নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতে ডিএসএলআর থাকলেই ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না!

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৪


ডিএসএলআর এমন একটি শক্তিশালী যন্ত্র যা মানুষের মনে
সৃজনশীল ক্ষমতার সৃষ্টি করে। আজকে যে মানুষটা কোন কিছুর
মাঝেই জীবনের মানে খুজে পেতো না, সেই মানুষটাই ডিএসএলআর
হাতে পেলে কিছুদিনের মাঝেই সবকিছুতেই জীবনের মানে খুজে পায়!
সে খালি চোখে যা দেখতে পেতো না, ডিএসএলআর এর লেন্সেও সেটা
খুজে পায়!! বড়ই অদ্ভুত!!
উদাহরন১. একজন মানুষ হেটে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশের
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা পঁচা গলা খাবার খেতে থাকা শিশু বা মানুষকে
দেখে কিংবা সেই ডাস্টবিনের গন্ধে ঘৃনা ভরে নাকে হাত দেন বা থু থু
ফেলেন, কিন্তু যখন তার হাতে ডিএসএলআর থাকে তখন সে সেই শিশু
কিংবা মানুষের ছবি তুলেন আর বাসায় এসে সেই ছবি আপলোড দিয়ে
ক্যাপশান লিখেন,"মানবতা আজ কোথায়?"
(মানবতা ডিএসএলারের লেন্সে, কারন খালি চোখে এতদিন দেখা যায়
নাই)
২. যখন পথে জীবিকার দায়ে ফুল বিক্রি করা নিষ্পাপ হাসিমুখের
মেয়েটি নিজে থেকে এসে ফুল কিনতে বলে তখন অনেকেই তাকে ধুর ধুর
করে তাড়িয়ে দেয়, কিন্তু সেই অনেকের মাঝে কারো হাতে
ডিএসএলআর থাকলে সেই হাসিমুখের মেয়েটির ছবি তুলে আর সেই
সাথে ক্যাপশান দেয়,"যে হাসিকে অভাব স্পর্শ পারেনি।"
(ইসসস... কি কিউট তাই না???)
৩. একটা মেয়ে ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে বাসায় বসে আছে। এমন সময়
তার জানালার পাশে একটি কাক তার প্রেয়সীকে হারানোর বেদনা
প্রকাশ করতে কা কা শব্দে ডেকে উঠলো। আর তখনি মেয়েটি রেগে
গিয়ে থালা বাটি হাতে যা পায় তাই দিয়ে সেই কাকটিকে তাড়ানোর
চেস্টা করে। কিন্তু সেই সময়ে মেয়েটির হাতে ডিএসএলআর থাকলে সে
কাত চিত উপুড় হয়ে সেই একা কাকটির ছবি তুলতো। আর ক্যাপশান
দিতো,"দিন শেষে আমরা সবাই একা।"
(হুম... চামে দিয়া বামে তোমার মনে যে সিট খালি আছে সেটা
কইয়ালাইছো আর কি)
৪. সবসময় বিষন্নতায় ভোগা একটি ছেলে যার মুখে সবসময় "কি
পেলাম জীবনে?" কথাটি লেগেই থাকে তার হাতে একটি ডিএসএলআর
ধরিয়ে দিয়েই দেখুন। ছেলেটি লতা পাতা আগাছা পরগাছার ছবি তুলে
এনে ক্যাপশান দিবে,"জীবন আসলেই সুন্দর, শুধুর দেখার মতো চোখ
থাকতে হয়।"
(চোখ আছে, শুধু দেখার মতো শক্তি নাই!!)
৫. ক্লাসের স্মার্ট কিন্তু গর্দভ যে ছেলেটিকে মেয়েরা হেসে হেসে
উপহাস করতো, তার হাতে ডিএসএলআর দেখলে সেই মেয়েরাই তার
পাশে গিয়ে বলে,"ওমা, তুমি কি সুন্দর ছবি তোলো? ইউ আর সো
কিউট। আমার একটা ছবি তুলে দিবা??"
৬. আর কিছু কিছু পুটুগ্রাফারের ডিএসএলআর এ শুধু মেয়েদের ছবি
উঠে। আর কারো ছবি ঊঠে না, এমনকি নিজেরও না!! (এটা নিয়ে
বলার ইচ্ছা নাই!! )
বর্তমানে এমন অবস্থা দাড়িয়েছে যে,"যেকোনো সম্পর্কের সৃষ্টিতে
কিংবা বিনাশে ডিএসএলআর একটি নিয়ামক হয়ে দাড়িয়েছে।" যার
ডিএসএলআর আছে বন্ধুমহলে তার কদর আকাশচুম্বী, আর
নারীমহলের কথা নাইবা বললাম! ডিএসএলআর হাতে নিয়ে ঘুরা
"পুটুগ্রাফার"দের ভিড়ে "ফটোগ্রাফার"দের চেনায় যায় না। কাকের
পেছনে যেমন ময়ূরের পেখম লাগালেই ময়ূর হওয়া যায় না, ঠিক তেমনি
হাতে ডিএসএলআর থাকলেই ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা, সবসময় ওরকমন নাও হতে পারে। পরিবেশের উপর অনেককিচু নির্ভর করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.