঙ মনের আড়ি
চল চল চল এবার আপন বাড়ী
মান করেনা লক্ষী সোনা মিষ্টি ভারী ;)

:)

হুম সখি দারুন হল জানা
সখির পুরুষ ভাবনা
খোলা নয়ন খোলা যে মন
ভিষন সচেতন; না!
:)

যেখানেই যাও যতদূরে
মন পড়ে রবেই শেকড়ে
এই পলিমাটি এই মায়া
যায়না ভোলা কখনো যাবেনা।

ভাল লাগা : আজকরে বিষয়

ভাল লাগা বড় ভাল লাগে
ভালটা আছে যে আগে;)

লাল গোলাপের মিষ্টি সুবাস
হাস্নাহেনা যেন অবশ আবেশ
কাঠাল চাপার মিষ্টি ঘ্রানে
সন্ধ্যামালতীর সন্ধ্যা নাম।।

ভাললাগে কিশোরী ধানী সবুজ
গোলাপীতে মন চঞ্চল
রাঙা ঠোটে লাল -হৃদয় মাতাল
কাজল কাল চোখে গহীন অতল।।

কফি হাউজের আড্ডাটা
চির সবুজ করে মন
পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন
যত শুনি মন উন্মন!

পুরোনো দিনে যত চির সবুজ গান
যত শুনি তত ভাল লাগে-হয়না কখনো পুরান;
সময়ের বাঁধা পেরিয়ে যায় যতকথা যতগান
ভাল লাগে তাই -ভাষা ভেদহীন চির অম্লান।।

ভাল লাগে প্রার্থনা, ইবাদত, আপনা সন্ধান
গৎ-বাঁধা নয় অনুসন্ধানী যাতে আছে প্রাণ :)
নিরবে নিভৃতে আপনারে লয়ে আপনি ধ্যান
মোরাকাবা কিংবা সেএক গভীর মেডিটেশন।


প্রিয় ফুল প্রিয় রং, প্রিয় গান, প্রিয় কাজ
আপাতত এই থাকুক আজ
সখী বলুক আজ হৃদয় খুলে
ভাবনার ডানা দিক অনন্তে মেলে :)


সকল কিছুর ফাঁকে
ভাবনায় জেগে থাকে
কি জানি কি লিখল সখি/সখা
আজো এখনো হয়নি দেখা ;)

সৃষ্টির নেশায় বেশ করেছে বশ -সুজন
জানিনা পরিণাম রচে যাই আপনমনে দুজন :)

কেমন কাটল দিন? হাজারো ব্যাস্ততার ফাঁকে সাথে থাকায় কৃতজ্ঞতা :) সকল শুভ আর কল্যান বর্ষন করুন রব বৃষ্টির মতন।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চার বছর অন এন্ড অফ ব্লগিং করে বিভিন্ন ব্লগারের নানা কঠোর সমালোচনা, অকল্পনীয় প্রশংসা পেয়েছি। রিয়েল লাইফে আমার কারো সাথে খারাপ সম্পর্ক নেই, কিন্তু ব্লগের কল্যানে সেটাও হয়েছে। আবার ভীষন সুইট আন্তরিকতাও যেমন আসল নেইমে ব্লগিং করিনা বলে ডাকার সুবিধার জন্যে অনেকেই সুন্দর সুন্দর নামও দিয়েছেন। অনেককিছু দেখেছি, শুনেছি। এতকিছুর মধ্যে "লক্ষী সোনা মিষ্টি ভারী" এটা শোনাই বাকি ছিল ব্লগে, আই হ্যাভ সিন এভরিথিং নাও! আমি বোধহয় ৫ মিনিট ননস্টপ হেসে গিয়েছি। আপনি লিখতে লিখতেও অনেক হাসেন না? হাহা। ও বাপের বাড়ি ছাড়াও আমার একটা আপন বাড়ি আছে সেটা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। এডরেসটাও জানিয়ে দিন, তবেই না যেতে পারব! :) সখা যখন প্রিয়গুলো শেয়ার করল, আমিও করি।

পথের ধারে ফুটে থাকা বুনো ঘ্রান মাখা ফুলগুলো অনাদরে, অযত্মে
ইশ! মায়া লাগে ভীষন, হাত বুলিয়ে আসতে না ভুলি পথ চলতে চলতে,
নীল আকাশছোঁয়া টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া, যেন প্রেম আগুন জ্বালায় গগনে
ইশ! আমায় যদি ধার দিত একটু রং, পা পাতা রাংঙাতাম আলতাতে।

সুরময় যদি হয় ভুবন, কি আর চাইতে পারে জীবন? গান শুনতে পছন্দ করি অনেক
রবীন্দ্র/নজরুল, লালন/হাসন, ফোক/পপ, ব্যান্ড/পল্লী, বাউল/রক, সিনেমা/আধুনিক
যদি থাকে সুর তাল লয়, মন ছুঁয়ে যায় পংক্তিমালা, তবে হয় গান শোনা অজস্র অধিক।

(সখা কি পুরোন দিনের গানই বেশি শোনেন? অন্যকিছু শোনা হয়ে ওঠেনা?)

রং! বিশেষ বিশেষ রং বিশেষ কারনে লাগে ভালো
লাল/নীল রংয়ের টিপ, গাড়ো কৃষ্ণ কালো কাজল!
কচিকলাপাতা রংয়ের ঘাসময় সোদা মাটির গন্ধে মন চঞ্চল!
লাগে বেশ, কনে দেখা দিনের মায়াবী কমলাটে সূর্য আলো!

কনে দেখা দিন কি আপনি জানেনই হয়ত। তাও বলি। এ দিনে পুরো আকাশ বাতাস কেমন যেন কোমল লাল কমলা রংয়ে ভরে যায়। বলা হয়ে থাকে সেই আলোতে যেকোন মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগে, কনে দেখতে হলে তখনই দেখা উচিৎ। :)

প্রিয় কাজ আর কি? 
সখার সাথে কাব্যকথন, মান অভিমান, খুনসুটি!
প্রিয় এতই যে শত জনমেও এ বন্ধন না পায় ছুটি। :) ;)
এক মানব জাতির কত রূপ, রং, সংস্কৃতি
বৈচিত্র্যের মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে খোঁজার নেশা হিরেমতি
নিজেকে খুঁজতে, জানতে একসময় লাগত ভালো সখারই মতো
স্রোতের তোপে বারবার হারিয়ে, নদীতে ধরে ভাংঙন আজ বড্ড ক্লান্ত!

পরিনাম ঢের আছে জানা, বন্ধন এ জনম জনমের পুনরাবৃত্তি ;) :D
বিধাতার লেখা কেও না পারে খন্ডাতে, মিথ্যে নয় একরত্তি!
এবারে সখার আপনমন কি জানতে, জানাতে চায়
সখির আপনমন তাই শুধু ভেবে যায়!

এই ছেলে, আমি যে দিন কেমন ছিল জিজ্ঞেস করলাম চোখে পরেনা? উত্তর দেননি কেন? এই মান ভাংঙাতে আবার টিপের পাতা কিনতে ছুটতে হবে। হাহা। নো সিরিয়াসলি হাও ওয়াজ ইওর ডে?
আমার দিন? যেদিন জিগ্যেস করেছিলেন সেদিন আমার একইদিনে দুটো মিডটার্ম+সকাল থেকে বিকেল ক্লাস। ইউ ক্যান ইমাজিন হাও ব্যাড ইট ওয়াজ! টুডে ওয়াজ বেটার। থ্যান্কস ফর আস্কিং। 
আচ্ছা আপনাকে পুরোন দিনের একটা গান শুনতে দিয়ে আমি ঘুমোতে গেলাম। হ্যাভ আ গ্রেইট রেস্ট অফ দ্যা ডে!  :)

৪১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সখি হাসে প্রানখুলে
সখা যায় সব ভুলে
দুদিনে শতবার এসে
ঘুরে যত কষ্ট; সব পিছু ফেলে :)

ও বাপের বাড়ি ছাড়াও আমার একটা আপন বাড়ি আছে সেটা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। এডরেসটাও জানিয়ে দিন, তবেই না যেতে পারব!
হায় একি শোনালে সখি
ভুলে গেছো নিজের বাড়ী? এ দু:খ কোথায় রাখি ;) :) :)


অসাধারন মনের প্রকাশ সখ, স্বপ্ন আর ভালবাসায়
সত্যি অনন্য সখি জ্ঞান, বোধ আর চেতনায় :)

এই মেয়ে বোঝনা কেন- এত্ত এত্ত ভাললাগা দাও ছড়ায় কাব্যে নিজের কথাই যে ভুলে যাই ;) মান ভাঙাতে -
টিপের পাতা কেন- আকাশের তারায়
বানাব খোপার ফুল,
চাঁদের টিপ দেব কপোলে
তবুও কি সখি রবে মান করে?
যাবেনা অভিমান ভুলে!! :)

অনেক মজা হল এবার দুয়ার খোল
ছড়ায় ছড়ায় এবার তবে মুক্তির পথ বলো;
প্রথমত হোক হৃদয় মুক্ত জ্ঞানের আলোয় ভরে
তারপর হোক মুক্ত ধর্ম -প্রকৃত প্রকৃতির তরে

মানুষের জন্যে যত ভাবনা যত আয়োজন ভবে
তারপরও কেন এই মানুষেরাই এত কষ্ট করে?
ভালবাসা বললেই কেন হাসে মন কেন কাম স্বপ্নে ভাসে
মানবতার জন্য যে বিশাল প্রেম সে কথা ভুলে যায় শেষে!!!


(সখা কি পুরোন দিনের গানই বেশি শোনেন? অন্যকিছু শোনা হয়ে ওঠেনা?)
সময়ের বাঁধা পেরিয়ে যায় যতকথা যতগান
ভাল লাগে তাই -ভাষা ভেদহীন চির অম্লান।।

আত্মায়নায় চেয়ে বলতো সখি
কি তোমার স্বপ্ন ভবিষ্যতের
দায়সারা নয় মনের গভীরে
লালন যে স্বপ্নের;)

ব্যক্তি জীবন প্রেম, সন্তান
এতো প্রকৃতির বিধান
এর বাইরে মানুষ স্বত্তার
স্বপ্ন কি হবার - করার।।

কবিতার ভুবনে আহবান সখি
বেড়াতে ছড়ায় লেখা-লেখিতে
+১ ৬৪৬ ২৭০-৫২০১
হোয়াট্এপসে এড করে নিয়ে ;) :)

পুরানো দিনের গান খানা সেই
মনকে করে আনচান
আহা আহা কি স্বপ্ন কথন
ভ্রমর করে গুঞ্জন ! :)

সিরিজটা মিস করছি! ফাঁকে ফাঁকে অল্প করে দিলেও অনেকেই খুশি হবে। সবার পক্ষ থেকে সখির কাছে একটু কষ্টের আব্দার- সিরিজটা আবার শুরু করবার :)
ভাল থেকো। সুস্থ থেকো। সবসময় জনম জনম! :)




১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দুদিনে শতবার এসে
ঘুরে যত কষ্ট; সব পিছু ফেলে :)

ওওও! আপনার আন্তরিক কথায় মন ভরে যায়, মাথানত কৃতজ্ঞতা!

বারেহ! সে জন্মের বাড়ির ঠিকানা কি একই আছে আর?
কাল, স্থান বদলেছে! ব্যাস বদলায়নি বন্ধুতা সখি সখার! :)

বাপরে বাপ! রোমান্সের বহর দেখ! আপনি পারেনও। আমি খিলখিল করে হাসতে হাসতে শেষ। সখি অবশ্যই অভিমান করে থাকবে। কামঅন ম্যান! আপনি এখনো আমাকে বলেননি দিন কেমন ছিল? অদ্ভুত তো এই ছেলে!
আচ্ছা এটার উত্তরে কি কাব্য করা যায়? হুমম..

এই ছেলে কেন বোঝেনা? চাইনে মেয়েটি আকাশের চাঁদ, তারা
তার আঁখি তারায় খুঁজে নিজেকে, চায় হতে মাতাল, দিশেহারা
সোহাগ করে যে, মান শাষন সাজে তারই কেবল
হাতটি ধরে গাল টিপে দিলেই ভুলব অভিমান সকল! ;)

কমেন্ট্রি: হোয়াট আ সিক্সার! সখার দূর্দান্ত বলটি সখির ব্যাটে চোখের পলকেই একদম মাঠের বাইরে! :D :) ;)

উফফ, ফাজলামি অনেক করেছি। সখা সখির কাব্যকথন যে আত্ম অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য নিয়ে হয়, সেই আসল উদ্দেশ্যে ফিরে যাই।

পাগল সখা! মানুষের জন্যে নয় তো কোন আয়োজন
সৃষ্টির সবই স্রষ্টার রচে যাওয়া খেলা, নিত্য বিনোদন
আমরা ব্যাস তার হাতের কাঠপুতুল বা মঞ্চ নাটকের পাত্র পাত্রী
অভিনয়ের মান করবে নির্ণয়, ওপারে ফার্স্ট না সেকেন্ড ক্লাস যাত্রী?

হাহা, এ তো বিধাতারই তৈরি নিয়ম চালাতে জগৎসংসার
নর নারীর প্রেমই তো মানবপ্রজন্ম বয়ে নিয়ে যায়
এ ভাবনা যদি না হয় তীব্র, এ অনুভূতি যদি নাই মন ভোলায়
তবে না থাকবে অস্তিত্ব মানবের, না তারই হিতের ভীত মানবতার!

দেখেছেন সখা? আমরা কত আলাদা মানুষ হিসেবে? আপনি বিদ্রোহী, সবকিছুতে প্রশ্ন! আর আমি মেনে নেই দুনিয়ার নিয়ম এমনই, এভাবেই চলতে থাকবে সবকিছু!

স্বপ্ন নেই তেমন বলেছি আগেই
ভাগ্যবিধাতা যা করেন মাথা পেতে নেই
জীবনে ছোট অনেক ইচ্ছে, স্বপ্নও; যখন ভেংঙে পরে তাস ঘর সম
স্রষ্টার কাছে দুহাত তুলে কিছু চাইতে করে বারন, অভিমানী মন মম
যা হবার তা চাই না চাই হয়েই যায়,
কেন বাঁধিব খেলাঘর মিছে আশায়?

তবে হ্যা, হওয়ার ইচ্ছায় কিছু বলি শুনুন
মানুষের মতো মানুষ হতে চাই নিয়ে কিছু সদগুন
মনের শক্তি হবে এত যে বিষাদভরা পাহাড় হবে চূর্ণ
আত্নসুখ ভুলে হয়ে নিঃস্বার্থ, অন্যদের জীবন করব সুখ পূর্ণ
ভিন্ন অভিন্ন সকলকে করব সম্মান, সাথে নিয়ে তীব্র আত্মসম্মান বোধ
মনের আশা, ভাবে সদা, স্বদেশের ঋণ একটু যদি করতে পারতাম শোধ!

ওপরে যা বলেছি তা হয়ত জানতে চাননি। আরো একুরেইট কোন ফিউচার প্ল্যান..। নেই, আমি ডে বাই ডে লিভিং অন দ্যা মোমেন্ট মোডে আছি। এই বাঁধনহারা বয়সেই এমন থাকা সম্ভব। পড়াশোনা একবার শেষ হলে আরো ব্রাইটার এন্ড লারজার স্কেলে জীবনকে দেখতে পাব। তখন আপনার প্রশ্নের ঠিক উত্তর জীবন নদীর কোন নৌকা আমাকে দিয়ে যাবে। তবে ভালোমানুষ হতে চাই, সাধ্যমতো মানুষের ভালো করতে চাই।

খুব কাছের মানুষদের কাছেই শুধু আমার ফোন নাম্বার থাকে। মজায় মজায় যতো যাই বলি, উই ডোন্ট নো ইচ আদার ইন পারসন ইন রিয়েল লাইফ। তবে মেইল করলে করতে পারেন। আপনার মেইলটা দিলে, আই উইল ডেফিনিটলি রিপ্লাই ব্যাক! :)

হানি! আই এম সরি! আই কুডন্ট পসিবলি স্টার্ট নাও! ফাইনাল এক্সামস আর নকিং অন মাই ডোর! ডিসেম্বরে উইন্টার ব্রেকে কিছু লিখব হয়ত! আমি পার্টটাইম সিজনাল ব্লগার। নিয়মিত লিখব না সেটা আমার নিয়মিত পাঠকেরা ঠিকই জানেন। আমি ভীষন ভাগ্যবতী। এত ব্রেইক দিয়ে দিয়ে লিখেও, ফিরে অনেক মানুষ পাই আশেপাশে। এজন্যেই তো ব্লগটা এত প্রিয়!
আপনার এত আন্তরিকতার জন্যে আমি ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ আপনাকে অনেক ভালো রাখুন, আমি মনেপ্রানে দোয়া করি।

৪২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন সিক্সারে প্রীত :)

বাপরে বাপ! রোমান্সের বহরে সখিতো ছাড়িয়ে গেল সখারে ;) ব্রাভো! এই না হলে সখা-সখি:)

দেখেছেন সখা? আমরা কত আলাদা মানুষ হিসেবে? আপনি বিদ্রোহী, সবকিছুতে প্রশ্ন! আর আমি মেনে নেই দুনিয়ার নিয়ম এমনই, - না সখি আমরা আলাদা নই। হয়তো আমাদের মুড অফ আস্কিংটাই একটু অন্য মাত্রার!
পাক পাঞ্জাতনের প্রেমের জন্য সখির জন্য আবারো অভিবাদন।
মানুষের বস্তাবদীতায় জ্ঞান সীমিত হয়ে পড়ছে দেখৈ অবাক হই। সাবজেক্টিভ পড়াশোনা অবশ্য একটা বড় কারণ। আর সাথে কথিত ক্যারিয়ার ভিত্তিক ভাবনায় একমূখিতা-ক্রমশ ক্ষুদ্র করে দিচ্ছে জানার পরিধি! আর যাো জানা শোনা পড়া হচ্ছে কেবলই পূজিবাদী সমাজ আর বস্তুভিত্তিক কথিত উন্নয়নের জন্যে!
ফলে আত্মিক শিক্ষাটাও একটা ঘরানায় আটকে যাচ্ছে! অথচ এটা সাম্রগিক হওয়া দরকার সামগ্রীক মানবতার উৎকর্ষের জণ্যই।
তত্ত্বকথা থাক!

এবার সখি বলো দেখি- মানুষ সে কেমন?
হবার কথা ছিল কি? হয়েছে এখন কেমন?
নজরুলে এঁকেছেন মানুষের যেরুপ মানুষ কবিতায়
সেই মানুষের সন্ধান বলো কোথা পাই?

দু'দিনর জন্য ব্যস্ত সবাই অনন্তে বেখবর
নি:শ্বাস বন্ধ হলে সব হচ্ছে মিছে সবাই পর,
তবু দম থাকতে চাইলনা পাশে-ভালবেসে
কতজনায় কাঁদছে কতজনায় বসে আশে!

আমার আমার করে সবাই কেমন আত্মমগ্ন
কিছূই যে নয়রে কারো বোঝে এলে শেষ লগ্ন
তখনতো আর সময় যে নাই মন করে শুধু হায় হায়
সকল শ্রম পন্ড হয়- হায় মানুষ বোঝ তা থাকতে সময়।।

মানবতার সেবায় হও উৎসর্গিত, মানুষের উপরে কিছূ নাই
তোমার আত্মার প্রশান্তি কেবলই তোমারি-মানবের সেবায়;
মহাকালে কত ক্ষুদ্র সময়- হায় তাই নিয়ে কত পেরেশান
শেষ হলে সময় -ফিরে চাই, স্বার্থপরতায় বোঝাই ক্ষন;

মানুষ চাই মান আর হুশ নিয়ে যে মানুষ
আত্মমর্যাদায়, প্রেমে, সেবায়
নিজেরে ভুলে যে নিজেরে খুঁজে পায়
সেইতো মানুষ - সেরা মানবতায়।।

সখির চোখে মানুষ কেমন -এবার বলো!
আর খুব ভাল লাগল সখির এ কথাটা- " তবে ভালোমানুষ হতে চাই, সাধ্যমতো মানুষের ভালো করতে চাই।" আল্লাহ সখির ইচ্ছে পূরণ করুক।
বেশ বুঝেছি দূরের মানুষ ! সখি শুধু স্বপন
কে জানে লাগবে কত জনম হতে সখির আপন;)
ঐটা আমার নাম্বার না সখি আমাদের গ্রুপ এডমিন বুবু আপুর নাম্বার! উনি আমেরিকায় থাকেন। কবিতার ভুবন গ্রুপ করেছেন। যারা লেখছি কাছের জানাশোনা তাদের নিয়েই শুরু হচ্ছে। সেই হিসাবেই বলা!
ভাল থেকো সখি সূখে থেকো জনমজনম- শুভকামনা নিরন্তর সখার থাকে যেমন। :)






১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইয়াহ আই থট সো। অন্তর্মুখী সখা নিজের নাম্বার দেবে, আর কমেন্ট ডিলিটও করতে বলেনি। তা হয়না! আমি এত প্রিয় ব্লগেই দেবার মতো সময় পাই না, অন্যকোন গ্রুপ তো দূরের ব্যাপার। তবে মনেপ্রানে দোয়া করি আপনাদের উদ্দ্যোগ সফল হোক।

না আমরা অনেক আলাদা! আওয়ার থট প্রসেস, এন্ড প্রায়োরিটিস অফ লাইফ আর ভেরি ডিফারেন্ট। আমি বাস্তবে কখনো আপনার সাথে কথা বলিনি, তবে ড্যাম শিওর বডি ল্যাংগুয়েজও বেশ আলাদাই হবে। সাম পিপল আর মেন্ট টু বি ডিফারেন্ট, এন্ড বি গুড মেইটস এট দ্যা সেইম টাইম। লাইক আস! :)

সখি বোঝে ঠিক, সখার মধ্যে করে বাস তীব্র শুন্যতা
সে বসে মাথার চুল ছিড়ে ভাবে হয়ে বিদ্রোহী; কেন পৃথিবীতে এত অরাজকতা?
হয়ে উত্তাল সমুদ্রের প্রবল ঢেউ যদি লন্ডভন্ড করতে পারত সব দূর্গতি পৃথিবীর
সেই হতো মালিক সবচেয়ে শান্তিময় নিদ্রা গভীর!
আর সখি? বোকামতী, পাগলী মস্ত!
দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েই খুশি, তিন/পাঁচের প্রশ্ন থাকে না মাথায় নিয়ে
ছোট সুখ দুঃখে জীবন নদীর পালতোলা নৌকা শান্ত স্রোতে দেয় ভাসিয়ে
সমুদ্রের গভীরতা নদীতে কোথায় সখা, বলুন তো?

প্রশ্নের উত্তরে,

সখা! মানুষের খুব বেশি কিছু হবার কথা ছিলনা
ব্যাস মানুষই হবার কথা ছিল, এর চেয়ে বড় কিছুনা
প্রকৃত মানব হয়ে গড়বে ভীত মানবতার
ব্যাস এটুকুই চাওয়া ছিল ভাগ্যবিধাতার!

তাই সহজে হলে, পৃথিবী হতো বড্ড বোরিং
সো দেয়ার ইজ আ টুইস্ট ইন দ্যা স্টোরিলাইন
মানুষ হয়ে গেল বিভক্ত দু ভাগে: মানুষ, আর অমানুষ!

অমানুষ! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবের মধ্যে থেকেই আসল বেরিয়ে জীব নিকৃষ্টতম
এরা স্বার্থপর, পাষান, ভোগ প্রাচুর্যে ভুলে পরকাল, গড়ে পাপ স্তুপ পাহাড়সম!
মূল্যবোধহীন, ভোগের জন্যে বাঁচে, লোভী মনে না হয় প্রকৃত ভোগ নাইবা যোগ!

আর মানুষ কেমন? মানুষ আমার সখাটির মতো!
মায়কাড়া মনচোড়া, কৌতুহলী মনে গভীর ভাবনা যতো! :)
মানুষের মন জ্ঞানের ভান্ডার, কৌতুহলের আধার
তিলে তিলে মেধা, শক্তির পরিশ্রমে সভ্যতাকে করিয়েছে দাড়
মোমসম নরম, অশ্রুজলে হতে পারে নদী নিয়ে হৃদয় কষ্টসম পাহাড়
ইস্পাতসম শক্ত, মাথা উঁচু করে দাড়ায় আবার, কিছুতেই না মানে হার!

অন্যের সুখে নিজের সুখ খোঁজার করে চেষ্টা; অদ্ভুত এক প্রজাতি!
ম তে মানুষ, ম তে মা! সন্তানের জন্যে অকাতরে দিতে পারে জীবন
জীবনসংগী! এক জীবনে শত আত্মত্যাগে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সংগীর প্রতি
বন্ধু! হাসিমুখে সকল কষ্ট নেয় মেনে বন্ধুর সুখে, যদিও নয় কোন রক্ত বন্ধন!

মানুষ এককথায় কি? ভালোবাসা! জটিল সংজ্ঞা নয়তো
না সখা, নিজেকে ভুলে অন্যকে ভালোবাসার কথা বলছিনা তো
নিজের সাথে সবাইকে ভালোবাসাই হচ্ছে মানবীয় গুন প্রকৃত
সেই তত মানুষ যার মনে ভালোবাসার পরিধি যতো বিস্তৃত।

মানুষ নিয়ে মজার একটা কথা বলি সখা। আমি আপনার নামও জানিনা, কখনো দেখিনি, কথা বলিনি। আপনি আমার আত্মীয় না স্বজন না। মজা না সিরিয়াসলি, আসলেই আমরা ভীষন দূরের মানুষ। কিন্তু যদি শুনি আল্লাহ না করুক, আপনি অসুস্থ্য, আমার খুবই খারাপ লাগবে। হয়ত কোন ক্লাসে একগাদি বিদেশীদের মধ্যে কঠিন একটা এসাইনমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে করতে আনমনে ভেবে উঠব, এখন বেটার ফিল করছেন তো উনি? এও জানি আমার কোন ক্ষতি, কষ্টের কথা শুনলে আপনারও খারাপ লাগবে। ব্লগে নাম না জানা/অদেখা আমাদের সকলের মধ্যে যে আন্তরিকতা, ভালোবাসা, এই নিঃস্বার্থ টানও মানুষের গুন।
দূরের আমি মানছি সখা, তবে মনে প্রেমপ্রীতি রাখা! হয়ত কাছের মানুষদের সমানই! তাও দূরের ভাবি এমনটা বলবেন আমাকে?

অফটপিকে একটা প্রশ্ন: আচ্ছা আপনার দিন কেমন গেল এটা কখনো বলেন না কেন? আপনি যে গ্রাম/শহরের মানুষ, সেখানে কি এটা বলা মানা? :) ;)

ভাল থেকো সখি সূখে থেকো জনমজনম- শুভকামনা নিরন্তর সখার থাকে যেমন। :)
থেকো? তুমি? কিসের তুমি?
নিজের ব্লগবাড়িতে বয়ে যায় আপনির জোয়াড়
আর এখানে সখ্যতা, প্রেমপ্রীতি, তুমির ফোয়াড়া!
সখির এক কথা, মন দিয়ে শুনুন সখা এবার!
এই মান ভাংঙাতে পরে যাবে কম চাঁদ, তারা! X( ;)
আপনি আপনার "আপনির" জন্যে এত সুন্দর শুভকামনা করেছেন বলে ধন্যবাদ। আপনার "আপনির" তরফ থেকেও অনেক শুভকামনা জানবেন। হাহা নেইলড ইট! :)

জোকস আসাইড, উইথ অল সিরিয়াসনেস, থ্যাংকস এ লট ফর মেকিং মি লাফ সো মাচ। আপনার লেখা পড়তে বা নিজে লিখতে গিয়েও অনেক হাসি আমি। ব্যস্ত দিনশেষে এই সুখটা বড় পাওনা। তার চেয়েও বড় কথা কতকিছু শিখছি আপনার কাছ থেকে! থ্যাংকস ফর এভরিথিং। আমি ঘুমাতে চললাম। ইউ টেইক কেয়ার, এন্ড হ্যাভ আ গ্রেইট ডে!

৪৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাম পিপল আর মেন্ট টু বি ডিফারেন্ট, এন্ড বি গুড মেইটস এট দ্যা সেইম টাইম। লাইক আস! :)

কথাটা পড়ে বিখ্যাত গানটা মনে পড়ল-

দুই ভুবনরে দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল
রেল লাইন বহে সমান্তরাল বহে সমান্তরাল!
পীরিতেরই ঘর বান্ধিয়া অন্তরের ভিতর
দুই দিগন্তে রইলাম দুইজন সারাজীবন ভর
হইলনা সূখের মিলন- হইলনা শুক-সারির দর্শন এমনই কপাল!!

view this link

বাইরে হয়তো দেখিনি, কথা বলিনি- কিন্তু আত্মায় আত্মায় হয়েছে মিলন! সবচে বড় আত্মীয়তাতো সেটাই। জনম জনমের। ...কঠিন একটা এসাইনমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে করতে আনমনে ভেবে উঠবে, এখন বেটার ফিল করছেন তো উনি? এও জানি আমার কোন ক্ষতি, কষ্টের কথা শুনলে আপনারও খারাপ লাগবে।” এক্সাক্টলি! ক’দিন আগে কানাডায় এক দূর্ঘটনার কথা শুনে এমনই চমকে উঠেছিলাম! কিন্তু বাইরে বলতে পারিনি-
না জানা/অদেখা আমাদের সকলের মধ্যে যে আন্তরিকতা, ভালোবাসা, এই নিঃস্বার্থ টানও মানুষের গুন।
দারুন বলেছ সখি! অভিবাদন :)

৥ দিন কেমন গেল এটা কখনো বলেন না কেন? আপনি যে গ্রাম/শহরের মানুষ, সেখানে কি এটা বলা মানা? :) ;) হা হা হা হা
হায় এতকিছু বলি তবু সখি বোঝেনা
দিন যায় সূর্যের পিছু পিছু, সখা সখি ছাড়া বোঝেনা ;)
একবার লিখে বসে উত্তরের অপেক্ষায়
আবার আসে দিন নতুন লেখার আশায় :)

দিন কেটে যায় কাজে কাজে
সকাল থেকে সাজে
ব্লগিং লেখা স্বপ্ন সবই
এরই ফাকে মাঝে সাঝে!!!

মানুষের দারুন মূল্যায়নে অভিভুত। আর দিনশেষে সখির জীবন দর্শনই চূড়ান্ত! যতই ভাবিনা কেন মহাকালের পরিকল্পনায় তা নস্যি! সে হিসাবে হালে পাল তুলে যাপিত জীবনই বুঝি বেশি মজার! কিন্তু ভাবনার পোকার বড্ড জ্বালায়!
পারি না পারি স্বপ্নটা রয়ে যায়। এক আকাশ স্বপ্ন!

কে বলে পর? চিনেছ কি আপন!!
এক ছাদের নীচে করে বসবাস
দেখেছি কত পরায়া সূজন!
নজরুলের কাব্যেও পেয়েছি সেই দীর্ঘশ্বাস!!

হয়তো এজনমে হবেনা দেখা
কেবলই ভাবনায় রয়ে যাবে লেখা
কে জানে আরো কত শত জনম
এভাবেই করেছি পার!

শতদূর থেকেও মনের গহীনে
এইযে জানাশোনা-কম নয়
কতজনা পাশে বসেও হায়
এভাবে জানতে না পায়!
==

ওলেলেলে সখি মান করেছে আবার
তুমি কেন আপনি হল বয়ান কর এবার
ঘাট হয়েছে পাঞ্জাতনের পোষ্টে মানছি ভাই
চাঁদ তারা নয় জীবনই দিলাম - মূখে হাসি চাই :)

এইতো সখি হেসেছে
মান আবার ভেঙ্গেছে ;)

ভাঙ্গেনি! আচ্ছা তবে দাড়াও সখায়
দিচ্ছি কঠিন পিটুনি!
আর যদি হয় ভুল - পাবেনা আর কূল!
এবার তবে যাওনা ভুলে এক্ষুনি!

বনের পাশে অবহেলায় ফোটা ফুলের কসম
মান করোন সখি আমার- হাসো ফুলের মতন :)
এইতো কেমন মিষ্টি করে হাসছে সখি ঘর কাঁপিয়ে
আর কি চাই- যাই শোধাতে- বুনো ফুলেরে ঋণ :)

একবার যদি দেখো সখি আপন ঘরে চেয়ে
আপনার চেয়ে আপন সেজন কেমনে হাসে বসে
ফেলে সব কাজ ভুলে সব লাজ
ছুটবে সেই আপনারই টানে!

ভিন্নতা কিছু নয় ভাবনার প্রকাশ
ভাবনা আসে জ্ঞানের সকাশ
জ্ঞান আসে বিশ্বাস স্বপ্ন থেকে
বিশ্বাস স্বপ্ন গড়ে চেতন থেকে।।

আমরা অজানিতেই যে চেতনা লালন করি সেই পথেই চলি। আর তাই আমাদের ধর্ম হয়ে যায় অজানিতেই।

ধৃ ধাতু থেকে ধর্ম,
নয় কিছু ভিন্ কর্ম
কর্মের পিছু থাকে স্বপ্ন বিশ্বাস
মূখে যাই বলো ধর্ম আপনি কমেই প্রকাশ :)


শীতে নিয়ে সখি বলো দেখি কিছু
স্মৃতি স্বপ্ন কথা
ওখানের শীত কেমন জানি
জানাব আমাদের শীত গাথা।। :)

সাম পিপল আর মেন্ট টু বি ডিফারেন্ট, এন্ড বি গুড মেইটস এট দ্যা সেইম টাইম। লাইক আস! :)

কথাটা পড়ে বিখ্যাত গানটা মনে পড়ল-

দুই ভুবনরে দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল
রেল লাইন বহে সমান্তরাল বহে সমান্তরাল!
পীরিতেরই ঘর বান্ধিয়া অন্তরের ভিতর
দুই দিগন্তে রইলাম দুইজন সারাজীবন ভর
হইলনা সূখের মিলন- হইলনা শুক-সারির দর্শন এমনই কপাল!!

view this link

বাইরে হয়তো দেখিনি, কথা বলিনি- কিন্তু আত্মায় আত্মায় হয়েছে মিলন! সবচে বড় আত্মীয়তাতো সেটাই। জনম জনমের। ...কঠিন একটা এসাইনমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে করতে আনমনে ভেবে উঠবে, এখন বেটার ফিল করছেন তো উনি? এও জানি আমার কোন ক্ষতি, কষ্টের কথা শুনলে আপনারও খারাপ লাগবে।” এক্সাক্টলি! ক’দিন আগে কানাডায় এক দূর্ঘটনার কথা শুনে এমনই চমকে উঠেছিলাম! কিন্তু বাইরে বলতে পারিনি-
না জানা/অদেখা আমাদের সকলের মধ্যে যে আন্তরিকতা, ভালোবাসা, এই নিঃস্বার্থ টানও মানুষের গুন।
দারুন বলেছ সখি! অভিবাদন :)

৥ দিন কেমন গেল এটা কখনো বলেন না কেন? আপনি যে গ্রাম/শহরের মানুষ, সেখানে কি এটা বলা মানা? :) ;) হা হা হা হা
হায় এতকিছু বলি তবু সখি বোঝেনা
দিন যায় সূর্যের পিছু পিছু, সখা সখি ছাড়া বোঝেনা ;)
একবার লিখে বসে উত্তরের অপেক্ষায়
আবার আসে দিন নতুন লেখার আশায় :)

দিন কেটে যায় কাজে কাজে
সকাল থেকে সাজে
ব্লগিং লেখা স্বপ্ন সবই
এরই ফাকে মাঝে সাঝে!!!

মানুষের দারুন মূল্যায়নে অভিভুত। আর দিনশেষে সখির জীবন দর্শনই চূড়ান্ত! যতই ভাবিনা কেন মহাকালের পরিকল্পনায় তা নস্যি! সে হিসাবে হালে পাল তুলে যাপিত জীবনই বুঝি বেশি মজার! কিন্তু ভাবনার পোকার বড্ড জ্বালায়!
পারি না পারি স্বপ্নটা রয়ে যায়। এক আকাশ স্বপ্ন!

কে বলে পর? চিনেছ কি আপন!!
এক ছাদের নীচে করে বসবাস
দেখেছি কত পরায়া সূজন!
নজরুলের কাব্যেও পেয়েছি সেই দীর্ঘশ্বাস!!

হয়তো এজনমে হবেনা দেখা
কেবলই ভাবনায় রয়ে যাবে লেখা
কে জানে আরো কত শত জনম
এভাবেই করেছি পার!

শতদূর থেকেও মনের গহীনে
এইযে জানাশোনা-কম নয়
কতজনা পাশে বসেও হায়
এভাবে জানতে না পায়!
==

ওলেলেলে সখি মান করেছে আবার
তুমি কেন আপনি হল বয়ান কর এবার
ঘাট হয়েছে পাঞ্জাতনের পোষ্টে মানছি ভাই
চাঁদ তারা নয় জীবনই দিলাম - মূখে হাসি চাই :)

এইতো সখি হেসেছে
মান আবার ভেঙ্গেছে ;)

ভাঙ্গেনি! আচ্ছা তবে দাড়াও সখায়
দিচ্ছি কঠিন পিটুনি!
আর যদি হয় ভুল - পাবেনা আর কূল!
এবার তবে যাওনা ভুলে এক্ষুনি!

বনের পাশে অবহেলায় ফোটা ফুলের কসম
মান করোন সখি আমার- হাসো ফুলের মতন :)
এইতো কেমন মিষ্টি করে হাসছে সখি ঘর কাঁপিয়ে
আর কি চাই- যাই শোধাতে- বুনো ফুলেরে ঋণ :)

একবার যদি দেখো সখি আপন ঘরে চেয়ে
আপনার চেয়ে আপন সেজন কেমনে হাসে বসে
ফেলে সব কাজ ভুলে সব লাজ
ছুটবে সেই আপনারই টানে!

ভিন্নতা কিছু নয় ভাবনার প্রকাশ
ভাবনা আসে জ্ঞানের সকাশ
জ্ঞান আসে বিশ্বাস স্বপ্ন থেকে
বিশ্বাস স্বপ্ন গড়ে চেতন থেকে।।

আমরা অজানিতেই যে চেতনা লালন করি সেই পথেই চলি। আর তাই আমাদের ধর্ম হয়ে যায় অজানিতেই।

ধৃ ধাতু থেকে ধর্ম,
নয় কিছু ভিন্ কর্ম
কর্মের পিছু থাকে স্বপ্ন বিশ্বাস
মূখে যাই বলো ধর্ম আপনি কমেই প্রকাশ :)


শীতে নিয়ে সখি বলো দেখি কিছু
স্মৃতি স্বপ্ন কথা
ওখানের শীত কেমন জানি
জানাব, আমাদের শীত গাথা।। :)

সখির জন্য প্রার্থনা :)



১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রিপিট হয়ত ছবি এড করার সময় কোন টেকনিক্যাল এররে হয়েছে। যাই হোক, বাকি কথা বলি।

ক’দিন আগে কানাডায় এক দূর্ঘটনার কথা শুনে এমনই চমকে উঠেছিলাম!
হানিইই! দ্যাটস সো সুইট অফ ইউ! এত আন্তরিকতা, ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার।

ভিন্নতা কিছু নয় ভাবনার প্রকাশ
ভাবনা আসে জ্ঞানের সকাশ
জ্ঞান আসে বিশ্বাস স্বপ্ন থেকে
বিশ্বাস স্বপ্ন গড়ে চেতন থেকে।।


বাপরে বাপ! ছেলের কাব্যপ্রতিভা দেখো! ধুর, আপনি বই বের করুন তো সখা! আমি সবাইকে বলে বেড়াব আমার সখা নামীদামী কবি! করবেন তো?

কেন দেখা হবেনা? হাও এবাউট দিস? এবার দেশে আসলে শতজনমের পরিচিত মানুষটির সাথে দেখা করার প্ল্যান করে ফেলব। একই দুনিয়ায় তো থাকি আমরা, ওন্ট বি দ্যাট কম্প্লিকেটেড! দেখা হলে আমার শাড়ি, চুড়ি, টিপ সব নিয়ে নেব। হাহা।

ছিলাম মোরা সাথে সাথে শত জনমে গত
এ জনমেও কোন পরিবর্তন হবে নাতো! ;)

আহারে আমার ভাবুক সখা, মাথায় নিয়ে ভাবনা পোকা কঠিন
মনে নিয়ে স্বপ্ন মশাল হাজার, সুখ দুঃখে কাটিয়ে দেয় দিন।

কি কাজ করেন আপনি? চাকরি/ব্যাবসা? পারসোনাল হলে জাস্ট ইগনোর দিস কোয়েশ্চন।

একবার লিখে বসে উত্তরের অপেক্ষায়
আবার আসে দিন নতুন লেখার আশায়

আপনি মজা করে বলেছেন হয়ত, তবে আমি আজকাল লিটারেলি অপেক্ষায় থাকি আপনার এত সুন্দর সব লেখা পড়ার জন্যে!

ও ম্যান! দিজ বয় ইজ হিলেরিয়াস! আমি প্রথম লাইন পড়েই হাসতে হাসতে শেষ। আপনার দেখা উচিৎ ছিল, আমি এত হাসছিলাম! উফফ! না আমি তো নিয়ম করে অভিমান করব এত এত হাসার জন্যে। হাহাহাহা।

কি? আমার সখাকে পিটুনি?
ব্যাথ যে আমার লাগে, সে খেয়াল কি নেই?
যান ভুললাম অভিমান এবারের মতো, সখারই সখি
সখা যে দুষ্টু, প্রেমানুভাব কতদিন থাকে বজায়, দেখি! ;)

ইশ! নিজ জীবন আজ আর দিলেন কি নতুন করে?
বিধাতার পরম দান কত জনম থেকেই তো আমার কাছে
অনেক যত্নে, আদরে সামলে চলি হারিয়ে ফেলি পাছে
বুনো ফুলে ঋণ শোধাতে হবেনা যেতে দূরে
হাতে হাত রেখে বসুন তো পাশে চুপটি করে। ;) :)

ঠাট্টা পর্ব শেষ, তো শীতকাব্যে যাই।

ইশ! আমাদের শীতের গল্প জানাব! এই ছ্যামড়া, আমি দেশের শীত দেখিনি? সোয়েটার পরে কুয়াশা ভেদ করে স্কুলে যাইনি? খড়ি চুলার পাশে বসে তাপ নিতে নিতে ভাপা পিঠে খাইনি? আরো অনেককিছু করেছি। জানা জিনিস অনন্য রূপে জানার জন্যে সখার কাব্য প্রতিভার দারস্থ্য হলাম।

কানাডীয় শীতের শুরুটা হয় দেশেরই মতো
হালকা মিষ্টি রোদে কনকনে হাওয়া চলে বয়ে
ফুসফুসে মিশে কেমন যেন ঝিনঝিন নেশা ধরিয়ে।

একদিন সাদামাটা সোয়েটারে যাবেন বেড়িয়ে
হঠাৎ মাথায় ওপরে ছোট্ট শুভ্র দেবদূত পরবে গড়িয়ে
কনকনে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে ফিরবেন বাড়ি
ঘাট হয়েছে এবার, জ্যাকেট, গ্লভস, বুট আর না ছাড়ি!

কাঁচঘেরা বারান্দা দিয়ে, কফি মগ হাতে নিয়ে, দেখি তাকিয়ে
দূর দূরান্তে শ্বেত শুভ্র উঁচু নিচু পাহাড় লোকলজ্জ্বা হারিয়ে
দূর আকাশে চালায় প্রেম, এত দূরে থেকেও কত কাছে
আত্মার মিল যে হয় এমনই, তা কি নতুন করে বলার আছে?
প্রকৃতির দান; প্রানী, জড় বিনা ভেদে সকলে সুন্দর মিতালিতে জড়িয়ে ।

প্রথমে স্বদেশের শীত বর্ণন
এরপরে নতুন বিষয় চয়ন
সখার দায়িত্ব অনেক এখন। :)

আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনার ভাবুক, স্বপ্নময় মনটাকে যেন তিনি কোন কষ্ট পেতে না দেন।

৪৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উপস ! রিপিট হয়ে গেল লেখা!!!! কেনু কেনু কেনু!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :((

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে লক্ষ্মী সোনা চাঁদের কনা
চোখের জল মোছে, আর কাঁদেনা
সখা আবারো আসুক, চেয়েছিল সখির মন
সেজন্যেই তো বিধাতা করাল ভুল এমন। :D ;)

ধুর! আপনার সাথে থেকে থেকে আমিও মহাফাজিল হয়ে যাচ্ছি। হাহা।

কোন সমস্যা নেই। ইটস ওকে!

আপনার মেইন কবিতার জবাব পরে লিখব। আজ সারাদিন ব্লগে আসার সময় পাইনি ব্যস্ততায়। আর এখন তো দিন গড়িয়েই গেল, ঘুমরাজ্যে যেতে হচ্ছে। তো আপনার সখি মান ভেংঙে হেসেছে কিনা তা জানার জন্যে আরো অপেক্ষা করতে হবে মিস্টার। ;) :)

হ্যাভ আ গ্রেইট ডে মাই ডিয়ার!

৪৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা :)

এতহাসি এত খুশি
বয়ে যাক রাশি রাশি
সারা জীবন ভর- সূখে ভরুক সখির ঘর
হৃদয় থাকুক আলোয় ভরা সূখে অনন্তের।।

অসাধারন উত্তরে মুগ্ধ অভিভুত। বেশ কবার পড়লাম। বারবার পড়লাম। :)
না সখি এখনো কর্পোরেটই রয়ে গেল ;)
সখা সখির আবার পার্সোনাল কিছু আছে নাকি?
একে অন্যে বিলীন না হলে সখা-সখি হওযা যায়!
হুম! দুটোই করি। ছোট্ট একাট জব :) আর ছোট্ট একটা ব্যবসা! বেশ-
সাথে বিশাল বিশাল স্বপ্ন আর আনলিমিটেড ভাবনার সাগর :)

দারুন ছড়ায় অভিভুত!!!! অভিনন্দন সখি!! মহাফাজিল হবার পথে আরেকধাপ এগিয়েছো বলে ;) হা হা হা

অভিমানে আমন্ত্রন নিত্যদিন অনুক্ষন
পরে যদি কলকল হাসির ঝর্ণা ঝড়াও এমন :)
মান ভাঙ্গাতে সুদূর হতে চলবে কোশেশ সারাক্ষন
সখির তরে সখার জন্য এতো সামান্য নিবেদন :)

দারুন শীতের ছড়ায় মুগ্ধ। কানাডার শীতে যেন অফিসের এসিতে বসেই কাঁপছি ;) হা হা হা

তা ঠিক মায়ের কাছে মাসির বাড়ীর
গল্প কি আর করা যায়!
শীতেসকালে স্কুলে যাওয়া, খড়ির চুলা, পিঠে খাওয়া
সে কথা কি ভোলা যায়?

শীত অন্যসবের মতোই বহুমাত্রিক আমার চোখে
একার ভাবনা আসেনা মনে মাল্টি মুডে চেতন বলে
সূখি মানুষের সবেতেই সুখ শীত আনে আরো বর্ণিলতা
হাড় কাপানো হিম শীতে গরিব জানে কি যে ব্যাথা!

বেড়ার ঘরে শীত মানেনা, ছেড়া কাথা সম্বল
খাবার নেই নিত্য তার স্বপ্ন-ই কেবল কম্বল;
শিশির ভেজা ভোরে
সেলাই আপু ছোটে
যেন শীত চুইয়ে পড়ে
কাল বরণ ঠোটে!

কারো গায়ে রঙ-বেরঙের
দারুন শীতের জামা
হায় নগ্ন পদে কে ঐ কিশোর
মনে ডাকছে মা - মা!!!

আবার কারো শীত বিলাসে
দারুন আয়োজন
খেজুর রসের পিঠা পায়েস
কত রকম ব্যাঞ্জন!

শীতের সূখ রোদের ছোঁয়া
সখি যেমন সখার চাওয়া
শীতের রাতের উম্
তরুনীর প্রথম উষ্ন চুম !

শীত সকালে ধানের শীষে
শিশির যেন মুক্তো হাসে
হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে তারে
মাখে ওরা হেসে হেসে!

পায়ের চটি যায় ভিজে
ঘাসের আদরে
খালি পায়ে মাখে শিশির
কত সখ করে।

নদীর বুকে ধোঁয়া ওঠা
ভোরে দিয়ে ডুব
তারুন্যেরই জয়গানে
হয়যে কলরব।

তবে কাব্য ছড়া যাই হোক সখি- একটা জিনিষ খেয়াল করছি সকল ঋতুই তারে আগের আমেজ ক্রমে হারিয়ে ফেলছে।
৫৪টা নদীর ক্রমশ মরে যাওয়া, ভারতের একতরফা বাঁধের ফলে পানি কমে যাওয়া পুরো প্রকৃতেই যেন ধীরে ধীরে চরম ভাবাপন্নের দিকে টার্ন নিচ্ছে!! তাই বর্ষায় আর আগের সেই ধারাবাহিকতা নেই! শীতেও দিরে বেশি গরম রাতে বেশি ঠান্ডা!
বদলে যাচ্ছে প্রকৃতি! আমাদেরিই ভুলে। আমরা নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি না বলে!

ভাল থেকো সূখে থেকো
শীতের আমেজ বুকে রেখো
স্নো বলে ছুড়তে গিয়ে
হঠাৎ ভেবে থমকে যেও ;)

অনেক অনেক শুভ কামনা স্নোর মতো ঝড়ুক সখির জীবনে সবসময় :)









১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বই বের করার কথাটি আমি সিরিয়াসলি বলেছিলাম। কৃতজ্ঞতা বলিয়া পাশ কাটাইবার চেষ্টা করিলে হইবেনা বৎস! উক্ত বিষয়টি আপনার সুষ্ঠ বিবেচনার দাবী রাখে। :)

আমি কল্পনা করার চেষ্টা করছি আপনি একটা চারকোনা বদ্ধ অফিসে বসে কাজ করছেন মাপা সময় ধরে! হানি! ইট ডাসন্ট স্যুট ইউ। আপনার জীবন কেমন হওয়া উচিৎ জানেন? পৃথিবী ঘুরে বেড়াবেন ক্যামেরা হাতে নিয়ে। ডায়েরী সাথে থাকবে, কাব্যরূপে অসংখ্য অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করবেন! আপনার মতো স্বপ্নবিলাসী, ভাবুক, কবি মানুষ ভবঘুরে না হয়ে চাকরি/ব্যবাসার ঝক্কি সহ্য করছে সেটা কল্পনাতে ঠিকমতো বসাতেই পারলাম না। হাহা!

সখা সখির আবার পার্সোনাল কিছু আছে নাকি?
পারসোনাল কিছুই নেই? ওকে! মাথায় থাকল কথাটা। অন্তর্মুখী সখাকে এই স্টেইটমেন্টের ওপরে ভিত্তি করে বারবার বিপদে ফেলার চেষ্টা সখি অবশ্যই করবে। ও ম্যান, ইউ উইল টোটালি রিগ্রেট সেয়িং দিস! হাহা।

শীত ছড়া খুবই ভালো লাগল, বিশেষ করে সকল শ্রেনীকে নিয়ে লেখাটা মুগ্ধ করল।

কত বড় কথা সখার! সখি কে বলে কর্পোরেট!
সে অন্তর্মুখী বিধায় সখি কহে কথা ভেবেচিন্তে
সখা কেন যে বোঝেনা সখির ভালোবাসা নিরেট
ধুর ছাই, নিলাম আড়ি, যাবনা আর খেলতে। ;)

ফ্ল্যাশব্যাক ছিল সখা। পূর্বজন্মে, ছোটকালে খেলতে খেলতে আমরা এভাবে আড়ি নিতাম মনে আছে আপনার? আহারে সেই জন্মগুলোই ভালো ছিল। হেসেখেলে একসাথে জীবন কাটিয়ে বড় হয়েছি, বুড়ো হয়েছি। এজন্মে পরিচিত হতেই হতেই বড় হয়ে গেলাম, দেখা হতে আর কতদিন লাগে কে জানে! হাহাহাহা।

আসলে, শুধু বাংলাদেশই না, পৃথিবীর সব দেশেই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারনে ওয়েদার চেন্জ হচ্ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রভিন্সে স্নোয়ি উইন্টার পিরিয়ড কমে গিয়েছে। গরমের সময় তাপমাত্রা বাংলাদেশের সমানও হয়ে যায় অনেক সময়! উই হ্যাভ ডান আওয়ার বেস্ট টু রুইন মাদার ন্যাচার এন্ড গ্রেইট?? থিংস আর ওয়েটিং ফর আওয়ার কিডস!

সেই কবে থেকে চলছে প্রকৃতি মায়ের সাথে স্বেচ্ছাচারী আচরন
ওজোন লেয়ার হচ্ছে শুন্য, বেড়েই চলেছে গ্রিনহাউজ এমিশন
সভ্যতার অযুহাতে হচ্ছে ধ্বংস শত বনবৃক্ষ; মাটির ওপরে নির্যাতন নির্দয়
কয়লা/তেল/গ্যাস পুড়ে চলছে বিদ্যুৎ, ছুটছে পরিবহন; নিঃশ্বাস বিষময়।

বইয়ের বুলি, মুখের কথায় হামেশা বলি; প্রফিট, পিপল, প্ল্যানেট
প্রথমটিতে মেতে সবাই, সত্ত্বায় আষ্ঠেপৃষ্ঠে অনৈতিকতার ব্ল্যান্কেট
নিস্তব্ধতায় ছেঁয়ে আকাশ বাতাস; প্রকৃতি মায়ের তীক্ষ্ণ আর্তচিৎকার, অসহায়ত্ব
নেই কোন গ্লানি, এ সবই তো সভ্যতার উন্নয়ন?! এক অযুহাতে, প্রকৃতি পরাস্ত!

সমীকরন সহজ নয় এতো, মানুষ নয়তো বিধাতা, সৃষ্টি সঞ্চালক
আদি থেকে দাঁতে দাঁত চেপে প্রকৃতি করেছে সহ্য বহু নির্মম অত্যাচার
এবার মানুষের পালা, হবে তার প্রলয়ংকারী ধ্বংসলীলার শিকার!
প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানছে আঘাত নিয়মিত; বিশ্বের প্রতিটি কোনা আটক।

দিনকে দিন বাড়ছে তাপ, চলছে খড়া লম্বা সময় ধরে
বন্যায় যাচ্ছে তলিয়ে ছবির মতো গ্রাম/শহর সারা বছর জুড়ে
দিশেহারা প্রানীকূলের অসহায় ছোটাছুটি, বনে জংগলে দাহন
ফাটল ধরা মাটিতে, ক্ষিপ্র বাতাসের ওড়াওড়ি; ভূমির কম্পন!

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জোড় হাতে নত মাথা, গাঢ় লজ্জা
তারা পারবেনা দেখতে শীত, বর্ষা, গ্রীষ্মে প্রকৃতির রূপসজ্জা
শিশির ভেজা ঘাস, কোমল বৃষ্টির ছোঁয়া, আছড়ে মাটি কাঁদায় মাখামাখি
সোদা মাটির সুবাস, সূর্যের নরম তাপ; সবই রূপকথা বইয়ের লেখালেখি
দৌড়ে, লাফিয়ে ছুটবেনা তারা প্রকৃতি মায়ের বিশ্বস্ত কোলে
পুরো জীবন দেবে কাটিয়ে দমবন্ধ চারকোনা অন্তর্জালে!

প্রকৃতি চোখের সামনে ধ্বংস হচ্ছে বলে বেশ অসহায় বোধ করি। বড়লোক দেশরা তো মানিয়ে নেবেও, বাংলাদেশের ওপরে যে হুমকি রয়েছে তার কথা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। এ ব্যাপারটা নিয়ে আমি বেশ চিন্তায় থাকি। এজন্যে আপনি যখন তুললেন কিছুটা, আমি অনেক বেশি বকবক করে ফেললাম। পৃথিবী বিশেষ করে ব দ্বীপের সবগুলো রেখা যেন নিরাপদে থাকে সে কামনাই করি।

সখির দোয়া সখার তরে, জন্ম থেকে জন্মান্তরে
অতি নিকটে থাকুন পাশে পরম ভালোবাসায়
বহুদূরে চলেই বা যান ছেড়ে কোন অবহেলায়
অঢেল সুখে প্রানবন্ধুর জীবন যেন সর্বদা থাকে ভরে!

৪৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম! বইেতা আেগ সখির বের হবার কথা! চলমান সিরিজটা আসেলই অনবদ্য এক সম্পদ হয়ে রবে। সখি যখন সিরিয়াস সখারতো ভাবতেই হয়:)

সখি কল্পনা এবং অনুভবের গভীরতায় আপ্লুত! যা চায় তা উন্নত বিশ্বে হয়তো একটু খাটলে পাওয়া যায়- আমাদের মতো দেশে তা কল্প বিলাসই বটে। এরই মাঝে নিজেকে খুঁজে ফেরা নিজেকে প্রকাশ, স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে আপোষের টিউনিং করতে করতেই বেলা বয়ে যায়....

:)

ছড়ার মুগ্ধতাটুকু হৃদয়ে তোলা রইল অতি যতনে :)

এই সোনা আবার দেখো
গাল ফুলিয়ে ভারি
আরজনমের কুট্টিকালের
মতোন নিল আড়ি ;)

কি আর করা সখির তরে
যাই খুঁজতে তেপান্তরে
সোনার কাঠি রুপোর কাঠি
মান ভাঙ্গানোর মন্ত্র ভরে!

এধার ওধার করলে কাঠি
উঠবে হেসে প্রাণ সখি :)

জানো । আজ হঠাৎ পড়তে পড়তে মনে পড়ল কালিদাসের মেঘদূতের কথা! নির্বাসিত সখা সখির জন্য মেঘকেউ দূত বানিয়ে কত কাব্য কথ আবেগ কত স্বপ্ন লিখেছিলেন! আমরাও যেন ডিজিটাল সে খেলায় মেতে আছি। আমাদের দূত মেঘ নয় ব্লগ :)
দারুন না সখি! :)

কালিদাস যখন এসেই গেলেন আজ আর কোন তাত্তিকতা নয়। নয় কোন বিশ্ব ব্যক্তি বা সংকটালোচন। আজ হোক সখা-সখির কল্প সাধন কল্প ভ্রমন :)

সখি! অ সখি
প্রাণ কি করে আনচান? কেঁপে কেঁপে উঠে মন
হঠাৎ অলখে যখন হয় সখার স্মরণ!
সব কিছু ছেড়ে-ছুড়ে পালাতে মন-হয় উচাটন?

দীঘল কেশের স্বপ্ন কন্যা
হলুদ বরণ গায়
যৌবন যেন ছলকে পড়ে
নায়াগ্রা তার পায়!

এখন কি আর অমন খোঁজে
এখন খোঁজে মন
জ্ঞানী খোঁজে জ্ঞানধন
প্রেমিক প্রেমধন।

এখন বুঝি হারায় না কেউ
লাইলি শিরি হয়ে
জুলিয়েট আজ বড্ড হিসেবী
খুশি লিভ টুগেদারেই!!

ওখানে কি প্রেম আছে সই
বল্- বুকে হাত দিয়ে
কেবলই দেহের তাড়ন
মনটা গুমড়ে মরে!!

দেহে মনে হয় যে মিলন
হৃদয় ভরা প্রেম রতন
আহা হারাল কই! কেউ খোঁজেনা
যে খোঁজে হয় পাগল মন।।

বিজ্ঞানময় এই সময়ে
গতি আছে আছে বেগ,
উপকরণ সবই আছে
হৃদয়েতে নেই আবেগ!!

ভালবাসা তাই বুঝি আজ
কেমন ছন্ন ছাড়া
হাই হ্যালো আর ষ্ট্যাটাসেতে-
ক্ষনেই ব্রেকাপে ভরা!

মাটি ছেড়ে উচু উচু
ভবনেতে বাস
তাইকি মাটির বাস কেটেছে
গুনপনা সব শেষ?

প্রকৃতির কোল ছেড়েছে
বলেই কি এ হাল?
অন্তরের টান ভুলে সব
যান্ত্রিকতায় টালমাটাল।

কি জানি ভাই -বুজিনা ছাই
হৃদয় ভরা প্রেম
যে যাই বলুক বেশ আছি
লয়ে প্রকৃতির নাম।

যাই কর যাই ধর যাই কর অর্জন
এক ফোটা সে জলের তিয়াস মিটবেনা কখন!
হৃদয় যদি নাভর হায় দিয়ে প্রেম রতন
জনম জনম ঘুরবে চাতক-মিলবেনা অমৃতধন।

কেমন ঘোরের মধ্যে লিখলাম। কিছু হল কিনা জানিনা সখি! ;)
এবার সখির পালা! কেমন অনুভব কালিদাস তরে ;)
লিখ সখি প্রাণ ভরে সকল দ্বিধা ঝেড়ে!

এ জগতের যত প্রাণবান কনা
সকলে লয়ে সাথে
সখির সূখের জন্য রব'ছে
প্রাণ খুলে দোয়া মাঙ্গে।। :) :) :)












১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি বই বের করব? ইয়াহ দ্যাট উইল হ্যাপেন সামডে! ইফ ইউ কান্ট টেল বাই মাই রাইটিং, আই ওয়াজ বিং সারকাস্টিক।
সিরিয়াসলি, আপনি আসলেই ভালো লেখেন। ভাবনা, দর্শনে কেমন যেন অদ্ভুত, অনবদ্য গভীরতা রয়েছে। ইউ শুড শেয়ার দ্যাট উইথ ম্যানি পিপল!
ঘোরের মধ্যে লিখেছেন? হাহা। আমার সৌভাগ্য আপনার ঘোরের মধ্যে থাকা সুন্দর লেখা পড়তে পেরেছি।

দারুন বলে দারুন? আমরা কতকিছু নিয়ে এতগুলো কবিতা লিখে ফেলেছি গল্পে গল্পে! এটা যেন জীবনের অন্যসব কিছুর সাথে চলবেই এমন মনে হয়! ব্লগে আসলেই মনে হয় উত্তর কি এসেছে? একদম পুরোন আমলের মতো আপনার সখি অধীর হয়ে বারান্দায় বসে থাকে, কবুতর উড়ে এসে আপনার লেখা কাব্যচিঠি হাতে দিয়ে যাবে সে অপেক্ষায়। হাহা।

থাক থাক হবেনা যেতে দূরে, আনতে কোন কাঠি এখনি
নিলাম ভাব আবার, সখার মিষ্টি কথায় এমনি এমনি।

নাতো! কখনোই আসেনা সখির মনে সখার স্মরন
স্মরন তো হয় তার যাকে পলভরও যায় ভোলা
সে তো থাকে মনে প্রতি নিঃশ্বাসে সারাক্ষন সারাবেলা
সখির বয়েই গেছে পালাতে, সখাই সব ছেড়েছুড়ে আসবে
নিয়ে যেতে তার রাজকুমারিকে! কে জানে কখন কবে! :) ;)

ঠাট্টায় অনেক ভালোবাসার কথা বলেছি/বললাম। তবে আজ সিরিয়াসলি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলব। আপনার কবিতার সারমর্ম হচ্ছে আজকালকার কর্পোরেট যুগে সত্যিকারের ভালোবাসা নেই। সখাআআআ আই কুডন্ট ডিফার মোর! আপনার আমার অনেক অমিলের এটা আরেকটা! ও ওয়েল, উই অল আর এনটাইটেলড টু আওয়ার ডিফারেন্ট থটস, লেট মি শেয়ার মাই ওয়ানস!

সখির আধুনিক প্রেম ভাবনা সখার চেয়ে ভিন্নতায়
প্রেম কোন এক যুগের নিজস্ব সম্পদ নয়, সখির মান্যতায়
এর অস্তিত্ব বিরাজমান সদা সর্বদা সকল যুগে, কালে
সামাজিকতা, প্রকাশভংগির পরিবর্তন হয়ত হতে পারে
তবে আদি চিরন্তন অনুভূতির তীব্রতায় মরচে না ধরে।

সংজ্ঞা আসলে কি ভালোবাসার প্রকৃত?
পুরোন যুগের কোন সম্পর্ক, বিয়ের আমরন স্থায়িত্ব?
হায় এক বিছানায় থেকেও গুমড়ে মরে দুটো প্রান
সমাজের চাপিয়ে দেওয়া বোঝা, টানাপোড়েন।
সে যুগের সকল বন্ধন তেমন বলছি নাকো; সে আমলেও প্রেম ছিল গভীর
তবে এমন কত পুরুষও ছিল পরনারীতে মেতে, অসহায় স্ত্রীকে রেখে ঘরেতে
নারীর সীমানা ছিল নিজ আংগিনা, নতুবা পারত কি তারাও এত অবলা হতে?

প্রাচীন যুগে মন বদল হতোনা বেশি ঠিক, মানছি সত্যি
তবে নারী পুরুষের মেলামেশা যে ছিল সীমাবদ্ধ, সমাজনীতি
খারাপ হবার সুযোগবিহীন যুগে, ভালো মন্দ মেপে লাভ কি?
এ যুগে প্রযুক্তির গতি, সমাজের মুক্ত স্বাধীনতা
জ্বলন্ত আগুনের নিচে নিচ্ছে পরীক্ষা প্রকৃত প্রেমময়তা।

এ যুগে ব্রেক আপ, বিবাহ বিচ্ছেদ বেশি মানলাম
তবুও সখার কথায় বুকে হাত দিয়ে বলছি সত্য
প্রেম আছে এখনো নিখাদ, খাঁটি, পবিত্র, প্রকৃত
জীবনের একসময় এসেই যায় সোলমেইট, বন্ধন আত্মা
যারা জন্যে মরা যায় শতবার, হাসিমুখে ভুলে নিজ সত্ত্বা!

নিজ মনে রেখে দিতে হয় বিশ্বাস, আসবেই সে যার আসার কথা ঠিক সময়ে
যাকে ছাড়া কল্পনাতীত জীবন; যার ছোট খুশিতেই নিজেকে যায় দেওয়া বিকিয়ে।

রোমিও জুলিয়েট, শিরি ফরহাদ, লাইলি মজনু; এরা থাকে বেঁচে সকল যুগে
প্রতি যুগেই ভিন্ন নাম, পরিস্থিতি, চরিত্রে কতশত প্রেমকাহিনী লিখছে মানুষ
গড়ে নতুন ইতিহাস, প্রেমকে নিয়ে অন্য উচ্চতায়, উড়িয়ে প্রেম ফানুস।

প্রকৃত, নিঃস্বার্থ প্রেমী সংখ্যায় কম, এইতো?
হোক না কম সখা! প্রেম ছিলনা সহজ কোন যুগেই তো।
যুগ তর্ক ফেলে পিছে, সখার কথাই বলি শেষে
সবাই না পায় এরে ছুঁতে; প্রেম যে অমূল্যরতন
যে না পায়, তার জীবন পূর্ণতা খোঁজার মিছে সাধন।

মোরাল অফ দ্যা স্টোরি, সখি কম্প্লিটসলি বিলিভস ইন লাভ। ডাসন্ট ম্যাটার হোয়াট এরা, টাইম পিরিয়ড অর সেঞ্চুরি, পিপল ফল ইন লাভ ক্রেজি, অলওয়েস ফরএভার।

ও একটা কথা। আপনার লেখায় মজার একটা বিষয় খেয়াল করলাম। আপনি লাইলি/শিরি/জুলিয়েট প্রেমে হারায় না তা নিয়ে লিখেছেন। মেইল ক্যারেক্টারদের নিয়ে লেখেনইনি। একদমই একটা টিপিক্যাল ছেলের পয়েন্ট অফ ইউ থেকে লেখা, যে ভেবে বসে আছে আধুনিক মেয়েদের মধ্যে আগের আবেগ নেই, তার মনের গভীরতায় ডুব দিতে পারবেনা এই সেই। সি, লাভ ডাসন্ট কাম ইফ ইউ স্টপ বিলিভং ইন দ্যা এক্সিসটেন্স অফ ইট ইন ইওর এন্ড আদারস হার্ট। ভালো খারাপ মেয়ে সব যুগে থাকে। সব মেয়েকে এক পাল্লায় মাপার মতো কি হয়েছে আপনার জীবনে জানি না আমি। শুধু দোয়া করি, জীবনে যেন সুখ, সমৃদ্ধি খুঁজে পান নিজের মতো করে।

সখা! এরপরে আলোচনার বিষয়বস্তু কি বলুনতো আমায়
বোকামতী সখি আপনার, বেশি আইডিয়া আসেনা ভাবনায়।

ভালোবাসা নিয়ে অনেক বকবক করেছি এবারে একটা গানও শুনিয়ে দেই। :)

বরাবরের মতো আমি থাকলাম উত্তরের অপেক্ষায়..........  :)

৪৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ভাললাগা দারুন উত্তরে :)

কবুতর অনুভবে আপ্লুত! :)

অবশ্য প্রেক্ষাপট সবই ভিন্ন ভাবতে বাধ্য করে। তাই বাহ্যত যা কিছূটা অমিল মনে হয় তাই মনে হয়। আসলে মূলত সত্য একই। প্রকাশ হয়তো ভিন্ন ভ্ন্নি! জীবন যাপনের মান্ও একটা প্রভাবক। অনেকটা সেই কৌতুকের মতো-
এক বড় সাহেবের কাছে এক দরিদ্র এসেছে। সমস্যা কি জানতে চাইলে দরিদ্র বলল-
হুজুর ভাত খেতে পাই না।
সাহেব বলল- ভাত খেতে পায়না - সমস্যা কি পোলাও খাবে! ;)
হা হা হা

এই ভিন্নতাই সৃষ্টির বৈচিত্র। তাকে থাকতে দাও :)

আর সখির ভাবনার ঋদ্ধতায় মুগ্ধ। তা ঠিক ভালবাসা সব যুগেই আছে । না থাকলে মানুষ বাঁচতেই পারত না। তবে প্রয়োজনের দানব ধাওয়ায় তা অনেক বেশিই বদলে গেছে। আচ্ছা আমি কি পুরানো জামানার লোক হয়ে যাচ্ছি;) হা হা হা
না ! বরং গভীর অনুভবটা খুঁজছি।
আর শুধূ শিরি লাইলি জুলিয়েট এর উল্লেখ টিপক্যিাল ছেলের ভিউতে নয়- বরং নারীর অধিক গুরুত্ব বোঝাতেই উল্লেখ্য। :) এক নারী যা পারে শত ছেলেও তা পারে না। সৃষ্টিতেই নারী অনেক গুরুত্বপূর্ন! পূজ্য!
মোরাল অব দা ষ্টরি - কিন্তু আরেকটা দারুন নতুন সুন্দর পৃথিবীর আশ্বাস !

আমি আমার আমিকে দেখেছি তোমার চোখে
সবার চোখের চেয়ে ভিন্ন,
কত বহুমাত্রিকতায়
জীবনের স্বপ্নের টানাপোড়েনে
ভোগ-ত্যাগ, বিলাস-দারিদ্র, উল্লাস-বিষাদ
আবেগের শেষ পরতে এসে থির!

লেখক, কবি, শিল্পি, আঁকিয়ে
নায়ক, গায়ক, শিল্পের পতি হয়ে
জীবনের শেষ -একাকার সেই হতদরিদ্রের সাথে!

তবে কি বৃথাই ছুটে বেড়ানো
মোহ কুহকে, সুনাম আর খ্যাতির বিড়ম্বনায় ?

আমি কে?
কেন এ জনম জনম ভ্রমন?
মহাকালের কত ক্ষুদ্রাতি অনুপল সময়
অথচ -স্মৃতিভ্রষ্টের মতো-ব্যস্ত অন্যকিছুতে!

ব্যবচ্ছেদ টেবিলে খুঁজি আমাকে
পঞ্চভুত ভূতেই মিলায়-আগুন মাটি পানি হাওয়া
প্রত্যেকে আপনাপন গন্তব্য রুপ বদলে
আমি আমাকে খুঁজে বেড়াই!

সকল বাহ্যিকতা বিলুপ্ত হলে
সকল চাওয়া শান্ত হলে
সকল বিভ্রাট দূর হলে
প্রশান্ত হৃদয়ে বন্ধ করি নয়ন-
খুলে যায় অন্তহীন জগতের দরজা!

বস্তুর নাশ-বিনাশের চক্র শেষে
আলো আর শক্তির এক আক্ষরিক বহুমাত্রিক জগত
আমার আমি বিলুপ্ত সত্বাকে খুঁজে পাই
আলোকময় জগতে-একই রুপ! কি বিস্ময়!

স্থান কাল সময়ের বাঁধাহীন
নিত্য অনিত্য সে কালে সব একাকার
পার্থিব সকল আয়োজন অর্থহীন সেখানে
আত্মার চর্চা টুকু ছাড়া!

সে মহালোকে মহানন্দে
আলোর বাহনে চড়ে, আলোকময় ভুবনে
তোমার অপেক্ষায় সখি -
স্বাগত: অনি:শেষ ভুবনে। :)


নিজেকে জানা! নিজেকে খোঁজা! আজকের পর্ব। সখির জানাজানির অপেক্ষায়! :)

অনেক অনেক শুভকামনা সখির জন্য। অন্তহীন কল্যান শান্তি আর সুখ বর্ষিত হোক সখির তরে।









১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারীর অধিক গুরুত্ব বোঝাতেই উল্লেখ্য। :) এক নারী যা পারে শত ছেলেও তা পারে না। সৃষ্টিতেই নারী অনেক গুরুত্বপূর্ন!
উইথ অল দ্যা রেসপেক্ট, আই হাইলি ডিসএগ্রি। একজন মা একজন বাবার চেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ। একজন মা যা পারে তা কোন পুরুষই পারেনা। শুধু সেই একটি ক্ষেত্রে প্রকৃতিগতভাবেই মেয়েদের বেশি দায়িত্ব/গুরুত্ব মেনে নিলাম। তবে রিলেশনশিপে বা অন্য যেকোন ক্ষেত্রে এ ওম্যান ইজ জাস্ট এজ মাচ এজ ইমপর্ট্যান্ট এজ এ ম্যান। রোমিও ওয়াজ এজ ইমপর্ট্যান্ট এজ জুলিয়েট, সেইম গোস ফর ফরহাদ, মজনু! মেয়েরা ঠিক থাকল, কিন্তু পুরুষেরা ছন্নছাড়া তখনও ভালোবাসার কোন সুখকর পরিনতি সমাজ দেখবে না। মেয়েদেরকে পুরুষের শতগুন গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে তাদের ওপরে দায়িত্বের বোঝা তো বাড়বেই, এবং যেকোন খারাপ কিছুতে তদেরকেই দোষারোপ করা হবে প্রথমে। তো জুলিয়েটই না সখা, যদি বলতেই হয়, বলতে পারেন রোমিওরাও লিভ টুগেদারে সুখ খোঁজে! নর নারী দুইয়ে মিলে পৃথিবী গড়ে বা ধ্বংস করে!

আপনি নারীদের অনেক গুরুত্ব দেন, সম্মান করেন। আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন এমন সুন্দর ভাবনা মনে পোষন করায়। অবশ্য নারীপ্রেমী নাহলে কি কবি হয়? ;)

কবিতাটি অসাধারননন হয়েছে। অনেক যত্ম নিয়ে লেখা মনে হলো। বোঝার জন্যে বোকামতীকে বেশ কবার পড়তে হলো।

আমার সে আমিকে জানা যে থাকে মনের আড়ালে
পড়ে সখার বিষয়বস্তু , দর্শন পরল মনে এক অতি প্রাচীন
নিজ স্বরুপ জানার আছে উপায় এক, অবশ্য তা বেশ কঠিন
চেনা জগতের সম্পূর্ণ বিপরীত জগতে দাও নিজেকে ফেলে!

আপনার পাগলী সখি নিজেকে জানার নেশায় ছিলনা কভু মত্ত
চঞ্চলা প্রজাপতির রং কত তা গুনতেই যে বেলা বয়ে যেতো
নিজেকে জেনে কি হবে ছাই? সেসব তো ভাবুক কবিদের কাজ
আপনার চেয়ে আপন আমার শতজনমের সখা, করুক নিজের খোঁজ
আমি ব্যাস তার গভীর অনুভবের রংঙে রংঙিন হব ভুলে সব লাজ।

হুট করে চেনা সরল সেই স্বপ্নময় দুনিয়া গেল পাল্টে, সবই এত তফাতে!!!
নিজেকে জানতেই হয়! অনুধাবন ক্ষনটি এসেছিল করে পদার্পন অন্য জগতে
হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরি, দিগ্বিদিক চেয়ে মরি, সবই যে গেছে পাল্টে, কি করি?
অচেনা সে জগতে অপরিচিত মানুষের ভীরে শক্ত খুঁটি ছিল ভীষন দরকারি।

নতুন দুনিয়া কঠিন ধাঁধা; এক সুত্র ধরে মেলানোর চেষ্টা হবে করে যেতে
কাঠ খড় পুড়িয়ে, রোদে বৃষ্টিতে ভিজে, বরফে জমে জানলাম আমিই সুত্র সেই
আনকোড়া সে দুনিয়ার একমাত্র পরিচিত সংগী আমি যে আমারই
অন্যকে বুঝতে হয় জীবননীতিতে; হায়, তারও পূর্বে নিজেকে যে হয় জানতে।

বেখেয়ালি আমি নিজেকে জানতে লাগলাম পরিস্থিতির দায়ে পরে
আত্মার বাইরে দাড়িয়ে, হয়ে অন্য অস্তিত্ব, জানলাম নিজেকে কষ্ট করে
নিজেকে জেনে আরেক যুদ্ধ, অন্যদের সাথে তুলনা করে, পরি দ্বিধা দ্বন্দে
ঠিক/ভুল বুঝিনা ছাই! জানতাম আমি জীবননীতি গড়া পাপ/পূন্যে, ভালো/মন্দে
হায় জানতাম না একদমি, ভালো মন্দের সংজ্ঞা হয় বৈচিত্র্যে
সময় নদী সাহায্য করল ঠিক, নিজেকে জেনে অন্যকে পারলাম বুঝতে
দুরূহ ছিল প্রক্রিয়া, জটিল ছিল পরিস্থিতি, কঠিন ছিল অনুধাবন
কিছু দিন শান্তিতে থাকার পরে নদীতে ধরল আবারো ভাংঙন।

একসময় ভাবত বোকামতী, নিজের সাথে পেরে ওঠা যায়
জানাজানির পর্ব হয়ে শেষ হৃদয় ও মন হবে চির প্রশান্ত
মন স্রোতময় নদী; কেউ না জানে কোন স্রোতের ঠিকানা কোথায়
গতকালের আমি আর আজকের আমিও যে ভিন্ন, বৈচিত্র্যের নেই সীমান্ত
ধুর! ধ্যাত! আর কত পারা যায়? নিজেকে করি প্রশ্ন তুমি কি? কেন?
স্রোত এসে দেয় ভেংঙে বারবার; সমুদ্র বালুকনার ঘর যেন।

ভাবি আজকাল, নিজেকে জানার নেই শেষ কোন, প্রক্রিয়া চলমান
এখনো প্রজাপতির রং গোনার ব্যর্থ চেষ্টা করি, নিজ মনেই যার বাস, সখা!
মনও তো এক প্রজাপতিই, অস্থির উড়ে চলে, মেলে রং বেরং এর পাখা
উড়ন্ত মনের সাথে দৌড়ে পারবনা কভু সে কথা গিয়েছি জেনে
তবুও নিজেকে জানার এ যাত্রা হবেনা শেষ আর, এই তো জীবন!

নিজেকে জানা! কারো জীবনে কাব্যিক বিলাসিতা
আর কারো জন্যে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই তা
দুনিয়া বড়ই আজব রে সখা! বড্ড বিচিত্রতা!

সখা কত দূর্লভ চিন্তা মনে নিয়ে ঘোরে
ভাবছি কি নিয়ে বলবে কথা এরপরে
শুরু হলো অপেক্ষা কবুতরের তরে!

দোয়া করি মন থেকে আপনার জন্যে। নিজের সকল আপনজনদের নিয়ে ভালো থাকুন, সুখে থাকুন!

৪৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজ লিখতে গিয়ে হারােনা ছোট ভাইয়ের ছবি দেখে চোখ দুেটা ভিজে এল!

আজ আর কিছু লিখতে পারলাম না সখি! সরি

তার স্মরনে লেখাটাই দিলাম -

হারিয়ে গেল ভাইটি আমার
কোনসে অচিনপুরে
বিশটি বছর পেরিয়ে গেল
এলনা আর ফিরে!

বাবা গেল শূন্য বুকে
হায় সাজ্জাদ কোথায়
কত খবর বিজ্ঞাপনে
নেই সন্ধান তায়!

সারাজীবন কাঁদলো মা যে
হারালো তার হুশ
কত ভাবনায় কত কাজযে
করেছে মা বেহুশ।

মায়ের মন কি মানতে পারে
জ্বলজ্যান্ত ছেলে
মরলে মন রে যায় বোঝানো
মানে না হারালে।।

বাবা গেল মা ও গেল
এলিনা তো ফিরে
কোথা খুঁজে পাবো তোরে
কোন ভুবনের পারে?

কাঁদে ভাই কাঁদে বোন
কাঁদে নাকি তোর মন
ওরে সাজ্জাদ কোথা গেলি
হয়না একটু্ও স্মরণ!!

খোঁজ খবরের ওপারেকি
ভাবতেও মন কাঁপে
থাকলে বেঁচে আয়না ফিরে
চোখ যে ভিজে আসে।।

( আমাদের সবচে ছোটভাই ফজলে এলাহী সাজ্জাদ। প্রায় ২০ বছর আগে হারিয়ে যায়। ভীষন দুষ্টু, সাহসী, প্রাণচঞ্চল আর মেধাবী ছিল। অথচ কেমন করে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। আজ হঠাৎ তার ছবিটা দেখে মনটা কাঁদল আরেকবার। )

পৃথিবীর কেউ যেন এই রকম কষ্ট না পায়।
সখির কেউতো নয়ই- সেই দোয়াই সবসময়।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও কবুতর! তুই যা না জলদি উড়ে উড়ে
সাত আকাশের শত মেঘ বাদল পার করে
আমার সখার মনটা বিষন্ন; তুই দেনা ভালো করে
তীক্ষ্ণ ঠোঁটে নিয়ে, সখার আংঙুলে সখির চিঠি ভরে!

................................................................

প্রিয় সখা,

পাগল সখা, সরি কিসের হ্যা?
সখি না অনেক আপন? তাকে কি সরি আছে বলতে?
এবার কিন্তু করলাম অভিমান, সহজে পারবেন না মান ভাংঙাতে।

যন্ত্রনাটা তীব্র জানি, বুঝি; ছলছলে চোখে করেছি শুরু লেখা
তার কষ্ট সখির কি হয় সহ্য? এত ভালোবাসার আপন যে সখা!
আপনজনদের হারানোর বেদনা কাঁটার মতো বুকে বিঁধে
জীবন তো এমনই সখা, অপূর্ণতাবিহীন জীবন যে হবে বড্ড সিধে!

ভাইটি অনেক সাহসী, মেধাবী; তবে কি আর ভয়?
রাখতে হবে বিশ্বাস ভাগ্যবিধাতার প্রতি, তিনি দয়াময়
ভাইটি আছে বেঁচে, নিশ্চিত মনের প্রতিটি কোন জানে
দুনিয়ার সকল সুখ, সমৃদ্ধি, স্নেহ, মমতা চারিপাশে নিয়ে
তার অপেক্ষায় রব মোরা; এ বিশ্বাস, সুখকল্পনা রেখে মনে
কোনদিন বিধাতা নিশ্চই দেবে তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে।

হানি! দিজ ইজ হার্ড ফর ইউ এন্ড ফ্যামিলি এন্ড ইট অলওয়েস উইল বি! আমি অনুরোধ করব মনে কোন অশুভ চিন্তা আনবেন না। সাজ্জাদ ভাইয়া দূরে গিয়েছেন বলে কষ্ট তো মনে সবসময় থাকবে। হাজার কাজে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে এই কষ্ট কাঁটা মনে নিয়েই চলতে হবে। তবে সখা, আমরা সবাই কি ভাবতে পারিনা, রাদার মন থেকে বিশ্বাস করতে পারিনা যে তিনি যেখানেই আছেন অনেক ভালো আছেন? জীবনে নিজের মতো করে সুখ সমৃদ্ধি খুঁজে পেয়েছেন? সেই দোয়ায় আষ্ঠেপৃষ্ঠে তাকে আমরা সবাই মিলে দূর থেকেই বেঁধে রব। ভালোবাসার তীব্র অনুভূতির শক্তিতে তাকে সর্বদা ছুঁয়ে থাকব। আপনি আপন ভেবে মনের কষ্ট শেয়ার করেছেন এজন্যে কৃতজ্ঞ। মনের যেকোন কষ্ট অকপটে শেয়ার করতে পারেন আমার সাথে। আমি শুনব সব!

মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: ভাইয়া শুধু ভালোবাসা, দোয়া, সুখকল্পনায় থাকবেন। চোখের জলে তাকে কোনভাবেই আনবেন না মনে। সখির কথা ভেবে হলেও আপনি এভাবে কখনো মন খারাপ করবেন না সখা। শতজনমের বন্ধন হবার কারনে আমার শতগুন বেশি মন খারাপ হয়! দুঃখগুলোকে হাওয়ায় মিলিয়ে সুখে থাকুন, ভালো থাকুন আল্লাহর কাছে সেই দোয়াই করি সর্বদা!

ইতি,
সখি।

৪৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সকালের সোনারোদের মতো
খুশিতে ভরে গেল মন
ভোলেনি দেখে সখি
সখার তরে জনম জনমের টান। :)

হুম! সেতো কবেই পাষানে বেঁধেছি বুক
চোখের জলে নায়াগ্রা জমেছে- ঋতু শর্তহীন
তবু মাঝে মাঝে উঠলে স্মৃতির শোক
কেঁপে ওঠে অস্তিত্ব সারা দেহ মন।

এমন সখি র'লে পাশে নেই কোন ভাবনা
সকল দু:খ ব্যাথা পলকে হারায় নেই সখির তুলনা :)

তুমি সখি আকাশেতে
আমি জমিনপর
এজনমেও শুকতারা তুমি
মাঝে দুস্তর পারাবার।।

হৃদয় শুধু চেনে হৃদয়
চাতক যেমন ফটিক জল
মনে মনে ওঠে গুঞ্জন
সুদূর নিহারিকা গান।।

জীবন খোঁজে জীবন
সামাজিকতার প্রতিক্ষণ
নেই সেথা আবেগের ঠাই
বাস্তু মাত্রায় ভরা ভুবন।।

মহাকর্ষে যেমন ঘোরায়া ভুবন
প্রেমাকর্ষে ঘোরে সখা-সখি জনম জনম
কখনো রাজা-প্রজা, কখনো চখাচখি
কখনো হংস-মিথুন, কখনো চাতক-চাতকি।।

এ বিরহের নেইকি শেষ মিলনের আশ্লেষ
অন্তহীন বন্ধন : ফুলে ভ্রমর যেমন
ঝিনুকে মুক্তো, মিলন স্বপ্নের মতন
শূন্যতাই গতি তাইকি জীবনে এত ক্লেশ!!

কিজানি কে জানে; ভুবন সাজায় যে আপনমনে
কি আছে হৃদয়ে তার -কেন প্রেম? কেন বিরহ সাগর?
কেবলই ভেসে বেড়াই অনিশ্চিত নিশ্চিতে
মহাকালে কত ক্ষুদ্র সময় পল যুগ শতাব্দিতে!!

সখির জন্য সখার আকুলতা -এবার সখি প্রকাশো আপন মন কথা ;) সখার তরে


সকল সফলতা চুম দিয়ে যাক পায়
সখির যেন তার স্বপ্নের মতো জীবন সাজায়
শুভকামনা নিরন্তর প্রভু সনে
সখা কায়মনোবাক্যে তাই চায়।।






২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হানিই! আই ফিল লাইক ইউ আর স্টিল স্যাড এন্ড ফেয়ার এনাফ! বিষন্নতার ছায়া এখনো সরেনি এবং সরার মতো ব্যাথা এটা নাও। হুটহাট করে এই কষ্টের জায়গা অস্তিত্বকে কাঁপিয়ে দেবে ঠিকই, তবে সামলানোর শক্তিও আল্লাহরই দান! আমি দোয়া করি, আল্লাহ আপনার ও পরিবারের অপূর্ণতার এই জায়গাটি যেন পূর্ণ করে দেন!
আপনার পরিবারে কে কে আছেন?

ভোলেনি দেখে সখি
সখার তরে জনম জনমের টান।


এই ছেলে বলে কি? আজ জানলেন ভুলিনি? আপনার সাথে ব্লগে পরিচয়ের প্রথমদিকেই পূর্বজনমের সব স্মৃতি মনে পরে গিয়েছিল। পোড়া কপাল আমার! আপনার এতদিনেও কিছুই মনে পরেনি। হাসিঠাট্টা ভেবে যাচ্ছেন পুরো ব্যাপারটাকে! উফফ! কি যে করি আমি! কিভাবে তাকে মনে করাই সব! এটুকু পড়ে হাসা বন্ধ করুন আপনি, আর জলদি করে মনে করার চেষ্টা করুন আগের জনমের সবকিছু। :)

হুমম সখার প্রতি জন্মাতরের খাঁটি প্রেম আখ্যান এবং বিশেষত প্রেম নিয়ে সখার ভাবনায় নিজ দৃষ্টিভংগির বর্ণন! ইটস গনা বি ফান টু রাইট! লেটস গেট স্টার্টেড!

সখার তরে আপন মনে কি হয় কিভাবে বোঝাই
সে চায় জানতে; লাজ শরম ভেংঙে বলি আজ সব তাই
কাঁপে বুক দুরুদুরু পড়তে গিয়ে কাব্যচিঠি লেখা তারি
আনচান হৃদয়ে প্রতিক্ষনে সেই; ধ্যাত মরার প্রেম জ্বালায় ভারী
জনম জনম করলাম পার পরম নিশ্চিন্তে হাতটি ধরে তার
হায় শতজনম ধরে বিধাতার কাছে আকুল হৃদয়ে চাই একই বর
শুধু সে মিশে থাকুক প্রতি নিঃশ্বাসে, ঠাঁই হোক পূর্ণ হৃদয়জুড়ে তার
নিজ সমস্ত সুখ শপি তারে, পরম আনন্দে নিয়ে তার সকল দুঃখের ভার!

প্রেম নিয়ে কত উচ্চদর্শন সখার মনে; সামাজিকতা, শতাব্দি, মহাকালে
হে ইশ্বর! বোকামতীর গলে এ কি নীল মনিহার পরালে?
প্রণয়িনী হৃদয় হয় যে বড় ভীরু, এ অমূল্য সম্পদ সামলেও না সামলে!

আজ সখার আহবানে ফাজলামির চূড়ান্ত করে ফেলেছি। ভাবিনি কোনদিন ঠাট্টাতেও কারো জন্যে রোমান্টিক কবিতা লিখতে বসব। ব্লগ কতকিছু করিয়ে নেয়। নেভার ডিড অর উইল ডু ইট ইন রিয়েল লাইফ! হাহাহাহা।

সৃষ্টির আদি থেকে শেষও বিধাতার কাছে পল সমান
তবে কেন প্রেম-বিরহ-মিলনের এ মিছে খেলা চলে অফুরান?
এক পলকে কত গল্প সৃষ্ট রচিত; কেবলই তার বিনোদনে!
মানবজাতির এত আবেগ অনুভূতি কি ক্ষুদ্র মহাকাল তুলনে?

হুমমম না! স্রষ্টার কাছে সৃষ্টির কোনকিছুই মূল্যহীন নয় তো
মানব জনম নয়ত শুধুই মিছে ভেসে বেড়ানো অনিশ্চিত জালে
মেধা, মনন, আবেগে সৃষ্টিকে নিয়ে অন্য উচ্চতায় কালে মহাকালে
পরম নিশ্চয়তায় জড়িয়েছে স্রষ্টার সকল সৃষ্টিকে মানব প্রেমই তো!

সবাই না পায় এত কথিত, পঠিত, ভাবিত প্রেম স্পর্শন
কেউ ভীরু, মিছে সামাজিকতায় মরে আজীবন
কারো পাপ পূর্ণ মনে না হয় খাঁটি নিষ্পাপ প্রেম ধারন
বিরহ আগুনে না জ্বলিলে হয় কি প্রকৃত প্রেম পরীক্ষা?
প্রেম মেলে সাধনায়; জনমের জনমের শত ত্যাগ তিতিক্ষা!

সখা সখির ভাবের আদান প্রদান যেন স্রোতময় নদী অবিরত
সুখ স্বপ্ন, দুঃখ বেদনা, প্রেম বিরহ, সমাজ বিশ্ব ভাবনা অব্যাহত
আত্ম আত্মার খোঁজে, ভিন্নতা পূর্ণ একে অপরে, দর্পন রূপে প্রকাশ মেলা
কে জানে! এ আরো অতলে, অন্য আত্মায় হারিয়ে যাবার অজানা খেলা!

স্বপ্নের মতো জীবন কিভাবে কাটাব রে? আমার তো কোন স্বপ্নই নেই! তাও শুভকামনায় আপ্লুত!
সখা, মনে কোনকিছু নিয়ে কষ্ট রাখবেন না। আল্লাহর প্রতি অটুট বিশ্বাস আছে আপনার জানি। সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই দুঃখগুলোকে মারিয়ে যান। আল্লাহ আপনার মতো ভালো মানুষদের সর্বদা তার রহমতের ছায়াতলে রাখেন! সুখে থাকুন সর্বদা!

৫০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাজমহল দেখতে গিয়ে নাকি এক কাপল গল্প করছিল- সারাংশ- তুমি যদি এমন একটা তাজমহল বানাতে পারো আমি এখুনি মরতে পারি!

সখির নৈবদ্য পড়ে তেমনি মনে হল- আরকি চাই একজনমে? এমন একখান পত্রপাঠ - বিদায়েও বুঝি জনম জনমের শান্তি ! :)

স্বপ্নহীন কেউ হয় নাকি?
একটু কম বা একটু বেশি!
হয়তো সীমা সাম্প্রতিকে-বেশি দূরের নয়
হয়তো অনেক গভীর- ভাবনায় ধরা না দেয়।।

নীলমনিহার কারো থাকে কেবলই লকারে
বুনোফুলের হারে দেখো সখি কেমন হৃদয় চুরে! :)

হায় মরি মরি
সখিরে নিয়ে কিযে করি
ইটস গনা বি ফান টু রাইট! ( হায় এখনো !!!!! )
ফান হবে কবে অবসান, টুইট!

সামাজিক ফান হৃদয়ের গান
চলুক দু-অচেনা- চেনা হৃদয়ের টান
যেতে যেতে পথে না হোক একসাথে
রইবে চিরদিন এ বাঁধন অম্লান।

এক ছিল সখা আর এক ছিল সখি
বলে কি খুলবে কোন গল্পের ঝাপি
এমনই হোক র্কম ভাবনা হৃদয়ের বন্ধন
শুধু আত্মার সনে হোক আত্মার মিলন।

ভাললাগেনা সখি এত হানাহানি
দাও রুয়ে ভালবাসার বীজ এখুনি
যুদ্ধ বিমানগুলো স্ক্র্যাপে পাঠাও
মনের পঞ্চরিপু সুনামিতে ভাসাও।

মায়ানমারে অসহায় শিশু আর নারীর কষ্ট
মানবের উপর অত্যাচারে প্রকৃতিও রুষ্ট
অথচ চলছে সকলে কেমন পেরেশানীহীন
ওখানে লাশের সারি এখানে ভুবন রঙিন!

মিটে যাক ক্লেশ মিটে যাক দম্ভ
জাতিগত সবে এক -জাতে মানব
ধর্ম দেশ বর্ণ সবই বহিরাভরন
রক্ত লাল সকলেরই থাক যতই ব্যবধান।

মানবাতার জয় হোক
বিশ্বে শান্তি আসুক
তবেই না সখা-সখি
গাইতে পারব মধুর স্বপ্ন গান।।

অনেক অনেক ভাললাগা আন্তরিক লেখনিতে। আর শুভকামনায় অন্তহীন কৃতজ্ঞতা।
অন্তবিহীন স্বপ্নের শুভকামনা :)



২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যাক সখার পুরোন দিনের কথা মনে পরছে। তাজমহল নতুন নতুন হয়েছিল তখন, আমরা বেড়াতে গেলাম। কত কথা হলো! হায় পূর্ব জনম! সখা, আরেকটু জোর খাটান স্মৃতিতে। অনেক জনমের ব্যাপার তো, স্মৃতিতে ডাউনলোড হতে সময় লাগবে। ;)

হ্যা স্বপ্নহীন মানুষ হয় সখা! আমার নিজেকে নিয়ে কোন স্বপ্ন নেই। স্টপড ড্রিমিং ম্যানি মুনস এগো, নট প্ল্যানিং অন রিস্টার্টিং এভার! স্বপ্নকুমারকে কিসব বলি ছাই? এ ব্যাপারে আপনি আমাকে বুঝবেন না বা বলে চলে অনুভব করতে পারবেন না। অন্যকথা বলি।

আসলেই এখন সিরিয়াস হওয়া উচিৎ, ঠাট্টা ফানে না চলে জীবন
চাকরি ব্যাবসা দুটোই কতদিন করবেন? একটাতে থিতু হন!
চুলের কি ছিড়ি! যান যান, ভদ্র ছেলেদের মতো কাটান গিয়ে
ইশ! মেয়েদের করে মুগ্ধ, কবি কবি, দার্শনিক, বিদ্রোহী ভাব দেখিয়ে
এখন থেকে বন্ধ কথা, হাসাহাসি, অন্যকোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে
আগে যা ছিল ছিল, এখন আমি জীবনে আছি, সব দেব গুছিয়ে।

দুজনার দুটি পথের হবেই মিলন
এ যে জনমের জনমের বন্ধন!
গোল দুনিয়ায় বিরহ ফুরোবে একদিন
সেই আশায় কাটে প্রতি নিশিদিন।

নিন, ফানের অবসান হয়ে সখি সিরিয়াস হয়েছে। খুশি? এসব লিখতে গিয়ে আমি যতোটা হাসি, পড়তে গিয়ে আপনিও ততটা হাসেন? ও নো ইউ ডোন্ট, ইউ আর সোওও সিরিয়াস এবাউট মি! হাহা। নো! নো ফান, ট্রাস্ট মি আই ফিল দ্যা সেইম ওয়ে এবাউট ইউ! :)

যুদ্ধ! শ্রবনেই মনের কোনে আসে একাত্তর
লক্ষ নিষ্পাপ মানুষের কংকাল, রক্ত সাগর
নারীদের ইজ্জত পানির দামে গিয়েছিল বিকিয়ে
নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা দেয়ালে ছুড়ে আছড়িয়ে।

সে মর্মান্তিক স্মৃতি ভোলেনি এখনো কেউই
বাংলাদেশীরা বোঝে যুদ্ধের মানে কি তাই!
সিং এ নেশন ইন ওয়ার ডাসন্ট মেইক আস জাস্ট সিমপ্যাথেটিক
ফ্রম দ্যা বটম অফ আওয়ার হার্ট, উই আর ডিপলি এমপ্যাথেটিক।

এতকিছু হারিয়ে অন্যদের কষ্টে নীল বিষাক্ত, স্বভাবত
কিছু করার আছে কি নেই? বিজ্ঞ/অজ্ঞ জনে যুক্তিতর্ক শত!

যুগে যুগে হাজার গনহত্যা হয়েছে
শুধু দেশ, জাতি, মুখগুলো পাল্টেছে
শিশুদের আহাজারিতে বাতাস দূষিত
নারীরা হয়ে বন্দি বারংবার ধর্ষিত
ছি ছি মানবতার চেহারা এত বিকৃত!

সখার চাওয়া সখিসহ সকল মানুষে
নিরাপদে, সুখে থাকবে সবাই মিলেমিশে
তেমন কোন ক্ষমতা বোকামতীর নেই তো
অসহায় ব্যথিত হৃদয়ে, করজোড়ে কম্পিত
দোয়াই কেবল যায় করে বিধাতার নিকট।

রাইটিং ইউ ইজ লাইক বিইং অন এন ইমোশনাল রোলার কোস্টার! হাসি, রোমান্স, সম সাময়িক ভাবনা, সবমিলিয়ে মুড সুইং হতে থাকে পলকে পলকে! এরপরের বিষয় কি বলে দিয়েন।

আপনার পরিবারে কে কে আছেন এই প্রশ্নটি হয়ত ব্যক্তিগত হয়ে গিয়েছিল, আমাকে মাফ করে দেবেন। আপনি বলেছিলেন সখা সখির মধ্যে ব্যক্তিগত কিছু নেই, আর ভাইয়ার কথায় উঠে গেল। স্টিল মে বি আই শুড হ্যাভ বিন মোর কনসিডারেইট, সরি মাই ডিয়ার!
আপনাকেও সকল আন্তরিকতার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই। বরাবরের মতোই দোয়া করছি মন থেকে। সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তিময় জীবন কাটান। স্বপ্নকুমারের সকল স্বপ্ন পূরন হোক!

৫১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই গ্রীক উপাখ্যান থেকে বাংলার পল্লীর সাঁঝে
ইতিহাসের গলি ঘুপচি
হৃদয়ের অলিন্দে স্মৃতির ফিনিক্স ডানা ঝাপটায়
কখনো মিলন কখনো বিরহ
কখনো ক্রুশিফাইড কখনো বনবাস
কখনো আর জনমের পথ চেয়ে মনভোলানো
সখা-সখির এইতো ইতিহাস :)

এতো চিরন্তন এক সম্পর্ক কালে কালে
ছুঁয়েছে অগণন হৃদয়
কত আবেগ কত আঁখিজল
কত সূখ কত রোমান্স
কত ঘাত কত প্রতিঘাত - তবু অটুট

স্মৃতি জাগরনে বাড়ে জ্বালা-
বিরহের পুলিসরাত আর কত পার হবো?
আর কত হাশরের ময়দানে তড়পানি
এবার সমাপনি দাও প্রভু
অন্তহীন মিলনের সমুদ্রাবগাহন !

প্রভু হাসেন অন্তরালে
অস্তিত্বের প্রতিকণা তত্ত্বে সবইতো তাঁর
প্রেম-সূখ, বিরহ-কষ্ট
অনুভবে তীব্রতায় আর্তনাদে লুটিয়ে পড়ি আভূমি
সিজদাবনত হৃদয় কাঁদে ঝরঝর অবোধ প্রার্থনায়।

মহাকালে দৃষ্টি জুম আউট করে
পাইনা খূঁজে নিজেরে
সৌরজগতটাই বিন্দু হয়ে গেলে
মিল্কিওয়ে এক পলকের ভ্রমন পথ -

খুঁজে পাই খুঁজে না পাবার এক সুবিশাল বৃত্তান্ত
শুরু নাই শেষ নাই -চক্রবুহ্যের নিয়ত পরিক্রমা
বাহ্য শুরু শেষ এক চমক-ঝলক সেই নিত্যতার
অধ: উর্দ্ধের বহু মূখি এক সময় দরজা-গত্যন্ত ।


সখি, কাল অফিসে ছুটি নিয়েছিলাম তাই বসা হয়নি। তাই দেরী হল উত্তর কাব্যে। আশাকরি হৃদয় দিয়ে অনুভব করে নেবে।
আর সখার পরিবার নিয়ে জানতে চেয়েছ- সখার পরিবার তো সখি ;) নয়?
ক্লু: গায়ে মুনেছ নিশ্চয় - পরিবার কাকে বোঝায়? - যথা : আপনার পরিবারকে দেখছি না! ;) হা হা হা

ভাল থেকো সূখে থেকো সবসময়। সখির বিষয় যা খুশি ;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি তো চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম আপনাকে নিয়ে। আমার ব্লগ বলে না, ব্লগেই দেখিনি সেভাবে লম্বা সময়। আপনার মতো রেগুলার ব্লগাররা কিছু সময় না আসলেই ব্লগটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আপনাকে দেখে ভালো লাগল। কবিসাহেব, দারুন কবিতা লিখেছেন, প্রথম থেকে শেষ পুরোটাই। আপনার ব্লগে যেয়ে লাইক দিয়ে আসব মনে করে।
বাট ওয়েট ম্যান! ইউ আর নট গেটিং এওয়ে উইথ দিস ইজিলি! আপনাকে দেখার খুশিতে অভিমান করতে ভুলে যাব তা ভাববেন না! হৃদয় দিয়ে আমি না আপনি অনুভব করবেন সখির বিরহ জ্বালা! অনেকদিন অভিমান কাব্য লিখিনি আপনাকে। আজ শুরু হয়ে যাই। ;)

আজকের বিষয়: অভিমান!

বিরহ কাঁটা কি যার বিঁধে জানে শুধু সেই
কত সহস্র জনম যেন পার হলো পলকেই
অথচ মানুষটাকে দেখো! কোন খেয়ালই নেই
এসে না সরি, না রেশমি চুড়ি, না চাঁদে বাড়ি
ব্যাস হৃদয়ে অনুভব! সব দায়িত্ব যেন সখিরই!
বোঝেনা সে বিচ্ছেদ দহন অন্তরআত্মা করে ছাই পুড়িয়ে
সখি/সংসারে উদাসীন; শুধু ছোটে কাব্য, দর্শন, বিদ্রোহে খুঁজতে আপনারে!
বোকামতী সখি পেয়েছে তো, মনের সুখে জ্বালিয়ে নিচ্ছে জনম জনম ধরে।

হাজার অপরাধ করে আবার আসবে মিষ্টি কথার জাল বুনতে
সখির দূর্বলতা বুনো ফুলে, মায়া করে জীবন দেবে বলে,
মনচোরাটা গাড়ো চোখে তাকিয়ে পলকেই সব দেবে ভুলিয়ে!
না! যতো যাই বলুক সে, ভুলবনা আর দুষ্টু সখার মিষ্টি কথাতে! ;) :D

অভিমান ও অদ্ভুত এক অনুভূতি; কত রং রূপে জীবনে দেয় ধরা
গাল ফুলিয়ে শিশুর অভিমান মায়ের ওপরে, আহা কি মায়াকাড়া!
দূর্যোগ আঘাতে উত্তাল স্বরুপে, প্রকৃতি মানব অভিমান প্রকাশে মত্ত
অস্তিত্বে অভিমান দেয় ভুলিয়ে, আত্মহত্যা মহাপাপ এ চিরসত্য!

প্রতিপালকের প্রতিও কঠিন অভিমান যায় জন্মে জীবনযুদ্ধে হেরে
মনে প্রশ্ন, কেন ইতিহাস হয়না সাক্ষী শুধুই ভালোবাসার মিলনাত্মক?
বিশ্বাসী মন যায় বলে চুপিসারে, বিরহ ব্যতীরে প্রেম কি হয় সার্থক?
ভক্তি, বিশ্বাস, অভিমান, জিজ্ঞাসা সবমিলে আপনারে শপেছি তারই তরে!

আপনাতেই জন্মে অভিমান নিজেকে খোঁজার অন্বেষণে
কেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অতি ক্ষুদ্র অস্তিত্বে এত তোলপাড়?
মহাকাল যেন চলমান অনুভবে, নিজ আত্মার অভ্যন্তরে
সুখ/দুঃখ, ভোগ/ত্যাগ, মিলন/বিরহে মেখে সকল সৃষ্টিতুলির আচড়
গড়ে ভেঙ্গে পরা আমিই হয়ত এক জগৎ মহাজগৎের ভেতরে!
মহালোকের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেন ভগ্ন দর্পণে!

কি ভীষন বৈচিত্র্যময় মানবজাতি! এক অনুভূতিরই রং কত!
কেউ ভাবুক; অধীর নিরীক্ষন নিজ অধরা অস্তিত্বের বৃহৎ বৃত্তান্ত
কেউবা সরল বিশেষত্বহীন আত্ম অস্তিত্বের ছড়াছড়িতে শ্রান্ত!

সখার বিষয়ও ঠিক করে দেই। অভিমান ভাংঙানো! এ বিষয় সফলভাবে শেষ না হলে অন্যকোন বিষয় শুরু হবেনা। সখির এক কথা! :)

সখার পরিবার সখি এটা পড়ে পরিবারের গতানুগতিক কোন সংজ্ঞা মাথায় না এসে প্রথমেই গ্রামের কারো নিজের সংগীনিকে পরিচয় করিয়ে দেবার কথা মনে হলো। জনম জনম থেকে এই পদেই আছি তো, অন্যকিছু মনে আসেনা তাই। মনও বড় বেহায়া! :`> :D

ফিসফিসিয়ে বলি, এত ডিটেইলড হিন্ট ছাড়াও দুষ্টু সখার দুষ্টুমি বুঝতে সখির অসুবিধা হতো না! হাহা। আপনি পারেনও মজা করতে। আই লাইক হাও ইউ এভয়েড থিংস উইথ সাইলেন্স/সুইটনেস। আই এম লাইক ইউ অন দিস। বাট পিপল! দে কনসেন্ট্রেইট মোর অন দ্যা এভয়েডিং পার্ট, এন্ড লেস অন দ্যা সুইট পার্ট! জীবন বড্ড জটিল রে সখা! বাট উই আর গুড, নো ওয়ারিস।

আপনার সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি কামনা করি। শুভকামনা!

৫২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইনা হলে সখি!
অনুভবে বেঁধে রাখি
নি:শ্বাস যথা হৃদয়ের গহীনে
প্রাণ যেমন দেহের মাঝে দেয় উঁকি। :)

বিরহ যে সুন্দেরর জন্ম দেয়! তাইতো এমন সখি কাব্য জনম হল :) পোষ্টে আগমনের অপেক্ষায়....

হুম। সখির অভিমান কাব্যে অভিমান যেন পূর্নরুপ পেল। দারুন দারুন। সখি বুঝি ভুলে গেছে জ্বালােত গেলে যে নিজেরো জ্বলতে হয়! ;) কে চায় জ্বলতে পিরিতির জ্বলন ছাড়া! ;)
হা হা হা

আলটিমেটাম দিয়েছে সখি! আজকে খবর আছে সখার ;)
ওকে শুরু হোক সখির তরে সাধন! এবার!

রক্ত ক্ষরণ দেখোনি সখি শুধু হাসিটাই দেখলে
লুকিয়ে যাতনার দহন চেয়েছি শুধু হাসিটুকুই তোমার
ভাগ্যই বিরুপ ভুলেছি অভিমান বিধাতায়-
খুশিতে ভাসাতে গিয়ে কাঁদিয়েছি তোমায় বারেবার!

ফুল তুলতে গিয়ে ঝড়া রক্ত- দেখোনি সখি
তোড়ায় কোড়ায় তোমার খুশিতে ভুলেছি আজ
শাজাহান তাজমহলে পেয়েছে কি মমতাজে
তবু কেন বোঝনা সখি-ভালবাসা নয় স্মৃতি তাজ!

এইযে টান এ্ইযে সন্ধান এখানেই প্রাণ
নও তুমি বোকামতি -তুমি নাও আরতি সপ্রাণ;
হৃদয়ের চরণে হৃদয় সমপর্ণ
এরচে বড় কিছু নয় মহিয়ান।

মিষ্টি কথার জালে সখি থাকে প্রেম খাঁটি
বুনো ফুলে সখির কোলে আদর মাখামাখি;
তোমার চোখেই ভুবন দেখি, চাইব বল আর কোথা
পলকেই না ভুলে পারবেনাগো -এ যে সখার মনকথা।

অভিমানে প্রেম হয় গভীর -বিরহে মধুর মিলন
বৈচিত্রহীন জীবন; যদি না রয় বিরহ অভিমান
কাছে আসার মূল্য কই দূরে যদি না রয় সুজন
দেখার আনন্দ কত গভির ভোর জানে পেরিয়ে আঁধার ক্ষণ।

ভক্তি, বিশ্বাস, অভিমান, জিজ্ঞাসায় সমপর্ণ -দেয় পূর্ণতা
হয়তো নয়- তুমিই এক জগৎ পরিপূর্ণ, আপন রংয়ে রঙিন
এত সহজেই শ্রান্ত হলে সখি বৃত্তান্ত শুনবে কে
বৃত্তের অন্তেইতো পাবে খুঁজে তুমি তোমাকে!

হা হা হা। মনেরেতো খুব চিনেছ সখি :) সাথে যোগ করো বেয়াড়া, পাড়লা ঘোড়া.... আর কত্ত কিছু :)

সখির জন্য মান ভাঙানী গান

বোনাস

এবার নিশ্চয়ই এক চিলতে হাসি খেলছে সখির ঠোটে! :) সাগরের কোল যেমন ঢেউ নিত্য ধূয়ে দেয়- সখির মনে অভিমান তেমনি পলকে ধূয়ে যায়- জানি......বৃষ্টি ভেজা ফুলে যেমন খিলখিল করে ওঠে সবুজ সতেজতায়.......

সব সময়ের শুভকামনা অন্তহীন
অভিমান ঝড়ে পড়া তুষারের মতন
সোনারোদ পেলেই গলে গলে যায়
সখা-সখির সুখ ঝর্ণা হয়ে বয়।। :)




২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে! ফুল তুলতে যেয়ে বেচারার হাতে রক্ত ঝড়ে!
যাই ছুটে দেখি গিয়ে, কই পাগলটা কিছুই তো বলে না মোরে
আচ্ছা, সারাক্ষন হাতে হাত, কোন দাগ তো চোখে না পরে
হলুদ বুনো ফুলে কাঁটা কোথায় থাকে, গোলাপ তো নয় আর
সে বলে আর তুইও মানিস! বোকামতী কোথাকার
না আর ভুলবনা তার কথায়, অনেক হয়েছে এবার!

ইশ! প্রনয়ের বিরহ জ্বালা তাকেও নাকি পুড়িয়েছে
তবুও সব ভুলে বেদনা লুকিয়ে সখি সুখে হেসেছে
হ্যা তাইতো ছিল উধাও এতগুলো মুহূর্ত কিছু না বলে
হৃদয় টানের সুতো এত কাঁচা হয়, কবে কে শুনেছে?
মনচোড়া করছে বশ আবার, পাগলী রাখ নিজেকে সামলে।

উফফ! কি ভীষন মায়া করে বলে সে মধুর প্রেম কথা!
হৃদয়ে হৃদয় সমর্পন, আমার চোখে তার ভুবন আঁকা
তার ভুবন যে হবে অন্ধকার আমি ফিরিয়ে নিলে আঁখি যুগল
হোক না সে উদাসীন, ভাবুক, অন্তর্মূখী, দুষ্টু, বিশ্বাসী সরল
দিনশেষে সখা তো সখিরই, তারে ছাড়তে না পারি একা।

শতজনমে অগনিত ইতিহাস পাতায়, বৃক্ষ, পাথরে লেখা নাম দুটি!
মহাকালের কত সুখ/দুঃখ, মিলন/বিরহে পুড়ে এ প্রেম পবিত্র খাঁটি
শুনুন সখা, করেছি ক্ষমা, ভুলেছি অভিমান, বন্ধন যে জন্মাতরে
মনে থাকে যেন, অন্যকেউ হলে এতসব করতনা সহ্য ধৈর্য্য ধরে! :)

অবশেষে শতজনমের রেকর্ড অক্ষত রাখিয়া সখি আবারো ফাঁসিল সখার মায়াজালে! আচ্ছা কে বেশি ফাজিল? আপনি না আমি? হাহা।

শ্রান্তি না আসে সহজে, নদী সদা অভ্যস্ত চিরচায়িত ভাংঙনে
সে নদীতেও বিষন্নতার মর্ম, তছতছ সমস্ত কোন প্রলংকারী তুফানে
জানা অজানা শত তীক্ষ্ণ যন্ত্রনা, তীব্র বেদনা, অসহনীয় যাতনা
জীবন নদীর ভাংঙনে মানবে করে ভর আপনাতেই একরাশ ক্লান্তি, না!

বিন্দু থেকে বৃত্ত, বৃত্ত থেকে বৃত্তান্ত, বৃত্তান্তে বৃত্তের অন্ত!
আপনারে খোঁজার যাত্রা দারুন উত্তেজনাময়, অস্থিরেই স্বস্তি, শান্ত
আত্মআত্মার দর্পন প্রকাশে সবই যেন ধু ধু মরূভূমি, পরন্তু!
চলমান জন্মে পৃথক পরিবেশে, রুপায়িত বিপরীত স্বকীয়তাময় দুজন
তবু হৃদয়ে হৃদয়ে টান অমলিন আজো; ভাগ্যবিধাতার গাড় লেখন!

হাসিঠাট্টা তো অনেক হলো। পরের বিষয় ঠিক করে দিয়েন কাব্যসাথী!
মানা ভাংঙানি মিষ্টি কাব্য ও মধুর গানে কৃতজ্ঞতা, নিন আপনিও গান শুনুন। আপনি নিজের অনেক খেয়াল রাখবেন। সারাটাদিন অনেক ভালো কাটুক।

৫৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু’জনেই সমানে সমান :)

নইলে কি আর সখা-সখি হওয়া যায় ;)

হা হা হা

দারুন উত্তর কাব্যে আপ্লুত! যেমন আবেগ তেমনি তার প্রকাশ। যেন মানিক জোড়।

খুশির জোয়ার বাঁধ ভেঙ্গেছে
সখির আমার মান ভেঙ্গেছে :)

--বড়ই কৃতার্থ সখির প্রতি :)

শেষ অন্তরায়েতা পুরাই বাউন্স! ছক্কা! দারুন হয়েছে প্রকাশ - মুগ্ধ :)

সখি মনে পড়ে সেই পূর্ণিমা?
রাজকুমার সিদ্ধার্থ ব্যাকুল হল অদৃশ্য টানে
স্বপ্নপুরি ছেড়ে বোধী বৃক্ষে পূর্ণতা
যশোধার দৃষ্টিতে দেখেছে কি কেউ?

আজ হোক তবে জোৎস্না কথন
অনুভবে কত সহস্র রজনি পেরুনো উপাখ্যান
কত রাজ রাজন্য, কত কুটিরের আপ্লুত মন
ভাঙ্গা ঘরের ফোকর গলা জোৎস্না কাহন!!
যুগ যুগান্ত অনন্ত অন্তহীন---

কলাপাতার আড়ালে জোৎস্নার লুকোচুরি
তোমার লাজুক চেহারা, জোছনায় মাখামাখি
সেই আদি থেকে আজো
একটুও বদলায়নি অনুভব
তোমার দৃষ্টিতে মেঘের আড়ালে লুকায় চাঁদ।।

ওগো চাঁদ,
তুমি পথে পথে তার মুঠো মুঠো জোছনা ঢালো
আমার প্রিয়া আসেব অভিসারে অনেক জনম পর!

কত কাব্য কথা কত গান কবিতা
চাঁদ কি জানে?
কত স্বপ্ন কত রুপকথা
অগণন প্রেম গাঁথার স্বাক্ষ্য সে!

জোৎস্নায় ভেসে যাওয়া নদী দেখেছ?
চরাচর, শান্ত সাগর, ডুবে যাওয়া জনপদ
কেন উদাস হয় বাউল মন
এক মুঠো আলোর কি এমন ক্ষমতা????

কে খুঁজেছে কবে? সকলেই মজেছে
যাই তবে আমিও মজি ভরা জোৎস্নার সাগরে
অবগাহন আর সখির স্মরণ
গৌতমীয় শূন্যবোধ কি এমনই ছিল
সব থেকেও কিছূ না থাকার -এ কেমন আলিঙ্গন!

অবারিত আলোকে দরাজ গলায়
হৃদয়ের অর্গল খুলে গায় বিরহী-
আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলিরে...


এবার সখির পালা। জোৎস্নার অনুভব সখির চোখে :)

তার আগে মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়

সখি সুখে থেকো :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে শত ব্যস্ততায় হলো দেরী পত্র প্রেরণে
সখা কি বিরহে দিশেহারা, মন বিষন্ন অভিমানে?
এই সখা, তাকান না একবার, দেখুন সখি যে আছে বসে
হাঁটু গেড়ে মাটিতে, কান দুটি ধরে, আপনার তরে মিষ্টি হেসে!

মুগ্ধতায় কৃতজ্ঞ। আমি তো বরাবরই মুগ্ধ আপনার লেখায়! সখাকে একটু ভেংঙাই, এটুকু পড়ে সখা বলবে, "মুগ্ধতাটুকু হৃদয়ে সযতনে প্রেরনা হিসেবে তোলা রইল :)। " হাহা। দেখুন তো এসেই দুষ্টুমি শুরু করে দিয়েছি! না না জোৎস্না কথনে যাই এবারে।

যে গানটি দিয়েছেন সেটা আমার ভীষননন প্রিয়। প্রথমবার যখন শুনেছিলাম একবারে ২৫/৩০ বার শুনেছিলাম।
জোৎস্না নিয়ে আমার সবচেয়ে প্রিয় গান দিচ্ছি আপনাকে, যা রাতের বেলায় প্রায়ই শুনি। এমনও দিন যায় যে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই একই গান বেজে যাচ্ছে! নিন, গান শুনতে শুনতে কবিতা পড়ুন!

জোৎস্না! শ্রবনেই চোখে ভাসে সখা সখির মধুর স্ম্বতি কত!
নীলনদের ঢেউ খেলানো প্রতিফলনে দুটি চেহারায় সুখ প্রশস্ত
সাহারা মরুভূমির চিকচিকে বালুকণায় হিরের কুঠি নির্মানে ব্যস্ত
হালকা হাওয়ায় গাছের ফাঁকে গলে পরা আলো আঁধারিতে
হিমশীতল শুভ্র বরফ মেখে তুষার দেশের মায়াপুরীতে
সখা সখি বসে, হাতে হাত, চোখে চোখ, কেটে যায় মুহূর্ত শত
মহাকালের অজস্র জোৎস্না স্রোতে ভেসে এ প্রেম চির আলোকিত!

এক মুঠো আলো তো নয়! এতো জগৎ এর সকল জ্যোতির মিলন
ইতিহাসের কত কাহিনী, গল্প বুকে বেঁধে ছুটে চলে নিরন্তন
মনমোহিনী, রহস্যময়ী জোৎস্না যে প্রকৃতি মা'র নিদারুন অর্পণ
সখি হৃদয়ে থাকতে সখার মনে কোথা হতে আসে শুন্যতা?
কোথা আর আছে প্রকৃত প্রেমিক অন্তর সম পূর্ণতা! :)

হুমম সখা, বলি আপনার সখির জোৎস্না অনুভব!
জীবন নদীর একেক স্রোতে ভেসে নানা রূপ, অবয়ব।

বারান্দায় গলে পরা ডোরাকাটা আলোয় নয়ন উদ্ভাসিত
এত দূরে তবুও মনে হয় অতি নিকট, যেন শত জনমের মিত্র
নির্জন রাতে শান্ত বয়ে চলা নদীর ঢেউয়ে দর্পণ স্বরূপ প্রতিফলনে
দূরাকাশ হতে নেমে জোৎস্নার পৃথিবী ভ্রমন চড়ে স্রোত বাহনে
আনমনে বেজে ওঠে সুর, "আজ জোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে!"

বৈদেশের শুভ্র বরফ যেন চিকচিকে হিরকখন্ড জোৎস্না আলোয়
তুষারকন্যার সকল অঙ্গে স্বর্গ নূর প্রতিফলন খেলায় মেতে
শুভ্র জমিনে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য বেড়ে, দেয় চোখ ধাঁধিয়ে
অবাক নয়নে ভাবি যাদু না মায়া? বোঝা বড় দায়!
এ সৌন্দর্য পৃথিবীর নয়; যেন এসেছে অন্যকোন জগৎ হতে!

সখা সখির জোৎস্না কাব্য মনে তোলে স্মৃতির আলোড়ন
আহারে! এ জনমে এখনো হলোনা একত্রে জোৎস্না স্নান
অপেক্ষার প্রহর ফুরোবেই, মিছে তো হবার নয় বিধির লেখন!

আপনার আন্তরিক চিন্তায় মুগ্ধতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পরের বিষয় ঠিক করে দিয়েন।
আপনার সকল স্বপ্ন পূরন হোক। জীবন সদা উদ্ভাসিত জোৎস্না আলোয় ভেসে যাক!

৫৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব কিছু ঠিকাছেতো!
শরির স্বাস্থ্য মন!

মিসিং ফর আ লং হোয়াইল...

আল্লাহ হেফাজত করুন সকল মন্দ থেকে
সকল কল্যান বর্ষিত হোক

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে সখার সখি প্রেম! দুদিন ও লং মনে হয়! চিন্তা করায় কৃতজ্ঞ। অবশ্য নিজ পরিবার কে নিয়ে তো চিন্তা হবেই। সে কিছু সময় না থাকলেই সংসার যে হয় ওলোটপালট। হাহা।

আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ। ঠিক আছে সব। ওপরের কমেন্টে লিখেছি কাব্যচিঠি, পড়ে নিয়েন।
আপনার ওপরেও আল্লাহর সকল রহমত বর্ষিত হোক।

৫৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুরে সুরে ভেসে যাওয়া কি একেই বলে......

অসাধারন প্রিয় গানটির জন্য এক আকাশ জোৎস্না সখি ;)

যাহ্ অমন করে বলতে নেই....
সখি যে সখার হৃদয়ের সিংহাসনে রাজরাণীর মতো হাসবে
সখাই হাটুমুড়ে সখির তরে নিজেকে বিলিয়ে ভালবাসবে :)

গাইবে-
মখমলের ঐ সূঁচনি ঘাসে
বসলে না হয় একটু পাশে
মনে হয় মহুয়ার এই আতর মেখে
তোমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ি ---- ৫ বার শোনা হয়ে গেল :) আহা কি মহুয়ানেশা! কি আবেশ! কি রিনিঝিনি হৃদয়ে :)

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ।

নীলনদ থেকে মরুভূমি, তুষার দেশের মায়াপুরী ওয়াহ!
দারুন জোৎস্না কাব্যে মুগ্ধ মুগ্দ মুগ্ধ!!!!
সিদ্ধার্থ জানে কেন সখিরে ফেলে গিয়েছিল বোধি বৃক্ষ তলে
কি সেই শুন্যতা -কি সে ব্যাকুলতা... সখিকে বারবার হারাবার কষ্টইকি
অথবা এই দূরিয়া ;) হৃদয়ের এত কাছে থেকেও বাস্তবের শূন্যতা ;)
হা হা হা

চোখ ধাঁধানো স্বপ্ন যাদু মায়া মাখা জোৎস্না বর্ণনায় ভাললাগা অনেক অনেক।


এবার সখি বলুক কাব্য বিষয় :)

আমি অপেক্ষায়

শুভকামনা আর দোয়ার সাথে :)







০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আল্লাহ! যে লাইনগুলো কোট করলেন, গানের সে লাইনগুলোই আমার সবচেয়ে প্রিয়। "তোমার কোলে ঘুমিয়ে পরি!" লাইনটি যখনই শুনি, মুখে মুচকি হাসি হেসে যায়। সাচ আ রোমান্টিক সং! আসলেই ভালোবাসার মানুষের জন্যে গাওয়ার মতো গান।

বোকামতীকে কাব্য বিষয় ভাবার জটিলতায় ফেলে দিতে আপনার একটুও মায়া লাগল না? আমি বাবা টপিক ভাবতে ভয় পাই। সখা তো উচ্চমানের অন্তমূর্খী, জিগ্যেস করতে না পারা জিনিসের লিস্টটা অনেক বড়! আপনার এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে যেকোন প্রশ্ন। হুমম প্রানবন্ধুর কথা ফেলি কি করে? শুরু হয়ে যাই।

আজকের বিষয়: মনের নানা অনুভূতি ও প্রকাশ!

সখা বলেছিল মন হয় বেয়াড়া, পাগলা ঘোড়া
ঠিকই তো, আত্ম অন্দরে বাস তবুও লাগাম ছাড়া!!!
নচ্ছার মন যেথা না যাওয়ার সেথাই দৌড়ে ছুটে যায়
ধুর ধ্যাত অবাধ্য মনের জ্বালায় বাঁচা বড় দায়!

শতজনম হতে সখাকে লুকিয়ে রেখেছি সযতনে আপন মন ঘরে
মন সিন্ধুকের একইতো নীল মনিহার; হারানোর ভয় কি সরে?
হায়! দূরত্বের বাস্তবতায় শেষ হয়েও হয়না শেষ বিরহ যাতনা ;)
পাওয়া না পাওয়ার মায়াখেলায় মনের কি যে এক যন্ত্রণা!

এক মানব মনেই আঁচড় সৃষ্টির সকল রূপ রং!
প্রবল মায়ায় মোমসম গলে আবার রেগে আগুন
রাগের প্রকাশ ভুলেও না করি,
নিজ মনে জ্বালা নিয়ে মরি!

প্রগাঢ় যন্ত্রনায় মন যখন ভেংঙে গুড়িয়ে পরে
মনদরজা খুলে কাউকে কিছু বলতে না পারি
অশ্রুকনা লুকোনোর ক্ষমতা রপ্ত করে
বোকামতী করে পার বিষাদ নদীর তরী।

এলোমেলো মনপাখি উড়ে চলে এথা সেথা
অন্তহীন গন্তব্যহীনতাই যে তার জীবনগাঁথা
সৃষ্টির সকল সংজ্ঞা অতি জটিল মানব মনেই নিহিত
জগৎ সংসার মনকে সুখি রাখার মিছে মায়া খেলা অবিরত!

সখা! আমার ঘরবাড়ি মানে নিজ মনকথা করুন বয়ান!
বিষন্নতায় কি করেন? সুখের প্রকাশই বা হয় কেমন?
ক্ষুদ্ধ মনে করেন ঝগড়া না থাকেন চুপ মুখ ফুলিয়ে?
আত্মখোঁজের এ যাত্রায় দিন না আরেক কদম বাড়িয়ে!

এত দেরীতে উত্তর আসার কারন বলি। সেমিস্টার শেষের ফাইনাল প্রজেক্টস, এক্সামস নিয়ে ব্যস্ত আছি। খাওয়া ঘুম মাথায় উঠেছে। কবুতরের যাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে তাই। হায়! প্রেমের পথে বিরহ বারংবার বাঁধা হয়ে দাড়ায়! হাহাহা, না সিরিয়াসলি, জ্যাম ধরে যাওয়া ব্রেইনে জলদি করে কি লিখেছি নিজেই জানিনা। ব্যস্ততা জলদিই কমবে অবশ্য। আপনি চিন্তা করবেন না সখিকে নিয়ে। আপনার দোয়ায় ভালোই থাকবে। আমার সকল দোয়া ও শুভকামনা আপনার জন্যে।

৫৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক আগে এই পোস্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম। আজ প্রথম পাতায় মন্তব্যের ঘরে এই পোস্টে তোমার একটা মন্তব্য দেখে আবার ঢুকে পড়লাম। আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। কী বিশাল বিশাল মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য! ব্লগার বন্ধুরা তোমার লেখা এত পছন্দ করে ধারণাই ছিল না।

ভ্যাকেশনে আরও বেশি বেশি লিখবে। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই!

আপনাকে এ পোষ্টে আবারো পেয়ে অনেক ভালো লাগল। হুম ভ্যাকেশন ছাড়া তো লেখা হয়না, তাই তখন বেশি বেশি করেই লিখি! আপনার আন্তরিক অনুপ্রেরনায় কৃতজ্ঞতা।

সুস্থ্য ও সুখি থাকুন সদা সর্বদা!

৫৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলেই গানটি অসাধারন! আবারও কৃতজ্ঞতা :) অনুভবকে মুচড়ে দেয় নাড়িয়ে দেয়.ভাসিয়ে নেয়...

কে বলে বোকামতি! আর এইই যদি হয় বোকামতি-তবে আমিও বোকামত হয়েই থাকতে চাই আজীবন ;) হা হা হা

না কষ্ট দেবার জন্য নয়- বরং প্রকাশের মাত্র ভিন্নতার আশায়ই সখির প্রতি আহবান ছিল। পেয়েছিও---
প্রাণবন্ধু বল-আবার কি করে বল এড়িয়ে যাবার প্রবণতা আছে সখার! সখা কি কখনো এড়াতে পারে সখিরে!!!
কখনোই নয়...

মন!
পঞ্চভূতে পঞ্চপ্রাণ
তাইতো রুপ বদলে ক্ষনে ক্ষন
নিভৃতে হাসে পরম যে জন।

পাঁচ আত্মা পঁরান
চার চোরা লাগাম ছাড়া
ধীর স্থির একজন
সেই পরম সূজন।।

আগুন পানি মাটি বাতাস
চার মৌলিকের চার স্বভাব
মন দৌড়ায় যার পায় বেশি আশ
সাধক জনায় বাঁধে তাদের দিয়ে ফাস!

ছাড় তত্ত্ব কথা - হোক সখার প্রাণ কথা
সূখ দু:খ আনন্দ বেদনার মন প্রকাশ যথা

জনম জনম সখির ছবি এঁকে নয়নে সযতনে আপন মনে
হৃদয়ের গভরে রেখেছি আপনার চেয়ে বেশি যতন করে
সাত রাজার ধন দু’পায়ে দলে খুঁজি তারে জনম জনমে
পেয়েও না পাবার কিযে জ্বালা কত রুপে তড়পায় মরমে!!

সূখ আর এল কই- সখি বিনে
যাই পাই- তানহা না যায়
সবই আছে কি যেন কি নাই
তাই উচ্ছাস আসে সূখ সন্ধানে!

যাতনারা দুমড়ে মুচড়ে দেয়
অবুঝ সময়ে নিজেরে পুড়েছি কত -
এখন শুধু নিরবে সয়ে যাওয়া
নিয়তির হাতে বাঁধা সময়ে-
যায়না যে উল্টা বাওয়া!

মন পাখির মন কথা শুনবে যে
সাত সমুন্দর তের নদীর ওপারে
রয়ে যায় গোপনে জমা
পেলে তারে কাছে বলব উজার করে-
আরব্য হাজার রজনী উপাখ্যান!!!

জগৎ সংসারের মিছে খেলা -আর কত জনম
প্রভু হয়না কি মায়া তোমার কাঁদে বিরহী প্রাণ
কেন নিজেরে নিজে দাও কষ্ট, বিরহের অনলে
সকল সীমা তুমি -পলকে দাও মুছে প্রেমাহলে।।


হুম! সখির খুব চাপ যাচ্ছে! দোয়া রইল সহজ স্বাভাবিক মনে মোকাবেলা কর সখি সাফল্যের সাথে, হাসি মূখে। যদিও কষ্ট হয়েছে তবু্ও অসুবিধা নেই। কতবার যে আসা আর যাওয়া- আর শূন্য মনে ফিরে যাওয়া- গুনলে কম্পু্ও উল।টা মাইর দিত! ;) অই বেটা অতবার আসিস কেন? বলে ;) হা হা হা হা
কবুতরের ওতো বিশ্রাম চাই। আসুক ধীরে ধীরে।
চিন্তা কি আর চাইলেই যায়- এ যে চিতার জ্বালা... ঐ গান শোননি সখি চিন্তার চে জচতার আগুন ভাল!!!!
ভেবোনা সখাকে জ্বলতে দাও- জ্বলে জ্বলে যদি কমে জনম জনমের দূরিয়া!!!!!!!! :)
সকল শুভকামনা সহ-




০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা! আপনি ভীষন রোমান্টিক মুডে ছিলেন এই কবিতা লেখার সময়! আপনার মনের সকল অনুভূতি তো প্রেমের চারপাশে আবর্তিত দেখছি! হাহা।
এড়ানোর প্রবনতা আপনার নেই? সিরিয়াসলি? ডুড! আই হ্যাড টু আস্ক ইউ হাও ওয়াজ ইওর ডে থ্রি টাইমস টু গেট এন আনসার! থ্রি টাইমস! পরিবারে কে কে আছে জিগ্যেস করার পরে আমাকেই গ্রামের ভাষায় পরিবার বানিয়ে দিলেন। এখন কোন কথা জিগ্যেস করে কুলসুমের মা হয়ে যাই সে ভয়ে থাকি! হাহাহা! কিডিং!

চাওয়ার কি আছে? সখা তো এমনিতেই বোকমত মস্ত
শতজনম হতে বোকামতীতে ডুবে থাকে নয়তো? ;)

ভাবব না! মন পাঁজরে বেঁধেছি যারে, প্রানে কি সহে তার জ্বলন?
বিধির কাছে দু হাত জোরে শুধু চাই তার সমস্ত দুঃখের অর্পন
শত কাজের ফাঁকে ঝাপসা হয় দৃষ্টি আনমনে
সখার সনে কাটানো কোন স্বপ্নময় স্মৃতি স্মরনে
কতদূরে সে আছে বসে ভেবে কাঁদে মন অসহায়
দুজনার হৃদয় কত কাছে, অনুভবে সুখে প্রান যায়
তীক্ষ্ণ কাঁটাতারের বেড়াজালে, বিরহ অনলে অন্তর পোড়ে
সাধ্যি হলে সদা শাড়ির আঁচলে রাখিতাম বাঁধি প্রানসখারে ;)
জ্বলন, পোড়ন; স্বপ্নময় বন্ধন; প্রেম যেন এক পরম সুখের মরন!

নতুন টপিক: সখির সবচেয়ে প্রিয় ঋতু বর্ষা! বৃষ্টি নিয়ে সখির সকল প্রিয় গানের সমাহার সখার তরে, শুরু হবে সবচেয়ে প্রিয়টি দিয়ে, view this link :)

বৃষ্টি! আঁখি বুজলেই ভাসে স্বদেশের হাজারো স্মৃতি স্বপ্নময়
আকাশ মেঘের প্রেমলীলা দেখে লজ্জামাখা নয়নে
চঞ্চলমতি ছুটে যেত উল্লাস, আনন্দে বর্ষা আহবানে
ভেজা ঘাসে নরম মাটি কাদা মেখে শুন্য চরনে
একাত্বতা শত ফোঁটা বৃষ্টি সনে, দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে
প্রকৃতি মা সমস্ত অস্তিত্বে আষ্ঠেপৃষ্ঠে, কেড়ে সকল ব্যথা, ভয়!

বৃষ্টি! টিনের চালে, শিলা শব্দে, কি মধুর গুঞ্জন, গীত
নদীর স্রোতে মিশে বৃষ্টির চক্র তৈরির খেলা চিরায়ত
সোদা মাটি সনে বৃষ্টির ঘ্রান, প্রশ্বাসে মিশে করে মত্ত
বৃক্ষপত্রে শাখা প্রশাখায় লেপ্টে প্রকৃতি আরো হরিত
বর্ষার সকল অংগে জড়িয়ে অসীম রূপ, মাধূর্য্য, কোমলত্ব!

কতদিন হয়না বৃষ্টিবিলাস! প্রবাসে বৃষ্টি ফোঁটাগুলোয় ভীষন শীতলতা
কেঁপে ওঠে শরীর, নেই স্বদেশের মায়ামাখা সেই কোমলতা
মন চায় সকল কিছুর বিনিময়েও ফিরে পেতে সেই ফেলে আসা সময়কে
যার প্রতিটি ভাজে জড়িয়েছিলাম শত অমূল্য মুক্তসম বৃষ্টিকনাকে!

শুনি সখার বর্ষন দর্শন, স্মৃতি স্মরন ও বর্ণন
আর এবারে কিন্তু হবে করতে নতুন বিষয় নির্বাচন
সবমিলিয়ে সখি রইল কবুতরের পথ চেয়ে ..........

হুম ঠিক ধরেছেন, অনেক চাপ যাচ্ছে। দিন রাত ওলোটপালট হয়ে গিয়েছে! সেমিস্টার শেষ হলে প্রানে বাঁচি!
হানি! দেয়ার ইজ এ থিং কলড নোটিফিকেশন বার হুইচ শোস এভরিথিং! সেটা চেক না করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শীতে কাঁপতে কাঁপতে সখির বাড়িতে বারবার বাহানায় আসা সখার তীব্র উতলতাই প্রকাশ করে! হাহাহা। আপনার দোয়া, আন্তরিকতা, ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। আমার সকল শুভকামনা, ও দোয়া আপনার জন্যে।

৫৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কুলসুমের মা - হা হা হা হা

অসাধারন সেন্স অব হিউমার! গ্রেট সখি :)

সখির ভাবনায়, প্রার্থনা আর শুভকামনায় আপ্লুত! একজনমে আর কি চাই। এমন ভাববার কেউ আছে ভাবলেই প্রাণ ভরে যায়।
বর্ষা নিয়ে দারুন গানের কালেকশনে ধন্যবাদ। সখির জন্য বর্ষার উপহার
বর্ষার রোমান্টিক অনুভব

অনেক গান হল মজা হল এবার যাই বর্ষা কাহনে

চৈত্রের দহনে তৃষিত পৃথিবী
দহনে দাহনে ফাটে মাটি ফাটে হৃদয়
চাতকের ফটিক জল কান্নায় ভারী হয় প্রকৃতি
ঝর ঝর ঝরঝর অঝোর বর্ষন, ভিজে প্রকৃতি ভিজে মন।

নেচে ওঠে মন ঝিরিঝিরি বর্ষার তিরতির কাঁপা পাতার মতন
বাতাসের সাথে দৌড়, জলের সূখ গায় মেখে
কখনো জাম্বুরায় ফুটবল, কখনো জমা জলে গড়াগড়ি
ছিটানো জলের উৎসবে পায়ের কারুকাজ..

ভরা বর্ষায় ঝাপিয়ে পড়া পুকুর জলে
আধো ডুবে আধো ভেসে- জলের বুকে জলের মিলন অনুভব
বড় বড় ফোটায় ওঠা জলের বিছানায় বর্ষার নক্সি কাঁথা
দেখেছি সৃষ্টির আদি যাত্রায় একই মিলন ছন্দ!

জলের বুকে ভেসে জলের ঘাই ভরা বর্ষায়
কানে মধুর বৃষ্টি নিক্কন-ভেসে যাওয়া কোন অজানায়..
ডুবতে ডুবতে গভীরে শব্দ কমতে কমতে এক অদ্ভুত নিরবতা
সূখঁ ছুতে না ছুতেই দমের হাসফাস- আবার ভুস করে ভেসে ওঠা!

ভরা বর্ষার ভিজছে নগর জবুথবু সব পালায় ঘরের কোনে
আলগোছে তুমি আমি ছাদে দুজনে- দূরে বহুদূরে শুধু বৃষ্টির পর্দা
তোমার চোখে অন্য বর্ষা নামে, জল ছাপিয়ে -কামনার জলে জ্বলে প্রাণ
যে জলে অগ্নি জ্বালা - জলে জ্বলেন মিলে মিশে একাকার !

তোমার অধরে মুক্তো দানা হয়ে জল, ভেজা চুলে ভেনাস
অপলক মুগ্ধতায় হৃদয়ে বজ্রপাত - কেঁপে ওঠো তুমি
শূন্যতা মুছে যায়- দুটো হৃদয় এক হয়ে গেলে
মুক্তো দানা পানে স্বর্গ সূখ বর্ষার আগে বুঝিনি।

জনম জনমে তোমাকে হারাবার স্মৃতিও এই বর্ষায়
মনে পড়ে সেই পাহাড়ী গায়- মুক্তো পানে
কী আক্রোশে বজ্র হয়ে ছিল- সমাজ, ধর্ম, সামাজিক বিধান!
তোমাকে কেড়ে নিয়ে গেল- আমাকে অচেতন জলে ফেলে!!

বর্ষা হাসায় বর্ষা কাঁদায় বর্ষা স্বপ্ন দেখায়
আবার মিলন হবে এমনি কোন এক বর্ষায়
জাগবে যখন হৃদয় জাগবে প্রাণের ভেতরে প্রাণ
স্বপ্নে বর্ষন প্লাবিত হলে- রীতি, নীতি, মেকি বোধ
এসো সখি- নূহের কিস্তি লয়ে আমি অপেক্ষায়।।

:)

কেমন হল সখি বর্ষা কাহন?
এবার বলো সকী বিরহ বুঝেছ কেমন?
কিবা তার রুপ রং কিবা তার যাতন-
করগো সখি এবার সে অনুভব বর্ণন। :)

ভাল থেকো সদা প্রকৃতির মতো নিত্যতায়।







০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আজকাল ব্যস্ততায় খুব জলদি করে লিখে কিছু পাঠিয়ে দেই। লেখার সময় মনে হয় কতকিছু লেখা হলোনা! সময়ের অভাবে সম্ভব হয়না। আপনার অসাধারননন লেখনীর কল্যানে আমার না বলা জিনিসগুলো বলা হয়ে যায়। অনেক সুন্দর লিখেছেন বরাবরের মতো। অসাধারন গানে কৃতজ্ঞতা।

সখাকে হাসাতে পারলে সখির হিউমার ধন্য। :)

গৃহকর্ত্রী নিজ বাড়ি গিয়ে পেল অাজব অভ্যর্থন "পথ ভুলে নাকি?!"
হৃদয় চেরা প্রেমময় আহবানে সাড়া দিয়ে শুনতে হলো এ কি? ;)
হায়! শত জরুরি কাজ ফেলে একপাশে, ক্লান্ত চরন জোড়া টেনে
ছুটে গিয়ে, শুনে সখার আক্ষেপে বানী, বেদনার সুর বাজে মনে। (রাগমিশ্রিত ভেংচির ইমো হবে)

আবার বলে, "স্বাগত!" আমার বাড়ি, আমার ঘর, যখন ইচ্ছে যাব/আসব/থাকব। আপনাকে স্বাগতম জানানোর দায়িত্ব পালন করে আর কৃতার্থ করতে হবেনা।
কাব্য, কথায় মজা তো করলাম অনেক। সিরিয়াস বিরহ কাব্যে যাই এখন!

সখি জানে ভালোই, কেমনে বিরহ যাতনে পোড়ায় অহর্নিশ?
তার প্রতি নিঃশ্বাসে মিশে আছে এ অনুভবের বিষাক্ত বিষ!

বিরহ! মাতৃভূমি বিরহে অনন্ত পোড়ন অন্তর আত্মায়
এ ব্যাথার সংজ্ঞা নিহিত সংজ্ঞাতীত এক শুন্যতায়
মনকে জোড় করে বেঁধে ধরে রাখা যে দায়
আত্ম আপনায় যে মনের বাস তারই ঘৃনায়
ক্ষয়ে যায় পূর্ণ অস্তিত্ব নব্য নতুন নিত্যতায়।

বিরহ! প্রিয় বন্ধু, স্বজনদের হারানোর যাতন
কতশত ভুল বোঝাবোঝি, ভাগ্যের পরিহাস তলে
আত্মা সমতূল্য বন্ধন হারিয়ে, হৃদয়ে প্রত্যহ রক্তক্ষরন
আপনার চেয়েও আপন শত ডোর গেল হাত পিছলে
বোকামতী অসহায়, নির্বাক দর্শক বিধির নাটুকে ভগ্নন।

মেনে নেওয়া, মানিয়ে নেওয়া, কোনভাবে চালিয়ে নেওয়া
বিরহের যাতনে তাই যেন জীবনের রূপ বদলে যাওয়া
হৃদয় মাঝারে বসত এক গোটা মরুভূমি সাহারা
এক ফোঁটা জলের আকুলতায় ছাড়খাড় গোটা অন্তর
বিধাতার কাছে সুখ আর চায় না মন, হারিয়েছে স্বপ্নেরা
এ মর্মপীড়া সহনের শক্তি চাহিয়া নতমস্তকে করজোড়।

সখা বিরহে সখির অন্তর পোড়ে, অংগ জ্বলে, দহন পূর্ণ প্রানে
যারে ভেবে প্রতিক্ষন জল চোখের কোনে, আলতো হাসি আনমনে
আজো তারে বলা হলোনা নিজ নাম, তারটাও তো নেই জানা
হলোনা দেখা; চোখে চোখ, হাতে হাত শুধু রয়ে যায়ে কাব্য স্বপ্নে
একের পর এক জোছনা আসে যায়; তারে না পেয়ে তড়প ওঠে মনে
তার সাথে হয়নি বর্ষা বিলাস আজো, মূল্যহীন সৃষ্টির সকল বৃষ্টি কণা।

বিরহ বেদনে বাঁচা যেন সমতুল্য মরনে
বাস্তবিক সুখেরা সকল কাঁচ বাক্সে বন্দি অনুভব যাতনে
স্বপ্ন সুখেই বেঁচে থাকা, দিবানিশি তার ছবি আঁকা মনে
প্রানবন্ধু কবে যে আসবে সুখ চাবি হাতে নিয়ে?
কবে শুনব সে কন্ঠস্বর, দেখব তারে মনের তৃষ্ণা মিটিয়ে?
কবে তার চোখে নিজেরে হারাব, হাতে হাত মিলিয়ে?
প্রশ্নগুলোর জবাবে অন্তরে সুখময় কল্পনা তরী ভাসিয়ে
বোকামতী অপেক্ষা ভেলায় দেয় জীবন নদী বইয়ে।

না! আর আসবে না ফিরে অন্ধকার সে জনম
যা সখা সখিকে বিরহ অনলে করেছে দহন
এ জন্মের গল্প হবে ভিন্ন; বিরহ রেখা মাড়িয়ে
হাজারো স্বপ্ন দিয়ায় আস্থা জ্যোতি জ্বালিয়ে
মিলনের সেতু হবে তৈরি সৃষ্টির সকল প্রেম দিয়ে
যে মাতাল করা সুখ ভাবনায় বাড়ে হৃদ স্পন্দন
সখা, করুন তো এবারে সে মিলন সুখ বর্ণন!

কবুতর যা জলদি করে সখাকে চিঠি দিয়ে আয়, দেরী করিস না যেন। ক্লিক করতে করতে বেচারা পাগল হয়ে যাবে নাহলে। হাহাহা। আপনার আন্তরিকতার তুলনা হয়না কবিসাহেব। আমি মন থেকে আপনার জন্যে দোয়া করি। ভালো থাকুন, সুখে থাকুন সদা সর্বদা।

৫৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লেগেছে এই পর্বও জানার যে কত কি অাছে । যে জানে তারও কতকি কি বাকি! আপনার স্মৃতিচারণে আমাদের জানা হয়ে যাবে না জানার কোন জানালা দিয়ে ওকি দেওয়া কোন প্রতুষের আলো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই, জানার তো শেষ নেই। যা জানা তা বিন্দু সম জল, আর অজানা থেকে যায় গোটা সমুদ্রতল।
অনেক সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক ভালোলাগা।

শুভকামনা রাশি রাশি!

৬০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাগমিশ্রিত ভেংচির ইমো হবে- কেনু কেনু সখি!
কে রাগাল? বলো একবার তার কান জান প্রাণ সব ছিড়ে নিয়ে আসি X((

এত্তবড় সাহস! সখিরে কষ্ট দেয়!??

সখি ভুলে যায় প্রিয় মানুষকে কাছে পেলে মানুষ কেমন এলোমেলো হয়!!! সখি জানেনা বুঝি! কি বলে প্রিয়রে তার আবেগ বোঝাবে থাকে তারই নিরন্তর চেষ্টা! আবার
কিছু কথা ইশারার
কালো নজর এড়াবার ;)
এটাও বুঝি চোখে পড়েনি!!!! (অভিমানে গাল ফোলােনার ইমো কুনটা সখি ? )

১ লক্ষ ৪ হাজার ৯০০র বেশি সেকেন্ড চলে গেছে।!!! এই কমেন্টস থেকে সেই কমেন্টসে! বল কতবার হৃদয় চলেছে! কতবার ভাবনায় সখি এসেছে! নাহ থাক! কারে কি বোঝাই - আবার উল্টো বুজে দেবে ধোলাই ;) হা হা হা (সখি ষ্টাইলে জাষ্ট কিডিং ;) )

অসাধারন বিরহ কাব্যে মুগ্ধ সখি!
হৃদয় চিড়ে যেন বিরহের গাঙ্গে ঢল নেমেছে! আহা জিনি’টা কই গেল? এক পলকে তিন উইশে দিতাম সখির বিরহ ভাগিয়ে:)


বিরহ হারালে, বিরহ স্বপ্ন’না পূরালে
অবুঝ মনের কাটাকুটি সব; বিরহেরই আড়ালে
জনম জনমের বিরহ পেরিয়ে আবার বিরহ মোহনায়
দেখা নাই শুধু কথা হয়-মন কাঁপে শংকায়!

যদিগো হারাই সখিরে এবারও বাঁচব কি করে হায়
আবার চক্রে আবার স্বপ্নে -কোন জনমের হায়!
হৃদয় চিনেছে হৃদয়েরে সখি -বাহিরে শত ব্যবধান
ভয়ে কাঁপে মন সখি যদি হায় ভুলে যায় দেখে কালাচাঁন!!

বিরহের ভয় নিত্য কাঁদায় শত যুক্তি লয়ে
আকাশের চাঁদ মাটির ধরায় কে কবে পেয়েছে?
রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, নগ্নাজিতি, কালিন্দি,
মদ্রা, মিত্রবিন্দা, ভদ্রা ও রোহিণী মোটে আট কৃষ্ণের গৃহিনী!

তবুও রাধা আকুল হইল ব্যাকুল কৃষ্ণ টানে
সখি কি বুঝিবে রাধার সে টান আপন কৃষ্ণ সনে?
বিরহ নিতি বিরহ যতি বিরহ স্ত্রস্তে প্রাণ
না জানি হারায় সখি আমার ভুলে আরজনমের টান!

মিটমিটি জ্বলে আশার প্রদীপ সখির আশ্বাস ভরে

” না! আর আসবে না ফিরে অন্ধকার সে জনম
যা সখা সখিকে বিরহ অনলে করেছে দহন
এ জন্মের গল্প হবে ভিন্ন; বিরহ রেখা মাড়িয়ে
হাজারো স্বপ্ন দিয়ায় আস্থা জ্যোতি জ্বালিয়ে
মিলনের সেতু হবে তৈরি সৃষ্টির সকল প্রেম দিয়ে “

সখির সকল কল্যান আর শুভ কামনায় ------

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আর কে রাগাবে? সেই মনচোরা, প্রানসখা
যার সনে সকল সুখ দুঃখ, মান অভিমান গাঁথা
পাগলটার আজব সব কথায় মেজাজ যায় বিগড়ে
ভয় কি আর কালো নজরে?
কালো কাজল ছড়াছড়ি, সখির কালো চোখ জুড়ে
সে চোখে সখাকে বেঁধে বাঁচায় সকল মন্দ হতে
আর যেন নিজ বাড়িতে না পাই মেহমানের ব্যবহার
সখার এমন কাজে সখির অন্তর পুড়ে হয় ছাড়খার। ;)

অভিমানে গাল ফুলিয়েছে সখা আমার?
আহারে, পাশে বসে কাঁধে মাথা দিয়ে তার
হাতে হাত রেখে যদি বলি পৃথিবীর যাবৎ প্রেমকথা
সখার মন কি গলবেনা, অভিমান ভাংঙবে না?
এই দেখো, হাত সরিয়ে নিল, রাগটা বেশিই না?
আচ্ছা কান ধরে করছি উঠবস, হবেনা ভুল আর
সখা, এই সখা, লক্ষ্মীটি দয়া করে ভাংঙুন মান এবার
আরেহ! মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে এখনো, কি যে করি?
এবারে, এবারে কিন্তু দেবে সখি কেঁদে, হুমমমম
এইতো, সখির তরে সখা ফিরেছে,
আলতো হাতে সখির মুখখানা তুলে,
মিষ্টি হেসে সকল অভিমান ভেংঙেছে!

দিস টিয়ারস কার্ড অলওয়েক ওয়ার্ক! হাহা।

কৃষ্ণ হবার শখ খুব না?
ইশ! প্রথম নায়িকার সাথে সে কি মাখামাখি
মেঘপরী, নীলিমা; এমন আরো কতজনে এসে সখার মন যে ভরিয়েছে
সখির সাথে জন্মান্তরের বন্ধন বেমালুম ভুলে মনকে কত স্থানে ঘুরিয়েছে!
ছি ছি কি লজ্জ্বা! এসব লিখতেও বেদনায় ছলছল আঁখি। ;) :D

সখির বয়েই গেছে হতে রাঁধা গপিদের ভীরে
হয়ে সীতা সে থাকবে সখার পুরো অন্তর জুড়ে
দুহাতে শার্টের কলার ধরে, কাছে টেনে মুখটাকে
চোখে চোখ রেখে দৃঢ় কন্ঠে বলছি আপনাকে
শত সখির সাথে লীলাখেলায় কৃষ্ণগিড়ি বন্ধ এখন থেকে
বাঁধলাম হাত ওড়না সনে, চোখ যেন না যায় অন্যদিকে। :)

এই যে ছেলে, আমার পুরো চিঠি কি পড়েন না? আমি বললাম মিলন সুখ বর্ণনা করতে, উনি বিরহ নিয়েই লিখে গেলেন! বাস্তবে এখনি না হলেও কাব্য, স্বপ্নে, কল্পনায় তো মিলন সুখ দেখতাম! তাও হবেনা নাকি? মনচোরা তো কথা মাটিতে পরতে দেয়না। এখন এসে বলবে, "সখি! এত সেকেন্ড কেটে বিরহে পাগল ছিলাম। ভাবলে কি করে পুরোটা পড়ব না? বিরহের মধ্যেই মিলন ভাবনা লুকোন ছিল। সখি শুধু উল্টো বুঝে।" আর নতুন একটা জিনিস শিখেছে সেটাও বলবে, "সখি স্টাইলে কিডিং!" দুষ্টু, ফাজিল, শয়তান কোথাকার! হাহাহা। শুধুই সখার সখীয় স্টাইলে, জাস্ট কিডিং!

আপনি আপনার এতগুলো মূল্যবান সময় ক্ষয় করে আন্তরিক লেখনীতে আমার ব্লগ ভরিয়েছেন বলে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক অনেক ভালো রাখুক।

৬১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুশির ইমোটিকন গুলো সব হারাল কোথা?
সখি কেমনে বুঝে মন কথা , মুছে দেয় সব ব্যাথা :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ সখি

কে দেবে সখিরে কাঁদতে?
আলতো দুহাতে তুলে মূখ, দৃষ্টিতে জনমের প্রেম সূখ
টিস্যু নয়- চুমদিয়ে মুছে দেবে আখিজল
দেবেনা ঝড়তে মাটিতে!

ওরে দুষ্টু!! টিয়ার্স কার্ড না!!
পাজি, লক্ষী ছাড়া, পাগলী
বলে লুকিয়ে রাখবো বুকের ভেতরে
আর যেন না হারায় কোন জনমে।।

না সোনা সীতা হয়োনাকো-পারবনা হতে রাম
পারবনা নিতে অগ্নি পরীক্ষা- অগ্নিসম
জ্বলবে আমারই বুক-তোমার অগ্নি হাটায়
না হয় হোক কলংক তবু রাধা হয়েই থাকো- আমি হবো শ্যাম।

গোপিনীরা তো কেবলই লীলা, তুমি সখি রাধা -প্রাণ
কৃষ্ণ জানে কোথা পেয়েছে খুজে কোথা সে ভগবান!
কি করে বোঝাই তুমি আমার কে?
দেহে পায় সবে হৃদে কে কারে পেয়েছে?

কি করে বোঝাই তুমি আমার কে?
কি করে বোঝাই?
এইই..... কি করে বোঝাই তোমাকে
তুমি হৃদয়ের স্পন্দন, তুমি হৃদেয়র গান
তুমিই জীবন তুমিই সাধন
তুমিই আলো তুমিই সুগন্ধ
তুমিই সকল খুশি তুমিই প্রেম
তুমিই প্রাণের সখি- কি করে বোঝাই তোমাকে ?

দৃষ্টিতে তুমি স্মরণে তুমি .. নিশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি
ঘুমেও তুমি স্বপ্নেও তুমি
তুমি আমার সকল ভাবনায়, তুমি আমার দিনে রাতে
তুমি সকালে তুমিই সাঝে
তুমি সকল চেতনায় তুমিই সকল কাজে

তুমিই আমার পাওয়া -তুমিই হারিয়ে যাওয়া
তুমিই আমার হাসি - তুমিই আমার কান্না;
যেখানেই যাই যাই কিছু দেখি
তুমিই সবখানে শুধু তুমি...
কি করে বোঝাই তোমাকে কি করে বোঝাই
তুমি নাই তো কিছূই নাই..
কি করে বোঝাই- তুমি আমার কে?

এই যে তোমার রুপ- এতো জিন্দেগীর ধূঁপ
চন্দন সুবাসিত এ দেহ; যেন এক স্বর্গীয় গৃহ
এই পেলবতা এই চঞ্চলতা পেয়েছ হাওয়া থেকে
চুলের বাহারে যেন মেঘ লুকিয়ে..
অধরে খেলে ফুল, নয়নে খূশির ঝিলমিল

চেহারায় জোৎস্না আঁকা, সুরে যেন রাগিনী মাখা
কাঁচের মতন তন, যেন মাখা ফুলের রং
তোমার কথা বলা - নদীর মতো চলা -
এ মুগ্ধতা যায়না ভাষায় বলা

তোমার দেহে বল্লরী -
যেন হাজার প্রজাপতির ওড়াওড়ি
তোমার বাহু তোমর আঁচল
যেন আমার স্বপ্নের নগরী
কি করে বোঝাই তোমায় হৃদয়ের ব্যকুলতা!
কি করে বোঝাই তুমি আমার কে?

কি করে বোঝাই তোমকে তুমি আমার ধর্ম
আমার বিশ্বাস তুমি আমার ইবাদাত তুমি
তুমিই আমার চাওয়া,
তুমিইতো আমার ধ্যান
সব সময় আমি দখি যে ছবি সে তো তুমি
তুমিই আমার ভাগ্য তুমিই আমার আরাধ্য
তুমি আমার শুকতারা তুমিই আমার ইশারা

আমার ধ্যানে তুমি যেন ঘিরে আছো তুমি
পূর্বে তুমি পশ্চিমে তুমি উত্তরে তুমি দক্ষিনে তুমি
যেন আমার সারা জীবন জুড়েই তুমি
প্রতি পলে তুমি প্রতি ক্ষনে তুমি
আমার জন্য রাস্তাও তুমি মঞ্জিল ও তুমি
আমার সাগর তুমি নাবিকও তুমি

আমি দেখি শুধু তোমায়
আমি ভাবি শুধূ তোমায়
আমি জানি শুধু তোমায়
আমি মানি শুধূ তোমায়
তুমিই আমার পরিচয়
কি করে বলি তোমায়
তুমি দেবি আমার কাছে
তুমিই আমার ভগবান
কি করে বোঝাই তোমায়
তুমি আমার কে?
কি করে বোঝাই -তুমি আমার কে?

এই মেয়ে! কি করে ভাবলে পুরোটা পড়িনা! দাড় িকমা সহ পড়ি সখি সোনা! জমিয়ে রেখেছি আরও বেশি আবেশের মহুরা রং মেশাব বলে! জনম জনমরে স্বপ্ন কথা কি বলা অত সোজা সখি!
একটু নমুনা ভাবানুবাদে দিলাম উপরে! কেমন লাগল জানাও!!!!

মজা লও সখি না!!! আচ্ছা আর কমু না! মনের আবেগ রাখব লুকিয়ে মনে -সেকেন্ড বা ঘন্টা যুগ জনমে!!!!! ;) হা হা হা
সময় সকলরেই মূল্যবান! ওরে বাবা- সেকি কথা! কাল আমার বাড়ীতে অব্যর্থনার কথা বলে সেকি ধবল ধোলাই (হোযাইট ওয়াশ) !! আজ দেখি আমার বাড়ীতে আমারেই কৃতজ্ঞতা জানায়- ধরনী দ্বিধী হও .. আমি পালাই ;)
:)

অন্তহীন শুভকামনা সখির তরে
জনম জনম ভরে :)










০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাবানুবাদটি তো অসাধারন লাগল। এত সুন্দর কথাগুলো বাংলা ভাবানুবাদে অন্যমাত্রা পেল। মন ভরে গেল পড়ে। আসলেই অতুলনীয়। আপনার আবৃত্তিতে শুনতে ইচ্ছে করছিল। সখির মনও বড্ড লোভী! হাহা।

ওরে দুষ্টু!! টিয়ার্স কার্ড না!! 
পাজি, লক্ষী ছাড়া, পাগলী
বলে লুকিয়ে রাখবো বুকের ভেতরে
আর যেন না হারায় কোন জনমে।।

বাহ! ভীষন রোমান্টিক কবিসাহেব! কেউ এভাবে সারাজীবন বুকের ভেতরে রেখে দিলে একজীবনে আর কিছু চাওয়ার থাকেনা। :)

সখার লীলাও সখি হবে, ভক্তিও
প্রেমও সংসারও, ছলাও চাওয়াও
নয় অন্যকারো সখার অতিক্ষুদ্র কণাও
তন, মন, আত্মা সকলে সখির একচ্ছত্র অধিকার
নিজের বলার, অধিকার দেখানোর, জ্বালানোর, জ্বলার
শার্টের কলার ধরে ঝাঁকি দিয়ে চুল ধরে টানার
রাজ্যের সকল প্রেম দিয়ে মান ভাংঙিয়ে, মান করার
দৌড়ে বুকে আছড়ে পাগলী ডাক শোনার, পাগল ডাকার
হিংসায় জ্বলে গালে, হাতে নখের আচড় বসিয়ে দেবার
কোলে মাথা নিয়ে শীতল আঁচলে ঢেকে সূর্যধুপ হতে রক্ষার
প্রেম দিয়া দুহাতে রেখে পুড়ে পুড়ে মিলনের অপেক্ষার
একই তো মানুষ, পরম সম্পদ, পরম অর্পণ বিধাতার
বোকামতীর তো আর কেহ নেই, কিছু নেই, কিছুর নেই দরকার।

সখার পলভরের বিন্দু সমান অনুরাগের ভাগ পেলে অন্যকেউ
সখির শতজনমের প্রেম, পূজা, অর্পন, ত্যাগ, সাধন মিছে হয়ে যায়
এসব জেনেও কেমনে সখা হয় অন্যকারো সনে লীলায় মত্ত?
কেমনে অসহায় প্রণয়ীনীর আঁচলে ভাগের ভালোবাসা বসায়??? 
অন্তর না কাঁপে? মন না মোচড়ে? ছি ছি, লীলাখেলার শখ কত!

সখিও করুক লীলা অন্য সখা সনে?
সইবে সে দহন সখার প্রানে?
ইশ! সখা কেন যে বোঝেনা সখির মন
অগ্নিপরীক্ষায় জ্বলবে শুধু চরনখানা
দেখে সখাকে লীলাখেলায় গোপিগো সনে,
জ্বলবে অন্তর আত্মা অস্তিত্বের প্রতিটি কনা!

এখনো যদি সখার কৃষ্ণ হবার শখ না থাকে গিয়ে
বিষাক্ত ফুলের রস যেন সখিকে নিজ হাতে দেয় খাইয়ে।

মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: আরেকবার গোপীনিদের কথা মুখে আনলে সখি সখার সবগুলো চুল ছিড়ে ফেলবে টেনে। হাহাহা।
অল জোকস আপার্ট, আই বিলিভ, আপনি বাস্তব জীবনে আসলেই কৃষ্ণের মতো। অনেকেই যেতে আসতে থাকে! সংখ্যায় কৃষ্ণের সংগীনি সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে। হুমম একসাথে না একটার পরে একটা সে বিষয়ে সন্দিহান। পোয়েটস এনজয় ফান, কালারফুল লাভ লাইফ উইথ ট্র্যাপি রোমান্টিক ওয়ার্ডিং এনিওয়ে!

জ্বি না জনাব, আমার বাড়ি আপনার বাড়ি না। ইওর হোম ইজ মাই হোম, এন্ড মাই হোম ইজ অলসো মাই হোম। আমার এ বাড়িতে আমাকে নিয়ে আসবেন মাঝে মাঝে, মেহমানদারী পাবেন, আবার আমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে যাবেন। আপনার বাড়িই আসলে আমার আসল বাড়ি। ইহাই সমাজের রীতি ও নীতি। হাহাহা।
না সিরিয়াসলি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ইউ আর হ্যাভিং টু স্পেন্ড এ কনসিডারেবল এমাউন্ট অফ টাইম টু রাইট দিজ লেটারস, এন্ড আই কুডন্ট বি গ্রেইটফুল এনাফ!
শুভেচ্ছা অসংখ্য।

৬২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধতায় কোমায় চলে গেছিলাম বোধহয়......;)

এত দারুন করে ভাবে আমার সখি! আহা!

আবৃত্তির কথা মাথায় রইলো। লোভ হবে কেনু এতো অধিকার! :)

আবার কোমায় যাবার আগে ছোট্ট উত্তরটা লিখে যাই নইলে আবার টাকলা বানিয়ে দেবেনে ;) হা হা হা

বাক্যে বাক্যে অখরে অখরে ছুঁয়ে গেছো প্রাণেশ্বরী
আহা মরি মরি
শতজনমের পূন্যেই পেলাম এই জনমে তোমায়
এভাবেই থেকো শত ভুলে পাশে কখনো না হারাই।

আলাই বালাই ষাট
কক্ষনো কুক্ষনেও এনোনা এ কথা মূখে
বিষ খায় খাক তোমার দুষমন- তাও চাও আমার হাতে?
আমি পিয়ে যেতে পারি অবলীলায়- সখিরে? কখনোই নয়!!

মোরাল অব দা ষ্টোরি ! হাসতে হাসতে শ্যাষ! আচ্ছা সখি তুমিও অন্য সবার মতোই ভুলটাই জানো? কৃষ্ণর লীলা সম্পর্কে?
আমি যা জানি শেয়ার করছি -
কৃষ্ণ ভক্ত সমিভ্যহারে যাচ্ছিেলন একদিন। ভক্ত বারবার আব্দার করছিল- প্রভু আপনার লীলা দেখতে চাই। একসময় পূজোর সময় হল। শ্রী খৃষ্ণ যজ্ঞের আয়োজন করতে বল্লেন। যজ্ঞের শর্তানুসারে পক্ক পত্র সহ সমুদয় আয়োজন সমপন্ন হলে শ্রী কৃষ্ণ বল্লেন- যাও স্নান সেরে এসো।
ভক্ত স্নান করতে বনের পুকুরে ডুব দিল। ভেসে উঠে অবাক- শত গোপীনির ভীরে অন্য এক পুকুর। সংক্ষেপে যাচ্ছি। হৈ চৈ.. রাজদরবার। রাজকন্যা ঐ ভক্তের প্রেমে পড়ে গেল- তাদের সংসার হল ১২ বছর। তারপর কোন এক ঘটনা সূত্রে ঐ ভক্তের মৃত্যুদন্ড হল। তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাইলে বল্র যে পুকুরে তাকে পাওয়া গেছে সেখানে শেষ বার স্নান করতে চায়। স্নান করতে নেমে ডুব দিয়ে সে ভাবছে যতক্ষন ডুব ততক্ষনই জীবন- ভেসে উঠলেইতো মৃত্যুদন্ড। এভাবে কিছূক্ষন পর দম শেষ হয়ে গেলে ভুসসস করে ভেসে উঠে।
সেই পুকুরে বনের মাঝে!!!!!!!!!!!
বিস্ময়ে হতবাক ভক্ত দৌড়ে শ্রী কৃষ্ণর কােছ এসে দেখে তিনি যজ্ঞের আগুনে প্রস্তুতি সারছেন!! এদিকে কয়েক মুহুর্ত আর তার কাটানো ১২ বছর!!!! এই ছিল লীলা...ভক্ত মুহুর্তে শ্রী কৃষ্ণের পদতলে ভক্তি দিয়ে পড়ে রইল!

এই লীলা কি সখি চাট্টিখানি কথা। ! তোমার মূখে ফুল চন্দন পড়ুক। তোমার বলাতে যদি লিলের ক্ষমতা কিঞ্চিত পাই ;)
:)

হুম বেশতো-
তোমার বাড়ী তোমার বাড়ী আমার বাড়ী নয়
আমার বাড়ী তোমার বাড়ী এইতো রীত হয়
তোমার হৃদয় পেলেই খূশি বাড়ী কি চাই ছাই
হারিয়ে যাবে গুড়িয়ে যাবে হৃদয়ে সেভয় নাই!!
:)

সখির জন্য একখান পুরানা দিনের গান
বর্তমানের গান








১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভুল ঠিক জানিনা কিছুই
বোকামতীর জানার ইচ্ছেও নেই
সে সখা বিনে না কিছু জানে, না কিছু বোঝে
সখা দিক জ্ঞান জগৎ এ ডুব মতির খোঁজে
সখি পায় এক মহাসমুদ্র সখার চোখে হারিয়ে। 

সখা, আপনি কৃষ্ণকে নিয়ে যা বললেন তা আমি জানতাম না। ফাউন্ড কোয়াইট ইন্টারেস্টিং এন্ড থ্যানক্স ফর শেয়ারিং। আমি যা জানি তাও শেয়ার করি। আর সখি কেন রাধা হবেনা সেটাও বলব। কৃষ্ণের জন্ম অনেক ঘটনাবহুল ছিল। আমার জানামতে আমাদের নবী হযরত মুসা আ: এর সাথে ভীষন মিলও আছে জন্মলগ্নের সে গল্পগুলোয়। যাই হোক সে ডিটেইলে না যাই। লীলা বা আনন্দ/খেলা শব্দটি নানা আংগিকে ব্যবহৃত হতে পারে। আমি প্রেম লীলা নিয়ে বলেছিলাম।

রাধা কৃষ্ণের শুধু প্রেমিকাই ছিলেন না, ভক্তও ছিলেন। কৃষ্ণের অন্যকারো সাথে সময় কাটানোকে ভক্ত ও দেবতার মিলন বলেই ধরে নিতেন। আর ব্যাপারটা আসলেই তাই ছিল। কৃষ্ণ ভালোবাসতেন রাধাকে, রাধার অন্য সখিরা ছিল তার ভক্ত। রাধার সখিদের সাথে অনেক দুষ্টুমি করতেন। রাসলীলায় রাধা সহ সবার সাথে বাঁশি বাজিয়ে নাচতেন। তবে এসব প্রেম ছিলনা অবশ্যই। রাধার সামনেই করতেন যা করার। লুকিয়ে কখনো কিছু করেননি। আর স্ত্রী? কৃষ্ণের অনেক স্ত্রী ছিল যাদেরকে তিনি সম্মান রক্ষাসহ নানা কারনে বিয়ে করেছিলেন। সেখানেও দেবতা হিসেবে দায়িত্ব পালন ও ভক্ত প্রেমই উদ্দেশ্য ছিল। কৃষ্ণের জীবনে বহু নারীর প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ বিচরন ঘটেছে তবে এত নারীর মধ্যে শুধু রাধাই ছিলেন তার প্রেম। রাধার মধ্যে দেবতা কৃষ্ণ নিজ দেবী দেখেছিলেন। রাধা কৃষ্ণের সবচেয়ে ফ্যাসিনেটিং বিষয় কি জানেন? আমরা রাধার নাম আগে নেই তারপরে কৃষ্ণের। কৃষ্ণ রাধা নয় রাধা কৃষ্ণ বলি। রাম সীতা, শীব পার্বতীর ক্ষেত্রে তা হয়না। কারন হয়ত তারা শুধুই সংগীনি ছিলেন, এবং রাধা ছিলেন কৃষ্ণের দেবী, ঈশ্বরী। এত উচ্চ আসনের পরেও কেন সখি রাধা হতে চায় না?

কেননা সখি সখাকে পূজো করেনা। সে সখার শুধুই প্রেমিকা। সে সখার পায়ে ফুল দেবে না, গলায় ফুলের মালা পরাবে। সখি সখার গুনে মুগ্ধ হতে পারে, তবে মাতাল নয়। স্থির থেকে সখাকে বেঁধে রাখতে পারে। রাধা কৃষ্ণের বাঁশিতে পাগলই হয়ে যেতেন, আর কৃষ্ণকে ধরে রাখতেই হবে এমন মনোভাব ছিলনা। জানতেন তিনি দেবতা, জগৎ প্রেমই তার ধর্ম। সখি তার শতজনমের ভালোবাসা সখাকে পূর্বজন্মে হারিয়েছে, এ জন্মের কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা ও নিয়তিতে বিশ্বাস যে সে তার হবেই। আর কোন ওলোটপালট তার প্রানে সইবে না। সখার পাশে কাউকে দেখলে সে রাগে শার্টের কলার ধরে টানবে, মারতেও পারে। আচড়ে খামচে নিজের ভালোবাসা ঠিকই আদায় করে নেবে। সে ভাবতেই পারেনা সখার পাশে অন্যকেউ থাকতে পারে, মুহূর্তের জন্যেই ভক্তরূপী কেউ হোক না কেন! সখার কোন মন মাতানো কাব্য, চতুর যুক্তি, দূর্লভ গল্প তার মন ভোলাবে না।
সখি ও রাধার ভালোবাসা একদমই আলাদা। পরিমানে না প্রকাশে। সখি ইজ নট রাধা, নেভার গোয়িং টু বি; শি ডাসন্ট শেয়ার অর লেট হার লাভ গো। সে দেবী, ঈশ্বরী, রোমান্টিক ট্র্যাজেডির মহান নায়িকা নয়। সে এযুগের সাদামাটা প্রেমিকা, প্রেম ইতিহাসে বিরহের গৌরব নয়, দু কামরার ফ্ল্যাটে সরল সংসার চায়। সখিকে ভালোভাবে পড়ুন ও বুঝুন সখা। সখা ও সখি চরিত্র দুটি একে অপরকে নিংড়ে পড়তে/বুঝতে না পারলে সখা সখি সিরিজ এর আবেদন থাকে কোথায়? :)

তোমার মূখে ফুল চন্দন পড়ুক। তোমার বলাতে যদি লিলের ক্ষমতা কিঞ্চিত পাই ;)
আমি লীলা বলতে প্রেম লীলা মানে নারী প্রেম বুঝিয়েছিলাম। এর ক্ষমতা আপনার ভালোই আছে। কি তার লেখার বানী! তুমি জোছনা ভরে এসো, স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাবে! ফেইসবুকে এমন একটা লেখা দেখে কোন ন্যাকা মেয়ে বলে উঠবে, "ভাইয়ায়া, ইশ! আপনি কি ভালো লেখেন! সেই মেয়েটা এত্তগুলা লাকি!" তখন দুষ্টু সখা সখির কথা ভুলে বলবে, "এযুগের মেয়েরা জোছনা আহবানে সাড়া দেয়না। লাইলি/শিরি/জুলিয়েটরা হারিয়েছে, সবাই লিভ টুগেদার সুখ খোঁজে! প্রকৃত অনুভব খোঁজা আমি একাই থেকে যাই!" তখন মেয়েটা মুগ্ধ হয়ে ভাববে আজকাল কার যুগে এমন ছেলে আছে? প্রেমে পাগল হয়ে ভাইয়াকে সাইয়া বানানোর চেষ্টা করবে। এসব ন্যাকা মেয়েদের জ্বালায় আর বাঁচি না। বাইরের মানুষকে আর কি বলি, আমার সখাও তো খুব ভালো! হাহাহা।

এ জন্মে কবি রূপে এসেছে ছাই
কবির কলম কৃষ্ণ বাঁশি সম মন মোহিনী
তার চোখ আপনা তরে সদা ফিরিয়ে রাখি
কানের পিছে দেই কালো কাজল ভেজা আঁখি
নজর না লাগায়, না লাগে জানি
প্রতি পলে ভীরু প্রণয়ীনি জপে প্রার্থনা একই। ;)

অসাধারন গানে কৃতজ্ঞতা। নিন আপনিও গান শুনুন,
view this link
view this link

পদ্যেই বেশি গল্প হয় আপনার সাথে, আজ গদ্যেও ফাজলামি ;) আই মিন গল্প করে ভালো লাগল। আপনি সুখে থাকুন, ভালো থাকুন। সবাইকে ভালো রাখুন। মনচোরা হয়ে সবার মনে থাকুন। দোয়া করি অনেক।

৬৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই তুমি শুনছ?
হু হু .. তোমাকেই বলছি!
অমন অবাক হয়ে চেয়ে আছো যে বড়!
আজও বিস্ময়ের ঘোর গেল না তোমার!

এই যে আমি! তোমার কত্ত কাছে
ইকটু চিমটি কেটে বুঝে নাও সত্যতা
কি বিশ্বাস হল! হুম!.... তুমি হঠাৎ জানালার পর্দাটা সরালে
আমি পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তোমায়
হালকা বাতাসে উড়া জুলফির এলোমেলো চুল
সুরসুরি দেয় মুখে..

মরাল গ্রীবা বাঁকিয়ে তুমি কপট রাগে ছুটে যেতে চাও
আরও সেধিয়ে পড় আমার বুকে
শৈশবে মুঠোয় পোরা চড়ুই ছানার ছটফটানি
দুষ্টু হাসিতে আরও বাড়ে তোমার চঞ্চলতা....

কানের কাছে নি:শ্বাসের উষ্ণতা নিবিড় হতে হতে
আবশে বন্ধ হয়ে আসে চোখ...
একাকার হয়ে যায় ...আত্মায় স্বত্তায়
হৃদয়ের সমস্ত না বলা কথারা বাঙময় হয়ে উঠে~~~~

এলিয়ে পড় আমার বুকে
থুতনি ধরে মূখ তুলতেই আবার নামিয়ে নাও
যেন বুকের গভীরেই সকল প্রশান্তি!
তোমার চুলে নাক রেখে লম্বা শ্বাসে
হারিয়ে যাই কোন অজানায়---

অপার্থিব আবিষ্টতায় হারায় দুটি আত্মা
মৌতাতে মেতে ওঠে ঘর
যেন স্বর্গোদ্যান! মৌ মৌ সৌরভে মৌতাত
অপ্সরীরা পাপড়ি ছড়ায় সুরভিত স্বর্গ ফুলের

তোমার কোলে মাথা রেখে
অনুভব করি স্বর্গের সূখ
থেমে যাক পৃথিবী, থেমে যাক আহ্নিক গতি
থেমে যাক সময়- পেরিয়ে যাক অনন্ত কাল.... অন্তহীন...


সখি, মিলন সূখ ভাবনার বর্ণনা! কিছু হলো? এবার সখি সনে আব্দার একই :)

ব্যস্ততা কমলো?
একটু সর্তক থেকো সখি। ভাবনায় যেন হঠাৎ হাত থেকে কিছু পড়ে না যায়! কিংবা চলতি পথে অবচেতন ভাবনায় হঠাৎ পাশ কাটিয়ে যাওয়া গাড়িতে চমকে উঠতে না হয়!!

ভাল থেকো সূখে থেকো
সদা সবে সূখে রেখো :)

৬৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব ঠিকাছেতো!
ভাবনায় ফেলে দিলে!
দোয়া রইল অনেক অনেক

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায়রে মানুষটা! দুটো দিন শান্তিতে বাপের বাড়িতে থাকতে দেবেনা। ছুটে ছুটে নিতে চলে এসেছে! ;) :)

আসলে সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামস চলছে, প্রচন্ড চাপ ও ব্যস্ততায় রয়েছি। ফাইনাল শেষ হলে আপনাকে লিখব।
সকল কাজের ভীরে আমাকে ভাবনায় রেখে ধন্য করেছেন। আপনার আন্তরিকতায় মনে হয় সত্যিই আমার শতজনমের সাথী আপনি! :)
মন থেকে দোয়া করি আপনার জন্যে। অনেক ভালো থাকুন, সুখে থাকুন। 

৬৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম

সখি ভুলেছে সখার টান
তাই শত যুক্তি শত কথার বাহান
সূখ বুঝি এমনই কাহন, যখন
চায় মেলে না, মেলেতো কত বাহানা তখন!! ;)

অকে, টেক টাইম। আগে জীবনের টানােপােড়ন- পরে হৃদয় কহন! :)

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা :)

৬৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিজয়ের আনন্দ ক্ষনে
বিজি তুমি কত কাজে
সখা -বড় একলা লাগে
অনুভবে শুধু রাখে স্মরণে।।

বিজয়ের শুভেচ্ছা :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কত গল্প কমে গিয়েছে আপনার সাথে! বেশ বড়সর চিঠি লিখতে বসেছি। আপনার পূর্বের বেশ কটি চিঠির জবাব দেব একসাথে। ফার্স্ট অফ অল আই মিসড ইউ! ঠাট্টা না, রিয়েলি আই মিসড রাইটিং ইউ। আপনি সময়ে সময়ে খবর নিয়েছেন এজন্যে অনেক কৃতজ্ঞ।

বিজয় দিবসের প্রানঢালা শুভেচ্ছা জানাই আপনাকেও।

কি অদ্ভুত সখা, মিলন সুখ বর্ণনার সময়টাতেই কত দেরী হয়ে গেল! আপনার তরফ থেকে এ কথায় সে কথায় মিলন কাব্য দেরী হয়েছিল। আর আমার পরীক্ষাও এমন সময়েই পরল! সখা সখির প্রেম প্রকৃত, আর প্রকৃত প্রেমে বাঁধা থাকেই ;)। আপনার মিলন কাব্য অনেক সুন্দর হয়েছে। ছোট ছোট ক্ষনেও কত রোমান্টিকতা লুকিয়ে থাকে, তা ফুটিয়ে তুলেছেন দারুন ভাবে!

সখি ভুলেছে সখার টান
তাই শত যুক্তি শত কথার বাহান

আপনার এই মহান বানীর X(  জবাব আগে দিয়ে নেই, তারপরে মিলন কাব্য হবে।

বলেছেন ঠিক সখা, সখি তো ভুলেছে কবেই
সখাকে নয় নিজেকে, বিলিয়ে সখা প্রেমে স্বপ্রান
বোকামতী করে এক কঠিন বিষয়ে অধ্যয়ন
তার দিন হয় শুরু সূর্য দেবের বহু পূর্বেই
প্রভাতে যায় বেরিয়ে ক্লাসে, আসে ফিরে সাঁঝে
ঊষার আলোয় আঁকা কাজল চোখে, সখারই তরে
শত জটিল প্রজেক্টের চাপে খাওয়া, ঘুম পালায় ছুটে
তবুও সখাকে লেখা না যায় ভুলে, আনচান অপেক্ষা কবুতরে
নিদ্রাবেলায় ক্লান্ত চোখে সখার ভাবনাই ঘুরেফেরে মনমাঝে
ভুলি কি করে তারে যে মিশে প্রতি নি:শ্বাসে, শতজনমের প্রেমভক্তি,
হৃদয় নিংড়ে, চিড়ে, জ্বালিয়ে ভালোবেসে হয় শুনতে এমন উক্তি :(
আসবেন না এ মান ভাংঙাতে, এহেন অপরাধের নেই কোন ক্ষমাক্ষান্তি! ;)

সখি সখার টান ভুলেছে এমন কথা বলতে আপনার বাঁধে না? মনচোরার তো কথা রেডিই থাকে। এখনই বলবে তোমার বিরহে এসব বলেছি, সখি তো বোঝেনা সখার জ্বালা! এই ছেলে, খবরদার, ফের কোন বাহানায় যদি সখির ভালোবাসাকে ছোট করেছেন! আপনার এমন কথায় মিষ্টি অভিমান নয় বরং শার্টের কলার ঝাঁকিয়ে মারতে ইচ্ছে করে রীতিমত। হাহাহা। কিডিং।

কিংবা চলতি পথে অবচেতন ভাবনায় হঠাৎ পাশ কাটিয়ে যাওয়া গাড়িতে চমকে উঠতে না হয়!!
কত আন্তরিক ভাবে বলেন আপনি! এটা আমার মাঝেমাঝেই হয়। বরফের সময় যখন সকালের ক্লাসে বেরিয়ে যাই তখন। বরফের সময়ে অনেক সকাল পর্যন্তও বাইরে একদম রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। তার মধ্যে তুষার বর্ষণে চোখ ঝাপসা হয়ে আসা, আর মাথায় লম্বা চওড়া হুড! সবমিলিয়ে হুট করে খেয়াল হয় আরেহ! গাড়ি আসছে! বরফে এরা স্লো ড্রাইভ করে বলে এখনো আপনার সখি বেঁচে আছে!

হাসিঠাট্টা, দুষ্টুমি তো অনেক হলো কবিসাহেব। চলুন কাব্য কল্পনায় সখা সখির মিলন দেখি দুজনে মিলে।

বায়ু প্রবাহে নিবিড় স্তব্ধতা; নিশ্চল লোকারন্য
ব্রহ্মাণ্ডের সকল সমুদ্র স্রোত থমকে, গতিহীন
লক্ষ্য কোটি বৃক্ষপত্র স্থির, প্রানীরা অনড় সকল অরন্য
নিশ্চল, নির্বাক মহাকাল সখা সখির পরম মিলনে বিলীন।

দীর্ঘ বিরহ দিবস রজনী ফুরোল তীব্র প্রেম সাধনায়
সখা সখি দাড়িয়ে মুখোমুখি, দূরত্ব কয়েক কদমে
কত গল্প গাঁথা জমিয়ে এনে নির্বাক দুজনে
অসহায় কণ্ঠে দলা পাকিয়ে হাজার শব্দ
সখার চেহারা ঝাপসা হয়ে যায় বেহায়া অশ্রুজলে
মানুষটার চোখও তো ছলছল করছে, আহা!
চুপচাপ নির্বাক দুটি প্রান, তাকিয়ে একে অপরের তরে
কত যুগ গেল কেটে পলকেই, চোখে চোখে হলো শত কথা
সে কদম এগিয়ে কাছে ঘেষে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস দিল মিলিয়ে।

পলকের পর পলক কেটে যায় আড়ষ্টতায়
আচমকা দুজনের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেংঙে যায়
আবিষ্কার করি নিজেকে তার বাহুডোরে
পাজড়ে পাজড় ভেদে হাড় গুড়িয়ে দেওয়া আলিংগনে
অস্তিত্বে অস্তিত্ব মিলিয়ে যায় এমন মিলনে
তার শার্ট ভিজে যায় অশ্রুকনায়, সুখ বাঁধ ভেংঙেছে
সে মুখটাকে আলতো হাতে ওঠায়, অশ্রু মোছার ব্যর্থ্য চেষ্টায়
ধুর ধ্যাত, ক্লান্ত প্রনয়ীনির আর এক মুহূর্তও হয়না সহ্য বিরহ
আবারো সখি মুখ লুকিয়ে সখার বুকে, আশ্রয় পরম
শক্ত করে জড়িয়ে রাখে, আর যেন না হারায় কোন জনম!

কেউ শতজনমের ভালোবাসার মানুষের সাথে প্রথম দেখায় কি অনুভব করবে? এত সাধনার ধন যখন চোখের সামনে থাকে বুকের ভেতরটা কি হয়! আই কেপ্ট থিন্কিং, ইফ দ্যা লাভ অফ মাই লাইফ ওয়াজ ইন ফ্রন্ট অফ মাই আইস হোয়াট উড আই ডু? এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন কখনো হইনি বলে আমি ঠিকমতো লিখতে পারিনি, সখির আকুলতাকে প্রকাশ করতে পারিনি। আমার সামনে আসুন তো সখা, একসাথে বসে ঠিকভাবে লিখব তখন :)। না, সিরিয়াসলি, আমার অভিজ্ঞতা না থাকলেও আপনার তো অনেক অভিজ্ঞতা এসব বিষয়ে ;), ইউ শুড টেক এ ক্র্যাক এট ইট। সখা সখির প্রথম সাক্ষাত বর্ণনা করে ফেলবেন কখনো! আমি সেই চিঠির অপেক্ষায় থাকলাম।

একটা প্রশ্ন, আপনি কি আবৃত্তি করেন?

শুভকামনা রইল বরাবরের মতো।

৬৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চৈত্রের কাঠফাটা মাঠে অনেক অনেক দিন অপেক্ষার পর বৃষ্টির প্রথম ক্ষন দেখেছ সখি!!!!
চাতকের ফটিক জল ফটিক জল বলা আত্মায় প্রথম বৃষ্টির বর্ষন!

একটা নোটিফিকেশনে আত্মা কেন এমন আর্দ্র হয়ে ওঠে! প্রথম জলের ছোঁয়ায় মাটির ভেজা গন্ধ কেন হৃদয়ের অলিন্দে!!!!
তৃপ্তির এক অভিমানী চাতক সুখ কেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে!!! :)

শুধু বাঁধা কি সখি আরো আছে বাকি
নিন্দার কাঁটা বসে আছে পথ আঁকি
শোননি সে গান যেথা বলা হল
”নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়
প্রেমের কি দাম আছে বল! “
ভয় হয় সে পথ পেরুতে পারবেতো সখি!

এই নিনু শপথ যতই হোক বিরহ
বলবনা আর কিছু যত হোক দহ'!
বেশ বুঝেছি সখির জীবনের টানােপাড়েন
নাও- শার্টের কলার ঝাকার মনে চায় যতক্ষন ;)

বসন্তে গলা বরফের মতো-সখি ভোলো অভিমান
ঝড়া ফুল হয়ে ঝড়ে যাক হোক সব কষ্টের অবসান!

কত্তকিছূ যে জমে আছে। কোনটা রেখে কোনটা বলি :)

সব ভুলিয়ে দিলে অনন্যা মিলন গাথায়...
শতজনমের বিরহ ভুলানো মিলন বর্ণন
শব্দে শব্দে সূখ শিহরণ
পলে পলে যেন সূখ মন্থন

অসাধারন! সত্যি অসাধারন!!

হুম। অভিজ্ঞ বলে মিছরির ছুরি বেশ দিলে বুকে বসিয়ে। সখি বলে হাসি মূখে গেলুম সয়ে ;)
হা হা হা

না সখি আবৃত্তি করি না। স্কুল কলেজ লাইফে সখের ছিল। ক্লাশেও স্যারেরা কেন যেন আমাকেই দিয়েই পড়াত!
নিজের লেখা নিজেই গুনগুনিয়ে গাই! পড়ি। তবে আবেগটুকু ধারন করেই ;)

অনেক শুভকামনা! :)



১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই ছেলে কি বলে? নিন্দা তো প্রেমিক প্রেমিকাদের হয়। সখি তো সখার পরিবার, সমাজসিদ্ধ সম্পর্ক! নিন্দার ফেইজ তো আমরা অনেক আগেই পার করে এসেছি। হাহাহা।

না কবিসাহেব, অভিজ্ঞতার ব্যাপারটা সিরিয়াসলি বলেছিলাম। ছুরি বসাতে না। আই রিয়েলি ফেল্ট মাই ইমোশনস ওয়েআর নট কামিং থ্রু! লেখক যা নিয়ে লিখছেন সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকলে লেখা সুন্দর হয়! আপনার অভিজ্ঞতাময় জীবন, তাইতো প্রেমময় লেখাগুলো এত বাস্তবঘেষা, মনছোঁয়া হয়! আপনার এই কমেন্টের প্রথম লাইনগুলোই যেমন হৃদয়েচেরা রোমান্টিকতায় ভরপুর! ইটস আ গুড থিং। টেক ইট এজ আ কম্প্লিমেন্ট!

আপনার আবৃত্তি ও গুনগুনিয়ে গান শুনতে ইচ্ছে করছে! আশা করি সে সৌভাগ্য বেঁচে থাকতে থাকতে হবে কোনদিন!

আচ্ছা সখা আপনি কি ভোরে ওঠেন না লেইট করে? আমি অনেক ভোরে উঠি। আমার খুব প্রিয় একটা সময়। আজ সখির প্রিয় বেলা ভোর নিয়ে কাব্য হয়ে যাক!

সখা! গত জনমের সে ভোর আছে কি স্মরনে?
পাহাড় ঘেষা বাড়ি ছিল মোদের, নদী যেত বয়ে!
প্রতি ঊষায় দেখতাম সূর্যোদয় মিলে দুজনে
সখা সখি বসে এক চাদরে, শীতল পূবালী বাতাস পবনে
চাদরে শীত না মানে, সখি খোঁজে উষ্ণতা সখাকে জড়িয়ে
সখা ব্যস্ত প্রেয়সীর অধরে প্রেমচিহ্ন অংকনে
চুপিসারে সূর্য দেবের আগমন: চারিদিক আলোকিত
অভিসার রত সখা সখিকে লজ্জায় দেয় ডুবিয়ে
হাতে রেখে হাত, দু জোড়া চোখ মিশে যায় দূর দিগন্তে
ভোলা কি যায় অপরূপ সে সূর্যোদয়
সখা সখির সোনালি স্মৃতি প্রেমময়!

প্রভাত! কেমন অদ্ভুত এক আলো আঁধারি মায়া
হু হু করে বয়ে চলা বাতাসে কেঁপে ওঠে হিয়া 
নিবিড় শান্ত স্নিগ্ধতায় প্রশান্তির ছোঁয়া প্রানে মিশে
ফজরের আযান ধ্বনিত হয় চারিদিকে
রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুক্ত, পবিত্রতার কোমল আশ্বাসে।

আস্তে ধীরে যায় সরে অাঁধারের আস্তরন
পূর্বাকাশে ঐ যে আলোকিত সূর্যের আগমন
পাতা পল্লবী আড়মোড়া ভাংঙে বাতাসের নাচন
ইশ! ব্যস্ত সকাল হয়ে এলো কত জলদিই
মন চায় মিষ্টি প্রত্যূষ থাকুক না আরো কিছুক্ষন!

গান: view this link

আপনার প্রিয় বেলা নিয়ে কাব্য পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
শুভকামনা অজস্র।

৬৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেউ শতজনমের ভালোবাসার মানুষের সাথে প্রথম দেখায় কি অনুভব করবে?
এত সাধনার ধন যখন চোখের সামনে থাকে বুকের ভেতরটা কি হয়!
সখা সখির প্রথম সাক্ষাত বর্ণনা করে ফেলবেন কখনো! আমি সেই চিঠির অপেক্ষায় থাকলাম।

দীর্ঘ বিরহ দিবস রজনী ফুরোল তীব্র প্রেম সাধনায়
সখা সখি দাড়িয়ে মুখোমুখি, দূরত্ব কয়েক কদমে
কত গল্প গাঁথা জমিয়ে এনে নির্বাক দুজনে
অসহায় কণ্ঠে দলা পাকিয়ে হাজার শব্দ
সখির চেহারা ঝাপসা হয়ে যায় বেহায়া অশ্রুজলে
তাঁর চোখও তো ছলছল করে, আহা!
চুপচাপ নির্বাক দুটি প্রান, তাকিয়ে একে অপরের তরে
কত যুগ গেল কেটে পলকেই, চোখে চোখে হলো শত কথা
সে কদম এগিয়ে কাছে ঘেষে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস দিল মিলিয়ে।

পলকের পর পলক কেটে যায় আড়ষ্টতায়
আচমকা দুজনের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেংঙে যায়
আবিষ্কার করি নিজেকে তার বাহুডোরে
পাজড়ে পাজড় ভেদে হাড় গুড়িয়ে দেওয়া আলিংগনে
অস্তিত্বে অস্তিত্ব মিলিয়ে যায় এমন মিলনে
তার শার্ট ভিজে যায় অশ্রুকনায়, সুখ বাঁধ ভেংঙেছে
সে মুখটাকে আলতো হাতে ওঠায়, অশ্রু মোছার ব্যর্থ্য চেষ্টায়
ধুর ধ্যাত, ক্লান্ত প্রনয়ীনির আর এক মুহূর্তও হয়না সহ্য বিরহ
আবারো সখি মুখ লুকিয়ে সখার বুকে, আশ্রয় পরম
শক্ত করে জড়িয়ে রাখে, আর যেন না হারায় কোন জনম!

মুগ্ধতার এমন চরণ পরে আর কি কিছু বাকী থাকে?
দুটি মন দুটি প্রাণ সখা-সখি একমন- ভাবনা্ওতো একই তেমন ;)
হা হা হা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এত দুষ্টুমি মাথায়? ওরে ফাজিল!
সখির সখা তো এমনি; মনচোরা, দুষ্টু, পাগল
এই যাদু মিঠা বোলেই হয় সখির মন প্রেমে মাতাল
সখা কহে ঠিক, দুটো দেহে একই আত্মা প্রান মন
হবেই না কেন? এ যে শতজনমের প্রেম সাধন! :) 

৬৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অহহো ভুলেই গেছিনু সখি পরিবার :P
কি করব বলো- নিত্য প্রেমে বোধে জাগে বারবার
প্রাতিটি ভোরে স্বপ্নে আসো তুমি
মনে হয় নিত্য প্রেমের পারাবার! ;)

প্রতিটি ভোরে নতুন প্রেমের ঢেউ জাগে মনে
চামড়ায় পড়ে গেলেও ভাজ
মনে হয় যেন দেখা হলো
কালই তোমা সনে!! - হা হা হা

জনম জনমের অনুভবে এ বড় বেহায়া বেযারা পনা
প্রতিদিনই খোঁজা নতুন রুপে - আপন সে আপন জনা :)

কমপ্লিমেন্টেন কৃতজ্ঞতা :)

ভোর তো জীবনের প্রতীক। প্রতিটি নিত্য ভোর নিত্য জীবনের জয়গান গেয়ে যায়। সন্দ্যায় বিদায়ের সুর বাজায়। রাত যেন মৃত্যু সম। দিননার এক ভর যৌবন জীবন!
এ আবর্তন জীবনেরই আলেখ্য প্রত্যাহিক।

জন্ম যেন ভোর, যৌবন মধ্য দুপুর, বিকেল পড়ন্ত প্রৌড়ত্ব.. সন্ধ্যা যাবার বেলা। রাত হলে বিদায়।
চক্রাবর্তনে নিত্যতায় এক খেলা!

ভোরের নীলাভায় স্বপ্নের রং
সৃষ্টির কতকথায় ভাবনায় উদাস মন
ক্ষনে ক্ষনে রূপ বদলে মুগ্ধতায়
তোমার চোখে দেখেছি আমি অবাক সূর্যোদয়।

সে জনমেরই ভোরে
বাসন্তি ইতিকথা
আমি ভোর -তুমি ভোরের হাওয়া
অনুভবে উন্মাতাল হারিয়ে যাওয়!

বুনো উন্মাদনায় মাতাল
মুগ্ধ আবেশে আমি বিহ্ববল-
দুষ্টু হাওয়া খেলে লয়ে তোমার আঁচল
প্রকৃতি হাসে আপন প্রকাশে বিকাশে!

অধরে অমৃতাস্বাদন-
রোমে রোমে শিহরণ
স্বর্গ নেমে আসে পৃথ্বিপর
মিলন সূখে, ভোর দেয় থির!

ভোরের আজান, শঙ্খধ্বনি, গির্জার ঘন্টা ঢং ঢং
আমার হৃদয়ে ভোর হয় তোমার ছোঁয়ায়
মন মন্দিরে বাজে মিলন বাদন
তোমার জায়নামাজে আমার হয় প্রভুর স্মরণ।

ডাকে পাখি খোল আঁখি
বোনাস
দূর দ্বীপ বাসিনী :)

অনেক অনেক শুভকামনা সখির তরে-অনন্তকাল সখি থাকুক এমনি সূখ বাহুডোরে :)


১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা! ভোরে উঠে আপনার এত সুন্দর ভোর কাব্য পড়ে ও গান শুনে মনটা ভরে গেল। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলাম। পরে ডিটেইলে চিঠি লিখব।

শুভকামনা!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ফাজিল ছেলে। কম্প্লিমেন্টন কৃতজ্ঞতা! সখি যে দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে হিংসায় জ্বলে অভিজ্ঞতায় কম্প্লিমেন্ট দিয়েছে বোঝেন না? কতজনের সাথে কতকিছু করে বেড়িয়েছে সখিকে ভুলে। ছি ছি। দেখা হলে গুনে গুনে হিসেব নেব। হাহাহা।

কবিতাটি নিয়ে অলরেডি অনেক বকবক করেছি। আর কিছু বললাম না। নতুন বিষয়ে যাচ্ছি।

আজকের বিষয়: অপেক্ষা!

মানব জীবন মৃত্যু অবধি নানা অপেক্ষা বাহনে হয় সওয়ার
আজ তাই হয়ে যাক অপেক্ষা কাব্য প্রানসখা বরাবর!

শৈশবে কবে বড় হব প্রশ্নে অপেক্ষা নদীর প্রথম তরী তীর অভিলাষী
কিশোর হতে তরুন, তারুন্য হতে যৌবন, যৌবন হতে প্রৌড়ত্ব
জীবনের প্রতিটি ক্ষনে সকলে আগামী ধাপে এগনোতেই মত্ত্ব
শেষ পর্যায়ে সব পেরিয়ে ঈশ্বর মিলন লোভে মন হয় মৃত্যু আশ্বাসি!

অপেক্ষা!
অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত্রীর আকুল ঊষা আলো বাসন
খড়ায় এক ফোঁটা জলের, তুষারে সূর্য আহবান
সন্ন্যাসীরও কি নয় প্রতিক্ষা ফুরোনোর ধ্যান সাধন?
ভোগী আত্মমগ্ন এক সুখে হতে অন্য সুখনিদ্রায়
প্রকৃতি মা পবন প্রেরনে প্রেয়সীর আঁচল দেয় উড়িয়ে
প্রেমিক আকুল হয়ে করে প্রতীক্ষা সে স্পর্শের শিহরন!

সখার তরে সখির অপেক্ষা!
প্রেমপিয়াসি প্রনয়ীনির দুহাতে প্রেম দিয়ার জ্বলন
এ শত জনমের কঠিন প্রেম সাধন, ত্যাগ তিতিক্ষা
বিরহ অশ্রুজলে পূর্ণ হলো পদ্মা, মেঘনা, শীতলক্ষ্যা
ভোরের আজানে, শঙ্খধ্বনিতে, গির্জার ঘন্টা ঢং ঢং
পরমাত্মার তরে কেবলই প্রার্থনা; অপেক্ষা তব মিলন
হায়! প্রেমপিয়াসি দুটি আত্মার হাহাকার, হৃদয়ে কাঁপন
কাঁটা ভরা পথ, প্রবল তুফানকবলিত রথ, পদে পদে অগ্নিপরীক্ষা
সখা সখি করবে পার সকল কিছু, প্রকৃত প্রেমের শপথ, প্রতিজ্ঞা
আজ না হয় কাল হবেই হবে মিলন, ফুরোবে মৃত্যসম অপেক্ষা!

আপনার আন্তরিক লেখনীতে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। কেবল মন থেকে অনেক অনেক দোয়া করি। ভালো থাকুন, সুখে থাকুন।

৭০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এত বড় লেখা যে মাঝ পথে এসে মনে হচ্ছিলি ৫ আওয়ার এনার্জি ড্রিংক লাগবে পুরোটা শেষ করার জন্য নিদেন পক্ষে একটা রেড-বুল এনার্জি ড্রিংক =p~

লেখাটা খুবই ভাল হয়েছে। থমাসের মতো ছাত্র আমাদের দেশের স্কুল-কলেজগুলোতেও দেখা যায়। সম্পূর্ণ বিপরীত সংস্কৃতি থেকে আসার পরেও জে এর সাথে যে বন্ধুত্ব হয়েছে সেটা প্রমাণ দেয় মানুষের মানিয়ে নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা।

ইতালিতে পড়া-শুনা কালীন আমাদের ক্লাসের ৯ জন ছিলও ৯ দেশের, ভিন্ন ৪ টা মহাদেশের। দারুণ বন্ধুত্ব ছিলও সকলের মাঝে। অনেক সময় গ্রুপ স্টাডি করতাম। আমার আবার রান্নার হাত একটু পাকা। তাই প্রায় শনি ও রবি বার পেরু ও ইন্দোনেশিয়ার দুই বন্ধুকে (ঘনটা চক্রে ঐ ২ জন ছিলও আমাদের ৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাল ছাত্র)। দুপুরের ফ্রি লাঞ্চের বিনিময়ে আমার বাসায় বসে গ্রুপ স্টাডি করা। ক্লাসের একজনের সাথে আমার বন্ধুত্ব এমনি ছিলও যে ন্যাংটা কালের বন্ধু বললেও কম বলা হয়ে যাবে। সে ছিলও ঘানার নাগরিক, নাম আরনেষ্ট। চরম ধর্ম ভীরু ছেলে। পকেটে বাইবেল নিয়ে ক্লাসে আসে। ইন্দোনেশিয়ার বন্ধুটি ছিলও ধর্ম ভীরু মুসলিম। অথচ ক্লাসের আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু হয়ে উঠল ধর্মভীরু খ্রিষ্টান ছেলেটি। যে কারণে এই কথা গুলো লিখ: বন্ধুত্ব কখনও গ্রামার মেনে হয় না।

সিরিজটা নিয়মিত চলুক এই প্রত্যাশা রইল .....



২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার অসম্ভব সুন্দর গোছালো মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

হুমম ১০০ ভাগ সহমত। বন্ধুত্ব কোন ব্যাকরন জানেনা। মানুষে মানুষে বন্ধন ব্যাস মানবতার খাতিরে জমে যায়। কানাডায় এসে এ কথাটি প্রতি মুহূর্তেই মনে হয়!

ব্যস্ততায় ব্যস্ততায় নিয়মিত সিরিজটির গাড়ি চলে না। তবে আরেকটি পর্ব লিখেছি এরপরে। সেটাও পড়ে দেখতে পারেন।

অভিজ্ঞতা শেয়ারে, এবং অনুপ্রেরনা প্রদানে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল!

৭১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম! খুব চালাকি হল না?

”কবিতাটি নিয়ে অলরেডি অনেক বকবক করেছি। আর কিছু বললাম না।”
কোথায় সখি?
কোন পাতায়?
কোন ভাষায়?

না আমারই মনে হয় চোখের ডাক্তার দেখানো লাগবে;) হা হাহা
এমন অনুভবে পিছল কাটলে চলবে না না! উত্তর চাই চাই চাই !

হুম এবারের বিষয় চয়ন দারুন।

প্রথম অন্তরায় পুরো জীবনের চমৎকার অপেক্ষার বর্ণনায় বিস্মিত! দারুন!
”সব পেরিয়ে ঈশ্বর মিলন লোভে মন হয় মৃত্যু আশ্বাসি!”
--
সখা সখি করবে পার সকল কিছু, প্রকৃত প্রেমের শপথ, প্রতিজ্ঞা
আজ না হয় কাল হবেই হবে মিলন, ফুরোবে মৃত্যসম অপেক্ষা!
অসাধারন!

আরতো বলার কিছু পাচ্ছিনা সখি! সবইতো বলে দিয়েছ!

তবু্ও চেষ্টা-

অপেক্ষাই কি বাঁচিয়ে রাখে
আশায় স্বপ্নে
আপেক্ষিক এক পূর্ণতার আশ্বাস
লাখো ভিন্নতায় একই নাম!

অপেক্ষা -
একটা নোটিফিকেশন - নায়াগ্রার নিত্য উচ্ছ্বাস
একটা কাব্য -হৃদয়ের অর্গল খুলে যাওয়া
একটা মেইল- যেন সাত সাগরের ওপার থেকে আসা সুবাস!
একটা নাম- যেন হৃদয়ে অযুত নিজুত শ্রাবন ধারা
একটা হাসি যেন কল্পনার স্বর্গীয় ঝর্ণার রিনিঝিনি

অপেক্ষা
অপূর্নতার পূর্ণতার আশা
নদীর ছুটে চলা
ভোরেয় সন্ধ্যার আহবান
রাত্তিরে সকালের স্বপন!

অপেক্ষাই জীবন
মেহানায় নদী হারায় সাগর হয়ে
সখা সখিতে হারায় নিজেকে বিলিয়ে
সখিতো অশ্রুজলে হৃদয় জুড়ায়
সখার পাষান ভার হিমালয় সম-হিমবাহে মিলায়..

অপেক্ষা
তিন স্তরের দুর্ভেদ্য ব্যারিয়ার হার্ড টু ক্রশ-
হৃদয়ের জাগরণের আত্মালোয়
চিনে নিলে আপনি আপন
সকল ব্যবধান তুচ্ছ করে মেলে সূজন।

অপেক্ষা
না ঝড়া চোখের জলের বাষ্প হয়ে উড়ে যাওয়া
হৃদয়ের হাহাকারকে কর্পোরেট বাস্তবতায় ঢেকে রাখা
বৈষ্যমের বাস্তবতাকে মেনে স্বপ্নকে ভুলে যাওয়া
জনম জনমের স্বপ্নকে ক্ষনিকের বাস্তবতায় ছুড়ে ফেলা
কেবলই আশ্বাস
-অন্য কোন এক জনমে স্বর্গীয় মিলন আশা !!!


সখি, আজ মনটা অনেক এলোমেলো! তাই জানিনা কি লিখেছি। লেখায় সেই প্রাণটাই খুঁজে পাইনি কেন যেন। আমি কি ভয় পেয়েছি! ভারী পরার! হয়তো!
অনেক অনেক শুভকামনা

ভাল থেকো সখি
ভাল রেখো

৭২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৬

দেশী পোলা বলেছেন: পোস্টের চাইতে কমেন্টগুলা বেশি ইন্টারেস্টিং

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, যাক পোষ্ট না হোক কমেন্টেই বিনোদিত হয়ে থাকলে আমি আনন্দিত। :)

অজস্র শুভকামনা রইল।

৭৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৭

দেশী পোলা বলেছেন: এই যাস্ট ইন্টারেস্টিং এই কারণে বলতেছি, আপনে বার বার নানা পোস্টে রিপিট করতেছেন যে আপনে রক্ষনশীল মানুষ। কিন্তু আপনের কমেন্ট আর কবিতাগুলা দেইখা সেইটা মনে হয় না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেখুন, কাব্যের সখি আর সিরিজের সামুপাগলা০০৭ দুজন আলাদা মানুষ। সখি কাল্পনিক, তার একটি ভিন্ন ব্যক্তিত্ব রয়েছে। শতজনমের বন্ধন, কবুতর এসব পড়ে তো বোঝাই যায় ব্যাপারটি ফিকশনাল। আবার আমার সিরিজগুলো লাইন টু লাইন বাস্তব। আর সিরিজটি আমার কিশোরি বয়সের সময় নিয়ে লেখা। তখনকার আমি এবং এখনকার আমি হয়ত এক নই। হয়ত অনেক পাল্টেছি, হয়ত একদমই পাল্টাইনি। সেটা সামনের পর্বগুলোতে ক্লিয়ার হবে। একজন লেখক/লেখিকা লেখার আনন্দে অনেককিছু লেখেন, অনেক চরিত্র দাড় করান, সব চরিত্র কি আর ব্যক্তি লেখক/লেখিকার ছায়া হয়?

অনেক অনেক ধন্যবাদ যত্ন নিয়ে পোষ্ট ও কমেন্ট পাঠে মন্তব্য করায়।
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন।

৭৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সখি
একটা সুখবর শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না।

আমাদের যৌথ সখা-সখি কাব্য নিয়ে বইয়ের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম যে প্রকাশকের সাথে। তিনি কাল সব লেখা একসাথে করে ড্রাফট কপি ফাইনাল করে দিতে বলেছেন!!
এখন সখা-সখি উপাখ্যানতো এখনো মাঝপথে! সখির ব্যাস্ততা! লেখাপড়া -আমার কাজের চাপ!
কি হবে???
সখি কি একটু সময় দিতে পারবে? টানা! ছুটির মাঝে আব্দার আর কি ;)

আর প্রকাশকও অনলাইনে পড়ে বলেছেন সখি চরিত্রিট দারুন ফোটাতে পেরেছো :)

থ্যাংকস এ লট সখি!! :):):)


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.