নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমান, হিন্দু, নাস্তিক, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলে মিলেই আমরা সুন্দর আগামীর দিকে হেঁটে যেতে চাই।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

এখন বাংলাদেশে 'দুর্বৃত্তদের' হাতে পূজার প্রতিমা ভাঙ্গা ডালভাত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দুদের জমি দখল করা হলো এখন 'সহিহ ইমানদারের' দায়িত্ব।হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষন করা হলো সোয়াবের কাজ।অথবা যত পার মুসলিম করো। প্রতিবাদ করলে 'ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে' বলে ৫৭ ধারার মামলা করে উল্টো ভুক্তভোগীদেরই জেলে পাঠানো ফ্যাশনেবল।মনে প্রানে তাদের মনে করিয়ে দি আরে এটাতো তোদের দেশ না।তারা এ দেশে জন্ম নিয়েছে গনিমতের মাল হিসেবে।নির্বাচনে জিতেছো তো সংখ্যালঘু ধর্ষন কর,নির্বাচনে হেরেছো তাও ধর্ষন কর,চাঁদে ফোন সঙ্গমী হুজুর কে দেখা গেছে তাদের বাড়িতে আগুন দাও,কিমবা পাশের দেশের গুজব রটেছে তবুও আগুন দাও।আমাদের কাছে তারা গ্রিনিপিগ,ইচ্ছামত ধর্ষন করো,আগুন দাও.দখল করো ও মজা নাও।
এর মাঝে কেটে গেল ৪৫ বছর,আরে হঠাৎ মনে পড়ে আরে বাংলাদেশ কই?কই আমার সোনার বাংলা।এতো সেই পূর্ব পাকিস্থান।যখন রেডিও পাকিস্থানে গুজব রটিয়ে নোয়াখালি,বরিশাল ও চিটাগাং এ সাম্পদায়িক দাঙ্গা লাগানো হত।তখনও হত এখনও হয়।মাঝখানে ৪৫ টি বছর।
এসবের মাঝে আমার ছেলেবেলার সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ জানি কোথায় হারিয়ে গেছে?আজও মনে পরে সেই ক্লাসমেটের টিফিন বাটি চুরি করে সব নারু গুলো সাবার করা,মেলায় গিয়ে আমার হিন্দু বন্ধুটির বাবা মার কাছে হাওয়াই মিঠাই আর খলনা পিস্তলের বায়না ধরা।দশমীতে লুচি ফুলকপি বুটের ডাল আর পাঠার মাংস দিয়ে পেট ভরে খাওয়া আর বোগল বাজাতে বাজাতে বাড়ি ফেরা।মেলায় কেনা মিঠাই মোয়া আর বড় দাদাদের সিকেট লুকিয়ে রাখার পুরস্কার স্বরুপ ৫০ টাকার কড়কড়ে নোট।কি দিনই না ছিল!!সেই দেশে আজ সাম্প্রদায়িক রাক্ষসের আস্ফালন।কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু সময়ে আমার বাংলাদেশকে আমি ঠিক আগের মতই দেখতে চাই। যেই বাংলাদেশে 'হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোন জন' পরিস্থির সম্মুখীন একেবারেই দুর্ভাগা না হলে হতে হতো না। যেই বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থেই ধর্ম ছিল যার যার, কিন্তু উৎসব ছিল সবার।
সেই গান"গ্রামেরই নওজোয়ান হিন্দু আর মুসলমান মিলিয়া বাউলা আর মুর্সিদী গাইতাম,আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম)
আর এখন একটি ভয়াবহ ডাবল স্টান্ডার্ড কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলছে দেশ। এক দিক থেকে ক্ষমতাবান ও প্রগতিশীলতার বুলি কপচানো মানুষগুলো সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝুকে পড়ছে, আবার তাদের কেউ কেউ প্রশ্নপত্রে চরম সাম্প্রদায়ীক জিঘাংসা শিক্ষার্থীদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চেষ্টা করছে।
ধর্মের বানী কোনদিন সন্ত্রাসী বানায় না, বরং ধর্মে ধর্মে রাজনীতির কুটিল অন্ধকারের বীজ বপনকারীরাই ঘৃণার বিশাল বৃক্ষ রোপণ করে চলছে, তারাই জন্ম দিচ্ছে উগ্রবাদী সন্ত্রাসের।
ফারুক ও গণেশ এই মাটিতে হাজার বছর ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দূর্যোগে আনন্দে এক সাথে জীবন যাপন করেছে। কিন্তু আজ কেউ কেউ একজনের হাতে ধারালো অস্ত্র তুলে দিচ্ছে অন্যকে কোপানোর জন্য। কি ভয়ঙ্কর।
যে আমাদের মাঝে বিভেদের হাতিয়ার তুলে দিতে চাইবে সেই হাতিয়ার আগে তার মাথায় মারতে হবে।
অথচও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল গ্রামের মন্দিরে প্রতিমাগুলো রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে ফেলায় কারো কি অনুভূতিতে আঘাত লাগলো না? ৪ দিন অতিবাহিত হলো কই কারো তো নিশানা পেলাম না? কেনো, সনাতন ধর্মের মানুষদের কি এদেশে বাঁচার অধিকার নেই, ধর্ম পালনের অধিকার নেই?
মুয়াজ্জিন হত্যায় আমরা যেমন আহত হই তেমনি পুরোহিত হত্যায়ও আহত হই। কেননা, আমরা প্রত্যেকটি মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
এই বাংলাদেশের মুসলমান, হিন্দু, নাস্তিক, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলে মিলেই আমরা সুন্দর আগামীর দিকে হেঁটে যেতে চাই।






মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সব ধর্মের লোকের উচিত অন্যের ধর্মকে অসম্মান না করা। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কিছু না বলা, না করা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ঠিক এই অনুভূতি যেন শুধু আমরা মানে মুসলমানদের বেলা প্রযোজ্য না হয়ে সকল ধর্মের প্রতি হয়

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

স্বাধীন কিবোর্ড বলেছেন: ছবিতে চাঁদ তারা কিসের প্রতিক?? চাঁদ তারা দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছেন?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ইসলামের প্রতিক

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: একদম খাঁটি কথা সাম্য কথা বলেছেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

Safin বলেছেন: "তোমরা তাদের(বিধর্মী) ও তাদের উপাস্যদের নিয়ে মন্দ কথা বলো না। নয়তো তারাও অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে নিয়ে মন্দ বলা শুরু করবে।"
-আল কোর'আনundefined

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ,এই উক্তিটি তুলে ধরার জন্যে

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রনীত দেব বলেছেন: বৃথা চেষ্টা, যারা পকেটে সবসময় ধর্ম নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য এটা খাটে না । সব ধর্মকে আপনি এক ছাদের নীচে আনতে পারবেন, শুধু এই একটা ধর্ম ছাড়া। কত হিন্দু নিজের ভীটে-মাটী ছেড়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পাকিস্তান আার বাংলাদেশে কত সংখ্যালঘু অত্যাচারিত, অথচ সহনশীল হিন্দুরা সব ধর্মকে আগলে রেখে দিয়েছেন। এমনকী কোন হিন্দুরা যদি কোন সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করে তাহলে মিডিয়া তার এবং সরকারের পিছনে হাতধুয়ে পরে যাবে। অন্তত: বাংলাদেশী মুসলিমরা আগে এরকম ছিল না, সবার আগে আমরা বাঙ্গালী তারপর অন্য কিছু, এই কথা মনে রাখলে কোন ভেদাভেদের সৃষ্টি হ্য় না। সবাই সবাইকে যোগ্য সম্মান দিন, মানুষ ভাল-খারাপ বিচার করুন, ধর্ম নয়, আমিও আপনার মতো স্বপ্ন দেখি-এই বাংলাদেশের মুসলমান, হিন্দু, নাস্তিক, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলে মিলেই আমরা সুন্দর আগামীর দিকে হেঁটে যেতে চাই।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: কাউকে না কাউকে তো শুরু করতেই হবে,যুদ্ধটা না হয় আমরাই শুরু করলাম

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

কালনী নদী বলেছেন: সাম্প্রদায়িকমুক্ত সেই দিনের অপেক্ষায় ইলাম ভাই। লেখাতে ++++

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আমিও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.