নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডায় স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ৬): প্রেম পিরিতি: মফস্বল ও বৈদেশে সম্পর্কের ভাঙ্গন গড়ন এবং বৈদেশীদের চিন্তন দর্শণ!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অনেকদিন পরে কন্টিনিউ করছি সিরিজটি। দেরীর কারণে সিরিজটির রেগুলার পাঠকদের কাছে প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী।
যাই হোক, সূচনায় কথা না বাড়িয়ে টাইম মেশিনে চড়ে চলে যাচ্ছি আমার কিশোরিবেলায়! :)

আগের পর্বগুলো:
আগের সিরিজ: কানাডার স্কুলে একদিন (এক থেকে বাইশ): পর্ব বাইশ । পর্ব বাইশে অন্য সকল পর্বের লিংক রয়েছে!
আগের পর্ব: কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ১) - বাংলাদেশীদের যেসব বিষয় বিদেশীরা অদ্ভুত মনে করে!
কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ২) - মফস্বলের কন্যের বৈদেশে শিক্ষাগ্রহন; ঘটন অঘটন এবং আমাদের নিয়ে বৈদেশীদের দর্শন!
কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ৩) - মফস্বলের কন্যের বৈদেশ ভ্রমণ; চলন ও বলন, এবং ভিনদেশ নিয়ে বৈদেশীদের দর্শন!
কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ৪) - মফস্বলের কন্যের বৈদেশ ভ্রমণ; চলন ও বলন, এবং বৈদেশীদের নানা দর্শন!
কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ৫) - ঈদ মোবারক সবাইকে! কিছু পাঠকের প্রশ্নের উত্তরে আজকের পর্ব : কেমন কাটে প্রবাসে ঈদ?

পায়ের তলায় সুড়সুড়ি লাগল, খিলখিল করে হেসে উঠলাম। আবারো পা দিলাম, আবারো হেসে উঠলাম! আমাদের বাড়ির পেছনের ছোট্ট, ছিমছাম উঠানটিতে খালি পায়ে ঘাসের ওপরে হেঁটে বেড়াচ্ছি। বাড়ির উঠানে বা স্কুলের মাঠে খালি পায়ে হেঁটে ঘাস ও মাটির স্পর্শ অনুভব করতে ভীষনই পছন্দ করতাম। প্রকৃতির কোমল স্পর্শ কেমন যেন একটা নেশায় মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে! হাঁটতে হাঁটতে আশেপাশে তাকাচ্ছি! কি সুন্দর একটা পরিবেশ! হালকা মিষ্টি বাতাসে ভেসে তাজা ঘাসের মন মাতানো ঘ্রাণ নাকে এসে লাগছে! সেই বাতাসে আশেপাশের বৃক্ষ পল্লব মৃদু চালে দুলে চলেছে। চতুর্দিকে কোমল একটা আলো বিরাজ করছে। ডুবন্ত সূর্য যেতে যেতে নিজের সবটুকু আলো বিলিয়ে দিচ্ছে। সারাদিন নীল হয়ে থাকা নির্মল আকাশ জুড়ে খেলা করছে লালচে কমলা রং এর দ্যুতি! বেলা শেষে নিকষ কালো চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বোধহয়! দূরে তাকিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড়গুলোকে দেখছিলাম। কিছুক্ষন পরে ওদের অনেকাংশ আঁধারে ডুবে যাবে, পরম প্রতাপে জেগে উঠবে সেই ভোরে! চারিপাশ শান্ত, নিরিবিলি। এতসব নীরব সৌন্দর্যের মাঝে কেমন যেন মন খারাপের সুরে বেজে চলেছে। সূর্যের বিদায় হয়ত সবার মনেই শুন্যতার অনুভব জাগিয়ে তোলে! প্রকৃতি মাকে খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে পরিবেশটিতে হারিয়েই গিয়েছিলাম।

হুট করে আমার নিজের মায়ের গলা কানে এলো, "ছি ছি ছি!" উঠানে রাখা ছোট টেবিলে বসে মা বাবা গল্প করছিল। আমি বুঝে গেলাম কানাডিয়ান কালচারের কোনকিছু নিয়ে কথা হচ্ছে। মা কানাডিয়ান কালচারের কোনকিছু ভালো লাগলে "ওহ আল্লাহ! ওরা কত ভালো!" আর খারাপ লাগলে "ছি ছি ছি" শব্দটি ব্যবহার করেন। মা বাবাকে বলছেন, "ছি ছি ছি! সেদিন ক্রিস্টি আমাকে নিজের মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল। কি অদ্ভুত দেশ! এইটুক বাচ্চা মেয়ের বয়ফ্রেন্ড, মা আবার গদগদ হয়ে দেখাচ্ছে! কেমন দেশে নিজের মেয়েকে আনলাম রে বাবা!" আমি শুনছি আর মুচকি হাসছি। ওখানে গিয়ে প্রথম প্রথম মা আমাকে নিয়ে খুব ভয়ে থাকতেন। ওদের মতো না হয়ে যাই আবার! আমার বিষয়টি খুব মজা লাগত! হাহা। ওহ ক্রিস্টি কে তা বলি। আমার মা ওখানে গিয়ে কিছু কোর্স শুরু করেছিলেন। ক্রিস্টি ছিলেন সেই ক্লাসের টিচার। আমার মায়ের মতোই বয়স। নাক খাড়া, নীল চোখ, ফর্সা, লম্বা সুন্দরী কানাডিয়ান নারী ছিলেন তিনি। পথে দেখা হয়েছিল, তখন নিজের মেয়ে আর বয়ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন স্বাভাবিক ভাবে। আমার মায়ের কাছে যা ভীষন অস্বাভাবিক মনে হয়েছে!

আমাদের মফস্বলে তখনকার দিনে এবং হয়ত এখনো প্রেম খুবই লুকিয়ে করার জিনিস ছিল। কিশোরি কিশোরি আমরা কলেজ ও ভার্সিটি পড়ুয়া বড় আপু ভাইয়াদের প্রেমের গল্প মজা করে শুনতাম। আর আমার ক্লাসে বা স্কুলে কেউ প্রেম করলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। এত সাহস পায় কি করে এরা? শিক্ষক ও বাবা মায়ের চোখে পরলে তো মেরেই ফেলবে! প্রেম তো এলাহি ব্যাপার স্যাপার। ধরা পরলে মারধোর, ঘরবন্দি এসব নিজের চোখের সামনেই হতে দেখতাম অনেকের সাথে। পরিবার ও সমাজে ভীষনই লজ্জ্বার মুখে পরতে হত প্রেমের খবর জানাজানি হলে। আর প্রেম লুকানো কঠিন, তো করাও। ছেলে মেয়েদের মিক্সিং কম ছিল। শুধু মাত্র ক্লাসে চোখাচোখি, কলেজ/কোচিং এ যাবার সময়ে দু মিনিট পথ আটকে কথা বলা বা প্রতিবেশী বারান্দায় ইশারা এভাবেই প্রেম হত। এত স্বল্প সময়ে এত গভীর প্রেম হতো যে বলার নয়! আমি অবাক হয়ে ভাবতাম লাইফ রিস্ক নিয়ে এত লুকিয়ে ভয় ভয় মনে কেন কেউ প্রেম করে?

আর বৈদেশী প্রেমের একটা বিষয় নিয়ে সবসময় কৌতুহলী ছিলাম। এখানে সম্পর্ক কেন ভাঙ্গে? দেশে সবসময় দেখেছি সমাজ পরিবারের কারণে প্রেম ভাঙ্গতে। বাংলা ছবিতেও নায়ক নায়িকার প্রধান শত্রু পরিবার। তাই আমি একটা লম্বা সময় পর্যন্ত ভাবতাম, পরিবার ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কোন কারণে প্রেম ভাঙ্গে না। কিন্তু কানাডায় তো সমাজ ও পরিবারে যেকোন বয়সেই প্রেম করা জায়েজ। কানাডায় প্রেমের ব্যাপারে কোন লুকাছুপা নেই। ক্লাস, ক্লাব, পার্টি, সোশাল মিডিয়া সবখানে ছেলে ও মেয়ে অবাধে মেলামেশা করে যেকোন বয়সেই। প্রেম হওয়াটা খুবই সহজ ব্যাপার। কারো কোন বাঁধা নিষেধ নেই। বাবা মা কে বলবে ডেইটে যাচ্ছে, তারা টিপস দেবেন। ব্রেক আপ হলে শিক্ষক উপদেশ দেবেন সামলানোর জন্যে। প্রেম এখানে শিশুকালে কিউট, কিশোর কালে সহজাত ও প্রাকৃতিক, যৌবনকালে অবশ্য কর্তব্য। আমাদের দেশে প্রেম শিশুকালে পাকামি, কিশোর কালে বখে যাওয়া আর যৌবনকালে ক্যারিয়ার গড়ার পরিপন্থী মনে করা হয়! অবশ্য লাস্ট কবছরে বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির কারণে দেশ অনেক পাল্টেছে। তবে তার বেশিরভাগটাই শহরে, গ্রাম মফস্বলের অনেক জায়গা এখনো পুরোনো কিছু ভাবনাতেই চলে। যাই হোক, আজকাল দেশে বিদেশে নানা ছোট ছোট কারণে সম্পর্ক ভাঙ্গে। এখানে সম্পর্ক ভাঙ্গার ছোট একটা কারণ দেই গল্পে গল্পে।

তখন আমার এক দেড় বছর হয়েছে স্কুলে। মানিয়ে নিচ্ছি ধীরে ধীরে। এখানে হাই স্কুলে নিজের জিএফ বা বিএফ এর হাতে হাত ধরে কাঁধে মাথা দিয়ে হাঁটা, সবার সামনে কিস করা নরমাল বিষয়। সহপাঠী তো দূরের টিচারদের সামনেও কোন লজ্জার বিষয় মনে করা হয়না। এজন্যে দেশে যেখানে পাড়ায় কার সাথে কার ইটিশপিটিশ চলিতেছে তা জানিতে শার্লক হোমস বনে যেতে হত, এখানে তার প্রয়োজন পরে না।
একদিন আমি স্কুল লবির এককোণে একটা বেঞ্চে বসে আছি কানাডিয়ান বান্ধবী বি এর সাথে। গল্প করতে করতে দেখি দুটো ছেলেমেয়ে অন্তরঙ্গ ভাবে হেঁটে আসছে। আমি বললাম, "আমাদের ক্লাসের কুপার না? ওর পাশে কে ওটা? ওর গার্লফ্রেন্ড তো এ না!" ও আর ওর গার্লফ্রেন্ডের লং টাইম রিলেশনশিপ (এক বা দেড় বছর) ছিল। স্কুলের ফেমাস কাপল এবং সবাই ওদের চিনত। ওদেরকে সবসময় একসাথে দেখা যেত। সবসময়! হুট করে কি হলো কিছুই বুঝলাম না। কেননা আমি একটা স্কুল ক্লাবের সভায় ওদের দুজনকে কদিন আগেই হাসিখুশি দেখেছি।
বির কাছে জানলাম কেন সম্পর্ক ভেঙ্গেছে। ও বলল, "মেয়েটির জন্মদিন ছিল। সেই পার্টির ছবি ফেইসবুকে দিয়েছে। কিন্তু পার্টিতে বয়ফ্রেন্ডের সাথে তোলা ছবিগুলো দেয়নি সতর্কভাবে। রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস হিডেন রাখার কারণে ওদের আগে থেকেই ঝগড়া হতো। এ কাজের পরে তা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। এরপরে ব্রেইকআপ!"
এই কাহিনী শোনার পরে আমার মনে হলো, সামনের সারি করে রাখা লকারে মাথা ঠুকি! ধুর! এত ঠুংকো সবকিছু? মেয়েটি সিংগেল দেখাচ্ছিল নিজেকে সম্পর্ক থাকার পরেও! আর ছেলেটি এ কদিনেই নতুন কাউকে জুটিয়ে ফেলল? এত সহজে দুজনের পাশের সার্বক্ষণিক মানুষটিকে বদলে গেল! আজব!

গল্প টেনে সিনিয়ার ইয়ারে আনি। আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর কিছু সময় কেটেছে মি: এম এবং বান্ধবী জের সাথে। সিনিয়ার ইয়ারে E.S.L. ক্লাসে দুজনকেই একসাথে পেয়েছিলাম। আমি মি: এম এর টি.এ. ছিলাম এবং জে স্টুডেন্ট ছিল ক্লাসটির। আমাদের তিনজনের বন্ডিং কি ছিল সেটা বলে বোঝানো যাবেনা। মি: এমের ক্লাসটা বেশ বড় ছিল, এবং সবসময় আলোকিত থাকত। সেই ক্লাসের ভিউ সবচেয়ে সুন্দর ছিল। স্বচ্ছ কাঁচের বিশাল দুটো জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে নির্মল নীল আকাশ দেখতে পেতাম। পুরো ঘরে নীলাভ একটি রং ছেয়ে থাকত সবসময়! আকাশের কোল জুড়ে উঁচু নিচু পাহাড় দেখা যেত। ঘাসময় মাঠ, এবং সেই মাঠে ফুটে থাকা বুনো ফুলগুলোও দেখা যেত। দূর থেকে ফুলগুলোকে দেখে মনে হতো চঞ্চল প্রজাপতির দল উড়ে বেড়াচ্ছে যেন! আমি আর জে কতো দাড়িয়ে থাকতাম জানালা ঘেষে সব কাজ শেষে! আর মি: এম আমাদের দুই পাগলীর আড্ডা, হাসি মজা নিয়ে দেখতেন। দেখতেন কিভাবে বাংলাদেশের কনজারভেটিভ কালচার আর ব্রাজিলের ওপেন কালচার এক নদীতে মিশে গিয়েছিল!

ওহ, যাদের কথা বলছি তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। মি: এম ছিলেন একজন মধ্যবয়স্ক সুদর্শন কানাডিয়ান পুরুষ। পুরোপুরি ফ্যামিলি ম্যান, ভীষনই বুদ্ধিমান এবং সুন্দর করে কথা বলতে ও বোঝাতে পারতেন। আর জে ব্রাজিলের খুব সুন্দর একটি মেয়ে ছিল। লম্বা, চিকন চাকন, বেশ লম্বা ব্রাউন চুল, আর লম্বাটে মুখ। খুবই সরল ভালো মনের একটা মেয়ে ছিল। আমার খুব প্রিয় দুজন মানুষকে এক ক্লাসে পেলে কি ভীষন ভালো সময় কাটবে তা বলাই বাহুল্য!

একদিন মি: এম ক্লাসে এসে বললেন, "তোমাদের জন্যে একটা গুড নিউজ আছে!" আমি আর জে সাথে সাথে তার দিকে আঙ্গুল তাক করে বললাম, "ইউ আর প্রেগন্যান্ট এগেইন!?" বলেই হেসে খুন দুজনে। এই জোকটি ওনাকে এক কলিগের ওপরে এপ্লাই করতে দেখেছিলাম আমরা। ব্যাস আদর্শ শিষ্যের মতো শিখে ফেলেছিলাম। মাঝেমাঝেই বলতাম ওনাকে, আর হেসে কুটিপাটি হতাম। উনি মুচকি হেসে বললেন, "বেটার দ্যান দ্যাট! আমরা মুভি দেখব ক্লাসে!"
কানাডায় স্কুলে অনেক মজার কিছু বিষয় থাকে। যেমন ক্রিসমাস বা যেকোন বড় ছুটির আগে বেশিরভাগ ক্লাসেই মুভি দেখানো হয়। ওয়ের্স্টান মুভি আমি তেমন দেখতাম না। জে আবার ওয়েস্টার্ন মুভির পোঁকা ছিল। মি: এম যেই মুভিই দিতেন না কেন জের দেখা থাকত। আর ১৫ বা ২০ তম বারের মতোও আনন্দ নিয়েই দেখত। আর আমার জন্যে একদমই নতুন! মি: এম যখনই ক্লাসকে জিজ্ঞেস করতেন যে এই পাঁচটা মুভির মধ্যে কোনটি দেখতে চাও, আমি কিছুই বলতে পারতাম না। আর জে ফট করে বলে দিত এটা বেস্ট। আমিও জের সাথে গলা মেলাতাম। আর কিইবা করার ছিল?

মি: এম যে মুভিটি দিলেন, তাতে দেখায় নায়কের মা ও বাবার প্রেম ছিল। তাদের সম্পর্ক টেকেনি বা বিয়ে হয়নি। নায়ক অনেক বোকাসোকা, সরল মনের। বড় হয়ে কোনভাবে ঠিকানা পেয়ে বাবার কাছে এসেছে। সেই বাবার বউ সংসার আছে। আমি বলছি, এইরে এদের সুখের সংসার গেল। বউটি নিশ্চই হাসব্যান্ডকে ছেড়ে দেবে। জে বলল, "না মহিলা সব মেনে নেবে। ছেলেটিকে সাপোর্ট করবে।" তারপরে দেখি সত্যিই মহিলা সব মেনে নিচ্ছে সহজেই। আমি বললাম, আমার হাসব্যান্ডের এমন কোন কাহিনী থাকলে তাকে আমি মেরেই ফেলতাম। জে ছবি দেখা বাদ দিয়ে আমার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ বড় করে বলল, "কি? কেন? তোমার সাথে পরিচয়ের আগে বাচ্চা হলে মেনে নিতে না? সে তো তোমাকে চিট করেনি! ব্যাপারটি আগে ঘটেছে বিয়ের পরে নয়!" আমি বললাম, তো কি? বিয়ে না করেই তার একটা সন্তান হয়েছে! কোন খবরই রাখেনি, আমাকে বলেনি! এত বড় অন্যায় মেনে নেব কি করে? এটা শুনে ও আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকল যেন আমি চিড়িয়াখানার প্রানী! হাসব্যান্ডের গার্লফ্রেন্ডের সাথে সন্তান থাকা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সেদিন জের চেহারায় আমি যে কালচার শক দেখতে পেয়েছিলাম! দেখার মতো এক্সপ্রেশন! হাহা। এখানে বিয়ে না করে একসাথে থাকা, সন্তান হওয়া, বাঁধহীন প্রেম দেখে প্রথম প্রথম আমিও কি কম চমকাতাম? ওরাও একইভাবে চমকায় আমাদের ভাবনায়!

মনের হাবিজাবি আঁকিবুঁকি: গল্প নয়, ব্যাস কিছু খুচরো বকবক করব। কানাডায় হুট করে সম্পর্ক গড়া ভাঙ্গার সংস্কৃতি আমাদের দেশেও ছড়িয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে সব দেশই যেখানে পশ্চিমি সংস্কৃতিতে রঙ্গিন, বাংলাদেশকে আলাদা রাখা সম্ভব নয় হয়ত। কিন্তু তবুও নিজ সচেতনতায় নিজ সুখ সবারই দেখা উচিৎ। এটা যেকোন দেশের যেকোন মানুষের জন্যেই প্রযোজ্য। কিশোরি বয়সের সেই সম্পর্ক ভাঙ্গে কেন এ কৌতুহল আশেপাশের নানা সম্পর্ক ভাঙ্গতে দেখে মিটেছে কিছুটা হলেও। মনে হয় সম্পর্ক ভাঙ্গার সবচেয়ে বড় কারণ স্বার্থ আর কৌতুহল! নিজের দিকটা একচুল ছাড় দিতে চায় না কেউ। বিলিয়ে দেবার চেয়ে আদায়ের হিসেবটা বেশি জরুরি হয়ে পরেছে। কোথায় যেন একটা বেপরোয়া ভাব! আগেকার দিনে প্রিয়জনকে হারানোর ভীষন ভয় ছিল। এখন আর তা যেন নেই। যাকে ভালোবাসি তার চেয়ে বেটার কেউ কি আমার জন্যে আছে? এমন ভাবনায় ওপেন রিলেশনশিপের চল শুরু হয়েছে। মানে সম্পর্ক চলাকালীন অন্যকারো সাথে সম্পর্ক হতে পারে। একে অপরকে জবাবদিহিতার কিছু নেই! কমিটমেন্ট নামক জিনিসটি নেই। আর কমিটমেন্ট থাকলে হনেস্টি নেই! আমরা ছোটবেলায় দুধ চিনি মিশিয়ে আইসক্রিম বানানোর চেষ্টা করতাম। ফ্রিজে দিয়ে প্রতি ৫ সেকেন্ডে চেক করতাম জমল কিনা? বারবার ফ্রিজের দরজা খোলা ও অধৈর্য্য হবার কারণে ভালোভাবে আইসক্রিম জমত না কখনোই। অাধা পানি আধা বরফ হয়ে থাকত। আজকালকার সম্পর্কগুলোও তাই হয়ে যাচ্ছে! একটি সম্পর্কে থেকে অন্যদিকে উঁকি দেবার স্বভাব যেন জমতে দিচ্ছেনা ভালোবাসাকে। আমার খুব অবাক লাগে সবকিছু! কিছু বছর আগেই তো প্রেম অন্যরকম ছিল! অনেকসময় সমাজ পরিবার সর্বশক্তি লাগিয়েও ভাঙ্গতে পারতনা। আর আজকাল? কত ছোট বিষয়ে দুটো মানুষ দূরে সরে যায়! চোখের পলকেই সব পাল্টে গেল যেন! কি অদ্ভুত! তবুও পৃথিবীতে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে। নি:স্বার্থ ও স্থির মনোভাবে খাঁটি ভালোবাসা সৃষ্টি হচ্ছে। আধুনিক যুগের সব বৈরিতা পেছনে ফেলে ভীষন সুন্দর কিছু সম্পর্ক গড়ে উঠছে মানুষে মানুষে। তাদের দেখে মনে হয়, ভালোবাসারা ভালো আছে! আরো বেশি ভালো থাকুক সেই কামনায় শেষ করছি আজকের পর্ব!

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
খানিক পড়ে বিাদয়.....


এই পিচকা জন্য কিছু চকলেট হবে? :P

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ।

না হবে না। পাকনা পিচকাদের জন্যে চকোলেট না, বেতের মার বরাদ্দ! :D

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: " সেদিন জের চেহারায় আমি যে কালচার শক দেখতে পেয়েছিলাম! দেখার মতো এক্সপ্রেশন! হাহা। এখানে বিয়ে না করে একসাথে থাকা, সন্তান হওয়া, বাঁধহীন প্রেম দেখে প্রথম প্রথম আমিও কি কম চমকাতাম? ওরাও একইভাবে চমকায় আমাদের ভাবনায়! :)

লালন গুরুর গান মনে পড়ে গেল
তিব্বত দেশে এইেতা রীতি
এক নারী ধরে বহুপতি
এ দেশেতে হলে পরে-তারে ব্যাভিচারী দন্ড দেয়..

পাপ পূণ্যের কথা আমি কারে বা শুধাই......
এক দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূণ্য তাই.......

বরাবরের মতোই দারুন সাবলীল সমৃদ্ধ লেখনিতে মুগ্ধ করে রাখায় ধন্যবাদ।
:)
সখি- লেখায় 'ব্লকের ছাপ কি ছিল? না জানি বলেই মনে হল ;) অথবা আমার মনটাই বিক্ষিপ্ত ;) কি জানি ...হা হা হা

শুভ কামনা জনম জনমের :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা! ভালো আছেন আশা করি।

দারুণ সুন্দর মন্তব্য করেছেন। অনেক কৃতজ্ঞতা।

লালন ঠিক কথাই বলেছেন গানে গানে, উচ্চ দর্শনে!

আমি আর কিভাবে বলব? পাঠকই ভালো জানেন। বিশেষ করে পাঠক যদি হয় বিজ্ঞ সখার মতো, তবে ভুল হতে পারে না বিচারে! ;) :)
আপনাকেও শুভেচ্ছা জনম জনমের।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আবারো ছক্কা!!!! সাব্বাস বাংগালী সাব্বাস!!!
অনেক সুন্দর গল্প পর্বটি। ভাল থাকবেন সবসময়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সুজন ভাই! আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল!

মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
ভালো থাকুন সবসময়!

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথমেই বলি পুরো লেখাটি এক কথায় অসাধারন। আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে মনের ভেতরে অনেক কথার ঝড় খেলে গেল। সে গুলো লেখায় রুপ দিতে পারলে একটি সুন্দর লেখা হতে পারত। তবে মনের কথা গুলো ঝড়ের মতই কোথায় উড়ে গেল তা ঠিক আমি নিজেও জানিনা।
খালি পায়ে সবুঝ ঘাসের উপরে হেটে বেড়াতে সত্যি খুব ভাল লাগে। আমি কখনও সময় পেলে এই পাগলামিটা করি।আগে বর্ষা হলে আমি পিচ ঢালা পথে খালি পায়ে হাটতাম। একদিন বর্ষায় পিচঢালা পথে হেটে দেখবেন খুব ভাল লাগবে।
সূর্যের বিদায় হয়ত সবার মনেই শুন্যতার অনুভব জাগিয়ে তোলে! - এই কথাটি মনে হয় সত্য বলেছেন।আমি নিজে যখন কোন সময় সূর্যাস্ত দেখেছি তখন মনের ভেতরে কেমন যেন এক শূন্যতা অনুভব করেছি। সে সময় মনের ভেতর কেমন হাহাকার করে উঠে।
আমাদের দেশের প্রেম পিরিতির কথা কি আর বলব। প্রেম কিংম্বা ভালবাসায় যে জিনিসটি সবচেয়ে দরকার সেই বিশ্বাসটাই মানুষের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।আজকাল সবাই মনে সন্ধেহ নিয়ে বসবাস করতে পছন্দ করে। যার পরিনতি শেষ পর্যন্ত ভাঙন ছাড়া আর কি হতে পারে।
আর নিজের মধ্যে আত্বম্ভিরতা নিয়ে বসে থাকলে কি ভালবাসা হয়?
ভালবাসতে হলে একটা উদার মন দারকার। যে মনে কোন অহমিকা থাকবে না।থাকবে না কোন সন্ধেহ।
সত্যি এই অগনিত মানুষের ভিড়ে একজন সত্যিকারের মনের মানুষ পাওয়া অনেক কঠিন।
অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ফেলাম মনে হয়।
ভাল থাকুন। সব শেষে সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য আবারও একবার ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঝড়ে সব বোধহয় উড়ে যায়নি। অসাধারণ মন্তব্যে দারূনভাবে কিছুটা হলেও উপস্থিত হয়েছে। কোনদিন পোস্ট আকারে কথাগুলো সম্পূর্ণভাবে দেখা দেবে আশা করি।

একদিন বর্ষায় পিচঢালা পথে হেটে দেখবেন খুব ভাল লাগবে।
অবশ্যই করব, আসলেই করব। দেখি এই পাগলামিটা কতটা ভালো লাগে! এসব ছোটখাট পাগলামি না থাকলে জীবন তেজপাতা হয়ে যায়!

প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে বলা আপনার প্রতিটি কথার সাথেই একমত। সততা, বিশ্বাস তো সম্পর্কে অক্সিজেন। আর নি:স্বার্থ, উদার মনোভাব যাদের থাকে না, সেসব মানুষ কাউকেই ভালোবাসতে পারেনা।

একদমই না। অপ্রয়োজনীয় কেন হবে? বরং সুন্দর ভাবে ঠিক কিছু কথা বলেছেন।

আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভীষন ভালো থাকুন।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল। আগের কিছু পর্ব পড়া ছিল, তাই আগ্রহ নিয়ে ঢুকলাম। নিরাশ হইনি। অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নিরাশ হননি জেনে নিশ্চিন্ত ও আনন্দিত হলাম।

আগের কিছু পর্ব ও এটিও পড়ার জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ আপনাকেও।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কানাডিয়ান তথা পশ্চিমা কালচারের এই একটা দিক নিয়ে আমাদের অনেক এলার্জি আছে। এটা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের কারণে হয়ে থাকে। তবে প্রেম এখানে শিশুকালে কিউট, কিশোর কালে সহজাত ও প্রাকৃতিক, যৌবনকালে অবশ্য কর্তব্য - ওদের এই দর্শনের সাথে আমি দ্বিমত করি না। কিন্তু তাই বলে বিয়ে না করে সন্তানের মা বাবা হবার আমি ঘোর বিরোধী।
আর আমাদের এখানে প্রেমের ব্যাপারে ছেলে মেয়েদের সাম্প্রতিক সময়ের অস্থিরতা পাশ্চাত্য কালচারের প্রভাব বলে মনে করি। এটাকে হাল্কাভাবে দেখা ঠিক নয়। মননে প্রাচ্য, আর প্র্যাকটিসে পাশ্চাত্য-- এই অবস্থা ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যেই সমস্যা শুরু হয়েছে।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি হেনাভাই ঠিক বলেছেন। বিয়ের আগেই সন্তান হয়ে যাচ্ছে, স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করছে। তবে বিয়ের আর কি মানে থাকল?

মননে প্রাচ্য, আর প্র্যাকটিসে পাশ্চাত্য-- এই অবস্থা ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যেই সমস্যা শুরু হয়েছে।
অসাধারণ ভাবে বলেছেন। অসাধারণ! দুই সংস্কৃতিতে কনফিউজড হয়ে একটা অদ্ভুত জেনারেশন তৈরি হচ্ছে। এটা ঠেকাতে হবে সুন্দর, সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়তে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে অজস্র ধন্যবাদ।
ভীষন ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ও একটি কথা বলতে ভুলে গেছিলাম।
আপনি লেখার মধ্য নাম না দিয়ে মি এম বা জে এভাবে দিয়েছেন।
আসল নাম না লিখতে চান অন্য নাম দিতেন। তাহলে লেখাটি আরও বেশি সুন্দর হত।
এবার থেকে পুরো একটি নাম ব্যবাহারের অনুরোধ রইল। মনযোগ দিয়ে লেখা পড়ার সময় নাম দিলে চরিত্র গুলোও চোখের সামনে ভেসে উঠে।
পাঠে তখন আরও সুখ হয় । ভাল থাকুন।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এগুলো নামই। কানাডায় টিচারদের নাম বড় হলে, প্রথম অক্ষর ধরে ডাকা হয়। কেননা নানা দেশের নানা মানুষ এদেশে আসেন, এবং একজনের কাছে অন্য দেশের মানুষের নামের উচ্চারন অনেকসময় খুব কঠিন হয়। তাদেরকে বাস্তবে পুরো নাম ধরে ডাকিনি, তো লেখার সময়েও আসেনা। বন্ধুদের নাম পুরোপুরি নেবার চেষ্টা করব এরপর থেকে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: গেল সপ্তাহটা যখন বৃহষ্পতির ঘরে, তখনই ব্লগবাড়িতে ঢুঁ মেরে গিয়েছিলাম কানাডা এলো কিনা দেখতে.......তখন ভাবলাম, যাক শুক্রের সকাল মন্দ কাটবে না ;)

আজকালকার সম্পর্কগুলোও তাই হয়ে যাচ্ছে! একটি সম্পর্কে থেকে অন্যদিকে উঁকি দেবার স্বভাব যেন জমতে দিচ্ছেনা ভালোবাসাকে।
দারুণ বলেছেন উদাহরণটাতে........অামার মতে ধৈর্য্য/স্থিরতাই ভালবাসাগুলোকে নিরূপায় করে তুলছে। এখনকার লুতুপুতু প্রেম দেখলে যেমন অামাদের গা জ্বলে(অামাদের সময় থেকেই যদিও শুরু), তেমনি অামাদের ছোটবেলার সময়কার লুকোচুরি প্রেম দেখলেও অামাদের প্যারেন্টেসদের পিত্ত জ্বলে যেত, তেমনি প্যারেন্টেসদের নিজের অামলে অদৃশ্য প্রেমও দাদা-নানাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াত। সেই তখন থেকে প্রেমের হয়েছে শুরু- বিবর্তন এখনো চলছে গুরু :D ........পশ্চিমের কাছ থেকে কিছু নিতে কখনোতো অামরা কার্পণ্য করিনি......তবে অার এক্ষেত্রে কেন গড়িমসি? সব সম্পর্কেই পুরনো সময়ে সহিষ্ণুতা ছিল তুলনামূলক বেশী......কারণ সময়টাও ছিল তুলনামূলক শ্লথ। এটা অামি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি.......মানুষের সময় যত গতিশীল হয়েছে- ব্যস্ততা তত বেড়েছে- সহ্যশক্তি তত কমেছে.......অপশন যদি ঘুরে বেড়ায় অাশেপাশে, পরখ করতে দোষ কী তাতে? অকালপক্কতাও সময়ের তুমুল গতিরই অারেক ফসল। অামরাইতো দেখেছি না যে, ১২-১৩ বছরের সম্পর্কও দারুনভাবে চলতে চলতে শেষে ঝুলে গিয়ে ছিঁড়ে গেছে? অনুভূতির/বোঝাপড়ার তীব্রতা অাগের চেয়ে তেমন না কমলেও স্থায়িত্বটা অ-নে-ক কমে গেছে......যে অভিজ্ঞতা অাগে মানুষ এক প্রেমে পেত, সেটা এখন দশ প্রেমেও মেলে না!!

প্রেম এখানে শিশুকালে কিউট, কিশোর কালে সহজাত ও প্রাকৃতিক, যৌবনকালে অবশ্য কর্তব্য
অামাদেরই কপাল মন্দ- হলোনা কিছু! উম, তবে সুস্থ প্রেম অামি কর্তব্য মনে করি- এতে মাদকতা দোষ থাকলেও চিত্ত পরিতোষও করে :`> ......সম্পর্কে সুস্থতা থাকলে অাসলে সেটা টিকে যাওয়ার গ্যারান্টিও থাকে বলে মনে হয়। এমন প্রেমইতো কত কত অাগে অকল্পনীয় ছিল, কিন্তু এখন গ্রহণযোগ্য অার অাশা করা হয় :``>>

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গেল সপ্তাহটা যখন বৃহষ্পতির ঘরে, তখনই ব্লগবাড়িতে ঢুঁ মেরে গিয়েছিলাম কানাডা এলো কিনা দেখতে.......তখন ভাবলাম, যাক শুক্রের সকাল মন্দ কাটবে না ;)
হাহা! সোওও সুইট! :)

এই এই একদম! আমিও মাকে একথাই বলি। মা হয়ত আজকালকার জেনারেশনের জ্ঞান বুদ্ধি, আদর্শ চেতনা কে আক্রমণ শুরু করল কোন কারণে, আমি মা কে আপনার কথাটাই বলি। যে তোমাদের সময়েও পুরোন মানুষেরা তোমাদেরকে খারাপ মনে করত। মা বলে, "থো তুই, যুগ এতটা খারাপ আগে কখনো হয়নি!" হাহা, তাকে বোঝানো দায়। মা কে বলি, আমিও তো আজকালকার মেয়ে, তুমি আমাদের জেনারেশনকে খারাপ বলা মানে আমাকেও খারাপ বলা! তখন বলে, "আমার মেয়ে ওরকম না!" হাহাহা! আমার মা অন্যসব মায়ের মতোই। যুগকে তুলোধনা করবে, নিজের ঘরেও যে সেই যুগের ছেলে বা মেয়ে আছে সেটা দেখবে না। যুগের সাথে সাথে অনেককিছুই পরিবর্তিত হয়, শুধু এই জেনারেশন গ্যাপের ড্রামা একই থেকে যায়! ;)

মানুষের সময় যত গতিশীল হয়েছে- ব্যস্ততা তত বেড়েছে- সহ্যশক্তি তত কমেছে.......অপশন যদি ঘুরে বেড়ায় অাশেপাশে, পরখ করতে দোষ কী তাতে?

এক্স্যাক্টলি তাই! এমনকিছু লেখায় ডাইরেক্টলি লিখতে গিয়েছিলাম, পরে লিখলাম তবে একটু অন্যভাবে।

উম, তবে সুস্থ প্রেম অামি কর্তব্য মনে করি- এতে মাদকতা দোষ থাকলেও চিত্ত পরিতোষও করে
ওহো! মাস্টারসাহেব কতগুলো মাস্টারনির সহিত সুস্থ প্রেমের কর্তব্য পালন করিয়াছেন তা আল্লাহই জানে! হাহা কিডিং!

বরাবরের মতোই অসাধারণ দর্শন সমৃদ্ধ মন্তব্যে অনেকিছু শিখিয়ে গেলেন। শুভেচ্ছা অফুরান।
জলদিই দেখা হোক নতুন কোন লেখায়, নতুন ভাবে.....

৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: প্রেম এখানে শিশুকালে কিউট, কিশোর কালে সহজাত ও প্রাকৃতিক, যৌবনকালে অবশ্য কর্তব্য। আমাদের দেশে প্রেম শিশুকালে পাকামি, কিশোর কালে বখে যাওয়া আর যৌবনকালে ক্যারিয়ার গড়ার পরিপন্থী মনে করা হয়!
সুন্দর বলেছ। শেষের হাবিজাবি ভালো লাগল খুব.... পাগলী ভালো আছো আশা করি

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপু! আপু! তোমার মন্তব্যে অনেক খুশি হলাম।

ভালো আছ আশা করি। আর আমিও অনেক ভালো আছি!
বেশি বেশি ভালো থেকো।

১০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: এই এটা কবে দিলে ! আমি তো দেখিই নি !

যাইহোক একটানে পুরোটা পড়ে নিলাম । বরাবরের মতই সাবলীল ও ঝকঝকে লেখা । তেমন কোন বানান ভুল চোখে পড়ল না । হা হা হা।

যাইহোক, লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগলো । ঠিকই বলেছ, আমিও ভাবতাম এক সময়ে সম্পর্ক কেন ভেঙে যায় ? আসলে সম্পর্ক তো নানা কারনে ভেঙে যায় । কিছু কিছু সম্পর্কে নাম থাকে না । শুধু ভালবাসা থাকে । সেগুলো ভাঙার কথা না । কিন্তু সেগুলোও ভেঙে যায় । মোটামুটি বলা যায় সব ধরনের সম্পর্কই ভেঙে যায় । সব ধরনের সম্পর্ক ভেঙে যায় তার মানে এই না যে সব সম্পর্কই ভেঙে যায় ।

শেষের কথাগুলো ভাল ছিল । যেন বোকাবোকা কোন মিসেস টিচার চোখে গোল গোল চশমা লাগিয়ে তার ছাত্র-ছাত্রীদের উপদেশ দিচ্ছে, এই শোন বাচ্চারা, সম্পর্ক হল এমন জিনিস যা এমন করলে ওমন হবে। তোমরা কেউ ফ্রিজে আইসক্রিম করার জন্য বরফ দিলে তা একটু পর পর এসে চেক করতে যাবে না । বুঝেছ সবাই ? ঠিক তো ? আর হ্যাঁ , দুধ চিনি যাই হোক হোক না , বেশি হোক কম হোক সবাই নিজ নিজ আইসক্রিম নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে, অন্যের আইসক্রিমের দিকে নজর দিবে না ।

ভাল থেক । পরের পর্বগুলোর আশায় রইলাম তবে ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই এটা কবে দিলে ! আমি তো দেখিই নি !
চার চোখ নিয়েও জ্বলজ্যান্ত একটা লেখা দেখতে পেলে না? :D

বরাবরের মতই সাবলীল ও ঝকঝকে লেখা । তেমন কোন বানান ভুল চোখে পড়ল না।
ওলে আমার বিজ্ঞ পাঠক! ধইন্যা আপনারে! ;)

কিছু কিছু সম্পর্কে নাম থাকে না । শুধু ভালবাসা থাকে । সেগুলো ভাঙার কথা না । কিন্তু সেগুলোও ভেঙে যায় । মোটামুটি বলা যায় সব ধরনের সম্পর্কই ভেঙে যায় । সব ধরনের সম্পর্ক ভেঙে যায় তার মানে এই না যে সব সম্পর্কই ভেঙে যায় ।
কষ্টকর ছ্যাকাময় অভিজ্ঞতা থেকে যে কথাগুলো এসেছে তা বুঝতে পারছি! কিডিং!
এই জানো তোমার কথায় মনে পরল। এক জায়গায় পড়েছিলাম,

দুটো ছেলেমেয়ে সম্পর্কহীন নামক এক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। একে অপরকে কেয়ার করে কোন দায়িত্ব ছাড়া। আব্দার করে অধিকার ছাড়া। এভাবে চলতে চলতে তারা ভালবাসি শব্দটি বলে! আর সব মুহূর্তেই শেষ হয়! সম্পর্ক হয়! অধিকার দায়িত্বরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। আশা প্রত্যাশারাও তাদের পেছন পেছন আসে। সবকিছুর মধ্যে কেয়ার, আব্দার কোথায় যেন হারিয়ে যায়!
আমি এমনকিছু অনেক আগে কোথাও পড়েছিলাম। এখন পুরোপুরি মনে ছিল না বলে একদম নিজের ভাষায় লিখলাম।

যেন বোকাবোকা কোন মিসেস টিচার চোখে গোল গোল চশমা লাগিয়ে তার ছাত্র-ছাত্রীদের উপদেশ দিচ্ছে, এই শোন বাচ্চারা, সম্পর্ক হল এমন জিনিস যা এমন করলে ওমন হবে।
বোকাসাকা টিচার? তাও আবার তোমার মতো চারচোখা? হুমম! এই ছ্যামড়া যে কবে আমার হাতের মার খায়! আমার সাথে টাল্টিমাল্টি করতে এসো না বৎস! ফল কত খারাপ হবে তা আমি নিজেও বলতে পারিনা! :D

সুন্দর ও ভীষন আন্তরিক মন্তব্যে মন ভালো করে দিলে।
ভালো থেকো অনেক অনেক!
(এই রে পুরো প্রতিমন্তব্য মনে হয় ঠিকই ছিল, তবে শেষ দু লাইনে ফর্মালিটির কেইস খেয়ে যেতে পারি!) ;)

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: চার চোখ নিয়েও জ্বলজ্যান্ত একটা লেখা দেখতে পেলে না? :D - উহু একদম দেখতে পাই নাই । এখন আমার কি বিচার হবে ?

ওলে আমার বিজ্ঞ পাঠক! ধইন্যা আপনারে! ;) - জানতাম ! এমন কিছুই লিখবে !

দুটো ছেলেমেয়ে সম্পর্কহীন নামক এক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। একে অপরকে কেয়ার করে কোন দায়িত্ব ছাড়া। আব্দার করে অধিকার ছাড়া। এভাবে চলতে চলতে তারা ভালবাসি শব্দটি বলে! আর সব মুহূর্তেই শেষ হয়! সম্পর্ক হয়! অধিকার দায়িত্বরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। আশা প্রত্যাশারাও তাদের পেছন পেছন আসে। সবকিছুর মধ্যে কেয়ার, আব্দার কোথায় যেন হারিয়ে যায়!
- সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন , এক সময় তা ভেঙে যাবেই । অল্পে হোক বা দেরীতে হক ।

হুমম! এই ছ্যামড়া যে কবে আমার হাতের মার খায়! - কবে মার খাব বলো ? কবে কবে ?

(এই রে পুরো প্রতিমন্তব্য মনে হয় ঠিকই ছিল, তবে শেষ দু লাইনে ফর্মালিটির কেইস খেয়ে যেতে পারি!) ;) - বাহ । নিশ্চয়ই কেস খেয়ে গেছ । আগামীকাল কেসের শুনানি, হাজিরা দিও আদালতে ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম বিচার তো হয়েছেই। বিচারে দোষ প্রমানিত হওয়ায় শাস্তি পাবে এখন। আমার নতুন কোন লেখা মিস করতে পারবেনা! এটাই শাস্তি! হাহা।

সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন , এক সময় তা ভেঙে যাবেই । অল্পে হোক বা দেরীতে হক ।
না ঠিক না। এমন অনেক সম্পর্ক আছে যা জীবনভর স্থায়ী হয় বা অনন্তকালের! তোমার অভিজ্ঞতায় কেন সবাইকে বিচার করো? ;) :D

বাপরে বাপ! এত এক্সাইটমেন্ট মার খাওয়া নিয়ে? যেন পিকনিকে যাওয়া! হাহা!

আগামীকাল কেসের শুনানি, হাজিরা দিও আদালতে ।
ছাতা করব! :D

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১

জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা হা - শেষ শব্দ দুইটা হাসালো । বেশ হাসালো ।

তোমার অভিজ্ঞতায় কেন সবাইকে বিচার করো? ;) :D - ইহ ! নিজের অভিজ্ঞতা যেন সক্রেটিস !

বিচারে দোষ প্রমানিত হওয়ায় শাস্তি পাবে এখন। আমার নতুন কোন লেখা মিস করতে পারবেনা! এটাই শাস্তি! হাহা -
করব । একশ বার করব ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাসতে থাকো! ভালো থাকো! :)

ইহ ! নিজের অভিজ্ঞতা যেন সক্রেটিস !
ছ্যামড়া বেশি চটাং চটাং করে! ধুর খেলব না!

একশ বার মিস করতে পারবেই না! কোনভাবেই না! আমি একশটা লেখা লিখবই না। হিহি! মিস তো তুমি করবে, আমার আর কি! লস তোমার! চারচোখ নিয়েও চোখের সামনে থাকা জিনিস দেখতে পারো না! আফসোস! ;) :D

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন: ছ্যামড়া বেশি চটাং চটাং করে! ধুর খেলব না! - আমিও খেলব না । খেলতে আমার বয়েই গেছে । কত্ত কাজ আমার ! আমার গুটি ফেরত দাও ।

আমি একশটা লেখা লিখবই না - ডাহা মিছা কতা । যে হারে আগাচ্ছো । হুট একদিন দেখব শততম পোষ্টে ব্লগবাসীকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছ । সেদিন তোমার মিষ্টি ফিস্টিও খাব না যাও ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ছ্যামড়া কয় কি? গুটি তো সব আমার! খেলার সময় তুমি ছুঁতে পারো, তার মানে তোমার হয়ে যায়নি! হুমম, ভেংচি! হিহি।

ব্লগে একশর অনেক বেশি লেখাই লিখেছি। তবে অনেককিছুই ড্রাফট করেছি। আমি ৯৯ তে যেয়ে যেয়ে পুরোন পোস্ট ড্রাফট করব। তখন আর ১০০ হবে না। আর তুমি ১০০ বার আমার লেখা মিস করেছ সেটা প্রমাণ করতে পারবে না! হাহাহা।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: খুব ভালো করছ । যাও তোমার গুটি ফুটি নিয়ে তুমি বস্তা গোল করে ভ্যা ভ্যা করতে বাসায় যাও । আর যদি খেলার নাম নিয়েছ , দাঁত ভেঙে দিব ।

১০০ তম করো আর ১০০০ তম করো, যা ইচ্ছা করো । বেল পাকলে কাকের কি !

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ? দাঁত ভেঙ্গে দেবে? তোমার হাত যে আমি তার আগে ভেঙ্গে দেব! চারচোখার ভাব দেখো! ;)

এমা তুমি কাক? হিহি! অনিক কাক, অনিক কাক! হিহি! :D

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: চারচোখার ভাব দেখো! ;) ভাব না, ভাব না । অভাব ।

কাক না তো কি ! শহরে কাকের সংখ্যা একটা বেড়েছে , কবির সংখায় একটা কমেছে । সকালে গুনে দেখেছি

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অভাব! কিসের অভাব তোমার? আকাশ ভরা তারা আছে না? তারাই জাহিদ অনিককে ভালো রাখবে! ;)

হাহা! গুড ওয়ান অনিক! গুড ওয়ান!

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: আকাশ ভরা তারা আছে না? - আছেই তো । নক্ষত্ররা বলেছে ঝাঁপ দিবে ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নক্ষত্রদের আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, কাকের জন্যে ঝাঁপ দেবে! অবশ্য দুই পাগলে ভালো মেলে। ওদের মধ্যেও কোন দুঃখবিলাসী পাগল কিসিমের কবি তো থাকতেই পারে। সেই তারাটি নিশ্চই তোমার জন্যে ছুটে আসবে! ;)

বিশাল আকাশের নিকষ কালো কাগজে কতশত সাদা অক্ষরের কবিতা লেখা থাকে! পড়তে পারো? নাহ মনে হয়, চারচোখা তো! :D

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: নক্ষত্রদের আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই - নক্ষত্ররা খায় না , ঘুমায় না । ওদের কোন কাজও নেই । ওদের কাজ একটাই ঝাঁপ দেয়া ।

সেই তারাটি নিশ্চই তোমার জন্যে ছুটে আসবে! ;) -ইয়ার্কি হচ্ছে ! তবে রে ???

বিশাল আকাশের নিকষ কালো কাগজে কতশত সাদা অক্ষরের কবিতা লেখা থাকে! পড়তে পারো? নাহ মনে হয়, চারচোখা তো! :D আমার চশমায় দূরের বস্তু ভাল দেখা যায়। কাছের বস্তুতে সমস্যা । সুতরাং নক্ষত্রদের কবিতা পড়া যাবে ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! আমার জন্যেও ঝাঁপাবে অনিক? নাকি নক্ষত্রের অফার শুধু জাহিদ অনিকের জন্যে সীমাবব্ধ? ;)

ইয়ার্কি হচ্ছে না, হয়েই যাচ্ছে তখন থেকে। তুমি এখন টের পেলে? হায়রে চারচোখা! :D

আচ্ছা তাহলে পড়ে দেখো। ওরা উজ্জ্বল সুন্দর সব কবিতা লেখে! স্বর্গ থেকে আসে যেন সেসব কবিতা!

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন: কে কার জন্য ঝাপাবে জানি না । কেউ ঝাপাবে না কারো জন্য । নক্ষত্ররাও স্বার্থপর ।
ঝাঁপ দিতে বলেছিলাম । বলল, পয়সা আছে ?
ঝন ঝন শব্দ করে বুঝালাম আছে কিছু। তবুও ঝাঁপ দিল না ।


ইয়ার্কি হচ্ছে না, হয়েই যাচ্ছে তখন থেকে। তুমি এখন টের পেলে? হায়রে চারচোখা! :D B:-) B:-) :-B :-B

ওরা উজ্জ্বল সুন্দর সব কবিতা লেখে! স্বর্গ থেকে আসে যেন সেসব কবিতা! সওররগে গেলে কবিতা লেখা যায় ? শুনেছি স্বর্গ অমীয় সুখের স্থান । আমার আবার অতি সুখে কবিতা আসে না

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! কি সুন্দর করে বললে!

স্বর্গ থেকে নরকের ভিউ দেখা যায়। নরকবাসীর কষ্ট দেখে দেখে তারা কবিতা লেখেন। বুঝলে ফাজিল ছেলে! ;) :)

আমার আবার অতি সুখে কবিতা আসে না

এজন্যেই তো দুঃখবিলাস করে বেড়াও! পবিত্র, স্নিগ্ধ মনে প্রকৃতিবিলাস করেও কিন্তু কবি হওয়া যায়! চেষ্টা করো একদিন! ;)

১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: আমি এক নতুন টিনেজ ব্লগার । এতদিন আপনাদের মত অসাধারণ ব্লগারদের লেখা নিয়মিত পড়লেও রেজিস্ট্রেশন করার সাহস পাইনি । আজকে হঠাৎ সাহস করে ঢুকেই পড়লাম , দেখা যাক কি হয় ! :)
বরাবরের মতোই অসাধারণ লেখা । ধন্যবাদ ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা! ওয়েলকাম টু আওয়ার ফ্যামিলি! :)
একাউন্ট খুলে খুব ভালো কাজ করেছেন। ব্লগে ধৈর্য্য ধরে পরে থাকলে অনেককিছু শিখবেন।

নিয়মিত লেখা পড়ে নীরবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। এজন্যে ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ।
আশা করি আপনার ব্লগিং লাইফ ভীষনই আনন্দময় হবে।
হ্যাপি ব্লগিং! :)

২০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু । আমি আপনার চেয়ে অনেক অনেক ছোট , তাই তুমি করে বলবেন । আচ্ছা একটা প্রশ্ন , আপনি কত সালের দিকে কানাডা গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে আপনি কোথায় আছেন ?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম!

আচ্ছা, অবশ্যই তুমি করে বলব। ধরে নিলাম তুমি আমার ছোট ভাই! :)

কিছু মনে করো না ভাই, আমি ব্লগে ব্যক্তিগত কিছু ইনফরমেশন দেইনা। কানাডায় আছি সেটুকু জানাই হয়ত যথেষ্ট। আর আমি কিশোরি বয়সে গিয়েছিলাম কানাডায়, ৫ বছরের বেশি কিছু সময় হয়েছে।

অনেক অনেক ভালো থেকো!

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৯

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম! :)

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০০

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: আচ্ছা আপু, আপনি যখন দেশে ছিলেন তখন আর যখন বিদেশে যাওয়ার গেলেন তখন - এই দুই সময় দেশের প্রতি ফিলিংস এর পার্থক্য কেমন হয় ?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়। মানুষজন দেশকে বেশি ভালোবাসতে শুরু করেন প্রবাসে এলে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয়নি মনে হয়। আমি দেশে থাকতে দেশকে নিয়ে যতটা আবেগ, ভালোবাসা ছিল এখনো তাই আছে। আমি বিদেশে আসার সময়ে খুব খুশি মনে আসিনি। দুঃখ নিয়েই দেশ ছেড়েছিলাম, থাকব কি করে ভেবে? আর এতদিন এখানে থেকেও এই ভাবনার পরিবর্তন হয়নি। কিভাবে থেকেছি এতটা দিন তা ভেবে আসলেই অবাক হই!

২৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: যাকে ভালোবাসি তার চেয়ে বেটার কেউ কি আমার জন্যে আছে? এমন ভাবনায় ওপেন রিলেশনশিপের চল শুরু হয়েছে।

ঠিকই বলেছেন আপু, সম্পর্ক করা এবং ভাঙ্গা এখন ডালভাত। সবাই জানে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও বেশি দিন সিঙ্গেল থাকতে হবে না, কেউ না কেউ চলে আসবে বা জুটে যাবে। অযথায় সম্পর্কে এত ছাড় দিয়ে কি লাভ???

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই রে। একদম ঠিক বলেছেন। পুরোপুরি সহমত। এত বেশি ছোট হয়ে গিয়েছে দুনিয়া প্রযুক্তির কারণে, যে একজন গেলে আরেকজন তো আসবেই। মুহূর্তভরও একা থাকতে হবেনা সে ভাবনায় ছোট ছোট কারণে একটার পর একটা সম্পর্ক ভেঙ্গেই যাচ্ছে!

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা!

২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: বেশ ক'টি লেখা পড়লাম ,বেশ ভালো লাগলো ! প্রত্যাশা বাড়লো ! আরো লেখা চাই ! শুভ কামনা !

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরো লেখা চান? আমার কানাডার জীবন বিষয়ক প্রচুর লেখা অলরেডী আছে। এটা লেটেস্ট লেখা। এখানে পূর্বের সব লেখার লিংক আছে। ইচ্ছে হলে পড়ে নিয়েন। তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৯) - আবারো দুটিতে একসাথে, প্রেমের পথে... :`< (কুইজ সলভড)

আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে উৎসাহ দেবার জন্যে।
শুভকামনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.