নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ ভূমিকম্প, আমরা প্রস্তুত তো?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩


ভূমিকম্প নিয়ে সাধারণ জনগনের তেমন কোন মাথাব্যাথা না থাকলেও আমরা যারা ব্লগে ফেসবুকে লেখালেখি করি কিংবা ভূমিকম্পের মত বিষয় নিয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখি অথবা পড়ালিখা করি তারা জানেন, সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ছোট বড় ভূমিকম্পগুলো খুব বড় ধরণের ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি করেছে। ভূমিকম্প গবেষকরাও এধরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বাংলাদেশ বা তার আশেপাশের এলাকায় ৮ মাত্রার চেয়েও বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি নেপাল এবং মায়ানমারে ঘটে যাওয়া মাঝারি মানের ভূমিকম্পের ফলে আমরা আরো শংকিত হয়ে পড়েছি। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হওয়ার কারণে এটাই ভাবতে হচ্ছে যে, ঢাকা বা তার ১০০ কিমি. এর ভিতরে একটা ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প কতটুকু ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে?
গবেষকরা জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে যার যেভাবে ইচ্ছা উচু উচু দালান নির্মান করেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুসরণ হয়নি ভবনের মূল নকশা, মানা হয়নি বিল্ডিং কোড, রাখা হয়নি ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ঢাকার তলদেশে উৎপত্তি হওয়া একটি ৬ মাত্রার ভূমিকম্পও সৃষ্টি করতে পারে মহা দুর্যোগ। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কয়েক হাজার ভবন। হতাহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ।
ভূমিকম্প হতে জানমাল রক্ষা করতে যে প্রস্তুতির দরকার তা আমাদের আছে কি? আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার জন্য যে পরিশ্রম করছি, কিংবা ফাঁপা উন্নয়নের যে গপ্পো শুনাচ্ছি বা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে রুপকথা শুনাচ্ছি সেটা ভূমিকম্পের হাত থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ট নয়।
ভাবতে অবাক লাগে ঘূর্নিঝড় বা বন্যার মত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সরকার যতটুকু সচেতন তার বিন্দুমাত্রও ভূমিকম্পের ব্যাপারে নেই। এই যে শত শত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সেসবের ব্যাপারেও কোন মাথাব্যাথা নেই। একটি ধ্বসে যাওয়া ভবন পাশের একটি মজবুত ভবনকেও ধ্বসিয়ে দিতে পারে। সুতরাং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশের ভবনগুলোও নিরাপদ নয়।
কি করা উচিত আমাদের?
এটা সম্ভবত একটা মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন। হয়তো এই স্টাটাস লিখতে লিখতেই একটা ভূমিকম্প সব ধ্বসিয়ে দিতে পারে। কিংবা আগামী পাঁচ সাত বছরে কোন ভূমিকম্প নাও হতে পারে। বিষয়টি এতটুকুই অনিশ্চিত। সেহেতু ভূমিকম্প মোকাবেলায় কি ব্যবস্থা নেবে সরকার?
প্রথম যে কাজটি করা উচিত-
১। ঢাকা শহ সবগুলো বিভাগীয় শহরে এবং মফস্বলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সমূহ চিহ্নিত করা এবং সেসব ভবনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
২। ভবনের নকশার অনুমতি প্রদানের সময় ভূমিকম্প প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সেটা দেখা। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরী হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করা।
৩। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভূিমকম্পের সময় আত্মরক্ষার্থে করণীয় বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া।
৪। শিক্ষার্থীরা কিভাবে দুর্যোগের সময় উদ্ধার কার্য চালাবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া।
৫। গনমাধ্যমে ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে প্রচারনা চালানো।
৬। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য স্পেশাল ইউনিট তৈরী রাখা।

তথ্যসূত্র-বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও জিয়া চৌধুরী।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

বিজন রয় বলেছেন: প্রস্তুত না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: প্রস্তুত হোন

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

রাােসল বলেছেন: shamelessly speaking, yes the rest world is ready to see a destroyed country.

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ঠিক

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভুমিকম্প হওয়ার পর দেখবেন একে অপরের প্রতি দোষারোপের প্রতিযোগিতা।
অথচ এখন কিছু সর্বাত্তক পদক্ষেপ নিলে সাম্ভাব্য ক্ষতির প্রায় ৭০% কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

কালনী নদী বলেছেন: বিবেক ও সত্য ভাইয়ের সাথে সহমত রাখি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আমিও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.