নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকের মুমিন মুসলমানরা গণহারে জাকির নায়েকের পাঙ্খা হলেও তাঁদের অনেকেই হয়ত জানেননা —
বাংলাদেশের অনেক আলেম ওলামা জাকির নায়েককে পছন্দ করেন না। এর পিছনে কারণ দেখান জাকির নায়েক এবং পিস টিভি সালাফিজম বা ওয়াহাবিজম ফলো করে।
মাদ্রাসার ছাত্র বা শিক্ষকদের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন, তাঁদের কাছে জাকির নায়েক কিন্তু এতটা জনপ্রিয় না। মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাবেন।
যদি ভেবে থাকেন জাকির নায়েক ব্যানড হয়ে গেলে বাংলাদেশে হেফাজতিরা আবার শো-ডাউন করা শুরু করবে — আপনার সে আশায় গুড়ে বালি।
সালাফিজম হচ্ছে পিউরিস্ট মতবাদ, ইসলাম ধর্মের গোঁড়ার দিকের প্রিচারদের তিন পুরুষের শিক্ষা বাদে বাকি সব কিছু বাদ।
সালাফিজম ইজমা-কিয়াসকে স্বীকার করেনা এবং বিদআত বলে জানে।
অথচ আপনি ছোট বেলায় ইসলাম শিক্ষা বইতে ইজমা কিয়াস এবং তাঁর গুরুত্ব পড়ে এসেছেন।
ইজমা-কিয়াস হচ্ছে ইসলামের প্রথম প্রিচারদের পরে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন যুগে সমসাময়িক মুসলিম পণ্ডিতদের ইসলামের সাপেক্ষে নেয়া সিদ্ধান্ত — যা কোরআন হাদিসে সরাসরি নেই। নতুন নতুন ইনোভেশন, ইনভেনশন, সমাজ ব্যবস্থার সাথে সাথে কিভাবে সেগুলো ইসলামে যুক্ত করা যাবে বা মানিয়ে নেয়া যাবে সে ব্যপারে দিক নির্দেশনা।
যেমন— টেলিফোন, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, এয়ারপ্লেন ইত্যাদি বিষয় ১৪০০ বছর আগে ছিলো না, এসব বিষয় আসার পর তখনকার ইসলামিক স্কলাররা নির্দেশনা দিয়েছেন কিভাবে এসবের ব্যপারে ভাবতে হবে। খ্রিষ্টানদের বানানো প্লেনে চড়া, টেলিফোনে কথা বলা যাবে নাকি বাজপাখি, কবুতর আর উটে করেই চলাচল আর যোগাযোগ করতে হবে। গণতন্ত্র মানতে হবে নাকি গণতন্ত্র তাগুত আর গোমরাহের পথ বলে গণতন্ত্রে বোমা মারতে হবে, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে দেশকে ভালবাসতে হবে নাকি সারা পৃথিবীই আমার দেশ বলে বর্ডার উড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করতে হবে নাকি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে হবে।
অর্থাৎ, ইজমা কিয়াসের ভূমিকা মুসলিমদের আচরণগত জীবনযাপনের সবটা জুড়ে আছে।
ইজমা-কিয়াস বাদ দিলে ইসলাম এমন এক সময়ে ফিরে যায় যখন মানুষ নিজ বিশ্বাস আর আইডিওলজি ছড়াতে অন্যদের আক্রমণ করতো।
ইজমা-কিয়াস ত্যাগ করা সালাফিজমের ফসলই আইসিস। এটা আমার কথা না, সারা বিশ্বের প্রচুর ইসলামী স্কলাররা এমনটা ভাবেন।
সালাফিজম এর তিন অংশের একটা অংশ জিহাদি সালাফিজম বলে পরিচিত।
সুতরাং জাকির নায়েক আর পিস টিভির প্রতি দরদ উথলে ওঠার সময় আপনি কোন পক্ষে যাচ্ছেন সেটা ভেবে নিয়েন। আমার কোন পক্ষ নাই, আমি মুসলিম — এই কথা বলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। কেননা মুসলিমরা যে কেবল এক রকম না, এক পথে হাটে না, এটা দিবালোকের মত পরিস্কার।
সূত্রঃ
১ঃ http://www.sunnah.org/fiqh/ijma.htm
২ঃ https://books.google.com.bd/books…
৩ঃ https://books.google.com.bd/books…
আমাদের তৌহীদী জনতার নামে একটা ব্যানার আছে।দুইটা কলাগাছ দিয়ে এই ব্যানার আটকায়া রাখলেও ব্যানারের পিছনে অন্তত কয়েক লক্ষ মানুষ জড়ো হয়ে যায়।এবার তৌহীদী জনতার ব্যানার থেকে আরেকটা সমাবেশ দেখতে চাই।সেই সমাবেশ থেকে আইএস,তালেবান,বোকো হারাম,,আল কায়েদাকে অমুসলিম ঘোষনা দেয়া হোক।আল্লামা শফি সেই সমাবেশের নেতৃত্ব দিক।তাইলেই বিশ্বাস করবো ইসলামে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নাই।
তথ্য সহায়তা-
#মাসতাহেদুল ইসলাম
#amor asad
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: সেটাইতো কথা এটা তেঁতুল হুজুর বলুক আগে
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২২
নতুন বলেছেন: এবার তৌহীদী জনতার ব্যানার থেকে আরেকটা সমাবেশ দেখতে চাই।সেই সমাবেশ থেকে আইএস,তালেবান,বোকো হারাম,,আল কায়েদাকে অমুসলিম ঘোষনা দেয়া হোক।আল্লামা শফি সেই সমাবেশের নেতৃত্ব দিক।তাইলেই বিশ্বাস করবো ইসলামে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নাই।
সেই সমাবেশ মনে হয় কখনোই হবে না।
একটা সাধারন কথা বললেই হয়... যারা মানুষ হত্যা করে তারা কখনোই ইসলামের হতে পারেনা। তাই আইএস,তালেবান,বোকো হারাম,,আল কায়েদাকে অমুসলিম ঘোষনা দেয়া হোক।