নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ পহেলা বৈশাখ ও ইসলামের দৃষ্টি

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭

আচ্ছা ভাইলোক,হিন্দু মুসলিম ছাড়াও আমাদের একটা পরিচয় আছে,আমরা মানুষ, বাঙ্গালি অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের রক্তে।সেই ছোটবেলা থেকে কাকিদের বাড়িতে পায়েস জল বাতাসা খেয়ে চাচীর হাতের ফিরনি,গরুর মাংশ খেয়ে সারাদিন রাম আর রহিমেরা পাড়া ঘুরে বেড়াতাম।ঈদের দিন নামাজ পড়ে রামদের নিয়ে টইটই করে ঘুরতাম সারাদিন,সেলামি পাওয়ার লোভে শুধু চাচীদের নয় কাকিদেরও সালাম করতাম,তারা হাসতে হাসতে আঁচল থেকে টাকা বের করে দিত।আর রামেরা পুজোয় মেলায় যাবে বলে এই রহিমদের মার কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিত।এরশাদ সরকারের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় রহিমের বাপ নামাজ পড়ে রামদের বাপেদের ঘর পাহারা দিতো।দু একবার আঘাতে রহিমের বাপের ও মাথা ফেটেছিল।তবুও রামদের কোন ক্ষতি হতে দেয়নি।দ্যাটস কল বাঙ্গালী দ্যাটস্ কল প্রকৃত ইসলামিস্ট।প্রতিটা জীবের প্রান আব্রু রক্ষা করা দায়িত্ব নো মেটার দ্যাট হি ইজ আবু আলি অর রাম দাস,ওর নিত্যানন্দ মহাথেরো অর ডন রোজারিও ইটিসি.তোমরা ভাই এইদেশে খেঁজুর আর খৈনি খানেআলার কথা শুনে এদেশে বর্বর মধ্যপ্রাচ্য বানাতে চাও,তো তোমরা হাওয়ার মধ্যে প্রাসাদ গড়ছো।এবং ৫ই মে মনে হয় তোমরা ভুলে গেছো।
তোমরা পহেলা বৈশাখে না যাবার কথা বলছো। অন্য ধর্মের পূজায় গেলেও ঈমান যায়না যদিনা আমি তাদের মত করে রীতি ফলো করি ? আমরা ওইখানে নিয়ম রীতি মানতে যাই না এটা একটা উৎসব মনে করি ঠিক যেমন একটা মিলনমেলা হয়। সব ধর্মের সকলে আসে। তারাও নিশ্চই মসজিদে নামাজ শুনে মুসলিম হয়ে যাবে না । ওটা সার্বজনীন দুর্গাপূজা তাই যাই ও টা সবার উৎসব।
এবার আসি পহেলা বৈশাখে,এটা একটা বাঙ্গালীর কালচার যেমনটা সাকারাইন,এখানে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় কারন এটা মানা হয় সারা বছরের অমঙ্গল দূর হবে শান্তি বয়ে আসবে।তোমাদের তো কেও এখানে আসতে বলে নাই,তোমরা না হয় এই দিনে পান খৈনি খেয়ে হালকায়ে জিকির মিলাদ মেহেফিল কর,সিরনি খাও কে বারন করেছে?সারাদিন না হয় গজল শুনো কেউ তো মানা করে নি।কিন্তু এখানে বাধা দিতে এসো না,আমি কথা দিচ্ছি যদি তা করো পিঠের চামড়া থাকবে না।বাঙ্গালী ক্ষেপলে হাটহাজারী,লালবাগ বা মগবাজার তোমাদেরকে রক্ষা করবে না।

এমনকি ইসলামে সাম্প্রদায়িকতাকে চরম ঘৃন্য বস্তু হিসেবে দেখা হয়,
আসাম্প্রদায়িকতা বিষয়ে ইসলামের শিক্ষাগুলোর দিকে নজর দিলেই বিষয়টি সহজেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
প্রথমেই দেখা যাক ইসলাম সাম্প্রদায়িকতাকে কীভাবে চিহ্নিত করেছে। একজন সাহাবী রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘আসাবিয়্যাত’ (সাম্প্রদায়িকতা) কী? জবাবে তিনি ইরশাদ করলেন, অন্যায় কাজে স্বগোত্র-স্বজাতির পক্ষে দাঁড়ানো।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫০৭৮)
অর্থাৎ অন্যায় ও জুলুমের কাজে কাউকে শুধু এ জন্য সমর্থন করা যে, সে তার নিজ দল, গোত্র, জাতি ও ধর্মের লোক-এটিই সাম্প্রদায়িকতা। আপনি কুরআনুল কারীমের সূরা নিসার শুরু থেকে পড়ুন, দেখবেন ইসলাম মানবতার বন্ধনকে কীভাবে দৃঢ় করেছে। আল্লাহ তাআলা কীভাবে সকল মানুষকে একই পিতা-মাতার সন্তান ঘোষণা দিয়ে তাদেরকে পরস্পরের আপন বানিয়েছেন।
হযরত হুযাইফা রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সকল জাতি যেন তাদের বাপ-দাদা তথা বংশ নিয়ে গর্ববোধ থেকে ফিরে আসে অন্যথায় তারা আল্লাহর কাছে নাপাকির পোকামাকড় থেকেও নিকৃষ্ট গণ্য হবে।
(মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ২৯৩৮)
সুনানে আবু দাউদের অন্য বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষকে আসাবিয়্যাত (সাম্প্রদায়িকতা)-এর দিকে আহবান করবে (অর্থাৎ অন্যায় কাজে নিজ দল, গোত্র, জাতিকে সাহায্য করতে বলবে) সে আমাদের (মুসলমানদের) দলভুক্ত নয়। যে এমন সাম্প্রদায়িকতার কারণে মৃত্যুবরণ করবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫০৮০)
এ হাদীস এবং এ বিষয়ে আরো একাধিক সহীহ হাদীসের মর্ম এই যে, যে ব্যক্তি জাতীয়তা বা ভাষার ভিত্তিতে অন্যায় হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর সহযোগিতা করে এবং (কওমিয়্যত) দল, গোত্র, বংশের ভিত্তিতে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে মারা যায় সে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরণ করল। যে উম্মতের বিরুদ্ধে অস্ত্র উঠিয়ে ভালোমন্দ সকলকে হত্যা করতে থাকে সে মুসলিম উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত নয়।
আর বিদায় হজ্বের বিখ্যাত ভাষণের কথা তো সকলেরই জানা। যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছিলেন, ভাষা, বর্ণ ও গোত্রের ভিত্তিতে কারো উপর কারো প্রাধান্য নেই। তিনি বলেছেন, কোনো আরব অনারবের উপর (শুধু ভাষার কারণে) প্রাধান্য পাবে না। কোনো সাদা (তার বর্ণের কারণে) কালোর উপর প্রাধান্য দাবি করতে পারবে না। প্রাধান্যের একমাত্র ভিত্তি হবে তাকওয়া।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৩৪৮৭
উপরোক্ত হাদীসগুলো এবং কুরআন-সুন্নাহর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আয়াত ও হাদীস-আসারগুলো অধ্যয়ন করলে যে কোনো বিবেকবান মানুষ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাবে ইসলামের ব্যাখ্যায় সাম্প্রদায়িকতার আওতা কত বিস্তৃত এবং কত কঠোরভাবে ইসলাম এর নিন্দা ও বিরোধিতা করে। ইসলামপূর্ব জাহিলিয়াত-যুগে মানুষ বিভিন্ন গোত্রে তাদের জাতীয়তাকে বিভক্ত করে ফেলেছিল। শুধু জাত-গোষ্ঠির নামে কথায় কথায় যুদ্ধ হত। হত্যা-লুণ্ঠন হত। ধনাঢ্য লোকজন, নেতা-সর্দারগণ থাকত সকল বিচারের ঊর্ধ্বে। বিচারের সম্মুখীন হত কেবল সাধারণ অসহায় মানুষ। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুরু থেকেই এসবের মূলে আঘাত করেছেন।
উপরের যে কয়টি উদাহরণ পেশ করা হল তার সবই ইসলামের দৃষ্টিতে সাম্প্রদায়িকতা এবং কঠোর নিন্দনীয় এবং ইহ ও পরকালীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ বর্তমান সময়ের প্রচারমাধ্যমগুলো এখন এগুলোকে সাম্প্রদায়িকতা হিসেবে দেখতেই চায় না।
আর ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম সংখ্যালঘুদের জানমাল তো মুসলমানদের মতোই। কোনো মুসলমানের জন্য যেমন তার দেশের আইন মেনে বসবাসকারী অমুসলিমের উপর কোনো ধরনের নির্যাতনের সুযোগ নেই তেমনি অন্য কোনো মুসলিমকে এমনটি করতে দেখলে সাধ্যানুযায়ী এ অন্যায় কাজ থেকে তাকে নিবৃত্ত রাখার চেষ্টা করাও তার দায়িত্ব। তা না করে উল্টো জালেমকে সমর্থন করলে সেটি হবে চরম সাম্প্রদায়িকতা।

বাংলাদেশ কোন ইসলামপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইসলামী বিশ্বের খলিফাও নন। কাজেই কোন কন্ডিশনই এপ্লাইড হচ্ছেনা।আরেকটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি। নবীজির (সঃ) জীবনী আলোচনা করতে আমার দারুন লাগে। কত কিছু যে শিখার আছে।
ফাজিল পোলাপান তাঁর আমলেও ছিল, এবং আরও বেশিই ছিল। তাঁকে জ্বালানোর জন্য একদিন তাঁর বাড়িতে গিয়ে ওরা বলল, "আসসামু আলাইকুম।"
আমার আরবি জ্ঞান শুন্য, তবু এর মানে হচ্ছে "তোমার মৃত্যু ঘটুক" অথবা এইরকমই কিছু।
নবীজির (সঃ) সাথে তাঁর স্ত্রী হজরত আয়েশা (রাঃ) ছিলেন। তিনি নিজের রাগ ধরে রাখতে না পেরে বললেন, "তোরা আর তোদের গুষ্ঠী ধ্বংস হোক।"
নবীজি নিজের স্ত্রীকে শান্ত করলেন। সহজ ভাষায় বললে তিনি বলেছেন, "রিল্যাক্স আয়েশা। চিন্তিত হবার কিছু নেই। টেক ইট ইজি।"
তারপর তিনি উত্তরে বললেন, "ওয়ালাইকুম।"
মানে তোমাদের উপরেও। সহজ ভাষায় প্রতিবাদ।
তুমি আমাকে গালি দিচ্ছ? যা দিচ্ছ সেটাই তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম, এবং নিজেও মুখ পর্যন্ত খারাপ করলাম না।
তোমরা মনে কর নাস্তিক মুরতাদ হিন্দুয়ানী নাম দেয়ে দেশে সাম্প্রদয়িকতার বিষবাস্প ছড়াবে,নবীজির ভাষায় বলে দি,তোমরা যা চক্রান্ত করছো তা তোমাদেরই ফিরিয়ে দিলাম।মৌলবাদি রা তোমাদের অসুস্থ্যতার জন্যে শুধু দোয়াই করতে পারি যে,আল্লাহ এদের হেদায়েত দিয়ে দাও,আমিন

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার বক্তব্য এবং উদ্দেশ্য আমার কাছে খুবই সুন্দর এবং প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। আপনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, এমনকি কটু কথার জবাবেও নিজের মুখ না খারাপ করার মতো দৃষ্টান্ত ইসলাম থেকেই তুলে এনেছেন। এবং প্রকৃত মুসলমানদেরকে এই দৃষ্টান্তগুলি অনুসরণ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে, কিছু সমস্যা আছে। প্রথমত, প্রকৃত ইসলাম কী, সেই বিতর্ক কোনোদিন শেষ হবে না। কোরানের আয়াত তুলে কেউ দেখাবেন, ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোরজবরদস্তি সমর্থন করে না। আবার কেউ দেখাবেন কাফেরদেরকে হত্যা করাই কোরানের নির্দেশ, মুরতাদদের কতল করাই খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ; ইত্যাদি। তাই ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে এইসব ঐতিহাসিক বিতর্ক অদূর এমনকি সুদূর ভবিষ্যতে নিরসন করা যাবে না। দ্বিতীয় সমস্যা হলো, এখন কেউ যদি সত্যিই প্রমাণ করে বসে যে মুরতাদদের হত্যা করাটাই ইসলামের বিধান - তাহলে, আপনি কি সেটি মেনে নেবেন? আমি তো তা মানব না। সেক্ষেত্রে আমি বলব, ওই ইসলামকে সভ্য সমাজ থেকে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু তা আমি কিসের ভিত্তিতে বলব?

আমার মনে হয়, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ন্যায়-নৈতিকতার বিষয়গুলি ধর্মনিরপেক্ষ তথা বৈজ্ঞানিক তথ্য-যুক্তির বিচারেই নির্ধারিত হওয়া আবশ্যক, যাতে কোনো ধর্মানুসারীগণ না মনে করেন অন্য ধর্মের আদেশ তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ধর্মীয় বা যেকোনো আদর্শিক আচার-আচরণে সর্বাধিক স্বাধীনতা রাষ্ট্রীয় আ্ইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত হওয়া আবশ্যক। ধর্মে ঠিক কী বলা আছে, সেটি নিয়ে বিতর্ক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের ব্যাপার; এবং সেগুলি মূলত একটি ধর্মের অভ্যন্তরীন বিষয়। যে যেভাবে ইচ্ছা তার ধর্ম পালন করুক; শুধু সমাজ এবং রাষ্ট্র বাইরে থেকে দেখবে যেএক জনের ধর্মাচরণ যেন আর এক জনের মৌলিক অধিকার দলন না করে। এটিকেই আমি মানবিক ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজের আদর্শ বলে মনে করি।

অন্যায় কাজে কাউকেই সমর্থন করা উচিত নয় (স্বগোত্রের হোক বা আপন সন্তানই হোক), কোনো ব্যক্তি কখন কোনো ধর্ম গ্রহণ করবে নাকি ত্যাগ করবে সেটি তার একটি মৌলিক মানবিক অধিকার - এমন সব জাগতিক সিদ্ধান্তে আসতে কোনো ধর্ম-পুস্তক খুলে রাশি রাশি প্যাঁচাল পাড়ার অর্থ নেই। কিছু সহজ ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক অনুভূতিই এগুলির জন্য যথেষ্ট। সমাজ এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব এমন মৌলিক মানবাধিকারগুলি রক্ষা করা। সহজ নয় কি? ধন্যবাদ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: যেই সময়ে সূরা নাজিল হয়েছিল সেই সময়ে মুরতাদ আর কাফের বলতে কাকে বোঝান হয়ছে সেটা লক্ষ্য করতে হবে,সেই সময়ে কুরাইশগন ছল চাতুরী ও নানা ভাবে সংখ্যালঘু মুসলিমদের চরম অপদস্ত করত ও হত্যা করত তাই এখানে তাদেরকে মুরতাদ ও হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়ছে।যেমন এখন যদি কেউ আপনার ভাই কে হত্যা বা অপদস্ত করে তাদের নিশ্চই ছেড়ে দিবেন না।
জ্ঞান বিজ্ঞানের বিষয়ে স্পষ্ট বলা আছে জ্ঞান অর্জনের জন্যে সুদূর চীন দেশে যাও,তখন চীন যাওয়া অত্যান্ত ঝুকি ও দূরহ ছিল তাই এটা রুপক অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে।এর অর্থ শুধু ধর্মীয় শিক্ষা নয় সব ব্যাপারেই জ্ঞান থাকতে হবে।

আর
যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিক বা মুসলিম দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম দেশের কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধও লাভ করতে পারবে না, যদিও জান্নাতের সুগন্ধ ৪০ বৎসরের দুরত্ব থেকে লাভকরা যায়।"
.... ( আল-বুখারী, হাদীস ৬/২৫৩৩)

তাই যদি মানুষ ধর্মপালন করে প্রকৃত ভাবে সে কখনও সাম্প্রদায়িক হতে পারে না,সকলধর্মের কল্যনে কাজ করে,‘আসাবিয়্যাত’ (সাম্প্রদায়িকতা)কে ঘৃনা করর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক মনভাব বর্জন করা হয়েছে।যা অসাম্প্রদায়িকতার নামান্তর

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে লিখেছেন। ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নিবেন। :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৮

বাকের ভাই রিটার্ন বলেছেন: এইরকম একটা তথ্যবহুল লেখার দরকার ছিল।আমার মনের মত হয়েছে লেখাটা।সুন্দর ও সাবলীল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।আমিও চেয়েছিলাম কিন্তু জ্ঞানের দৌড়াত্ব কম থাকায় বিদায় হজ্জ এর ভাষন দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছি।আপনার লেখাটা থেকে আমি অনেক কিছুই শিখলাম যেগুলো আমি শিখার চেষ্টায় ছিলাম।আবারো ধন্যবাদ আপনাকে

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: অসাম্প্রদায়িক হতে গেলে জ্ঞানের থেকে মনের বেশি প্রয়োজন,মন ভাল তো সব ভাল।ভাল মন নিয়ে কেউ হিপোক্রেট হতে পারে না।সবসময় ভাল থাকবেন

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.