নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীরেরগল্প

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মায়ের আদরের ছেলে মায়ের কোলে ফিরে এসেছিল অগাস্টের ২৯ তারিখ। অনেকদিন পর ছেলেকে পেয়ে মা জাহানারা ইমাম ছেলের পছন্দের খাবার রাধতে বসে যান। ছোটভাই জামীর সাথে রুমীর সারাক্ষন খুনসুটি চলত। সেদিন ও জামী ফোড়ন কাটে, ওহ তুমিত আবার খেতে পছন্দ কর
মায়ের সে খেতে পছন্দ করা ছেলেই দেশের জন্য যুদ্ধ করতে দুইবারের চেষ্টায় মেলাঘরে গিয়ে হাজির হয়েছিল। পড়েছিল কে ফোর্সের খালেদ মোশাররফের হাতে। খালেদ মোশাররফ ক্যাপ্টেন হায়দারের হাতে তুলে দেন রুমীদের। একজন রুমীর বীর রুমী হয়ে ওঠার পেছনে ক্যাটেন হায়দারের অবদান বোধহয় সবচেয়ে বেশী
২৫ শে অগাস্ট ক্র্যাক প্লাটুনের সহযোদ্ধাদের নিয়ে রুমীরা ধানমণ্ডি ১৮ নম্বর রোডে অপারেশন চালায়। রুমীদের গাড়িকে এক হানাদার জিপ পিছু ধাওয়া করেছে দেখে রাইফেলের বাট দিয়ে পেছনের গ্লাস ভেঙ্গে ব্রাশফায়ার করে রুমী। ধ্বংস হয় হানাদার।
এই দূর্ধষ রুমী ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রও ছিল। ইলিনয় ইন্সটিউট অফ টেকনোলজিতে সুযোগ পেয়ে ছিল ছেলে। কিন্তু সব স্বপ্নকে পায়ে ঠেকে মায়ের সামনে গিয়ে মাথা উচু করে বলল ছেলে
আমেরিকায় গিয়ে বড় ডিগ্রি নিয়ে বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়ত হতে পারব কিন্তু বিবেকের ভুক্রুটির সামনে কোনদিনও দাড়াতে পারবোনা মা
ছেলের অটল দেশপ্রেমের প্রতিজ্ঞা থেকে মা জাহানারা ইমামও হুঙ্কার ছেড়েছিলেন যা দিলাম তোকে দেশের জন্য জন্য কোরবানী করে।
রুমীকে ছাড়িয়ে আনার জন্য অনেকেই রুমীর বাবাকে ইয়াহিয়ার নিতশর্ত ক্ষমার সুযোগ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু বুঝতে হবে। রুমীর ধমনীতে কার রক্ত। ছেলে হারানোর কষ্ট বুকে চেপে বাবা শরীফ ইমামও পাক হানাদার সরকারের কাছে মাথা নিচু করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ব্লাড সেস।
হানাদার টর্চার সেলে প্রচন্ড নির্যাতন দাতে দাত চেপে সহ্য করেছিল রুমী কিন্তু মুখ থেকে একটা শব্দ বের হয়নি। পায়ের নখ সব তুলে ফেলে হয়েছিল টেনে। বদীও কম যায় কেন। ইলেকট্রিক সকেটে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সুইসাইড এটেম্পট করেছিল ফৌজদার হাট ক্যাডেটের এক্স ক্যাডেট বদী।
মৃত্যুর আগে জুন মাসে পাশা মামাকে লেখা চিঠিতে শহীদ রুমী বলেছিল " ওরা আমাদের পশুর হিংস্রতায় হত্যা করেছে। একই রকম হিংস্রতায় আমরাও ওদের উপর আক্রমনের তীব্রতা বাড়াব।।
সো শেল উই টিয়ার ইনটু দেম উইথ লাইক ফেরোসিটিক
ক্র্যাক হেডেড রুমীরাই এক এক জন এক একটি বাংলাদেশ। এই রুমীরা বাংলার মাটিতে জন্মায়, বুকে একটি বাংলাদেশ নিয়ে হানাদার টর্চার সেলে জীবন দেয়। মাঝখানে রেখে যায় একটি দেশ, বাংলাদেশ। রুমীরা বুকের আগুন কে চোখের প্রতিজ্ঞা বানায়,অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয়।এই বাংলাদেশ মৌলবাদের কাছে মাথা নোয়াবার নয়।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.