নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৩) - কানাডিয়ান গুন্ডার কবলে পথ ভুলে এডভেঞ্চারে.......

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

পূর্বের সারসংক্ষেপ: মা বাবা ক্লাসে গেলে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়ে যেতাম। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়ি এলাকার স্বর্গীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি। এভাবে একদিন ঘুরতে ঘুরতে এক গুন্ডার পাল্লায় পড়ে গেলাম ।

পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৮) - কানাডার প্রথম খারাপ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৯) - আবারো দুটিতে একসাথে, প্রেমের পথে... :`> (কুইজ সলভড)
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১০) - লাভ বার্ডসের প্রথম কানাডিয়ান ক্লাসের অভিজ্ঞতা....
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১১) - মায়ের বিদেশী ক্লাসমেট্স, কালচার শক এবং বাবার জেলাসি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১২) - কানাডিয়ান গুন্ডার কবলে.......
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গ্যারেজের বেসমেন্ট থেকে বের হয়ে আসা শ্যামলাটে, বোঁচা চোখ নাক, ময়লা পোশাকের মানুষটির হাঁটার ধরণটা মুভিতে দেখা মাতাল ভিলেনের মতো! উনি আমার কাছে চেইন চাওয়াতে আমি উত্তর না দিয়ে ইগনোর করে চলে আসতে লাগলাম, উনি তারপরেও আমাকে আটকে হাত নাড়িয়ে কিসব যেন বলে যাচ্ছেন বিড়বিড় করে। এমনিতেই ইংলিশ বুঝিনা তার ওপরে জড়িয়ে যাওয়া কথাগুলো আরোই বুঝতে পারছিনা। এই লোক তো পথও ছাড়ে না। অন্য দুনিয়া থেকে আসা কোন এক ভয় আমাকে ফ্রিজ করে দিল। গলা শুকিয়ে গেল! কি করব এখন?
আমি যে পা চালিয়ে হেঁটে আসব সেই শক্তি নেই। আমার ভাবটা এমন যে উনি ওনার কথা শোনানোর জন্যে আটকালে আমাকে আটকে থাকতেই হবে। ওনার যে মাথা ঠিক নেই তা বুঝতে পারছি। কিন্তু ওনার আচরণে আমারই মাথা তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে চেইন, গয়না কিছুই নেই। আর ওগুলো ছাড়া উনি আমাকে যেতেও দেবে না। বকবক করেই যাবেন। আমার মনে হলো বাবা মা কে লুকিয়ে কাজ করলে একটা না একটা বিপদ হয়ই! মনে মনে নিজেকে দোষ দিয়ে যাচ্ছি এক নাগাড়ে। ভাবছি এই বিপদ থেকে পার হতে পারলে আর এমনকিছু কখনো করব না। (আমি প্রতি বিপদের সময়ে এই প্রতিজ্ঞা করি, এবং বিপদ কেটে গেলে মনে থাকে না ;) )।

আমি কতক্ষন ধরে এই লোকটির বকবক শুনছি? মনে হচ্ছে বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে! ঘেমে গিয়েছি বেশ। বিপদ থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্যে বোধহয় আল্লাহই একটা গাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। গাড়িটি হর্ন বাজাচ্ছে, গ্যারেজে ঢুকবে। সেদিকে আমার সাথে সাথে সেই লোকটিও তাকাল। আর আমি কোথা থেকে যেন অবশ শরীরে জোর পেলাম। এক দৌড়ে রাস্তা পার হলাম। আর দৌড়াতে লাগলাম। কোথায় কি আছে কিচ্ছু খেয়াল নেই, ব্যাস ঐ লোকটার থেকে দৌড়াতে লাগলাম দূরে। পেছনে তাকিয়ে একবার তাকালাম গুন্ডাটার দিকে। সে কয়েক পা এগিয়েছিল আমার দিকে, কিন্তু কি ভেবে যেন নিজের দাড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে গ্যারেজের বেসমেন্টে ঢুকে গেল!

লোকটা পিছে আসছে না তবুও আমি দৌড়ে গেলাম বেশ অনেকটা পথ। যখন বুঝলাম আর কোনকিছুতে আমি আটকে নেই, স্বস্তির একটা নি:শ্বাস ফেললাম। মনে মনে বললাম, সেই গাড়ির ড্রাইভারের ভালো করুক আল্লাহ! তারপরে ভাবলাম পা চালিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে, বাবা মা ফেরার আগেই পৌঁছাতে হবে। এটা ভাবা মাত্র মাথায় বাজ পড়ল! ওহ! আল্লাহ! আমি বিপদ থেকে ভাগিনি, বিপদের দিকে ভেগেছি!

চারিপাশে তাকালাম, সবকিছু অপরিচিত! আমি এ কদিন হাঁটার সময়ে খুব হিসেব কষে হেঁটেছি, ডানে গেলে শুধুই ডানে বা বামে গেলে শুধুই বামে। সেই হিসেবে কখনো রাস্তা হারাইনি। কিন্তু দৌড়ানোর সময়ে আমার কিছুই মনে ছিলনা। এদিক সেদিক এলোমেলো ভাবে দ্রুত দৌড়েছি। আমি এখন কি করব? পথ তো হারিয়ে ফেলেছি। আশেপাশে তেমন মানুষও দেখছিনা, ছোট পাহাড়ি শহর, তেমন লোক দেখা যায় না মেইন রাস্তা ছাড়া। এই গলির মধ্যে আমি এখন কাকে কি জিজ্ঞেস করব? আর করলেও কেউ তো আমার একসেন্ট বুঝবে না। প্রথম দিনের হারিয়ে যাবার ভয়টা এ কদিন হাঁটতে হাঁটতে মনের ভেতর থেকে চলে গিয়েছিল, কিন্তু শেষে তাই হলো। এত হিসেব করে হেঁটেও আমি বিপদ ঠেকাতে পারলাম না।

একটু পরে সূর্য ঢলতে শুরু করবে, তার আগে বাড়ি ফিরতে না পারলে হয় বাবা মা আমাকে মেরে ফেলবে অথবা পথের অন্যকোন বিপদ। আমার গলায় কান্না জমে যাচ্ছে, কিন্তু কাঁদতেও পারছি না। আটকে গেছে সব কান্না গলার কাছে এসে। কি বিচ্ছিরি অবস্থা! আমি আস্তে আস্তে হাঁটছি শূন্য মনে। সাধারণত বাইরে গেলে বারবার ঘড়ি দেখি, বাবা মা ফেরার আগে ফিরতে হবে সেই তাড়নায়। আমি ততক্ষনে ঘড়ি দেখাও বন্ধ করে দিলাম, মনে মনে বুঝে গেলাম আর যাই হোক সময়ে পৌঁছাতে পারব না বা বলা চলে হয়ত আর পৌঁছাতেই পারবনা জীবনে!

গন্তব্যহীন ভাবে হাঁটতে হাঁটতে আমার হুট করে একটা ব্যাপার মনে হলো। আমি তো জায়গায় জায়গায় শপিং মল, রেস্তোরা, এমনকি কোন বাড়ির বারান্দায় কি ডেকোরেশন পিস আছে সব মুখস্থ করে রেখেছি যেন হারিয়ে গেলে বাড়ি ফিরতে পারি। আমি সেসব কেন ব্যবহার করছি না? আমি একটু এদিক সেদিক হাঁটলে কিছু না কিছু তো খুঁজে পাবই। সাথে সাথে বড় একটা নি:শ্বাস নিয়ে মুখের ঘাম মুছে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।

প্রথমে অনেকটা পথ স্ট্রেইট গেলাম, ডেড এন্ড সাইন পর্যন্ত, না এ পথে সব অপরিচিত। মানে আমার রাস্তা হয় পেছনে অথবা পেছনে যাবার পথে কোন গলিতে। আমি পেছনে হাঁটতে হাঁটতে যেখানেই গলি পেলাম গলির বেশ কিছুদূর হাঁটলাম কোন পরিচিত দৃশ্যের আশায়। মনে মনে প্রার্থনা করছি পরিচিত কোন বাগান, পরিচিত কোন বাড়ি কিছু একটা যেন পাই।
হাঁটতে হাঁটতে পথে দু একটা লোক দেখলাম। বিদেশী সেই মানুষগুলোর কাছে আমি সাহায্য চাইতে পারলাম না। ভয়ে তখন আমি বাংলাই ভুলে গিয়েছি, আর ইংলিশে কথা বলা তো দূরের ব্যাপার। পথচারীরা আমার দিকে অদ্ভুত চোখে তাকাচ্ছে, পাশের মানুষটির দিকে ইশারা করছে। চেহারা দেখে বুঝে গিয়েছে মনে হয় যে আমি পথ হারিয়েছি। আমার মনে হলো অচেনা লোক যদি বোঝে আমি পথে হারিয়েছি তবে ভুলিয়ে ভালিয়ে ক্ষতি করতে পারে। তাই আমি যখনই লোক দেখি সেই গলি থেকে জলদিই পার হয়ে আরেক গলিতে ঢুকে পড়ি। তবে মনে মনে হিসেব ঠিকই রাখছিলাম। সব গলি কভার করতে হবে আমাকে। রাস্তা আছে কোথাও। আমি নিশ্চই অন্য শহরে চলে আসিনি।

এভাবে করতে করতে যখন আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি হুট করে একটা বারান্দায় সিংহ মূর্তি চোখে পড়ল। আর আমি মনে মনে আনন্দে চিল্লিয়ে উঠলাম ইয়েস বলে। আগের পর্ব যারা পড়েছেন তারা জানেন যে আমার আসার পথে একটি বারান্দায় খুব সুন্দর সিংহ মূর্তি দিয়ে সাজানো ছিল। ব্যাস প্রিয় সিংহ মামাকে পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকে সবই পরিচিত।

বাসার কাছে চলে এলাম, অন্যদিন বাড়ির কাছের বাগানের ইরিগেশন স্প্রিংকলার চলতে থাকে আমি আসার সময়ে। আজ দেখি বন্ধ হয়ে আছে! তার মানে আমি বেশ লেট করে ফেলেছি, সাথে সাথে এতক্ষন পরে ঘড়ির দিকে তাকালাম ভয়ে ভয়ে। মারাত্মক লেট না হলেও ঠিকঠিক সময়, বাবা মা এলো বলে। ভাগ্য খারাপ হলে এসে গেছে।

আমি খুব দ্রুত পা চালিয়ে ঢুকে পড়লাম নিজেদের বিল্ডিং এ। তারপরে নিজেদের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে দাড়াতেই শুনতে পেলাম ভেতর থেকে মানুষের আওয়াজ! সত্যি বলছি, গুন্ডা, পথ ভোলা কোনকিছুতেই এতটা ভয় পাইনি, যতটা এটা বুঝে যে বাবা মা ভেতরে। নিঃশ্বাস আটকে গেল সাথে সাথে। আমি একবার ভাবলাম পালিয়ে যাই, আর কোনদিন মুখ দেখাব না। তারপরে সেই গুন্ডার চেহারা মনে পড়তে ভাবলাম না বাবা মা মারুক ধরুক, আমি বাইরে যাব না আর।

এসব ভাবতে ভাবতে নক করতে গিয়ে বাড়ির নাম্বারে চোখ পড়ল। আরেহ! এটা তো আমাদের নাম্বারটা না। আমি ভুলে অন্য তালায় দাড়িয়ে আছি! সাথে সাথে মনে আশা পেলাম হয়ত বাবা মা আসেনি। দৌড়ে নিজেদের ফ্ল্যাটে গেলাম সিড়ি দিয়ে উঠে। আর দরজা খুলে তাকালাম দরজার কাছের ক্লসেটের জুতার জায়গায়। নাহ! বাবা মার ঘরে পরার জুতা ওখানেই আছে, ঘর অন্ধকার, আমি আগেই এসেছি!

আমি খুব ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম, আর হুট করে নিজে কিছু বোঝার আগেই শব্দ করে কেঁদে উঠলাম। এতক্ষনের আটকে রাখা উত্তেজনা, ভয়, ঠিকভাবে পথে খুঁজে ফেরার আনন্দ সব একসাথে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগল। যতবার কান্না মুছি চোখ মুখ পানিতে ভরে যায়। এভাবে বেশ কিছুক্ষন কাঁদার পরে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। মুখ মুছতে মুছতে দরজায় নক!

আমি কোনভাবে নিজেকে ধাতস্থ করে দরজা খুললাম। মা ঢুকে অন্যদিনের মতো হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করতে করতে লাইট জ্বালাল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, "কিরে? তুই বাইরে পরার কাপড় পরে আছিস কেন? বিদেশে সালোয়ার কামিজ পাবি? বাইরের পরার গুলোর ঘরে পরে নষ্ট করছিস কেন?"

আমি কিছু একটা বলে ম্যানেজ করলাম। বাকিটা সময় স্বাভাবিক ভাব করে কাটিয়ে দিলাম।

সেদিন রাতে ঘুমানোর টাইমে আমি নিজেই নিজেকে বাহবা দিলাম। সব ঝামেলা পার করে ফেলার জন্যে। আবার নিজেকে বকলামও এমন বিপদ তৈরি করার জন্যে। তবে পুরো সিচুয়েশনটা ভেবে হেসে উঠলাম। ইশ! কারো সাথে যদি শেয়ার করতে পারতাম! না বাবা না! কাউকেই বলা যাবেনা, বাবা মার কানে যদি কারো কাছ দিয়ে যায় আমি শেষ হয়ে যাব। বাবা মা যে কিছু জানতে পারেনি এটা ভেবে আমার কেন যেন খুব হাসি পাচ্ছিল, হাসতে হাসতেই ঘুমিয়ে পড়লাম।

সেই লোক ভিখিরি, পাগল, গুন্ডা কোনটা ছিল সেটা আমি অনেকদিন জানতাম না। আমি বুঝতেই পারিনি সেদিন আমার সাথে কি হলো, কেন চেইন চাচ্ছিল। লোকটির আসলেই কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল কিনা! সেই ঘটনার বেশ কমাস পরে চলে যাচ্ছি। তখন আমি স্কুলের তাল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি।

বাবা একদিন পেপার পড়তে পড়তে মা কে বললেন, "জানো এখানকার অপরাধীদের বড় অংশ নাকি এবরিজিনাল বা আদিবাসী, পেপারে পড়ে জানলাম। এক হোয়াইট কানাডিয়ানকে রিসেন্টলি আক্রমণ করেছে।"
মা বলল, "ওমা এদেশেও এসব হয়! কোথাও কেউ সেইফ না দেখছি!"
বাবা বলল, "আদিবাসীরা বেশ পিছিয়ে আছে, একসময়ে অনেক অত্যাচারিত হয়েছে, এখনো নানা বৈষম্যের শিকার মনে করে নিজেদেরকে। আদিবাসীদের জন্যে সরকারী অনেক সাহায্য রয়েছে, কিন্তু অনেকেই নিতে চায়না কেন যেন। তারা পথে পথে থাকে, ক্যান, ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়ায়, মদ খেয়ে পড়ে থাকে, আর রাতের বেলায় কোন ঘুপচি জায়গা, বিল্ডিং এর আশপাশ, গ্যারেজের বেসমেন্টে, শপিং মলে ঘুমিয়ে পড়ে।"

এসব বলতে বলতে বাবা আমাকে ডাকল, "শোন মা, এখন তো একা স্কুলে যাচ্ছিস, তোর মা আর আমি খুব চিন্তায় থাকি। পথে কেউ যদি এখানে তোর কাছে চেঞ্জ চায় তবে বলবি তোর কাছে টাকা নেই, আর দ্রুত এভয়েড করে চলে আসবি। ঠিক আছে?"
আমি বললাম, বাবা চেঞ্জ চাইবে কেন?
বাবা বলল, "ওরা এভাবেই ভিক্ষা চায়, অবশ্য ভিক্ষা নেবার কথা বলে এটাকও করে বসে। তাই দূরে থাকবি এমন কাউকে দেখলে।"

আমি মাথা নেড়ে আচ্ছা বললাম আর ভেতরে ভেতরে কেঁপে উঠলাম। সেদিন তো আমি আসলেই খুব বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছিলাম! ইশ! আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। বাবা মাও কিছু টের পায়নি। সাপ মরল, লাঠি ভাঙ্গল না। দুষ্টুমি করে বেঁচে গেলে মন্দ নয়, পরের দুষ্টুমিতে সাহস ও উৎসাহ পাওয়া যায়। :P

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পূর্বের পর্বের কুইজ বিজয়ী:
এবারে সঠিক উত্তর দিয়েছেন ব্লগার সুহাস শিমন! তিনি বলেছিলেন, "এই লোক আপনার কাছে change মানে খুচরা টাকা চায়, আপনি ভেবেছেন চেইন, ঠিক বলেছি না?"

জ্বি হ্যাঁ, উনি একদম ঠিক বলেছিলেন। আমি বেশ অবাকই হয়েছি। এটা খুব সহজ ধাঁধা ছিলনা। কেউ এত পারফেক্ট একটা জবাব দিয়ে দেবে মনে হয়নি। অসংখ্য অভিনন্দন আপনাকে। আপনার বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হলাম।

পাঠকের জন্যে কুইজ: সেদিন মা কে আমি কি বলেছিলাম? কেন আমি বাইরের পোশাক পরে আছি?

মজার ব্যাপার কি জানেন পাঠক? এর উত্তর আমি নিজেই জানি না! মানে আমার মনেই নেই! অবাক ব্যাপার আমি এখনো চোখ বন্ধ করলে সেখানকার রাস্তা, কার বারান্দায় কি ডেকোরেশন পিস আছে তা মনে করতে পারি। কিন্তু নিজের কথাটাই অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারলাম না!
এর কারণ হতে পারে সেসময়ে আমি এত ভয়, উত্তেজনায় ছিলাম যে মেমোরি থেকে ইরেজড হয়ে গেছে। অথবা সেটি মিথ্যে ছিল বলে বেশিদিন আমার মনে বাঁচতে পারেনি! তবে যাই হোক, আমার উত্তরটি এমনকিছু ছিল যা মা কে জলদিই শান্ত করেছে। মা সন্দেহ করেনি। কি বলতে পারি আমি? কি মনে হয় আপনাদের?

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বাপরে বাপ!
সকাল বেলা এতবড় লেখা? :(

চোখের সামনে পোস্ট যেহেতু পড়লো, কমেন্ট একটা করেই ফেললুম। পরে সময় করে পুরো পোস্ট পড়বানি.....


পুনশ্চঃ সম্রাট ভাইয়ের জন্য একটা মেয়ে খুজে পেছেছি। বিয়ে আমি তাকে দিয়েই ছাড়বো.....:P

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি সবসময় বলেন পরে পড়বেন, কখনো কি আদৌ পড়েন?

হুমম, সকাল সকাল পড়াশোনা করা উচিৎ, মনে থাকে বহুদিন! ;)

সে তো বলেছে আগে আপনার বিয়ে তারপরে তার। এক কাজ করুন, আগে নিজের জন্যে মেয়ে খুঁজুন, বিয়ে করুন, তারপরে ঘটকালি! মানে অন্যকে মারার আগে নিজে মরুন! :P

মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলায় আব্বাকে সরলমনে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমরা পানিকে পানি বলি। হিন্দুরা সেটাকে জল বলে কেন? ওদেরটায় কি মিষ্টির পরিমাণ বেশি?

আব্বা শুনে আমার গালে মাঝারিগোছের একটা চড় দিয়ে বলে, এই বয়সেই মৌলবাদের ভূত মাথায় ঢুকে গেছে !

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! আপনার আব্বা মজার মানুষ, ভালো মানুষ। আপনার ছোটকালের গপ্পো শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।

ভীষন ভালো থাকুন।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



কথা সেটাই। তবে অন্যকে আর নিজেকে বলে কথা নয়। দুই স্টারকেই তালিকাভুক্ত করা হোক। দ্রুত আয়োজনে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করা হোক।

তুষারের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন? দেখি না কেন? শুভাশীষ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

মাফ করবেন, আমি ঠিক বুঝিনি আপনার কমেন্টের প্রথম অংশ। আপনি কি পাঠকের প্রতিক্রিয়ার কমেন্টকে ইনডিকেট করে কিছু বললেন?

শরীর ভালো না, এজন্যে বেশি একটা দেখেন না।

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা সকল।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

রাকু হাসান বলেছেন:




সুন্দর বর্ণনার সাথে ,সুন্দর কিছু ছবি থাকলে আর বেশি ভাল হত । এখন পড়বো আপনার কানাডার স্কুলে ভর্তির পর্বগুলো । :-B

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ছবি তুলতে ভালো লাগে না রে। আমি কেন যেন ক্যামেরার নয় মনের ফ্রেমে সবকিছু আটকে রাখতে পছন্দ করি। সেজন্যে আমার কাছে ছবি নেই।

যাই হোক, পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

বাহ! আরো কিছু পর্ব পড়বেন? থ্যাংকস। আশা করি সেগুলো আপনার ভালো লাগবে।
শুভকামনা!

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনি ঠিকই ধরেছেন। পাঠকের প্রতিক্রিয়ার কমেন্ট এবং সুন্দর প্রত্যুত্তর দেখেই।

ধন্যবাদ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ক্লিয়ার করে বলার জন্যে থ্যাংকস। আপনার সাথে আমিও একমত। দুজনের গলাতেই বিয়ের দড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া হোক! এক কাজ করা যায় একজন অন্যজনের জন্যে পাত্রী খুঁজতে পারে। ব্যাস তাহলেই হয়ে যাবে। তখন আমরা সহব্লগারেরা দু দুটো বিয়ের দাওয়াত খেতে পারব! :)

মোস্ট ওয়েলকাম!

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক বাবা! বাঁচা গেল! গুন্ডার হাত থেকে!
আহ কি টেনশনইনা গেল ;)

বর্ণনায় প্রঞ্জলতা দিন দিন চিকনাই ছড়াচ্ছে! গল্পের, ঘটনার গভিরে নিয়ে যাচ্ছে সাবলীলতায়!
লেখকের সাফল্য এখানেই যেখানে পাঠকের তৃপ্তি :)

মুগ্ধতার রেশ রয়ে গেল বহুক্ষন।
বাইরেতো পড়া হয়না, তাই ঘরেই পড়া, এই টাইপ কি কিছূ বলেছিলেন, মাকে?

সকল বিপদ বালা মুসিবত
দূর হয়ে যাক ইহ পরে-
শুভকামনা প্রার্থনা আর
শুভাশিষ সব সখির পরে।
:)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

কোথায় হিরোর মতো সখিকে গুন্ডার হাত থেকে বাঁচাবেন, তা না আমাকে একাই সব সামলাতে হলো! আপনি কোন কাজের না। ;) :D

আন্তরিক ধন্যবাদ, অনেক প্রেরণা পেলাম লেখনীর প্রশংসায়।

নাহ, তা হয়ত বলিনি। কি যে বলেছিলাম কে জানে! মনে পরে না। তবে কেউ একেবারে ঠিক উত্তর দিলে বা কাছকাছি গেলে মাথায় আসতে পারে।

বাহ! সুন্দর ছড়াকণা! মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!

এত এত এত সুখী হোন সখা।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আব্বু-আম্মুর কথা না শুনলে এমনই হয়।
কেঁদে কেটে তো চোঁখ ফুলিয়ে ফেলেছিলেন আম্মু তো চোঁখ দেখেই সব বুঝে যাওয়ার কথা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, হ্যাঁ তারা যেসব বিপদের ভয় করে সাবধান করে, তাদের কথা না শুনলে সেসব বিপদ হয়েই যায়!

আসলে আমি প্রচুর কেঁদে ফেলেছিলাম তবে কান্নার ডিউরেশন কম ছিল, আর হাত মুখ ধোয়ার পরে অতো বোঝা যায়নি। বিকেলে হাত মুখ ধোবার অভ্যাস আমার আছে, তাই সেটা এমনকোন অদ্ভুত ব্যাপার ছিলনা।

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল।
শুভকামনা!

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



Have read your current event. Very nice & interesting! +++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই! অনেক অনেক ধন্যবাদ।

পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসে কৃতজ্ঞতা ইংলিশম্যান! ;)

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগার সুহাস শিমনের বুদ্ধিমত্তা আমাকেও অবাক করেছে। উনার মতো বুদ্ধি থাকলে আমাকে কেউ ঠকাতে পারতো না।


যাই হোক, ওই এবিরিজিনাল লোকটার সাথে দেখা হওয়াটা একদিকে তোমার ভয়ের কারণ হলেও আর একদিকে তোমার সাহসী হয়ে উঠার অনুপ্রেরণাও বটে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, অত্যন্ত ভীতু মানুষও উপায়ন্তর না দেখলে সাহসী হয়ে ওঠে। কানাডায় অচেনা অজানা পরিবেশে পড়াশুনা করার জন্য তুমি একা লড়াই করছো শুধু এই সাহসের জোরে। বাবা মা সাথে থাকলেও তারা তো আর সব সময় তোমাকে শিশুর মতো আগলে রাখছেন না। তা' ছাড়া অনেক পরিস্থিতিতে তোমাকে নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হচ্ছে। তবে এটাও সত্য যে তোমার জাজমেন্ট ক্যাপাসিটি ও উপস্থিত বুদ্ধি প্রশংসনীয়।

ভালো লাগলো। লিখে যাও। ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই! পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল।

আরেহ, আপনাকে কে ঠকাবে? বুদ্ধি না থাকলে এতগুলো পাগলকে সামলাতেন কি করে? :)

আসলেই, আপনার অভিজ্ঞতা একদম ঠিক। বিপদ যত বড় হয়, সাহস আরো বেড়ে যায়। বেঁচে থাকার, সার্ভাইব করার জিনস নিয়েই মানুষ পৃথিবীতে আসে! এই আকুতি অনেক তীব্র!

প্রশংসার জন্যে অনেক ধন্যবাদ হেনাভাই। দোয়া করবেন আমার জন্যে যেন আমার যা ভালো তা আরো ভালো হয়, আর যা খারাপ তা দূরে যায়।

অবশ্যই, আপনারা এভাবে সাথে থাকলে লিখে যেতেই হবে।

মোস্ট ওয়েলকাম।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ আবারো।
সুস্থ ও সুখী থাকুন।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপুমণি, একা একা আবার বেশী বেশী সাহস দেখাতে যেওনা।
পৃথিবী বড় কঠিন জায়গা।
বিপদ ওৎ পেতে আছে সব খানে।
অতএব, বোনটি, সাবধান।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সাজ্জাদ ভাইয়া! আপনাকে পোস্টে পেয়ে এত এত খুশি হলাম।

হাহা, ভাইয়া এমন সাহস আবারো দেখিয়েছিলাম, তবে বাবা মা কে জানিয়ে বের হয়েছিলাম আরেকটু বড় হবার পরে। সেসব গল্প অন্য কোনদিন।

তবে আপনার সাথে একমত। জীবন অনেক কঠিন! কত ধরণের চ্যালেঞ্জ ফেস করে যেতে হয় প্রতিনিয়ত!
হুমম, সাবধান থাকি ও থাকব, দোয়া করবেন আমার জন্যে যেন কোন বিপদে না পড়ি।

পাঠ ও ভীষন সুইট মন্তব্যে থ্যাংকস ভাইয়া।
শুভকামনা রাশি রাশি!

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পাইছি তোমারে!
এবার আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচাবে সুন্দরী???:P


তোমার অভিযোগ ভুল!
উপর উপর হলেও তোমাদের পোস্ট আমি পড়ি। কিন্তু পরে হয়তো মন্তব্য করা হয় না। আসলে লগইন করা না থাকলে মন্তব্য করা হয় না। আজকে সবাইকে অনুসরণে নিলুম। ব্লগে থাকলে ম্যাওপ্যাও মন্তব্য পাবেই।


আমার দ্বারা নিজের জন্য মেয়ে মানে বউ পছন্দ করা সম্ভব নয়। সবাইকেই আমার ভালো লাগে, কাকে রেখে কাকে বিয়ে করবো???:P

তবে কাজী হিসেবে নকিব ভাই ফাইনাল!!:P

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা? অন্য কাউকে বাঁচাতে হবে কেন? আমি নিজেই নিজেকে বাঁচাতে পারি। আর আপনি আমাকে হাতে পাননি মিস্টার হিরোগিরি ফলানো ভিলেন! :D

নাহ ওটা আমার অভিযোগ ছিল না কৌতুহল ছিল। কেননা বেশিরভাগ পোস্টেই এমন মন্তব্য থাকে তাই ভাবি পরে সময় করতে পারেন পড়ার? মনে থাকে? পুরো লেখা পড়েন, না শুধু চোখ বোলান? এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্যেই জানতে চেয়েছিলাম, আর জেনে গেলাম।

হাহা, এক কাজ করুন এমন কোন দেশে চলে যান যেখানে বিয়ের লিমিট নেই। ;) শয়ে শয়ে বিয়ে করবেন এবং সহব্লগারদের দাওয়াত দেবেন।

হাহা, ঘটক হবেন সম্রাট সাহেব, আর কাজী হবেন নকিব সাহেব। বাহ! সব সেট, শুধু পাত্রী খোঁজা বাকি। বিয়ের ফুল ফুটল বলে। :D

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তোমার পোস্ট আমি বিকেলেই পড়েছি।


একা একা ঘুরতে গিয়ে পাগলের পাল্লায় পড়েছিলে। পরে দৌড় দিয়ে দিক হারিয়েছিলে। গল্প শেষ।


আমিও একবার দিক হারিয়েছিলাম। রিক্সাওয়ালা একটু বেশী ভাড়া নিয়েছিল এই যা।


তোমার কোন ভাই বোন নেই!
আহা! তোমার তো বড় কষ্ট!!!!!:(

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, পাঠে ধন্যবাদ।

আরেকটু যত্ন নিয়ে পড়লে এত নিরস ভাবে গল্প শেষ করতে পারতেন না! গল্পের ভেতরের গল্পগুলোকে খুঁজে পেতেন! :)

যাই হোক, নাহ কষ্টের কিছু নেই। সবার সবকিছু লাগেনা।

ভালো থাকুন।

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

কেএসরথি বলেছেন: পর্ব ৪ পর্যন্ত পড়লাম।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! প্রথম থেকে শুরু করেছেন! অনেক উৎসাহিত হলাম। ধন্যবাদ। আশা করি পর্বগুলো ভালো লেগেছে আপনার, এবং সামনের পর্বগুলোও সময় করে পড়বেন।

সবসময় ভালো থাকুন।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এভভেঞ্চার বটে! ভেবেছিলাম, বাড়ি ফিরতে পারেননি! পরে যখন মনে হলো, বাড়ি না ফিরলে লিখলেন কীকরে(?), তখনই ভয়টা গেল কেটে।
এব্রোজিনালদের গুন্ডা ভাবাও কিন্তু রেইসিজম। মাথায় রাখবেন।
লিখেছেন ভাল।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! কেন? আমার ভূতও তো লিখতে পারত? ;)

আরেহ! আমি আবার কখন বললাম এবরিজিনালরা গুন্ডা? ওদের মধ্যে ক্রাইম রেট বেশি এবং তার কারণ পেছনের বৈষম্যভরা দিনগুলো সেটা পেপারে এসেছিল। আর বেশি মানে এই না যে আমি বিশ্বাস করি সবাই ওমন। আমার এক বন্ধু আমেরিকায় কিছু বছর ছিল, সে বলেছিল যে আমেরিকায় ব্ল্যাকদের মধ্যে ক্রাইম রেট অত্যাধিক বেশি। আসলে কোন একটি গোষ্ঠী বৈষম্যের শিকার হলে তাদের উঠে দাড়াতে অনেক সময় লাগে। অর্থনৈতিক দারিদ্রতা পূর্বপুরুষ সূত্রে পেয়ে যায়, এবং সেই অভাবের কারণে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। আমার বাবা আমাকে বলেছিল রাস্তায় হোমলেস, মাতাল এবরিজিনাল দেখলে এড়িয়ে যেতে। কেননা তারা অনেকসময় টাকা না পেলে এটাক করে বসে। কিন্তু স্কুলে, ভার্সিটিতে বা কোথাও চাকরিরত এবরিজিনাল অথবা অন্য যেকোন দেশী মানুষের সাথে মেশার সময়ে নিশ্চই আমি গায়ের রং, জাতি দেখিনা, বিশেষত যেখানে আমি নিজেই এক মাইনোরিটি! আশা করি আমি কি বলতে চেয়েছিলাম লেখায় সেটা বোঝাতে পেরেছি।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। উৎসাহিত হলাম।
অনেক ভালো থাকবেন।

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি গত পর্বের লেখাটি যথারীতি মন্তব্য দেখার জন্য কয়েকবার পরেছিলা। ব্লগার সুহাসএর মন্তব্যে কুইজের উত্তর পেয়ে আমার মনে হচ্ছিল এটাই যৌক্তিক উত্তর! আমার ধারণা ঠিক হয়েছে। :)

আপু, ডিসকভারি চ্যানেলে অস্ট্রেলিয়ান এবরিজিনদের নিয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখেছিলাম, সেখানেও এবরিজিনদের অবস্থা ঠিক আপনার কানাডার মত, খুব আশ্চর্য লাগছে, দুই প্রান্তের দুই দেশের আদিবাসীদের স্বভাব এভাবে মিলে গেলো কিভাবে?

এই পর্বটা অনেক ভালো লেগেছে আপু। আমার কেন যেন খুব করে মনে হচ্ছে পরের পর্বটাতে আরও কোন চমক আসছে! ;)

আপু আপনি এখনো সুস্থ হননি? খুব ইরেগুলার হয়ে গেছেন। আপনি কিছু লিখুন বা না লিখুন আপনাকে অনলাইন লিস্টে দেখলেই আমার ভালো লাগে। জানি এটা একধরনের বোকামি, আমি এধরনের বোকাই বলতে পারেন। :) আশা করি এরকম ডেডলি ইরেগুলার হয়ে যাবেন না। গেট ওয়েল সুন আপু!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হৃদি আপু!

শুধু সেই দুটো দেশই নয়, আমাদের দেশেও তো পাহাড়ি আদিবাসিদের অনেক কষ্ট। তেমনি করে ব্ল্যাকরাও একসময় পৃথিবী ব্যাপি হোয়াইটদের কাছ থেকে নির্যাতিত হয়েছিল। নির্যাতন এমনি, আগুনের মতো ছড়িয়ে পরে এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে। যেমন এখন মুসলিমদের নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে।

দেখা যাক, পরের পর্ব নিয়ে আপনার ভাবনা ঠিক হয় কিনা!

হ্যাঁরে সুস্থ্য হইনি, আমার এই এক সমস্যা। অসুখ বিসুখ একবার ধরলে সহজে যায়না, ফিরে ফিরে আসে।

আমিও বোকামতী, আসেন হাত মেলাই। :)

তবে আপনার এই ব্যাপারটি বোকামি নয়, ভীষন রকম আন্তরিক না হলে এভাবে ভাবা যায়না। আমিও শুরুর দিকে আমার প্রিয় ও মুখচেনা ব্লগারদের একসময়ে অনলাইনে খুঁজতাম, কিন্তু অনেক প্রিয়রা ইরেগুলার হবার সাথে সাথে অভ্যাসটি হারিয়ে গেল!

পাঠ ও বরাবরের মতোই অসম্ভব সুন্দর ও আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস।
সবসময় হাসতে খেলতে থাকুন।

১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বেশ কয়েকদিন পর এলাম। মিস বোকামতী কেমন আছে? অসুস্থতা কি আছে এখনও? তাকে দেখা যাচ্ছে না কেন?

এই পর্বটা বেশ ভালো লেগেছে। মিস বোকামতীর সাহসের তারিফ করতে হয়। এরপর একা একা বের হলে হাতে চক নিয়ে বের হবেন। এখানে ওখানে চক দিয়ে চিহ্ন দিয়ে রাখবেন যাতে হারিয়ে গেলেও চিহ্ন দেখে দেখে বাসায় ফিরতে পারেন। :P

আর মন্ডল থুড়ি পাঠকের প্রতিক্রিয়া ভাই তো দেখি বিয়ের জন্য একেবারে উতলা হয়ে গেছেন! নিজের বিয়ের কথাটা মুখ ফুটে নিজে বলতে পারছেন না দেখে আরেকজনের জন্য বিয়ের পাত্রী খোঁজার বাহানায় নিজের বিয়ের কথাটাও তুলে ধরছেন। :P

তা মন্ডল ভাইয়ের জন্য খোঁজ এ আছে নাকি এমন পাত্রী? :P :P

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মিস্টার বোকা ঠিকভাবে দোয়া করেনি, তাই মিস বোকামতী এখনো সুস্থ্য হয়নি। মোটামুটি আছি রে। সেজন্যেই ইরেগুলার আরকি।

হেহে আলিফ লায়লা! আলিফ লায়লা! দেখে আপনার মাথায় এই বুদ্ধি এসেছে, না? ;)

আপনারা দুটোই বিয়ের জন্যে পাগল, কেউ কারো চেয়ে কম না। :P দুজনে বুদ্ধি করে এই কথা তুলে ব্লগারদেকে পাত্রী খোঁজার ইশারা দিচ্ছেন। জানি আমি সবই জানি। ;)

কেনওওও? মন্ডল ভাইয়ের পাত্রীর বান্ধবী, বোনদের দিকে নজর দেবেন মনে হচ্ছে! :P

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: আবারও সপ্তাহখানেক দেরিতে পড়তে বসলাম আপনার পোষ্ট.......কয়েকদিন ব্লগে ঢুকতে ইচ্ছা করছিল না......মানুষ আলস্যের দাস :P

সব দোষ আসলে আপনার......বেচারা গুন্ডা আর কোন চারা না পেয়ে 'চেইঞ্জ' চেয়ে বসেছিল, আর কিনা শুনলেন 'চেইন'......দেশে থেকে কানাডিয়ান অ্যাকসেন্ট সম্বন্ধে ধারণা নিয়ে রাখলে ঝামেলা হত না, কী বলেন? :D .......কেউ যদি ফ্লার্ট করতে চাইত তাহলেতো সে হতভাগার ঘাম ছুটে যেত দেখছি- অবশ্য দুষ্টু-মিষ্টি ব্যাপারগুলোতে ভাষা কেন জানি কোন বাধা না........ দেশ-কাল-পাত্র ভেদে সবাই বুঝে নেয়! হয়েছিল নাকি এরকম আপনার সাথেও? কখনো বলেছেন বলে মনে পড়ছে না :)

যাই হোক অভিজ্ঞতাটা মারাত্মক রোমাঞ্চকর ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না......অচেনা ভাষা আর মানুষের ভিনদেশে অতটুকু বয়সে হারিয়ে যাওয়াটা মামুলি কোন ঘটনা না.......দেশে থেকেই ছোটবেলায় এরকম হারিয়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় পড়ার কত ঘটনা ঘটেছে- এখন যদিও কিছুটা হাসি পায় মনে পড়লে কিন্তু সেগুলো একেকটা আসলেই আজীবনের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারত......উপস্থিত বুদ্ধিই তখন সম্বল!!

কয়েকদিন পর আজ ভাদ্র মাসের বৃষ্টি নামল.......বৃষ্টির নির্মল শুভেচ্ছা পোষ্টে ;)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি সপ্তাহখানেক পরে পড়তে বসেছিলেন, তার শাস্তি স্বরূপ কত পরে প্রতিমন্তব্য করছি দেখুন! আর দেরী করবেন? হাহাহা জাস্ট কিডিং, নানা কারণে এমন দেরী হলো! রিয়েলি সরি ফর দ্যাট।

দেশে থেকে ধারণা নেওয়া এখনকার ডিজিটাল, নেট সমৃদ্ধ বাংলাদেশে অনেক সহজ, তখন এত বেশি সহজ ছিলনা।

হুমম, সেটা ঠিক, প্রেম নিজেই তো নিজের মতো করে একটা ভাষা, তার জন্যে অন্য কোন ভাষার দরকার হয়না। ;) হুমম লিখেছিলাম বোধহয় এমনকিছু কোন পর্বে।

হুমম, আসলেই, এখনো ভাবলে বা লেখার সময়েও রোমাঞ্চটা অনুভব করছিলাম। অনেক শিশু এভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়, মারাও যায়, ব্যাপারটি আসলেই সিরিয়াস। শৈশব ও কৈশোরের এই ঘটনাগুলো বিপদ ডেকে আনলে জীবন বদলে যায় পুরোপুরি ভাবে! তেমন বিপদ যেন কারো জীবনে না আসে।

শীতের মিষ্টি কোমল সূর্যের স্বর্নালি শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.