নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-১৮

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

প্রিয় মায়াবতী
তুমি আমার শতবার ভালবাসি এটাই বলা দেখো,অথবা একটার পর একটা পত্রলেখা দেখো।হাজারটা চিন্তা আর ঝামেলার আড়ালে দেখো না,তোমার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনারত একটি হৃদয়!তুমি শুধু তোমায় ছাড়া "লৌহ কনিকা ও ভিটামিনের আভাবে থাকি" কথাগুলোই শুনতে পাও অথচ আমার এই আকুতির পেছনে তোমারই নেশায় মজে থাকি এতটা যে দিনে দু একবার চলতে গিয়ে উষ্ঠা খাই এই আবেগ তোমাকে ছুঁতে পারেনা।
আমার করুনার্থ চোখ তোমার অদেখাই থেকে যায়। বরং তার কান্না লুকাবার প্রাণপণ চেষ্টা আড়াল করে যে পাগলামি টা করি ওগুলোই তোমার মনে থাকে, হয়তবা থাকেও না।আজ বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে
আকাশ দেখতে দেখতে মনে হলো,আকাশটাও হ্যাঁ ঐ সুনীল আকাশটাও তোমার মত ভীষণ উদাসীন।অথচ দেখো সবাই দুর থেকে আকাশটিকে ভালোবাসে।আর আমার মত বোকারা আকাশের বুকে ক্ষণিকের মেঘ হয়ে উড়ে বেড়ায় ।কখনোবা দূরে হারিয়ে যেতে থাকে কিংবা কান্না হয়ে ঝরে পড়ে,কষ্টের সময় কিংবা মন খারাপের সময় তোমাকে যখন সেটা বুঝতে পারিনা তখন সত্যিই নিজেকে ভীষণ প্রতিবন্ধি মনে হয়।তার উপর যখন তুমি চুপ করে থাকো,দূরে দূরে থাকো তখন এই কষ্ট বুঝানোর সত্যিই কোন ভাষা থাকে না। নিজেকে তখন এই দুনিয়ার সবচেয়ে অসহায় মানুষ
মনেহয়। যাকে বুঝার কেউ নেই?প্রচন্ড অগোছালো ভাবে পরিবারের বাইরে বড় হওয়া যে ছেলেটা প্রতিদিন এলোমেলো চুল আর খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে হেঁটে যায় তার কাজে,একদিন যদি প্রচন্ড মায়াবতী কাউকে,খুব গোছালো স্বভাবের কাউকে যদি দেখে পথমধ্যে থমকে যায়।খুব হাসিখুশি মেয়েটার কাজল দেয়া অপূর্ব চোখ দুটো দেখে সবাই যদি ঐ চোখের দিকে তাকিয়ে আবিষ্কার করে ফেলি,মেয়েটার চোখে ঝাপ দিয়ে ডুবে মরতেও পরম আনন্দ,তুমি জেনে নিও সেটা তুমি।দুপুরে না খেয়ে খেয়ে অভ্যস্ত একাকী ছেলেটার যদি কখনও কারো জন্যে খুব বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে, ছেলেটা যদি হুট করে আবিষ্কার করে,নিজেকে বাদ দিয়ে একজনকে খুব কেয়ার নিতে ইচ্ছে করছে,তার সাথে হাজার বছর বাঁচতে ইচ্ছে করছে সেই একজন টাই তুমি।
কখনও কী ভেবে দেখেছো দিনের পর দিন টুকটাক কবিতা আর অসঙ্গতি নিয়ে লখা ছেলেটি একটির পর একটি পত্র লেখছে কিভাবে??এর কারনটাও তুমি,একমাত্র তুমিইই।বুকের ভেতর একটা ছোট্ট পাখি জন্ম নিয়েছে, তোমাকে দেখলেই ডাকাডাকি করে আর সেই ছোট্ট পাখিটার নাম "তোমার অভাব বোধ"।পাখিটা আস্তে আস্তে বড় হবে বুকের খাঁচায় যত্ন নিয়ে তাকে পুষতে পারলে ছোট্ট পাখিটা একদিন বড় পাখি হয়ে যাবে।আর প্রচন্ড অভাব বৈধ দেখা দিবে,না কোন ভিটামিন ট্যাবলেট নয় কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও নয় অথবা অন্য কোন সিরাপ ও নয়।এই অভাববোধ টা,দূর হবার একটাই দাওয়াই প্রেসক্রিপশনে বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকবে শুধু তোমারই নাম !!
একবার তুমি নামের মেয়েটা এসে পাশে দাড়ালে,একবার সায় দিলে দুনিয়া বদলে দিতে পারি,সাথে আমাদের আকাশ টাও।তুমি শুধু এই ভালবাসার সংবিধানে প্রথম সংশোধনি টা করে দিও যাতে লেখা থাকবে তোমাকে কিন্তু মাঝে মাঝেই শাড়ি পড়তে হবে।আর কিছু চাই না।
আমার ভালবাসা দিয়ে সব বদলে দিব,তোমার আর কোন বদলের খুব প্রয়োজন নাই,আমার শুধু ভিটামিনের অভাববোধ হয় তাই তোমাকে খুব প্রয়োজন।আসলে প্রয়োজন বলে তোমায় ভালবাসি না,ভালবসি বলেই তোমায় খুব প্রয়োজন।
একটা ছোট প্রেসনোট দিতে চাই,যেখানে আমি বলে যাবো তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি,কেন ভালোবাসি?বলা হয়ে গেলো আমি থেমে যাবো
তোমার ভেতরে খুঁজে বেড়াবো না নতুন কোনো বিশেষণ,শুধু তোমার ভেতর ডুব দেবো,হারিয়ে যাবো তোমার গন্ডিতে।কবিতা লেখা হয়ে গেলে আমি সুবোধ বালক হয়ে যাবো,মেলায় মার আঁচল ধরে চলা ছেলেটির মত।প্রতিবাদের মিছিলে রাস্তায় যেমন লেখে,ঠিক তেমনই হৃদয়ের রাজপথে লিখে দিব তোমার না।শুধু তোমারই নাম।মায়াবতীর এতটা কাছে আমি থাকতে চাই।
ইতি
মায়াবতীর রাখাল বালক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

কানিজ রিনা বলেছেন: আকাশ কখনও রং বদলায়না, মেঘই রং
বদলায়।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: হয়তোবা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.