নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা পাকিস্তানকে ইসলামের ধারক ও বাহক বলে মানো

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০


তোমরা যারা পাকিস্তানকে ইসলামের ধারক ও বাহক বলে মানো এবং সাচ্চা ইসলামিক দেশ দোহাই দিয়ে খেলার সময় পাকিদের সমর্থন কর।
শুক্রবার পবিত্র বার, ২৬ শে মার্চ ভোরে হত্যাযজ্ঞ চলছিল সেইটা কিন্তু শুক্রবার ছিল। আচ্ছা শুক্রবার পবিত্র বার, তাই বলে সেইদিন গনহত্যা করতে একটুকু হাত-পা কাপে নি ইসলামের স্বঘোষিত ধারক ও বাহকদের?
এরপরে আসি। আজকেও শুক্রবার। আজ বলব আরেক শুক্রবারের কথা। ২ এপ্রিল ১৯৭১। স্থান জিঞ্জিরা, কেরানীগঞ্জ।
তো চলুন ফিরে যাই সেইদিনে। ২৫ মার্চের কাল রাতে ঢাকা শহরকে নরক করে দেওয়া হয়েছে। যে কয়জন মানুষ ছিল, কার্ফু উপেক্ষা করে লুকিয়ে ঢাকা ছাড়তে শুরু করে, এবং দিকে দিকে মানুষ এসে আশ্রয় নেয় বুড়িগঙার ওপারে কেরানীগঞ্জ জিঞ্জিরাতে।
কেরানীগঞ্জ জিঞ্জিরা হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম ছিল সেসময়। সুতরাং" কাফের নিধন দিবস" হিসাবে বেছে নেওয়া হয় শুক্রবার, ২ এপ্রিল ১৯৭১।
১ তারিখ মধ্যরাতের থেকে সৈন্য সমাবেশ হয় কেরানীগঞ্জ এর চারপাশ জুড়ে। মিটফোর্ড হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদের ছাদ থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটারর সময় ফায়ারপ্লে ছুড়ে গনহত্যা শুরু করে পাকিরা। একটানা নয় ঘন্টা, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত, যাকে যেভাবে পেরেছে, দুই মাসের শিশু থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ কেউ বাদ যায় নি। আট থেকে আশি কোন মেয়ের ইজ্জত রাখে নি। উপর্যুপরি ধর্ষন করেই মেরে ফেলা হয়।
কোন কোন সুত্র মতে সেদিন আনুমানিক দুই থেকে আড়াইহাজার মানুষ নিহত হয়।
ঘরবাড়ি মসজিদ মন্দির গান পাউডার ছিটিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ইসলামের ধারক বাহকদের হাতে থেকে শেষ পর্যন্ত মসজিদের মত পবিত্র জায়গা রক্ষা পায় নি। হায়রে, পবিত্র দিনেই মসজিদের মাথার ছাদ থেকে মানুষ মারার নির্দেশ দেওয়া হল।
অথচ পরদিন মর্নিং হেরাল্ডের শিরোনাম "জিঞ্জিরায় দুষ্কৃতিকারী দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন"
পিটিভির ধামাচাপা দেওয়া খবর "বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কেরানীগঞ্জ এর জিঞ্জিরায় দুষ্কৃতকারী দের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ব্যবস্থা গ্রহন"
হুম ৯০ বছরের বৃদ্ধ, ২ মাসের মেয়েও তো দুষ্কৃতিকারীই ছিল, ইসলামের শত্রু ছিল, তাইনা?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

েমাঃ মিন বলেছেন: তার থেকে দাদাবাবুদের সাপোর্ট করি , তারা আমাদের বাপ লাগে তো তার থেকে দাদাবাবুদের সাপোর্ট করি , তারা আমাদের বাপ লাগে তো

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

ইবনে মাসুদ বলেছেন: আমার ঠিক মাথায় আসে না পাকিস্তান বা সৌদি কি ভাবে ইসলামের ধারক বা বাহক হয় ?

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: সবার ভিতরে বিশ্বাস আছে।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

রাজীব বলেছেন: ৫-১০জন লোক ফেসবুকে যা খুশী তা লিখতেই পারে, তাই বলে তারা একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.