নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬ টি চরম ক্ষতিকর জিনিস যা আপনার বাচ্চা স্কুলজীবনে শিখছে। বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সচেতন করুন তাকে এখনই!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

একটি শিশুর ব্রেইন ৫ বছর বয়সে এডাল্ট ব্রেইন সাইজের খুব কাছাকাছি চলে যায়। গবেষকরা এও বলে থাকেন যে মাত্র ৫ থেকে ৭ বছর বয়সে একটা বাচ্চা ব্যক্তিত্ব গঠনের প্রবণতা দেখায়, এবং অনেকসময় ব্যক্তিত্বের অনেকটাই বিকশিত হয়ে যায়। ছোটকালের খারাপ অভ্যাস, কথাগুলো বড়বেলায় ছাড়া তাই খুব মুশকিল হয়ে যায়। বিদ্যালয় থেকে সুবিদ্যার আলোতে যেন আপনার সন্তান বের হয়ে আসে সেটাই নিশ্চই চান। কিন্তু স্কুল থেকেই অনেকসময় গড়ে ওঠে কিছু খারাপ অভ্যাস। জেনে নিন সেসবের ব্যাপারে এবং সচেতন হোন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১) কারো দুর্দশায় হাসাহাসি!

আমাদের দেশে স্কুলে নানা ধরণের শাস্তি রয়েছে। বোর্ডের সামনে গিয়ে এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা, কান ধরে বেঞ্চের ওপরে দাড়িয়ে থাকা পুরো ক্লাস, হাত সামনে পেতে বেতের মার, নানা সাইজের স্কেলে অপরাধ অনুযায়ী মার, ঘাড় ধরে ঝাঁকুনি, কান মলে দেওয়া ইত্যাদি। অনেক শাস্তি শিক্ষকেরা ইচ্ছে করে লজ্জা দেবার জন্যে দেন। যেমন এক স্টুডেন্টকে দিয়ে অন্য স্টুডেন্টে কান মলে দেওয়া। আর কেউ শাস্তি পেলে পুরো ক্লাস জুড়ে হাসির রোল বয়ে যায়। হাসাহাসির বিষয়টিতে শিক্ষকেরাও অনেকসময় কিছু বলেন না, নিজেও হাসিতে যোগ দেন।

শিক্ষকেরা এই কাজটি ভালো মনেই করেন। তারা ভাবেন আজ লজ্জা দিলে কাল বাচ্চাটি হোমওয়ার্ক করে আসবে। তবে শিশুর মনোজগৎ এত সহজ হিসেবে চলে না। প্রথমত শিক্ষকের শাস্তি দেবার ব্যাপার একদমই ভুল। এসব শিশুর মনে মারাত্মক বাজে প্রভাব ফেলে। সে হীনমন্যতায় ভুগতে ভুগতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। বড়দের এটা মনে রাখতেই হবে যে শিশুদেরও মান অপমান বোধ থাকে, এবং সেখান আঘাত করা অপরাধ। ক্লাসের সবাই হাসাহাসি করে বলে কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেনা। সবমিলে একা একা স্কুলজীবন অনেক কষ্টের হয়ে যাওয়ায় স্কুল মিস দিতে থাকে। আর সেই টাইমটা পাড়ার বখাটে ছেলেমেয়েদের সাথে মিশে বেড়ায়।

যার ওপরে হাসা হচ্ছে শুধু সেই নয়, যেসব বাচ্চারা হাসছে তারাও কিন্তু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ছোট থেকে তাদের মাথায় গেঁথে যাচ্ছে যে অন্যের শাস্তি ও লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে সমব্যাথী না হয়ে হাসতে হয়!

অনেক ছোটকালে, তখন বোধহয় থ্রি তে পড়ি, আমাদের ক্লাসে একটি ছেলে ছিল, সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। টিচারের প্রশ্নের জবাবে কিসব বিড়বিড় করে বলত। তার বাবা মা স্কুলকে অনেক টাকা দিয়ে ভর্তি করিয়েছিল। সে যখনই আবোলতাবোল বকা শুরু করত, পুরো ক্লাস হাসত! কেউ একটু অন্যরকম হলেই হাসতে হয় সেটা আমি স্কুলের সবাইকে দেখে শিখে গেলাম।
একদিন বাড়িতে এসে খুব রসিয়ে মাকে গল্প করছি ছেলেটির ব্যাপারে। মা আমাকে বলল, "ছি মা! ওর জায়গায় তুমিও থাকতে পারতে। আল্লাহর কাছে শোকর কর যে তোমার তেমন পরীক্ষা তিনি নেননি। ছেলেটির বাপ মার ই না কত কষ্ট! আহারে! কখনো অসহায় কাউকে নিয়ে হাসবে না!"
আমার মাথায় মায়ের সেই শিক্ষা যে একবার ঢুকল আর বের হয়নি। টিচারেরাও অবাক হয়ে যেতেন, এই একটা মেয়ে কারো ওপরে হাসিঠাট্টা করেনা! অন্যরকম স্নেহ করতেন আমাকে সেজন্যে সবাই।

আমার মাকে আমি স্কুলে হওয়া প্রতিটি ঘটনা বলতাম। মা শুনতেন, উপদেশ দিতেন। এই কালচারটি প্রতি ঘরে ঘরে তৈরি করতে হবে। অফিস, ব্যাবসা, সংসার, টিভি, বিনোদন যতো যাই প্ল্যান থাকুক না কেন, প্রতিদিন নিজের বাচ্চার সাথে গল্প করুন। তার বন্ধুরা কেমন, টিচারেরা কেমন ব্যবহার করছে কৌশলে গল্পের ছলে জেনে নিন। শিক্ষকের সাথে সাথে পরিবারকেও মারধোরের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যদি শোনেন আপনার বাচ্চাকে মারধোর করা হয় ক্লাসে তবে সেই টিচার এবং হেডমাস্টার/হেডমিস্ট্রেসের সাথে কথা বলুন। আপনি সচেতন হলে আপনার বাচ্চার প্রতিও সচেতন হবে সবাই। আর সন্তানকে ঠিক ভুল শেখান। তাহলে বড় হয়ে সে কারো কষ্টে হাসবে না, বরং পাশে দাড়ানোর মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠবে।

২) হোমওয়ার্ক, এক্সামে বন্ধুদের কাছ থেকে কপি করা!

আজকাল শুনি বাবা মা নিজেরাই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন! বিশ্বাস হয়না! সন্তানের ভালো মার্ক, ও ক্যারিয়ারের জন্যে তাদের মূল্যবোধের বিষয়টি দেখেনই না! আর অনেকে প্রত্যক্ষভাবে কিছু না করলেও, এ বিষয়ে তেমন সচেতনতা দেখান না।

পরীক্ষার সময়ে বাচ্চাকে সাধারণত যে কথাগুলো বলা হয়:

১) ভালো করে পরীক্ষা দিস।
২) সহজ প্রশ্ন আগে করে মার্ক তুলে নিয়ে কঠিন গুলোতে হাত দিস।
৩) ঠান্ডা মাথায় লিখিস।
৪) সময়ের মধ্যে সব শেষ করিস।
৫) হাতের লেখা, বানানের দিকে নজর দিস।
৬) যদি পরীক্ষা খারাপ হয় তো দেখিস তোকে কি করি!

ওপরের কথাগুলোতে ভুল কিছু নেই, বলা উচিৎ। কিন্তু পাশাপাশি পরীক্ষা যেমনই হোক কারোটা দেখে লিখিস না এমনটা আমি ছোটবেলায় কোন আংকেল আন্টিকে বলতে শুনিনি। সবাই ব্যাস ভালো পরীক্ষার ব্যাপারে জোর দিত। অনেক আন্টি আবার আমাকে বলত যে, "মা, ও না পারলে একটু দেখিয়ো!" ভাবতে পারেন?

আপনি ভাবছেন এভাবে আপনার সন্তান জীবনে উন্নতি করবে। আর ছোট বয়সে দু একটা প্রশ্ন কারো থেকে দেখে লিখলে কি হবে? কিন্তু সত্যি হল সাময়িকভাবে সে ভালো করলেও ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যাবে। তার মনে হবে চিটিং করা খারাপ কিছু নয়। অন্যের ঘাড়ে করে খাওয়ার নামই জীবন। সাফল্য যেভাবে আসুক কোন ব্যাপার না। নীতি আদর্শ জরুরি না। এভাবে জীবন চালাতে চালাতে বয়স বাড়বে, এবং আপনার সন্তানের ভুল গুলো বড় হতে থাকবে। জীবনের কোন এক পর্যায়ে সে ঠোকর খাবে, বিপদে পড়বে। তাই নিজের সন্তানকে অন্যের পরিশ্রমের ওপরে ভর দিয়ে নয়, কঠোর পরিশ্রম করে ভালো মার্ক অর্জন করতে বলুন। এতে করে সে জীবনে সার্বিকভাবে উন্নতি লাভ করবে।

৩) অপোজিট সেক্সের ব্যাপারে!

আপনার সন্তান স্কুলে অন্য জেন্ডারের মানুষের সাথে মিশবে, খেলবে, পড়বে। তাই কিছু ব্যাপার তাকে শেখাতে হবে কম বয়সেই।
ছেলেদেরকে মেয়েদের দিকে ঠিকভাবে তাকানোর, ভদ্রভাবে কথা বলার ব্যাপারে উপদেশ দিন কৈশোরে পা রাখা মাত্রই। একজন নারী যে মানুষ, তারও আত্মসম্মানবোধ, ইচ্ছে অনিচ্ছে আছে সেটা ছোট থেকেই ছেলেদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। একজন মা কে বিশেষ করে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। নারীদের খারাপ লাগা ভালো লাগা তিনিই সবচেয়ে ভালো বোঝাতে পারবেন। আর বাবাকেও খুব সতর্ক থাকতে হবে যেন তিনি সন্তানের মায়ের সাথে সম্মানজনক আচরণ করেন।

পরিবারে ছেলেকে বেশি খাবার দেওয়া, ছেলে রাত করে ফিরবে মেয়ে বিকেলেই, এমন সব নিয়ম রাখা যাবেনা। স্কুলে শিক্ষকেরা "মেয়ে হয়ে এত দুষ্টু!" এমন কিছু বলতে পারবেন না। ছেলেরা ভাববে দুষ্টুমি ও শয়তানির স্বাধীনতার শুধু তাদেরই আছে। মেয়েদের কাজই বেশি মানিয়ে গুছিয়ে চলা এবং তারা মেয়েদের চেয়ে সুপিরিওর একটি প্রাণী। এমন সব ভুল ভাবনা যেন ছেলেদের মাথায় প্রবেশ না করে। যা নিয়ম হবে সমান হবে। আপনার ছোট ছোট কথা, আচরণ কিন্তু সে পিক করছে আপনারই মনের অজান্তে। তাই খবরদার দেরী করবেন না। কোন বাচ্চা ধর্ষক হয়ে জন্মায় না, অল্পবয়সেই একজন ছেলেকে যদি নারীর সম্মান নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়, তবে পুরুষ হবার পরে তারা ধর্ষন, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপের মতো অপরাধ করবে না।
মেয়ে শিশুদেরও সাবধানে থাকার ব্যাপারে বলুন। কোন শিক্ষক, সহপাঠী, পাড়ার ভাই, দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে যেন নির্জন জায়গায় না যায় সেটা জানিয়ে দিন। কেউ বিরক্ত করলে সাথে সাথে যেন বাড়িতে জানায়। যে জামানায় তিন বছরের বাচ্চাও ধর্ষিত হয় সেখানে সাবধান থাকা ছাড়া পথ নেই।

যে বিষয়গুলো নিয়ে বললাম সেগুলো নিয়ে সন্তানের সাথে কথা বলা অস্বস্তির হতে পারে, তবে তার ও সমাজের সুস্থ ভবিষ্যৎ এর জন্যে বলতেই হবে। আর একেবারে নিজে না পারলে তার কোন চাচা/মামা/ফুপি/খালা যার সাথে ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক, তাকে দায়িত্বটা দিয়ে দিন। আগেকার দিনে যৌথ পরিবারে থাকার দরুণ একটি বাচ্চাকে গাইড করার অনেকেই থাকত। আজকাল সেটা নেই, সব দায়িত্ব চাকুরিজীবি বাবা মায়ের ওপরে। সারাদিন অফিস সংসার সামলে তারাও শিশুকে সময় দিতে পারছেন না। ব্যাপারটি আমাদেরকে কোথায় যে নিয়ে যাবে সেটা ভেবেই আমি ভয় পাই!

আমার অনুরোধ থাকবে যে যদি মনে করেন একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনার পরে তাকে যথাযথ যত্ন ও সময় দিতে পারবেন না, তবে শুধু মাত্র পরিবার ও সমাজকে খুশি করার জন্যে মা বাবার টাইটেলটা নিয়ে বসবেন না। যারা "বাচ্চা নাও, বাচ্চা নাও" বলে চিল্লাচ্ছে তারা এক বেলা আপনার বাচ্চার খেয়াল রাখতে আসবে না। শিশুর জন্যে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে বাবা মা কাউকে একটু স্যাকরিফাইস করতেই হবে। দুজনেই যদি সকালে বেড়িয়ে রাতে ফেরে তবে সমস্যা। হয় যৌথ পরিবারে নানা নানী, দাদা দাদীর সাথে থাকুন বাচ্চা মানুষে সাহায্য পেতে। অথবা দুজনের একজন চাকরি না করে বা পার্ট টাইম জব করে শিশুকে সময় দিন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনেন তবে তার সুস্থ ও সুন্দর জীবন, উন্নত মূল্যবোধের বিষয়টি আপনার দায়িত্ব।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

লেখিকার শেষ কিছু কথা: ছয়টির সবগুলো দেওয়া গেল না, কেননা পোস্টটি বেশি বড় হয়ে যাচ্ছিল। পরের পর্বটি জলদি দেবার চেষ্টা থাকবে, সবাই পড়বেন দয়া করে। কিছু জরুরি পয়েন্ট সেখানে ডিসকাস করব।

ওহ, লেখার আইডিয়াটি আসে একটি ঘটনা থেকে। বেশ কিছু বছর আগে আমার এক কাজিন সে টু তে পড়ত বোধহয় তখন, তার টিচার হোমওয়ার্কের লেখায় মিল খুঁজে পায় অন্য দুটি বাচ্চার সাথে। একই জায়গায় কাটাকাটি, একই বানান ভুল করেছে তিনজনই। প্যারেন্ট কল হয়, আমার চাচী রেগে আগুন।
বাচ্চাকে বকে খুব। আমার কাজিনটি তখন খুব ইন্নোসেন্ট গলায় বলে, "সবাই তো করে, কেউ তো বলেনি এটা ব্যাড!"

ঘটনাটি ঘটার টাইমে আমি ছিলাম না, শুনেছি ফোনে যে এমন হয়েছিল। প্রথমে হেসে ফেললেও পরে ব্যাপারটি খুব নাড়া দিয়েছিল আমাকে। আসলেই তো, বাচ্চাদেরকে ফার্স্ট হতেই হবে এই শিক্ষা তো পরিবারের সবাই দিয়ে দেয়। কিন্তু চরিত্রগত দিকগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা কজন করে? তিনজনই খুব সরল মনে কপি করেছিল, ওরা বোঝেইনি এটা অন্যায়! এজন্যেই তো কাটাকাটি গুলো পর্যন্ত এক ছিল! সেটা ছোট ব্যাপার ছিল। একবার আমাদের দেশে একটি ধর্ষনকান্ড হয়, বড়লোকের সেই ছেলেগুলো বলে তারা নাকি জানতই না ধর্ষন শাস্তিযোগ্য অপরাধ! পার্টিতে অহরহ তারা এসব করেছে! শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে!
পেপারে, ক্রাইম শোতে শিশু, কিশোরদের অধ:পতন দেখছি। ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রেম, ব্রেকআপ, ড্রাগস, গ্যাং, বিপদজনক বাইক স্ট্যান্টস কতকিছু করছে ছোট ছোট বাচ্চারা! অবাক হয়ে যাই। পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব এর পেছনে অনেকাংশে দায়ী। বাচ্চারা কাদামাটির মতো। একবার একটা শেপে আসার পরে তাদেরকে আর পাল্টাতে পারবেন না। তাই এখন থেকেই সাবধান হোন!

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পাগলু, পাগলু!
তুমি কি দিনদিন কুনোব্যাঙ হয়ে যাচ্ছো?



পুনশ্চঃ
পয়েন্টগুলো সমীহ করার মত। তবে বর্ণনাগুলো একটু বেশী বড় হয়েছে, অন্তত আমার জন্য। (রচনা লিখতে বসেছো নাকি হে?? :P)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের মাথা মুন্ডু বুঝতে পারিনি, মাফ করবেন।

ধন্যবাদ। হুমম, বর্ণনা করে লেখারই প্রয়াস ছিল। একটি টপিকের সাথে অন্য অনেক টপিক জড়িত। সবই জরুরি। বাদ দিলে মনটা খচখচ করত। একটি পার্টিকিউলার পয়েন্টের সব গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো যেন বর্ণনায় আসে সেই চেষ্টা ছিল। এজন্যেই দুটো পর্ব করব। একপ্রকার রচনাই বলতে পারেন। সমস্যা নেই।

আপনি পড়ার পরে (সে উপুর উপুর পড়াই হোক বা ডিটেইলে) মন্তব্য করেছেন বলে ধন্যবাদ।
সকল শুভেচ্ছা।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১২

পল্লব কুমার বলেছেন: আজকাল সবাই বলে এই সমস্যা সেই সমস্যা। আমি তো মনে করি সমস্যা এখানেই, এই গোড়াতেই। শুরুতেই কোনো জিনিস ভুলভাবে অনুধাবন করলে তা থেকে বের হয়ে আসা কঠিন। আমাদের অধিকাংশ এইসব ছোটখাট বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। কিন্তু এই ছোটো খাটো বিষয় থেকে যখন বড় কোনো সমস্যা হয়, তখন এর কিনারা আর খুজে পায় না। লিখায় অনেক ভালোলাগা। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এক্সিলেন্ট একটা কথা বলেছেন! বাহ! এটাই আমিও লেখায় বোঝাতে চেয়েছি। ছোটরাই তো ভবিষ্যৎ। তাদেরকে যদি ঠিকভাবে মানুষ করতে না পারা যায় তবে পৃথিবী কোন দিকে যাবে বলুন তো? এখনো যারা পৃথিবীকে বরবাদ করছে, তাদেরকেও নিশ্চই ঠিক শিক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধ দেওয়া হয়নি। সবাই তো নিষ্পাপ হয়েই পৃথিবীতে আসে। সেই কোমল, স্বচ্ছ মনকে ধরে রাখতে পরিবার ও সমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলেই কোন দেশে কোন দূর্নীতি, অপরাধ, অন্যায় হবেনা।

সুন্দর একটি মন্তব্যে থ্যাংকস এ লট। ভালো লাগায় উৎসাহিত হলাম।
শুভকামনা!

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি কি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন?
এর থেকে পরিত্রান পাওয়া খুব দরকার।
শিক্ষক এবং বাবা মা সচেতন হলে এই সমস্যা সমাধান সহজ হয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না রে ভাই, নিজের বাচ্চা মানুষ করার অভিজ্ঞতা নেই। তবে চাইল্ড সাইকোলজি এবং ওভারঅল সাইকোলজি নিয়ে পড়ার সখ আছে। আর চারিপাশে যা দেখছি, সবকিছু মিলিয়েই পোস্টটি লিখেছি।

শিক্ষক এবং বাবা মা সচেতন হলে এই সমস্যা সমাধান সহজ হয়।
সহমত। একদম ঠিক কথা বলেছেন। বড়দের ভুলে ছোটদের যেন সাফার করতে না হয়। সচেতনতা ছাড়া উপায় নেই।
শুভকামনা।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

এ.এস বাশার বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট । সবার জানা দরকার বিষয় গুলো... পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম...
শুভকামনা রইলো......

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভীষনভাবে উৎসাহিত হলাম।

আশা করি পরের পর্বেও পাশে থাকবেন।
শুভেচ্ছা।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আরে! কুনোব্যাঙ কথাটা মজা করে বলেছি। ওটা মানে ঘরকুনো, মানে নিজের পেজেই পড়ে থাকা।(এসব কথা ফান হিসেবে নিলে ভালো হয়...)

আরেকটা পয়েন্ট বাদ পড়েছে!
বাচ্চারা আজকাল যেভাবে ফটফট করে মিথ্যে বলা শিখছে!!! তবে মজাটা হলঃ "সন্দেহ হলে ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে হবে, কীরে সত্যের যুধিষ্ঠির? মিথ্যে বলিস কেন?" দেখবে কেমন মুচকি মুচকি হাসে??(মানে সে আসলেই মিথ্যে বলেছিল....);)


@কারো দুর্দশায় হাসাহাসি করা
ছোটদের আর কি বলবো? ক্লাসের বন্ধুরা মাইর খেলে, দাঁতটা অটমেটিক বের হয়ে যেত!!:P


@হোমওয়ার্ক, এক্সামে বন্ধুদের কাছ থেকে কপি করা!
... ক্যাম্পাসের এমন কাউকেও পাইনি যে কোনদিন কারো ল্যাব রিপোর্ট কপি করে নি। এমন কি এরকমও পাবলিক ছিল, তাড়াহুড়ো করে কপি করতে গিয়ে রোল নাম্বারটাও কপি করেছে। (সিরিয়াসলি) :D
বুড়োরাই যদি আকাম করে বাচ্চারাতো ....

@ অপোজিট সেক্সের ব্যাপারে!
পোস্টেই সবটা সুন্দরভাবে বলা আছে। তবে ছোট থাকতে আমি বড় আপুদের সাথে খেলতাম, পরে এসে ইহা আমার বহুত কাজে লাগিয়াছে। ;)




পুনশ্চঃ
লেখাটা পড়তে গিয়ে একটা আইডিয়া মাথায় এসেছে। সময় করে একটা পোস্ট দেব.....

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আসলে বুঝতে পারিনি কথাটির মানে। আন্দাজে জবাব দেবার তো মানে হয়না। কুনোব্যাঙ নামে ব্লগার আছেন, ভাবলাম তার সাথে রিলেট করে কিছু বলছেন কিনা। পরে মনে হলো না তা কেন হবে? বুঝতে পারিনি ঠিকভাবে। এখন বুঝলাম।
হ্যাঁ রে, তা ঠিকই, আজকাল ব্লগে বেশি সময় দিতে পারছিনা। এলে নিজের আধা আধি লেখাগুলো শেষ করছি। আর পোস্ট করছি। ব্যাস তারপরেই চলে যাচ্ছি।

হিহি, বাচ্চাদের মিচকে শয়তানি হাসি যে কিউটটটট! দেখলেই আদর করে দিতে ইচ্ছে করে।

অন্যকে নিয়ে হাসাহাসির অভ্যাস তো ছোট থেকে তৈরি হয়।
হাহাহা! রোল নাম্বারও কপি! হাসতে হাসতে শেষ! এখানে কপি করে পার পাওয়া যায়না। টিচারেরা নানা সফটওয়েআর ব্যবহার করেন এটা জানার জন্যে যে নেট থেকে কপিড কিনা। এটাও খেয়াল করেন যে অন্য স্টুডেন্টদের সাথে মিলে আছে কিনা। ধরা পরলে পরিণতি মারাত্মক। কিন্তু একটা ব্যাপার এখানেও হয়, কোন গ্রুপে ৫ জন থাকলে, দুজনের পরিশ্রম করে, বাকিরা ঝিমায়। হাহা।

তবে ছোট থাকতে আমি বড় আপুদের সাথে খেলতাম, পরে এসে ইহা আমার বহুত কাজে লাগিয়াছে।
আপনার বড় মন্তব্যের এই লাইনটিতেই জাতির দৃষ্টি আটকাইয়া গিয়াছে। ;) জাতি জানিতে চায়, কিভাবে খেলাধূলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়াছিল? :P

আচ্ছা ঠিক আছে, দিয়েন।
শুভকামনা।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

অধৃষ্য বলেছেন: কেমন আছেন সামু পাগলা ওও সেভেন? লম্বা বিরতির পর নতুন করে যোগ দিয়েছি ।

বাচ্চাদের শাস্তি এখন আর তেমন নেই । অন্তত আমাদের সময়ের সময়ের তুলনায় প্রায় নেই বললেই হয় । তবে দেশে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন শিক্ষক মাঝে মাঝে পত্রিকায় উঠে আসেন ।

নকল করা বিষয়টা এবং প্রশ্নফাঁস, এই দুটো বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সমস্যা । প্রশ্নফাঁস নিয়ে সুশীল সমাজের কিছু কথাবার্তা শোনা গেলেও নকল নিয়ে সবাই চুপ । নকল আর দূর্নীতি একই কায়দায় চলছে । দূর করতে হলে পুরো সিস্টেম বদলাতে হবে ।

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সচেতনতা জরুরি একটা বিষয় । স্কুলে থাকতে বাচ্চাদের একেবারে কড়াকড়ির মধ্যে রাখা হয় । কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তারা একেবারে স্বাধীন হয়ে পড়ে । ফলে প্রায়ই রাস্তায় দেখা যায় ...। তাই ছোটবেলায় তাদের ঠিকমত বুঝিয়ে দিতে হবে । বড় হলেও খোঁজখবর নিতে হবে ছেলেমেয়েরা কোথায় কী করছে । না হলে অজাচার দূর হবে না ।

পরের অংশটুকু কালকের মধ্যেই চাচ্ছি । বর্ণনা আরেকটু ছোট হলেই ভালো হয় ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক!

আছি মোটামুটি, আপনার কি অবস্থা?

একদম ঠিক। মেরে মেরে রক্ত বের করে দেবার কালচারটি অনেকটাই উঠে গেছে। তবে অখ্যাত মফস্বল ও গ্রামের স্কুলগুলোতে হয়ত পুরোপুরি মারের কালচার যায়নি। আবার আগেকার মারধোর যুগের অনেক টিচার এখনো শিক্ষক, এবং নতুন যুগের নতুন নিয়মের সাথে তারা মানাতে পারেন না।
সবচেয়ে বড় কথা, গায়ে হাত না তুললেও, দাড়িয়ে থাকো কান ধরে টাইপ শাস্তিগুলোকে কেউ খারাপ মনে করেন না। কেননা এতে করে তো শারীরিক অত্যাচার হচ্ছে না। কিন্তু বাচ্চাকে মানসিকভাবেও ভেঙ্গে দেওয়া যাবেনা অপমানে। আলাদা কাউন্সিলরের প্রয়োজন অমনোযোগী বাচ্চাদের জন্যে যারা কৌশলে গল্পের ছলে জানবেন যে আসল সমস্যা কোথায় এবং সমাধান বের করবেন।

জ্বি, সহমত, সিস্টেম গোড়া থেকে বদলাতে হবে।

বড় হলেও খোঁজখবর নিতে হবে ছেলেমেয়েরা কোথায় কী করছে ।
এই কথাটি একদম ঠিক। আমি বেশ কিছুদিন আগে এমনি কিছু কারো ব্লগে মন্তব্যে বলেছিলাম। একটা ছেলে সকাল থেকে বিকেল রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়েদের বিরক্ত করছে। এদের ফ্যামিলি কি একবারো খোঁজ নেয়না ছেলেটা কোথায় কি করছে সারাদিন? তার পড়াশোনার কি অবস্থা? বা যেসব মেয়েরা সারাদিন বাইরে বাইরে উগ্রভাবে চলাফেরা করে, কোন কাজ করেনা, তাদের পরিবার কি ঘুমিয়ে থাকে? খুব অবাক হই এসব ভেবে।

কালই হয়ত দিতে পারবনা, তবে জলদিই দেব। বর্ণনা ছোট বড় নিয়ে বলতে পারিনা, তবে হ্যাঁ অদরকারী কিছু যেন না আসে লেখায় সে চেষ্টা থাকবে।

পাঠ ও ভীষন সুন্দর বিস্তারিত মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ! খুবই ভালো পোস্ট পাগলু আপু ।

একটা বাচ্চার বিকাশে তাঁর পরিবার ও শিক্ষক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাদের উচিত ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়া। কথাবার্তা, আচার আচরন এই বিষয়গুলোতো আমরা পরিবার থেকেই শিখি।

তবে ইদানিং বাবা মায়েরা বাইরের কাজ কর্মে বেশী ব্যস্ত থাকে এবং বেশীরভাগ বাচ্চারা দিনের বেশীরভাগ সময় থাকে কাজের বুয়াদের কাছে তাই এখনকার বাচ্চাগুলো সব দিক দিয়েই যেন পূর্ণ ও সঠিক ভাবে বিকশিত হতে পারছেনা আর শিখছেনা অনেক কিছুই ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কথা আপু! ভালো আছেন আশা করি।

পাগলু বলা আপনিও শিখে গেছেন আপু! হুমম পাঠকের প্রতিক্রিয়ার প্রভাব! ;)

আপনার মন্তব্যের প্রতিটি লাইনের সাথে সহমত। ব্যবহারেই পরিবারের পরিচয়। পরিবার, স্কুল দুটোই খুব জরুরি সুস্থ মন মানসিকতার মানুষ গঠনে। আর আজকালকার দিনে বাচ্চারা বাবা মার ব্যস্ততায় তেমন সময় পাচ্ছে না তাদের কাছ থেকে, মানুষ হচ্ছে অন্যের হাতে। এভাবে কি আর আমরা সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠন করতে পারব?

পাঠ ও দারূণ একটি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আশার কথা হল আমাদের দেশের পিতামাতারা আগের চেয়ে সচেতন হয়ে উঠছেন। এখন অল্পশিক্ষিত পিতামাতাও সন্তানের কল্যানে কি করা উচিৎ অনুচিত এসব ভাবেন। তাদের জন্য আপনার এই পোস্ট অনেক কাজে আসবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ আপনার কথা ঠিক। আর সবারই শিক্ষার ব্যাপারে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অশিক্ষিত কৃষক, শ্রমিকেরাও বাচ্চাকে কষ্ট করে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। শিক্ষার যে কোন বিকল্প নেই সেটা দেশের বেশিরভাগ মানুষ বোঝেন। এটা অসাধারণ একটা ব্যাপার। তবে এখনো নানা সমস্যা রয়েছে।

আগেকার দিনে বেশি কড়াকড়ি একটা সমস্যা ছিল। ডিজিটাল যুগের সমস্যা হচ্ছে মা বাবা টিভি, ফোন, ফেসবুক নিয়ে বেশি ব্যস্ত। বাচ্চার যেটুকু সময় দরকার তা অনেকেই দিতে পারছেন না।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





অনেক গুরুত্ববহ পয়েন্ট বাদ পরেছে!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

এহ বাদ পরেছে! লেখা শেষই তো করিনি। ৬ টার মধ্যে তিনটি বিষয় নিয়ে লিখেছি কেবল। পোস্টে লিখেছি তো যে পরের পর্বে আরো কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে ডিসকাস করব। আমি একেকটি পয়েন্টে আশেপাশের আরো ছোট ছোট পয়েন্ট কভার করার চেষ্টা করছি। তবুও হয়ত অনেককিছু বাদ পরে যাবে, তবে বর্তমানের মেইন সমস্যাগুলোকে সামনে আনার চেষ্টা থাকবে।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভকামনা!

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ছোট বাচ্চাদের উপর যে সকল জিনিসের ইম্প্যাক্ট খুব বাজে প্রভাব ফেলছে তা হল-



১। ফেসবুক আসক্তি

২। বাজে ইউটিউব ভিডিও

৩। টিভির নিম্নমানের বিজ্ঞাপন

৪। মোবাইল গেমস

৫। দাম্পত্যকলহ

৬। পিতামাতার উদাসীনতা ও নৈতিক শিক্ষার অভাব

৭। বাসার পরিবেশে স্মোকিং

৮। স্কুলের শিক্ষকদের বাজে ব্যবহার

৯। বাজে বন্ধু

১০। সৃজনশীল জ্ঞান চর্চার সীমিত সুযোগ

১১। গল্পের বই পাঠের সময়ের অভাব।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এক্সিলেন্ট কমেন্ট! থ্যাংকস এ লট।

পরিবারের কাছ থেকে সময় পায় না বলেই বিনোদনের জন্যে ক্ষতিকর দিকে ঝুকে পড়ছে বাচ্চারা। আমার কাছে পারিবারিক শিক্ষার অভাব, বাবা মার উদাসীনতাই মেইন কারণ বলে মনে হয়। সেজন্যে প্রতি পয়েন্টে আমি সেদিকে জোর দিয়েছি।

আমার সকল শুভেচ্ছা রইল।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন বিষয় উঠে এসেছে সখির পোষ্টে!
সমস্যা হলো কি সেই যে গোড়ায় গলদ! আমাদের জীবন বোধ বদলে গেছে! ধর্মকে ব্যকডেটেড করে পাঠিয়ে দিয়েছে ষ্টোর রুমে!
মুক্ত চিন্তার নামে অবাধ জীবনাচারে আসক্তি! উন্নতির নামে যে কোন উপায়ে অর্থযোগ! মিডিয়ার উন্মুক্ত চর্চা !
না চাইতেও বদলে দিচ্ছে জীবনবোধ! অজান্তেই আসক্ত হয়ে পড়ছে প্রচলিত মন্দ স্বভাবে। খুব কাছ থেকে এ প্রজন্মের বাচ্চাদের দেখছি কর্মের কারণে। ভয়াবহ অবস্থায় অধ্বপতিত! বিকারহীন অভিভাবক। বিচারহীন সামাজিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো। যতদিনে তাদের চোখ ফুটবে ততদিনে বোধকরি কয়েক প্রজন্ম বেরিয়ে যাবে নিয়ন্ত্রনহীন।

এর আরেকটা বড় কারণ একক পরিবার ! যৌথ পরিবারের যে শিক্ষা পরিবারের অন্যদের দাদী, নানী, খালা ফুপি, মামা চাচাদের থেকে পাওয়া যেত, বা একজনের চোখ ফাঁকি দিলেও অন্যদের চোখে ধরা পড়ে যেতে হতো, একক পরিবারে তেমনটি নেই। ফলে ঐশিরা বিকশিত হচ্ছে লাগামহীন। দূর্ঘটনার পর আমাদের টনক নড়ছে, সাময়িক। আবার স্রোতে গা ভাসিয়ে চলছি ভ্রক্ষেপহীন।

এই সচেতনতা বিকাশে মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশী শক্তিশালী। অথচ তারা সবচে বিমূখ। উদাসী। কেবলই বিজ্ঞাপন, অর্থ আর টিআরপির নেশায় বুদ। সমাজিক দায় কারো কারো থাকলেও কেবলই লোক দেখানো। সামষ্টিক ব্যাপকতর আন্দোলন দরকার ভবিষ্যত প্রজন্মের সুরক্ষার জন্যেই। নইলে এ বিষ আমাদে কাউকেই রেহাই দেবেনা। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে ফল ভোগ করতেই হবে।

সৎ, সত্য, সুন্দরের চর্চা বিকশিত হোক। সুরক্ষিত হোক অনাগত প্রজন্ম।


+++

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

কি ভীষননন সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন! কেউ যদি আমার পোস্টে পড়ে সন্তুষ্ট না হয় তবুও আপনার কমেন্ট পড়লে সে খালি হাতে ফিরবে না। চরম সত্যি কথাগুলোকেই টেনে এনেছেন।

আপনার কমেন্ট বেশ কবার পড়লাম। পুরোটাই দারূণ তবে সবচেয়ে প্রিয় কিছু লাইন বোল্ড করছি।

সমস্যা হলো কি সেই যে গোড়ায় গলদ! আমাদের জীবন বোধ বদলে গেছে! ধর্মকে ব্যকডেটেড করে পাঠিয়ে দিয়েছে ষ্টোর রুমে!

সেটা তো একটা ব্যাপার, আবার যারা ধর্ম ফলো করছে তারাও সঠিক ভাবে করছে না। নিজের মতো আয়াত আবিষ্কার করে অন্যায় অনাচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মকে নিয়েও চলছে ব্যাবসা! ছি!

ভয়াবহ অবস্থায় অধ্বপতিত! বিকারহীন অভিভাবক। বিচারহীন সামাজিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো। যতদিনে তাদের চোখ ফুটবে ততদিনে বোধকরি কয়েক প্রজন্ম বেরিয়ে যাবে নিয়ন্ত্রনহীন।
হুমম, অন্য কেউ না হোক মা বাবারা কিভাবে উদাসীন হতে পারে বুঝিনা। আজকাল অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে ফেসবুক, ইউটিউবে এসে উদ্ভট কাযকর্ম করতে দেখা যায়। তাদের পুরো পরিবারে এমন কেউ নেই যে বোঝাবে, কেয়ার করবে? অবাক হয়ে যাই। সবাই আছে নিজ নিজ তালে! অবহেলার অভিমানে বাচ্চারা নিজেদের ধ্বংসের চেষ্টায় মত্ত।

যৌথ পরিবারের যে শিক্ষা পরিবারের অন্যদের দাদী, নানী, খালা ফুপি, মামা চাচাদের থেকে পাওয়া যেত, বা একজনের চোখ ফাঁকি দিলেও অন্যদের চোখে ধরা পড়ে যেতে হতো, একক পরিবারে তেমনটি নেই।

হুমম, ঠিক। বাবা মা যদি সারাদিন অফিসেই থাকে তবে তো তাদের জন্যে যৌথ পরিবারে থাকা আবশ্যক! নিজের জন্যে প্রাইভেসি, ফ্রিডম, ক্যারিয়ার সব তালে, আর বাচ্চার একাকীত্ব? হাহাহা, কোন মনোযোগই নেই সেদিকে। শেম!

সমস্যা তো অনেক সখা, তবে আপনার কথাই আমারো কথা। সৎ, সত্য, সুন্দরের চর্চা বিকশিত হোক। সুরক্ষিত হোক অনাগত প্রজন্ম।


থ্যাংকস এ লটটটটট অসাধারণ মন্তব্যে।
সবসময় ভালো থাকুন।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

রাকু হাসান বলেছেন:

নামে পাগল থাকলেই তো কথা বার্তা একদম সুন্দর সুন্দর =p~ । সুচিন্তনীয় । ++ ৩ নাম্বার টা অামাদের দেশে বাবা মায়ের ভালভোবে শেখানো দরকার ।বরং উল্টো টা শেখায় । যেন বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিশলেই খারাপ হয়ে যাবে ,এমন একটা ধারনা ছোট সময় ই তাদের মাথায় দিয়ে দেওয়া হয় । এটা হতাশা জনক । তবে পরিবর্তন শুরু হয়েছে । আমরাও পরিবর্তন হবো ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদ ধন্যবাদ।

পাঠ, মন্তব্য, এবং প্লাসে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রথমেই।

যেসব দেশে নারী পুরুষ ফ্রিলি মেশে সেখানেও কিন্তু নানা সমস্যা থাকে। আসলে কোথাও বেশি স্বাধীনতা, কোথাও অতি রক্ষনশীলতা, একটা সুন্দর ব্যালেন্স যেন কোথাও নেই।

হুমম আগেকার যুগের খারাপ দিকগুলো তো পরিবর্তনের হাওয়ায় পেছনে ছুটেছে, কিন্তু নতুন যুগের নতুন সব সমস্যা যোগ হয়েছে জীবনে। বড়দের দায়িত্বহীনতা ও রক্ষনশীলতার শিকার হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুরা।
আশা করি পরিস্থিতির পরিবর্তন হবেই একদিন।

শুভকামনা!

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সিফাতুল্লাহকে নিয়ে প্যারোডি গান....




দেখুন, লাখো লাখো তরুণ কি দেখছে, কি শিখছে....

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই বারবার এসে পোস্টটিতে নানা পয়েন্ট তুলে ধরার জন্যে।

হুমম, ডিজিটাল যুগের সহজলোভ্য অসুস্থ বিনোদনে আসক্ত হয়ে পড়েছে ছেলে বুড়ো সবাই। বিখ্যাত না হই খারাপ কাজে কুখ্যাত হতে পারছি সেইবা কমকি? আজকাল ভাবটা এমনি! ছি!

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

নতুন বলেছেন: ১০ তলা বাড়ী করতে হলে সবাই জানে ভবনের শুরুতেই অনেক খাটুনি করতে হয়... অনেক খরচা করতে হয়...

কারন ভবনের ভিক্তি শক্ত না হলে ১০তলা ভবন দাড়িয়ে থাকবেনা।

তেমনি সন্তানকে বড় করতে হলেও তার ভিক্তি শক্ত করে গড়ে দিতে হবে...এটা বাবা/মা মনে রাখেনা.... তারা সন্তানের মরালিটি গড়ে দেয় না...

আমার মা আমাকে ছোট বেলাতেই শিখিয়েছেন...মুরুব্বি,নারীদের সম্মান করতে....মা রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়েদের বিরক্ত করা যাবেনা শিখিয়েছেন... এবং আমি এমন করলে ঘর থেকে বের করে দেবেন সেটাও বলেদিয়েছিলেন...।

আমি মনে করি মা বাবা যদি সন্তানকে ভালো মানুস হবার শিক্ষা বাড়ি থেকেই দিতে হবে... সেটা মনে হয় মানুষ এখন কম দিচ্ছেন এবং শুধুই বাড়ীর ডিজাইনেই ভিক্তি পক্ত করার কথাই ভাবেন... নিজের সন্তানের ভিক্তির কথা চিন্তা করেন না।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম কারেক্ট এক্সামপল দিয়েছেন। দারুণ!

হুমম, ঠিক, বেশিরভাগ বাবা মাই সবসময় চেষ্টা করেন যে বাচ্চা পড়াশোনায় ভালো হোক, আর টাকা কামাক। কিন্তু মূল্যবোধই যে একজন মানুষকে সবচেয়ে বড়লোক করে সেটা অনেকে বুঝতে চান না।

আমার মা আমাকে ছোট বেলাতেই শিখিয়েছেন...মুরুব্বি,নারীদের সম্মান করতে....মা রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়েদের বিরক্ত করা যাবেনা শিখিয়েছেন... এবং আমি এমন করলে ঘর থেকে বের করে দেবেন সেটাও বলেদিয়েছিলেন...।
বাহ! স্যালুট আপনার মাকে! তিনি এক অসাধারণ মা, আমি বিশ্বাস করি তার শিক্ষায় আপনিও ভীষন ভালো একটু মানুষ হতে পেরেছেন।

সহমত আপনার মন্তব্যের প্রতিটি কথার সাথে।
শুভেচ্ছা অফুরান।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

বন্ধুমল্ল বলেছেন: আসলে বাচ্চারা বর্তমানে পর্যাপ্ত সময় পাইনা ফ্যামিলি থেকে,,
যার জন্য বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের উচিৎ তাদেরকে সময় দেয়া এবং সঠিক গাইডলাইন করা।
ভালো লিখেছেন++++

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ একদম। সব কথার সারকথা এটাই। পরিবারকে সময় দিতে হবে, এবং সঠিক আদর্শ ও মূল্যবোধ সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে।

পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: অন্যের দুর্দশা নিয়ে হাসি ঠাট্টার ব্যপারটা খুব ক্লাসিক সমস্যা। রাস্তায় কেউ কাদায় পিছলে পড়ে গেছে দেখলে অনেক মুরুব্বি গোছের লোকও এমনভাবে হো হো করে হেসে ওঠেন যেন তাঁরা সিনেমায় কোন হাসির দৃশ্য দেখলেন।
তবে ভাগ্য ভালো, আমি যে স্কুলে পড়েছি সেখানে মারধর এবং অপমানজনক শাস্তির ভয় ছিল না। :)

কপি করার ব্যপারটা এতো কমন, বেশির ভাগ মানুষ তো এটাকে খারাপই মনে করেন না। =p~ পরীক্ষার সাইড ম্যান যদি কি লিখছে তা দেখাতে না চায় তাহলে তো বেচারা সাইডম্যান ওপর সাইডম্যানের পুরো পরিবারের শত্রু হয়ে যায়। ;)

অপজিট সেক্সের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়ে আপু যা বলেছেন তা আমার মনের কথা। আসলে ধর্মের কারণে এদেশের ছেলে মেয়ে পৃথক হতে হতে এক ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। ছেলেদেরকে তো মেয়েলি ব্যপার নিয়ে কোন পরিবার শিক্ষা দেয় না, উল্টা মেয়েদের ব্যপারে উঠতি বয়সের ছেলেদের সাথে কথা বলাও এদেশের অনেক পরিবারের মূল্যবোধের বিচারে লজ্জাকর! ছেলেরা যে বয়সে অপজিট সেক্সের প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করে সেই বয়সে মা বাবারা ভয়ে থাকেন, না জানি ছেলেটা আবার কোন মেয়ের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে নাকি। তাই উনারা চান ছেলেদের আইসোলেট করে রাখতে। একজন মেয়ে এবং ছেলের সম্পর্কটা কিরূপ হওয়া দরকার সেই শিক্ষা তখনি দেয়া উচিৎ। অথচ বাবা মায়েরা এই ব্যপারে খুব উল্টো আচরণ করেন। ফলে কি হয়? সেই ছেলেটা তার বন্ধুদের আড্ডায় বসে মেয়েদের নিয়ে, মেয়েদের শরীর নিয়ে আলোচনায় মজে থাকে। এই আলোচনায় কি তারা মেয়েদের নিয়ে ভালো কথা বলে? মোটেই নয়। এই ছেলেগুলো কিভাবে অপজিট সেক্সধারিকে শ্রদ্ধা করবে? :(

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হৃদি আপু! অসাধারণ একটি মন্তব্যে পেলাম আজ আপনাকে।

হুমম, ঠিক। একবার কানাডার স্কুলে লবির পিছলা ফ্লোরে একটি মেয়ে পড়ে গেল। পড়া মানে একদম শুয়ে পড়া। কেউ হাসল না, সবাই, "আর ইউ ওকে?" বলল। কিন্তু মেয়েটির বান্ধবী খিলখিল করে হেসে ফেলল আর ওকে হাত ধরে উঠিয়ে "সরি" "সরি" বলল। সেই স্মৃতিটা আপনার কথায় মনে পড়ে গেল।
অভ্যাস ভালো হোক বা খারাপ ছোট থেকেই গড়ে ওঠে!

বাহ! আপু অনেক লাকি, এমন স্কুল পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

কপি করার ব্যপারটা এতো কমন, বেশির ভাগ মানুষ তো এটাকে খারাপই মনে করেন না। =p~ পরীক্ষার সাইড ম্যান যদি কি লিখছে তা দেখাতে না চায় তাহলে তো বেচারা সাইডম্যান ওপর সাইডম্যানের পুরো পরিবারের শত্রু হয়ে যায়। ;)
হিহি! ঠিক! অনেক সময় বাবা মাই তো পরামর্শ দেয়, "আশেপাশে দেখে লিখিস না পারলে। বোকার মতো বসে থাকিস না।" বাচ্চারাই বা আর ঠিক জিনিসটা শিখবে কোথা থেকে? তারা ভেবে নেয় অন্যেরটা দেখে লেখা তাদের অধিকার, কেউ না দেখালে তাই পিছে পড়ে যায় সেই ছেলে বা মেয়েটির। শত্রুতা তৈরি হয়।

ঠিক কথা। এসব ব্যাপার যত লুকানো হবে ততোটা আগ্রহ তৈরি হবে। মানুষের যে বড় কৌতুহলপ্রবণ প্রাণী। পরের পোস্টে আমি এসব নিয়ে আরো কথা বলব। তাই এখন আর বেশি কিছু বললাম না।

পাঠ ও সুন্দর, যথাযথ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
হাসুন প্রাণখুলে।

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

সনেট কবি বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপস্থাপন করেছেন। সন্তানকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে মনেযোগী হতেই হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, ঠিক বলেছেন একদম। পরিবার ও স্কুল মনোযোগী না হলে শিশুরা আর কোথা থেকে ভালোমানুষ হবার পাঠ পড়বে?

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: একটা শিশু রাস্তার পাশে দাড়িয়ে কাদছে দেখে এক ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন -কি ব্যাপার বাবু তুমি কাদছো কেন?
-বাবা পা পিছলে পড়ে গেছে...
লোকটি ভাবলো বাচ্চাটির বাবার প্রতি কত মায়া বাবা পড়ে গেছে তাই কাদছে।
ছেলে তখন বললো
-না আংকেল বাবা পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছিল আর আমি হেসে দিয়েছিলাম তাই বাবা আমাকে মেরেছে সেজন্য কাদছি।
বুঝুন কি অবস্থা?



বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি পরিবার থেকেই শিক্ষা দেওয়া উচিত। যথাযথ শিক্ষার অভাবই ছেলেরা মেয়েদের ভিন গ্রহের প্রানী ভাবে আর এতে যত বিপত্তি।

সুন্দর পোস্ট। লাইক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই তারেক মাহমুদ!

খুব জরুরি একটি পয়েন্ট টেনে এনেছেন।

বাবা মা অনেকসময় সংসার, অফিসের নানা ঝুট ঝামেলার রাগ বাচ্চার ওপরে ঝাড়ে। কোমল শিশুদের সাথে কঠোর আচরণ করলে তারা আহত হয়, এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা একদমই করা যাবেনা।


বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি পরিবার থেকেই শিক্ষা দেওয়া উচিত। যথাযথ শিক্ষার অভাবই ছেলেরা মেয়েদের ভিন গ্রহের প্রানী ভাবে আর এতে যত বিপত্তি।

সহমত। একদম ঠিক বলেছেন।

পাঠ, সুন্দর মন্তব্য এবং লাইকে উৎসাহিত করলেন। ধন্যবাদ জানাই।
ভালো থাকুন।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তুমি তো আমার প্রিয় বিষয়ের উপর লিখেছো। আমি সবসময় সব জায়াগায় সুযোগ পেলেই শিশুদের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বারবার বলি। ব্যক্তিত্ব, মূল্যবোধ, নৈতিকতা এগুলোর খুব শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়ে যায় শিশু বয়সেই। যা বলেছো, একদম কাদামাটি থাকে শিশুদের মন। লম্বা না করে একটা বিষয় তুলে ধরতে চাই, এটা খুব করুণ সত্য যে পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় এখনকার শিশুরা অনেক বেশি একা একা বেড়ে উঠছে। যৌথ পরিবার ভাঙ্গার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনই ভেঙ্গে যাচ্ছে। অথচ পরিবার হল শিশুর নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়ার আসল স্থান। তুমি বললে যে, হয় যৌথ পরিবারে শিশুকে রাখুন নয়তো একক পরিবারে কেউ একজন চাকুরী না করে বা পার্ট টাইম জব করে শিশুকে বড় করে তুলুন। খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছো। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল আমাদের দেশে এই চাকুরী ছাড়ার ব্যাপারটা মেয়েদেরকেই করতে হয়। তোমার আরেকটা পোস্টে লিখেছিলে কেন প্রবাসে গেলে মেয়েরা এদেশে আর আসতে চায় না। ঠিক এই লজিকগুলো এখানেও প্রযোজ্য। শিক্ষিত মেয়েরা চাকুরী ছেড়ে দাসীতে পরিণত হতে চায় না। আবার ছেলেরাও এই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে না যে সে বাসায় থাকবে আর তার বউ চাকুরী করবে অথবা বউয়ের পয়সায় চলবে। অথচ মেয়েরা যদি এমন অনুভূতি পেতো যে, বাসায় থাকলেই সে অসম্মানিত হবে না, তার দাসী দাসী অনুভূতিটা হবে না, স্বামী তাকে সমান মর্যাদাই দেবেন তাহলে এটা কোন বিষয়ই ছিল না। আবার ছেলেরাও যদি বউয়ের পয়সায় চলবে না; এমন হীনমন্যতা থেকে বের হতে পারতো তাহলে বিষয়টা খুব স্বস্তিকর থাকতো। কিন্তু উন্নত দেশগুলো থেকেও ব্যাপারটা এখনো পুরোপুরি যায়নি আর আমাদের দেশের মানসিক উন্নতি তো অনেক দূরের ব্যাপার। আবার এমন একটা অর্থনৈতিক অবস্থা এই দেশে যে একজনের আয়ে সংসারের খরচ চালানোটা কষ্টকর হয়ে যায় বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য। নিম্নবিত্তদের তো কথাই নাই, দুজনে কাজ না করলে পেটই চলবে না। আর উচ্চবিত্তদের তো নিজেদের বিলাসিতাতেই সময় যায়, মূল্যবোধের চর্চা তারা খুব একটা করে না, কখনো করেনি। অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা এইসব কিছু মিলিয়ে একটা ভজকট পরিস্থিতিতে চলছে এই দেশ। তার উপর মানসিকভাবে উন্নতির একটা লেভেলে না গিয়েই এদেশে বিপুলভাবে অনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেটের ব্যবহার চলছে যেটা কিনা মূল্যবোধ অবক্ষয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ বর্তমানে। বাবা-মায়েরা নিজেরাই এখনো অবাধ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের যোগ্য হয়ে ওঠেননি এই দেশে, তাই সন্তানদেরও তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। আরও অনেক কথা বলার আছে এই প্রসঙ্গে কিন্তু ইতিমধ্যেই বড় মন্তব্য করে ফেলেছি এবং ক্লান্ত হয়ে গেছি। তাই ক্ষান্ত দিলাম। পারিবারিক মূল্যবোধ, বন্ধন ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য, সুন্দর একটি ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য। কিন্তু সমাধানগুলো নির্ভর করছে অসংখ্য পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ের উপর যা বোঝাটাই প্রথমত জটিল। হাহ :-<

গেলাম এখন। তোমার পরের অপেক্ষায়। অনেক ভালো থাকো, সামু পাগলা :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চঞ্চল আপু!

জেনে খুব খুশি হলাম যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিকটির প্রতি আপনার আগ্রহ এবং সচেতনতা রয়েছে। আপনার একটি পোস্টে বাচ্চাদের সাইকোলোজি নিয়ে কিছু কথা হয়েছিল আপনার সাথে। আজ আমার পোস্টে আবারো সুযোগ হলো আলোচনার।

ভীষনই সুন্দর মন্তব্য করেছেন সময় নিয়ে। আন্তরিক ধন্যবাদ সেজন্যে।

অথচ মেয়েরা যদি এমন অনুভূতি পেতো যে, বাসায় থাকলেই সে অসম্মানিত হবে না, তার দাসী দাসী অনুভূতিটা হবে না, স্বামী তাকে সমান মর্যাদাই দেবেন তাহলে এটা কোন বিষয়ই ছিল না।
একদম কারেক্ট পয়েন্ট। হাউজওয়াইফ হলে প্রচন্ড খাটা খাটুনি করার পরে দিনশেষে, স্বামী বউয়ের পরিষ্কার করা রুমে বসে, বউয়ের গুছিয়ে দেওয়া জামা পড়ে, বউয়ের হাতের রান্না খেয়ে বলবে, "সারাদিন বাড়িতে বসে করোটা কি? শুধু হিন্দি সিরিয়ালেই মন, একটু লবণটাও ঠিকমতো দেওয়া শেখোনি!"
স্বাভাবিকভাবেই যে শ্রমের মর্যাদা নেই আত্মসম্মান খুইয়ে সেই শ্রম দিতে চায়না মেয়েরা। বাড়ির কাজ, সন্তান পালন হচ্ছে বুয়া ও আয়ার হাতে। একটি শিক্ষিত মেয়ে সব স্বপ্ন একপাশে রেখে স্বামী সন্তানের যত্ন নিচ্ছে, এর চেয়ে মহান আর কি হতে পারে? বিদেশে স্টে এট হোম ড্যাড থাকে, তাদের ব্যাপারেও একই কথা বলব। এসব মানুষ যত টাকা সংসারে বাঁচায়, ততটা চাকরিজীবি বা ব্যাবসায়ী পার্টনার কামায় কিনা সন্দেহ!

টাকা আয় করলেও যে স্বামী রেসপেক্ট দিচ্ছে তা কিন্তু নয়। তখনো শুনবে হবে মেয়েটিকে, "সন্তানের দিকে নজর দিতে পারোনা? চাকরির কি দরকার?"
একজন নারী যেদিকেই যাক তার ওপরে নিজের সব রাগ ঝেড়ে "পুরুষ" বোধ করে কিছু অমানুষ!

আরেহ যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, সম্মান না থাকে তবে নতুন জীবন আনার মানে কি? সবাই ভাবে বাচ্চা আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু হয় বিপরীত। আরেকটি নতুন প্রাণ নষ্ট হবে। প্রতিটি দম্পতিকে আগে নিজের সম্পর্ককে মজবুত করতে হবে, সমঝোতায় আসতে হবে কে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করবে, কিভাবে বাচ্চা মানুষের টাকা আসবে, তারপরে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। তার আগে নয়।

উন্নত বিশ্বেও যে ব্যাপারটি এখনো পুরোপুরি যায়নি সেটা একেবারে সঠিক। এখানেও স্বামীর আয় বউয়ের চেয়ে কম হলে অনেকে হীনমন্যতায় ভোগে! আমাদের সময় লাগবে! তবে আশা করি উন্নত চিন্তা ভাবনার দিকে আমরা যাত্রা করতে পারব একদিন।

হুমম, আধুনিক প্রযুক্তিও অনেক খারাপ দিক আছে। শিশুদের সাথে সাথে বড়রাও নানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কেউই ঠিক বুঝতে পারছেনা কিভাবে ব্যবহার করবে নতুন আসা সুযোগ সুবিধারগুলোকে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিভাবে নিজে বাঁচবে এবং সন্তানকে বাঁচাবে? সময়ের সাথে সাথে এ ব্যাপারে মানুষের ম্যাচিউরিটি বাড়বে আশা করি।

পারিবারিক মূল্যবোধ, বন্ধন ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য, সুন্দর একটি ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য।
সহমত, এটাই আসল কথা।

পরের পর্বেও আপনার মূল্যবান মতামত আশা করছি।
ভালো থাকুন আপু!

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০১

করুণাধারা বলেছেন: নিঃসন্দেহে এই আচরণ গুলো খুবই ক্ষতিকর, কিন্তু অনেক মা-বাবাই নিজের সন্তানদের শিক্ষা দেবার ব্যাপারে খুবই উদাসীন। বাচ্চারা অন্য কোন বাচ্চার কান্না দেখে হাসতে থাকে, কোন বাচ্চার পড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হাসতে থাকে- এগুলো কোন আমোদের ব্যাপার বা কোন নির্দোষ ব্যাপার নয়, কিন্তু মা-বাবা না শেখালে সন্তানেরা সেটা জানতেও পারে না।

পোস্ট পড়ে ভাবনার অনেক কিছু পাওয়া গেল।

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, সামু পাগলা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন:


হ্যাঁ রাইট। অনেকসময় বাচ্চার সাথে সাথে বাবা মাও হেসে ওঠেন। বুঝে উঠতে পারেন না, যে শিশুর সরলমনে কি ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে তার ছোট ছোট অবহেলা ও অসচেতনতার।

ধন্যবাদ আপনাকে। উৎসাহিত হলাম।

ভীষন ভালো থাকুন।

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: শহরে বাচ্চাদের অবস্থা তো খুব খারাপ

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গ্রামেও শিক্ষকের মারধোর, অশিক্ষিত, অভাবগ্রস্ত পিতা মাতার খারাপ ব্যবহারে বাচ্চারা ঠিকভাবে বিকশিত হতে পারছেনা। একেক জায়গায় একেক সমস্যা!

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা।

২২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন৷
বিপরীত লিঙ্গের ব্যাপারে শুরু থেকেই একটা বিধিনিষেধ থাকে, যা পরবর্তীতে তাদের রক্ষণশীল করে তোলা। বিশেষ করে, আলাদা বসার ব্যবস্থা৷ তারা যে আলাদা, এমনকি শিশুরাও, এটা চোখে আঙুল দিয়ে যেন দেখিয়ে দেয়া হয়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।

যেসব দেশে নারী পুরুষ ফ্রিলি মেশে সেখানেও কিন্তু নানা সমস্যা থাকে। আসলে কোথাও বেশি স্বাধীনতা, কোথাও অতি রক্ষনশীলতা, একটা সুন্দর ব্যালেন্স যেন কোথাও নেই। পাশে থেকেও শালীনতা বজায় রাখা যায়। বড়দেরই দায়িত্ব খোলামেলা আলোচনা করে শিশুদেরকে প্রোপারলি এসব বিষয় বোঝানো। নিজেরা এসব নিয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন, তাই গণহারে মেশা বন্ধ করে সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করেন। এতে করে সমস্যা বাড়ে বৈ কমে না।

শুভেচ্ছা।

২৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছেলেদেরকে মেয়েদের দিকে ঠিকভাবে তাকানোর, ভদ্রভাবে কথা বলা, কৈশোরে পা রাখা মাত্রই।
একজন নারী যে মানুষ, তারও আত্মসম্মানবোধ, ইচ্ছে অনিচ্ছে আছে সেটা ছোট থেকেই ছেলেদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে।
কোন বাচ্চা ধর্ষক হয়ে জন্মায় না, অল্পবয়সেই একজন ছেলেকে যদি নারীর সম্মান নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়, তবে পুরুষ হবার পরে তারা ধর্ষন, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপের মতো অপরাধ করবে না।

পোষ্টের এ কথাগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই পোস্টটি পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্যে।
শুভকামনা সকল!

২৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একমত। একমত। একমত। আমার নয়নতারাকে সঠিকভাবে গাইড করার জন্য তিনটা বিষয়ই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। বাঁকি তিনটাও নিশ্চয় কাজে লাগবে। তবে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এত প্রবল যে শিশুদের সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে সুশিক্ষিত করা এবং সত্যিকারের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার কাজটি দিনের পর দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।


ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম।

একমত প্রকাশে ধন্যবাদ।

হুমম, ঠিক। আমাদের তানিশা বেবিটারও কাজে লাগবে এসব জলদিই।

তবে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এত প্রবল যে শিশুদের সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে সুশিক্ষিত করা এবং সত্যিকারের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার কাজটি দিনের পর দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
একদম তাই। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। বড়দের স্বার্থে ছোটদের জীবন বলি হচ্ছে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

২৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওহ সরি! আর একটু কথা বলার ছিল। বাবা মায়ের শাসনঃ- এই জামাটা পরেছিস কেন, এটাতে তোকে বিচ্ছিরি দেখাচ্ছে। সেলুনে টাকা দিয়ে চুল কেটে এলি, এ কী রকম চুল কাটা? বুঝাই তো যাচ্ছে না যে চুল কেটেছিস। দোকান থেকে কী আনতে বললাম আর তুই কী নিয়ে এলি? বেকুব কোথাকার! হাঁটার সময় টান টান হয়ে হাঁটতে পারিস না?
ব্লা ব্লা ব্লা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম! বাবা মা একদমই শাসন করবে না তা নয়, তবে খারাপ কাজে শাসন করলে, ভালো কাজে প্রশংসাও করতে হবে। আর কঠোরভাবে কোমল শিশুদের শাসন করা যাবেনা। খুব উচ্চস্বরে, বাজে ভাষায়, গালাগালি একদম নয়।

ধন্যবাদ হেনাভাই।

২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: চমৎকার কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছো। ভালো লাগলো। তুমি মা না হয়েও লিখছো, আমার এগুলো লিখা উচিত। কিন্তু দেশের চারপাশে এতো অস্থিরতার মধ্যে অন্য কিছু লিখতে ইচ্ছে করে না।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সোহানী আপু!

হুমম, প্রতিটি মেয়েরই মা হবার আগে এসব জানা উচিৎ। ছেলেদের জন্যেও একই কথা প্রযোজ্য।

বুঝতে পারছি আপু কি বলছেন। তবে সকল অস্থিরতা আমাদেরই তৈরি। গোড়াতেই যে গলদ। যেসব খারাপ মানুষদের কারণে দেশ, ও জাতি সমস্যায় পড়ছে, তারা কি ছোটকালে নিষ্পাপ ছিল না? ভুল শিক্ষাই মানুষকে অমানুষ করে। সেজন্যে সকল সমস্যার মূলে গিয়ে সেটা নিয়ে লিখলাম।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। উৎসাহিত হলাম ভালো লাগায়।
শুভেচ্ছা।

২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপু কেমন আছেন?? :D

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রান্তওওওও! হোয়াট আ প্লেজেন্ট সারপ্রাইজ! ভাবিইনি তোমাকে এত জলদি আবার দেখব। ভীষন খুশি হয়েছি ভাই।

আমি মোটামুটি আছি, তুমি কেমন আছ?

২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন: হোমওয়ার্ক, এক্সামে বন্ধুদের কাছ থেকে কপি করা! -- হুম !! এইটা আমার অভ্যেস - কিন্তু কথা হইলো আমি তো আর বাচ্চা না ! যা করার তো কইরাই ফালাইছি - অহন আমার কি হইবো !!

আরণ্যক রাখাল এর মন্তব্য ভালো লাগলো।

ছয়টা বলে ৩ টা দিয়েছো- পোষ্টে অর্ধেক প্লাস।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই অনিক!

কিন্তু কথা হইলো তুমি তো বাচ্চাকাল থেকেই এমন। তখনি কেউ উচিৎ শিক্ষা দিলে বড়কালেও বয়ে বেড়াতে না খারাপ অভ্যাসটি! ;)

তোমার কিছুই হবেনা। :D

আমার ৬ টাই দিতে সমস্যা ছিলনা, পরে মনে হলো তোমার মতো বান্দর পড়বে, একবারে এতগুলো পয়েন্ট ধরতে পারবেনা। তাই অল্প করে দিয়েছি। ;)

ভালো থেকো অনিক।

২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

মেহবুবা বলেছেন: আজকাল পাগলের কথাই বেশী ভাল মনে হচ্ছে। অ-পাগলেরা সব গোল পাকাচ্ছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা হিহি! হোয়াট আ কমেন্ট! থ্যাংকস এ লট আপু। কমেন্টে অনুপ্রাণিত হলাম।

৩০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। +++

স্কুল লাইফের ভাল-মন্দ অভ্যাসগুলো সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। ছোট বেলায় বাবা-মা'র একটু সাবধান, বন্ধুসুলভ আচরণ বদলে দিতে পারে শিশুর আগামীর দিনগুলো।

ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়াও! বেশকিছু প্লাস! ধন্যবাদ অনেক।

স্কুল লাইফের ভাল-মন্দ অভ্যাসগুলো সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। ছোট বেলায় বাবা-মা'র একটু সাবধান, বন্ধুসুলভ আচরণ বদলে দিতে পারে শিশুর আগামীর দিনগুলো।

একদম ঠিক বলেছেন, আর কিছু এড করার নেই। এটাই আসল কথা।

মোস্ট ওয়েলকাম।
পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

প্রথমকথা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য প্রথমে প্রথমকথার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। লেখায় অনেক গুরত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম। মন্তব্যে উৎসাহিত করে যাবার জন্যে আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
শুভকামনা সকল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.