নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম দেশে অমুসলিম নাগরিকদের আগলে রাখতে হবে,কোন ভাবেই তাদের ক্ষতি করা যাবে না

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩


যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
কোন মুসলিম দেশে যে সমস্ত অমুসলিম বসবাস করেন তারা সবাই সে দেশের মেহমান। তাদের সব ধরণের নিরাপত্তার দায়িত্ব উক্ত মুসলিম দেশের নাগরিকদের। মুসলিম রাষ্ট্রের উচিত তার সমস্ত প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হোক সেটা নাগরিক অধিকার, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় অধিকার। তাদের সে অধিকার পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে হবে। তাদের উপর রাষ্ট্রের দাঁয়িত্ব সমুহের মধ্যকার কয়েকটি দায়িত্ব হল-
অমুসলিম নাগরিকদের সাথে যুদ্ধ করা যাবে না। কেননা, তারা আমাদের দেশে সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত।
মুসলিম দেশের যে কোন স্থানে তারা যেতে পারবে তবে, বিশেষ বিশেষ স্থান ব্যতিত। যেমন সউদী আরবের মক্কা। সেখানে অমুসলিমরা প্রবেশ করতে পারবে না।
তারা মুসলিম দেশের একটা অংশ বিশেষ। মুসলমানদের দায়িত্ব হয়ে যায় তাদের কাছ থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে নেয়া। অন্য কথায় বলতে গেলে তাদেরকে রক্ষা করা ও নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব এসে যায় খোদ মুসলমানদের উপর।
হযরত উমার (রাঃ)তার পরবর্তী খলীফার প্রতি ওসিয়ত করে গেছেন যে,মুসলমানরা যেন তাদের (অমুসলিম নাগরিকদের) হক তথা অধিকারকে পুরোপুরি পরিশোধ করে দেয় এবং তাদেরকে আগলে রাখে।
তাদের উপাসনালয়ের উপর হস্তক্ষেপ না করা। কেননা,নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অধিকারও ব্যক্তিগত অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। (আহকামুয যিম্মা ফিল ইসলাম) তবে তারা মুসলিমদের মাঝে তাদের ভ্রান্ত ধর্ম প্রচার করতে পারবে না ।
সুতরাং,তাদের সে অধিকার পরিপূর্ণ রূপে প্রদান করা আবশ্যক। তাদেরকে জোর করে ইসলামে টেনে আনা যাবে না। কেননা,ইসলাম ধর্মগ্রহণের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িকে একেবারেই সাপোর্ট করে না। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
• দ্বীন তথা ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা গ্রহণের বেলায় কোন জবর দস্তি নেই । (সুরা বাকারা:২৫৬)
মূলত দু’টি প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে খিলাফত রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার সংরক্ষণের সর্বাত্মক ব্যবস্থা করা হবে।
ক) মতাদর্শিকঃ
ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, বরং এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যা জীবনের সব বাস্তব সমস্যার সমাধান দেয়। যেমন যে কোন সেক্যুলার পূঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধীনে হিন্দু ধর্মসহ বিভিন্ন ধর্মের জনসমষ্টি বসবাস করে তেমনি খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেও সব ধর্মের জনসমষ্টি বসবাস করতে পারে। বরং খিলাফত রাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হওয়ার লক্ষ্যেই তার নিজস্ব ভূখন্ডের সকল ধর্মমতের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেকে আভ্যন্তরীণভাবে দৃঢ় ও সংহত করবে। আল্লাহ্ (সুবাঃ) বলেন,
“তাছাড়া তোমরা পরস্পর বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে।” (আল-আনফালঃ ৪৬)
সুতরাং খিলাফত রাষ্ট্রের প্রভাব সমুন্নত রাখতে মুসলিম- অমুসলিম সম্প্রীতি তথা রাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য।
খ) মানবিকঃ
ইসলাম মানুষের প্রত্যেকটি সমস্যাকে মানবীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে। মানুষের সাধ্যের অতিরিক্ত কোন বোঝা ইসলাম তাদের উপর চপিয়ে দেয় না। এটি কোন মানুষের মনগড়া ধর্ম নয়। বরং এ হচ্ছে মহাবিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালক মহান আল্লাহ্ (সুবাঃ) প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থা কোন একক সম্প্রদায় কিংবা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বরং এ হচ্ছে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য। ইসলামের শ্বাশত ও সার্বজনীন বাণী নিয়ে যাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে, সেই সর্বশ্রেষ্ট ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উদ্দেশ্যে আল্লাহ্ (সুবাঃ) বলেনঃ-
“আপনি বলুন; হে মানব মন্ডলী! আমি তোমাদের সকলের কাছে আল্লাহর প্রেরীত রাসূল। সমগ্র আসমান ও যমীনে যার রাজত্ব। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনিই জীবন ও মৃত্যু দান করেন।” (সূরা আরাফ-১৫৮)
উপরোক্ত আয়াতটি গোটা মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মুসলমাদের উদ্দেশ্যে নয়। খিলাফত রাষ্ট্রের বিধান প্রদানকারী সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দৃষ্টিতে বর্ণ, গোত্র, জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। তিনি ইরশাদ করেনঃ
“হে মানবগোষ্ঠী! আমি তোমাদেরকে একজন পরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যেন তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক মুত্তাকী।” (সূরা হুজরাতঃ১৩)
বস্তুতঃ ইসলামের আগমনই হয়েছে মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা ও প্রবৃত্তিগুলো পূরণ করা তথা সকলের মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করার জন্য। ইসলাম এক্ষেত্রে মুসলিম অমুসলিমের কোন ভেদাভেদ নির্ণয় করেনি। খিলাফত রাষ্ট্র অমুসলিমদের যে অধিকারগুলো বিশেষভাবে বাস্তবায়ন করে তা হচ্ছেঃ
খাদ্য-বস্তুর-বাসস্থানের অধিকার,
রাজনৈতিক অধিকার,
বিশ্বাসের অধিকার,
সামরিক অধিকার
জান-মালের নিরাপত্তা,
বিচার প্রাপ্তির অধিকার,
শিক্ষার অধিকার,
অর্থনৈতিক অধিকার,
নাগরিক ও সামাজিক অধিকার।
ইসলামী রাষ্ট্র খিলাফতের অধীনে বসবাসকারী প্রত্যেকটি নাগরিক এই সবগুলো অধিকার ভোগ করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে মুসলিম অমুসলিম নাগরিকগণের মধ্যে খিলাফত রাষ্ট্র কোনরূপ পার্থক্য করে না।
১. খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের অধিকারঃ
খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে খিলাফত রাষ্ট্র মুসলিম-অমুসলিম সকল নাগরিককে সমানভাবে বিচার করে। মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি নাগরিকের এ তিনটি মৌলিক চাহিদা পূরণ খিলাফত রাষ্ট্রের উপর অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। এক্ষেত্রে ইসলাম সামগ্রিকভাবে মুসলিম-অমুসলিম সকল নাগরিককে নিশ্চয়তা দেয়। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেনঃ
“তিনটি বস্তু ছাড়া আদম সন্তানের আর কিছুর অধিকার নেই। তাহলোঃ বসবাসের জন্য একটি ঘর, দেহ ঢাকার জন্য কিছু বস্ত্র এবং কিছু রুটি ও পানি।”
এখানে ‘আদম সন্তান’ বলতে মুসলিম-অমুসলিম সকলকে বোঝানো হয়েছে। খলিফা ওমর (রাঃ) মিসরের গভর্ণর আমর ইবনুল আসকে (রাঃ) লেখা এক চিঠিতে বলেছেনঃ
“কসম আল্লাহর, আমার ভয় হয় তোমার শাসনাধীন এলাকার দূরতম কোণায় যদি একটি উট অবহেলায় মারা পড়ে তবে কিয়ামতের দিন আমাকে এরও জবাবদিহি করতে হবে।”
খিলাফত রাষ্ট্রের কর্ণধার খলিফা এভাবেই তার রাষ্ট্রসীমায় বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষ নয় শুধু, বরং প্রত্যেকটি প্রাণীর চাহিদার ব্যাপারেও চিন্তা করেন। তাছাড়া অমুসলিম মুআহিদদের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের বিষয়ে মুসলমানদের থাকবে বিশেষ ঈমানী দায়িত্ব। ইমাম কারখী (রহঃ) খিলাফত রাষ্ট্রে অমুসলিম নাগরিকদের প্রতি মুসলমানদের কর্তব্য সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, “তাদের দূর্বলদের সেবা দেওয়া, নিঃস্বদের যাবতীয় প্রয়োজন মিটানো, অনাহারিদের খাদ্য দেওয়া, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দেওয়া, তাদেরকে সুন্দরভাবে সম্বোধন করা, এমনকি তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ক্ষতির শিকার হলে প্রতিকার করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা মেনে নেওয়া হচ্ছে ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মুসলমানদের উপর আরোপ করা দায়িত্ব।”
২. রাজনৈতিক অধিকারঃ
খিলাফত রাষ্ট্রের একটি গুরুত্ব পূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে House of Represntatives বা মজলিসে সূরা। এটি খিলাফত রাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে খলিফাকে অবহিত করেন এবং এসমস্ত বিষয়ে খলিফাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য একে বলা হয় পরামর্শ সভা বা মজলিসে সূরা। খলিফা যদি কোন বিষয় ইসলাম অনুসারে সমাধান না করে, তবে মজলিসের সূরার সদস্যরা এই বিষয়ে খলিফার কাছে কৈফিয়ত তলব করতে পারেন। অমুসলিমরাও এ সভার সদস্য হতে পারেন। এমনকি এর জন্য তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি কোন শপথ করতে হয় না। এই রাজনৈতিক অধিকার লাভের মাধ্যমে তারা নিজেদের দাবী এবং প্রস্তাবসমূহ বিনা বাধায় খিলাফত সরকারের সামনে উপস্থাপন করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা কোন প্রকার রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হবে না।
৩. ধর্মপালন বা বিশ্বাসের অধিকারঃ
ইসলামী রাষ্ট্র কখনও কোন অমুসলিমকে নিজের ধর্মপালনে বাধা দেয়না। কিংবা জোর করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করেনা। পবিত্র কুরআন এ ব্যাপারে পরিষ্কার ঘোষণা দিয়েছেঃ-
“দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জোর-যবরদস্তি নেই।” (আল-বাকারাঃ ২৫৬)
প্রত্যেকটি অমুসলিম নাগরিক সম্পূর্ণ নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত মনে নিজ নিজ উপসনালয়ে যাতায়াত করবে। কেউ তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারবে না। আবু উবায়দ (রহঃ) ‘কিতাবুল আমওয়াল’ নামক গ্রন্থে এমন কতিপয় অঞ্চলের নাম উল্লেখ করেছেন, যা খিলাফতের নিকট পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু সেখানের অধিবাসী অমুসলিমদেরকে তাদের ধর্ম পালন এবং উপাসনার পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অমুসলিমদের ধর্মীয় স্থাপনা বা উপসনালয়ের কোন ক্ষতিসাধন তো দূরের কথা বরং খিলাফত নিজ দায়িত্বে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ইতিহাস স্বাক্ষী, খিলাফত যখন জেরুজালেম শাসন করছিল, তখন খৃষ্টানদের চার্চ এবং গির্জাগুলোকে খুবই ভালভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ গীর্জার সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষন করত একটি মুসলিম পরিবার। বংশানুক্রমে আজও সেই মুসলিম পরিবারটিই উক্ত গীর্জার চাবী সংরক্ষণ করছে এবং প্রতিদিন সকাল-বিকাল গীর্জাটি খুলছে ও বন্ধ করছে। খিলাফত সরকার বিনা কারণে অমুসলিমদের কোন উপাসনালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারেনা। এমনকি সেখানে উপাসনাকারীদের উপর গোয়েন্দাগিরিও করতে পারেনা। যে অন্যায়টি বর্তমানে মুসলমানদের মসজিদ সম্পর্কে করছে মার্কিন এবং বৃটিশ শাসকরা।
স্যার থমাস তাঁর বইতে উল্লেখ করেছেন “আমাদের এমন কোন তথ্য জানা নেই যে, খিলাফত শাসন চলাকালীন ইসলামী কর্তৃপক্ষ কিংবা কোন সংগঠন কোন অমুসলিমকে জোর করে মুসলমান বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে কিংবা খৃীষ্টানদেরকে উত্যক্ত করার কোন পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।” তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যদি এমনটি হতো- তাহলে রাজা ফার্ডিনেন্ড এবং রাণী ইসাবেলার নিষ্ঠুর পদক্ষেপের দরুণ যেমন স্পেন মুসলিম শূণ্য হয়ে পড়েছিল এবং সাড়ে তিন শত বছর যাবত বৃটেনে ইয়াহুদীদের কোন নিবাস ছিল না, তেমনি জেরুজালেমও খৃষ্টান ইয়াহুদী শূন্য হয়ে যেত।”
৪. সামরিক অধিকার
শক্তিশালী মতাদর্শিক রাষ্ট্র হিসাবে খিলাফত রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী নিয়মিত সামরিক বাহিনী থাকবে। এর প্রত্যেক সদস্যকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন দেয়া হবে। এই নিয়মিত বাহিনীতে মুসলিমরা যেমন অর্ন্তভুক্ত থাকবে তেমনি অমুসলিমরাও এর সদস্য হতে পারবেন। মুসলমানরা তাদের বিশ্বাসকে সমুন্নত রাখতে এবং অমুসলিমরা বেতন-ভূক্ত কর্মচারীর মর্যাদায় একটি লাভজনক পেশা হিসাবে এ বাহিনীর সদস্য হবেন। আল-জাহরির বর্ণনামতে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যুদ্ধে কিছু ইয়াহুদীর সাহায্য নিয়েছিলেন এবং তাদের জন্য রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে একটি অংশ নির্ধারণ করেছিলেন। ওহুদের যুদ্ধে অমুসলিম খোজমান মুসলমানদের সাথে অংশ গ্রহণ করে বনু আবু যর গোত্রের তিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে রাসূল (সাঃ) বলেন “নিশ্চই অমুসলিমদের দ্বারা আল্লাহ এই দ্বীনকে সাহায্য করেন।”
মুশরিক থাকাকালীন সাফওয়ান আবু উমাইয়া মুসলমানদের সাথে খায়বার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করে দেন।
রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) অন্য এক হাদিসে বলেনঃ যার অর্থ নিম্মরূপ “যে নিজের জন্য যুদ্ধ করবে সে পুরষ্কার পাবে আর যে অন্য কারো জন্য যুদ্ধ করবে সে পাবে মজুরী।”
অন্য হাদিসে রাসূল (সাঃ) বলেনঃ “আমার উম্মতের যারা মজুরির বিনিময়ে যুদ্ধ করে শত্রুর বিরুদ্ধে নিজেদেরকে শক্তিশালী করে তারা মুসার মায়ের মত যে তার নিজের সন্তানকে দুগ্ধ পান করিয়ে পুরষ্কার (মজুরি) পেয়েছিল।”
এখানে ‘যারা’ বলতে অমুসলিমদেরকে বোঝানো হয়েছে। সুতরাং খিলাফত রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে অমুসলিমগণ নির্বিঘ্নে যোগদান করতে পারেন। তেমনিভাবে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনিতেও অমুসলিমদের অন্তর্ভূক্তিতে কোন বাধা নেই। বরং খিলাফত রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকগণ এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা ভোগ করেন; রাষ্ট্রকে সামরিকভাবে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে মুসলমানদের উপর বাধ্যবাধকতা থাকলেও অমুসলিমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। খলিফা অমুসলিম নাগরিকদেরকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করতে পারে না।
৫. জান-মালের নিরাপত্তাঃ
খিলাফত রাষ্ট্রে একজন মুসলমানের মতই একজন অমুসলিম মুআ‘হিদের জীবন পবিত্র ও সুরক্ষিত থাকে। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেনঃ-
“যদি কোন ব্যক্তি কোন মু’আহিদকে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবেনা। যদিও চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকেই জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (বুখারী শরীফ)
তিনি আরো বলেন- সাবধান! কেউ যদি কোন মু’আহিদের প্রতি যুলুম করে কিংবা তার অধিকার হতে কিছু কমিয়ে দেয়, অথবা তার সাধ্যাতিত কোন কাজ তার উপর চাপিয়ে দেয়, বা তার স্বতস্ফূর্ত অনুমতি ছাড়া তার কোন সম্পদ নিয়ে নেয়- তাহলে আমি কিয়ামত দিবসে তার বিরুদ্ধে মামলা করব এবং সে মামলায় জিতব।” (আবু দাউদ)
রাসূল (সাঃ) এর যুগে এক মুসলিম ব্যক্তি অপর এক অমুসলিমকে হত্যা করলে বিচারে তিনি হত্যাকারী মুসলিম ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তা কার্যকর করেন।
৬. বিচার প্রাপ্তির অধিকারঃ
খিলাফত রাষ্ট্রে বিচার প্রাপ্তির অধিকার সবার জন্য সমান। খলীফা কিংবা তাঁর সরকারের যে কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মুসলিম অমুসলিম যে কোন নাগরিক নির্দ্বিধায় বিচার প্রার্থী হতে পারে। বিচারক বাদী বিবাদীর মাঝে কে মুসলিম কে অমুসলিম কিংবা কে খলীফা কে সাধারণ নাগরিক এই বিবেচনায় বিচার কার্য পরিচালনা করেন না। বরং তার উপর ইসলামের নির্দেশ হচ্ছে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে বিচার করার। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ-
“যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার কার্য পরিচালনা করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন তা কতই না উত্তম।” (সুরা নিসাঃ ৫৮)
অন্য আয়াতে ইয়াহুদীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাঁর রাসুলকে নির্দেশ দিয়েছেন এই বলে যেঃ
“যদি ফয়সালা করেন তবে ন্যায়ভাবে ফয়সালা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সুবিচারকারীকে ভালবাসেন।” (মায়িদাঃ ৪২)
খিলাফতের ইতিহাসে এমন অনেক অবিস্মরনীয় বিচারের ঘটনা ঘটেছে যা একদিকে ন্যায়বিচারের ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ অন্যদিকে সর্বকালের অমুসলিমদের জন্য হয়ে আছে অনুপ্রেরণার উৎস। আলোচনা দীর্ঘ না করার স্বার্থে শুধুমাত্র একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছি। সপ্তম শতাব্দির ঘটনা। তখন খিলাফতের মসনদ অলংকৃত করে আছেন মহাবীর হযরত আলী (রাঃ)। একজন ইয়াহুদী নাগরিক খলীফা আলীর (রাঃ) একটি ঢাল চুরি করলে বিষয়টি বিচারালয়ে উত্থাপিত হয়। তখন কাজী অর্থাৎ বিচারক খলীফাকে তার পক্ষে স্বাক্ষী উপস্থিত করতে বলেন। হযরত আলী তাঁর পুত্রকে স্বাক্ষী হিসাবে হাজির করেন। বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেয় এই বলে যে, কোন পিতার পক্ষে পুত্রের স্বাক্ষী গ্রহণযোগ্য নয়। ন্যায় বিচারের এই চমৎকারিত্য দেখে ইয়াহুদী লোকটি দারুণভাবে অভিভূত হয় এবং চুরির কথা স্বীকার করে নিজেই মুসলমান হয়ে যায়। এমন অনেক ঘটনা খোদ রাসূল (সাঃ) এর জীবনেও ঘটেছে। যেখানে অমুসলিমরা নিজেদের ধর্মীয় নেতার কাছে না গিয়ে মুকাদ্দমা নিয়ে ইসলামের আদালতে এসেছে এই আশায় যে এখানেই পাওয়া যাবে প্রকৃত ন্যায় বিচার। আমরা আশা করি, ইসলামের এই ইনসাফ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা এদেশের অমুসলিমদেরকে আশ্বস্ত করবে এবং ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহকে তীব্র করবে। আর অপপ্রচারকারীদের চেহারাকে করবে মলিন।
৭. শিক্ষার অধিকারঃ
একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হওয়ার লক্ষ্যে খিলাফত রাষ্ট্র তার নাগরিকদেরকে শিক্ষিত করে তুলবে। নাগরিকগণ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিজ্ঞান, ব্যবসা, আইন, শিল্পকলার মত যেকোন শাখায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। খিলাফত রাষ্ট্রের শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক। শিক্ষা দান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মুসলিম ও অমুসলিম নাগরিকদের মধ্যে কোনরূপ পার্থক্য করে না। শত শত বছর ধরে খিলাফত রাষ্ট্রে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত ছিল। এই শিক্ষাব্যবস্থার সুফল হিসেবে খিলাফত রাষ্ট্রে বিভিন্ন বিষয় হাজার হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরী হয়েছিল। এদের মাঝে অমুসলিমদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। স্পেন মুসলিমদের অধিকারে আসার পর খিলাফত রাষ্ট্র কর্ডোভার পন্ডিতদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। শুধু তাই নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অমুসলিমরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য নিয়মিত খিলাফত রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসত। রাসূল (সাঃ) বদরের যুদ্ধে বিভিন্ন রকম মুক্তিপণের বিনিময়ে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল একজন শিক্ষিত যুদ্ধবন্দির মুক্তিপণ হিসেবে দশজন মুসলিমকে শিক্ষাদান।
৮.অর্থনৈতিক অধিকারঃ
খিলাফত রাষ্ট্রের অর্থনীতি খুবই সরল এবং নাগরিক বান্ধব। এ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক সম্পদ তথা তেল গ্যাস কয়লা ইত্যাদি কোন কিছুই প্রাইভেট কোম্পানীকে দেওয়া হয়না। সরাসরি সরকারের তত্ত্বাবধানে রেখে এ খাত থেকে লব্ধ আয় জমা রাখা হয় সরকারী ট্রেজারী বা বাইতুল মালে। আর এর রাজস্ব ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র নাগরিকদের স্বার্থ সংলিষ্ট কাজে। আয় উৎপাদন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রচলিত VAT এর মত অনাকাংখিত কোন কর দিতে হয়না। এ ক্ষেত্রে খিলাফত রাষ্ট্র মুসলমানদের তুলনায় অমুসলমানদের অনেক বেশী সুবিধা দিয়ে থাকে। কারণ মুসলমানদের যাকাত নামক একটি বিশেষ কর দিতে হয় যা অমুসলিম ব্যক্তি বা কোম্পানীকে দিতে হয়না। এমন আরও কিছু বিষয় আছে যা মুসলিম নাগরিকদের উপর বর্তায় কিন্তু অমুসলিমদের উপর বর্তায় না। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, অমুসলিমদের কাছ থেকে নাগরিক নিরাপত্তা বাবৎ যে জিযিয়া আদায় করা হয় তার হার মুসলমানদের যাকাতের হারের চেয়ে অনেক কম। রাসূল (সাঃ) বলেনঃ
“যে ব্যক্তি কোন মুআহিদের উপর জুলুম করবে; তার শক্তির বাইরে খারাজ ও জিযিয়া ধার্য করবে কেয়ামতের দিন আমি তার গর্দান পাকড়াও করব।”
খিলাফত রাষ্ট্র অমুসলিম নাগরিকদেরকে সরকারের প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণের ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করে থাকে। এতে তারা তাদের মেধা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে যোগ দানের মাধ্যমে ইসলামী সরকারের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ব্যাপারে অবদান রাখতে পারেন। এখানে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার উদ্ধৃতি বিষয়টিকে আরও সহজবোধ্য করে তুলবে। পনেরশ শতাব্দিতে ইয়াহুদীদেরকে যখন স্পেন থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন ইসলামী খিলাফত তাদেরকে স্বাগত জানায়। এই সুবাদে তারা স্বাস্থসেবা, গ্লাস তৈরী, মেটাল ওয়ার্কিং ইত্যাদি খাতে ইসলামী সরকারকে প্রচুর সহযোগিতা করেছিল। তৎকালে এই ইয়াহুদীরাই ছিল বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য বড় বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বি। কারণ তাদের ছিল অসামান্য মেধা, কর্মদক্ষতা এবং বিদেশী ভাষাজ্ঞান। তাদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে তদানিন্তন উসমানী খলীফা সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদ একটি বিখ্যাত উক্তি করে তিনি বলেছিলেন“তোমরা কি করে এই ফার্ডিনেন্ডকে বুদ্ধিমান বল, যে নিজের নাগরিকদেরকে বের করে দিয়ে তার সাম্রাজ্যকে করেছে গরীব আর আমাকে করেছে ধনী।”
৯. নাগরিক ও সামাজিক অধিকারঃ
অমুসলিমরা খিলাফত রাষ্ট্রের বিশেষ সম্মানিত নাগরিক। তারা সবসময় নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাপন করবে। নাগরিক নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সামাজিক সুবিধা লাভের বিষয়ে খিলাফত রাষ্ট্রের সাথে তাদের একটি চুক্তি থাকবে। সেই চুক্তির আলোকে তারা হবে মুআহিদ। যার অর্থ হচ্ছে চুক্তিবদ্ধ নাগরিক। বর্তমান সমাজের মত সংখ্যালঘু (Ethnic Minorities) নামের কোন অমযার্দাকর উপলব্ধি তাদের থাকবে না। কিংবা বৃটেন বা আমেরিকার মত অভিবাসী নামের কোন পরিচিতি থাকবে না। যার দ্বারা একথা প্রমানিত হয় যে তারা হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক।
সকল মুসলমান তাদের সাথে সৎ ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করতে বাধ্য থাকবে। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেনঃ
“যে ব্যক্তি কোন চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমের ক্ষতি করল সে যেন আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করল।”
মোটকথা,মুসলিম প্রধান দেশে তারা সামাজিক,নাগরিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুরোপুরি ভোগ করার অধিকার রাখে। তাদের সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা জুলুমের নামান্তর।
গ্রন্থগঞ্জী :
১. আল-কুরআন (সূরা-আন নিসা-১৬৫)
২. ইবন মানযুর আল ইফরীকী, লিসানুল আরব (বৈরুত লিতাতাবাআতিওয়াল নাশরি ১৯৫৬) ১৪ খ. পৃ. ২৫৮ ও মুহাম্মদ আলাউদ্দিন আযহারী, বাংলা একাডেমি ‘আরবী-বাংলা অভিধান (ঢাকা: ১৯৯৩ইং) ২য় খ. পৃ. ১৩০০।
৩. The Hanswehr Dictionary of Modern written Arabic, ed V.M.Cowan, (Newyork, 1976) P. 283.
৪. ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আনওয়ারী, ইসলামী দা‘ওয়াহ পরিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা, (ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩৯ বর্ষ ২য় সংখ্যা, অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৯৯) পৃ. ১১৯।
৫. ড. আহমদ গালুশ, আদ দা‘ওয়াতুল ইসলামিয়া (কায়রো: দারুল কিতাবিল মিসরী ১৯৭৮) পৃ. ৯।
৬. ­ড. খলীফা হুসাইন ‘আল-আসসাল’ মাআলিমুদ দা‘ওয়াতিল ইসলামিয়া ফি আহদিহাল মাক্কী, (কায়রো: দারুত তাবা‘আতিল মুহাম্মাদিয়াহ, ১৯৮৮) ১ খ. পৃ. ১৯।
৭. ড. রউফ শালাবী, সাই কোলোজিয়া তুররায় ওয়াদ দা‘ওয়াহ (কুয়েত: দারুল কলম, ১৯৮২) পৃ. ৪৯।
৮. ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আনওয়ারী, ইসলামী দা’ওয়াতের পদ্ধতি ও আধুনিক প্রেক্ষাপট, (বি আই আইটি) পৃ. ১৮।
৯. প্রাগুক্ত - পৃ. ২৮৬
১০. প্রাগুক্ত - পৃ. ২৮৭
১১. প্রাগুক্ত - পৃ. ২৮৯
১২. মুসলিম, আস-সহীহ ১/৬৯।
১৩. মুসলিম, আস-সহীহ- ১/৪৯৮, ২/৬৯৭।
১৪. বুখারী, আস-সহীহ- ৩/১৭৭
১৫. তিরমিযী, আস-সুনান- ৪/৪৬৭, ৫/২৫৬, আবু দাউদ, আস-সুনান- ৪/১২২, ইবন সাজাহ্ আস-সুনান- ২/১৩২৭, হাদীসটি সহীহ।
১৬. আবু দাউদ, আস-সুনান ৫/১২২, ইবনু মাজাহ- ২/১৩২৯, আলবাণী, সহীহুত তারগীব- ২/২৮৬, হাদীসটি হাসান।
১৭. তিরমিযী, আস-সুনান- ৪/৪৬৮ তিরমিযী হাদীসকে হাসান বলেছেন।
১৮. ইবনুল মানযারী, আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, ত খ. পৃ. ৪১৭
১৯. বুখারী, আস-সহীহ- ৩/১১৫৫, ৬/২৫৩৩,মুসলিম, আস-সহীহ- ৪/২২৭৮।
২০. মুসলিম, আস-সহীহ- ৩/১৪৮১।
২১. দৈনিক নয়া দিগন্ত ২৪/ডিসেম্বর-২০১৫
২২. খুতবাতুল ইসলাম, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আস-সুনান পাবলিকেশন্স, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ। পৃ. ৩৩২।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার উপস্থাপনাতে অনেক ভাল কথা আছে। কিন্তু অত্যন্ত আপত্তিকর কথাও আছে, যদি অমুসলিমদেরকেও একই রকম আবেগ-অনুভূতিসম্প্ন্ন রক্তমাংসের মানুষ মনে করা হয়। আমি আপত্তিকর দুটি কথা তুলে ধরছি, লিখেছেন:
"কোন মুসলিম দেশে যে সমস্ত অমুসলিম বসবাস করেন তারা সবাই সে দেশের মেহমান।" - এটি তো তাদেরও দেশ, তারা মেহমান কেন হবে?
"তবে তারা মুসলিমদের মাঝে তাদের ভ্রান্ত ধর্ম প্রচার করতে পারবে না ।" - এটি কেমন মানবাধিকার হলো?

আর বাস্তবে দেখুন অমুসলিম তো দূরের কথা, শিয়া-সুন্নি, হানাফি-আহমাদিয়াদের মধ্যেই মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে কী ভয়ঙ্কর রক্তাক্ত সংঘাত। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে আপনার এতো ভাল ভাল দাবির মূল্য থাকে কি? এইসব দেখেশুনে বলতে হয় যে, ভাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার নেই। ধর্মকে যার যার ব্যক্তিগত এবং গোষ্ঠিগত জীবনেই রাখেন। রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে, আইন এবং পুলিশ দিয়ে, রাষ্ট্রের কাঁধে বন্দুক রেখে ধর্ম কায়েম করতে যাবেন না। রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মের ব্যাপারে সকল মানুষকে স্বাধীনতা দেন। তারপর আপনার কী সমস্যা থাকে সেটি বলেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আমি বুঝতে পরেছি,কিন্তু এটাতো আমার নিজের কথা নয় ধর্মগন্থে যা আছে তাই বলেছি।ব্যাক্তিগত ভাবে আমি অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধর্ম পরিবর্তন করে যদি ভালো থাকা যায়, তাহলে তা করা উচিত।
আমার পকেটে কয়েক কোটী গুজে দিলে টিক্কি, দাড়ী বা গুপ্তকেশ যাই বলেন লম্বা করতে রাজী আছি।
টাকা রেডি করে কোন ধার্মিকভাইয়ের দাওয়াতের আশায় রইলাম।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আপনি ক্ষোভের থেকে বলেছেন বুঝা যাচ্ছে।আপনি চাইলে ফরিয়াদ করতে পারেন সবারই অধিকার আছে

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আমার প্রথম মন্তব্যেটির প্রেক্ষিতে আপনার উত্তরের প্রশংসা করতে ফিরে আসলাম। আপনি অহেতুক অযুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন নি, এবং বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন। এটি অবশ্যই শ্রদ্ধার দাবি করে। শ্রদ্ধা রাইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.