নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সেরা দশ অতিপ্রাকৃত, বিষাক্ত, ফলিত অভিশাপের আখ্যান! ভৌতিক, অলৌকিক না কি শুধুই কাকতাল? (শেষ কিস্তি)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:২৭

আগের পর্ব:

বিশ্বের সেরা দশ অতিপ্রাকৃত, বিষাক্ত, ফলিত অভিশাপের আখ্যান! ভৌতিক, অলৌকিক না কি শুধুই কাকতাল? (প্রথম কিস্তি)

৬) অভিশপ্ত, অশরীরী বিয়ের পোশাক!

প্রত্যেক মেয়েই হয়ত স্বপ্ন দেখে একদিন বিয়ে হবে মনের মতো একজন পুরুষের সাথে। তার সাথে জীবনের প্রতি সুখ দুঃখের মুহূর্ত পরম নির্ভরতা ও ভালোবাসায় কাটিয়ে দেবে। বিয়ের দিনটিতে সব মেয়েই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কনে হতে চায়। বিয়ের সাজসজ্জার মধ্যে সবচেয়ে বিশেষ হচ্ছে বিয়ের সেই পোশাকটি। যা সব নারী সামলে রেখে দেন বছরের পর বছর। বহু স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষার সেই পোশাকটিও কি অভিশপ্ত হতে পারে?



১৮৪৯ সালে এনা বেকার নামের এক ধনী পরিবারের মেয়ে ভালোবেসে ফেলে এক দরিদ্র কারখানায় কর্মরত শ্রমিককে। এনার বাবা এলিস বেকার ভীষনই ক্ষুদ্ধ হন, এবং এ সম্পর্ক মেনে নেন না। তার মেয়েকে কঠোরভাবে নির্দেশ করেন সেই ছেলেকে ভুলে যেতে। শুধু তাই নয়, ছেলেটিকে তাদের শহর এলটোনা, পেনসিলভানিয়া থেকে বিতাড়িত করেন। এনা নিজের বাবার এই কাজে ভীষনই অভিমান করে। সে জীবনে আর কখনো কাউকে ভালোবাসেনি এবং বিয়েও করেনি। কুমারী জীবন কাটিয়ে ১৯১৪ সালে মারা যায় একরাশ অভিমান বুকে নিয়ে।

তার বাবা প্রেমিককে শহর থেকে বিতাড়িত করার পূর্বে এনা নানা স্বপ্নে বিভোর ছিল। সে একটি ভীষনই সুন্দর পোশাক পছন্দ করেছিল নিজের বিয়ের জন্যে। দূর্ভাগ্যবসত বিয়ে তো শেষমেষ হয়না, তাই এলিজাবেথ ডাইসার্ট নামের আরেক ধনী পরিবারের নারী সেটিকে ক্রয় করেছিলেন। বহু বছর পরে বেকার ম্যানসন একটি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়। তখন সেই ড্রেসটি সেখানে দিয়ে দেওয়া হয়। এনার শোবার ঘরে একটি কাঁচের বাক্সে ড্রেসটি প্রদর্শন করা হয়। বহু দর্শনার্থীরা বলেছেন যে তারা ড্রেসটিকে একা একাই নড়তে দেখেছেন। বিশেষত পূর্ণিমা রাতে! কথিত আছে, ড্রেসটি এমনভাবে এপাশ ওপাশ একা একাই ঘোরাঘুরি করে যে মনে হয়, একজন অদৃশ্য কনে আয়নার সামনে দাড়িয়ে বিয়ের পোশাকে নিজেকে দেখছে!!!

একটি ড্রেস নিজে নিজেই কিভাবে ঘোরাঘুরি করে তার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। মানুষের ভ্রম বলা যায় খুব বেশি হলে। কিন্তু যারা চাক্ষুষ দেখেছেন তারা শুধু একটা কথাই বিশ্বাস করেন। এনা বেকার, একজন প্রকৃত প্রেমিকা; বেঁচে থাকতে না পারুক, মৃত্যুর পরে নিজের আরাধ্যের সেই বিয়ের পোশাকটি পরেছে! কে জানে অন্য কোন দুনিয়ায়, যেখানে ধনী গরীবের ভেদাভেদ নেই সেখানে তিনি ও তার প্রেমিক সত্যিই বিয়ে করেছেন, এক হয়েছেন অনন্তকালের জন্যে......

৭) টেরাকোটটা আরমি!

১৯৭৪ সালে, চায়নার শান্সি প্রদেশের সিয়ান শহরের পূর্ব দিকে সাত জন চাষী নিজেদের গ্রামের জন্যে কুয়া খনন করছিলেন। তখন তারা অপ্রত্যাশিত ভাবে ২২০০ বছরের পুরোন টেরাকোটটা আরমি কে আবিষ্কার করে। যা ছিল চায়নার প্রথম সম্রাট কিন সি হুয়াং এর সৈন্যদের ভীষনই সুন্দর ভাস্কর্য! কিন সি হুয়াং ১৩ বছর বয়সে রাজা হন এবং ২৪৭-২১০ খ্রিস্টপূর্বে চায়নার কিন রাজ্যের শাসক ছিলেন। এটিকে পৃথিবীর অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার মনে করা হয়ে থাকে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে সম্রাটের মৃত্যুর পরেও প্রতিরক্ষার জন্যে এই ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছিল।



৮০০০ টি পূর্ণায়ত সৈন্য, ১৩০ টি রথ, ৫২০ টি ঘোড়া, ১৫০ টি ঘোড়সওয়ার সমৃদ্ধ এই অনন্য ভাস্কর্য! এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভূগর্ভস্থ সামরিক যাদুঘর। ৩৮ বছর লেগেছিল এটি তৈরি করতে। প্রতি সৈন্যকে তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। আর র‌্যাংক অনুসারে বসানো হয়েছিল।

এটি অসাধারণ একটি অনুসন্ধান ছিল চায়নার জন্যে। প্রচুর বিজ্ঞানী এবং দর্শনার্থী স্থানটিতে আসেন। অনেক অর্থ উপার্জিত হয় এর দ্বারা। কিন্তু যারা আবিষ্কার করেছিলেন টেরাকোটটা আরমিকে তারা পুরষ্কার, অর্থের বদলে দূর্ভাগ্য, দারিদ্রের শিকার হন।

সেই কৃষকদের কৃষিজমি সরকার দাবি করে। সেই জায়গায় প্রদর্শনী হল ও গিফ্ট শপ তৈরি করার জন্যে তাদের বাড়িঘর ধংস করে দেওয়া হয়। ১৭৯৭ সালে সাত জনের এক কৃষক ওয়াং পুজী হৃদরোগে আক্রান্ত হন, কিন্তু চিকিৎসা নেবার মতো টাকা তার ছিলনা। তাই তিনি গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যেই আরো দুজন কৃষক ইয়াং ওয়েনহাই এবং ইয়াং ইয়েংক্সিন ৫০ বছরের কাছাকাছি সময়ে মারা যান বেকার ও অর্থহীন অবস্থায়।

যে চারজন বেঁচে ছিলেন, ইয়াং কোয়ানি, ইয়াং পেইয়ান, ইয়াং ঝিফা এবং ইয়াং জিনম্যান দিনপ্রতি কয়েক ডলারের জন্যে সরকারী স্মারকগ্রন্থের দোকানে বসে বই সাইন করতেন দর্শনার্থীদের জন্যে। টেরাকোটটা আরমির আবিষ্কারক হিসেবে তাদের জীবনের দাম না থাকলেও, সাইনের দাম ঠিকই ছিল! ইয়াং কোয়ানির তিন মাস লেগেছিল তার নিজের নাম লেখা শিখতে! তিনি কয়েক ডলারের জন্যে বছরের পর বছর বই সাইন করে গেছেন প্রচন্ড অভাবের সাথে লড়তে। ইয়াং কোয়ানি আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, "কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা প্রচুর টাকা আয় করেছেন টেরাকোটটা আরমি থেকে, কিন্তু আমরা না!"

অনেকে বলেন যে সেই সাত কৃষককে সম্রাটের অভিশাপের কারণে এমন দিন দেখতে হয়েছিল। সেটা আসলেই মৃত সম্রাটের অভিশাপ না বেঁচে থাকা ক্ষমতাবান মানুষদের অন্যায় সে তর্কে গেলাম না। শুধু এটুকু বলব, এই সাত কৃষকের অভিশাপ অবশ্যই সেই সব বড় মানুষদের লাগা উচিৎ। যারা তাদের আবিষ্কারের বদৌলতে অর্থ লাভ করে নির্লজ্জের মতো গরীব কৃষকদের জমি, বাড়িঘর ধংস করে দিয়েছিল! ছি!

৮) অভিশপ্ত প্রাসাদ বা চিৎকাররত মাথার খুলি!

স্যার হেনরি গ্রিফিথ বার্টন ১৬০১ - ১৬১০ সালে এগনেস হল তৈরি করেছিলেন। ইংল্যান্ডের বার্টন অ্যাগনেস নামক গ্রামে অবস্থিত এই হল। অ্যানি গ্রিফিথ ছিলেন ওনার মেয়ে। অ্যানি এই বিল্ডিংটিকে তৈরি হতে দেখছিল এবং এটা ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারত না! এটিকে সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি মনে করত! বাড়িটির কাজ প্রায় শেষ শেষ, সেই সময়ে সে এক বিকেলে বেড়াতে যায় এক জায়গায়। তখন সে দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রমণ ও লুণ্ঠনের শিকার হয়। ভীষনরকম আহত অ্যানিকে কোনভাবে বার্টন অ্যাগনেস হলে ফিরিয়ে আনা হলেও কদিন পরেই সে মারা যায়।



কখনো হালকা অজ্ঞান অবস্থায় ঘোরের মধ্যে এবং কখনো সজ্ঞানে সে তার বোনদের বলেছিল, সে কখনোই শান্তি পাবে না যদি তার একটি অংশকেও তাদের এই সুন্দর বাড়িতে রাখা না হয়! বোনদের কাছে সে প্রতিজ্ঞা নেয় যেন মৃত্যর পরেও তাকে সেই বাড়িতেই রাখা হয়। যদিও প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে মৃত্যুর পরে ওকে চার্চে সমাধি দেওয়া হয়।



তখন সে ভূত হয়ে বাড়িতে আসে এবং সবাইকে মারাত্মক ভাবে ভয় পাইয়ে দেয়। তখন বোনেরা তার শেষ কথা মনে করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে ওর কবর খোড়া হবে। তারপরে ওর মাথার খুলি বা স্কালকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখন হলটি শান্তিময় হয়। কিন্তু তারপরে অ্যানির স্কালকে সেখান থেকে সরানোর অনেক চেষ্টা করে হয়। একবার ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, একবার বাগানে কবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার সে ভূত হয়ে এসে মারাত্মক সব আওয়াজ করত। অবিরত গোঙানি, ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠা, চিৎকারের শব্দে কেউ শান্তিতে থাকতে পারত না। এজন্যে আবারো ফিরিয়ে আনা হতো। এ্যানির স্কালটি এখন বাড়িতেই আছে। সে পরম শান্তিতে নিজের সুন্দর বাড়িটির দেখভাল করছে!

সত্যিই কি অ্যানি ভূত এসে উপস্থিতি জানান দিত নাকি কেবল মানুষের কল্পনাবিলাসী মন এতসব গল্প তৈরি করেছে?

৯) জলিয়েট একটি অভিশপ্ত পুতুল!

ভৌতিক সিনেমায় একধরণের সিনেমার প্রায়ই দেখা যায়। গল্পটা হয় অনেকটা এরকম: কোন এক অভিশপ্ত পুতুল এর মালিক এবং আশেপাশের সবার শান্তি, সুখ বরবাদ করে দিচ্ছে। ছোটবেলায় এধরণের মুভি দেখে ভীষণই ভয় পেয়েছিলাম এবং রাতের বেলায় আমার অতি প্রিয় পুতুলদের ধারেকাছে যেতে ভয় লাগত। মনে হতো এই তাদের ভূত জেগে উঠবে এবং ঘাড় মটকে দেবে! হাহা! মধুর শৈশবের অর্থহীন খেয়াল কি বাস্তবও হতে পারে?



পুতুলটির নাম জলিয়েট! পুতুলটির বর্তমান মালিক এনা। এনার মায়ের গর্ভবতী নানীকে তার বান্ধবী পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনি সরল মনে নিলেও বান্ধবী হিংসার বশবর্তী হয়ে পুতুলটিকে অভিশপ্ত করে উপহার দিয়েছিলেন। এনার দাদা সেই মহিলাকে অপছন্দ করতেন এবং দূর্ব্যবহার করেছিলেন। সেজন্যেই তিনি এমন কাজ করেন বলে ভাবা হয়। যদিও নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারেনা।

এনা, তার মা, তার নানী, প্রমাতামহী সবাই একই পরিনতির মুখোমুখি হয়েছেন। ভীষনই দুঃখজনক এক পরিণতি! প্রত্যেকটি মহিলা একটি করে কন্যা ও পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। প্রতি পুত্র জন্মের তিন দিন পরেই মারা যায়! তারা জন্মের পরে একদমই হেলদি ছিল, তাই এই মৃত্যুগুলো ভীষনই রহস্যজনক।

আপনারা ভাবছেন যে পুতুলটি এত মারাত্মক ক্ষতিসাধনের পরেও কেন পরিবারটি পুতুলটিকে ফেলে আসে না? আগলে রাখে? কেননা পুতুলটির কাছ থেকে আলাদা সব কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। লক্ষ্য করে শুনে এই মহিলারা খেয়াল করেন এই কান্না তাদের পুত্রসন্তানের কান্নার আওয়াজ!! তারা বিশ্বাস করেন পুতুলটি তার মধ্যে চার জেনারেশনের চার পুত্রকে আটকে রেখেছে! কখনো চারটি গলা একসাথে শোনা যায়, কখনো আলাদা ভাবে। চারজন মা ই এই আওয়াজটি পেয়েছেন। কিন্তু তারা কাউকে বিশ্বাস করাতে পারেন না কেননা অন্যকেউ আওয়াজটা পায়না!

একতো এভাবে সন্তান জন্মের কদিনের মধ্যেই হারানো তারপরে কান্নার আওয়াজ! যা প্রতি মুহূর্তে তাদের সন্তান হারানোর বেদনাকে বারবার জাগিয়ে তোলে। তাছাড়া, এনার মেয়েও এই পরিনতি দেখতে হবে কিনা সে ভয় ভীষনভাবে রয়েছে। তবুও তারা ফেলতে পারেন না সেই পুতুলকে যার মধ্যে তাদের বংশের চার পুত্র সন্তানের আত্মা নিহিত!

এই ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে দাড় করানো যায় কোন জেনেটিকাল ডিজিজকে যা হয়ত এখনো অনাবিষ্কৃত। আর দুঃখিনী ভেঙ্গে পরা মায়েরা কল্পনাপ্রসূত আওয়াজ শুনতেই পারেন। কি বলবেন একে? ভৌতিক, অলৌকিক না কাকতাল? যাই হোক না কেন, ভীষনই মর্মান্তিক বিষয়টি!

১০) মর্টলস প্লানটেশনের অভিশপ্ত আয়না!


আয়না! প্রতিদিনই কম বেশি মুখ দেখা হয় সবার। আয়না না থাকলে আমরা নিজেরাই নিজেদের চেহারা দেখতে পেতাম না। আবিষ্কারের জগতে অনন্য এক আশীর্বাদ নি:সন্দেহে। কিন্তু কারো জন্যে কি অভিশাপ হয়ে দাড়াতে পারে?



১৭৯৬ সালে জেনারেল ডেভিড ব্রাডফোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন মর্টলস প্লানটেশন। এটি সেন্ট ফ্রান্সিসভিল, লুইসিয়ানা, আমেরিকায় অবস্থিত। তিনি পরবর্তীতে তার জামাই বিচারক ক্লার্ক উডরাফ কে দিয়ে যান, ক্লার্ক সেখানে তার বউ সারা মাটিল্ডার সাথে সাথে থাকা শুরু করেন। তাদের দুটি কন্যা সন্তান ছিল। এটি পৃথিবীর বিশেষত আমেরিকার সবচেয়ে অভিশপ্ত একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বেড এন্ড ব্রেকফাস্ট হিসেবে ব্যবহৃত জায়গাটি গেইস্ট হাউজের মতো। মানুষজন রাতের মতো থাকেন এবং সকালে ব্রেকফাস্ট করেন।

বিচারক ক্লার্ক সমাজে ভীষনই সম্মানিত একজন মানুষ ছিলেন। বিনয়ী, ভদ্র, এবং আইনের প্রতি কর্তব্যরত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে একটি জঘন্য চরিত্রের মানুষ ছিলেন তিনি। যখনই সুযোগ পেতেন বাড়ির দাসীদের সাথে সম্পর্ক করতেন!

ক্লোয়ি নামের এক দাসী ছিল বিচারক ক্লার্কের সন্তানদের দেখভালের দায়িত্বে। তিনি তার সাথে সম্পর্ক করতে চান। ক্লোয়ি একদমই পছন্দ করেনা বিষয়টি। কিন্তু না করলে তাকে কোন এক মাঠে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে কঠোর পরিশ্রমেের কাজে। এত বড় বাড়িতে আরাম আয়েশ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার জীবনকে সে হারাতে চায়নি। এজন্যে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু একসময়ে ও অনুভব করে যে বিচারক ক্লার্ক ওর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ওর গুরুত্ব কম হয়ে যাচ্ছে এবং বিচারক নতুন কাউকে খুঁজছেন! ভীষনই ভয় পেয়ে যায় ক্লোয়ি, ও কোনভাবে বাড়িটি ছাড়তে চায়না। ওর অনুভব ঠিক কিনা তা জানতে ও সবসময় বিচারকের কথা আড়ালে শুনত। চোখে চোখে রাখত তাকে। একদিন বিচারক তার ব্যাবসা বিষয়ক কিছু আলোচনা করছিলেন, আর ক্লোয়ি কিহোল দিয়ে তাদের কথা শুনতে থাকে। ওকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বিচারক ক্লার্ক। শাস্তি হিসেবে ওর কান কেটে ফেলেন! তখন থেকে সবসময় ক্লোয়ি একটি পাগড়ি পরত মাথায় সেই কাটা দাগ লুকানোর জন্যে।

ক্ষুদ্ধ, ভীত ক্লোয়ি কোনভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমান করতে চায় পরিবারটি কাছে। যাতে তাকে আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে যেতে না হয়। কিন্তু কিভাবে করবে? একদিন সে বিচারক ক্লার্ক ও তার পরিবারের জন্যে কেক বানায়। তাতে কিছু পরিমান বিষাক্ত পাতার রস দিয়ে দেয়। ওর ধারণা ছিল এতে পরিবারের সবাই অসুস্থ্য হবে, এবং ও সেবা যত্ম করে সবাইকে ঠিক করে তুলবে। এতে করে সবাই খুশি হবে এবং ওকে আর এই বাড়ি থেকে দূরে পাঠাবে না। কিন্তু অসুস্থ্য হবার পরিবর্তে বিচারক ক্লার্কের বউ ও বাচ্চারা মারা যায়।

ক্লোয়িকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। তখন সে বাড়িটিকে অভিশপ্ত করে। অনেকে দর্শনার্থী আজও বলেন, যে তারা একটি সবুজ পাগড়ির মহিলাকে মর্টলস প্লানটেশনের আশেপাশে ঘুরতে দেখেছেন।

মর্টলস প্লানটেশনের সবচেয়ে অভিশপ্ত বস্তু মনে করা হয় একটি আয়নাকে। ১৯৮০ সালে অভিশপ্ত আয়নাটি বাড়িতে আসে। অতিথিরা বলেছেন তারা আয়নার মধ্যে কাকে যেন দেখেন! এছাড়াও ছোট বাচ্চার হাতের ছাপ দেখতে পান কাঁচে! অনেকে যেহেতু মর্টলস প্লানটেশনে তৈরি হয়েছিল একটি সমাধিক্ষেত্রের ওপরে। এছাড়াও তৈরির সময়ে এবং পরে দাসদের অত্যাচারের লজ্জার ইতিহাস নিয়ে দাড়িয়ে বিল্ডিংটি। তাই ক্লোয়ি সহ নানাজনের চোখের পানি ও অভিশাপে তাদের আত্মা এমন কষ্টের বদ্ধ জীবন কাটাচ্ছে! সারা উডরাফ এবং তার সন্তানেরা নাকি এজন্যেই সেখানে বন্দি পরে আছেন এবং অনন্তকাল তাই থাকবেন!

এর ব্যাখ্যা কি হতে পারে? বড়জোর মানুষের মুখে মুখে রটে যাওয়া কল্পনাপ্রসূত ঘটনা। তবে এসব বড় বড় বাড়িতে কতই না লজ্জার রহস্য লুকিয়ে থাকে! অপরাধবোধই হয়ত মানুষের মনের সবচেয়ে বড় ভূত!


-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


শেষ হলো আমার অতিপ্রাকৃত, বিষাক্ত, ফলিত অভিশাপের আখ্যান! এই লেখাটি লেখার কারণটি বলি পাঠককে।
আমি একবার বিশ্বের সেরা দশটি বৃহৎ, অতিমানবীয় রহস্য এবং রহস্যজট খোলার যাত্রায় পাওয়া মনি মানিক্য! (শেষ কিস্তি) শিরোনামে একটি লেখা লিখি। সেখানে যথারীতি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সকল রহস্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি, ভূত প্রেত শুধুই মানুষের কল্পনা সেটা পুরোপুরি শিওর নই। কেননা ভূত থাকার প্রমাণগুলোর বিপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ থাকলেও সবকিছুর ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনি। তবে একটা পুতুল বা চিত্রকর্মও মানুষের ক্ষতি করতে পারে তা মানতে পারিনা। অলৌকিক জগতের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তারা হুটহাট লৌকিকতায় ভ্রমণ করবে না। করলেও পুতুলের রূপে তো নয়। আমার যৌক্তিক মন তা মানতে নারাজ। এসব রহস্য, ভৌতিক বিষয় নিয়ে পড়তে বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানতে ভালো লাগে। তাই যা বিশ্বাস করি তা প্রথমে লিখেছিলাম। কিন্তু যা পুরোপুরি বিশ্বাস করিনা, সেই ভৌতিক দৃষ্টিকোণ থেকে লিখতে কেমন লাগবে তা জানার জন্যেই এই লেখার অবতারণা।

মজাই লেগেছে আসলে। লেখার সময়ে মনকে একটু ভূত ভূত আবহে নিয়ে গিয়েছি। ছোটবেলার কি ভীষন ভয় পেতাম নানীর কাছে ভূতের গল্প শুনে বা ভূতের ছবি দেখে তা মনে করে আনমনে হেসেছি। তবে শেষ করেছি যখন বলে দেই, বিজ্ঞান সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও অনেককিছুরই ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে। যা দিতে পারেনি তা অদূর ভবিষ্যতেই দিয়ে দেবে। এককথায় এসব কিছুর ব্যাখ্যা মানুষের অবচেতন মন। প্রবলভাবে বিশ্বাস করলে নিত্যদিনের ব্যবহার্য টুথব্রাশের মধ্যেও ভূত পাবেন। জ্বিন, ভূত যতক্ষন বিনোদন দেয় ঠিক আছে। ভৌতিক উপন্যাস, সিনেমা, বা ব্লগ পোস্টই হোক, আপনাকে এটকুক্ষনের জন্যে রোমাঞ্চে মাতিয়ে আনন্দ দিক। রহস্যপ্রেমী মনকে ভাবিয়ে তুলুক। কিন্তু এসবের নামে সমাজে কুসংস্কার যেন ছড়িয়ে না পরে, ভন্ড লোভী মানুষের ব্যাবসা ক্ষতি যেন না করে সরল বিপদগ্রস্ত মানুষদের সেই আশায় শেষ করছি।

তথ্য ও ছবি সূত্র: অন্তর্জালের অলিগলি!

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৪২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম পুরোটা পড়ে তার পর সময় করে ভালোমন্দ জানিয়ে যাব।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! আচ্ছা ঠিক আছে, পুরোটা পড়ার আগেই প্রিয়তে রেখে সম্মানিত করলেন। মনে হয় আপনার ও এই বিষয়বস্তুটি প্রিয়। আপনি অবশ্যই সময় করে পড়বেন এবং ভালো লাগবে সে কামনাই করি।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা!

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: বর্ণনা, আলোচনার বিষয় সবই ভাল লাগল।

"কিন্তু বারবার সে ভূত হয়ে এসে মারাত্মক সব আওয়াজ করত। অবিরত গোঙানি, ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠা, চিৎকারের শব্দে কেউ শান্তিতে থাকতে পারত না" বেশী অদ্ভুত মনে হল।

জানা মতে মানুষের মৃত্যুর পর ১ম ৪০দিন পর্যন্ত সে নিজের বাড়ি ও এলাকায় ঘুরাফিরা করে ও তাদের অবস্থা দেখে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শুধু সেটুকুই নয় পুরো লেখায় আরো অনেক অদ্ভুত বা ভুতুড়ে ব্যাপার রয়েছে। লেখাটির বিষয়বস্তু তাই। তবে কোনটিই আমার কল্পনাপ্রসূত নয়। সবকিছুই কোন না কোন মানুষ, পরিবার, দর্শনার্থীর সাথে হয়েছে। এখন এসব তাদের কল্পনা, রটনা, না বাস্তব ঘটনা তা তো শুধু সেসব মানুষ এবং আল্লাহই জানেন!

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান!

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:২০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: অলৌকিক জগতের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তারা হুটহাট লৌকিকতায় ভ্রমণ করবে না। করলেও পুতুলের রূপে তো নয়। আমার যৌক্তিক মন তা মানতে নারাজ - আপনি আধ্যাতিক বিদ্যা বা অধিবিদ্যা(ইংরেজিতে মেটাফিজিক্স)-এর নাম শুনেছেন? এটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। অলৌকিক জগত বলে একটা ব্যাপার আসলেই আছে। আমি বিশ্বাস করি। এটা নিয়ে জানার চেস্টা করছ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমিও বলছি না যে অলৌকিক জগত বলে কিছু নেই। তবে সেই জগৎ টা আমাকে খুব একটা টানে না। আমার কাছে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা জানতে ভালো লাগে। কেননা সেটার বাস্তব প্রমাণ থাকে, সহজেই বিশ্বাস করতে পারি। ভূত প্রেত এমন একটি বিষয় কেউ দেখে তো কেউ দেখে না। কিন্তু বিজ্ঞানকে কোনকিছু প্রমাণ করতে হলে সবার কাছেই প্রমাণ করতে হয়। হয়ত কোনদিন বিজ্ঞান ভূতকেও ট্রেইস করে ফেলবে। যেদিন লৌকিক যুক্তি, জ্ঞান অলৌকিক জগতকে ছুঁয়ে ফেলবে, সেদিন আপনারই মতো আরো জানা চেষ্টা করব এসব বিষয়। এখন তো বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখা শুধু গবেষনা করছে, নানা থিওরি রয়েছে। তবে নিশ্চিত নয় কিছুই। কেমন যেন ধোঁয়াশায় রয়েছে এই জগৎ টি। অলৌকিক জগতের দিকে বিজ্ঞানের জ্ঞানের হাত আরো প্রশস্ত হোক সে কামনাই করি।

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা!

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:২২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: দু:খিত, "করছ" নয়, "করছি" হবে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইটস ওকে! অনেক ধন্যবাদ ঠিক করে দেবার জন্যে। :)

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩

সোহানী বলেছেন: সবার উপর বিজ্ঞান সত্য তাহার উপর কিছু নাই............ আমি খাটিঁ বিজ্ঞানে বিশ্বাসী তারপরও আধাভৈাতিক গাকিনী পড়তে ভালোলাগে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম তাই। আপনি মনের কথাই বলেছেন আপু। কোনদিন খাঁটি বিজ্ঞান অলৌকিক জগতের এসব কাহিনীতে মোহর লাগালে তখন বিশ্বাস করব। এখন শুধু মজার গল্প বা সিনেমা হয়েই থাকুক। :)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভীষন ভীষন ভালো থাকুন।

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক পুরনো ও অজানা কাহিনি জানা হলো। ধন্যবাদ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নতুন কিছু জানানো, এবং ভাবনায় ডুবিয়ে দেওয়াই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল। আপনার মন্তব্যে পোস্ট সার্থক বোধ করছি। :)

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রাশি রাশি!

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পৃথিবীতে অতিপ্রাকৃত কত ঘটনায় ঘটে।
আমি এসব অতি প্রাকৃত ঘটনা বিশ্বাস করি না।
ছোট বেলায় ভুতের যা ভয় পেতাম সে কথা মনে করলে এখনও হাসি পায়।
তবে এখনও রাতবিরাতে একা একা কোথাও যেতে পারবনা। ওই যে অবচেতন মনে ঢুকে আছে ছোট বেলার ভয় গুলো।
গা ছম ছম করবে যে রাত বিরাতে একা কোথাও গেলে।
এনা বেকারের মত একটা প্রেমিকা পেলে মন্দ হত না। তবে বর্তমানে এমন প্রেমিকা পাওয়া আর আমাবশ্যার চাঁদ পাওয়া একই কথা।হাহা।
যায় হোক কষ্ট করে এমন একটি পোষ্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি এই সব বিশ্বাস না করলেও পড়তে পছন্দ করি।
ভৌতিক গল্প পড়তে খুব ভাল লাগে। মাঝে মাঝে সেই সব অতিপ্রাকৃত গল্প মনে মনে বিশ্বাস করতেও পছন্দ করি।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন:
আপনার মন্তব্য বরাবরই আমার ভীষন ভালো লাগে। মনে হয় আমার কোন বন্ধু লেখার ভালো মন্দ নিয়ে আড্ডা মারছে! মনের কথা গুলো বলছে! আপনার সরল, সুন্দর মন্তব্যের জন্যে প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাই।

আপনার কথাগুলোই আমার কথা। আমিও বিশ্বাস করিনা কিন্তু রাতের বেলায় নির্জন, অন্ধকার রাস্তায় চলাচল করলে বা দেশে থাকতে হুট করে কারেন্ট চলে গেলে ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিজের বাড়িতেও ভয় লাগত! এ যেন চেতন মনের অবিশ্বাসের মাঝে অবচেতন মনের বিশ্বাসের বাস!

এনা বেকার এর মতো প্রেমিকারা সব যুগেই থাকে। আর সব যুগের ছেলেরাই বলে, আজকালকাল যুগে এমন মেয়ে কোথায়? হাহাহা। অবশ্য মেয়েরাও তাই। আজকালকার ছেলেরা খারাপ বলে দেয় সহজেই। না যুগের দোষ, নাইবা কোন জেন্ডারের, ব্যাস ভালো খারাপ মানুষ সব সময় সব গোত্রে মিশে থাকে। সেটাই স্বাভাবিক। কাউকে ঢালাওভাবে ব্লেইম করার কিছুই নেই।

আপনাকেও পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: স্যার আপনার লেখা প্রায়ই পড়ি মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না।
এখনও প্রথম পাতায় সুযোগ হয় নি
তাই লেখা ছেড়েই দিলাম।
এডমিনদের অজস্র প্রণাম
ব্লগ ত্যাগ করে দেব দেব ভাবছি।
ভাল থাকবেন।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: স্যার? হাহা। আমি মেয়ে, নামের কারণে কনফিউশন হয়েছে, ইটস ওকে।

ধুর প্রথম পাতায় সুযোগ না হলে লেখা ছাড়তে হবে কেন? এসব নিয়ে আগেও আপনাকে বলেছি। ভালো লেখা ও মন্তব্য করতে থাকুন। আর আপনি সামু কর্তৃপক্ষকে মেইল করুন। তারা কি জবাব দেয় দেখুন। দয়া করে ব্লগ ছাড়বেন না। নতুন ভালো মানের ব্লগার দরকার সামুর। আর লেখকদের দরকার সামুর মতো একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সহজে নয়, পুড়ে পুড়ে খাঁটি হতে হয়। তাই কোনভাবেই ব্লগ ত্যাগের কথা মাথায় আনবেন না। এখানে পরে থাকলে অনেককিছু শিখবেন।

অনেক শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাপি ব্লগিং!

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম

ভুই পাইছি ;)

বিজ্ঞান আর অলৌকিক নিয়ে খূব টানা হেচড়া হয় হচ্ছে।
অলৌকিক কি? যা লৌকিক বোধে বোধগম্য নয় ! লৌকিক চেতনায় স্বাভাবিক নয়, ব্যাখ্যাতীত।
লোকজ বিশ্বাস এবং অনুভেবর বাইরে সত্যাসত্য।
কিন্তু তাই বলে তা মিথ্যা হবে এই ভাবনাও কিন্তু বিজ্ঞান সম্মত নয় ;)
লৌকিক ত্রি-মাত্রিকতার বাইরে অনন্ত নক্ষত্রবীথির দিকে তাকিয়েও কি ভাবনার সীমাবদ্ধতা কাটে না?

মাত্রা, ডাইমেনশন, অসীমত্ব কি কেবলই কি শুন্য হতে পারে? সেখানে জীবনের রুপ কি?
শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ সূত্রও কি তেমনি ভাবতে বাধ্য করে না?
বহুদূরের কথা বাদ নিজেদেরই কতটুকু জেনেছি আমরা? মস্তিষ্কের কত ভাগেক কােজ লাগােত পেরেছি!
ভাবনার বিষয় বটে।

কিছু হেলুসিনেশন, কিছূ বিভ্রম, কিছু দুর্বল চিত্তের ঘটনা থাকলেও তা বহুমাত্রিক জীব, জীবন এবং অস্তিত্বের সত্যকে নাকচ করার মতো যথেষ্ট নয়! এটলিষ্ট বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে প্রশানের পূর্ব পর্যন্ত ;) হা হা হা

ভূত তো আছেই। :P যেমন আমারে আমার ভূতে তাড়া করে! নিম থেকে ;) নিমগাছে ভূতের মতোই;) হা হা হা
নিত্য মনে হয় এই বুঝি সে এল! এই বুঝী আগের মতো কেয়ারিং, শেয়ারিং অনুভবে শার্টের কলার ধরে আমাকে ঠিক করবে বলে শাসাবে! কিন্তু হা হতোম্মি!... ;)

ভূত থাক বা না থাক। সখীর ভূত সিরিজ পোষ্টে ভুই পাইছি! পড়ে শিহরিত হয়েছি। এইবা কম কিসে!
কিছূ কিছু জিনিষ, অনুভব ব্যাখ্যাতীত থাকাই ভাল। সূখ মেলে!
বস্তুবাদীর কাছে যেমন ভালবাসা কেবলই অর্থহীন বিষয়, সময়ের অপচয়, বোগাস ইমোশন! প্রেমিকের কাছে কি তাই? B-)

অনেক অনেক অলৌকিক শুভেচ্ছা! :)
জনম জনমের, জগত জগতের -এপারে ও পারে সবসময় শুভকামনা :)




২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা! ভালো আছেন আশা করি।

জ্বি লৌকিক না অলৌকিক? তাই হচ্ছে প্রশ্ন! বিজ্ঞান প্রমাণ চায়। যার প্রমাণ নেই, তার অস্তিত্ব বিজ্ঞানে নেই।
অলৌকিক জগৎ নিয়ে তো বিজ্ঞানেরও কৌতুহল রয়েছে। একদিন সব আঁধার কেটে যাবে। বিজ্ঞান এমন এক জগতে পৌঁছে যাবে যার কল্পনাও হয়ত আমরা ঠিকভাবে করতে পারিনা!

বহুদূরের কথা বাদ নিজেদেরই কতটুকু জেনেছি আমরা? মস্তিষ্কের কত ভাগেক কােজ লাগােত পেরেছি!
আসলেই অসাধারণ এক ভাবনার অবতারণা করেছেন!

কিছু হেলুসিনেশন, কিছূ বিভ্রম, কিছু দুর্বল চিত্তের ঘটনা থাকলেও তা বহুমাত্রিক জীব, জীবন এবং অস্তিত্বের সত্যকে নাকচ করার মতো যথেষ্ট নয়! এটলিষ্ট বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে প্রশানের পূর্ব পর্যন্ত ;) হা হা হা
প্রশ্ন সেটাই। এসব ঘটনার সবই কি কল্পনা, রটনা? নাকি বাস্তবের মিশেল রয়েছে? বিজ্ঞানের দোহাই দেওয়া হচ্ছে না। তবে এই একটি বিষয়ে সবাই এক না এক পর্যায়ে একমত হতে পারে। একট থিওরি পুরোপুরি ভাবে প্রমাণের পূর্বে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মারাত্মক তর্ক বিতর্ক হয়। কিন্তু একটা আলটিমেট প্রমাণ পেয়ে গেলে সবাই একমত হয়ই হয়। বিজ্ঞান শুধু যুক্তি, প্রমাণ বোঝে। আবেগ আপেক্ষিক তবে যুক্তি নয়। তাই অলৌকিক জগত সম্পর্কে এসব তর্ক বিতর্ক, দ্যাট সো কলড, ভূত আছে কি নেই? প্রশ্ন বিজ্ঞানের জ্ঞানই একদিন থামাবে! ওয়েটিং ফর দ্যাট ডে! :)

ভূত থাক বা না থাক। সখীর ভূত সিরিজ পোষ্টে ভুই পাইছি! পড়ে শিহরিত হয়েছি। এইবা কম কিসে!

হুমমম! ভূত সিরিজ! তা বেশ বলেছেন! শিহরিত করতে পেরে পোস্ট সার্থক বোধ করছি।

কিছূ কিছু জিনিষ, অনুভব ব্যাখ্যাতীত থাকাই ভাল। সূখ মেলে!
হুমম! ঠিক, তবে কৌতুহলী মনের তৃষ্ণা দর্শনে মেলে না সখা! ;)

আমার সখার মন লৌকিক এবং অলৌকিক জগতের নানা অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায়! তাই আপনাকে দুই জগতেরই অফুরান শুভেচ্ছা। হাহা।
পাঠ ও অসাধারণ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
অনেক ভালো থাকুন।

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সামু পাগলা আপনি বলেছেন,মনে হয় আমার কোন বন্ধু লেখার ভালো মন্দ নিয়ে আড্ডা মারছে!
আরে এই ব্লগে তো আমরা একে অপরের বন্ধুর মতই তাই নয় কি?
এই ব্লগে অনেকের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কই গড়ে উঠেছে আমার ।
আপনিও আমার বন্ধু,আমি তাই মনে করি।
সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক শুভ কামনা রইল।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি অবশ্যই। ব্লগের সবাই তো বন্ধুই। আর আপনাকে তো আমি আগে থেকেই ভালো বন্ধু মনে করি। আড্ডাঘরের মানুষজন আমার বন্ধুই শুধু নয়, বিশেষ বন্ধু! :)

তবে এত সরল ভাবে সব বন্ধু যেকোন পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করতে পারেনা। আপনার মন্তব্যগুলো এমন হয় যেন লেখা পড়তে পড়তে মনে যা চলছিল তাই বলে দিলেন। গল্প করার মতো! ফরমার্লিটি নেই। এজন্যেই এত ভালো লাগে।

অনেক ধন্যবাদ পুনরায় আগমনে।
ভীষন ভালো থাকুন।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ভুতে আমি ডরাই, আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি অলৌকিক কিছু আছে।
অলৌকিক কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা বিজ্ঞান এমন ভাবে দিয়েছে যা অবিশ্বাস্য তো বটেই, পুরোপুরি হাস্যকরও।

ধন্যবাদ সামু পাগলা ভাই/আপু , এসব পোস্ট পড়তে ভালোই লাগে যদিও ডর ডর লাগে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর হওয়া মানে সেটা প্রকৃত ব্যাখ্যা ছিলইনা। হয়ত বিজ্ঞানিরা সে বিষয়ে নানা ধরণের থিওরি ভাবছেন, কোনটাই হয়ত ঠিক না। বা ঠিক হবার পেছনে যথাযথ প্রমাণ নেই! যেকোন আবিষ্কারের পেছনে অনেক ফেইলিওর থাকে, যা শুধু সাফল্যে পৌঁছানোর একেকটি সিড়ি হয়। অলৌকিক জগত নিয়ে বিজ্ঞানই একদিন সঠিক তথ্য দেবে। আশা সেটাই!

আমি আপু।
হাহা, ডর লাগার জন্যেই তো এসব পড়বেন। কিছুক্ষনের জন্যে অলৌকিক কল্পনাতে শিহরিত এক জগতে চলে যাওয়াই তো ভূতের গল্প ও মুভি দেখার উদ্দেশ্য! :)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল।

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

উদাস মাঝি বলেছেন: এককথায় অসাধারন !
বিশেষ করে রহস্য ঘরানার লেখা আমাকে ভীষণ টানে ।

প্রিয়তে নিলাম,এইরকম লেখা আরও পাব আশা করি।
ভাল থাকবেন আপু । :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভীষনই অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে।

আবারো এমনকিছু লিখব কিনা জানি না। শেষ তো করেই দিলাম পর্বটি। কিন্তু আপনার মন্তব্যে মনে হলো, লেখা যায় এমন বিষয় নিয়ে আবারো। যেহেতু রহস্য ঘরানা আমার নিজেরও পছন্দ। দেখি! :)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা অফুরান!

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে রাখলাম। পরে কমেন্ট করছি।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রিয়ত নেবার জন্যে ধন্যবাদ। জলদিইইই পড়ুন না আর মন্তব্য করুন। অপেক্ষায়....... :)

১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: যাক শেষ পর্ব । বাঁচা গেল ।
আগের পর্বও পড়ি নাই ।
ভূত-টুত আমার ভাল্লাগে না ।
তুমি শাঁকচুন্নির খপ্পড়ে পড়ো! B-)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা হিহি! অনিক তুমি না! তোমার কমেন্টের প্রথম দু লাইন এত হাসালো যে বলার নয়!
ছেলের কথা শোন, আগের পর্বও পড়ি নাই! হাহা।

না না আমি কেন পরব? তুমি পরো। এই দেখো, তোমার বউ হিসেবে দারুণ মানাবে একে, বরং বলা যায় একে ছাড়া আর কাউকেই মানাবে না: view this link ;) :D



১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



কী সাংঘাতিক ! ভয় ভয় লাগছে এই বিকেল বেলাতেও আপনার শেয়ার করা অতিপ্রাকৃতগুলো পড়ে !

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আগের পর্বটি যদি না পড়ে থাকেন, তবে রাতের বেলায় লাইট অফ করে পড়বেন। ভয় ও শিহরনের মাত্রা বাড়বে। আরেহ ভূতের গল্প, মুভির আসল মজা তো সেটাই। যত ভয় তত মজা! হাহা।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: মানুষজন ইউটিউবে শাঁকচুন্নি খুজে!
মানে মাথায় ভূত ঢুকে গেলে যা হয়!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনিকক, তোমার মতো জংগলি ভূতের সাথে বন্ধুত্ব করেছি, এখন তুমি ডেইট করতে পারো এমন কাউকে খোঁজা তো আমার কর্তব্য। পাত্রী পছন্দ হয়েছে? জানি জানি, তোমার মনে তো এখন সেই শাঁকচুন্নিকে নিয়ে হাজারো স্বপ্নের মেলা বসেছে। আহা! যেমন দেবা তার তেমনি দেবী! মেইড ফর ইচ আদার! ;) :D

১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন: মেইড ফর ইচ আদার! মাই ফুট !
এই পর্যন্ত একটাও হরর মুভি দেখি নাই। ভূত ভয় পাই না, ভূতের মুভি আমার গা গুলিয়ে দেয়।

বিশ্বের সেরা দশ অতিপ্রাকৃত, বিষাক্ত, ফলিত অভিশাপের আখ্যান! ভৌতিক, অলৌকিক না কি শুধুই কাকতাল? -
বিশ্ব সংসার খুঁজে কেউ আনে ১০৮টা নীলপদ্ম আর তুমি এনেছ ১০টা ভূতের গল্প!
৬ জন আবার এটা লাইক দিয়েছে, ৪ জন প্রিয়তে নিয়েছে।
ভূত মানুষের এত পছন্দ ! সুযোগ থাকলে আমি মাইনাস দিতাম।


তোমার মতো জংগলি ভূতের সাথে বন্ধুত্ব করেছি মানিকে মাইক চিনে, ভূত আমি না তুমি। নিজে থাকো ভূত নিয়ে আবার আসছে আমি নাকি ভূত ! B-) :D

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন:

অনিকক তোমাকে ভূতের মুভি কেন দেখতে হবে? আয়নাই তো আছে দেখার জন্যে। ;)

হাহা। সেদিনের পোলাপান সামুর পুরোন মাইনাস বাটনকে দেখলই না, চিনলই না। আর সেটা নিয়ে কথা বলে! হাহাহা।

তুমি ভূত, আমি না। আমি মানিক কিন্তু তুমি তো মানিক না। তুমি হচ্ছ জংগলে পরে থাকা এবরো থেবড়ো পাথর। ফাজিল ছ্যামড়া! ফাজিলের ফাজিল! ;) :D

১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: আমি আয়নায় ভূত দেখি না। আয়নায় দেখি একটি অস্তমিত নক্ষত্র।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাপরে বাপ! এই ছেলে তুমি সবসময় কবি কবি ভাব নিয়ে এত আঁতলামি কর কেন? এইটুকু পিচ্চির পাকা পাকা কথা! বিরক্তিকর! :D

১৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: ভূতেরা কবিতা শুনলে পালায় তাই

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না তো! তোমার শাঁকচুন্নি তো কি সুন্দর করে কবিতা করে! তোমার ধারণা ভুল! তোমার মতো ভূত ও, শাঁকচুন্নিদেরও কবিতার আলাদা এক জগৎ রয়েছে! ;) :D

২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: খোদ ভূতনাথ বাবার প্রসাদ আমার সংগেই থাকে। শাঁকচুন্নির সাধ্য নেই আমার সাথে থাকার !

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হিহি! কি বলে! তুমি শাঁকচুন্নিকে পছন্দ করনি? কি চাও? পেত্নী, ভূতনী, রাক্ষসী? তোমার মতো জংলির সাথে তো অন্য কাউকে মানাবে না। :D

এই তুমি স্যাড স্যাড থাকবে না, কবিতায় ভাব আনার জন্যেও না। হ্যাপি হ্যাপি থাকবে সবসময়। হুমম!

২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: এই তুমি স্যাড স্যাড থাকবে না, কবিতায় ভাব আনার জন্যেও না। হ্যাপি হ্যাপি থাকবে সবসময়। হুমম! - আমি দুঃখ বিলাসী কবি। দুঃখে না থাকলে আমার কবিতা আসে না, খালি পেট না হলে আমার মগজে শব্দ কিলবিল করে না।

তুই হেথা বসে,
ওরে রাক্ষসী-------

রাক্ষসী চাই।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধুর! তোমার আঁতলামী, পাকামিতে আমার গা জ্বলে। প্ল্যান করে কবি হওয়া যায় না। জাস্ট বি ইওরসেল্ফ এন্ড রাইট ফ্রিলি ফ্রম হার্ট। প্রকৃত দুঃখ না হয়ে দুঃখবিলাসী হলে লেখাও ফেক মনে হবে।

হাহা! হিহি! জংলীটা রাক্ষসী চায়! হাহা। আবার দু লাইন লিখেও ফেলেছে তাকে নিয়ে! কি প্রেম! বাহ! :D

২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ভৌতিক কাহিনী পড়ে ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল প্রামানিক ভাই।

ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা।
পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক মাত্র বিজ্ঞানই সত্য তথ্য দিতে পারে। বাকি সব প্রমাণ নির্ভর নয়।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ একদম! এটাই হচ্ছে আসল কথা। সহমত!

মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভীষন ভালো থাকুন।

২৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: প্লান করে কে বলল !!

উপরের দুই লাইন রবী ঠাকুরের লেখা B:-)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্লান করে না তো কি? ইচ্ছে করে তিন দিন না খেয়ে, তিন রাত না ঘুমিয়ে থাকো। নিজেকে প্ল্যানড ওয়েতে কষ্ট দিয়ে কবিতা বের করার ফন্দি! আঁতেল, তোমার এসব কাজ অসহ্য! ;) :D

ওহ আচ্ছা আচ্ছা।

২৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিতা বের হওয়ার পরের আনন্দটুকু দেখবে না ! :)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ রে। একদম খাঁটি কথা। শুধু কবিতাই নয় যেকোন লেখার ক্ষেত্রেই এটা সত্যি। নতুন একটি আইডিয়ার জন্যে পাগল পাগল অবস্থা, সেখান থেকে আইডিয়া পাওয়া এবং বাস্তবায়নের লম্বা কঠিন পথ পাড়ি দেবার পরের আনন্দের তুলনা কোনকিছুর সাথে সম্ভব না।

তবে হ্যাঁ, অনেক লেখক, কবি দেখলাম। তোমার মতো না খেয়ে, ঘুমিয়ে কবিতা বের করার চেষ্টা করতে কোন পাবলিককেই দেখলাম না। আবারো বলছি তোমার আঁতলামি অসহ্য! ;) :D

২৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার ১০ টি ভুতরে কাহানি আর সত্যই বলেন পড়ে একা দোকানে এখন ভুতের ভয় পাচ্ছে। অামি কোন দিনি ভুতের ভয় পেতামনা যে কেউ নিশীতে যে কোন যায়গা যেতে বললে রাজি হয়ে যেতাম ঠিকি কিন্তু একটু গিয়েই ভয় পেতাম কিন্তু ভুতের না। তবে কিসের ভয় পেতাম নিজেও জানতাম না।

এবার ছুটিতে বাড়িতে যখন গিয়েছিলাম তখনতো রোজার মাস ছিল, শেষ রোজাতে অামার আব্বা ১০ দিনের জন্য এত্তেকাফে বসেন ওনাকে প্রতি রাত ৩টার পরে খাবার দিতে যেতে হবে বেশ কয়দিন আমিই নিয়ে দিয়ে আসছি। রাতে বৃষ্টি হয়েছিল রাস্তা কিছুটা কাদাটে অামাদের বাড়ি থেকে মসজিদে যাওয়ার দুই এর অধিক রাস্তা তাই সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তায় যাচ্ছি যেই আমারদে অংশ থেকে আমার চাচার অংশে যাযই তখননি একটু ভয় কাজ করে কেননা ওখানে অনেক বড় একটি তুলা গাছ কথিত এ্খানে নাকি জীণ থাকে পার্শ্বের বাড়ির পুকুর পারে যাই হোক তুলাগাছ অতিক্রম করে যেই মূল রাস্তা থেকে অন্য আরেকটা বাড়ির ভিতর ঢুকবো এমন সময় বিকট একটি শব্দ আমাকে দাড় করিয়ে দেয়। হাত টর্চ আছে আমি টর্চ জ্বালছি না, অামি দেখতে চাই আসলে কি ঘটনা কিন্তু আর কিছুই দেখিনি। আমি ভয়ে ভয়ে এতো রাতে মসিজিদে যেতে ঘেমে ভিজে গেলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই! আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

ভূতের ভয় পাইয়ে দিতে পেরেছি তবে! বেশ বেশ পোস্ট সার্থক! হাহাহা।

কেউ নিশীতে যে কোন যায়গা যেতে বললে রাজি হয়ে যেতাম ঠিকি কিন্তু একটু গিয়েই ভয় পেতাম কিন্তু ভুতের না। তবে কিসের ভয় পেতাম নিজেও জানতাম না।

একদম আমার মনের কথা বলেছেন। একটা গা ছমছমে ভাব এসে যায় অন্ধকারে। যেসব মানুষ ভূতে বিশ্বাস করেন না তাদেরও! এটা যে কিসের ভয় আল্লাহই জানেন!

অবচেতন অথবা চেতন মনের তীব্র ভয়ই ভূতের সৃষ্টি করে ভাই। আমরা এমন কিছু শুনি, দেখি যা বাস্তবে ঘটছে না।

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারে ধন্যবাদ।
পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভীষন ভালো থাকুন।

২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২২

হাসান রাজু বলেছেন: গ্রামের রাস্তায় রাতে একা হাটলে আামি অস্পস্টভাবে স্পস্টই শুনতে পাই আমার পেছনে ভুতের পায়ের আওয়াজ।
ওইটা ভুতই কারন আমি পিছন ফিরে কাউকে কখনো দেখি নাই। ভুত খালি চোখে দেখা যায় না। আামার কথা না বিজ্ঞান তা ই বলে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবচেতন অথবা চেতন মনের তীব্র ভয়ই ভূতের সৃষ্টি করে। আমরা এমন কিছু শুনি, দেখি যা বাস্তবে ঘটছে না। আমরা শুনে অভ্যস্ত যে রাতের আঁধারে গাছের ওপরে ভূত প্রেত আড্ডা মারে। তাই এমন পরিবেশে গা ছমছম করে ওঠে। যাদের এসবে ভয় বেশি তারা ভূতের আওয়াজ শুনেন, এবং কেউ কেউ দেখেও ফেলেন!

বিজ্ঞান যেদিন ভূত ধরার ও দেখার যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলবে, এসব নিয়ে একটা নিশ্চিত সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে! :)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান!

২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


শেষ পর্বটিতে সবকিছু ‘কিলিয়ার’ দিয়েছেন। এটি ভালো। কেউ যেন পড়তে পড়তেই ভূতাক্রান্ত না হয়ে পড়েন!

// প্রবলভাবে বিশ্বাস করলে নিত্যদিনের ব্যবহার্য টুথব্রাশের মধ্যেও ভূত পাবেন।// হাহাহা!


গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ। ভালো লেগেছে, সামু পাগলা! নাহ... পাগলী ;)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

কিলিয়ার? হাহা। যেহেতু কাউকে কুসংস্কারের দিকে ঠেলে দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, করে দিলাম কিলিয়ার। ;)

জ্বি আমি একজন পাগলী, বিরাট মাপের পাগলী। :) ;)

পাঠ ও মজার মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল পোস্ট! তবে ভৌতিক ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই আমার। :) জাস্ট প্রথমটা পড়লাম আর ব্যাখ্যাও দাঁড় করালাম নিজের থেকে। কোন অদ্ভুত ধারণা নিয়ে মানুষ কিছু দেখতে থাকলে সেটাই হ্যালুসিনেশন হয়ে যায় অনেক সময়!! :)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই! আপনাকে পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল!

এধরণের বিষয়ে আগ্রহ না থাকার পরেও পড়েছেন জেনে ভালো লাগল। নিচে একটি লিংক দেওয়া যাতে অন্য কিছু রহস্যের ব্যাখ্যা দেওয়া এবং বৈজ্ঞানিক পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লেখা। ওটা হয়ত আপনার টাইপ লেখা হতেও পারে। :)

যাই হোক আমিও আপনার মতো। এসব পড়ি, আর ব্যাখ্যা দাড় করাই। অনেক মিউজিয়াম ইচ্ছে করেও এসব কাহিনী ছড়ায় যাতে করে আরো বেশি মানুষ আসেন। ভূত দেখার আগ্রহ তো সবারই আছে! ;)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা!

৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৭

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর এবং অন্যরকম পোস্ট।++++++++

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ সামিয়া আপু! সকাল সকাল উঠে তোমাকে আমার ব্লগবাড়িতে দেখে ভীষনই খুশি হলাম।

তোমার নতুন প্রোফাইল পিচকারটা অনেক সুন্দর! :)

হিহি আপু প্লাস বলে কিন্তু লাইক বাটন টেপে না। হিহি! ;)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম আপু।
ভালো থেকো, ভীষন ভালো থেকো।

৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১১

সামিয়া বলেছেন: খোঁচাখুচি না করে বললেই পারতা লাইক না দিয়া কই যাও দড়ি দিয়া বাঁইনধা রাখবো,
কিন্তু ইস্যুটা যখন উঠলোই তাইলে আমার সোজা হিসাব Pizza খাওয়াও লাইক পাও :) :) :)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হিহি! সোজা তো বলতে হয় অপরিচিত ব্লগারকে, আপুকে খোঁচাতে হয়! একটু খোঁচা মারলেই আপু বুঝে যায় সব! ;) :D

এহ! আমি তোমার বেকার ছোট বোন, তুমি আমার চাকুরি করা বড় বোন। পিজ্জা কে কাকে খাওয়াবে সেটা তো সহজ হিসেব। তুমি শুধু শুধু প্যাঁচ লাগাও কেন? হিহি।

আর পিজ্জা আসলেই আমার অনেক প্রিয়। কাকতালীয়ভাবে সেটার কথাই বললে!

তোমার মিষ্টি কমেন্টে অনেক থ্যাংকস আপু।
ভালো থেকো।

৩২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

ইফতি সৌরভ বলেছেন: বেশিরভাগ নাম কেন "A" দিয়ে শুরু হয়? যেমন : এনা, অ্যানি, এনাবেল ?? খুব ভালো লেগেছে +++++

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সব নাম সেভাবে শুরু হয় না। এই লেখাতেও তো আরো নানা নাম আছে যা অন্য অক্ষর দিয়ে শুরু হয়েছে!

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান!

৩৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


সর্বনাশ সব ভূত প্রেতের কারবার..... এর মধ্যে টেরাকোটা আর্মি আমার খুব ভাল লাগে। জলিয়েটকে সবচেয়ে বেশি ভয় লাগে!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জলিয়টকে ভয়ের কি আছে? সে তো শুধু প্রেগন্যান্ট মহিলাদের ক্ষতি করে। আর আপনি তাকে ভয় পাচ্ছেন! ব্যাপার কি? সন্দেহজনক! ;) :D

টেরাকোটটা আরমির বিষয়টি দুঃখজনক! সবাই গরীব, অশিক্ষিত কৃষকদের সাথে অবিচার করেছে!

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল!

৩৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: তোমার এত বড় বড় পোস্ট। পড়ার সময় পাইনা। হালকা চোখ বুলিয়েই মনে হয় খুব ইন্টারেস্টিং। সময় করে পড়তে হবে। ভালো থেকো পাগলী....

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপু! পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল!

হাহা হনেস্ট আপু! অনেক ভালো লাগল তোমার মন্তব্যটি। তুমি চোখ বুলিয়েছ তাতেই খুশি, সময় করে পুরোটা পড়ো একদিন। আশা করি ভালো লাগবে। :)

আচ্ছা থাকব, তুমিও অনেক ভালো থেকো।

৩৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: valo ap...
প্রিয়তে যাবে মাস্ট।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ, মন্তব্য ও প্রিয়তে নেবার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.