নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৭৩

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২১

প্রিয় অপরাজিতা,
আমি যতবারই তোমার দিকে তাকিয়েছি,ততবারই মনে হয়েছে এই বোধদয় তোমাকে প্রথম দেখছি।তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে যে কতবার স্তব্ধ হয়ে দাড়িঁয়েছি রাস্তার মোড়ে,সে গল্প নাইবা জানলে।তোমাকে নিয়ে আমার ভাবনার রাতগুলো যে কিভাবে পার করেছি,সেটা খোদাই ভালো জানেন।তোমার প্রতি যে আমার এতো টান,সেই টানের নিগুঢ় রহস্য এখনো বুঝতে পারি নি।জানি না, কতটা ভালোবাসি,শুধু বুঝতে পারি তুমি আমার কতটা জুড়ে আছো।ভালোবেসে যে তোমাকে আমার হৃদয়ে রেখেছি,সে ভালোবাসায় এখনো পিপঁড়েও ধরে নি,সবকিছু আমি মুক্তভাবে তোমাকে বলতে পারি ভয়হীনতায় এজন্যেই আরো অনেকটা বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়।তুমি আমার আপনি-তুমির সংসার,তোমাকে নিয়েই জীবনের বাকিটা কাটিয়ে দিতে চাই।আমি আগামীর স্বপ্ন দেখি তোমাকে নিয়ে,কি দেখি জানো?
আমি, তুমি আর আমাদের ছোট্ট একটি ঘর।বেশিকিছু নয় এতটুকুই চাওয়া আমার , ছোট্ট একটি ঘর হবে আমাদের,পাশাপাশি দুটো কামরা ,অদূরে আরেকটি ছোট্ট কামরা, অল্প দূরত্বের মাঝের জায়গাটুকু তে ছোট্ট একটি পাঠাগার। একটি ছোট্ট বারান্দা আর সামনে একটুকু জায়গা নিয়ে থাকবে আঙিনা। বারান্দায় ঝুলবে হরেক রকম বাহারী স্বপ্ন। আর আঙিনায় হবে স্বপ্নের চাষ। মাথার উপরে আকাশ থাক বা না থাক থাকবে ছোট্ট একটি ছাদ। ছাদে থাকবে ছোট্ট একটি চিলেকোঠা। চিলেকোঠায় থাকবে ছোট্ট একটি জানলা। যখনই ইচ্ছে হবে চিলেকোঠার ভেতরে বসে চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন বুনবো আমরা। পূর্ণিমায় জোসনা বিলাস করবো দুজনে। জানলায় আসা জোসনার আলোয় দুজনে দেখবো দুজনের মুখ।কোজাগরী পূর্ণিমার নরম আলোয় এক অপরূপ পবিত্রতা বিরাজ করবে ছোট্ট চিলেকোঠায়। অমাবশ্যাও পোহাবো কিছুক্ষন। অমাবশ্যার অন্ধকারে আমার বুকে মাথা রেখে সারারাত পার করে খুব ভোরে মেপে নেবে কার বুকে কতটা ভালবাসার হাহাকার। তারপর এলো পূর্ণিমায় ভাগাভাগি করে নেবো অলস দুঃখের অকারণ যত কারণ। চিলেকোঠার ছাউনি হবে সিমেন্ট শেডের। যেখানে বর্ষায় বৃষ্টি ঝরবে ঢেউয়ের তালে দুলে দুলে। বৃষ্টির টুপটাপ আওয়াজে আমরা হারাবো অতীতে। আমাদের শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে, কৈশোর মাড়িয়ে যৌবন, ধীরে ধীরে বর্তমানে এসে ঠেকবে স্মৃতির নৌকো। বর্তমানের ঘাটে নোঙর ভীড়িয়ে এরপর আমরা ভাসবো ভবিষ্যৎ স্বপ্নের সমুদ্রে।
ভবিষ্যতের গভীর সমুদ্র থেকে দুজনে ফিরে এসে জানলায় হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁব অনেক্ষণ। এরপর শীতল হাতদুটো দুজনে ছুঁয়ে দেবো দুজনের গালে। বেশ কিছুক্ষণ এভাবেই থাকবো আমরা। থাকবে ছোট্ট একটি টিয়াপাখির খাঁচা। দুটি টিয়াপাখির জোড়া সংসার।তারা সারাদিন ঝগড়া করবে অল্প অল্প,ভালবাসার ঝগড়া করার আমার খুব সখ।কিন্তু তুমি এতো মায়াময়ী যে তোমার সাথে ঝগড়া করা অসম্ভব।তাই আমার হয়ে টিয়া দম্পতি ঝগড়া করে আমার মনের আশা পূর্ন করবে সবসময়।
চিলেকোঠা বাদে ছাদের বাকি জায়গা জুড়ে থাকবে রঙবেরঙের ফুল।খুব বেশি গোলাপের বাগান,যে ফুল হবে আমাদের রঙিন ভালোবাসার প্রতীকী রূপ।
আমাদের ছোট্ট ঘরের ছোট্ট উঠোন মাড়িয়ে একটু সামনে এগুলেই গাছগাছালি ঘেরা স্নিগ্ধ ছোট্ট একটি পথ চলে যাবে বেলকনিতে। যেখান থেকেই আমাদের ছোট্ট স্বপ্নের শুরু।সে পথ দিয়েই আমরা পা রাখব ভালবাসার সপ্তম স্বর্গে আর এভাবেই ছোট্ট স্বপ্নের ছোট্ট পথ বড় হতে হতে ছাড়িয়ে যাবে পৃথিবী, পৃথিবী ছাড়িয়ে যাবে মহাবিশ্ব। মহাবিশ্ব ছাড়িয়ে অন্যকোন রহস্যের পথে।
খুব বেশি কিছু তো নয়। এতটুকুন-ই চাওয়া আমার। আমি,তুমি আর আমাদের ছোট্ট একটি ঘর। যে ঘর জুড়ে থাকবে অজুত স্বপ্নের ভীড়। আর আমরা স্বপ্ন বুনতে থাকবো অবিরাম।
খুব বেশি কিছু তো নয়। এইটুকুনু- ই চাওয়া আমার।
তোমাকে এতটুকুই বলার ছিল,অর্থ নয়, কীর্তি নয়,অধিক স্বচ্ছলতা নয়
আরো এক বিস্ময় ঘোরলাগা ভালবাসা,আমার অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;তোমার ভালবাসায় আমাকে ক্লান্ত করে;ধ্বংস করে -
বিচূর্ন করে।তারপর আমি সংশপ্তক হুংকার দিয়ে জেগে উঠি।সব অসম্ভবকে পদানত করে বলি"তোমার প্রেমে আমি বিশুদ্ধ ভাবে যদি ধ্বংস প্রাপ্ত নাই বা হতে পারি,তবে আমি তোমার প্রেমিক কেন?"
ইতি
তোমারই কাছে চির পরাজিত

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

মানবী বলেছেন: অসাধারন সুন্দর!

শুরুতে মনে পড়ছিলো "শেষের কবিতা"র অমিতের লাবন্যকে নিয়ে ঘর গড়ার স্বপ্নের বর্ণনার কথা!
আপনার স্বপ্নের বর্ণনা সুন্দর, মায়াবী...

"আমাদের ছোট্ট ঘরের ছোট্ট উঠোন মাড়িয়ে একটু সামনে এগুলেই গাছগাছালি ঘেরা স্নিগ্ধ ছোট্ট একটি পথ চলে যাবে বেলকনিতে।"
- উঠোন পেড়িয়ে বেলকনি?

দুটো কামরা, অদূরে আরেকটি কামরা যা পাঠাগার, সিমেন্টের ছাউনী দেয়া চিলেকোঠা, উঠোন, তার পর গাছগাছালি ঘেরা পথ পেড়িয়ে বেলকনি..... সব মিলিয়ে চাওয়া "এতোটুকু" মনে হলোনা B-)

মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আমার মতো অপদার্থের পোষ্ট আপনি পড়েছেন সময় নষ্ট করে তার জন্যে ধন্যবাদ

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

ak ahad বলেছেন: boss,,,আপনি লিখে যান,,
আমি কিন্তু আছি,,,
আর কথা কিন্তু ঐটাই,,,
প্রেমপত্র --৯৯৯ পর্যন্ত লিখতে হবে,,,
,,,,

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২৫

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: হাহাহা এত লেখা কি সম্ভব??১০১ এ থামবো আশা করি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.